Quranul Hakim - কুরআনুল হাকিম

সূরা তালিকা

	১. আল-ফাতিহা মাক্কী	الفاتحة আয়াত: ৭

	২. আল-বাকারা মাদানী	البقرة আয়াত: ২৮৬

	৩. আলে-ইমরান মাদানী	آل عمران আয়াত: ২০০

	৪. আন-নিসা মাদানী	النساء আয়াত: ১৭৬

	৫. আল-মায়েদা মাদানী	المائدة আয়াত: ১২০

	৬. আল-আনআম মাক্কী	الأنعام আয়াত: ১৬৫

	৭. আল-আরাফ মাক্কী	الأعراف আয়াত: ২০৬

	৮. আল-আনফাল মাদানী	الأنفال আয়াত: ৭৫

	৯. আত-তাওবা মাদানী	التوبة আয়াত: ১২৯

	১০. ইউনুস মাক্কী	يونس আয়াত: ১০৯

	১১. হূদ মাক্কী	هود আয়াত: ১২৩

	১২. ইউসুফ মাক্কী	يوسف আয়াত: ১১১

	১৩. আর-রাদ মাদানী	الرعد আয়াত: ৪৩

	১৪. ইবরাহীম মাক্কী	ابراهيم আয়াত: ৫২

	১৫. আল-হিজর মাক্কী	الحجر আয়াত: ৯৯

	১৬. আন-নাহাল মাক্কী	النحل আয়াত: ১২৮

	১৭. আল-ইসরা (বনী-ইসরাঈল) মাক্কী	الإسراء আয়াত: ১১১

	১৮. আল-কাহফ মাক্কী	الكهف আয়াত: ১১০

	১৯. মারইয়াম মাক্কী	مريم আয়াত: ৯৮

	২০. ত্ব-হা মাক্কী	طه আয়াত: ১৩৫

	২১. আল-আম্বিয়া মাক্কী	الأنبياء আয়াত: ১১২

	২২. আল-হজ্জ মাদানী	الحج আয়াত: ৭৮

	২৩. আল-মুমিনুন মাক্কী	المؤمنون আয়াত: ১১৮

	২৪. আন-নূর মাদানী	النور আয়াত: ৬৪

	২৫. আল-ফুরকান মাক্কী	الفرقان আয়াত: ৭৭

	২৬. আশ-শুআরা মাক্কী	الشعراء আয়াত: ২২৭

	২৭. আন-নামাল মাক্কী	النمل আয়াত: ৯৩

	২৮. আল-কাসাস মাক্কী	القصص আয়াত: ৮৮

	২৯. আল-আনকাবূত মাক্কী	العنكبوت আয়াত: ৬৯

	৩০. আর-রুম মাক্কী	الروم আয়াত: ৬০

	৩১. লুকমান মাক্কী	لقمان আয়াত: ৩৪

	৩২. আস-সাজদাহ মাক্কী	السجدة আয়াত: ৩০

	৩৩. আল-আহযাব মাদানী	الأحزاب আয়াত: ৭৩

	৩৪. সাবা মাক্কী	سبإ আয়াত: ৫৪

	৩৫. ফাতির মাক্কী	فاطر আয়াত: ৪৫

	৩৬. ইয়াসীন মাক্কী	يس আয়াত: ৮৩

	৩৭. আস-সাফফাত মাক্কী	الصافات আয়াত: ১৮২

	৩৮. সোয়াদ মাক্কী	ص আয়াত: ৮৮

	৩৯. আয-যুমার মাক্কী	الزمر আয়াত: ৭৫

	৪০. গাফির (আল মুমিন) মাক্কী	غافر আয়াত: ৮৫

	৪১. হা-মীম আস-সাজদা (ফুসসিলাত) মাক্কী	فصلت আয়াত: ৫৪

	৪২. আশ-শূরা মাক্কী	الشورى আয়াত: ৫৩

	৪৩. আয-যুখরুফ মাক্কী	الزخرف আয়াত: ৮৯

	৪৪. আদ-দুখান মাক্কী	الدخان আয়াত: ৫৯

	৪৫. আল-জাসিয়া মাক্কী	الجاثية আয়াত: ৩৭

	৪৬. আল-আহকাফ মাক্কী	الأحقاف আয়াত: ৩৫

	৪৭. মুহাম্মাদ মাদানী	محمد আয়াত: ৩৮

	৪৮. আল-ফাতহ মাদানী	الفتح আয়াত: ২৯

	৪৯. আল-হুজুরাত মাদানী	الحجرات আয়াত: ১৮

	৫০. কাফ মাক্কী	ق আয়াত: ৪৫

	৫১. আয-যারিয়াত মাক্কী	سورة الذاريات আয়াত: ৬০

	৫২. আত-তূর মাক্কী	الطور আয়াত: ৪৯

	৫৩. আন-নাজম মাক্কী	النجم আয়াত: ৬২

	৫৪. আল-কামার মাক্কী	القمر আয়াত: ৫৫

	৫৫. আর-রাহমান মাদানী	الرحمن আয়াত: ৭৮

	৫৬. আল-ওয়াকিয়া মাক্কী	الواقعة আয়াত: ৯৬

	৫৭. আল-হাদীদ মাদানী	الحديد আয়াত: ২৯

	৫৮. আল-মুজাদালা মাদানী	المجادلة আয়াত: ২২

	৫৯. আল-হাশর মাদানী	الحشر আয়াত: ২৪

	৬০. আল-মুমতাহিনা মাদানী	الممتحنة আয়াত: ১৩

	৬১. আস-সফ মাদানী	الصف আয়াত: ১৪

	৬২. আল-জুমুআ মাদানী	الجمعة আয়াত: ১১

	৬৩. আল-মুনাফিকূন মাদানী	المنافقون আয়াত: ১১

	৬৪. আত-তাগাবুন মাদানী	التغابن আয়াত: ১৮

	৬৫. আত-ত্বলাক্ব মাদানী	الطلاق আয়াত: ১২

	৬৬. আত-তাহরীম মাদানী	التحريم আয়াত: ১২

	৬৭. আল-মুলক মাক্কী	الملك আয়াত: ৩০

	৬৮. আল-কলম মাক্কী	القلم আয়াত: ৫২

	৬৯. আল-হাক্কাহ মাক্কী	الحاقة আয়াত: ৫২

	৭০. আল-মাআরিজ মাক্কী	المعارج আয়াত: ৪৪

	৭১. নূহ মাক্কী	نوح আয়াত: ২৮

	৭২. আল-জ্বিন মাক্কী	الجن আয়াত: ২৯

	৭৩. আল-মুযযাম্মিল মাক্কী	المزمل আয়াত: ২০

	৭৪. আল-মুদ্দাসসির মাক্কী	المدثر আয়াত: ৫৬

	৭৫. আল-ক্বিয়ামাহ মাক্কী	القيامة আয়াত: ৪০

	৭৬. আল-ইনসান (আদ-দাহর) মাদানী	الانسان আয়াত: ৩১

	৭৭. আল-মুরসালাত মাক্কী	المرسلات আয়াত: ৫০

	৭৮. আন-নাবা মাক্কী	النبإ আয়াত: ৪০

	৭৯. আন-নাযিআত মাক্কী	النازعات আয়াত: ৪৬

	৮০. আবাসা মাক্কী	عبس আয়াত: ৪২

	৮১. আত-তাকভীর মাক্কী	التكوير আয়াত: ২৯

	৮২. আল-ইনফিতার মাক্কী	الإنفطار আয়াত: ১৯

	৮৩. আল-মুতাফফিফীন মাক্কী	المطففين আয়াত: ৩৬

	৮৪. আল-ইনশিকাক মাক্কী	الإنشقاق আয়াত: ২৫

	৮৫. আল-বুরুজ মাক্কী	البروج আয়াত: ২২

	৮৬. আত-তারিক মাক্কী	الطارق আয়াত: ১৭

	৮৭. আল-আলা মাক্কী	الأعلى আয়াত: ১৯

	৮৮. আল-গাশিয়া মাক্কী	الغاشية আয়াত: ২৬

	৮৯. আল-ফাজর মাক্কী	الفجر আয়াত: ৩০

	৯০. আল-বালাদ মাক্কী	البلد আয়াত: ২০

	৯১. আশ-শামস মাক্কী	الشمس আয়াত: ১৫

	৯২. আল-লাইল মাক্কী	الليل আয়াত: ২১

	৯৩. আদ-দুহা মাক্কী	الضحى আয়াত: ১১

	৯৪. আল-ইনশিরাহ মাক্কী	الشرح আয়াত: ৮

	৯৫. আত-ত্বীন মাক্কী	التين আয়াত: ৮

	৯৬. আল-আলাক মাক্কী	العلق আয়াত: ১৯

	৯৭. আল-কাদর মাক্কী	القدر আয়াত: ৫

	৯৮. আল-বায়্যিনাহ মাদানী	البينة আয়াত: ৮

	৯৯. আয-যিলযাল মাদানী	الزلزلة আয়াত: ৮

	১০০. আল-আদিয়াত মাক্কী	العاديات আয়াত: ১১

	১০১. আল-কারিআ মাক্কী	القارعة আয়াত: ১১

	১০২. আত-তাকাসুর মাক্কী	التكاثر আয়াত: ৮

	১০৩. আল-আসর মাক্কী	العصر আয়াত: ৩

	১০৪. আল-হুমাযা মাক্কী	الهمزة আয়াত: ৯

	১০৫. আল-ফীল মাক্কী	الفيل আয়াত: ৫

	১০৬. আল-কুরাইশ মাক্কী	قريش আয়াত: ৪

	১০৭. আল-মাঊন মাক্কী	الماعون আয়াত: ৭

	১০৮. আল-কাউসার মাক্কী	الكوثر আয়াত: ৩

	১০৯. কাফিরুন মাক্কী	الكافرون আয়াত: ৬

	১১০. আন-নাসর মাদানী	النصر আয়াত: ৩

	১১১. লাহাব মাক্কী	المسد আয়াত: ৫

	১১২. আল-ইখলাস মাক্কী	الإخلاص আয়াত: ৪

	১১৩. আল-ফালাক মাক্কী	الفلق আয়াত: ৫

	১১৪. আন-নাস মাক্কী	الناس আয়াত: ৬

সূরা: ৪১, হা-মীম আস-সাজদা (ফুসসিলাত) - ( فصلت)

সূরার ধরন:

মাক্কী , মোট আয়াত: ৬

حٰمٓ ۚ

১. অনুবাদ: হা-মীম।

تَنۡزِیۡلٌ مِّنَ الرَّحۡمٰنِ الرَّحِیۡمِ

২. অনুবাদ: (এ গ্রন্থ) পরম করুণাময় অসীম দয়ালুর পক্ষ থেকে নাযিলকৃত।

کِتٰبٌ فُصِّلَتۡ اٰیٰتُهٗ قُرۡاٰنًا عَرَبِیًّا لِّقَوۡمٍ یَّعۡلَمُوۡنَ ۙ

৩. অনুবাদ: এমন এক কিতাব, যার আয়াতগুলো জ্ঞানী কওমের জন্য বিশদভাবে বর্ণনা করা হয়েছে, কুরআনরূপে আরবী ভাষায়।

بَشِیۡرًا وَّ نَذِیۡرًا ۚ فَاَعۡرَضَ اَکۡثَرُهُمۡ فَهُمۡ لَا یَسۡمَعُوۡنَ

৪. অনুবাদ: সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী। অতঃপর তাদের অধিকাংশই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে, অতএব তারা শুনবে না।

وَ قَالُوۡا قُلُوۡبُنَا فِیۡۤ اَکِنَّۃٍ مِّمَّا تَدۡعُوۡنَاۤ اِلَیۡهِ وَ فِیۡۤ اٰذَانِنَا وَقۡرٌ وَّ مِنۡۢ بَیۡنِنَا وَ بَیۡنِکَ حِجَابٌ فَاعۡمَلۡ اِنَّنَا عٰمِلُوۡنَ ؓ

৫. অনুবাদ: আর তারা বলে, ‘তুমি আমাদেরকে যার প্রতি আহবান করছ সে বিষয়ে আমাদের অন্তরসমূহ আচ্ছাদিত, আমাদের কানের মধ্যে রয়েছে বধিরতা আর তোমার ও আমাদের মধ্যে রয়েছে অন্তরায়। অতএব তুমি (তোমার) কাজ কর, নিশ্চয় আমরা (আমাদের) কাজ করব।

قُلۡ اِنَّمَاۤ اَنَا بَشَرٌ مِّثۡلُکُمۡ یُوۡحٰۤی اِلَیَّ اَنَّمَاۤ اِلٰـهُکُمۡ اِلٰهٌ وَّاحِدٌ فَاسۡتَقِیۡمُوۡۤا اِلَیۡهِ وَ اسۡتَغۡفِرُوۡهُ ؕ وَ وَیۡلٌ لِّلۡمُشۡرِکِیۡنَ ۙ

৬. অনুবাদ: বল, ‘আমি কেবল তোমাদের মত একজন মানুষ। আমার কাছে ওহী পাঠানো হয় যে, তোমাদের ইলাহ কেবলমাত্র এক ইলাহ। অতএব তোমরা তাঁর পথে দৃঢ়ভাবে অটল থাক এবং তাঁর কাছে ক্ষমা চাও’। আর মুশরিকদের জন্য ধ্বংস,

الَّذِیۡنَ لَا یُؤۡتُوۡنَ الزَّکٰوۃَ وَ هُمۡ بِالۡاٰخِرَۃِ هُمۡ کٰفِرُوۡنَ

৭. অনুবাদ: যারা যাকাত দেয় না। আর তারাই আখিরাতের অস্বীকারকারী।

اِنَّ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ لَهُمۡ اَجۡرٌ غَیۡرُ مَمۡنُوۡنٍ

৮. অনুবাদ: নিশ্চয় যারা ঈমান আনে এবং সৎকাজ করে তাদের জন্য রয়েছে নিরবচ্ছিন্ন প্রতিদান।

قُلۡ اَئِنَّکُمۡ لَتَکۡفُرُوۡنَ بِالَّذِیۡ خَلَقَ الۡاَرۡضَ فِیۡ یَوۡمَیۡنِ وَ تَجۡعَلُوۡنَ لَهٗۤ اَنۡدَادًا ؕ ذٰلِکَ رَبُّ الۡعٰلَمِیۡنَ ۚ

৯. অনুবাদ: বল, ‘তোমরা কি তাঁকে অস্বীকার করবে যিনি দু’দিনে যমীন সৃষ্টি করেছেন? আর তোমরা কি তাঁর সমকক্ষ বানাতে চাচ্ছ? তিনিই সৃষ্টিকুলের রব’।

وَ جَعَلَ فِیۡهَا رَوَاسِیَ مِنۡ فَوۡقِهَا وَ بٰرَکَ فِیۡهَا وَ قَدَّرَ فِیۡهَاۤ اَقۡوَاتَهَا فِیۡۤ اَرۡبَعَۃِ اَیَّامٍ ؕ سَوَآءً لِّلسَّآئِلِیۡنَ

১০. অনুবাদ: আর তার উপরিভাগে তিনি দৃঢ় পর্বতমালা স্থাপন করেছেন এবং তাতে বরকত দিয়েছেন, আর তাতে চারদিনে প্রার্থীদের জন্য সমভাবে খাদ্য নিরূপণ করে দিয়েছেন।

ثُمَّ اسۡتَوٰۤی اِلَی السَّمَآءِ وَ هِیَ دُخَانٌ فَقَالَ لَهَا وَ لِلۡاَرۡضِ ائۡتِیَا طَوۡعًا اَوۡ کَرۡهًا ؕ قَالَتَاۤ اَتَیۡنَا طَآئِعِیۡنَ

১১. অনুবাদ: তারপর তিনি আসমানের দিকে মনোনিবেশ করেন। তা ছিল ধোঁয়া। তারপর তিনি আসমান ও যমীনকে বললেন, ‘তোমরা উভয়ে স্বেচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায় আস’। তারা উভয়ে বলল, ‘আমরা অনুগত হয়ে আসলাম’।

فَقَضٰهُنَّ سَبۡعَ سَمٰوَاتٍ فِیۡ یَوۡمَیۡنِ وَ اَوۡحٰی فِیۡ کُلِّ سَمَآءٍ اَمۡرَهَا ؕ وَ زَیَّنَّا السَّمَآءَ الدُّنۡیَا بِمَصَابِیۡحَ ٭ۖ وَ حِفۡظًا ؕ ذٰلِکَ تَقۡدِیۡرُ الۡعَزِیۡزِ الۡعَلِیۡمِ

১২. অনুবাদ: তারপর তিনি দু’দিনে আসমানসমূহকে সাত আসমানে পরিণত করলেন। আর প্রত্যেক আসমানে তার কার্যাবলী ওহীর মাধ্যমে জানিয়ে দিলেন। আর আমি নিকটবর্তী আসমানকে প্রদীপমালার দ্বারা সুসজ্জিত করেছি আর সুরক্ষিত করেছি। এ হল মহা পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞের নির্ধারণ।

فَاِنۡ اَعۡرَضُوۡا فَقُلۡ اَنۡذَرۡتُکُمۡ صٰعِقَۃً مِّثۡلَ صٰعِقَۃِ عَادٍ وَّ ثَمُوۡدَ

১৩. অনুবাদ: তবুও যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয় তাহলে তুমি বলে দাও, ‘আদ ও সামূদের ধ্বংসের মতই এক মহাধ্বংস সম্পর্কে আমি তোমাদেরকে সতর্ক করছি’।

اِذۡ جَآءَتۡهُمُ الرُّسُلُ مِنۡۢ بَیۡنِ اَیۡدِیۡهِمۡ وَ مِنۡ خَلۡفِهِمۡ اَلَّا تَعۡبُدُوۡۤا اِلَّا اللّٰهَ ؕ قَالُوۡا لَوۡ شَآءَ رَبُّنَا لَاَنۡزَلَ مَلٰٓئِکَۃً فَاِنَّا بِمَاۤ اُرۡسِلۡتُمۡ بِهٖ کٰفِرُوۡنَ

১৪. অনুবাদ: যখন তাদের অগ্র ও পশ্চাৎ থেকে রাসূলগণ তাদের কাছে এসে বলেছিল যে, ‘তোমরা আল্লাহ ছাড়া কারো ইবাদাত করো না’। তারা বলেছিল, ‘যদি আমাদের রব ইচ্ছা করতেন তাহলে অবশ্যই ফেরেশতা নাযিল করতেন। অতএব, তোমাদেরকে যা দিয়ে পাঠানো হয়েছে নিশ্চয় আমরা তা প্রত্যাখ্যান করলাম।

فَاَمَّا عَادٌ فَاسۡتَکۡبَرُوۡا فِی الۡاَرۡضِ بِغَیۡرِ الۡحَقِّ وَ قَالُوۡا مَنۡ اَشَدُّ مِنَّا قُوَّۃً ؕ اَوَ لَمۡ یَرَوۡا اَنَّ اللّٰهَ الَّذِیۡ خَلَقَهُمۡ هُوَ اَشَدُّ مِنۡهُمۡ قُوَّۃً ؕ وَ کَانُوۡا بِاٰیٰتِنَا یَجۡحَدُوۡنَ

১৫. অনুবাদ: আর ‘আদ সম্প্রদায়, তারা যমীনে অযথা অহঙ্কার করত এবং বলত, ‘আমাদের চেয়ে অধিক শক্তিশালী কে আছে’? তবে কি তারা লক্ষ্য করেনি যে, নিশ্চয় আল্লাহ যিনি তাদেরকে সৃষ্টি করেছেন তাদের চেয়ে অধিক শক্তিশালী? আর তারা আমার আয়াতগুলোকে অস্বীকার করত।

فَاَرۡسَلۡنَا عَلَیۡهِمۡ رِیۡحًا صَرۡصَرًا فِیۡۤ اَیَّامٍ نَّحِسَاتٍ لِّنُذِیۡقَهُمۡ عَذَابَ الۡخِزۡیِ فِی الۡحَیٰوۃِ الدُّنۡیَا ؕ وَ لَعَذَابُ الۡاٰخِرَۃِ اَخۡزٰی وَ هُمۡ لَا یُنۡصَرُوۡنَ

১৬. অনুবাদ: তারপর আমি তাদের উপর অশুভ দিনগুলোতে ঝঞ্ঝাবায়ু পাঠালাম যাতে তাদেরকে দুনিয়ার জীবনে লাঞ্ছনাদায়ক আযাব আস্বাদন করাতে পারি। আর আখিরাতের আযাব তো অধিকতর লাঞ্ছনাদায়ক এবং তাদেরকে সাহায্য করা হবে না।

وَ اَمَّا ثَمُوۡدُ فَهَدَیۡنٰهُمۡ فَاسۡتَحَبُّوا الۡعَمٰی عَلَی الۡهُدٰی فَاَخَذَتۡهُمۡ صٰعِقَۃُ الۡعَذَابِ الۡهُوۡنِ بِمَا کَانُوۡا یَکۡسِبُوۡنَ

১৭. অনুবাদ: আর সামূদ সম্প্রদায়, আমি তাদেরকে সঠিক পথের নির্দেশনা দিয়েছিলাম; কিন্তু তারা সঠিক পথে চলার পরিবর্তে অন্ধ পথে চলাই পছন্দ করেছিল। ফলে তাদের অর্জনের কারণেই লাঞ্ছনাদায়ক আযাবের বজ্রাঘাত তাদেরকে পাকড়াও করল।

وَ نَجَّیۡنَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَ کَانُوۡا یَتَّقُوۡنَ

১৮. অনুবাদ: আর আমি তাদেরকে রক্ষা করলাম যারা ঈমান এনেছিল এবং তাকওয়া অবলম্বন করত।

وَ یَوۡمَ یُحۡشَرُ اَعۡدَآءُ اللّٰهِ اِلَی النَّارِ فَهُمۡ یُوۡزَعُوۡنَ

১৯. অনুবাদ: আর যেদিন আল্লাহর দুশমনদেরকে আগুনের দিকে সমবেত করা হবে তখন তাদেরকে বিভিন্ন দলে বিন্যস্ত করা হবে।

حَتّٰۤی اِذَا مَا جَآءُوۡهَا شَهِدَ عَلَیۡهِمۡ سَمۡعُهُمۡ وَ اَبۡصَارُهُمۡ وَ جُلُوۡدُهُمۡ بِمَا کَانُوۡا یَعۡمَلُوۡنَ

২০. অনুবাদ: অবশেষে তারা যখন জাহান্নামের কাছে পৌঁছবে, তখন তাদের কান, তাদের চোখ ও তাদের চামড়া তাদের বিরুদ্ধে তাদের কৃতকর্ম সম্পর্কে সাক্ষ্য দেবে।

وَ قَالُوۡا لِجُلُوۡدِهِمۡ لِمَ شَهِدۡتُّمۡ عَلَیۡنَا ؕ قَالُوۡۤا اَنۡطَقَنَا اللّٰهُ الَّذِیۡۤ اَنۡطَقَ کُلَّ شَیۡءٍ وَّ هُوَ خَلَقَکُمۡ اَوَّلَ مَرَّۃٍ وَّ اِلَیۡهِ تُرۡجَعُوۡنَ

২১. অনুবাদ: আর তারা তাদের চামড়াগুলোকে বলবে, ‘কেন তোমরা আমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলে’? তারা বলবে, ‘আল্লাহ আমাদের বাকশক্তি দিয়েছেন যিনি সবকিছুকে বাকশক্তি দিয়েছেন। তিনি তোমাদেরকে প্রথমবার সৃষ্টি করেছেন এবং তাঁরই প্রতি তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে।’

وَ مَا کُنۡتُمۡ تَسۡتَتِرُوۡنَ اَنۡ یَّشۡهَدَ عَلَیۡکُمۡ سَمۡعُکُمۡ وَ لَاۤ اَبۡصَارُکُمۡ وَ لَا جُلُوۡدُکُمۡ وَ لٰکِنۡ ظَنَنۡتُمۡ اَنَّ اللّٰهَ لَا یَعۡلَمُ کَثِیۡرًا مِّمَّا تَعۡمَلُوۡنَ

২২. অনুবাদ: তোমরা কিছুই গোপন করতে না এই বিশ্বাসে যে, তোমাদের কান, চোখসমূহ ও চামড়াসমূহ তোমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে না, বরং তোমরা মনে করেছিলে যে, তোমরা যা কিছু করতে আল্লাহ তার অনেক কিছুই জানেন না।

وَ ذٰلِکُمۡ ظَنُّکُمُ الَّذِیۡ ظَنَنۡتُمۡ بِرَبِّکُمۡ اَرۡدٰىکُمۡ فَاَصۡبَحۡتُمۡ مِّنَ الۡخٰسِرِیۡنَ

২৩. অনুবাদ: আর তোমাদের এ ধারণা যা তোমরা তোমাদের রব সম্পর্কে পোষণ করতে, তাই তোমাদের ধ্বংস করেছে। ফলে তোমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেলে।

فَاِنۡ یَّصۡبِرُوۡا فَالنَّارُ مَثۡوًی لَّهُمۡ ۚ وَ اِنۡ یَّسۡتَعۡتِبُوۡا فَمَا هُمۡ مِّنَ الۡمُعۡتَبِیۡنَ

২৪. অনুবাদ: অতঃপর যদি তারা ধৈর্যধারণ করে তবে আগুনই হবে তাদের আবাস এবং যদি তারা আল্লাহকে সন্তুষ্ট করতে চায়, তবুও তারা আল্লাহর সন্তোষপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে না।

وَ قَیَّضۡنَا لَهُمۡ قُرَنَآءَ فَزَیَّنُوۡا لَهُمۡ مَّا بَیۡنَ اَیۡدِیۡهِمۡ وَ مَا خَلۡفَهُمۡ وَ حَقَّ عَلَیۡهِمُ الۡقَوۡلُ فِیۡۤ اُمَمٍ قَدۡ خَلَتۡ مِنۡ قَبۡلِهِمۡ مِّنَ الۡجِنِّ وَ الۡاِنۡسِ ۚ اِنَّهُمۡ کَانُوۡا خٰسِرِیۡنَ

২৫. অনুবাদ: আর আমি তাদের জন্য মন্দ সহচরবৃন্দ নির্ধারণ করে দিয়েছিলাম, যারা তাদের সামনে ও পিছনে যা আছে তা তাদের দৃষ্টিতে চাকচিক্যময় করে দিয়েছিল। আর তাদের উপরে আযাবের বাণী সত্যে পরিণত হল, তাদের পূর্বে গত হওয়া জিন ও মানুষের বিভিন্ন জাতির ন্যায়, নিশ্চয় এরা ছিল ক্ষতিগ্রস্ত।

وَ قَالَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا لَا تَسۡمَعُوۡا لِهٰذَا الۡقُرۡاٰنِ وَ الۡغَوۡا فِیۡهِ لَعَلَّکُمۡ تَغۡلِبُوۡنَ

২৬. অনুবাদ: আর কাফিররা বলে, ‘তোমরা এ কুরআনের নির্দেশ শুন না এবং এর আবৃত্তি কালে শোরগোল সৃষ্টি কর, যেন তোমরা জয়ী হতে পার।’

فَلَنُذِیۡقَنَّ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا عَذَابًا شَدِیۡدًا ۙ وَّ لَنَجۡزِیَنَّهُمۡ اَسۡوَاَ الَّذِیۡ کَانُوۡا یَعۡمَلُوۡنَ

২৭. অনুবাদ: সুতরাং আমি অবশ্যই কাফিরদেরকে কঠিন আযাব আস্বাদন করাব এবং আমি অবশ্যই তাদের কাজের নিকৃষ্টতম প্রতিদান দেব।

ذٰلِکَ جَزَآءُ اَعۡدَآءِ اللّٰهِ النَّارُ ۚ لَهُمۡ فِیۡهَا دَارُ الۡخُلۡدِ ؕ جَزَآءًۢ بِمَا کَانُوۡا بِاٰیٰتِنَا یَجۡحَدُوۡنَ

২৮. অনুবাদ: এই আগুন, আল্লাহর দুশমনদের প্রতিদান। সেখানে থাকবে তাদের জন্য স্থায়ী নিবাস তারা যে আমার আয়াতসমূহ অস্বীকার করত তারই প্রতিফলস্বরূপ।

وَ قَالَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا رَبَّنَاۤ اَرِنَا الَّذَیۡنِ اَضَلّٰنَا مِنَ الۡجِنِّ وَ الۡاِنۡسِ نَجۡعَلۡهُمَا تَحۡتَ اَقۡدَامِنَا لِیَکُوۡنَا مِنَ الۡاَسۡفَلِیۡنَ

২৯. অনুবাদ: আর কাফিররা বলবে, ‘হে আমাদের রব, জিন ও মানুষের মধ্যে যারা আমাদেরকে পথভ্রষ্ট করেছে তাদেরকে আমাদের দেখিয়ে দিন। আমরা তাদের উভয়কে আমাদের পায়ের নীচে রাখব, যাতে তারা নিকৃষ্টদের অন্তর্ভুক্ত হয়।

اِنَّ الَّذِیۡنَ قَالُوۡا رَبُّنَا اللّٰهُ ثُمَّ اسۡتَقَامُوۡا تَتَنَزَّلُ عَلَیۡهِمُ الۡمَلٰٓئِکَۃُ اَلَّا تَخَافُوۡا وَ لَا تَحۡزَنُوۡا وَ اَبۡشِرُوۡا بِالۡجَنَّۃِ الَّتِیۡ کُنۡتُمۡ تُوۡعَدُوۡنَ

৩০. অনুবাদ: নিশ্চয় যারা বলে, ‘আল্লাহই আমাদের রব’ অতঃপর অবিচল থাকে, ফেরেশতারা তাদের কাছে নাযিল হয় (এবং বলে,) ‘তোমরা ভয় পেয়ো না, দুশ্চিন্তা করো না এবং সেই জান্নাতের সুসংবাদ গ্রহণ কর তোমাদেরকে যার ওয়াদা দেয়া হয়েছিল’।

نَحۡنُ اَوۡلِیٰٓؤُکُمۡ فِی الۡحَیٰوۃِ الدُّنۡیَا وَ فِی الۡاٰخِرَۃِ ۚ وَ لَکُمۡ فِیۡهَا مَا تَشۡتَهِیۡۤ اَنۡفُسُکُمۡ وَ لَکُمۡ فِیۡهَا مَا تَدَّعُوۡنَ

৩১. অনুবাদ: ‘আমরা দুনিয়ার জীবনে তোমাদের বন্ধু এবং আখিরাতেও। সেখানে তোমাদের জন্য থাকবে যা তোমাদের মন চাইবে এবং সেখানে তোমাদের জন্য আরো থাকবে যা তোমরা দাবী করবে।

نُزُلًا مِّنۡ غَفُوۡرٍ رَّحِیۡمٍ

৩২. অনুবাদ: পরম ক্ষমাশীল ও অসীম দয়ালু আল্লাহর পক্ষ থেকে আপ্যায়নস্বরূপ।

وَ مَنۡ اَحۡسَنُ قَوۡلًا مِّمَّنۡ دَعَاۤ اِلَی اللّٰهِ وَ عَمِلَ صَالِحًا وَّ قَالَ اِنَّنِیۡ مِنَ الۡمُسۡلِمِیۡنَ

৩৩. অনুবাদ: আর তার চেয়ে কার কথা উত্তম, যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, অবশ্যই আমি মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত’?

وَ لَا تَسۡتَوِی الۡحَسَنَۃُ وَ لَا السَّیِّئَۃُ ؕ اِدۡفَعۡ بِالَّتِیۡ هِیَ اَحۡسَنُ فَاِذَا الَّذِیۡ بَیۡنَکَ وَ بَیۡنَهٗ عَدَاوَۃٌ کَاَنَّهٗ وَلِیٌّ حَمِیۡمٌ

৩৪. অনুবাদ: আর ভাল ও মন্দ সমান হতে পারে না। মন্দকে প্রতিহত কর তা দ্বারা যা উৎকৃষ্টতর, ফলে তোমার ও যার মধ্যে শত্রুতা রয়েছে সে যেন হয়ে যাবে তোমার অন্তরঙ্গ বন্ধু।

وَ مَا یُلَقّٰهَاۤ اِلَّا الَّذِیۡنَ صَبَرُوۡا ۚ وَ مَا یُلَقّٰهَاۤ اِلَّا ذُوۡحَظٍّ عَظِیۡمٍ

৩৫. অনুবাদ: আর এটি তারাই প্রাপ্ত হবে যারা ধৈর্যধারণ করবে, আর এর অধিকারী কেবল তারাই হয় যারা মহাভাগ্যবান।

وَ اِمَّا یَنۡزَغَنَّکَ مِنَ الشَّیۡطٰنِ نَزۡغٌ فَاسۡتَعِذۡ بِاللّٰهِ ؕ اِنَّهٗ هُوَ السَّمِیۡعُ الۡعَلِیۡمُ

৩৬. অনুবাদ: আর যদি শয়তানের পক্ষ থেকে কোন কুমন্ত্রণা কখনো তোমাকে প্ররোচিত করে, তাহলে তুমি আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করবে। নিশ্চয়ই তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞাতা।

وَ مِنۡ اٰیٰتِهِ الَّیۡلُ وَ النَّهَارُ وَ الشَّمۡسُ وَ الۡقَمَرُ ؕ لَا تَسۡجُدُوۡا لِلشَّمۡسِ وَ لَا لِلۡقَمَرِ وَ اسۡجُدُوۡا لِلّٰهِ الَّذِیۡ خَلَقَهُنَّ اِنۡ کُنۡتُمۡ اِیَّاهُ تَعۡبُدُوۡنَ

৩৭. অনুবাদ: আর তাঁর নিদর্শনসমূহের মধ্যে রয়েছে রাত ও দিন, সূর্য ও চাঁদ । তোমরা না সূর্যকে সিজদা করবে, না চাঁদকে। আর তোমরা আল্লাহকে সিজদা কর যিনি এগুলো সৃষ্টি করেছেন, যদি তোমরা কেবলমাত্র তাঁরই ইবাদাত কর।

( سُجود‎‎ ) فَاِنِ اسۡتَکۡبَرُوۡا فَالَّذِیۡنَ عِنۡدَ رَبِّکَ یُسَبِّحُوۡنَ لَهٗ بِالَّیۡلِ وَ النَّهَارِ وَ هُمۡ لَا یَسۡـَٔمُوۡنَ

৩৮. অনুবাদ: অতঃপর যদি এরা অহঙ্কার করেও তবে যারা তোমার রবের নিকটে রয়েছে তারা দিন-রাত তাঁরই তাসবীহ পাঠ করছে এবং তারা ক্লান্তি বোধ করে না। [সাজদাহ] ۩

وَ مِنۡ اٰیٰتِهٖۤ اَنَّکَ تَرَی الۡاَرۡضَ خَاشِعَۃً فَاِذَاۤ اَنۡزَلۡنَا عَلَیۡهَا الۡمَآءَ اهۡتَزَّتۡ وَ رَبَتۡ ؕ اِنَّ الَّذِیۡۤ اَحۡیَاهَا لَمُحۡیِ الۡمَوۡتٰی ؕ اِنَّهٗ عَلٰی کُلِّ شَیۡءٍ قَدِیۡرٌ

৩৯. অনুবাদ: তাঁর আরেকটি নিদর্শন হল এই যে, তুমি যমীনকে দেখতে পাও শুষ্ক-অনুর্বর, অতঃপর যখন আমি তার উপর পানি বর্ষণ করি তখন তা আন্দোলিত ও স্ফীত হয়। নিশ্চয়ই যিনি যমীনকে জীবিত করেন তিনি মৃতদেরও জীবিতকারী। নিশ্চয় তিনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান।

اِنَّ الَّذِیۡنَ یُلۡحِدُوۡنَ فِیۡۤ اٰیٰتِنَا لَا یَخۡفَوۡنَ عَلَیۡنَا ؕ اَفَمَنۡ یُّلۡقٰی فِی النَّارِ خَیۡرٌ اَمۡ مَّنۡ یَّاۡتِیۡۤ اٰمِنًا یَّوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ ؕ اِعۡمَلُوۡا مَا شِئۡتُمۡ ۙ اِنَّهٗ بِمَا تَعۡمَلُوۡنَ بَصِیۡرٌ

৪০. অনুবাদ: নিশ্চয় যারা আমার আয়াতসমূহ বিকৃত করে তারা আমার অগোচরে নয়। যে অগ্নিতে নিক্ষিপ্ত হবে সে কি উত্তম, না যে কিয়ামত দিবসে নিরাপদভাবে উপস্থিত হবে? তোমাদের যা ইচ্ছা আমল কর। নিশ্চয় তোমরা যা আমল কর তিনি তার সম্যক দ্রষ্টা।

اِنَّ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا بِالذِّکۡرِ لَمَّا جَآءَهُمۡ ۚ وَ اِنَّهٗ لَکِتٰبٌ عَزِیۡزٌ

৪১. অনুবাদ: নিশ্চয় যারা উপদেশ [কুরআন] আসার পরও তা অস্বীকার করে [ তাদেরকে অবশ্যই এর পরিণাম ভোগ করতে হবে]। আর এটি নিশ্চয় এক সম্মানিত গ্রন্থ।

لَّا یَاۡتِیۡهِ الۡبَاطِلُ مِنۡۢ بَیۡنِ یَدَیۡهِ وَ لَا مِنۡ خَلۡفِهٖ ؕ تَنۡزِیۡلٌ مِّنۡ حَکِیۡمٍ حَمِیۡدٍ

৪২. অনুবাদ: বাতিল এতে অনুপ্রবেশ করতে পারে না, না সামনে থেকে, না পিছন থেকে। এটি প্রজ্ঞাময়, সপ্রশংসিতের পক্ষ থেকে নাযিলকৃত।

مَا یُقَالُ لَکَ اِلَّا مَا قَدۡ قِیۡلَ لِلرُّسُلِ مِنۡ قَبۡلِکَ ؕ اِنَّ رَبَّکَ لَذُوۡ مَغۡفِرَۃٍ وَّ ذُوۡ عِقَابٍ اَلِیۡمٍ

৪৩. অনুবাদ: তোমাকে যা বলা হচ্ছে, তোমার পূর্ববর্তী রাসূলদেরকেও তাই বলা হয়েছিল। নিশ্চয় তোমার রব একান্তই ক্ষমাশীল এবং যন্ত্রণাদায়ক আযাব দাতা।

وَ لَوۡ جَعَلۡنٰهُ قُرۡاٰنًا اَعۡجَمِیًّا لَّقَالُوۡا لَوۡ لَا فُصِّلَتۡ اٰیٰتُهٗ ؕ ءَؔاَعۡجَمِیٌّ وَّ عَرَبِیٌّ ؕ قُلۡ هُوَ لِلَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا هُدًی وَّ شِفَآءٌ ؕ وَ الَّذِیۡنَ لَا یُؤۡمِنُوۡنَ فِیۡۤ اٰذَانِهِمۡ وَقۡرٌ وَّ هُوَ عَلَیۡهِمۡ عَمًی ؕ اُولٰٓئِکَ یُنَادَوۡنَ مِنۡ مَّکَانٍۭ بَعِیۡدٍ

৪৪. অনুবাদ: আর আমি যদি এটাকে অনারবী ভাষার কুরআন বানাতাম তবে তারা নিশ্চিতভাবেই বলত, ‘এর আয়াতসমূহ বিশদভাষায় বর্ণিত হয়নি কেন’? এটি অনারবী ভাষায় আর রাসূল আরবী ভাষী! বল, ‘এটি মুমিনদের জন্য হিদায়াত ও প্রতিষেধক। আর যারা ঈমান আনে না তাদের কানে রয়েছে বধিরতা আর কুরআন তাদের জন্য হবে অন্ধত্ব। তাদেরকেই ডাকা হবে দূরবর্তী স্থান থেকে।

وَ لَقَدۡ اٰتَیۡنَا مُوۡسَی الۡکِتٰبَ فَاخۡتُلِفَ فِیۡهِ ؕ وَ لَوۡ لَا کَلِمَۃٌ سَبَقَتۡ مِنۡ رَّبِّکَ لَقُضِیَ بَیۡنَهُمۡ ؕ وَ اِنَّهُمۡ لَفِیۡ شَکٍّ مِّنۡهُ مُرِیۡبٍ

৪৫. অনুবাদ: আর অবশ্যই আমি মূসাকে কিতাব দিয়েছিলাম। অতঃপর তাতে মতভেদ করা হয়। আর যদি তোমার রবের পক্ষ থেকে একটি বাণী পূর্বেই না হত, তবে এদের মধ্যে ফয়সালা হয়ে যেত। আর এরা নিশ্চয় সে সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর সংশয়েই লিপ্ত রয়েছে।

مَنۡ عَمِلَ صَالِحًا فَلِنَفۡسِهٖ وَ مَنۡ اَسَآءَ فَعَلَیۡهَا ؕ وَ مَا رَبُّکَ بِظَلَّامٍ لِّلۡعَبِیۡدِ

৪৬. অনুবাদ: যে সৎকর্ম করে সে তার নিজের জন্যই তা করে। আর যে অসৎকর্ম করে তা তার উপরই বর্তাবে। তোমার রব তাঁর বান্দাদের প্রতি মোটেই যালিম নন।

اِلَیۡهِ یُرَدُّ عِلۡمُ السَّاعَۃِ ؕ وَ مَا تَخۡرُجُ مِنۡ ثَمَرٰتٍ مِّنۡ اَکۡمَامِهَا وَ مَا تَحۡمِلُ مِنۡ اُنۡثٰی وَ لَا تَضَعُ اِلَّا بِعِلۡمِهٖ ؕ وَ یَوۡمَ یُنَادِیۡهِمۡ اَیۡنَ شُرَکَآءِیۡ ۙ قَالُوۡۤا اٰذَنّٰکَ ۙ مَا مِنَّا مِنۡ شَهِیۡدٍ

৪৭. অনুবাদ: কিয়ামতের জ্ঞান তাঁরই দিকে প্রত্যাবর্তিত হয়। তাঁর অজ্ঞাতসারে আবরণ হতে ফলসমূহ বের হয় না, কোন নারী গর্ভধারণ করে না এবং সন্তান প্রসবও করে না এবং সেদিন যখন তিনি তাদেরকে আহবান করে বলবেন, ‘আমার শরীকরা কোথায়?’ তারা বলবে, ‘আমরা আপনাকে জানাচ্ছি যে, এ ব্যাপারে আমাদের থেকে কোন সাক্ষী নেই।’

وَ ضَلَّ عَنۡهُمۡ مَّا کَانُوۡا یَدۡعُوۡنَ مِنۡ قَبۡلُ وَ ظَنُّوۡا مَا لَهُمۡ مِّنۡ مَّحِیۡصٍ

৪৮. অনুবাদ: আর পূর্বে যাদেরকে তারা ডাকত তারা তাদের কাছ থেকে উধাও হয়ে যাবে এবং তারা বিশ্বাস করবে, তাদের পলায়নের কোন জায়গা নেই।

لَا یَسۡـَٔمُ الۡاِنۡسَانُ مِنۡ دُعَآءِ الۡخَیۡرِ ۫ وَ اِنۡ مَّسَّهُ الشَّرُّ فَیَـُٔوۡسٌ قَنُوۡطٌ

৪৯. অনুবাদ: কল্যাণ প্রার্থনায় মানুষ বিরক্ত হয় না; আর যদি অকল্যাণ তাকে স্পর্শ করে তাহলে সে নিরাশ ও হতাশ হয়ে পড়ে।

وَ لَئِنۡ اَذَقۡنٰهُ رَحۡمَۃً مِّنَّا مِنۡۢ بَعۡدِ ضَرَّآءَ مَسَّتۡهُ لَیَقُوۡلَنَّ هٰذَا لِیۡ ۙ وَ مَاۤ اَظُنُّ السَّاعَۃَ قَآئِمَۃً ۙ وَّ لَئِنۡ رُّجِعۡتُ اِلٰی رَبِّیۡۤ اِنَّ لِیۡ عِنۡدَهٗ لَلۡحُسۡنٰی ۚ فَلَنُنَبِّئَنَّ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا بِمَا عَمِلُوۡا ۫ وَ لَنُذِیۡقَنَّهُمۡ مِّنۡ عَذَابٍ غَلِیۡظٍ

৫০. অনুবাদ: আবার আমি যদি তাকে আপতিত অকল্যাণের পর রহমতের স্বাদ আস্বাদন করাই তখন সে অবশ্যই বলে থাকে, ‘এটি আমার প্রাপ্য, আমার মনে হয় না কিয়ামত হবে, আমাকে যদি আমার রবের কাছে ফিরিয়েও নেয়া হয় তবুও তার কাছে আমার জন্য কল্যাণই থাকবে।’ (আল্লাহ বলেন) ‘আমি অবশ্যই কাফিরদেরকে তাদের আমল সম্পর্কে অবহিত করব এবং অবশ্যই তাদেরকে কঠিন আযাবের স্বাদ আস্বাদন করাব।

وَ اِذَاۤ اَنۡعَمۡنَا عَلَی الۡاِنۡسَانِ اَعۡرَضَ وَ نَاٰ بِجَانِبِهٖ ۚ وَ اِذَا مَسَّهُ الشَّرُّ فَذُوۡ دُعَآءٍ عَرِیۡضٍ

৫১. অনুবাদ: আর যখন আমি মানুষের প্রতি অনুগ্রহ করি তখন সে বিমুখ হয় এবং দূরে সরে যায়; আর যখন অকল্যাণ তাকে স্পর্শ করে তখন সে দীর্ঘ দোআকারী হয়।

قُلۡ اَرَءَیۡتُمۡ اِنۡ کَانَ مِنۡ عِنۡدِ اللّٰهِ ثُمَّ کَفَرۡتُمۡ بِهٖ مَنۡ اَضَلُّ مِمَّنۡ هُوَ فِیۡ شِقَاقٍۭ بَعِیۡدٍ

৫২. অনুবাদ: বল, ‘তোমরা কি লক্ষ্য করেছ, তা যদি (কুরআন) আল্লাহর কাছ থেকে এসে থাকে আর তোমরা তা অস্বীকার কর, তবে যে ব্যক্তি ঘোর বিরোধিতায় লিপ্ত তার চেয়ে অধিক ভ্রষ্ট আর কে’?

سَنُرِیۡهِمۡ اٰیٰتِنَا فِی الۡاٰفَاقِ وَ فِیۡۤ اَنۡفُسِهِمۡ حَتّٰی یَتَبَیَّنَ لَهُمۡ اَنَّهُ الۡحَقُّ ؕ اَوَ لَمۡ یَکۡفِ بِرَبِّکَ اَنَّهٗ عَلٰی کُلِّ شَیۡءٍ شَهِیۡدٌ

৫৩. অনুবাদ: বিশ্বজগতে ও তাদের নিজদের মধ্যে আমি তাদেরকে আমার নিদর্শনাবলী দেখাব যাতে তাদের কাছে সুস্পষ্ট হয় যে, এটি (কুরআন) সত্য; তোমার রবের জন্য এটাই যথেষ্ট নয় কি যে, তিনি সকল বিষয়ে সাক্ষী?

اَلَاۤ اِنَّهُمۡ فِیۡ مِرۡیَۃٍ مِّنۡ لِّقَآءِ رَبِّهِمۡ ؕ اَلَاۤ اِنَّهٗ بِکُلِّ شَیۡءٍ مُّحِیۡطٌ

৫৪. অনুবাদ: জেনে রাখ, নিশ্চয় তারা তাদের রবের সাক্ষাতের বিষয়ে সন্দেহে রয়েছে; জেনে রাখ, নিশ্চয় তিনি সবকিছুকে পরিবেষ্টন করে আছেন।

কপিরাইট

আমাদের সকল কন্টেন্ট কপিরাইট সংরক্ষিত
ডেভলোপারঃ মুহিব্বুল্লাহ
গোপনীয়তা নীতি

প্রিয় পাঠক

আমাদের সকল প্রজেক্টসমূহ সম্পূর্ণ ব্যাক্তি উদ্যোগে পরিচালিত, আপনাদের দোয়া ও সহযোগিতা দ্বীনের এই কাজকে আরও প্রসারিত করবে ইন-শা-আল্লাহ।

যোগাযোগ

[email protected]
Facebook
YouTube