সূরা তালিকা


1 ১ আল-ফাতিহা Al-Fatiha الفاتحة
১. আল-ফাতিহা
মাক্কী
الفاتحة
আয়াত: ৭
2 ২ আল-বাকারা Al-Baqara البقرة
২. আল-বাকারা
মাদানী
البقرة
আয়াত: ২৮৬
3 ৩ আলে-ইমরান Al-i-Imran آل عمران
৩. আলে-ইমরান
মাদানী
آل عمران
আয়াত: ২০০
4 ৪ আন-নিসা An-Nisa النساء
৪. আন-নিসা
মাদানী
النساء
আয়াত: ১৭৬
5 ৫ আল-মায়েদা Al-Maida المائدة
৫. আল-মায়েদা
মাদানী
المائدة
আয়াত: ১২০
6 ৬ আল-আনআম Al-Anam الأنعام
৬. আল-আনআম
মাক্কী
الأنعام
আয়াত: ১৬৫
7 ৭ আল-আরাফ Al-Araf الأعراف
৭. আল-আরাফ
মাক্কী
الأعراف
আয়াত: ২০৬
8 ৮ আল-আনফাল Al-Anfal الأنفال
৮. আল-আনফাল
মাদানী
الأنفال
আয়াত: ৭৫
9 ৯ আত-তাওবা At-Tawba التوبة
৯. আত-তাওবা
মাদানী
التوبة
আয়াত: ১২৯
10 ১০ ইউনুস Yunus يونس
১০. ইউনুস
মাক্কী
يونس
আয়াত: ১০৯
11 ১১ হূদ Hud هود
১১. হূদ
মাক্কী
هود
আয়াত: ১২৩
12 ১২ ইউসুফ Yusuf يوسف
১২. ইউসুফ
মাক্কী
يوسف
আয়াত: ১১১
13 ১৩ আর-রাদ Ar-Rad الرعد
১৩. আর-রাদ
মাদানী
الرعد
আয়াত: ৪৩
14 ১৪ ইবরাহীম Ibrahim ابراهيم
১৪. ইবরাহীম
মাক্কী
ابراهيم
আয়াত: ৫২
15 ১৫ আল-হিজর Al-Hijr الحجر
১৫. আল-হিজর
মাক্কী
الحجر
আয়াত: ৯৯
16 ১৬ আন-নাহাল An-Nahl النحل
১৬. আন-নাহাল
মাক্কী
النحل
আয়াত: ১২৮
17 ১৭ আল-ইসরা (বনী-ইসরাঈল) Al-Isra الإسراء
১৭. আল-ইসরা (বনী-ইসরাঈল)
মাক্কী
الإسراء
আয়াত: ১১১
18 ১৮ আল-কাহফ Al-Kahf الكهف
১৮. আল-কাহফ
মাক্কী
الكهف
আয়াত: ১১০
19 ১৯ মারইয়াম Maryam مريم
১৯. মারইয়াম
মাক্কী
مريم
আয়াত: ৯৮
20 ২০ ত্ব-হা Ta-Ha طه
২০. ত্ব-হা
মাক্কী
طه
আয়াত: ১৩৫
21 ২১ আল-আম্বিয়া Al-Anbiya الأنبياء
২১. আল-আম্বিয়া
মাক্কী
الأنبياء
আয়াত: ১১২
22 ২২ আল-হজ্জ Al-Hajj الحج
২২. আল-হজ্জ
মাদানী
الحج
আয়াত: ৭৮
23 ২৩ আল-মুমিনুন Al-Muminun المؤمنون
২৩. আল-মুমিনুন
মাক্কী
المؤمنون
আয়াত: ১১৮
24 ২৪ আন-নূর An-Nur النور
২৪. আন-নূর
মাদানী
النور
আয়াত: ৬৪
25 ২৫ আল-ফুরকান Al-Furqan الفرقان
২৫. আল-ফুরকান
মাক্কী
الفرقان
আয়াত: ৭৭
26 ২৬ আশ-শুআরা Ash-Shuara الشعراء
২৬. আশ-শুআরা
মাক্কী
الشعراء
আয়াত: ২২৭
27 ২৭ আন-নামাল An-Naml النمل
২৭. আন-নামাল
মাক্কী
النمل
আয়াত: ৯৩
28 ২৮ আল-কাসাস Al-Qasas القصص
২৮. আল-কাসাস
মাক্কী
القصص
আয়াত: ৮৮
29 ২৯ আল-আনকাবূত Al-Ankabut العنكبوت
২৯. আল-আনকাবূত
মাক্কী
العنكبوت
আয়াত: ৬৯
30 ৩০ আর-রুম Ar-Rum الروم
৩০. আর-রুম
মাক্কী
الروم
আয়াত: ৬০
31 ৩১ লুকমান Luqman لقمان
৩১. লুকমান
মাক্কী
لقمان
আয়াত: ৩৪
32 ৩২ আস-সাজদাহ As-Sajda السجدة
৩২. আস-সাজদাহ
মাক্কী
السجدة
আয়াত: ৩০
33 ৩৩ আল-আহযাব Al-Ahzab الأحزاب
৩৩. আল-আহযাব
মাদানী
الأحزاب
আয়াত: ৭৩
34 ৩৪ সাবা Saba سبإ
৩৪. সাবা
মাক্কী
سبإ
আয়াত: ৫৪
35 ৩৫ ফাতির Fatir فاطر
৩৫. ফাতির
মাক্কী
فاطر
আয়াত: ৪৫
36 ৩৬ ইয়াসীন Ya-Sin يس
৩৬. ইয়াসীন
মাক্কী
يس
আয়াত: ৮৩
37 ৩৭ আস-সাফফাত As-Saffat الصافات
৩৭. আস-সাফফাত
মাক্কী
الصافات
আয়াত: ১৮২
38 ৩৮ সোয়াদ Ṣād ص
৩৮. সোয়াদ
মাক্কী
ص
আয়াত: ৮৮
39 ৩৯ আয-যুমার Az-Zumar الزمر
৩৯. আয-যুমার
মাক্কী
الزمر
আয়াত: ৭৫
40 ৪০ গাফির (আল মুমিন) Ghafir غافر
৪০. গাফির (আল মুমিন)
মাক্কী
غافر
আয়াত: ৮৫
41 ৪১ হা-মীম আস-সাজদা (ফুসসিলাত) Fussilat فصلت
৪১. হা-মীম আস-সাজদা (ফুসসিলাত)
মাক্কী
فصلت
আয়াত: ৫৪
42 ৪২ আশ-শূরা Ash-Shura الشورى
৪২. আশ-শূরা
মাক্কী
الشورى
আয়াত: ৫৩
43 ৪৩ আয-যুখরুফ Az-Zukhruf الزخرف
৪৩. আয-যুখরুফ
মাক্কী
الزخرف
আয়াত: ৮৯
44 ৪৪ আদ-দুখান Ad-Dukhan الدخان
৪৪. আদ-দুখান
মাক্কী
الدخان
আয়াত: ৫৯
45 ৪৫ আল-জাসিয়া Al-Jathiya الجاثية
৪৫. আল-জাসিয়া
মাক্কী
الجاثية
আয়াত: ৩৭
46 ৪৬ আল-আহকাফ Al-Ahqaf الأحقاف
৪৬. আল-আহকাফ
মাক্কী
الأحقاف
আয়াত: ৩৫
47 ৪৭ মুহাম্মাদ Muhammad محمد
৪৭. মুহাম্মাদ
মাদানী
محمد
আয়াত: ৩৮
48 ৪৮ আল-ফাতহ Al-Fath الفتح
৪৮. আল-ফাতহ
মাদানী
الفتح
আয়াত: ২৯
49 ৪৯ আল-হুজুরাত Al-Hujurat الحجرات
৪৯. আল-হুজুরাত
মাদানী
الحجرات
আয়াত: ১৮
50 ৫০ কাফ Qaf ق
৫০. কাফ
মাক্কী
ق
আয়াত: ৪৫
51 ৫১ আয-যারিয়াত Adh-Dhariyat سورة الذاريات
৫১. আয-যারিয়াত
মাক্কী
سورة الذاريات
আয়াত: ৬০
52 ৫২ আত-তূর At-Tur الطور
৫২. আত-তূর
মাক্কী
الطور
আয়াত: ৪৯
53 ৫৩ আন-নাজম An-Najm النجم
৫৩. আন-নাজম
মাক্কী
النجم
আয়াত: ৬২
54 ৫৪ আল-কামার Al-Qamar القمر
৫৪. আল-কামার
মাক্কী
القمر
আয়াত: ৫৫
55 ৫৫ আর-রাহমান Ar-Rahman الرحمن
৫৫. আর-রাহমান
মাদানী
الرحمن
আয়াত: ৭৮
56 ৫৬ আল-ওয়াকিয়া Al-Waqia الواقعة
৫৬. আল-ওয়াকিয়া
মাক্কী
الواقعة
আয়াত: ৯৬
57 ৫৭ আল-হাদীদ Al-Hadid الحديد
৫৭. আল-হাদীদ
মাদানী
الحديد
আয়াত: ২৯
58 ৫৮ আল-মুজাদালা Al-Mujadila المجادلة
৫৮. আল-মুজাদালা
মাদানী
المجادلة
আয়াত: ২২
59 ৫৯ আল-হাশর Al-Hashr الحشر
৫৯. আল-হাশর
মাদানী
الحشر
আয়াত: ২৪
60 ৬০ আল-মুমতাহিনা Al-Mumtahina الممتحنة
৬০. আল-মুমতাহিনা
মাদানী
الممتحنة
আয়াত: ১৩
61 ৬১ আস-সফ As-Saff الصف
৬১. আস-সফ
মাদানী
الصف
আয়াত: ১৪
62 ৬২ আল-জুমুআ Al-Jumua الجمعة
৬২. আল-জুমুআ
মাদানী
الجمعة
আয়াত: ১১
63 ৬৩ আল-মুনাফিকূন Al-Munafiqun المنافقون
৬৩. আল-মুনাফিকূন
মাদানী
المنافقون
আয়াত: ১১
64 ৬৪ আত-তাগাবুন At-Taghabun التغابن
৬৪. আত-তাগাবুন
মাদানী
التغابن
আয়াত: ১৮
65 ৬৫ আত-ত্বলাক্ব At-Talaq الطلاق
৬৫. আত-ত্বলাক্ব
মাদানী
الطلاق
আয়াত: ১২
66 ৬৬ আত-তাহরীম At-Tahrim التحريم
৬৬. আত-তাহরীম
মাদানী
التحريم
আয়াত: ১২
67 ৬৭ আল-মুলক Al-Mulk الملك
৬৭. আল-মুলক
মাক্কী
الملك
আয়াত: ৩০
68 ৬৮ আল-কলম Al-Qalam القلم
৬৮. আল-কলম
মাক্কী
القلم
আয়াত: ৫২
69 ৬৯ আল-হাক্কাহ Al-Haqqa الحاقة
৬৯. আল-হাক্কাহ
মাক্কী
الحاقة
আয়াত: ৫২
70 ৭০ আল-মাআরিজ Al-Maarij المعارج
৭০. আল-মাআরিজ
মাক্কী
المعارج
আয়াত: ৪৪
71 ৭১ নূহ Nuh نوح
৭১. নূহ
মাক্কী
نوح
আয়াত: ২৮
72 ৭২ আল-জ্বিন Al-Jinn الجن
৭২. আল-জ্বিন
মাক্কী
الجن
আয়াত: ২৯
73 ৭৩ আল-মুযযাম্মিল Al-Muzzammil المزمل
৭৩. আল-মুযযাম্মিল
মাক্কী
المزمل
আয়াত: ২০
74 ৭৪ আল-মুদ্দাসসির Al-Muddathir المدثر
৭৪. আল-মুদ্দাসসির
মাক্কী
المدثر
আয়াত: ৫৬
75 ৭৫ আল-ক্বিয়ামাহ Al-Qiyama القيامة
৭৫. আল-ক্বিয়ামাহ
মাক্কী
القيامة
আয়াত: ৪০
76 ৭৬ আল-ইনসান (আদ-দাহর) Al-Insan الانسان
৭৬. আল-ইনসান (আদ-দাহর)
মাদানী
الانسان
আয়াত: ৩১
77 ৭৭ আল-মুরসালাত Al-Mursalat المرسلات
৭৭. আল-মুরসালাত
মাক্কী
المرسلات
আয়াত: ৫০
78 ৭৮ আন-নাবা An-Naba النبإ
৭৮. আন-নাবা
মাক্কী
النبإ
আয়াত: ৪০
79 ৭৯ আন-নাযিআত An-Naziat النازعات
৭৯. আন-নাযিআত
মাক্কী
النازعات
আয়াত: ৪৬
80 ৮০ আবাসা Abasa عبس
৮০. আবাসা
মাক্কী
عبس
আয়াত: ৪২
81 ৮১ আত-তাকভীর At-Takwir التكوير
৮১. আত-তাকভীর
মাক্কী
التكوير
আয়াত: ২৯
82 ৮২ আল-ইনফিতার Al-Infitar الإنفطار
৮২. আল-ইনফিতার
মাক্কী
الإنفطار
আয়াত: ১৯
83 ৮৩ আল-মুতাফফিফীন Al-Mutaffifin المطففين
৮৩. আল-মুতাফফিফীন
মাক্কী
المطففين
আয়াত: ৩৬
84 ৮৪ আল-ইনশিকাক Al-Inshiqaq الإنشقاق
৮৪. আল-ইনশিকাক
মাক্কী
الإنشقاق
আয়াত: ২৫
85 ৮৫ আল-বুরুজ Al-Buruj البروج
৮৫. আল-বুরুজ
মাক্কী
البروج
আয়াত: ২২
86 ৮৬ আত-তারিক At-Tariq الطارق
৮৬. আত-তারিক
মাক্কী
الطارق
আয়াত: ১৭
87 ৮৭ আল-আলা Al-Ala الأعلى
৮৭. আল-আলা
মাক্কী
الأعلى
আয়াত: ১৯
88 ৮৮ আল-গাশিয়া Al-Ghashiya الغاشية
৮৮. আল-গাশিয়া
মাক্কী
الغاشية
আয়াত: ২৬
89 ৮৯ আল-ফাজর Al-Fajr الفجر
৮৯. আল-ফাজর
মাক্কী
الفجر
আয়াত: ৩০
90 ৯০ আল-বালাদ Al-Balad البلد
৯০. আল-বালাদ
মাক্কী
البلد
আয়াত: ২০
91 ৯১ আশ-শামস Ash-Shams الشمس
৯১. আশ-শামস
মাক্কী
الشمس
আয়াত: ১৫
92 ৯২ আল-লাইল Al-Lail الليل
৯২. আল-লাইল
মাক্কী
الليل
আয়াত: ২১
93 ৯৩ আদ-দুহা Ad-Dhuha الضحى
৯৩. আদ-দুহা
মাক্কী
الضحى
আয়াত: ১১
94 ৯৪ আল-ইনশিরাহ Ash-Sharh الشرح
৯৪. আল-ইনশিরাহ
মাক্কী
الشرح
আয়াত: ৮
95 ৯৫ আত-ত্বীন At-Tin التين
৯৫. আত-ত্বীন
মাক্কী
التين
আয়াত: ৮
96 ৯৬ আল-আলাক Al-Alaq العلق
৯৬. আল-আলাক
মাক্কী
العلق
আয়াত: ১৯
97 ৯৭ আল-কাদর Al-Qadr القدر
৯৭. আল-কাদর
মাক্কী
القدر
আয়াত: ৫
98 ৯৮ আল-বায়্যিনাহ Al-Bayyina البينة
৯৮. আল-বায়্যিনাহ
মাদানী
البينة
আয়াত: ৮
99 ৯৯ আয-যিলযাল Az-Zalzala الزلزلة
৯৯. আয-যিলযাল
মাদানী
الزلزلة
আয়াত: ৮
100 ১০০ আল-আদিয়াত Al-Adiyat العاديات
১০০. আল-আদিয়াত
মাক্কী
العاديات
আয়াত: ১১
101 ১০১ আল-কারিআ Al-Qaria القارعة
১০১. আল-কারিআ
মাক্কী
القارعة
আয়াত: ১১
102 ১০২ আত-তাকাসুর At-Takathur التكاثر
১০২. আত-তাকাসুর
মাক্কী
التكاثر
আয়াত: ৮
103 ১০৩ আল-আসর Al-Asr العصر
১০৩. আল-আসর
মাক্কী
العصر
আয়াত: ৩
104 ১০৪ আল-হুমাযা Al-Humaza الهمزة
১০৪. আল-হুমাযা
মাক্কী
الهمزة
আয়াত: ৯
105 ১০৫ আল-ফীল Al-Fil الفيل
১০৫. আল-ফীল
মাক্কী
الفيل
আয়াত: ৫
106 ১০৬ আল-কুরাইশ Quraysh قريش
১০৬. আল-কুরাইশ
মাক্কী
قريش
আয়াত: ৪
107 ১০৭ আল-মাঊন Al-Maun الماعون
১০৭. আল-মাঊন
মাক্কী
الماعون
আয়াত: ৭
108 ১০৮ আল-কাউসার Al-Kawthar الكوثر
১০৮. আল-কাউসার
মাক্কী
الكوثر
আয়াত: ৩
109 ১০৯ কাফিরুন Al-Kafirun الكافرون
১০৯. কাফিরুন
মাক্কী
الكافرون
আয়াত: ৬
110 ১১০ আন-নাসর An-Nasr النصر
১১০. আন-নাসর
মাদানী
النصر
আয়াত: ৩
111 ১১১ লাহাব Al-Masad المسد
১১১. লাহাব
মাক্কী
المسد
আয়াত: ৫
112 ১১২ আল-ইখলাস Al-Ikhlas الإخلاص
১১২. আল-ইখলাস
মাক্কী
الإخلاص
আয়াত: ৪
113 ১১৩ আল-ফালাক Al-Falaq الفلق
১১৩. আল-ফালাক
মাক্কী
الفلق
আয়াত: ৫
114 ১১৪ আন-নাস An-Nas الناس
১১৪. আন-নাস
মাক্কী
الناس
আয়াত: ৬
সূরা: ১৭, আল-ইসরা (বনী-ইসরাঈল) - ( الإسراء)
সূরার ধরন: মাক্কী , মোট আয়াত:

1 ১
سُبۡحٰنَ الَّذِیۡۤ اَسۡرٰی بِعَبۡدِهٖ لَیۡلًا مِّنَ الۡمَسۡجِدِ الۡحَرَامِ اِلَی الۡمَسۡجِدِ الۡاَقۡصَا الَّذِیۡ بٰرَکۡنَا حَوۡلَهٗ لِنُرِیَهٗ مِنۡ اٰیٰتِنَا ؕ اِنَّهٗ هُوَ السَّمِیۡعُ الۡبَصِیۡرُ
سُبۡحٰنَ الَّذِیۡۤ اَسۡرٰی بِعَبۡدِهٖ لَیۡلًا مِّنَ الۡمَسۡجِدِ الۡحَرَامِ اِلَی الۡمَسۡجِدِ الۡاَقۡصَا الَّذِیۡ بٰرَکۡنَا حَوۡلَهٗ لِنُرِیَهٗ مِنۡ اٰیٰتِنَا ؕ اِنَّهٗ هُوَ السَّمِیۡعُ الۡبَصِیۡرُ
১. অনুবাদ: পবিত্র মহান সে সত্তা, যিনি তাঁর বান্দাকে রাতে নিয়ে গিয়েছেন আল মাসজিদুল হারাম থেকে আল মাসজিদুল আকসা* পর্যন্ত, যার আশপাশে আমি বরকত দিয়েছি, যেন আমি তাকে আমার কিছু নিদর্শন দেখাতে পারি। তিনিই সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।

2 ২
وَ اٰتَیۡنَا مُوۡسَی الۡکِتٰبَ وَ جَعَلۡنٰهُ هُدًی لِّبَـنِیۡۤ اِسۡرَآءِیۡلَ اَلَّا تَتَّخِذُوۡا مِنۡ دُوۡنِیۡ وَکِیۡلًا
وَ اٰتَیۡنَا مُوۡسَی الۡکِتٰبَ وَ جَعَلۡنٰهُ هُدًی لِّبَـنِیۡۤ اِسۡرَآءِیۡلَ اَلَّا تَتَّخِذُوۡا مِنۡ دُوۡنِیۡ وَکِیۡلًا
২. অনুবাদ: আর আমি মূসাকে কিতাব দিয়েছি এবং তা বনী ইসরাঈলের জন্য পথনির্দেশ বানিয়েছি। যেন তোমরা আমাকে ছাড়া কোন কর্মবিধায়ক না বানাও।

3 ৩
ذُرِّیَّۃَ مَنۡ حَمَلۡنَا مَعَ نُوۡحٍ ؕ اِنَّهٗ کَانَ عَبۡدًا شَکُوۡرًا
ذُرِّیَّۃَ مَنۡ حَمَلۡنَا مَعَ نُوۡحٍ ؕ اِنَّهٗ کَانَ عَبۡدًا شَکُوۡرًا
৩. অনুবাদ: সে তাদের বংশধর, যাদেরকে আমি নূহের সাথে আরোহণ করিয়েছিলাম, নিশ্চয় সে ছিল কৃতজ্ঞ বান্দা।

4 ৪
وَ قَضَیۡنَاۤ اِلٰی بَنِیۡۤ اِسۡرَآءِیۡلَ فِی الۡکِتٰبِ لَتُفۡسِدُنَّ فِی الۡاَرۡضِ مَرَّتَیۡنِ وَ لَتَعۡلُنَّ عُلُوًّا کَبِیۡرًا
وَ قَضَیۡنَاۤ اِلٰی بَنِیۡۤ اِسۡرَآءِیۡلَ فِی الۡکِتٰبِ لَتُفۡسِدُنَّ فِی الۡاَرۡضِ مَرَّتَیۡنِ وَ لَتَعۡلُنَّ عُلُوًّا کَبِیۡرًا
৪. অনুবাদ: আর আমি বনী ইসরাঈলকে কিতাবে সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলাম যে, তোমরা যমীনে দু’বার অবশ্যই ফাসাদ করবে এবং ঔদ্ধত্য দেখাবে মারাত্মকভাবে।

5 ৫
فَاِذَا جَآءَ وَعۡدُ اُوۡلٰىهُمَا بَعَثۡنَا عَلَیۡکُمۡ عِبَادًا لَّنَاۤ اُولِیۡ بَاۡسٍ شَدِیۡدٍ فَجَاسُوۡا خِلٰلَ الدِّیَارِ ؕ وَ کَانَ وَعۡدًا مَّفۡعُوۡلًا
فَاِذَا جَآءَ وَعۡدُ اُوۡلٰىهُمَا بَعَثۡنَا عَلَیۡکُمۡ عِبَادًا لَّنَاۤ اُولِیۡ بَاۡسٍ شَدِیۡدٍ فَجَاسُوۡا خِلٰلَ الدِّیَارِ ؕ وَ کَانَ وَعۡدًا مَّفۡعُوۡلًا
৫. অনুবাদ: অতঃপর যখন এ দু’য়ের প্রথম ওয়াদা আসল, তখন আমি তোমাদের উপর আমার কিছু বান্দা পাঠালাম, যারা কঠোর যুদ্ধবাজ। অতঃপর তারা ঘরে ঘরে ঢুকে ধ্বংসযজ্ঞ চালাল। আর এ ওয়াদা পূর্ণ হওয়ারই ছিল।

6 ৬
ثُمَّ رَدَدۡنَا لَکُمُ الۡکَرَّۃَ عَلَیۡهِمۡ وَ اَمۡدَدۡنٰکُمۡ بِاَمۡوَالٍ وَّ بَنِیۡنَ وَ جَعَلۡنٰکُمۡ اَکۡثَرَ نَفِیۡرًا
ثُمَّ رَدَدۡنَا لَکُمُ الۡکَرَّۃَ عَلَیۡهِمۡ وَ اَمۡدَدۡنٰکُمۡ بِاَمۡوَالٍ وَّ بَنِیۡنَ وَ جَعَلۡنٰکُمۡ اَکۡثَرَ نَفِیۡرًا
৬. অনুবাদ: তারপর আমি তাদের বিরুদ্ধে তোমাদের জন্য পালা ঘুরিয়ে দিলাম, ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি দিয়ে তোমাদেরকে মদদ করলাম এবং জনবলে তোমাদেরকে সংখ্যাধিক্যে পরিণত করলাম।

7 ৭
اِنۡ اَحۡسَنۡتُمۡ اَحۡسَنۡتُمۡ لِاَنۡفُسِکُمۡ ۟ وَ اِنۡ اَسَاۡتُمۡ فَلَهَا ؕ فَاِذَا جَآءَ وَعۡدُ الۡاٰخِرَۃِ لِیَسُوۡٓءٗا وُجُوۡهَکُمۡ وَ لِیَدۡخُلُوا الۡمَسۡجِدَ کَمَا دَخَلُوۡهُ اَوَّلَ مَرَّۃٍ وَّ لِیُتَبِّرُوۡا مَا عَلَوۡا تَتۡبِیۡرًا
اِنۡ اَحۡسَنۡتُمۡ اَحۡسَنۡتُمۡ لِاَنۡفُسِکُمۡ ۟ وَ اِنۡ اَسَاۡتُمۡ فَلَهَا ؕ فَاِذَا جَآءَ وَعۡدُ الۡاٰخِرَۃِ لِیَسُوۡٓءٗا وُجُوۡهَکُمۡ وَ لِیَدۡخُلُوا الۡمَسۡجِدَ کَمَا دَخَلُوۡهُ اَوَّلَ مَرَّۃٍ وَّ لِیُتَبِّرُوۡا مَا عَلَوۡا تَتۡبِیۡرًا
৭. অনুবাদ: তোমরা যদি ভাল কর, তবে নিজদের জন্যই ভাল করবে এবং যদি মন্দ কর তবে তা নিজদের জন্যই। এরপর যখন পরবর্তী ওয়াদা এল, (তখন অন্য বান্দাদের প্রেরণ করলাম) যাতে তারা তোমাদের চেহারাসমূহ মলিন করে দেয়, আর যেন মসজিদে ঢুকে পড়ে যেমন ঢুকে পড়েছিল প্রথমবার এবং যাতে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দেয় যা ওদের কর্তৃত্বে ছিল।

8 ৮
عَسٰی رَبُّکُمۡ اَنۡ یَّرۡحَمَکُمۡ ۚ وَ اِنۡ عُدۡتُّمۡ عُدۡنَا ۘ وَ جَعَلۡنَا جَهَنَّمَ لِلۡکٰفِرِیۡنَ حَصِیۡرًا
عَسٰی رَبُّکُمۡ اَنۡ یَّرۡحَمَکُمۡ ۚ وَ اِنۡ عُدۡتُّمۡ عُدۡنَا ۘ وَ جَعَلۡنَا جَهَنَّمَ لِلۡکٰفِرِیۡنَ حَصِیۡرًا
৮. অনুবাদ: আশা করা যায় তোমাদের রব তোমাদের উপর রহম করবেন। কিন্তু তোমরা যদি পুনরায় কর, তাহলে আমিও পুনরায় করব। আর আমি জাহান্নামকে করেছি কাফিরদের জন্য কয়েদখানা।

9 ৯
اِنَّ هٰذَا الۡقُرۡاٰنَ یَهۡدِیۡ لِلَّتِیۡ هِیَ اَقۡوَمُ وَ یُبَشِّرُ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ الَّذِیۡنَ یَعۡمَلُوۡنَ الصّٰلِحٰتِ اَنَّ لَهُمۡ اَجۡرًا کَبِیۡرًا ۙ
اِنَّ هٰذَا الۡقُرۡاٰنَ یَهۡدِیۡ لِلَّتِیۡ هِیَ اَقۡوَمُ وَ یُبَشِّرُ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ الَّذِیۡنَ یَعۡمَلُوۡنَ الصّٰلِحٰتِ اَنَّ لَهُمۡ اَجۡرًا کَبِیۡرًا ۙ
৯. অনুবাদ: নিশ্চয় এ কুরআন এমন একটি পথ দেখায় যা সবচেয়ে সরল এবং যে মুমিনগণ নেক আমল করে তাদেরকে সুসংবাদ দেয় যে, তাদের জন্য রয়েছে মহাপুরস্কার।

10 ১০
وَّ اَنَّ الَّذِیۡنَ لَا یُؤۡمِنُوۡنَ بِالۡاٰخِرَۃِ اَعۡتَدۡنَا لَهُمۡ عَذَابًا اَلِیۡمًا
وَّ اَنَّ الَّذِیۡنَ لَا یُؤۡمِنُوۡنَ بِالۡاٰخِرَۃِ اَعۡتَدۡنَا لَهُمۡ عَذَابًا اَلِیۡمًا
১০. অনুবাদ: আর যারা আখিরাতে ঈমান রাখে না আমি তাদের জন্য প্রস্ত্তত করেছি যন্ত্রণাদায়ক আযাব।

11 ১১
وَ یَدۡعُ الۡاِنۡسَانُ بِالشَّرِّ دُعَآءَهٗ بِالۡخَیۡرِ ؕ وَ کَانَ الۡاِنۡسَانُ عَجُوۡلًا
وَ یَدۡعُ الۡاِنۡسَانُ بِالشَّرِّ دُعَآءَهٗ بِالۡخَیۡرِ ؕ وَ کَانَ الۡاِنۡسَانُ عَجُوۡلًا
১১. অনুবাদ: আর মানুষ অকল্যাণের দোআ করে, যেমন তার দোআ হয় কল্যাণের জন্য। আর মানুষ তো তাড়াহুড়াপ্রবণ।

12 ১২
وَ جَعَلۡنَا الَّیۡلَ وَ النَّهَارَ اٰیَتَیۡنِ فَمَحَوۡنَاۤ اٰیَۃَ الَّیۡلِ وَ جَعَلۡنَاۤ اٰیَۃَ النَّهَارِ مُبۡصِرَۃً لِّتَبۡتَغُوۡا فَضۡلًا مِّنۡ رَّبِّکُمۡ وَ لِتَعۡلَمُوۡا عَدَدَ السِّنِیۡنَ وَ الۡحِسَابَ ؕ وَ کُلَّ شَیۡءٍ فَصَّلۡنٰهُ تَفۡصِیۡلًا
وَ جَعَلۡنَا الَّیۡلَ وَ النَّهَارَ اٰیَتَیۡنِ فَمَحَوۡنَاۤ اٰیَۃَ الَّیۡلِ وَ جَعَلۡنَاۤ اٰیَۃَ النَّهَارِ مُبۡصِرَۃً لِّتَبۡتَغُوۡا فَضۡلًا مِّنۡ رَّبِّکُمۡ وَ لِتَعۡلَمُوۡا عَدَدَ السِّنِیۡنَ وَ الۡحِسَابَ ؕ وَ کُلَّ شَیۡءٍ فَصَّلۡنٰهُ تَفۡصِیۡلًا
১২. অনুবাদ: আর আমি রাত ও দিনকে করেছি দু’টো নিদর্শন। অতঃপর মুছে দিয়েছি রাতের নিদর্শন এবং দিনের নিদর্শনকে করেছি আলোকময়, যাতে তোমরা তোমাদের রবের অনুগ্রহ সন্ধান করতে পার এবং যাতে তোমরা বর্ষসংখ্যা ও হিসাব জানতে পার। আর আমি প্রত্যেক বিষয় বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেছি।

13 ১৩
وَ کُلَّ اِنۡسَانٍ اَلۡزَمۡنٰهُ طٰٓئِرَهٗ فِیۡ عُنُقِهٖ ؕ وَ نُخۡرِجُ لَهٗ یَوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ کِتٰبًا یَّلۡقٰىهُ مَنۡشُوۡرًا
وَ کُلَّ اِنۡسَانٍ اَلۡزَمۡنٰهُ طٰٓئِرَهٗ فِیۡ عُنُقِهٖ ؕ وَ نُخۡرِجُ لَهٗ یَوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ کِتٰبًا یَّلۡقٰىهُ مَنۡشُوۡرًا
১৩. অনুবাদ: আর আমি প্রত্যেক মানুষের কর্মকে তার ঘাড়ে সংযুক্ত করে দিয়েছি এবং কিয়ামতের দিন তার জন্য আমি বের করব একটি কিতাব, যা সে পাবে উন্মুক্ত।

14 ১৪
اِقۡرَاۡ کِتٰبَکَ ؕ کَفٰی بِنَفۡسِکَ الۡیَوۡمَ عَلَیۡکَ حَسِیۡبًا
اِقۡرَاۡ کِتٰبَکَ ؕ کَفٰی بِنَفۡسِکَ الۡیَوۡمَ عَلَیۡکَ حَسِیۡبًا
১৪. অনুবাদ: পাঠ কর তোমার কিতাব, আজ তুমি নিজেই তোমার হিসাব-নিকাশকারী হিসেবে যথেষ্ট।

15 ১৫
مَنِ اهۡتَدٰی فَاِنَّمَا یَهۡتَدِیۡ لِنَفۡسِهٖ ۚ وَ مَنۡ ضَلَّ فَاِنَّمَا یَضِلُّ عَلَیۡهَا ؕ وَ لَا تَزِرُ وَازِرَۃٌ وِّزۡرَ اُخۡرٰی ؕ وَ مَا کُنَّا مُعَذِّبِیۡنَ حَتّٰی نَبۡعَثَ رَسُوۡلًا
مَنِ اهۡتَدٰی فَاِنَّمَا یَهۡتَدِیۡ لِنَفۡسِهٖ ۚ وَ مَنۡ ضَلَّ فَاِنَّمَا یَضِلُّ عَلَیۡهَا ؕ وَ لَا تَزِرُ وَازِرَۃٌ وِّزۡرَ اُخۡرٰی ؕ وَ مَا کُنَّا مُعَذِّبِیۡنَ حَتّٰی نَبۡعَثَ رَسُوۡلًا
১৫. অনুবাদ: যে হিদায়াত গ্রহণ করে, সে তো নিজের জন্যই হিদায়াত গ্রহণ করে এবং যে পথভ্রষ্ট হয় সে নিজের (স্বার্থের) বিরুদ্ধেই পথভ্রষ্ট হয়। আর কোন বহনকারী অপরের (পাপের) বোঝা বহন করবে না। আর রাসূল প্রেরণ না করা পর্যন্ত আমি আযাবদাতা নই।

16 ১৬
وَ اِذَاۤ اَرَدۡنَاۤ اَنۡ نُّهۡلِکَ قَرۡیَۃً اَمَرۡنَا مُتۡرَفِیۡهَا فَفَسَقُوۡا فِیۡهَا فَحَقَّ عَلَیۡهَا الۡقَوۡلُ فَدَمَّرۡنٰهَا تَدۡمِیۡرًا
وَ اِذَاۤ اَرَدۡنَاۤ اَنۡ نُّهۡلِکَ قَرۡیَۃً اَمَرۡنَا مُتۡرَفِیۡهَا فَفَسَقُوۡا فِیۡهَا فَحَقَّ عَلَیۡهَا الۡقَوۡلُ فَدَمَّرۡنٰهَا تَدۡمِیۡرًا
১৬. অনুবাদ: আর যখন আমি কোন জনপদ ধ্বংস করার ইচ্ছা করি, তখন তার সম্পদশালীদেরকে (সৎকাজের) আদেশ করি। অতঃপর তারা তাতে সীমালঙ্ঘন করে। তখন তাদের উপর নির্দেশটি সাব্যস্ত হয়ে যায় এবং আমি তা সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত করি।

17 ১৭
وَ کَمۡ اَهۡلَکۡنَا مِنَ الۡقُرُوۡنِ مِنۡۢ بَعۡدِ نُوۡحٍ ؕ وَ کَفٰی بِرَبِّکَ بِذُنُوۡبِ عِبَادِهٖ خَبِیۡرًۢا بَصِیۡرًا
وَ کَمۡ اَهۡلَکۡنَا مِنَ الۡقُرُوۡنِ مِنۡۢ بَعۡدِ نُوۡحٍ ؕ وَ کَفٰی بِرَبِّکَ بِذُنُوۡبِ عِبَادِهٖ خَبِیۡرًۢا بَصِیۡرًا
১৭. অনুবাদ: আর নূহের পর আমি কত প্রজন্ম ধ্বংস করেছি! তোমার রব তাঁর বান্দাদের পাপের ব্যাপারে পূর্ণ অবহিত ও সর্বদ্রষ্টা হিসেবে যথেষ্ট।

18 ১৮
مَنۡ کَانَ یُرِیۡدُ الۡعَاجِلَۃَ عَجَّلۡنَا لَهٗ فِیۡهَا مَا نَشَآءُ لِمَنۡ نُّرِیۡدُ ثُمَّ جَعَلۡنَا لَهٗ جَهَنَّمَ ۚ یَصۡلٰىهَا مَذۡمُوۡمًا مَّدۡحُوۡرًا
مَنۡ کَانَ یُرِیۡدُ الۡعَاجِلَۃَ عَجَّلۡنَا لَهٗ فِیۡهَا مَا نَشَآءُ لِمَنۡ نُّرِیۡدُ ثُمَّ جَعَلۡنَا لَهٗ جَهَنَّمَ ۚ یَصۡلٰىهَا مَذۡمُوۡمًا مَّدۡحُوۡرًا
১৮. অনুবাদ: যে দুনিয়া চায় আমি সেখানে তাকে দ্রুত দিয়ে দেই, যা আমি চাই, যার জন্য চাই। তারপর তার জন্য নির্ধারণ করি জাহান্নাম, সেখানে সে প্রবেশ করবে নিন্দিত, বিতাড়িত অবস্থায়।

19 ১৯
وَ مَنۡ اَرَادَ الۡاٰخِرَۃَ وَ سَعٰی لَهَا سَعۡیَهَا وَ هُوَ مُؤۡمِنٌ فَاُولٰٓئِکَ کَانَ سَعۡیُهُمۡ مَّشۡکُوۡرًا
وَ مَنۡ اَرَادَ الۡاٰخِرَۃَ وَ سَعٰی لَهَا سَعۡیَهَا وَ هُوَ مُؤۡمِنٌ فَاُولٰٓئِکَ کَانَ سَعۡیُهُمۡ مَّشۡکُوۡرًا
১৯. অনুবাদ: আর যে আখিরাত চায় এবং তার জন্য যথাযথ চেষ্টা করে মুমিন অবস্থায়, তাদের চেষ্টা হবে পুরস্কারযোগ্য।

20 ২০
کُلًّا نُّمِدُّ هٰۤؤُلَآءِ وَ هٰۤؤُلَآءِ مِنۡ عَطَآءِ رَبِّکَ ؕ وَ مَا کَانَ عَطَـآءُ رَبِّکَ مَحۡظُوۡرًا
کُلًّا نُّمِدُّ هٰۤؤُلَآءِ وَ هٰۤؤُلَآءِ مِنۡ عَطَآءِ رَبِّکَ ؕ وَ مَا کَانَ عَطَـآءُ رَبِّکَ مَحۡظُوۡرًا
২০. অনুবাদ: এদের ও ওদের প্রত্যেককে আমি তোমার রবের দান থেকে সাহায্য করি, আর তোমার রবের দান বন্ধ হওয়ার নয়।

21 ২১
اُنۡظُرۡ کَیۡفَ فَضَّلۡنَا بَعۡضَهُمۡ عَلٰی بَعۡضٍ ؕ وَ لَلۡاٰخِرَۃُ اَکۡبَرُ دَرَجٰتٍ وَّ اَکۡبَرُ تَفۡضِیۡلًا
اُنۡظُرۡ کَیۡفَ فَضَّلۡنَا بَعۡضَهُمۡ عَلٰی بَعۡضٍ ؕ وَ لَلۡاٰخِرَۃُ اَکۡبَرُ دَرَجٰتٍ وَّ اَکۡبَرُ تَفۡضِیۡلًا
২১. অনুবাদ: ভেবে দেখ, আমি তাদের কতককে কতকের উপর কিভাবে শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছি। আর আখিরাত নিশ্চয়ই মর্যাদায় মহান এবং শ্রেষ্ঠত্বে বৃহত্তর।

22 ২২
لَا تَجۡعَلۡ مَعَ اللّٰهِ اِلٰـهًا اٰخَرَ فَتَقۡعُدَ مَذۡمُوۡمًا مَّخۡذُوۡلًا
لَا تَجۡعَلۡ مَعَ اللّٰهِ اِلٰـهًا اٰخَرَ فَتَقۡعُدَ مَذۡمُوۡمًا مَّخۡذُوۡلًا
২২. অনুবাদ: আল্লাহর সাথে অপর কোন ইলাহ নির্ধারণ করো না। তাহলে তুমি নিন্দিত ও লাঞ্ছিত হয়ে বসে পড়বে।

23 ২৩
وَ قَضٰی رَبُّکَ اَلَّا تَعۡبُدُوۡۤا اِلَّاۤ اِیَّاهُ وَ بِالۡوَالِدَیۡنِ اِحۡسَانًا ؕ اِمَّا یَبۡلُغَنَّ عِنۡدَکَ الۡکِبَرَ اَحَدُهُمَاۤ اَوۡ کِلٰهُمَا فَلَا تَقُلۡ لَّهُمَاۤ اُفٍّ وَّ لَا تَنۡهَرۡهُمَا وَ قُلۡ لَّهُمَا قَوۡلًا کَرِیۡمًا
وَ قَضٰی رَبُّکَ اَلَّا تَعۡبُدُوۡۤا اِلَّاۤ اِیَّاهُ وَ بِالۡوَالِدَیۡنِ اِحۡسَانًا ؕ اِمَّا یَبۡلُغَنَّ عِنۡدَکَ الۡکِبَرَ اَحَدُهُمَاۤ اَوۡ کِلٰهُمَا فَلَا تَقُلۡ لَّهُمَاۤ اُفٍّ وَّ لَا تَنۡهَرۡهُمَا وَ قُلۡ لَّهُمَا قَوۡلًا کَرِیۡمًا
২৩. অনুবাদ: আর তোমার রব আদেশ দিয়েছেন যে, তোমরা তাঁকে ছাড়া অন্য কারো ইবাদাত করবে না এবং পিতা-মাতার সাথে সদাচরণ করবে। তাদের একজন অথবা উভয়েই যদি তোমার নিকট বার্ধক্যে উপনীত হয়, তবে তাদেরকে ‘উফ’ বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিও না। আর তাদের সাথে সম্মানজনক কথা বল।

24 ২৪
وَ اخۡفِضۡ لَهُمَا جَنَاحَ الذُّلِّ مِنَ الرَّحۡمَۃِ وَ قُلۡ رَّبِّ ارۡحَمۡهُمَا کَمَا رَبَّیٰنِیۡ صَغِیۡرًا
وَ اخۡفِضۡ لَهُمَا جَنَاحَ الذُّلِّ مِنَ الرَّحۡمَۃِ وَ قُلۡ رَّبِّ ارۡحَمۡهُمَا کَمَا رَبَّیٰنِیۡ صَغِیۡرًا
২৪. অনুবাদ: আর তাদের উভয়ের জন্য দয়াপরবশ হয়ে বিনয়ের ডানা নত করে দাও এবং বল, ‘হে আমার রব, তাদের প্রতি দয়া করুন যেভাবে শৈশবে তারা আমাকে লালন-পালন করেছেন’।

25 ২৫
رَبُّکُمۡ اَعۡلَمُ بِمَا فِیۡ نُفُوۡسِکُمۡ ؕ اِنۡ تَکُوۡنُوۡا صٰلِحِیۡنَ فَاِنَّهٗ کَانَ لِلۡاَوَّابِیۡنَ غَفُوۡرًا
رَبُّکُمۡ اَعۡلَمُ بِمَا فِیۡ نُفُوۡسِکُمۡ ؕ اِنۡ تَکُوۡنُوۡا صٰلِحِیۡنَ فَاِنَّهٗ کَانَ لِلۡاَوَّابِیۡنَ غَفُوۡرًا
২৫. অনুবাদ: তোমাদের অন্তরে যা আছে, সে সম্পর্কে তোমাদের রবই অধিক জ্ঞাত। যদি তোমরা নেককার হও তবে তিনি তাঁর দিকে প্রত্যাবর্তনকারীদের প্রতি অধিক ক্ষমাশীল।

26 ২৬
وَ اٰتِ ذَاالۡقُرۡبٰی حَقَّهٗ وَ الۡمِسۡکِیۡنَ وَ ابۡنَ السَّبِیۡلِ وَ لَا تُبَذِّرۡ تَبۡذِیۡرًا
وَ اٰتِ ذَاالۡقُرۡبٰی حَقَّهٗ وَ الۡمِسۡکِیۡنَ وَ ابۡنَ السَّبِیۡلِ وَ لَا تُبَذِّرۡ تَبۡذِیۡرًا
২৬. অনুবাদ: আর আত্মীয়কে তার হক দিয়ে দাও এবং মিসকীন ও মুসাফিরকেও। আর কোনভাবেই অপব্যয় করো না।

27 ২৭
اِنَّ الۡمُبَذِّرِیۡنَ کَانُوۡۤا اِخۡوَانَ الشَّیٰطِیۡنِ ؕ وَ کَانَ الشَّیۡطٰنُ لِرَبِّهٖ کَفُوۡرًا
اِنَّ الۡمُبَذِّرِیۡنَ کَانُوۡۤا اِخۡوَانَ الشَّیٰطِیۡنِ ؕ وَ کَانَ الشَّیۡطٰنُ لِرَبِّهٖ کَفُوۡرًا
২৭. অনুবাদ: নিশ্চয় অপব্যয়কারীরা শয়তানের ভাই। আর শয়তান তার রবের প্রতি খুবই অকৃতজ্ঞ।

28 ২৮
وَ اِمَّا تُعۡرِضَنَّ عَنۡهُمُ ابۡتِغَآءَ رَحۡمَۃٍ مِّنۡ رَّبِّکَ تَرۡجُوۡهَا فَقُلۡ لَّهُمۡ قَوۡلًا مَّیۡسُوۡرًا
وَ اِمَّا تُعۡرِضَنَّ عَنۡهُمُ ابۡتِغَآءَ رَحۡمَۃٍ مِّنۡ رَّبِّکَ تَرۡجُوۡهَا فَقُلۡ لَّهُمۡ قَوۡلًا مَّیۡسُوۡرًا
২৮. অনুবাদ: আর যদি তুমি তাদের থেকে বিমুখ থাকতেই চাও তোমার রবের পক্ষ থেকে রহমতের প্রত্যাশায় যা তুমি চাচ্ছ, তাহলে তাদের সাথে নম্র কথা বলবে।

29 ২৯
وَ لَا تَجۡعَلۡ یَدَکَ مَغۡلُوۡلَۃً اِلٰی عُنُقِکَ وَ لَا تَبۡسُطۡهَا کُلَّ الۡبَسۡطِ فَتَقۡعُدَ مَلُوۡمًا مَّحۡسُوۡرًا
وَ لَا تَجۡعَلۡ یَدَکَ مَغۡلُوۡلَۃً اِلٰی عُنُقِکَ وَ لَا تَبۡسُطۡهَا کُلَّ الۡبَسۡطِ فَتَقۡعُدَ مَلُوۡمًا مَّحۡسُوۡرًا
২৯. অনুবাদ: আর তুমি তোমার হাত তোমার ঘাড়ে আবদ্ধ রেখো না এবং তা পুরোপুরি প্রসারিত করো না*, তাহলে তুমি নিন্দিত ও নিঃস্ব হয়ে বসে পড়বে।

30 ৩০
اِنَّ رَبَّکَ یَبۡسُطُ الرِّزۡقَ لِمَنۡ یَّشَآءُ وَ یَقۡدِرُ ؕ اِنَّهٗ کَانَ بِعِبَادِهٖ خَبِیۡرًۢا بَصِیۡرًا
اِنَّ رَبَّکَ یَبۡسُطُ الرِّزۡقَ لِمَنۡ یَّشَآءُ وَ یَقۡدِرُ ؕ اِنَّهٗ کَانَ بِعِبَادِهٖ خَبِیۡرًۢا بَصِیۡرًا
৩০. অনুবাদ: নিশ্চয় তোমার রব যাকে ইচ্ছা তার জন্য রিয্ক প্রশস্ত করে দেন এবং সীমিত করে দেন। তিনি অবশ্যই তাঁর বান্দাদের সম্পর্কে পূর্ণ জ্ঞাত, পূর্ণ দ্রষ্টা।

31 ৩১
وَ لَا تَقۡتُلُوۡۤا اَوۡلَادَکُمۡ خَشۡیَۃَ اِمۡلَاقٍ ؕ نَحۡنُ نَرۡزُقُهُمۡ وَ اِیَّاکُمۡ ؕ اِنَّ قَتۡلَهُمۡ کَانَ خِطۡاً کَبِیۡرًا
وَ لَا تَقۡتُلُوۡۤا اَوۡلَادَکُمۡ خَشۡیَۃَ اِمۡلَاقٍ ؕ نَحۡنُ نَرۡزُقُهُمۡ وَ اِیَّاکُمۡ ؕ اِنَّ قَتۡلَهُمۡ کَانَ خِطۡاً کَبِیۡرًا
৩১. অনুবাদ: অভাব-অনটনের ভয়ে তোমরা তোমাদের সন্তানদেরকে হত্যা করো না। আমিই তাদেরকে রিয্ক দেই এবং তোমাদেরকেও। নিশ্চয় তাদেরকে হত্যা করা মহাপাপ।

32 ৩২
وَ لَا تَقۡرَبُوا الزِّنٰۤی اِنَّهٗ کَانَ فَاحِشَۃً ؕ وَ سَآءَ سَبِیۡلًا
وَ لَا تَقۡرَبُوا الزِّنٰۤی اِنَّهٗ کَانَ فَاحِشَۃً ؕ وَ سَآءَ سَبِیۡلًا
৩২. অনুবাদ: আর তোমরা ব্যভিচারের কাছে যেয়ো না, নিশ্চয় তা অশ্লীল কাজ ও মন্দ পথ।

33 ৩৩
وَ لَا تَقۡتُلُوا النَّفۡسَ الَّتِیۡ حَرَّمَ اللّٰهُ اِلَّا بِالۡحَقِّ ؕ وَ مَنۡ قُتِلَ مَظۡلُوۡمًا فَقَدۡ جَعَلۡنَا لِوَلِیِّهٖ سُلۡطٰنًا فَلَا یُسۡرِفۡ فِّی الۡقَتۡلِ ؕ اِنَّهٗ کَانَ مَنۡصُوۡرًا
وَ لَا تَقۡتُلُوا النَّفۡسَ الَّتِیۡ حَرَّمَ اللّٰهُ اِلَّا بِالۡحَقِّ ؕ وَ مَنۡ قُتِلَ مَظۡلُوۡمًا فَقَدۡ جَعَلۡنَا لِوَلِیِّهٖ سُلۡطٰنًا فَلَا یُسۡرِفۡ فِّی الۡقَتۡلِ ؕ اِنَّهٗ کَانَ مَنۡصُوۡرًا
৩৩. অনুবাদ: আর তোমরা সেই নাফ্সকে হত্যা করো না, যা আল্লাহ হারাম করেছেন, সঙ্গত কারণ ছাড়া। যে অন্যায়ভাবে নিহত হয় আমি অবশ্যই তার অভিভাবককে ক্ষমতা দিয়েছি। সুতরাং হত্যার ব্যাপারে সে সীমালঙ্ঘন করবে না; নিশ্চয় সে হবে সাহায্যপ্রাপ্ত।

34 ৩৪
وَ لَا تَقۡرَبُوۡا مَالَ الۡیَتِیۡمِ اِلَّا بِالَّتِیۡ هِیَ اَحۡسَنُ حَتّٰی یَبۡلُغَ اَشُدَّهٗ ۪ وَ اَوۡفُوۡا بِالۡعَهۡدِ ۚ اِنَّ الۡعَهۡدَ کَانَ مَسۡـُٔوۡلًا
وَ لَا تَقۡرَبُوۡا مَالَ الۡیَتِیۡمِ اِلَّا بِالَّتِیۡ هِیَ اَحۡسَنُ حَتّٰی یَبۡلُغَ اَشُدَّهٗ ۪ وَ اَوۡفُوۡا بِالۡعَهۡدِ ۚ اِنَّ الۡعَهۡدَ کَانَ مَسۡـُٔوۡلًا
৩৪. অনুবাদ: আর তোমরা ইয়াতীমের সম্পদের কাছে যেয়ো না সুন্দরতম পন্থা* ছাড়া, যতক্ষণ না সে বয়সের পূর্ণতায় উপনীত হয়। আর অঙ্গীকার পূর্ণ কর, নিশ্চয় অঙ্গীকার সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

35 ৩৫
وَ اَوۡفُوا الۡکَیۡلَ اِذَا کِلۡتُمۡ وَ زِنُوۡا بِالۡقِسۡطَاسِ الۡمُسۡتَقِیۡمِ ؕ ذٰلِکَ خَیۡرٌ وَّ اَحۡسَنُ تَاۡوِیۡلًا
وَ اَوۡفُوا الۡکَیۡلَ اِذَا کِلۡتُمۡ وَ زِنُوۡا بِالۡقِسۡطَاسِ الۡمُسۡتَقِیۡمِ ؕ ذٰلِکَ خَیۡرٌ وَّ اَحۡسَنُ تَاۡوِیۡلًا
৩৫. অনুবাদ: আর মাপে পরিপূর্ণ দাও যখন তোমরা পরিমাপ কর এবং সঠিক দাঁড়িপাল্লায় ওযন কর। এটা কল্যাণকর ও পরিণামে সুন্দরতম।

36 ৩৬
وَ لَا تَقۡفُ مَا لَیۡسَ لَکَ بِهٖ عِلۡمٌ ؕ اِنَّ السَّمۡعَ وَ الۡبَصَرَ وَ الۡفُؤَادَ کُلُّ اُولٰٓئِکَ کَانَ عَنۡهُ مَسۡـُٔوۡلًا
وَ لَا تَقۡفُ مَا لَیۡسَ لَکَ بِهٖ عِلۡمٌ ؕ اِنَّ السَّمۡعَ وَ الۡبَصَرَ وَ الۡفُؤَادَ کُلُّ اُولٰٓئِکَ کَانَ عَنۡهُ مَسۡـُٔوۡلًا
৩৬. অনুবাদ: আর যে বিষয় তোমার জানা নাই তার অনুসরণ করো না। নিশ্চয় কান, চোখ ও অন্তকরণ- এদের প্রতিটির ব্যাপারে সে জিজ্ঞাসিত হবে।

37 ৩৭
وَ لَا تَمۡشِ فِی الۡاَرۡضِ مَرَحًا ۚ اِنَّکَ لَنۡ تَخۡرِقَ الۡاَرۡضَ وَ لَنۡ تَبۡلُغَ الۡجِبَالَ طُوۡلً
وَ لَا تَمۡشِ فِی الۡاَرۡضِ مَرَحًا ۚ اِنَّکَ لَنۡ تَخۡرِقَ الۡاَرۡضَ وَ لَنۡ تَبۡلُغَ الۡجِبَالَ طُوۡلً
৩৭. অনুবাদ: আর যমীনে বড়াই করে চলো না; তুমি তো কখনো যমীনকে ফাটল ধরাতে পারবে না এবং উচ্চতায় কখনো পাহাড় সমান পৌঁছতে পারবে না।

38 ৩৮
کُلُّ ذٰلِکَ کَانَ سَیِّئُهٗ عِنۡدَ رَبِّکَ مَکۡرُوۡهًا
کُلُّ ذٰلِکَ کَانَ سَیِّئُهٗ عِنۡدَ رَبِّکَ مَکۡرُوۡهًا
৩৮. অনুবাদ: এ সবের যা মন্দ তা তোমার রবের নিকট অপছন্দনীয়।

39 ৩৯
ذٰلِکَ مِمَّاۤ اَوۡحٰۤی اِلَیۡکَ رَبُّکَ مِنَ الۡحِکۡمَۃِ ؕ وَ لَا تَجۡعَلۡ مَعَ اللّٰهِ اِلٰـهًا اٰخَرَ فَتُلۡقٰی فِیۡ جَهَنَّمَ مَلُوۡمًا مَّدۡحُوۡرًا
ذٰلِکَ مِمَّاۤ اَوۡحٰۤی اِلَیۡکَ رَبُّکَ مِنَ الۡحِکۡمَۃِ ؕ وَ لَا تَجۡعَلۡ مَعَ اللّٰهِ اِلٰـهًا اٰخَرَ فَتُلۡقٰی فِیۡ جَهَنَّمَ مَلُوۡمًا مَّدۡحُوۡرًا
৩৯. অনুবাদ: এগুলো সেই হিকমতভুক্ত, যা তোমার রব তোমার নিকট ওহীরূপে পাঠিয়েছেন। আর তুমি আল্লাহর সাথে অন্য কোন উপাস্য নির্ধারণ করো না, তাহলে তুমি জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে নিন্দিত ও বিতাড়িত হয়ে।

40 ৪০
اَفَاَصۡفٰىکُمۡ رَبُّکُمۡ بِالۡبَنِیۡنَ وَ اتَّخَذَ مِنَ الۡمَلٰٓئِکَۃِ اِنَاثًا ؕ اِنَّکُمۡ لَتَقُوۡلُوۡنَ قَوۡلًا عَظِیۡمًا
اَفَاَصۡفٰىکُمۡ رَبُّکُمۡ بِالۡبَنِیۡنَ وَ اتَّخَذَ مِنَ الۡمَلٰٓئِکَۃِ اِنَاثًا ؕ اِنَّکُمۡ لَتَقُوۡلُوۡنَ قَوۡلًا عَظِیۡمًا
৪০. অনুবাদ: তোমাদের রব কি পুত্র সন্তানের জন্য তোমাদেরকে বাছাই করেছেন এবং তিনি ফেরেশতাদের থেকে কন্যা গ্রহণ করেছেন? নিশ্চয় তোমরা সাংঘাতিক কথা বলে থাক।

41 ৪১
وَ لَقَدۡ صَرَّفۡنَا فِیۡ هٰذَا الۡقُرۡاٰنِ لِیَذَّکَّرُوۡا ؕ وَ مَا یَزِیۡدُهُمۡ اِلَّا نُفُوۡرًا
وَ لَقَدۡ صَرَّفۡنَا فِیۡ هٰذَا الۡقُرۡاٰنِ لِیَذَّکَّرُوۡا ؕ وَ مَا یَزِیۡدُهُمۡ اِلَّا نُفُوۡرًا
৪১. অনুবাদ: আর অবশ্যই আমি এ কুরআনে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছি, যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে; কিন্তু তা কেবল তাদের বিমুখতাই বৃদ্ধি করে।

42 ৪২
قُلۡ لَّوۡ کَانَ مَعَهٗۤ اٰلِـهَۃٌ کَمَا یَقُوۡلُوۡنَ اِذًا لَّابۡتَغَوۡا اِلٰی ذِی الۡعَرۡشِ سَبِیۡلًا
قُلۡ لَّوۡ کَانَ مَعَهٗۤ اٰلِـهَۃٌ کَمَا یَقُوۡلُوۡنَ اِذًا لَّابۡتَغَوۡا اِلٰی ذِی الۡعَرۡشِ سَبِیۡلًا
৪২. অনুবাদ: বল, ‘তাঁর সাথে যদি আরো উপাস্য থাকত, যেমন তারা বলে, তবে তারা আরশের অধিপতি পর্যন্ত পৌঁছার পথ তালাশ করত’।

43 ৪৩
سُبۡحٰنَهٗ وَ تَعٰلٰی عَمَّا یَقُوۡلُوۡنَ عُلُوًّا کَبِیۡرًا
سُبۡحٰنَهٗ وَ تَعٰلٰی عَمَّا یَقُوۡلُوۡنَ عُلُوًّا کَبِیۡرًا
৪৩. অনুবাদ: তিনি পবিত্র মহান এবং তারা যা বলে তা থেকে তিনি অনেক ঊর্ধ্বে।

44 ৪৪
تُسَبِّحُ لَهُ السَّمٰوٰتُ السَّبۡعُ وَ الۡاَرۡضُ وَ مَنۡ فِیۡهِنَّ ؕ وَ اِنۡ مِّنۡ شَیۡءٍ اِلَّا یُسَبِّحُ بِحَمۡدِهٖ وَ لٰکِنۡ لَّا تَفۡقَهُوۡنَ تَسۡبِیۡحَهُمۡ ؕ اِنَّهٗ کَانَ حَلِیۡمًا غَفُوۡرًا
تُسَبِّحُ لَهُ السَّمٰوٰتُ السَّبۡعُ وَ الۡاَرۡضُ وَ مَنۡ فِیۡهِنَّ ؕ وَ اِنۡ مِّنۡ شَیۡءٍ اِلَّا یُسَبِّحُ بِحَمۡدِهٖ وَ لٰکِنۡ لَّا تَفۡقَهُوۡنَ تَسۡبِیۡحَهُمۡ ؕ اِنَّهٗ کَانَ حَلِیۡمًا غَفُوۡرًا
৪৪. অনুবাদ: সাত আসমান ও যমীন এবং এগুলোর মধ্যে যা কিছু আছে সব কিছু তাঁর তাসবীহ পাঠ করে এবং এমন কিছু নেই যা তাঁর প্রসংশায় তাসবীহ পাঠ করে না; কিন্তু তাদের তাসবীহ তোমরা বুঝ না। নিশ্চয় তিনি সহনশীল, ক্ষমাপরায়ণ।

45 ৪৫
وَ اِذَا قَرَاۡتَ الۡقُرۡاٰنَ جَعَلۡنَا بَیۡنَکَ وَ بَیۡنَ الَّذِیۡنَ لَا یُؤۡمِنُوۡنَ بِالۡاٰخِرَۃِ حِجَابًا مَّسۡتُوۡرًا
وَ اِذَا قَرَاۡتَ الۡقُرۡاٰنَ جَعَلۡنَا بَیۡنَکَ وَ بَیۡنَ الَّذِیۡنَ لَا یُؤۡمِنُوۡنَ بِالۡاٰخِرَۃِ حِجَابًا مَّسۡتُوۡرًا
৪৫. অনুবাদ: আর তুমি যখন কুরআন পড় তখন তোমার ও যারা আখিরাতে ঈমান আনে না তাদের মধ্যে আমি এক অদৃশ্য পর্দা দিয়ে দেই।

46 ৪৬
وَّ جَعَلۡنَا عَلٰی قُلُوۡبِهِمۡ اَکِنَّۃً اَنۡ یَّفۡقَهُوۡهُ وَ فِیۡۤ اٰذَانِهِمۡ وَقۡرًا ؕ وَ اِذَا ذَکَرۡتَ رَبَّکَ فِی الۡقُرۡاٰنِ وَحۡدَهٗ وَلَّوۡا عَلٰۤی اَدۡبَارِهِمۡ نُفُوۡرًا
وَّ جَعَلۡنَا عَلٰی قُلُوۡبِهِمۡ اَکِنَّۃً اَنۡ یَّفۡقَهُوۡهُ وَ فِیۡۤ اٰذَانِهِمۡ وَقۡرًا ؕ وَ اِذَا ذَکَرۡتَ رَبَّکَ فِی الۡقُرۡاٰنِ وَحۡدَهٗ وَلَّوۡا عَلٰۤی اَدۡبَارِهِمۡ نُفُوۡرًا
৪৬. অনুবাদ: আর আমি তাদের অন্তরের উপর ঢাকনা রেখে দিয়েছি, যাতে তারা তা বুঝতে না পারে এবং তাদের কানে দিয়েছি বধিরতা। আর যখন তুমি কুরআনে তোমার রব এক হওয়ার কথা উল্লেখ কর, তখন তারা পৃষ্ঠপ্রদর্শন করে পালায়।

47 ৪৭
نَحۡنُ اَعۡلَمُ بِمَا یَسۡتَمِعُوۡنَ بِهٖۤ اِذۡ یَسۡتَمِعُوۡنَ اِلَیۡکَ وَ اِذۡ هُمۡ نَجۡوٰۤی اِذۡ یَقُوۡلُ الظّٰلِمُوۡنَ اِنۡ تَتَّبِعُوۡنَ اِلَّا رَجُلًا مَّسۡحُوۡرًا
نَحۡنُ اَعۡلَمُ بِمَا یَسۡتَمِعُوۡنَ بِهٖۤ اِذۡ یَسۡتَمِعُوۡنَ اِلَیۡکَ وَ اِذۡ هُمۡ نَجۡوٰۤی اِذۡ یَقُوۡلُ الظّٰلِمُوۡنَ اِنۡ تَتَّبِعُوۡنَ اِلَّا رَجُلًا مَّسۡحُوۡرًا
৪৭. অনুবাদ: যখন তারা তোমার প্রতি কান পেতে শুনে, তখন আমি জানি কেন তারা কান পাতে এবং যখন গোপন আলোচনায় মিলিত হয়ে যালিমরা বলে, ‘তোমরা তো কেবল এক যাদুগ্রস্ত লোকের অনুসরণ করছ’।

48 ৪৮
اُنۡظُرۡ کَیۡفَ ضَرَبُوۡا لَکَ الۡاَمۡثَالَ فَضَلُّوۡا فَلَا یَسۡتَطِیۡعُوۡنَ سَبِیۡلًا
اُنۡظُرۡ کَیۡفَ ضَرَبُوۡا لَکَ الۡاَمۡثَالَ فَضَلُّوۡا فَلَا یَسۡتَطِیۡعُوۡنَ سَبِیۡلًا
৪৮. অনুবাদ: দেখ, তারা তোমার জন্য কেমন সব উপমা দিচ্ছে ! ফলে তারা পথভ্রষ্ট হয়েছে, সুতরাং তারা পথ পাবে না।

49 ৪৯
وَ قَالُوۡۤاءَ اِذَا کُنَّا عِظَامًا وَّ رُفَاتًاءَ اِنَّا لَمَبۡعُوۡثُوۡنَ خَلۡقًا جَدِیۡدًا
وَ قَالُوۡۤاءَ اِذَا کُنَّا عِظَامًا وَّ رُفَاتًاءَ اِنَّا لَمَبۡعُوۡثُوۡنَ خَلۡقًا جَدِیۡدًا
৪৯. অনুবাদ: আর তারা বলে, ‘যখন আমরা হাড্ডি ও ছিন্ন-ভিন্ন হয়ে যাব, তখন কি আমরা নতুন সৃষ্টিরূপে পুনরুজ্জীবিত হব’?

50 ৫০
قُلۡ کُوۡنُوۡا حِجَارَۃً اَوۡ حَدِیۡدًا
قُلۡ کُوۡنُوۡا حِجَارَۃً اَوۡ حَدِیۡدًا
৫০. অনুবাদ: বল, ‘তোমরা পাথর হয়ে যাও কিংবা লোহা’,

51 ৫১
اَوۡ خَلۡقًا مِّمَّا یَکۡبُرُ فِیۡ صُدُوۡرِکُمۡ ۚ فَسَیَقُوۡلُوۡنَ مَنۡ یُّعِیۡدُنَا ؕ قُلِ الَّذِیۡ فَطَرَکُمۡ اَوَّلَ مَرَّۃٍ ۚ فَسَیُنۡغِضُوۡنَ اِلَیۡکَ رُءُوۡسَهُمۡ وَ یَقُوۡلُوۡنَ مَتٰی هُوَ ؕ قُلۡ عَسٰۤی اَنۡ یَّکُوۡنَ قَرِیۡبًا
اَوۡ خَلۡقًا مِّمَّا یَکۡبُرُ فِیۡ صُدُوۡرِکُمۡ ۚ فَسَیَقُوۡلُوۡنَ مَنۡ یُّعِیۡدُنَا ؕ قُلِ الَّذِیۡ فَطَرَکُمۡ اَوَّلَ مَرَّۃٍ ۚ فَسَیُنۡغِضُوۡنَ اِلَیۡکَ رُءُوۡسَهُمۡ وَ یَقُوۡلُوۡنَ مَتٰی هُوَ ؕ قُلۡ عَسٰۤی اَنۡ یَّکُوۡنَ قَرِیۡبًا
৫১. অনুবাদ: ‘অথবা এমন কোন সৃষ্টি, যা তোমাদের অন্তরে বড় মনে হয়।’ তবুও তারা বলবে, ‘কে আমাদের পুনরায় (সৃষ্টি) করবে?’ বল, ‘যিনি তোমাদের প্রথমবার সৃষ্টি করেছেন।’ অতঃপর তারা তোমার সামনে মাথা নাড়বে এবং বলবে, ‘কবে এটা?’ বল, ‘আশা করা যায় যে, তা নিকটেই হবে।’

52 ৫২
یَوۡمَ یَدۡعُوۡکُمۡ فَتَسۡتَجِیۡبُوۡنَ بِحَمۡدِهٖ وَ تَظُنُّوۡنَ اِنۡ لَّبِثۡتُمۡ اِلَّا قَلِیۡلًا
یَوۡمَ یَدۡعُوۡکُمۡ فَتَسۡتَجِیۡبُوۡنَ بِحَمۡدِهٖ وَ تَظُنُّوۡنَ اِنۡ لَّبِثۡتُمۡ اِلَّا قَلِیۡلًا
৫২. অনুবাদ: ‘যেদিন তিনি তোমাদেরকে ডাকবেন, তখন তাঁর প্রশংসার সাথে তোমরা সাড়া দেবে। আর তোমরা ধারণা করবে, অল্প সময়ই তোমরা অবস্থান করেছিলে’।

53 ৫৩
وَ قُلۡ لِّعِبَادِیۡ یَقُوۡلُوا الَّتِیۡ هِیَ اَحۡسَنُ ؕ اِنَّ الشَّیۡطٰنَ یَنۡزَغُ بَیۡنَهُمۡ ؕ اِنَّ الشَّیۡطٰنَ کَانَ لِلۡاِنۡسَانِ عَدُوًّا مُّبِیۡنًا
وَ قُلۡ لِّعِبَادِیۡ یَقُوۡلُوا الَّتِیۡ هِیَ اَحۡسَنُ ؕ اِنَّ الشَّیۡطٰنَ یَنۡزَغُ بَیۡنَهُمۡ ؕ اِنَّ الشَّیۡطٰنَ کَانَ لِلۡاِنۡسَانِ عَدُوًّا مُّبِیۡنًا
৫৩. অনুবাদ: আর আমার বান্দাদেরকে বল, তারা যেন এমন কথা বলে, যা অতি সুন্দর। নিশ্চয় শয়তান তাদের মধ্যে বৈরিতা সৃষ্টি করে; নিশ্চয় শয়তান মানুষের স্পষ্ট শত্রু।

54 ৫৪
رَبُّکُمۡ اَعۡلَمُ بِکُمۡ ؕ اِنۡ یَّشَاۡ یَرۡحَمۡکُمۡ اَوۡ اِنۡ یَّشَاۡ یُعَذِّبۡکُمۡ ؕ وَ مَاۤ اَرۡسَلۡنٰکَ عَلَیۡهِمۡ وَکِیۡلًا
رَبُّکُمۡ اَعۡلَمُ بِکُمۡ ؕ اِنۡ یَّشَاۡ یَرۡحَمۡکُمۡ اَوۡ اِنۡ یَّشَاۡ یُعَذِّبۡکُمۡ ؕ وَ مَاۤ اَرۡسَلۡنٰکَ عَلَیۡهِمۡ وَکِیۡلًا
৫৪. অনুবাদ: তোমাদের রব তোমাদের সম্পর্কে অধিক অবগত। তিনি যদি চান তোমাদের প্রতি রহম করবেন অথবা যদি চান তবে তোমাদেরকে শাস্তি দেবেন; আমি তোমাকে তাদের কর্মবিধায়ক করে প্রেরণ করিনি।

55 ৫৫
وَ رَبُّکَ اَعۡلَمُ بِمَنۡ فِی السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ ؕ وَ لَقَدۡ فَضَّلۡنَا بَعۡضَ النَّبِیّٖنَ عَلٰی بَعۡضٍ وَّ اٰتَیۡنَا دَاوٗدَ زَبُوۡرًا
وَ رَبُّکَ اَعۡلَمُ بِمَنۡ فِی السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ ؕ وَ لَقَدۡ فَضَّلۡنَا بَعۡضَ النَّبِیّٖنَ عَلٰی بَعۡضٍ وَّ اٰتَیۡنَا دَاوٗدَ زَبُوۡرًا
৫৫. অনুবাদ: আর তোমার রব অধিক অবগত তাদের সম্পর্কে যারা আসমানসমূহ ও যমীনে রয়েছে। আর আমি তো কতক নবীকে কতকের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছি এবং দাঊদকে দিয়েছি যাবূর।

56 ৫৬
قُلِ ادۡعُوا الَّذِیۡنَ زَعَمۡتُمۡ مِّنۡ دُوۡنِهٖ فَلَا یَمۡلِکُوۡنَ کَشۡفَ الضُّرِّ عَنۡکُمۡ وَ لَا تَحۡوِیۡلًا
قُلِ ادۡعُوا الَّذِیۡنَ زَعَمۡتُمۡ مِّنۡ دُوۡنِهٖ فَلَا یَمۡلِکُوۡنَ کَشۡفَ الضُّرِّ عَنۡکُمۡ وَ لَا تَحۡوِیۡلًا
৫৬. অনুবাদ: বল, ‘তাদেরকে ডাক, আল্লাহ ছাড়া তোমরা যাদেরকে (উপাস্য) মনে কর। তারা তো তোমাদের দুঃখ-দুর্দশা দূর করার ও পরিবর্তন করার ক্ষমতা রাখে না’।

57 ৫৭
اُولٰٓئِکَ الَّذِیۡنَ یَدۡعُوۡنَ یَبۡتَغُوۡنَ اِلٰی رَبِّهِمُ الۡوَسِیۡلَۃَ اَیُّهُمۡ اَقۡرَبُ وَ یَرۡجُوۡنَ رَحۡمَتَهٗ وَ یَخَافُوۡنَ عَذَابَهٗ ؕ اِنَّ عَذَابَ رَبِّکَ کَانَ مَحۡذُوۡرًا
اُولٰٓئِکَ الَّذِیۡنَ یَدۡعُوۡنَ یَبۡتَغُوۡنَ اِلٰی رَبِّهِمُ الۡوَسِیۡلَۃَ اَیُّهُمۡ اَقۡرَبُ وَ یَرۡجُوۡنَ رَحۡمَتَهٗ وَ یَخَافُوۡنَ عَذَابَهٗ ؕ اِنَّ عَذَابَ رَبِّکَ کَانَ مَحۡذُوۡرًا
৫৭. অনুবাদ: তারা যাদেরকে ডাকে, তারা নিজেরাই তো তাদের রবের কাছে নৈকট্যের মাধ্যমে অনুসন্ধান করে যে, তাদের মধ্যে কে তাঁর নিকটতর? আর তারা তাঁর রহমতের আশা করে এবং তাঁর আযাবকে ভয় করে। নিশ্চয় তোমার রবের আযাব ভীতিকর।

58 ৫৮
وَ اِنۡ مِّنۡ قَرۡیَۃٍ اِلَّا نَحۡنُ مُهۡلِکُوۡهَا قَبۡلَ یَوۡمِ الۡقِیٰمَۃِ اَوۡ مُعَذِّبُوۡهَا عَذَابًا شَدِیۡدًا ؕ کَانَ ذٰلِکَ فِی الۡکِتٰبِ مَسۡطُوۡرًا
وَ اِنۡ مِّنۡ قَرۡیَۃٍ اِلَّا نَحۡنُ مُهۡلِکُوۡهَا قَبۡلَ یَوۡمِ الۡقِیٰمَۃِ اَوۡ مُعَذِّبُوۡهَا عَذَابًا شَدِیۡدًا ؕ کَانَ ذٰلِکَ فِی الۡکِتٰبِ مَسۡطُوۡرًا
৫৮. অনুবাদ: আর এমন কোন জনপদ নেই, যা আমি কিয়ামতের দিনের পূর্বে ধ্বংস করব না অথবা যাকে কঠোর আযাব দেব না; এটা তো কিতাবে লিখিত আছে।

59 ৫৯
وَ مَا مَنَعَنَاۤ اَنۡ نُّرۡسِلَ بِالۡاٰیٰتِ اِلَّاۤ اَنۡ کَذَّبَ بِهَا الۡاَوَّلُوۡنَ ؕ وَ اٰتَیۡنَا ثَمُوۡدَ النَّاقَۃَ مُبۡصِرَۃً فَظَلَمُوۡا بِهَا ؕ وَ مَا نُرۡسِلُ بِالۡاٰیٰتِ اِلَّا تَخۡوِیۡفًا
وَ مَا مَنَعَنَاۤ اَنۡ نُّرۡسِلَ بِالۡاٰیٰتِ اِلَّاۤ اَنۡ کَذَّبَ بِهَا الۡاَوَّلُوۡنَ ؕ وَ اٰتَیۡنَا ثَمُوۡدَ النَّاقَۃَ مُبۡصِرَۃً فَظَلَمُوۡا بِهَا ؕ وَ مَا نُرۡسِلُ بِالۡاٰیٰتِ اِلَّا تَخۡوِیۡفًا
৫৯. অনুবাদ: আর পূর্ববর্তীগণ কর্তৃক নিদর্শনাবলীকে অস্বীকার করাই আমাকে তা (নিদর্শনাবলী) প্রেরণ করা হতে বিরত রেখেছে। আর আমি শিক্ষাপ্রদ নিদর্শনস্বরূপ সামূদ জাতিকে উষ্ট্রী দিয়েছিলাম, অতঃপর তারা তার উপর যুলম করেছিল। আমি কেবল ভীতি প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে নিদর্শনসমূহ পাঠাই।

60 ৬০
وَ اِذۡ قُلۡنَا لَکَ اِنَّ رَبَّکَ اَحَاطَ بِالنَّاسِ ؕ وَ مَا جَعَلۡنَا الرُّءۡیَا الَّتِیۡۤ اَرَیۡنٰکَ اِلَّا فِتۡنَۃً لِّلنَّاسِ وَ الشَّجَرَۃَ الۡمَلۡعُوۡنَۃَ فِی الۡقُرۡاٰنِ ؕ وَ نُخَوِّفُهُمۡ ۙ فَمَا یَزِیۡدُهُمۡ اِلَّا طُغۡیَانًا کَبِیۡرًا
وَ اِذۡ قُلۡنَا لَکَ اِنَّ رَبَّکَ اَحَاطَ بِالنَّاسِ ؕ وَ مَا جَعَلۡنَا الرُّءۡیَا الَّتِیۡۤ اَرَیۡنٰکَ اِلَّا فِتۡنَۃً لِّلنَّاسِ وَ الشَّجَرَۃَ الۡمَلۡعُوۡنَۃَ فِی الۡقُرۡاٰنِ ؕ وَ نُخَوِّفُهُمۡ ۙ فَمَا یَزِیۡدُهُمۡ اِلَّا طُغۡیَانًا کَبِیۡرًا
৬০. অনুবাদ: আর স্মরণ কর, যখন আমি তোমাকে বললাম, ‘নিশ্চয় তোমার রব মানুষকে ঘিরে রেখেছেন। আর যে ‘দৃশ্য’* আমি তোমাকে দেখিয়েছি তা এবং কুরআনে বর্ণিত অভিশপ্ত বৃক্ষ** কেবল মানুষের পরীক্ষাস্বরূপ নির্ধারণ করেছি’। আমি তাদের ভয় দেখাই; কিন্তু তা কেবল তাদের চরম অবাধ্যতা বাড়িয়ে দেয়।

61 ৬১
وَ اِذۡ قُلۡنَا لِلۡمَلٰٓئِکَۃِ اسۡجُدُوۡا لِاٰدَمَ فَسَجَدُوۡۤا اِلَّاۤ اِبۡلِیۡسَ ؕ قَالَ ءَاَسۡجُدُ لِمَنۡ خَلَقۡتَ طِیۡنًا
وَ اِذۡ قُلۡنَا لِلۡمَلٰٓئِکَۃِ اسۡجُدُوۡا لِاٰدَمَ فَسَجَدُوۡۤا اِلَّاۤ اِبۡلِیۡسَ ؕ قَالَ ءَاَسۡجُدُ لِمَنۡ خَلَقۡتَ طِیۡنًا
৬১. অনুবাদ: আর স্মরণ কর, যখন আমি ফেরেশতাদের বললাম, ‘আদমকে সিজদা কর’, তখন ইবলীস ছাড়া সকলে সিজদা করল। সে বলল, ‘আমি কি এমন ব্যক্তিকে সিজদা করব যাকে আপনি কাদামাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন’?

62 ৬২
قَالَ اَرَءَیۡتَکَ هٰذَا الَّذِیۡ کَرَّمۡتَ عَلَیَّ ۫ لَئِنۡ اَخَّرۡتَنِ اِلٰی یَوۡمِ الۡقِیٰمَۃِ لَاَحۡتَنِکَنَّ ذُرِّیَّتَهٗۤ اِلَّا قَلِیۡلًا
قَالَ اَرَءَیۡتَکَ هٰذَا الَّذِیۡ کَرَّمۡتَ عَلَیَّ ۫ لَئِنۡ اَخَّرۡتَنِ اِلٰی یَوۡمِ الۡقِیٰمَۃِ لَاَحۡتَنِکَنَّ ذُرِّیَّتَهٗۤ اِلَّا قَلِیۡلًا
৬২. অনুবাদ: সে বলল, ‘দেখুন, এ ব্যক্তি, যাকে আপনি আমার উপর সম্মান দিয়েছেন, যদি আপনি আমাকে কিয়ামত পর্যন্ত সময় দেন, তবে অতি সামান্য সংখ্যক ছাড়া তার বংশধরদেরকে অবশ্যই পথভ্রষ্ট করে ছাড়ব’।

63 ৬৩
قَالَ اذۡهَبۡ فَمَنۡ تَبِعَکَ مِنۡهُمۡ فَاِنَّ جَهَنَّمَ جَزَآؤُکُمۡ جَزَآءً مَّوۡفُوۡرًا
قَالَ اذۡهَبۡ فَمَنۡ تَبِعَکَ مِنۡهُمۡ فَاِنَّ جَهَنَّمَ جَزَآؤُکُمۡ جَزَآءً مَّوۡفُوۡرًا
৬৩. অনুবাদ: তিনি বললেন, ‘যাও, অতঃপর তাদের মধ্যে যারা তোমার অনুসরণ করবে, জাহান্নামই হবে তোমাদের প্রতিদান, পূর্ণ প্রতিদান হিসেবে’।

64 ৬৪
وَ اسۡتَفۡزِزۡ مَنِ اسۡتَطَعۡتَ مِنۡهُمۡ بِصَوۡتِکَ وَ اَجۡلِبۡ عَلَیۡهِمۡ بِخَیۡلِکَ وَ رَجِلِکَ وَ شَارِکۡهُمۡ فِی الۡاَمۡوَالِ وَ الۡاَوۡلَادِ وَ عِدۡهُمۡ ؕ وَ مَا یَعِدُهُمُ الشَّیۡطٰنُ اِلَّا غُرُوۡرًا
وَ اسۡتَفۡزِزۡ مَنِ اسۡتَطَعۡتَ مِنۡهُمۡ بِصَوۡتِکَ وَ اَجۡلِبۡ عَلَیۡهِمۡ بِخَیۡلِکَ وَ رَجِلِکَ وَ شَارِکۡهُمۡ فِی الۡاَمۡوَالِ وَ الۡاَوۡلَادِ وَ عِدۡهُمۡ ؕ وَ مَا یَعِدُهُمُ الشَّیۡطٰنُ اِلَّا غُرُوۡرًا
৬৪. অনুবাদ: ‘তোমার কণ্ঠ দিয়ে তাদের মধ্যে যাকে পারো প্ররোচিত কর, তাদের উপর ঝাপিয়ে পড় তোমার অশ্বারোহী ও পদাতিক বাহিনী নিয়ে এবং তাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততিতে অংশীদার হও এবং তাদেরকে ওয়াদা দাও’। আর শয়তান প্রতারণা ছাড়া তাদেরকে কোন ওয়াদাই দেয় না।

65 ৬৫
اِنَّ عِبَادِیۡ لَیۡسَ لَکَ عَلَیۡهِمۡ سُلۡطٰنٌ ؕ وَ کَفٰی بِرَبِّکَ وَکِیۡلًا
اِنَّ عِبَادِیۡ لَیۡسَ لَکَ عَلَیۡهِمۡ سُلۡطٰنٌ ؕ وَ کَفٰی بِرَبِّکَ وَکِیۡلًا
৬৫. অনুবাদ: নিশ্চয় আমার বান্দাদের উপর তোমার কোন ক্ষমতা নেই। কর্মবিধায়ক হিসেবে তোমার রবই যথেষ্ট।

66 ৬৬
رَبُّکُمُ الَّذِیۡ یُزۡجِیۡ لَکُمُ الۡفُلۡکَ فِی الۡبَحۡرِ لِتَبۡتَغُوۡا مِنۡ فَضۡلِهٖ ؕ اِنَّهٗ کَانَ بِکُمۡ رَحِیۡمًا
رَبُّکُمُ الَّذِیۡ یُزۡجِیۡ لَکُمُ الۡفُلۡکَ فِی الۡبَحۡرِ لِتَبۡتَغُوۡا مِنۡ فَضۡلِهٖ ؕ اِنَّهٗ کَانَ بِکُمۡ رَحِیۡمًا
৬৬. অনুবাদ: তোমাদের রব তিনি, যিনি তোমাদের জন্য সমুদ্রে চালিত করেন নৌযান, যাতে তোমরা তাঁর অনুগ্রহ সন্ধান করতে পার। নিশ্চয় তিনি তোমাদের প্রতি পরম দয়ালু।

67 ৬৭
وَ اِذَا مَسَّکُمُ الضُّرُّ فِی الۡبَحۡرِ ضَلَّ مَنۡ تَدۡعُوۡنَ اِلَّاۤ اِیَّاهُ ۚ فَلَمَّا نَجّٰىکُمۡ اِلَی الۡبَرِّ اَعۡرَضۡتُمۡ ؕ وَ کَانَ الۡاِنۡسَانُ کَفُوۡرًا
وَ اِذَا مَسَّکُمُ الضُّرُّ فِی الۡبَحۡرِ ضَلَّ مَنۡ تَدۡعُوۡنَ اِلَّاۤ اِیَّاهُ ۚ فَلَمَّا نَجّٰىکُمۡ اِلَی الۡبَرِّ اَعۡرَضۡتُمۡ ؕ وَ کَانَ الۡاِنۡسَانُ کَفُوۡرًا
৬৭. অনুবাদ: আর যখন তোমাদেরকে সমুদ্রে বিপদ স্পর্শ করে, তখন তিনি ছাড়া যাদেরকে তোমরা ডাক, তারা (তোমাদের মন থেকে) হারিয়ে যায়; অতঃপর তিনি যখন তোমাদেরকে রক্ষা করে স্থলে আনেন, তখন তোমরা বিমুখ হয়ে যাও। আর মানুষ তো খুব অকৃতজ্ঞ।

68 ৬৮
اَفَاَمِنۡتُمۡ اَنۡ یَّخۡسِفَ بِکُمۡ جَانِبَ الۡبَرِّ اَوۡ یُرۡسِلَ عَلَیۡکُمۡ حَاصِبًا ثُمَّ لَا تَجِدُوۡا لَکُمۡ وَکِیۡلًا
اَفَاَمِنۡتُمۡ اَنۡ یَّخۡسِفَ بِکُمۡ جَانِبَ الۡبَرِّ اَوۡ یُرۡسِلَ عَلَیۡکُمۡ حَاصِبًا ثُمَّ لَا تَجِدُوۡا لَکُمۡ وَکِیۡلًا
৬৮. অনুবাদ: তোমরা কি নিরাপদ হয়ে গিয়েছ যে, তিনি তোমাদেরসহ স্থলের কোন দিক ধ্বসিয়ে দেবেন না অথবা তোমাদের উপর শিলা বর্ষণকারী বাতাস প্রেরণ করবেন না? তারপর তোমরা তোমাদের জন্য কোন কর্মবিধায়ক পাবে না।

69 ৬৯
اَمۡ اَمِنۡتُمۡ اَنۡ یُّعِیۡدَکُمۡ فِیۡهِ تَارَۃً اُخۡرٰی فَیُرۡسِلَ عَلَیۡکُمۡ قَاصِفًا مِّنَ الرِّیۡحِ فَیُغۡرِقَکُمۡ بِمَا کَفَرۡتُمۡ ۙ ثُمَّ لَا تَجِدُوۡا لَکُمۡ عَلَیۡنَا بِهٖ تَبِیۡعًا
اَمۡ اَمِنۡتُمۡ اَنۡ یُّعِیۡدَکُمۡ فِیۡهِ تَارَۃً اُخۡرٰی فَیُرۡسِلَ عَلَیۡکُمۡ قَاصِفًا مِّنَ الرِّیۡحِ فَیُغۡرِقَکُمۡ بِمَا کَفَرۡتُمۡ ۙ ثُمَّ لَا تَجِدُوۡا لَکُمۡ عَلَیۡنَا بِهٖ تَبِیۡعًا
৬৯. অনুবাদ: অথবা তোমরা কি নিরাপদ হয়ে গিয়েছ যে, তিনি তোমাদেরকে আরেকবার সমুদ্রে ফিরিয়ে নেবেন না, অতঃপর তোমাদের উপর প্রচন্ড বাতাস পাঠাবেন না এবং তোমাদেরকে ডুবিয়ে দেবেন না, তোমরা কুফরী করার কারণে? তারপর তোমরা আমার বিরুদ্ধে এ বিষয়ে কোন সাহায্যকারী পাবে না।

70 ৭০
وَ لَقَدۡ کَرَّمۡنَا بَنِیۡۤ اٰدَمَ وَ حَمَلۡنٰهُمۡ فِی الۡبَرِّ وَ الۡبَحۡرِ وَ رَزَقۡنٰهُمۡ مِّنَ الطَّیِّبٰتِ وَ فَضَّلۡنٰهُمۡ عَلٰی کَثِیۡرٍ مِّمَّنۡ خَلَقۡنَا تَفۡضِیۡلًا
وَ لَقَدۡ کَرَّمۡنَا بَنِیۡۤ اٰدَمَ وَ حَمَلۡنٰهُمۡ فِی الۡبَرِّ وَ الۡبَحۡرِ وَ رَزَقۡنٰهُمۡ مِّنَ الطَّیِّبٰتِ وَ فَضَّلۡنٰهُمۡ عَلٰی کَثِیۡرٍ مِّمَّنۡ خَلَقۡنَا تَفۡضِیۡلًا
৭০. অনুবাদ: আর আমি তো আদম সন্তানদের সম্মানিত করেছি এবং আমি তাদেরকে স্থলে ও সমুদ্রে বাহন দিয়েছি এবং তাদেরকে দিয়েছি উত্তম রিয্ক। আর আমি যা সৃষ্টি করেছি তাদের থেকে অনেকের উপর আমি তাদেরকে অনেক মর্যাদা দিয়েছি।

71 ৭১
یَوۡمَ نَدۡعُوۡا کُلَّ اُنَاسٍۭ بِاِمَامِهِمۡ ۚ فَمَنۡ اُوۡتِیَ کِتٰبَهٗ بِیَمِیۡنِهٖ فَاُولٰٓئِکَ یَقۡرَءُوۡنَ کِتٰبَهُمۡ وَ لَا یُظۡلَمُوۡنَ فَتِیۡلًا
یَوۡمَ نَدۡعُوۡا کُلَّ اُنَاسٍۭ بِاِمَامِهِمۡ ۚ فَمَنۡ اُوۡتِیَ کِتٰبَهٗ بِیَمِیۡنِهٖ فَاُولٰٓئِکَ یَقۡرَءُوۡنَ کِتٰبَهُمۡ وَ لَا یُظۡلَمُوۡنَ فَتِیۡلًا
৭১. অনুবাদ: স্মরণ কর, যেদিন আমি প্রত্যেক মানুষকে তাদের ইমামসহ* ডাকব। অতঃপর যাকে তার আমলনামা ডান হাতে দেয়া হবে তারা নিজদের আমলনামা পাঠ করবে এবং তাদের প্রতি সামান্য পরিমাণ অবিচার করা হবে না।

72 ৭২
وَ مَنۡ کَانَ فِیۡ هٰذِهٖۤ اَعۡمٰی فَهُوَ فِی الۡاٰخِرَۃِ اَعۡمٰی وَ اَضَلُّ سَبِیۡلًا
وَ مَنۡ کَانَ فِیۡ هٰذِهٖۤ اَعۡمٰی فَهُوَ فِی الۡاٰخِرَۃِ اَعۡمٰی وَ اَضَلُّ سَبِیۡلًا
৭২. অনুবাদ: আর যে ব্যক্তি এখানে অন্ধ সে আখিরাতেও অন্ধ এবং অধিকতর পথভ্রষ্ট।

73 ৭৩
وَ اِنۡ کَادُوۡا لَیَفۡتِنُوۡنَکَ عَنِ الَّذِیۡۤ اَوۡحَیۡنَاۤ اِلَیۡکَ لِتَفۡتَرِیَ عَلَیۡنَا غَیۡرَهٗ ٭ۖ وَ اِذًا لَّاتَّخَذُوۡکَ خَلِیۡلًا
وَ اِنۡ کَادُوۡا لَیَفۡتِنُوۡنَکَ عَنِ الَّذِیۡۤ اَوۡحَیۡنَاۤ اِلَیۡکَ لِتَفۡتَرِیَ عَلَیۡنَا غَیۡرَهٗ ٭ۖ وَ اِذًا لَّاتَّخَذُوۡکَ خَلِیۡلًا
৭৩. অনুবাদ: আর তাদের অবস্থা এমন ছিল যে, আমি তোমাকে যে ওহী দিয়েছি, তা থেকে তারা তোমাকে প্রায় ফিতনায় ফেলে দিয়েছিল, যাতে তুমি আমার নামে এর বিপরীত মিথ্যা রটাতে পার এবং তখন তারা অবশ্যই তোমাকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করত।

74 ৭৪
وَ لَوۡ لَاۤ اَنۡ ثَبَّتۡنٰکَ لَقَدۡ کِدۡتَّ تَرۡکَنُ اِلَیۡهِمۡ شَیۡئًا قَلِیۡلًا
وَ لَوۡ لَاۤ اَنۡ ثَبَّتۡنٰکَ لَقَدۡ کِدۡتَّ تَرۡکَنُ اِلَیۡهِمۡ شَیۡئًا قَلِیۡلًا
৭৪. অনুবাদ: আর আমি যদি তোমাকে অবিচল না রাখতাম, তবে অবশ্যই তুমি তাদের দিকে কিছুটা ঝুঁকে পড়তে,

75 ৭৫
اِذًا لَّاَذَقۡنٰکَ ضِعۡفَ الۡحَیٰوۃِ وَ ضِعۡفَ الۡمَمَاتِ ثُمَّ لَا تَجِدُ لَکَ عَلَیۡنَا نَصِیۡرًا
اِذًا لَّاَذَقۡنٰکَ ضِعۡفَ الۡحَیٰوۃِ وَ ضِعۡفَ الۡمَمَاتِ ثُمَّ لَا تَجِدُ لَکَ عَلَیۡنَا نَصِیۡرًا
৭৫. অনুবাদ: তখন আমি অবশ্যই তোমাকে আস্বাদন করাতাম জীবনের দ্বিগুণ ও মরণের দ্বিগুণ আযাব।* তারপর তুমি তোমার জন্য আমার বিরুদ্ধে কোন সাহায্যকারী পাবে না।

76 ৭৬
وَ اِنۡ کَادُوۡا لَیَسۡتَفِزُّوۡنَکَ مِنَ الۡاَرۡضِ لِیُخۡرِجُوۡکَ مِنۡهَا وَ اِذًا لَّا یَلۡبَثُوۡنَ خِلٰفَکَ اِلَّا قَلِیۡلًا
وَ اِنۡ کَادُوۡا لَیَسۡتَفِزُّوۡنَکَ مِنَ الۡاَرۡضِ لِیُخۡرِجُوۡکَ مِنۡهَا وَ اِذًا لَّا یَلۡبَثُوۡنَ خِلٰفَکَ اِلَّا قَلِیۡلًا
৭৬. অনুবাদ: আর তাদের অবস্থা এমন ছিল যে, তারা তোমাকে যমীন থেকে উৎখাত করে দেবে, যাতে তোমাকে সেখান থেকে বের করে দিতে পারে এবং তখন তারা তোমার পরে স্বল্প সময়ই টিকে থাকতে পারত।

77 ৭৭
سُنَّۃَ مَنۡ قَدۡ اَرۡسَلۡنَا قَبۡلَکَ مِنۡ رُّسُلِنَا وَ لَا تَجِدُ لِسُنَّتِنَا تَحۡوِیۡلًا
سُنَّۃَ مَنۡ قَدۡ اَرۡسَلۡنَا قَبۡلَکَ مِنۡ رُّسُلِنَا وَ لَا تَجِدُ لِسُنَّتِنَا تَحۡوِیۡلًا
৭৭. অনুবাদ: তাদের নিয়ম অনুসারে যাদেরকে আমি আমার রাসূলদের মধ্যে তোমার পূর্বে পাঠিয়েছিলাম এবং তুমি আমার নিয়মে কোন পরিবর্তন পাবে না।

78 ৭৮
اَقِمِ الصَّلٰوۃَ لِدُلُوۡکِ الشَّمۡسِ اِلٰی غَسَقِ الَّیۡلِ وَ قُرۡاٰنَ الۡفَجۡرِ ؕ اِنَّ قُرۡاٰنَ الۡفَجۡرِ کَانَ مَشۡهُوۡدًا
اَقِمِ الصَّلٰوۃَ لِدُلُوۡکِ الشَّمۡسِ اِلٰی غَسَقِ الَّیۡلِ وَ قُرۡاٰنَ الۡفَجۡرِ ؕ اِنَّ قُرۡاٰنَ الۡفَجۡرِ کَانَ مَشۡهُوۡدًا
৭৮. অনুবাদ: সূর্য হেলে পড়ার সময় থেকে রাতের অন্ধকার পর্যন্ত সালাত কায়েম কর এবং ফজরের কুরআন*। নিশ্চয় ফজরের কুরআন (ফেরেশতাদের) উপস্থিতির সময়।**

79 ৭৯
وَ مِنَ الَّیۡلِ فَتَهَجَّدۡ بِهٖ نَافِلَۃً لَّکَ ٭ۖ عَسٰۤی اَنۡ یَّبۡعَثَکَ رَبُّکَ مَقَامًا مَّحۡمُوۡدًا
وَ مِنَ الَّیۡلِ فَتَهَجَّدۡ بِهٖ نَافِلَۃً لَّکَ ٭ۖ عَسٰۤی اَنۡ یَّبۡعَثَکَ رَبُّکَ مَقَامًا مَّحۡمُوۡدًا
৭৯. অনুবাদ: আর রাতের কিছু অংশে তাহাজ্জুদ আদায় কর তোমার অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে। আশা করা যায়, তোমার রব তোমাকে প্রশংসিত অবস্থানে প্রতিষ্ঠিত করবেন।

80 ৮০
وَ قُلۡ رَّبِّ اَدۡخِلۡنِیۡ مُدۡخَلَ صِدۡقٍ وَّ اَخۡرِجۡنِیۡ مُخۡرَجَ صِدۡقٍ وَّ اجۡعَلۡ لِّیۡ مِنۡ لَّدُنۡکَ سُلۡطٰنًا نَّصِیۡرًا
وَ قُلۡ رَّبِّ اَدۡخِلۡنِیۡ مُدۡخَلَ صِدۡقٍ وَّ اَخۡرِجۡنِیۡ مُخۡرَجَ صِدۡقٍ وَّ اجۡعَلۡ لِّیۡ مِنۡ لَّدُنۡکَ سُلۡطٰنًا نَّصِیۡرًا
৮০. অনুবাদ: আর বল, ‘হে আমার রব, আমাকে প্রবেশ করাও উত্তমভাবে এবং বের কর উত্তমভাবে*। আর তোমার পক্ষ থেকে আমাকে সাহায্যকারী শক্তি দান কর’।

81 ৮১
وَ قُلۡ جَآءَ الۡحَقُّ وَ زَهَقَ الۡبَاطِلُ ؕ اِنَّ الۡبَاطِلَ کَانَ زَهُوۡقًا
وَ قُلۡ جَآءَ الۡحَقُّ وَ زَهَقَ الۡبَاطِلُ ؕ اِنَّ الۡبَاطِلَ کَانَ زَهُوۡقًا
৮১. অনুবাদ: আর বল, ‘হক এসেছে এবং বাতিল বিলুপ্ত হয়েছে। নিশ্চয় বাতিল বিলুপ্ত হওয়ারই ছিল’।

82 ৮২
وَ نُنَزِّلُ مِنَ الۡقُرۡاٰنِ مَا هُوَ شِفَآءٌ وَّ رَحۡمَۃٌ لِّلۡمُؤۡمِنِیۡنَ ۙ وَ لَا یَزِیۡدُ الظّٰلِمِیۡنَ اِلَّا خَسَارًا
وَ نُنَزِّلُ مِنَ الۡقُرۡاٰنِ مَا هُوَ شِفَآءٌ وَّ رَحۡمَۃٌ لِّلۡمُؤۡمِنِیۡنَ ۙ وَ لَا یَزِیۡدُ الظّٰلِمِیۡنَ اِلَّا خَسَارًا
৮২. অনুবাদ: আর আমি কুরআন নাযিল করি যা মুমিনদের জন্য শিফা ও রহমত, কিন্তু তা যালিমদের ক্ষতিই বাড়িয়ে দেয়।

83 ৮৩
وَ اِذَاۤ اَنۡعَمۡنَا عَلَی الۡاِنۡسَانِ اَعۡرَضَ وَ نَاٰ بِجَانِبِهٖ ۚ وَ اِذَا مَسَّهُ الشَّرُّ کَانَ یَــُٔوۡسًا
وَ اِذَاۤ اَنۡعَمۡنَا عَلَی الۡاِنۡسَانِ اَعۡرَضَ وَ نَاٰ بِجَانِبِهٖ ۚ وَ اِذَا مَسَّهُ الشَّرُّ کَانَ یَــُٔوۡسًا
৮৩. অনুবাদ: আর আমি যখন মানুষের উপর নিআমত দান করি তখন সে মুখ ফিরিয়ে নেয় ও দূরে সরে যায় এবং যখন তাকে অনিষ্ট স্পর্শ করে তখন সে খুব হতাশ হয়ে পড়ে।

84 ৮৪
قُلۡ کُلٌّ یَّعۡمَلُ عَلٰی شَاکِلَتِهٖ ؕ فَرَبُّکُمۡ اَعۡلَمُ بِمَنۡ هُوَ اَهۡدٰی سَبِیۡلًا
قُلۡ کُلٌّ یَّعۡمَلُ عَلٰی شَاکِلَتِهٖ ؕ فَرَبُّکُمۡ اَعۡلَمُ بِمَنۡ هُوَ اَهۡدٰی سَبِیۡلًا
৮৪. অনুবাদ: বল, ‘প্রত্যেকেই আমল করে থাকে নিজ পদ্ধতি অনুযায়ী এবং তোমার রব অধিক অবগত আছেন কে সর্বাধিক নির্ভুল পথে’।

85 ৮৫
وَ یَسۡـَٔلُوۡنَکَ عَنِ الرُّوۡحِ ؕ قُلِ الرُّوۡحُ مِنۡ اَمۡرِ رَبِّیۡ وَ مَاۤ اُوۡتِیۡتُمۡ مِّنَ الۡعِلۡمِ اِلَّا قَلِیۡلًا
وَ یَسۡـَٔلُوۡنَکَ عَنِ الرُّوۡحِ ؕ قُلِ الرُّوۡحُ مِنۡ اَمۡرِ رَبِّیۡ وَ مَاۤ اُوۡتِیۡتُمۡ مِّنَ الۡعِلۡمِ اِلَّا قَلِیۡلًا
৮৫. অনুবাদ: আর তারা তোমাকে রূহ সম্পর্কে প্রশ্ন করে। বল, ‘রূহ আমার রবের আদেশ থেকে, আর তোমাদেরকে জ্ঞান থেকে অতি সামান্যই দেয়া হয়েছে’।

86 ৮৬
وَ لَئِنۡ شِئۡنَا لَنَذۡهَبَنَّ بِالَّذِیۡۤ اَوۡحَیۡنَاۤ اِلَیۡکَ ثُمَّ لَا تَجِدُ لَکَ بِهٖ عَلَیۡنَا وَکِیۡلًا
وَ لَئِنۡ شِئۡنَا لَنَذۡهَبَنَّ بِالَّذِیۡۤ اَوۡحَیۡنَاۤ اِلَیۡکَ ثُمَّ لَا تَجِدُ لَکَ بِهٖ عَلَیۡنَا وَکِیۡلًا
৮৬. অনুবাদ: আর আমি ইচ্ছা করলে তোমার কাছে ওহীর মাধ্যমে যা পাঠিয়েছি তা অবশ্যই নিয়ে নিতে পারতাম; অতঃপর তুমি এ বিষয়ে আমার বিরুদ্ধে তোমার জন্য কোন কর্মবিধায়ক পেতে না।

87 ৮৭
اِلَّا رَحۡمَۃً مِّنۡ رَّبِّکَ ؕ اِنَّ فَضۡلَهٗ کَانَ عَلَیۡکَ کَبِیۡرًا
اِلَّا رَحۡمَۃً مِّنۡ رَّبِّکَ ؕ اِنَّ فَضۡلَهٗ کَانَ عَلَیۡکَ کَبِیۡرًا
৮৭. অনুবাদ: তবে তোমার রবের পক্ষ থেকে (এটা) রহমতস্বরূপ; নিশ্চয় তোমার প্রতি তাঁর অনুগ্রহ বিরাট।

88 ৮৮
قُلۡ لَّئِنِ اجۡتَمَعَتِ الۡاِنۡسُ وَ الۡجِنُّ عَلٰۤی اَنۡ یَّاۡتُوۡا بِمِثۡلِ هٰذَا الۡقُرۡاٰنِ لَا یَاۡتُوۡنَ بِمِثۡلِهٖ وَ لَوۡ کَانَ بَعۡضُهُمۡ لِبَعۡضٍ ظَهِیۡرًا
قُلۡ لَّئِنِ اجۡتَمَعَتِ الۡاِنۡسُ وَ الۡجِنُّ عَلٰۤی اَنۡ یَّاۡتُوۡا بِمِثۡلِ هٰذَا الۡقُرۡاٰنِ لَا یَاۡتُوۡنَ بِمِثۡلِهٖ وَ لَوۡ کَانَ بَعۡضُهُمۡ لِبَعۡضٍ ظَهِیۡرًا
৮৮. অনুবাদ: বল, ‘যদি মানুষ ও জিন এ কুরআনের অনুরূপ হাযির করার জন্য একত্রিত হয়, তবুও তারা এর অনুরূপ হাযির করতে পারবে না যদিও তারা একে অপরের সাহায্যকারী হয়’।

89 ৮৯
وَ لَقَدۡ صَرَّفۡنَا لِلنَّاسِ فِیۡ هٰذَا الۡقُرۡاٰنِ مِنۡ کُلِّ مَثَلٍ ۫ فَاَبٰۤی اَکۡثَرُ النَّاسِ اِلَّا کُفُوۡرًا
وَ لَقَدۡ صَرَّفۡنَا لِلنَّاسِ فِیۡ هٰذَا الۡقُرۡاٰنِ مِنۡ کُلِّ مَثَلٍ ۫ فَاَبٰۤی اَکۡثَرُ النَّاسِ اِلَّا کُفُوۡرًا
৮৯. অনুবাদ: আর অবশ্যই মানুষের জন্য এ কুরআনে আমি নানাভাবে বিভিন্ন উপমা বর্ণনা করেছি; কিন্তু অধিকাংশ মানুষ কুফরী না করে থাকেনি।

90 ৯০
وَ قَالُوۡا لَنۡ نُّؤۡمِنَ لَکَ حَتّٰی تَفۡجُرَ لَنَا مِنَ الۡاَرۡضِ یَنۡۢبُوۡعًا
وَ قَالُوۡا لَنۡ نُّؤۡمِنَ لَکَ حَتّٰی تَفۡجُرَ لَنَا مِنَ الۡاَرۡضِ یَنۡۢبُوۡعًا
৯০. অনুবাদ: আর তারা বলে, ‘আমরা তোমার প্রতি কখনো ঈমান আনব না, যতক্ষণ না তুমি আমাদের জন্য যমীন থেকে একটি ঝর্নাধারা উৎসারিত করবে’।

91 ৯১
اَوۡ تَکُوۡنَ لَکَ جَنَّۃٌ مِّنۡ نَّخِیۡلٍ وَّ عِنَبٍ فَتُفَجِّرَ الۡاَنۡهٰرَ خِلٰلَهَا تَفۡجِیۡرًا
اَوۡ تَکُوۡنَ لَکَ جَنَّۃٌ مِّنۡ نَّخِیۡلٍ وَّ عِنَبٍ فَتُفَجِّرَ الۡاَنۡهٰرَ خِلٰلَهَا تَفۡجِیۡرًا
৯১. অনুবাদ: ‘অথবা তোমার জন্য খেজুর ও আঙ্গুরের একটি বাগান হবে, অতঃপর তুমি তার মধ্যে প্রবাহিত করবে নদী-নালা’।

92 ৯২
اَوۡ تُسۡقِطَ السَّمَآءَ کَمَا زَعَمۡتَ عَلَیۡنَا کِسَفًا اَوۡ تَاۡتِیَ بِاللّٰهِ وَ الۡمَلٰٓئِکَۃِ قَبِیۡلًا
اَوۡ تُسۡقِطَ السَّمَآءَ کَمَا زَعَمۡتَ عَلَیۡنَا کِسَفًا اَوۡ تَاۡتِیَ بِاللّٰهِ وَ الۡمَلٰٓئِکَۃِ قَبِیۡلًا
৯২. অনুবাদ: ‘অথবা তুমি যেমনটি ধারণা কর, সে অনুযায়ী আসমানকে খন্ড খন্ড করে আমাদের উপরে ফেলবে, অথবা আল্লাহ ও ফেরেশ্তাদেরকে আমাদের মুখোমুখি নিয়ে আসবে’।

93 ৯৩
اَوۡ یَکُوۡنَ لَکَ بَیۡتٌ مِّنۡ زُخۡرُفٍ اَوۡ تَرۡقٰی فِی السَّمَآءِ ؕ وَ لَنۡ نُّؤۡمِنَ لِرُقِیِّکَ حَتّٰی تُنَزِّلَ عَلَیۡنَا کِتٰبًا نَّقۡرَؤُهٗ ؕ قُلۡ سُبۡحَانَ رَبِّیۡ هَلۡ کُنۡتُ اِلَّا بَشَرًا رَّسُوۡلًا
اَوۡ یَکُوۡنَ لَکَ بَیۡتٌ مِّنۡ زُخۡرُفٍ اَوۡ تَرۡقٰی فِی السَّمَآءِ ؕ وَ لَنۡ نُّؤۡمِنَ لِرُقِیِّکَ حَتّٰی تُنَزِّلَ عَلَیۡنَا کِتٰبًا نَّقۡرَؤُهٗ ؕ قُلۡ سُبۡحَانَ رَبِّیۡ هَلۡ کُنۡتُ اِلَّا بَشَرًا رَّسُوۡلًا
৯৩. অনুবাদ: ‘অথবা তোমার জন্য স্বর্ণের একটি ঘর হবে অথবা তুমি আসমানে উঠবে, কিন্তু তোমার উঠাতেও আমরা ঈমান আনব না, যতক্ষণ না তুমি আমাদের প্রতি এক কিতাব নাযিল করবে যা আমরা পাঠ করব’। বল, ‘পবিত্র মহান আমার রব! আমি তো একজন মানব-রাসূল ছাড়া কিছু নই’?

94 ৯৪
وَ مَا مَنَعَ النَّاسَ اَنۡ یُّؤۡمِنُوۡۤا اِذۡ جَآءَهُمُ الۡهُدٰۤی اِلَّاۤ اَنۡ قَالُوۡۤا اَبَعَثَ اللّٰهُ بَشَرًا رَّسُوۡلًا
وَ مَا مَنَعَ النَّاسَ اَنۡ یُّؤۡمِنُوۡۤا اِذۡ جَآءَهُمُ الۡهُدٰۤی اِلَّاۤ اَنۡ قَالُوۡۤا اَبَعَثَ اللّٰهُ بَشَرًا رَّسُوۡلًا
৯৪. অনুবাদ: আর যখন মানুষের নিকট হিদায়াত আসে তখন তাদের ঈমান আনতে বাধা দেয় তাদের এ কথা যে, ‘আল্লাহ কি মানুষকে রাসূল হিসেবে পাঠিয়েছেন’?

95 ৯৫
قُلۡ لَّوۡ کَانَ فِی الۡاَرۡضِ مَلٰٓئِکَۃٌ یَّمۡشُوۡنَ مُطۡمَئِنِّیۡنَ لَنَزَّلۡنَا عَلَیۡهِمۡ مِّنَ السَّمَآءِ مَلَکًا رَّسُوۡلًا
قُلۡ لَّوۡ کَانَ فِی الۡاَرۡضِ مَلٰٓئِکَۃٌ یَّمۡشُوۡنَ مُطۡمَئِنِّیۡنَ لَنَزَّلۡنَا عَلَیۡهِمۡ مِّنَ السَّمَآءِ مَلَکًا رَّسُوۡلًا
৯৫. অনুবাদ: বল, ‘ফেরেশতারা যদি যমীনে চলাচল করত নিশ্চিন্তভাবে তাহলে আমি অবশ্যই আসমান হতে তাদের কাছে ফেরেশতা পাঠাতাম রাসূল হিসেবে’।

96 ৯৬
قُلۡ کَفٰی بِاللّٰهِ شَهِیۡدًۢا بَیۡنِیۡ وَ بَیۡنَکُمۡ ؕ اِنَّهٗ کَانَ بِعِبَادِهٖ خَبِیۡرًۢا بَصِیۡرًا
قُلۡ کَفٰی بِاللّٰهِ شَهِیۡدًۢا بَیۡنِیۡ وَ بَیۡنَکُمۡ ؕ اِنَّهٗ کَانَ بِعِبَادِهٖ خَبِیۡرًۢا بَصِیۡرًا
৯৬. অনুবাদ: বল, ‘আল্লাহই যথেষ্ট আমার ও তোমাদের মধ্যে স্বাক্ষী হিসেবে; নিশ্চয় তিনি তাঁর বান্দাদের ব্যাপারে পূর্ণ জ্ঞাত, পূর্ণ দ্রষ্টা’।

97 ৯৭
وَ مَنۡ یَّهۡدِ اللّٰهُ فَهُوَ الۡمُهۡتَدِ ۚ وَ مَنۡ یُّضۡلِلۡ فَلَنۡ تَجِدَ لَهُمۡ اَوۡلِیَآءَ مِنۡ دُوۡنِهٖ ؕ وَ نَحۡشُرُهُمۡ یَوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ عَلٰی وُجُوۡهِهِمۡ عُمۡیًا وَّ بُکۡمًا وَّ صُمًّا ؕ مَاۡوٰىهُمۡ جَهَنَّمُ ؕ کُلَّمَا خَبَتۡ زِدۡنٰهُمۡ سَعِیۡرًا
وَ مَنۡ یَّهۡدِ اللّٰهُ فَهُوَ الۡمُهۡتَدِ ۚ وَ مَنۡ یُّضۡلِلۡ فَلَنۡ تَجِدَ لَهُمۡ اَوۡلِیَآءَ مِنۡ دُوۡنِهٖ ؕ وَ نَحۡشُرُهُمۡ یَوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ عَلٰی وُجُوۡهِهِمۡ عُمۡیًا وَّ بُکۡمًا وَّ صُمًّا ؕ مَاۡوٰىهُمۡ جَهَنَّمُ ؕ کُلَّمَا خَبَتۡ زِدۡنٰهُمۡ سَعِیۡرًا
৯৭. অনুবাদ: আর আল্লাহ যাকে হিদায়াত দান করেন সে-ই হিদায়াতপ্রাপ্ত এবং যাকে তিনি পথহারা করেন তুমি কখনো তাদের জন্য তাঁকে ছাড়া অভিভাবক পাবে না। আর আমি কিয়ামতের দিনে তাদেরকে একত্র করব উপুড় করে, অন্ধ, মূক ও বধির অবস্থায়। তাদের আশ্রয়স্থল জাহান্নাম; যখনই তা নিস্তেজ হবে তখনই আমি তাদের জন্য আগুন বাড়িয়ে দেব।

98 ৯৮
ذٰلِکَ جَزَآؤُهُمۡ بِاَنَّهُمۡ کَفَرُوۡا بِاٰیٰتِنَا وَ قَالُوۡۤاءَ اِذَا کُنَّا عِظَامًا وَّ رُفَاتًاءَ اِنَّا لَمَبۡعُوۡثُوۡنَ خَلۡقًا جَدِیۡدًا
ذٰلِکَ جَزَآؤُهُمۡ بِاَنَّهُمۡ کَفَرُوۡا بِاٰیٰتِنَا وَ قَالُوۡۤاءَ اِذَا کُنَّا عِظَامًا وَّ رُفَاتًاءَ اِنَّا لَمَبۡعُوۡثُوۡنَ خَلۡقًا جَدِیۡدًا
৯৮. অনুবাদ: এটাই তাদের প্রতিদান, কারণ তারা আমার আয়াতসমূহ অস্বীকার করেছে এবং বলেছে, ‘আমরা যখন হাড্ডি ও ছিন্ন-ভিন্ন হয়ে যাব, তখন আমরা কি নতুন সৃষ্টিরূপে পুনরুজ্জীবিত হব’?

99 ৯৯
اَوَ لَمۡ یَرَوۡا اَنَّ اللّٰهَ الَّذِیۡ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضَ قَادِرٌ عَلٰۤی اَنۡ یَّخۡلُقَ مِثۡلَهُمۡ وَ جَعَلَ لَهُمۡ اَجَلًا لَّا رَیۡبَ فِیۡهِ ؕ فَاَبَی الظّٰلِمُوۡنَ اِلَّا کُفُوۡرًا
اَوَ لَمۡ یَرَوۡا اَنَّ اللّٰهَ الَّذِیۡ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضَ قَادِرٌ عَلٰۤی اَنۡ یَّخۡلُقَ مِثۡلَهُمۡ وَ جَعَلَ لَهُمۡ اَجَلًا لَّا رَیۡبَ فِیۡهِ ؕ فَاَبَی الظّٰلِمُوۡنَ اِلَّا کُفُوۡرًا
৯৯. অনুবাদ: তারা কি দেখে না যে, আল্লাহ আসমানসমূহ ও যমীন সৃষ্টি করেছেন, তিনি তাদের অনুরূপ সৃষ্টি করতে সক্ষম? আর তিনি তাদের জন্য একটি সময় নির্ধারণ করেছেন যাতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু যালিমরা কুফরী না করে থাকেনি।

100 ১০০
قُلۡ لَّوۡ اَنۡتُمۡ تَمۡلِکُوۡنَ خَزَآئِنَ رَحۡمَۃِ رَبِّیۡۤ اِذًا لَّاَمۡسَکۡتُمۡ خَشۡیَۃَ الۡاِنۡفَاقِ ؕ وَ کَانَ الۡاِنۡسَانُ قَتُوۡرًا
قُلۡ لَّوۡ اَنۡتُمۡ تَمۡلِکُوۡنَ خَزَآئِنَ رَحۡمَۃِ رَبِّیۡۤ اِذًا لَّاَمۡسَکۡتُمۡ خَشۡیَۃَ الۡاِنۡفَاقِ ؕ وَ کَانَ الۡاِنۡسَانُ قَتُوۡرًا
১০০. অনুবাদ: বল, ‘যদি তোমরা আমার রবের রহমতের ভান্ডারসমূহের মালিক হতে, তবুও খরচ হয়ে যাওয়ার ভয়ে তোমরা তা আটকে রাখতে; আর মানুষ তো অতি কৃপণ’।

101 ১০১
وَ لَقَدۡ اٰتَیۡنَا مُوۡسٰی تِسۡعَ اٰیٰتٍۭ بَیِّنٰتٍ فَسۡـَٔلۡ بَنِیۡۤ اِسۡرَآءِیۡلَ اِذۡ جَآءَهُمۡ فَقَالَ لَهٗ فِرۡعَوۡنُ اِنِّیۡ لَاَظُنُّکَ یٰمُوۡسٰی مَسۡحُوۡرًا
وَ لَقَدۡ اٰتَیۡنَا مُوۡسٰی تِسۡعَ اٰیٰتٍۭ بَیِّنٰتٍ فَسۡـَٔلۡ بَنِیۡۤ اِسۡرَآءِیۡلَ اِذۡ جَآءَهُمۡ فَقَالَ لَهٗ فِرۡعَوۡنُ اِنِّیۡ لَاَظُنُّکَ یٰمُوۡسٰی مَسۡحُوۡرًا
১০১. অনুবাদ: আর আমি মূসাকে নয়টি স্পষ্ট নিদর্শন দিয়েছিলাম, সুতরাং তুমি বনী ইসরাঈলকে জিজ্ঞাসা কর, যখন সে তাদের কাছে আসল তখন ফির‘আউন তাকে বলল, ‘হে মূসা, আমিতো ধারণা করি তুমি যাদুগ্রস্ত’।

102 ১০২
قَالَ لَقَدۡ عَلِمۡتَ مَاۤ اَنۡزَلَ هٰۤؤُلَآءِ اِلَّا رَبُّ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ بَصَآئِرَ ۚ وَ اِنِّیۡ لَاَظُنُّکَ یٰفِرۡعَوۡنُ مَثۡبُوۡرًا
قَالَ لَقَدۡ عَلِمۡتَ مَاۤ اَنۡزَلَ هٰۤؤُلَآءِ اِلَّا رَبُّ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ بَصَآئِرَ ۚ وَ اِنِّیۡ لَاَظُنُّکَ یٰفِرۡعَوۡنُ مَثۡبُوۡرًا
১০২. অনুবাদ: সে বলল, ‘তুমি জান যে, এ সকল বিষয় কেবল আসমানসমূহ ও যমীনের রবই নাযিল করেছেন প্রত্যক্ষ প্রমাণ হিসেবে। আর হে ফির‘আউন, আমি তো ধারণা করি তুমি ধ্বংসপ্রাপ্ত।

103 ১০৩
فَاَرَادَ اَنۡ یَّسۡتَفِزَّهُمۡ مِّنَ الۡاَرۡضِ فَاَغۡرَقۡنٰهُ وَ مَنۡ مَّعَهٗ جَمِیۡعًا
فَاَرَادَ اَنۡ یَّسۡتَفِزَّهُمۡ مِّنَ الۡاَرۡضِ فَاَغۡرَقۡنٰهُ وَ مَنۡ مَّعَهٗ جَمِیۡعًا
১০৩. অনুবাদ: অতঃপর সে তাদেরকে দেশ থেকে উৎখাত করার ইচ্ছা করল; তখন আমি তাকে ও তার সাথে যারা ছিল সকলকে ডুবিয়ে দিলাম।

104 ১০৪
وَّ قُلۡنَا مِنۡۢ بَعۡدِهٖ لِبَنِیۡۤ اِسۡرَآءِیۡلَ اسۡکُنُوا الۡاَرۡضَ فَاِذَا جَآءَ وَعۡدُ الۡاٰخِرَۃِ جِئۡنَا بِکُمۡ لَفِیۡفًا
وَّ قُلۡنَا مِنۡۢ بَعۡدِهٖ لِبَنِیۡۤ اِسۡرَآءِیۡلَ اسۡکُنُوا الۡاَرۡضَ فَاِذَا جَآءَ وَعۡدُ الۡاٰخِرَۃِ جِئۡنَا بِکُمۡ لَفِیۡفًا
১০৪. অনুবাদ: আর আমি এরপর বনী ইসরাঈলকে বললাম, ‘তোমরা যমীনে বাস কর, অতঃপর যখন আখিরাতের ওয়াদা আসবে তখন আমি তোমাদেরকে জড়ো করে নিয়ে আসব’।

105 ১০৫
وَ بِالۡحَقِّ اَنۡزَلۡنٰهُ وَ بِالۡحَقِّ نَزَلَ ؕ وَ مَاۤ اَرۡسَلۡنٰکَ اِلَّا مُبَشِّرًا وَّ نَذِیۡرًا
وَ بِالۡحَقِّ اَنۡزَلۡنٰهُ وَ بِالۡحَقِّ نَزَلَ ؕ وَ مَاۤ اَرۡسَلۡنٰکَ اِلَّا مُبَشِّرًا وَّ نَذِیۡرًا
১০৫. অনুবাদ: আর আমি তা যথাযথভাবে নাযিল করেছি এবং যথাযথভাবে তা নাযিল হয়েছে। আমি তো তোমাকে কেবল সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে পাঠিয়েছি।

106 ১০৬
وَ قُرۡاٰنًا فَرَقۡنٰهُ لِتَقۡرَاَهٗ عَلَی النَّاسِ عَلٰی مُکۡثٍ وَّ نَزَّلۡنٰهُ تَنۡزِیۡلًا
وَ قُرۡاٰنًا فَرَقۡنٰهُ لِتَقۡرَاَهٗ عَلَی النَّاسِ عَلٰی مُکۡثٍ وَّ نَزَّلۡنٰهُ تَنۡزِیۡلًا
১০৬. অনুবাদ: আর কুরআন আমি নাযিল করেছি কিছু কিছু করে, যেন তুমি তা মানুষের কাছে পাঠ করতে পার ধীরে ধীরে এবং আমি তা নাযিল করেছি পর্যায়ক্রমে।

107 ১০৭
قُلۡ اٰمِنُوۡا بِهٖۤ اَوۡ لَا تُؤۡمِنُوۡا ؕ اِنَّ الَّذِیۡنَ اُوۡتُوا الۡعِلۡمَ مِنۡ قَبۡلِهٖۤ اِذَا یُتۡلٰی عَلَیۡهِمۡ یَخِرُّوۡنَ لِلۡاَذۡقَانِ سُجَّدًا
قُلۡ اٰمِنُوۡا بِهٖۤ اَوۡ لَا تُؤۡمِنُوۡا ؕ اِنَّ الَّذِیۡنَ اُوۡتُوا الۡعِلۡمَ مِنۡ قَبۡلِهٖۤ اِذَا یُتۡلٰی عَلَیۡهِمۡ یَخِرُّوۡنَ لِلۡاَذۡقَانِ سُجَّدًا
১০৭. অনুবাদ: বল, ‘তোমরা এতে ঈমান আন বা ঈমান না আন, নিশ্চয় এর পূর্বে যাদেরকে জ্ঞান দেয়া হয়েছে, তাদের কাছে যখন এটা পাঠ করা হয় তখন তারা সিজদাবনত হয়ে লুটিয়ে পড়ে।

108 ১০৮
وَّ یَقُوۡلُوۡنَ سُبۡحٰنَ رَبِّنَاۤ اِنۡ کَانَ وَعۡدُ رَبِّنَا لَمَفۡعُوۡلًا
وَّ یَقُوۡلُوۡنَ سُبۡحٰنَ رَبِّنَاۤ اِنۡ کَانَ وَعۡدُ رَبِّنَا لَمَفۡعُوۡلًا
১০৮. অনুবাদ: আর তারা বলে, ‘পবিত্র মহান আমাদের রব! আমাদের রবের ওয়াদা অবশ্যই কার্যকর হয়ে থাকে’।

109 ১০৯
(سُجود‎‎) وَ یَخِرُّوۡنَ لِلۡاَذۡقَانِ یَبۡکُوۡنَ وَ یَزِیۡدُهُمۡ خُشُوۡعًا
(سُجود‎‎) وَ یَخِرُّوۡنَ لِلۡاَذۡقَانِ یَبۡکُوۡنَ وَ یَزِیۡدُهُمۡ خُشُوۡعًا
১০৯. অনুবাদ: ‘আর তারা কাঁদতে কাঁদতে লুটিয়ে পড়ে এবং এটা তাদের বিনয় বৃদ্ধি করে’। [সাজদাহ] ۩

110 ১১০
قُلِ ادۡعُوا اللّٰهَ اَوِ ادۡعُوا الرَّحۡمٰنَ ؕ اَیًّامَّا تَدۡعُوۡا فَلَهُ الۡاَسۡمَآءُ الۡحُسۡنٰی ۚ وَ لَا تَجۡهَرۡ بِصَلَاتِکَ وَ لَا تُخَافِتۡ بِهَا وَ ابۡتَغِ بَیۡنَ ذٰلِکَ سَبِیۡلًا
قُلِ ادۡعُوا اللّٰهَ اَوِ ادۡعُوا الرَّحۡمٰنَ ؕ اَیًّامَّا تَدۡعُوۡا فَلَهُ الۡاَسۡمَآءُ الۡحُسۡنٰی ۚ وَ لَا تَجۡهَرۡ بِصَلَاتِکَ وَ لَا تُخَافِتۡ بِهَا وَ ابۡتَغِ بَیۡنَ ذٰلِکَ سَبِیۡلًا
১১০. অনুবাদ: বল, ‘তোমরা (তোমাদের রবকে) ‘আল্লাহ’ নামে ডাক অথবা ‘রাহমান’ নামে ডাক, যে নামেই তোমরা ডাক না কেন, তাঁর জন্যই তো রয়েছে সুন্দর নামসমূহ। তুমি তোমার সালাতে স্বর উঁচু করো না এবং তাতে মৃদুও করো না; বরং এর মাঝামাঝি পথ অবলম্বন কর।

111 ১১১
وَ قُلِ الۡحَمۡدُ لِلّٰهِ الَّذِیۡ لَمۡ یَتَّخِذۡ وَلَدًا وَّ لَمۡ یَکُنۡ لَّهٗ شَرِیۡکٌ فِی الۡمُلۡکِ وَ لَمۡ یَکُنۡ لَّهٗ وَلِیٌّ مِّنَ الذُّلِّ وَ کَبِّرۡهُ تَکۡبِیۡرًا
وَ قُلِ الۡحَمۡدُ لِلّٰهِ الَّذِیۡ لَمۡ یَتَّخِذۡ وَلَدًا وَّ لَمۡ یَکُنۡ لَّهٗ شَرِیۡکٌ فِی الۡمُلۡکِ وَ لَمۡ یَکُنۡ لَّهٗ وَلِیٌّ مِّنَ الذُّلِّ وَ کَبِّرۡهُ تَکۡبِیۡرًا
১১১. অনুবাদ: আর বল, ‘সমস্ত প্রশংসা আল্লাহরই, যিনি কোন সন্তান গ্রহণ করেননি, রাজত্বে তাঁর কোন শরীক নেই এবং অপমান থেকে বাঁচতে তাঁর কোন অভিভাবকের দরকার নেই।’ সুতরাং তুমি পূর্ণরূপে তাঁর বড়ত্ব ঘোষণা কর।

কপিরাইট
আমাদের সকল কন্টেন্ট কপিরাইট সংরক্ষিত
ডেভলোপারঃ মুহিব্বুল্লাহ
গোপনীয়তা নীতি

প্রিয় পাঠক
আমাদের সকল প্রজেক্টসমূহ সম্পূর্ণ ব্যাক্তি উদ্যোগে পরিচালিত, আপনাদের দোয়া ও সহযোগিতা দ্বীনের এই কাজকে আরও প্রসারিত করবে ইন-শা-আল্লাহ।