Quranul Hakim - কুরআনুল হাকিম

সূরা তালিকা

	১. আল-ফাতিহা মাক্কী	الفاتحة আয়াত: ৭

	২. আল-বাকারা মাদানী	البقرة আয়াত: ২৮৬

	৩. আলে-ইমরান মাদানী	آل عمران আয়াত: ২০০

	৪. আন-নিসা মাদানী	النساء আয়াত: ১৭৬

	৫. আল-মায়েদা মাদানী	المائدة আয়াত: ১২০

	৬. আল-আনআম মাক্কী	الأنعام আয়াত: ১৬৫

	৭. আল-আরাফ মাক্কী	الأعراف আয়াত: ২০৬

	৮. আল-আনফাল মাদানী	الأنفال আয়াত: ৭৫

	৯. আত-তাওবা মাদানী	التوبة আয়াত: ১২৯

	১০. ইউনুস মাক্কী	يونس আয়াত: ১০৯

	১১. হূদ মাক্কী	هود আয়াত: ১২৩

	১২. ইউসুফ মাক্কী	يوسف আয়াত: ১১১

	১৩. আর-রাদ মাদানী	الرعد আয়াত: ৪৩

	১৪. ইবরাহীম মাক্কী	ابراهيم আয়াত: ৫২

	১৫. আল-হিজর মাক্কী	الحجر আয়াত: ৯৯

	১৬. আন-নাহাল মাক্কী	النحل আয়াত: ১২৮

	১৭. আল-ইসরা (বনী-ইসরাঈল) মাক্কী	الإسراء আয়াত: ১১১

	১৮. আল-কাহফ মাক্কী	الكهف আয়াত: ১১০

	১৯. মারইয়াম মাক্কী	مريم আয়াত: ৯৮

	২০. ত্ব-হা মাক্কী	طه আয়াত: ১৩৫

	২১. আল-আম্বিয়া মাক্কী	الأنبياء আয়াত: ১১২

	২২. আল-হজ্জ মাদানী	الحج আয়াত: ৭৮

	২৩. আল-মুমিনুন মাক্কী	المؤمنون আয়াত: ১১৮

	২৪. আন-নূর মাদানী	النور আয়াত: ৬৪

	২৫. আল-ফুরকান মাক্কী	الفرقان আয়াত: ৭৭

	২৬. আশ-শুআরা মাক্কী	الشعراء আয়াত: ২২৭

	২৭. আন-নামাল মাক্কী	النمل আয়াত: ৯৩

	২৮. আল-কাসাস মাক্কী	القصص আয়াত: ৮৮

	২৯. আল-আনকাবূত মাক্কী	العنكبوت আয়াত: ৬৯

	৩০. আর-রুম মাক্কী	الروم আয়াত: ৬০

	৩১. লুকমান মাক্কী	لقمان আয়াত: ৩৪

	৩২. আস-সাজদাহ মাক্কী	السجدة আয়াত: ৩০

	৩৩. আল-আহযাব মাদানী	الأحزاب আয়াত: ৭৩

	৩৪. সাবা মাক্কী	سبإ আয়াত: ৫৪

	৩৫. ফাতির মাক্কী	فاطر আয়াত: ৪৫

	৩৬. ইয়াসীন মাক্কী	يس আয়াত: ৮৩

	৩৭. আস-সাফফাত মাক্কী	الصافات আয়াত: ১৮২

	৩৮. সোয়াদ মাক্কী	ص আয়াত: ৮৮

	৩৯. আয-যুমার মাক্কী	الزمر আয়াত: ৭৫

	৪০. গাফির (আল মুমিন) মাক্কী	غافر আয়াত: ৮৫

	৪১. হা-মীম আস-সাজদা (ফুসসিলাত) মাক্কী	فصلت আয়াত: ৫৪

	৪২. আশ-শূরা মাক্কী	الشورى আয়াত: ৫৩

	৪৩. আয-যুখরুফ মাক্কী	الزخرف আয়াত: ৮৯

	৪৪. আদ-দুখান মাক্কী	الدخان আয়াত: ৫৯

	৪৫. আল-জাসিয়া মাক্কী	الجاثية আয়াত: ৩৭

	৪৬. আল-আহকাফ মাক্কী	الأحقاف আয়াত: ৩৫

	৪৭. মুহাম্মাদ মাদানী	محمد আয়াত: ৩৮

	৪৮. আল-ফাতহ মাদানী	الفتح আয়াত: ২৯

	৪৯. আল-হুজুরাত মাদানী	الحجرات আয়াত: ১৮

	৫০. কাফ মাক্কী	ق আয়াত: ৪৫

	৫১. আয-যারিয়াত মাক্কী	سورة الذاريات আয়াত: ৬০

	৫২. আত-তূর মাক্কী	الطور আয়াত: ৪৯

	৫৩. আন-নাজম মাক্কী	النجم আয়াত: ৬২

	৫৪. আল-কামার মাক্কী	القمر আয়াত: ৫৫

	৫৫. আর-রাহমান মাদানী	الرحمن আয়াত: ৭৮

	৫৬. আল-ওয়াকিয়া মাক্কী	الواقعة আয়াত: ৯৬

	৫৭. আল-হাদীদ মাদানী	الحديد আয়াত: ২৯

	৫৮. আল-মুজাদালা মাদানী	المجادلة আয়াত: ২২

	৫৯. আল-হাশর মাদানী	الحشر আয়াত: ২৪

	৬০. আল-মুমতাহিনা মাদানী	الممتحنة আয়াত: ১৩

	৬১. আস-সফ মাদানী	الصف আয়াত: ১৪

	৬২. আল-জুমুআ মাদানী	الجمعة আয়াত: ১১

	৬৩. আল-মুনাফিকূন মাদানী	المنافقون আয়াত: ১১

	৬৪. আত-তাগাবুন মাদানী	التغابن আয়াত: ১৮

	৬৫. আত-ত্বলাক্ব মাদানী	الطلاق আয়াত: ১২

	৬৬. আত-তাহরীম মাদানী	التحريم আয়াত: ১২

	৬৭. আল-মুলক মাক্কী	الملك আয়াত: ৩০

	৬৮. আল-কলম মাক্কী	القلم আয়াত: ৫২

	৬৯. আল-হাক্কাহ মাক্কী	الحاقة আয়াত: ৫২

	৭০. আল-মাআরিজ মাক্কী	المعارج আয়াত: ৪৪

	৭১. নূহ মাক্কী	نوح আয়াত: ২৮

	৭২. আল-জ্বিন মাক্কী	الجن আয়াত: ২৯

	৭৩. আল-মুযযাম্মিল মাক্কী	المزمل আয়াত: ২০

	৭৪. আল-মুদ্দাসসির মাক্কী	المدثر আয়াত: ৫৬

	৭৫. আল-ক্বিয়ামাহ মাক্কী	القيامة আয়াত: ৪০

	৭৬. আল-ইনসান (আদ-দাহর) মাদানী	الانسان আয়াত: ৩১

	৭৭. আল-মুরসালাত মাক্কী	المرسلات আয়াত: ৫০

	৭৮. আন-নাবা মাক্কী	النبإ আয়াত: ৪০

	৭৯. আন-নাযিআত মাক্কী	النازعات আয়াত: ৪৬

	৮০. আবাসা মাক্কী	عبس আয়াত: ৪২

	৮১. আত-তাকভীর মাক্কী	التكوير আয়াত: ২৯

	৮২. আল-ইনফিতার মাক্কী	الإنفطار আয়াত: ১৯

	৮৩. আল-মুতাফফিফীন মাক্কী	المطففين আয়াত: ৩৬

	৮৪. আল-ইনশিকাক মাক্কী	الإنشقاق আয়াত: ২৫

	৮৫. আল-বুরুজ মাক্কী	البروج আয়াত: ২২

	৮৬. আত-তারিক মাক্কী	الطارق আয়াত: ১৭

	৮৭. আল-আলা মাক্কী	الأعلى আয়াত: ১৯

	৮৮. আল-গাশিয়া মাক্কী	الغاشية আয়াত: ২৬

	৮৯. আল-ফাজর মাক্কী	الفجر আয়াত: ৩০

	৯০. আল-বালাদ মাক্কী	البلد আয়াত: ২০

	৯১. আশ-শামস মাক্কী	الشمس আয়াত: ১৫

	৯২. আল-লাইল মাক্কী	الليل আয়াত: ২১

	৯৩. আদ-দুহা মাক্কী	الضحى আয়াত: ১১

	৯৪. আল-ইনশিরাহ মাক্কী	الشرح আয়াত: ৮

	৯৫. আত-ত্বীন মাক্কী	التين আয়াত: ৮

	৯৬. আল-আলাক মাক্কী	العلق আয়াত: ১৯

	৯৭. আল-কাদর মাক্কী	القدر আয়াত: ৫

	৯৮. আল-বায়্যিনাহ মাদানী	البينة আয়াত: ৮

	৯৯. আয-যিলযাল মাদানী	الزلزلة আয়াত: ৮

	১০০. আল-আদিয়াত মাক্কী	العاديات আয়াত: ১১

	১০১. আল-কারিআ মাক্কী	القارعة আয়াত: ১১

	১০২. আত-তাকাসুর মাক্কী	التكاثر আয়াত: ৮

	১০৩. আল-আসর মাক্কী	العصر আয়াত: ৩

	১০৪. আল-হুমাযা মাক্কী	الهمزة আয়াত: ৯

	১০৫. আল-ফীল মাক্কী	الفيل আয়াত: ৫

	১০৬. আল-কুরাইশ মাক্কী	قريش আয়াত: ৪

	১০৭. আল-মাঊন মাক্কী	الماعون আয়াত: ৭

	১০৮. আল-কাউসার মাক্কী	الكوثر আয়াত: ৩

	১০৯. কাফিরুন মাক্কী	الكافرون আয়াত: ৬

	১১০. আন-নাসর মাদানী	النصر আয়াত: ৩

	১১১. লাহাব মাক্কী	المسد আয়াত: ৫

	১১২. আল-ইখলাস মাক্কী	الإخلاص আয়াত: ৪

	১১৩. আল-ফালাক মাক্কী	الفلق আয়াত: ৫

	১১৪. আন-নাস মাক্কী	الناس আয়াত: ৬

সূরা: ২৬, আশ-শুআরা - ( الشعراء)

সূরার ধরন:

মাক্কী , মোট আয়াত: ৬

طٰسٓمّٓ

১. অনুবাদ: ত্ব-সীন-মীম।

تِلۡکَ اٰیٰتُ الۡکِتٰبِ الۡمُبِیۡنِ

২. অনুবাদ: এগুলো সুস্পষ্ট কিতাবের আয়াত।

لَعَلَّکَ بَاخِعٌ نَّفۡسَکَ اَلَّا یَکُوۡنُوۡا مُؤۡمِنِیۡنَ

৩. অনুবাদ: তারা মুমিন হবে না বলে হয়ত তুমি আত্মবিনাশী হয়ে পড়বে।

اِنۡ نَّشَاۡ نُنَزِّلۡ عَلَیۡهِمۡ مِّنَ السَّمَآءِ اٰیَۃً فَظَلَّتۡ اَعۡنَاقُهُمۡ لَهَا خٰضِعِیۡنَ

৪. অনুবাদ: আমি ইচ্ছা করলে আসমান থেকে তাদের উপর এমন নিদর্শন অবতীর্ণ করতাম ফলে তার প্রতি তাদের ঘাড়গুলো নত হয়ে যেত।

وَ مَا یَاۡتِیۡهِمۡ مِّنۡ ذِکۡرٍ مِّنَ الرَّحۡمٰنِ مُحۡدَثٍ اِلَّا کَانُوۡا عَنۡهُ مُعۡرِضِیۡنَ

৫. অনুবাদ: আর যখনই তাদের কাছে পরম করুণাময়ের পক্ষ থেকে কোন নতুন উপদেশ আসে তখনই তারা তা থেকে বিমুখ হয়।

فَقَدۡ کَذَّبُوۡا فَسَیَاۡتِیۡهِمۡ اَنۡۢبٰٓؤُا مَا کَانُوۡا بِهٖ یَسۡتَهۡزِءُوۡنَ

৬. অনুবাদ: অতএব অবশ্যই তারা অস্বীকার করেছে। কাজেই তারা যা নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করত, তার সংবাদ অচিরেই তাদের কাছে এসে পড়বে।

اَوَ لَمۡ یَرَوۡا اِلَی الۡاَرۡضِ کَمۡ اَنۡۢبَتۡنَا فِیۡهَا مِنۡ کُلِّ زَوۡجٍ کَرِیۡمٍ

৭. অনুবাদ: তারা কি যমীনের প্রতি লক্ষ করেনি? আমি তাতে প্রত্যেক প্রকারের বহু উৎকৃষ্ট উদ্ভিদ উদগত করেছি।

اِنَّ فِیۡ ذٰلِکَ لَاٰیَۃً ؕوَ مَا کَانَ اَکۡثَرُ هُمۡ مُّؤۡمِنِیۡنَ

৮. অনুবাদ: নিশ্চয় এতে আছে নিদর্শন, আর তাদের অধিকাংশই মুমিন নয়।

وَ اِنَّ رَبَّکَ لَهُوَ الۡعَزِیۡزُ الرَّحِیۡمُ

৯. অনুবাদ: আর নিশ্চয় তোমার রব, তিনি তো মহা পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।

وَ اِذۡ نَادٰی رَبُّکَ مُوۡسٰۤی اَنِ ائۡتِ الۡقَوۡمَ الظّٰلِمِیۡنَ

১০. অনুবাদ: আর স্মরণ কর, যখন তোমার রব মূসাকে ডেকে বললেন, ‘তুমি যালিম সম্প্রদায়ের কাছে যাও’।

قَوۡمَ فِرۡعَوۡنَ ؕ اَلَا یَتَّقُوۡنَ

১১. অনুবাদ: ‘ফির‘আউনের সম্প্রদায়ের কাছে। তারা কি ভয় করবে না’?

قَالَ رَبِّ اِنِّیۡۤ اَخَافُ اَنۡ یُّکَذِّبُوۡنِ

১২. অনুবাদ: মূসা বলল, ‘হে আমার রব, আমি অবশ্যই আশঙ্কা করছি যে, তারা আমাকে অস্বীকার করবে’।

وَ یَضِیۡقُ صَدۡرِیۡ وَ لَا یَنۡطَلِقُ لِسَانِیۡ فَاَرۡسِلۡ اِلٰی هٰرُوۡنَ

১৩. অনুবাদ: ‘আর আমার বক্ষ সঙ্কুচিত হয়ে যাচ্ছে। আমার জিহবা চলছে না। সুতরাং আপনি হারুনের প্রতি ওহী পাঠান’।

وَ لَهُمۡ عَلَیَّ ذَنۡۢبٌ فَاَخَافُ اَنۡ یَّقۡتُلُوۡنِ

১৪. অনুবাদ: ‘আর আমার বিরুদ্ধে তাদের কাছে একটি অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। ফলে আমি আশঙ্কা করছি যে, তারা আমাকে হত্যা করে ফেলবে’।

قَالَ کَلَّا ۚ فَاذۡهَبَا بِاٰیٰتِنَاۤ اِنَّا مَعَکُمۡ مُّسۡتَمِعُوۡنَ

১৫. অনুবাদ: আল্লাহ বললেন, ‘কখনো নয়। তোমরা উভয়ে আমার নিদর্শনাদিসহ যাও। অবশ্যই আমি আছি তোমাদের সাথে শ্রবণকারী’।

فَاۡتِیَا فِرۡعَوۡنَ فَقُوۡلَاۤ اِنَّا رَسُوۡلُ رَبِّ الۡعٰلَمِیۡنَ

১৬. অনুবাদ: ‘সুতরাং তোমরা উভয়ে ফির‘আউনের কাছে গিয়ে বল, নিশ্চয় আমরা বিশ্বজগতের রবের রাসূল’।

اَنۡ اَرۡسِلۡ مَعَنَا بَنِیۡۤ اِسۡرَآءِیۡلَ

১৭. অনুবাদ: ‘যাতে তুমি বনী ইসরাঈলকে আমাদের সাথে পাঠাও’।

قَالَ اَلَمۡ نُرَبِّکَ فِیۡنَا وَلِیۡدًا وَّ لَبِثۡتَ فِیۡنَا مِنۡ عُمُرِکَ سِنِیۡنَ

১৮. অনুবাদ: ফির‘আউন বলল, ‘আমরা কি তোমাকে শৈশবে আমাদের মাঝে লালন পালন করিনি? আর তুমি তোমার জীবনের অনেক বছর আমাদের মধ্যে অবস্থান করেছ’।

وَ فَعَلۡتَ فَعۡلَتَکَ الَّتِیۡ فَعَلۡتَ وَ اَنۡتَ مِنَ الۡکٰفِرِیۡنَ

১৯. অনুবাদ: ‘আর তুমি তোমার কর্ম যা করার তা করেছ এবং তুমি অকৃতজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত’।

قَالَ فَعَلۡتُهَاۤ اِذًا وَّ اَنَا مِنَ الضَّآلِّیۡنَ

২০. অনুবাদ: মূসা বলল, ‘আমি এটি তখন করেছিলাম, যখন আমি ছিলাম বিভ্রান্ত’।

فَفَرَرۡتُ مِنۡکُمۡ لَمَّا خِفۡتُکُمۡ فَوَهَبَ لِیۡ رَبِّیۡ حُکۡمًا وَّ جَعَلَنِیۡ مِنَ الۡمُرۡسَلِیۡنَ

২১. অনুবাদ: ‘অতঃপর যখন আমি তোমাদেরকে ভয় করলাম, তখন আমি তোমাদের থেকে পালিয়ে গেলাম। তারপর আমার রব আমাকে প্রজ্ঞা দান করলেন এবং আমাকে রাসূলদের অন্তর্ভুক্ত করলেন’।

وَ تِلۡکَ نِعۡمَۃٌ تَمُنُّهَا عَلَیَّ اَنۡ عَبَّدۡتَّ بَنِیۡۤ اِسۡرَآءِیۡلَ

২২. অনুবাদ: ‘আর এই তো সে অনুগ্রহ যার খোঁটা তুমি আমাকে দিচ্ছ যে, তুমি বনী ইসরাঈলকে দাস বানিয়ে রেখেছ’।

قَالَ فِرۡعَوۡنُ وَ مَا رَبُّ الۡعٰلَمِیۡنَ

২৩. অনুবাদ: ফির‘আউন বলল, ‘সৃষ্টিকুলের রব কে?’

قَالَ رَبُّ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ وَ مَا بَیۡنَهُمَا ؕ اِنۡ کُنۡتُمۡ مُّوۡقِنِیۡنَ

২৪. অনুবাদ: মূসা বলল, ‘আসমানসমূহ ও যমীন এবং এতদোভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছুর রব, যদি তোমরা নিশ্চিত বিশ্বাসী হয়ে থাক।’

قَالَ لِمَنۡ حَوۡلَهٗۤ اَلَا تَسۡتَمِعُوۡنَ

২৫. অনুবাদ: ফির‘আউন তার আশেপাশে যারা ছিল তাদেরকে বলল, ‘তোমরা কি মনোযোগসহ শুনছ না’?

قَالَ رَبُّکُمۡ وَ رَبُّ اٰبَآئِکُمُ الۡاَوَّلِیۡنَ

২৬. অনুবাদ: মূসা বলল, ‘তিনি তোমাদের রব এবং তোমাদের পিতৃপুরুষদেরও রব’।

قَالَ اِنَّ رَسُوۡلَکُمُ الَّذِیۡۤ اُرۡسِلَ اِلَیۡکُمۡ لَمَجۡنُوۡنٌ

২৭. অনুবাদ: ফির‘আউন বলল, ‘তোমাদের কাছে প্রেরিত তোমাদের এই রাসূল নিশ্চয়ই পাগল’।

قَالَ رَبُّ الۡمَشۡرِقِ وَ الۡمَغۡرِبِ وَ مَا بَیۡنَهُمَا ؕ اِنۡ کُنۡتُمۡ تَعۡقِلُوۡنَ

২৮. অনুবাদ: মূসা বলল, ‘তিনি পূর্ব ও পশ্চিম এবং এতদোভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছুর রব, যদি তোমরা বুঝে থাক’।

قَالَ لَئِنِ اتَّخَذۡتَ اِلٰـهًا غَیۡرِیۡ لَاَجۡعَلَنَّکَ مِنَ الۡمَسۡجُوۡنِیۡنَ

২৯. অনুবাদ: ফির‘আউন বলল, ‘যদি তুমি আমাকে ছাড়া কাউকে ইলাহরূপে গ্রহণ কর, তাহলে অবশ্যই আমি তোমাকে কয়েদীদের অন্তর্ভুক্ত করব’।

قَالَ اَوَ لَوۡ جِئۡتُکَ بِشَیۡءٍ مُّبِیۡنٍ

৩০. অনুবাদ: মূসা বলল, ‘যদি আমি তোমার কাছে স্পষ্ট কোন বিষয় নিয়ে আসি, তবুও’?

قَالَ فَاۡتِ بِهٖۤ اِنۡ کُنۡتَ مِنَ الصّٰدِقِیۡنَ

৩১. অনুবাদ: ফির‘আউন বলল, ‘তুমি সত্যবাদী হয়ে থাকলে তা নিয়ে এসো’।

فَاَلۡقٰی عَصَاهُ فَاِذَا هِیَ ثُعۡبَانٌ مُّبِیۡنٌ

৩২. অনুবাদ: অতঃপর সে তার লাঠি ফেলে দিল, ফলে তৎক্ষণাৎ তা একটি স্পষ্ট অজগর হয়ে গেল।

وَّ نَزَعَ یَدَهٗ فَاِذَا هِیَ بَیۡضَآءُ لِلنّٰظِرِیۡنَ

৩৩. অনুবাদ: আর সে তার হাত বের করল, ফলে তা তৎক্ষণাৎ দর্শকদের সামনে উজ্জ্বল-সাদা হয়ে দেখা দিল।

قَالَ لِلۡمَلَاِ حَوۡلَهٗۤ اِنَّ هٰذَا لَسٰحِرٌ عَلِیۡمٌ

৩৪. অনুবাদ: ফির‘আউন তার আশপাশের পারিষদদের উদ্দেশ্যে বলল, ‘এ তো এক বিজ্ঞ যাদুকর।’

یُّرِیۡدُ اَنۡ یُّخۡرِجَکُمۡ مِّنۡ اَرۡضِکُمۡ بِسِحۡرِهٖ ٭ۖ فَمَا ذَا تَاۡمُرُوۡنَ

৩৫. অনুবাদ: ‘সে তোমাদেরকে তার যাদুর মাধ্যমে তোমাদের দেশ থেকে বের করতে চায়। অতএব, তোমরা আমাকে কী পরামর্শ দাও?’

قَالُوۡۤا اَرۡجِهۡ وَ اَخَاهُ وَ ابۡعَثۡ فِی الۡمَدَآئِنِ حٰشِرِیۡنَ

৩৬. অনুবাদ: তারা বলল, ‘তাকে ও তার ভাইকে কিছু সময়ের জন্য অবকাশ দাও, আর সংগ্রহকারীদেরকে নগরে-নগরে পাঠিয়ে দাও।’

یَاۡتُوۡکَ بِکُلِّ سَحَّارٍ عَلِیۡمٍ

৩৭. অনুবাদ: ‘তারা তোমার নিকট প্রত্যেক বিজ্ঞ যাদুকরকে নিয়ে আসুক’।

فَجُمِعَ السَّحَرَۃُ لِمِیۡقَاتِ یَوۡمٍ مَّعۡلُوۡمٍ

৩৮. অনুবাদ: অতঃপর এক নির্ধারিত দিনের নির্দিষ্ট সময়ে যাদুকরদের একত্র করা হল।

وَّ قِیۡلَ لِلنَّاسِ هَلۡ اَنۡتُمۡ مُّجۡتَمِعُوۡنَ

৩৯. অনুবাদ: আর লোকদের বলা হল, ‘তোমরা কি সমবেত হবে?’

لَعَلَّنَا نَتَّبِعُ السَّحَرَۃَ اِنۡ کَانُوۡا هُمُ الۡغٰلِبِیۡنَ

৪০. অনুবাদ: ‘যাতে আমরা যাদুকরদের অনুসরণ করতে পারি, যদি তারা বিজয়ী হয়’।

فَلَمَّا جَآءَ السَّحَرَۃُ قَالُوۡا لِفِرۡعَوۡنَ اَئِنَّ لَنَا لَاَجۡرًا اِنۡ کُنَّا نَحۡنُ الۡغٰلِبِیۡنَ

৪১. অনুবাদ: অতঃপর যখন যাদুকররা আসল,তারা ফির‘আউনকে বলল,‘যদি আমরাই বিজয়ী হই, তবে আমাদের জন্য কি সত্যিই পুরস্কার আছে?’

قَالَ نَعَمۡ وَ اِنَّکُمۡ اِذًا لَّمِنَ الۡمُقَرَّبِیۡنَ

৪২. অনুবাদ: সে বলল, ‘হ্যাঁ এবং নিশ্চয় তোমরা তখন আমার ঘনিষ্টজনদের অন্তর্ভুক্ত হবে’।

قَالَ لَهُمۡ مُّوۡسٰۤی اَلۡقُوۡا مَاۤ اَنۡتُمۡ مُّلۡقُوۡنَ

৪৩. অনুবাদ: মূসা তাদের বলল, ‘তোমরা যা নিক্ষেপ করার তা নিক্ষেপ কর’।

فَاَلۡقَوۡا حِبَالَهُمۡ وَ عِصِیَّهُمۡ وَ قَالُوۡا بِعِزَّۃِ فِرۡعَوۡنَ اِنَّا لَنَحۡنُ الۡغٰلِبُوۡنَ

৪৪. অনুবাদ: অতঃপর তারা তাদের রশি ও লাঠি নিক্ষেপ করল এবং বলল, ‘ফির‘আউনের মর্যাদার কসম! অবশ্যই আমরা বিজয়ী হব।’

فَاَلۡقٰی مُوۡسٰی عَصَاهُ فَاِذَا هِیَ تَلۡقَفُ مَا یَاۡفِکُوۡنَ

৪৫. অনুবাদ: তারপর মূসা তার লাঠি ফেলল, ফলে তৎক্ষণাৎ তা তাদের মিথ্যা প্রদর্শনীগুলো গ্রাস করে ফেলল।

فَاُلۡقِیَ السَّحَرَۃُ سٰجِدِیۡنَ

৪৬. অনুবাদ: ফলে যাদুকররা সিজদাবনত হয়ে পড়ল।

قَالُوۡۤا اٰمَنَّا بِرَبِّ الۡعٰلَمِیۡنَ

৪৭. অনুবাদ: তারা বলল, ‘আমরা ঈমান আনলাম সকল সৃষ্টির রবের প্রতি’।

رَبِّ مُوۡسٰی وَ هٰرُوۡنَ

৪৮. অনুবাদ: ‘মূসা ও হারুনের রব’।

قَالَ اٰمَنۡتُمۡ لَهٗ قَبۡلَ اَنۡ اٰذَنَ لَکُمۡ ۚ اِنَّهٗ لَکَبِیۡرُکُمُ الَّذِیۡ عَلَّمَکُمُ السِّحۡرَ ۚ فَلَسَوۡفَ تَعۡلَمُوۡنَ ۬ؕ لَاُقَطِّعَنَّ اَیۡدِیَکُمۡ وَ اَرۡجُلَکُمۡ مِّنۡ خِلَافٍ وَّ لَاُوصَلِّبَنَّکُمۡ اَجۡمَعِیۡنَ

৪৯. অনুবাদ: ফির‘আউন বলল, ‘আমি তোমাদেরকে অনুমতি দেয়ার পূর্বেই তোমরা তার প্রতি ঈমান আনলে? নিশ্চয় সে তোমাদের গুরু যে তোমাদের যাদু শিক্ষা দিয়েছে। অতএব অচিরেই তোমরা জানতে পারবে। আমি অবশ্যই তোমাদের হাতসমূহ ও তোমাদের পাসমূহ বিপরীত দিক থেকে কেটে ফেলব এবং অবশ্যই তোমাদের সকলকে শূলিবিদ্ধ করব’।

قَالُوۡا لَا ضَیۡرَ ۫ اِنَّاۤ اِلٰی رَبِّنَا مُنۡقَلِبُوۡنَ

৫০. অনুবাদ: তারা বলল, ‘কোন ক্ষতি নেই তাতে। অবশ্যই আমরা তো আমাদের রবের দিকেই ফিরে যাব।’

اِنَّا نَطۡمَعُ اَنۡ یَّغۡفِرَ لَنَا رَبُّنَا خَطٰیٰنَاۤ اَنۡ کُنَّاۤ اَوَّلَ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ

৫১. অনুবাদ: ‘আমরা আশা করি যে, আমাদের রব আমাদের অপরাধসমূহ ক্ষমা করে দেবেন, কারণ আমরা মুমিনদের মধ্যে প্রথম।’

وَ اَوۡحَیۡنَاۤ اِلٰی مُوۡسٰۤی اَنۡ اَسۡرِ بِعِبَادِیۡۤ اِنَّکُمۡ مُّتَّبَعُوۡنَ

৫২. অনুবাদ: আর আমি মূসার প্রতি এ মর্মে ওহী পাঠিয়েছিলাম যে, ‘আমার বান্দাদের নিয়ে রাত্রিকালে যাত্রা শুরু কর, নিশ্চয়ই তোমাদের পিছু নেয়া হবে।’

فَاَرۡسَلَ فِرۡعَوۡنُ فِی الۡمَدَآئِنِ حٰشِرِیۡنَ

৫৩. অনুবাদ: অতঃপর ফির‘আউন নগরে- নগরে একত্রকারীদেরকে পাঠাল।

اِنَّ هٰۤؤُلَآءِ لَشِرۡ ذِمَۃٌ قَلِیۡلُوۡنَ

৫৪. অনুবাদ: ‘নিশ্চয়ই এরা তো ক্ষুদ্র একটি দল।’

وَ اِنَّهُمۡ لَنَا لَغَآئِظُوۡنَ

৫৫. অনুবাদ: ‘আর এরা অবশ্যই আমাদের ক্রোধের উদ্রেক ঘটিয়েছে।’

وَ اِنَّا لَجَمِیۡعٌ حٰذِرُوۡنَ

৫৬. অনুবাদ: ‘আর আমরা সবাই তো যথেষ্ট সতর্ক।’

فَاَخۡرَجۡنٰهُمۡ مِّنۡ جَنّٰتٍ وَّ عُیُوۡنٍ

৫৭. অনুবাদ: তারপর আমি তাদেরকে উদ্যানমালা ও ঝর্ণাধারাসমূহ থেকে বের করে আনলাম।

وَّ کُنُوۡزٍ وَّ مَقَامٍ کَرِیۡمٍ

৫৮. অনুবাদ: আর ধনভান্ডার ও মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান থেকে।

کَذٰلِکَ ؕ وَ اَوۡرَثۡنٰهَا بَنِیۡۤ اِسۡرَآءِیۡلَ

৫৯. অনুবাদ: এরূপই এবং আমি বনী ইসরাঈলকে এসবের ওয়ারিস বানিয়েছিলাম।

فَاَتۡبَعُوۡهُمۡ مُّشۡرِقِیۡنَ

৬০. অনুবাদ: তারপর তারা সূর্যোদয়ের প্রাক্কালে তাদের পিছু নিল।

فَلَمَّا تَرَآءَ الۡجَمۡعٰنِ قَالَ اَصۡحٰبُ مُوۡسٰۤی اِنَّا لَمُدۡرَکُوۡنَ

৬১. অনুবাদ: অতঃপর যখন উভয় দল পরস্পরকে দেখল, তখন মূসার সাথীরা বলল, অবশ্যই ‘আমরা ধরা পড়ে গেলাম!’

قَالَ کَلَّا ۚ اِنَّ مَعِیَ رَبِّیۡ سَیَهۡدِیۡنِ

৬২. অনুবাদ: মূসা বলল, ‘কক্ষনো নয়; আমার সাথে আমার রব রয়েছেন। নিশ্চয় অচিরেই তিনি আমাকে পথনির্দেশ দেবেন’।

فَاَوۡحَیۡنَاۤ اِلٰی مُوۡسٰۤی اَنِ اضۡرِبۡ بِّعَصَاکَ الۡبَحۡرَ ؕ فَانۡفَلَقَ فَکَانَ کُلُّ فِرۡقٍ کَالطَّوۡدِ الۡعَظِیۡمِ

৬৩. অনুবাদ: অতঃপর আমি মূসার প্রতি ওহী পাঠালাম, ‘তোমার লাঠি দ্বারা সমুদ্রে আঘাত কর।’ ফলে তা বিভক্ত হয়ে গেল। তারপর প্রত্যেক ভাগ বিশাল পাহাড়সদৃশ হয়ে গেল।

وَ اَزۡلَفۡنَا ثَمَّ الۡاٰخَرِیۡنَ

৬৪. অনুবাদ: আর আমি অপর দলটিকে সেই জায়গায় নিকটবর্তী করলাম,

وَ اَنۡجَیۡنَا مُوۡسٰی وَ مَنۡ مَّعَهٗۤ اَجۡمَعِیۡنَ

৬৫. অনুবাদ: আর আমি মূসা ও তার সাথে যারা ছিল সকলকে উদ্ধার করলাম,

ثُمَّ اَغۡرَقۡنَا الۡاٰخَرِیۡنَ

৬৬. অনুবাদ: তারপর অপর দলটিকে ডুবিয়ে দিলাম।

اِنَّ فِیۡ ذٰلِکَ لَاٰیَۃً ؕ وَ مَا کَانَ اَکۡثَرُهُمۡ مُّؤۡمِنِیۡنَ

৬৭. অনুবাদ: নিশ্চয় এর মধ্যে রয়েছে নিদর্শন। আর তাদের অধিকাংশই মুমিন নয়।

وَ اِنَّ رَبَّکَ لَهُوَ الۡعَزِیۡزُ الرَّحِیۡمُ

৬৮. অনুবাদ: আর নিশ্চয় তোমার রব তো মহাপরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।

وَ اتۡلُ عَلَیۡهِمۡ نَبَاَ اِبۡرٰهِیۡمَ

৬৯. অনুবাদ: আর তুমি তাদের নিকট ইবরাহীমের ঘটনা বর্ণনা কর,

اِذۡ قَالَ لِاَبِیۡهِ وَ قَوۡمِهٖ مَا تَعۡبُدُوۡنَ

৭০. অনুবাদ: যখন সে তার পিতা ও তার কওমকে বলেছিল, ‘তোমরা কিসের ইবাদাত কর?’

قَالُوۡا نَعۡبُدُ اَصۡنَامًا فَنَظَلُّ لَهَا عٰکِفِیۡنَ

৭১. অনুবাদ: তারা বলল, ‘আমরা মূর্তির পূজা করি। অতঃপর এগুলোর পূজায় আমরা নিষ্ঠার সাথে রত থাকি’।

قَالَ هَلۡ یَسۡمَعُوۡنَکُمۡ اِذۡ تَدۡعُوۡنَ

৭২. অনুবাদ: সে বলল, ‘যখন তোমরা ডাক তখন তারা কি তোমাদের সে ডাক শুনতে পায়?’

اَوۡ یَنۡفَعُوۡنَکُمۡ اَوۡ یَضُرُّوۡنَ

৭৩. অনুবাদ: ‘অথবা তারা কি তোমাদের উপকার কিংবা ক্ষতি করতে পারে’?

قَالُوۡا بَلۡ وَجَدۡنَاۤ اٰبَآءَنَا کَذٰلِکَ یَفۡعَلُوۡنَ

৭৪. অনুবাদ: তারা বলল, ‘বরং আমরা আমাদের পিতৃপুরুষদের পেয়েছি, তারা এরূপই করত’।

قَالَ اَفَرَءَیۡتُمۡ مَّا کُنۡتُمۡ تَعۡبُدُوۡنَ

৭৫. অনুবাদ: ইবরাহীম বলল, ‘তোমরা কি তাদের সম্পর্কে ভেবে দেখেছ, তোমরা যাদের পূজা কর’।

اَنۡتُمۡ وَ اٰبَآؤُکُمُ الۡاَقۡدَمُوۡنَ

৭৬. অনুবাদ: ‘তোমরা এবং তোমাদের অতীত পিতৃপুরুষেরা?’

فَاِنَّهُمۡ عَدُوٌّ لِّیۡۤ اِلَّا رَبَّ الۡعٰلَمِیۡنَ

৭৭. অনুবাদ: ‘সকল সৃষ্টির রব ছাড়া অবশ্যই তারা আমার শত্রু’।

الَّذِیۡ خَلَقَنِیۡ فَهُوَ یَهۡدِیۡنِ

৭৮. অনুবাদ: ‘যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর তিনিই আমাকে হিদায়াত দিয়েছেন।’

وَ الَّذِیۡ هُوَ یُطۡعِمُنِیۡ وَ یَسۡقِیۡنِ

৭৯. অনুবাদ: ‘আর যিনি আমাকে খাওয়ান এবং পান করান’।

وَ اِذَا مَرِضۡتُ فَهُوَ یَشۡفِیۡنِ

৮০. অনুবাদ: ‘আর যখন আমি অসুস্থ হই, তখন যিনি আমাকে আরোগ্য করেন’।

وَ الَّذِیۡ یُمِیۡتُنِیۡ ثُمَّ یُحۡیِیۡنِ

৮১. অনুবাদ: ‘আর যিনি আমার মৃত্যু ঘটাবেন তারপর আমাকে জীবিত করবেন’।

وَ الَّذِیۡۤ اَطۡمَعُ اَنۡ یَّغۡفِرَ لِیۡ خَطِیۡٓئَتِیۡ یَوۡمَ الدِّیۡنِ

৮২. অনুবাদ: ‘আর যিনি আশা করি, বিচার দিবসে আমার ত্রুটি-বিচ্যুতি ক্ষমা করে দেবেন’।

رَبِّ هَبۡ لِیۡ حُکۡمًا وَّ اَلۡحِقۡنِیۡ بِالصّٰلِحِیۡنَ

৮৩. অনুবাদ: ‘হে আমার রব, আমাকে প্রজ্ঞা দান করুন এবং আমাকে সৎকর্মশীলদের সাথে শামিল করে দিন’।

وَ اجۡعَلۡ لِّیۡ لِسَانَ صِدۡقٍ فِی الۡاٰخِرِیۡنَ

৮৪. অনুবাদ: ‘এবং পরবর্তীদের মধ্যে আমার সুনাম-সুখ্যাতি অব্যাহত রাখুন’,

وَ اجۡعَلۡنِیۡ مِنۡ وَّرَثَۃِ جَنَّۃِ النَّعِیۡمِ

৮৫. অনুবাদ: ‘আর আপনি আমাকে সুখময় জান্নাতের ওয়ারিসদের অন্তর্ভুক্ত করুন’।

وَ اغۡفِرۡ لِاَبِیۡۤ اِنَّهٗ کَانَ مِنَ الضَّآلِّیۡنَ

৮৬. অনুবাদ: ‘আর আমার পিতাকে ক্ষমা করুন; নিশ্চয় সে পথভ্রষ্টদের অন্তর্ভুক্ত ছিল’।

وَ لَا تُخۡزِنِیۡ یَوۡمَ یُبۡعَثُوۡنَ

৮৭. অনুবাদ: ‘আর যেদিন পুনরুত্থিত করা হবে সেদিন আমাকে লাঞ্ছিত করবেন না’।

یَوۡمَ لَا یَنۡفَعُ مَالٌ وَّ لَا بَنُوۡنَ

৮৮. অনুবাদ: ‘যেদিন ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি কোন উপকারে আসবে না’।

اِلَّا مَنۡ اَتَی اللّٰهَ بِقَلۡبٍ سَلِیۡمٍ

৮৯. অনুবাদ: ‘তবে যে আল্লাহর কাছে আসবে সুস্থ অন্তরে’।

وَ اُزۡلِفَتِ الۡجَنَّۃُ لِلۡمُتَّقِیۡنَ

৯০. অনুবাদ: আর মুত্তাকীদের জন্য জান্নাত নিকটবর্তী করা হবে,

وَ بُرِّزَتِ الۡجَحِیۡمُ لِلۡغٰوِیۡنَ

৯১. অনুবাদ: এবং পথভ্রষ্টকারীদের জন্য জাহান্নাম উন্মোচিত করা হবে।

وَ قِیۡلَ لَهُمۡ اَیۡنَمَا کُنۡتُمۡ تَعۡبُدُوۡنَ

৯২. অনুবাদ: আর তাদেরকে বলা হবে, ‘তারা কোথায় যাদের তোমরা ইবাদাত করতে’?

مِنۡ دُوۡنِ اللّٰهِ ؕ هَلۡ یَنۡصُرُوۡنَکُمۡ اَوۡ یَنۡتَصِرُوۡنَ

৯৩. অনুবাদ: আল্লাহ ছাড়া? তারা কি তোমাদেরকে সাহায্য করছে, না নিজেদের সাহায্য করতে পারছে?

فَکُبۡکِبُوۡا فِیۡهَا هُمۡ وَ الۡغَاوٗنَ

৯৪. অনুবাদ: অতঃপর তাদেরকে এবং পথভ্রষ্টকারীদেরকে উপুড় করে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে,

وَ جُنُوۡدُ اِبۡلِیۡسَ اَجۡمَعُوۡنَ

৯৫. অনুবাদ: আর ইবলীসের সকল সৈন্যবাহিনীকে।

قَالُوۡا وَ هُمۡ فِیۡهَا یَخۡتَصِمُوۡنَ

৯৬. অনুবাদ: সেখানে পরস্পর ঝগড়া করতে গিয়ে তারা বলবে,

تَاللّٰهِ اِنۡ کُنَّا لَفِیۡ ضَلٰلٍ مُّبِیۡنٍ

৯৭. অনুবাদ: আল্লাহর কসম! আমরা তো সুস্পষ্ট পথভ্রষ্টতায় নিমজ্জিত ছিলাম,

اِذۡ نُسَوِّیۡکُمۡ بِرَبِّ الۡعٰلَمِیۡنَ

৯৮. অনুবাদ: ‘যখন আমরা তোমাদেরকে সকল সৃষ্টির রবের সমকক্ষ বানাতাম’।

وَ مَاۤ اَضَلَّنَاۤ اِلَّا الۡمُجۡرِمُوۡنَ

৯৯. অনুবাদ: ‘আর অপরাধীরাই শুধু আমাদেরকে পথভ্রষ্ট করেছিল’;

فَمَا لَنَا مِنۡ شَافِعِیۡنَ

১০০. অনুবাদ: ‘অতএব, আমাদের কোন সুপারিশকারী নেই’।

وَ لَا صَدِیۡقٍ حَمِیۡمٍ

১০১. অনুবাদ: ‘এবং কোন অন্তরঙ্গ বন্ধুও নেই’।

فَلَوۡ اَنَّ لَنَا کَرَّۃً فَنَکُوۡنَ مِنَ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ

১০২. অনুবাদ: ‘হায়, আমাদের যদি আরেকটি সুযোগ হত, তবে আমরা মুমিনদের অর্ন্তভুক্ত হতাম’।

اِنَّ فِیۡ ذٰلِکَ لَاٰیَۃً ؕ وَ مَا کَانَ اَکۡثَرُهُمۡ مُّؤۡمِنِیۡنَ

১০৩. অনুবাদ: নিশ্চয় এতে রয়েছে নিদর্শন, আর তাদের অধিকাংশ মুমিন নয়।

وَ اِنَّ رَبَّکَ لَهُوَ الۡعَزِیۡزُ الرَّحِیۡمُ

১০৪. অনুবাদ: আর নিশ্চয় তোমার রব, তিনি তো মহাপরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।

کَذَّبَتۡ قَوۡمُ نُوۡحِۣ الۡمُرۡسَلِیۡنَ

১০৫. অনুবাদ: নূহ-এর কওম রাসূলদেরকে অস্বীকার করেছিল।

اِذۡ قَالَ لَهُمۡ اَخُوۡهُمۡ نُوۡحٌ اَلَا تَتَّقُوۡنَ

১০৬. অনুবাদ: যখন তাদের ভাই নূহ তাদেরকে বলেছিল, ‘তোমরা কি তাকওয়া অবলম্বন করবে না’?

اِنِّیۡ لَکُمۡ رَسُوۡلٌ اَمِیۡنٌ

১০৭. অনুবাদ: ‘নিশ্চয় আমি তোমাদের জন্য একজন বিশ্বস্ত রাসূল’।

فَاتَّقُوا اللّٰهَ وَ اَطِیۡعُوۡنِ

১০৮. অনুবাদ: ‘সুতরাং তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর এবং আমার আনুগত্য কর’।

وَ مَاۤ اَسۡـَٔلُکُمۡ عَلَیۡهِ مِنۡ اَجۡرٍ ۚ اِنۡ اَجۡرِیَ اِلَّا عَلٰی رَبِّ الۡعٰلَمِیۡنَ

১০৯. অনুবাদ: ‘আর এর উপর আমি তোমাদের কাছে কোন পারিশ্রমিক চাই না; আমার প্রতিদান শুধু সৃষ্টিকুলের রবের নিকট’।

فَاتَّقُوا اللّٰهَ وَ اَطِیۡعُوۡنِ

১১০. অনুবাদ: ‘সুতরাং তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর এবং আমার আনুগত্য কর’।

قَالُوۡۤا اَنُؤۡمِنُ لَکَ وَ اتَّبَعَکَ الۡاَرۡذَلُوۡنَ

১১১. অনুবাদ: ‘তারা বলল, ‘আমরা কি তোমার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করব, অথচ নিম্নশ্রেণীর লোকেরা তোমাকে অনুসরণ করছে’?

قَالَ وَ مَا عِلۡمِیۡ بِمَا کَانُوۡا یَعۡمَلُوۡنَ

১১২. অনুবাদ: নূহ বলল, ‘তারা কি করে তা জানা আমার কী প্রয়োজন’?

اِنۡ حِسَابُهُمۡ اِلَّا عَلٰی رَبِّیۡ لَوۡ تَشۡعُرُوۡنَ

১১৩. অনুবাদ: ‘তাদের হিসাব গ্রহণ তো কেবল আমার রবের দায়িত্বে, যদি তোমরা জানতে’।

وَ مَاۤ اَنَا بِطَارِدِ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ

১১৪. অনুবাদ: ‘আর আমি তো মুমিনদেরকে তাড়িয়ে দেয়ার নই’।

اِنۡ اَنَا اِلَّا نَذِیۡرٌ مُّبِیۡنٌ

১১৫. অনুবাদ: ‘আমি তো কেবল সুস্পষ্ট সতর্ককারী’।

قَالُوۡا لَئِنۡ لَّمۡ تَنۡتَهِ یٰنُوۡحُ لَتَکُوۡنَنَّ مِنَ الۡمَرۡجُوۡمِیۡنَ

১১৬. অনুবাদ: তারা বলল, ‘হে নূহ, তুমি যদি বিরত না হও তবে অবশ্যই তুমি প্রস্তরাঘাতে নিহতদের অন্তর্ভুক্ত হবে’।

قَالَ رَبِّ اِنَّ قَوۡمِیۡ کَذَّبُوۡنِ

১১৭. অনুবাদ: নূহ বলল, ‘হে আমার রব, আমার কওম আমাকে অস্বীকার করেছে’;

فَافۡتَحۡ بَیۡنِیۡ وَ بَیۡنَهُمۡ فَتۡحًا وَّ نَجِّنِیۡ وَ مَنۡ مَّعِیَ مِنَ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ

১১৮. অনুবাদ: ‘সুতরাং আপনি আমার ও তাদের মধ্যে ফয়সালা করে দিন আর আমাকে ও আমার সাথে যেসব মুমিন, আছে তাদেরকে রক্ষা করুন’।

فَاَنۡجَیۡنٰهُ وَ مَنۡ مَّعَهٗ فِی الۡفُلۡکِ الۡمَشۡحُوۡنِ

১১৯. অনুবাদ: অতঃপর আমি তাকে এবং তার সাথে যারা বোঝাই নৌকায় ছিল তাদেরকে নাজাত দিলাম।

ثُمَّ اَغۡرَقۡنَا بَعۡدُ الۡبٰقِیۡنَ

১২০. অনুবাদ: তারপর বাকীদের ডুবিয়ে দিলাম।

اِنَّ فِیۡ ذٰلِکَ لَاٰیَۃً ؕ وَ مَا کَانَ اَکۡثَرُهُمۡ مُّؤۡمِنِیۡنَ

১২১. অনুবাদ: নিশ্চয় এতে রয়েছে নিদর্শন, আর তাদের বেশীর ভাগ মুমিন ছিল না।

وَ اِنَّ رَبَّکَ لَهُوَ الۡعَزِیۡزُ الرَّحِیۡمُ

১২২. অনুবাদ: আর নিশ্চয় তোমার রব, তিনি তো মহাপরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।

کَذَّبَتۡ عَادُۨ الۡمُرۡسَلِیۡنَ

১২৩. অনুবাদ: ‘আদ জাতি রাসূলগণকে অস্বীকার করেছিল,

اِذۡ قَالَ لَهُمۡ اَخُوۡهُمۡ هُوۡدٌ اَلَا تَتَّقُوۡنَ

১২৪. অনুবাদ: যখন তাদের ভাই হূদ তাদেরকে বলেছিল, ‘তোমরা কি তাকওয়া অবলম্বন করবে না’?

اِنِّیۡ لَکُمۡ رَسُوۡلٌ اَمِیۡنٌ

১২৫. অনুবাদ: ‘নিশ্চয় আমি তোমাদের জন্য একজন বিশ্বস্ত রাসূল’।

فَاتَّقُوا اللّٰهَ وَ اَطِیۡعُوۡنِ

১২৬. অনুবাদ: ‘সুতরাং আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর এবং আমার আনুগত্য কর’।

وَ مَاۤ اَسۡـَٔلُکُمۡ عَلَیۡهِ مِنۡ اَجۡرٍ ۚ اِنۡ اَجۡرِیَ اِلَّا عَلٰی رَبِّ الۡعٰلَمِیۡنَ

১২৭. অনুবাদ: ‘আর এর উপর আমি তোমাদের কাছে কোন পারিশ্রমিক চাই না; আমার প্রতিদান কেবল সৃষ্টিকুলের রবের নিকট’।

اَتَبۡنُوۡنَ بِکُلِّ رِیۡعٍ اٰیَۃً تَعۡبَثُوۡنَ

১২৮. অনুবাদ: ‘তোমরা কি প্রতিটি উঁচু স্থানে বেহুদা স্তম্ভ নির্মাণ করছ’?

وَ تَتَّخِذُوۡنَ مَصَانِعَ لَعَلَّکُمۡ تَخۡلُدُوۡنَ

১২৯. অনুবাদ: ‘আর তোমরা সুদৃঢ় প্রাসাদ নির্মাণ করছ, যেন তোমরা স্থায়ী হবে’।

وَ اِذَا بَطَشۡتُمۡ بَطَشۡتُمۡ جَبَّارِیۡنَ

১৩০. অনুবাদ: ‘আর তোমরা যখন কাউকে পাকড়াও কর, পাকড়াও কর স্বেচ্ছাচারী হয়ে’।

فَاتَّقُوا اللّٰهَ وَ اَطِیۡعُوۡنِ

১৩১. অনুবাদ: ‘সুতরাং আল্লাহকে ভয় কর এবং আমাকে অনুসরণ কর’।

وَ اتَّقُوا الَّذِیۡۤ اَمَدَّکُمۡ بِمَا تَعۡلَمُوۡنَ

১৩২. অনুবাদ: আর তাঁকে ভয় কর যিনি তোমাদেরকে সাহায্য করেছেন এমন কিছু দিয়ে, যা তোমরা জান।

اَمَدَّکُمۡ بِاَنۡعَامٍ وَّ بَنِیۡنَ

১৩৩. অনুবাদ: ‘তিনি তোমাদেরকে সাহায্য করেছেন চতুষ্পদ জন্তু ও সন্তান-সন্ততি দ্বারা’,

وَ جَنّٰتٍ وَّ عُیُوۡنٍ

১৩৪. অনুবাদ: ‘আর উদ্যান ও ঝর্ণা দ্বারা’।

اِنِّیۡۤ اَخَافُ عَلَیۡکُمۡ عَذَابَ یَوۡمٍ عَظِیۡمٍ

১৩৫. অনুবাদ: ‘নিশ্চয় আমি তোমাদের উপর এক মহাদিবসের আযাবের ভয় করছি’।

قَالُوۡا سَوَآءٌ عَلَیۡنَاۤ اَوَ عَظۡتَ اَمۡ لَمۡ تَکُنۡ مِّنَ الۡوٰعِظِیۡنَ

১৩৬. অনুবাদ: তারা বলল, ‘তুমি আমাদের উপদেশ দাও অথবা না দাও, উভয়ই আমাদের জন্য সমান’।

اِنۡ هٰذَاۤ اِلَّا خُلُقُ الۡاَوَّلِیۡنَ

১৩৭. অনুবাদ: ‘এটি তো পূর্ববর্তীদেরই চরিত্র,।

وَ مَا نَحۡنُ بِمُعَذَّبِیۡنَ

১৩৮. অনুবাদ: ‘আর আমরা আযাবপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত হব না’।

فَکَذَّبُوۡهُ فَاَهۡلَکۡنٰهُمۡ ؕ اِنَّ فِیۡ ذٰلِکَ لَاٰیَۃً ؕ وَ مَا کَانَ اَکۡثَرُهُمۡ مُّؤۡمِنِیۡنَ

১৩৯. অনুবাদ: অতঃপর তারা তাকে অস্বীকার করল, ফলে তাদেরকে আমি ধ্বংস করে দিলাম; নিশ্চয় এতে নিদর্শন রয়েছে। আর তাদের অধিকাংশ মুমিন ছিল না।

وَ اِنَّ رَبَّکَ لَهُوَ الۡعَزِیۡزُ الرَّحِیۡمُ

১৪০. অনুবাদ: আর নিশ্চয় তোমার রব তিনি মহাপরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।

کَذَّبَتۡ ثَمُوۡدُ الۡمُرۡسَلِیۡنَ

১৪১. অনুবাদ: সামূদ জাতি রাসুলদেরকে অস্বীকার করেছিল,

اِذۡ قَالَ لَهُمۡ اَخُوۡهُمۡ صٰلِحٌ اَلَا تَتَّقُوۡنَ

১৪২. অনুবাদ: যখন তাদের ভাই সালিহ তাদেরকে বলেছিল, ‘তোমরা কি তাকওয়া অবলম্বন করবে না’?

اِنِّیۡ لَکُمۡ رَسُوۡلٌ اَمِیۡنٌ

১৪৩. অনুবাদ: ‘নিশ্চয় আমি তোমাদের জন্য এক বিশ্বস্ত রাসূল’;

فَاتَّقُوا اللّٰهَ وَ اَطِیۡعُوۡنِ

১৪৪. অনুবাদ: ‘সুতরাং তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর এবং আমার আনুগত্য কর’।

وَ مَاۤ اَسۡـَٔلُکُمۡ عَلَیۡهِ مِنۡ اَجۡرٍ ۚ اِنۡ اَجۡرِیَ اِلَّا عَلٰی رَبِّ الۡعٰلَمِیۡنَ

১৪৫. অনুবাদ: ‘আর এর উপর আমি তোমাদের কাছে কোন পারিশ্রমিক চাই না; আমার প্রতিদান কেবল সৃষ্টিকুলের রবের নিকট’।

اَتُتۡرَکُوۡنَ فِیۡ مَا هٰهُنَاۤ اٰمِنِیۡنَ

১৪৬. অনুবাদ: ‘তোমাদেরকে কি এখানে যা আছে তাতে নিরাপদে ছেড়ে দেয়া হবে’?

فِیۡ جَنّٰتٍ وَّ عُیُوۡنٍ

১৪৭. অনুবাদ: ‘উদ্যান ও ঝর্ণায়’,

وَّ زُرُوۡعٍ وَّ نَخۡلٍ طَلۡعُهَا هَضِیۡمٌ

১৪৮. অনুবাদ: ‘আর ক্ষেত-খামার ও কোমল শীষবিশিষ্ট খেজুর বাগানে’?

وَ تَنۡحِتُوۡنَ مِنَ الۡجِبَالِ بُیُوۡتًا فٰرِهِیۡنَ

১৪৯. অনুবাদ: ‘আর তোমরা নৈপুণ্যের সাথে পাহাড় কেটে বাড়ী নির্মাণ করছ’।

فَاتَّقُوا اللّٰهَ وَ اَطِیۡعُوۡنِ

১৫০. অনুবাদ: ‘সুতরাং আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর এবং আমার আনুগত্য কর’।

وَ لَا تُطِیۡعُوۡۤا اَمۡرَ الۡمُسۡرِفِیۡنَ

১৫১. অনুবাদ: ‘এবং সীমালংঘনকারীদের নির্দেশের আনুগত্য করো না’-

الَّذِیۡنَ یُفۡسِدُوۡنَ فِی الۡاَرۡضِ وَ لَا یُصۡلِحُوۡنَ

১৫২. অনুবাদ: ‘যারা পৃথিবীতে ফাসাদ সৃষ্টি করে এবং শান্তি স্থাপন করে না’।

قَالُوۡۤا اِنَّمَاۤ اَنۡتَ مِنَ الۡمُسَحَّرِیۡنَ

১৫৩. অনুবাদ: তারা বলল, ‘তুমিতো যাদুগ্রস্তদের একজন।

مَاۤ اَنۡتَ اِلَّا بَشَرٌ مِّثۡلُنَا ۚۖ فَاۡتِ بِاٰیَۃٍ اِنۡ کُنۡتَ مِنَ الصّٰدِقِیۡنَ

১৫৪. অনুবাদ: ‘তুমি তো কেবল আমাদের মত মানুষ, সুতরাং তুমি যদি সত্যবাদী হও তবে কোন নিদর্শন নিয়ে এসো’।

قَالَ هٰذِهٖ نَاقَۃٌ لَّهَا شِرۡبٌ وَّ لَکُمۡ شِرۡبُ یَوۡمٍ مَّعۡلُوۡمٍ

১৫৫. অনুবাদ: সালিহ বলল, ‘এটি একটি উষ্ট্রী; তার জন্য পানি পানের পালা একদিন আর তোমাদের পানি পানের পালা আরেক নির্দিষ্ট দিনে’।

وَ لَا تَمَسُّوۡهَا بِسُوۡٓءٍ فَیَاۡخُذَکُمۡ عَذَابُ یَوۡمٍ عَظِیۡمٍ

১৫৬. অনুবাদ: ‘আর তোমরা তাকে কোন অনিষ্ট কিছু করো না; যদি কর তবে এক মহাদিবসের আযাব তোমাদেরকে পেয়ে বসবে’।

فَعَقَرُوۡهَا فَاَصۡبَحُوۡا نٰدِمِیۡنَ

১৫৭. অনুবাদ: অতঃপর তারা সেটি জবেহ করল; ফলে তারা অনুতপ্ত হল।

فَاَخَذَهُمُ الۡعَذَابُ ؕ اِنَّ فِیۡ ذٰلِکَ لَاٰیَۃً ؕ وَ مَا کَانَ اَکۡثَرُهُمۡ مُّؤۡمِنِیۡنَ

১৫৮. অনুবাদ: অতএব আযাব তাদেরকে পাকড়াও করল, নিশ্চয়ই এতে নিদর্শন রয়েছে, আর তাদের অধিকাংশ মুমিন ছিল না।

وَ اِنَّ رَبَّکَ لَهُوَ الۡعَزِیۡزُ الرَّحِیۡمُ

১৫৯. অনুবাদ: আর নিশ্চয় তোমার রব, তিনি তো মহাপরাক্রমশালী, পরম দয়ালু্।

کَذَّبَتۡ قَوۡمُ لُوۡطِۣ الۡمُرۡسَلِیۡنَ

১৬০. অনুবাদ: লূতের সম্প্রদায় রাসূলদেরকে অস্বীকার করেছিল।

اِذۡ قَالَ لَهُمۡ اَخُوۡهُمۡ لُوۡطٌ اَلَا تَتَّقُوۡنَ

১৬১. অনুবাদ: যখন তাদেরকে তাদের ভাই লূত বলেছিল, ‘তোমরা কি তাকওয়া অবলম্বন করবে না’?

اِنِّیۡ لَکُمۡ رَسُوۡلٌ اَمِیۡنٌ

১৬২. অনুবাদ: ‘নিশ্চয় আমি তোমাদের জন্য এক বিশ্বস্ত রাসূল’।

فَاتَّقُوا اللّٰهَ وَ اَطِیۡعُوۡنِ

১৬৩. অনুবাদ: ‘সুতরাং তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর এবং আমার আনুগত্য কর’।

وَ مَاۤ اَسۡـَٔلُکُمۡ عَلَیۡهِ مِنۡ اَجۡرٍ ۚ اِنۡ اَجۡرِیَ اِلَّا عَلٰی رَبِّ الۡعٰلَمِیۡنَ

১৬৪. অনুবাদ: ‘আর আমি এর উপর তোমাদের নিকট কোন প্রতিদান চাই না। আমার প্রতিদান কেবল সৃষ্টিকুলের রবের নিকট’।

اَتَاۡتُوۡنَ الذُّکۡرَانَ مِنَ الۡعٰلَمِیۡنَ

১৬৫. অনুবাদ: ‘সৃষ্টিকুলের মধ্যে তোমরা কি কেবল পুরুষদের সাথে উপগত হও’?

وَ تَذَرُوۡنَ مَا خَلَقَ لَکُمۡ رَبُّکُمۡ مِّنۡ اَزۡوَاجِکُمۡ ؕ بَلۡ اَنۡتُمۡ قَوۡمٌ عٰدُوۡنَ

১৬৬. অনুবাদ: ‘আর তোমাদের রব তোমাদের জন্য যে স্ত্রীদের সৃষ্টি করেছেন তাদেরকে তোমরা ত্যাগ কর, বরং তোমরা এক সীমালংঘনকারী সম্প্রদায়’।

قَالُوۡا لَئِنۡ لَّمۡ تَنۡتَهِ یٰلُوۡطُ لَتَکُوۡنَنَّ مِنَ الۡمُخۡرَجِیۡنَ

১৬৭. অনুবাদ: তারা বলল, ‘হে লূত, তুমি যদি বিরত না হও, তাহলে তুমি অবশ্যই বহিস্কৃতদের অন্তর্ভুক্ত হবে’।

قَالَ اِنِّیۡ لِعَمَلِکُمۡ مِّنَ الۡقَالِیۡنَ

১৬৮. অনুবাদ: লূত বলল, ‘নিশ্চয় আমি তোমাদের কাজকে ঘৃণা করি’।

رَبِّ نَجِّنِیۡ وَ اَهۡلِیۡ مِمَّا یَعۡمَلُوۡنَ

১৬৯. অনুবাদ: ‘হে আমার রব, তারা যা করছে, তা থেকে আমাকে ও আমার পরিবার-পরিজনকে তুমি রক্ষা কর’।

فَنَجَّیۡنٰهُ وَ اَهۡلَهٗۤ اَجۡمَعِیۡنَ

১৭০. অনুবাদ: অতঃপর আমি তাকে ও তার পরিবার-পরিজন সবাইকে রক্ষা করলাম।

اِلَّا عَجُوۡزًا فِی الۡغٰبِرِیۡنَ

১৭১. অনুবাদ: পেছনে অবস্থানকারিণী এক বৃদ্ধা ছাড়া।

ثُمَّ دَمَّرۡنَا الۡاٰخَرِیۡنَ

১৭২. অনুবাদ: তারপর অন্যদেরকে আমি ধ্বংস করে দিলাম।

وَ اَمۡطَرۡنَا عَلَیۡهِمۡ مَّطَرًا ۚ فَسَآءَ مَطَرُ الۡمُنۡذَرِیۡنَ

১৭৩. অনুবাদ: আর আমি তাদের উপর শিলাবৃষ্টি বর্ষণ করলাম। সুতরাং সেই বৃষ্টি ভয় প্রদর্শিতদের জন্য কতইনা মন্দ ছিল!

اِنَّ فِیۡ ذٰلِکَ لَاٰیَۃً ؕ وَ مَا کَانَ اَکۡثَرُهُمۡ مُّؤۡمِنِیۡنَ

১৭৪. অনুবাদ: নিশ্চয় এতে এক নিদর্শন রয়েছে। আর তাদের অধিকাংশই মুমিন ছিল না।

وَ اِنَّ رَبَّکَ لَهُوَ الۡعَزِیۡزُ الرَّحِیۡمُ

১৭৫. অনুবাদ: আর নিশ্চয় তোমার রব, তিনি তো মহাপরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।

کَذَّبَ اَصۡحٰبُ لۡـَٔـیۡکَۃِ الۡمُرۡسَلِیۡنَ

১৭৬. অনুবাদ: আইকার অধিবাসীরা রাসূলদেরকে অস্বীকার করেছিল।

اِذۡ قَالَ لَهُمۡ شُعَیۡبٌ اَلَا تَتَّقُوۡنَ

১৭৭. অনুবাদ: যখন শু‘আইব তাদেরকে বলল, ‘তোমরা কি তাকওয়া অবলম্বন করবে না’?

اِنِّیۡ لَکُمۡ رَسُوۡلٌ اَمِیۡنٌ

১৭৮. অনুবাদ: ‘নিশ্চয় আমি তোমাদের জন্য এক বিশ্বস্ত রাসূল’।

فَاتَّقُوا اللّٰهَ وَ اَطِیۡعُوۡنِ

১৭৯. অনুবাদ: ‘সুতরাং তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর এবং আমার আনুগত্য কর’।

وَ مَاۤ اَسۡـَٔلُکُمۡ عَلَیۡهِ مِنۡ اَجۡرٍ ۚ اِنۡ اَجۡرِیَ اِلَّا عَلٰی رَبِّ الۡعٰلَمِیۡنَ

১৮০. অনুবাদ: ‘আর আমি এর উপর তোমাদের নিকট কোন প্রতিদান চাই না। আমার প্রতিদান কেবল সৃষ্টিকুলের রবের নিকট’।

اَوۡفُوا الۡکَیۡلَ وَ لَا تَکُوۡنُوۡا مِنَ الۡمُخۡسِرِیۡنَ

১৮১. অনুবাদ: ‘মাপ পূর্ণ করে দাও এবং যারা মাপে ঘাটতি করে, তোমরা তাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না’।

وَ زِنُوۡا بِالۡقِسۡطَاسِ الۡمُسۡتَقِیۡمِ

১৮২. অনুবাদ: ‘আর সঠিক দাঁড়ি পাল্লায় ওজন কর’।

وَ لَا تَبۡخَسُوا النَّاسَ اَشۡیَآءَهُمۡ وَ لَا تَعۡثَوۡا فِی الۡاَرۡضِ مُفۡسِدِیۡنَ

১৮৩. অনুবাদ: আর লোকদেরকে তাদের প্রাপ্যবস্তু কম দিও না এবং যমীনে ফাসাদ সৃষ্টি করো না।

وَ اتَّقُوا الَّذِیۡ خَلَقَکُمۡ وَ الۡجِبِلَّۃَ الۡاَوَّلِیۡنَ

১৮৪. অনুবাদ: ‘যিনি তোমাদেরকে ও পূর্ববর্তী প্রজন্মসমূহকে সৃষ্টি করেছেন, তাঁর তাকওয়া অবলম্বন কর’।

قَالُوۡۤا اِنَّمَاۤ اَنۡتَ مِنَ الۡمُسَحَّرِیۡنَ

১৮৫. অনুবাদ: তারা বলল, ‘তুমি তো কেবল যাদুগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত’।

وَ مَاۤ اَنۡتَ اِلَّا بَشَرٌ مِّثۡلُنَا وَ اِنۡ نَّظُنُّکَ لَمِنَ الۡکٰذِبِیۡنَ

১৮৬. অনুবাদ: ‘তুমি কেবল আমাদের মত একজন মানুষ। আর আমরা তোমাকে অবশ্যই মিথ্যাবাদীদের অন্তর্ভুক্ত বলে মনে করি’।

فَاَسۡقِطۡ عَلَیۡنَا کِسَفًا مِّنَ السَّمَآءِ اِنۡ کُنۡتَ مِنَ الصّٰدِقِیۡنَ

১৮৭. অনুবাদ: ‘অতএব, তুমি যদি সত্যবাদী হও, তবে আসমান থেকে এক টুকরো আমাদের উপর ফেলে দাও’।

قَالَ رَبِّیۡۤ اَعۡلَمُ بِمَا تَعۡمَلُوۡنَ

১৮৮. অনুবাদ: সে বলল, ‘তোমরা যা কর, সে সম্পর্কে আমার রব অধিক জ্ঞাত’।

فَکَذَّبُوۡهُ فَاَخَذَهُمۡ عَذَابُ یَوۡمِ الظُّلَّۃِ ؕ اِنَّهٗ کَانَ عَذَابَ یَوۡمٍ عَظِیۡمٍ

১৮৯. অনুবাদ: অতঃপর তারা তাকে অস্বীকার করল। ফলে তাদেরকে এক মেঘাচ্ছন্ন দিবসের আযাব পাকড়াও করল। অবশ্যই তা ছিল এক মহা দিবসের আযাব।

اِنَّ فِیۡ ذٰلِکَ لَاٰیَۃً ؕ وَ مَا کَانَ اَکۡثَرُهُمۡ مُّؤۡمِنِیۡنَ

১৯০. অনুবাদ: নিশ্চয় এতে অনেক নিদর্শন রয়েছে। আর তাদের অধিকাংশই মুমিন ছিল না।

وَ اِنَّ رَبَّکَ لَهُوَ الۡعَزِیۡزُ الرَّحِیۡمُ

১৯১. অনুবাদ: আর নিশ্চয় তোমার রব তিনি তো মহাপরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।

وَ اِنَّهٗ لَتَنۡزِیۡلُ رَبِّ الۡعٰلَمِیۡنَ

১৯২. অনুবাদ: আর নিশ্চয় এ কুরআন সৃষ্টিকুলের রবেরই নাযিলকৃত।

نَزَلَ بِهِ الرُّوۡحُ الۡاَمِیۡنُ

১৯৩. অনুবাদ: বিশ্বস্ত আত্মা* এটা নিয়ে অবতরণ করেছে।

عَلٰی قَلۡبِکَ لِتَکُوۡنَ مِنَ الۡمُنۡذِرِیۡنَ

১৯৪. অনুবাদ: তোমার হৃদয়ে, যাতে তুমি সতর্ককারীদের অন্তর্ভুক্ত হও।

بِلِسَانٍ عَرَبِیٍّ مُّبِیۡنٍ

১৯৫. অনুবাদ: সুস্পষ্ট আরবী ভাষায়।

وَ اِنَّهٗ لَفِیۡ زُبُرِ الۡاَوَّلِیۡنَ

১৯৬. অনুবাদ: আর অবশ্যই তা রয়েছে পূর্ববর্তী কিতাবসমূহে।

اَوَ لَمۡ یَکُنۡ لَّهُمۡ اٰیَۃً اَنۡ یَّعۡلَمَهٗ عُلَمٰٓؤُا بَنِیۡۤ اِسۡرَآءِیۡلَ

১৯৭. অনুবাদ: এটা কি তাদের জন্য একটি নিদর্শন নয় যে, বনী ইসরাঈলের পন্ডিতগণ তা জানে?

وَ لَوۡ نَزَّلۡنٰهُ عَلٰی بَعۡضِ الۡاَعۡجَمِیۡنَ

১৯৮. অনুবাদ: আর আমি যদি এটাকে কোন অনারবের প্রতি নাযিল করতাম।

فَقَرَاَهٗ عَلَیۡهِمۡ مَّا کَانُوۡا بِهٖ مُؤۡمِنِیۡنَ

১৯৯. অনুবাদ: অতঃপর সে তা তাদের নিকট পাঠ করত। তবুও তারা এতে মুমিন হত না।

کَذٰلِکَ سَلَکۡنٰهُ فِیۡ قُلُوۡبِ الۡمُجۡرِمِیۡنَ

২০০. অনুবাদ: এভাবেই আমি বিষয়টি অপরাধীদের অন্তরে সঞ্চার করেছি।

لَا یُؤۡمِنُوۡنَ بِهٖ حَتّٰی یَرَوُا الۡعَذَابَ الۡاَلِیۡمَ

২০১. অনুবাদ: যতক্ষণ না তারা যন্ত্রণাদায়ক আযাব প্রত্যক্ষ করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তারা এতে ঈমান আনবে না।

فَیَاۡتِیَهُمۡ بَغۡتَۃً وَّ هُمۡ لَا یَشۡعُرُوۡنَ

২০২. অনুবাদ: সুতরাং তা আকস্মিকভাবে তাদের নিকট এসে পড়বে, অথচ তারা উপলদ্ধি করতে পারবে না।

فَیَقُوۡلُوۡا هَلۡ نَحۡنُ مُنۡظَرُوۡنَ

২০৩. অনুবাদ: তখন তারা বলবে, ‘আমাদেরকে কি অবকাশ দেয়া হবে?’

اَفَبِعَذَابِنَا یَسۡتَعۡجِلُوۡنَ

২০৪. অনুবাদ: তাহলে কি তারা আমার আযাব ত্বরান্বিত করতে চায়?

اَفَرَءَیۡتَ اِنۡ مَّتَّعۡنٰهُمۡ سِنِیۡنَ

২০৫. অনুবাদ: তুমি কি লক্ষ্য করেছ, আমি যদি তাদেরকে দীর্ঘকাল ভোগ-বিলাসের সুযোগ দিতাম।

ثُمَّ جَآءَهُمۡ مَّا کَانُوۡا یُوۡعَدُوۡنَ

২০৬. অনুবাদ: অতঃপর তাদেরকে যে বিষয়ে ওয়াদা করা হয়েছে, তা তাদের নিকট এসে পড়ত,

مَاۤ اَغۡنٰی عَنۡهُمۡ مَّا کَانُوۡا یُمَتَّعُوۡنَ

২০৭. অনুবাদ: তখন যা তাদের ভোগ-বিলাসের জন্য দেয়া হয়েছিল, তা তাদের কোনই কাজে আসত না।

وَ مَاۤ اَهۡلَکۡنَا مِنۡ قَرۡیَۃٍ اِلَّا لَهَا مُنۡذِرُوۡنَ

২০৮. অনুবাদ: আর আমি এমন কোন জনপদকে ধ্বংস করিনি, যাতে কোন সতর্ককারী আসেনি।

ذِکۡرٰی ۟ۛ وَ مَا کُنَّا ظٰلِمِیۡنَ

২০৯. অনুবাদ: এটা উপদেশস্বরূপ; আর আমি যালিমদের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম না।

وَ مَا تَنَزَّلَتۡ بِهِ الشَّیٰطِیۡنُ

২১০. অনুবাদ: আর শয়তানরা তা নিয়ে অবতরণ করেনি।

وَ مَا یَنۡۢبَغِیۡ لَهُمۡ وَ مَا یَسۡتَطِیۡعُوۡنَ

২১১. অনুবাদ: আর এটা তাদের জন্য উচিৎ নয় এবং তারা এর ক্ষমতাও রাখে না।

اِنَّهُمۡ عَنِ السَّمۡعِ لَمَعۡزُوۡلُوۡنَ

২১২. অনুবাদ: নিশ্চয়ই তাদেরকে এর শ্রবণ থেকে আড়ালে রাখা হয়েছে।

فَلَا تَدۡعُ مَعَ اللّٰهِ اِلٰـهًا اٰخَرَ فَتَکُوۡنَ مِنَ الۡمُعَذَّبِیۡنَ

২১৩. অনুবাদ: অতএব, তুমি আল্লাহর সাথে অন্য কোন ইলাহকে ডেকো না, তাহলে তুমি আযাবপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে।

وَ اَنۡذِرۡ عَشِیۡرَتَکَ الۡاَقۡرَبِیۡنَ

২১৪. অনুবাদ: আর তুমি তোমার নিকটাত্মীয়দেরকে সতর্ক কর।

وَ اخۡفِضۡ جَنَاحَکَ لِمَنِ اتَّبَعَکَ مِنَ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ

২১৫. অনুবাদ: আর মুমিনদের মধ্যে যারা তোমার অনুসরণ করে, তাদের প্রতি তুমি তোমার বাহুকে অবনত কর।

فَاِنۡ عَصَوۡکَ فَقُلۡ اِنِّیۡ بَرِیۡٓءٌ مِّمَّا تَعۡمَلُوۡنَ

২১৬. অনুবাদ: তারপর যদি তারা তোমার অবাধ্য হয়, তাহলে বল, ‘তোমরা যা কর, নিশ্চয় আমি তা থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত’।

وَ تَوَکَّلۡ عَلَی الۡعَزِیۡزِ الرَّحِیۡمِ

২১৭. অনুবাদ: ‘আর তুমি মহাপরাক্রমশালী পরম দয়ালুর উপর তাওয়াক্কুল কর,

الَّذِیۡ یَرٰىکَ حِیۡنَ تَقُوۡمُ

২১৮. অনুবাদ: ‘যিনি তোমাকে দেখেন যখন তুমি দন্ডায়মান হও’

وَ تَقَلُّبَکَ فِی السّٰجِدِیۡنَ

২১৯. অনুবাদ: ‘এবং সিজদাকারীদের মধ্যে তোমার উঠাবসা’।

اِنَّهٗ هُوَ السَّمِیۡعُ الۡعَلِیۡمُ

২২০. অনুবাদ: ‘নিশ্চয় তিনি সর্বশ্রোতা, মহাজ্ঞানী’।

هَلۡ اُنَبِّئُکُمۡ عَلٰی مَنۡ تَنَزَّلُ الشَّیٰطِیۡنُ

২২১. অনুবাদ: ‘আমি কি তোমাদেরকে সংবাদ দেব, কার নিকট শয়তানরা অবতীর্ণ হয়’?

تَنَزَّلُ عَلٰی کُلِّ اَفَّاکٍ اَثِیۡمٍ

২২২. অনুবাদ: তারা অবতীর্ণ হয় প্রত্যেক চরম মিথ্যাবাদী ও পাপীর নিকট।

یُّلۡقُوۡنَ السَّمۡعَ وَ اَکۡثَرُهُمۡ کٰذِبُوۡنَ

২২৩. অনুবাদ: তারা কান পেতে থাকে এবং তাদের অধিকাংশই মিথ্যাবাদী।

وَ الشُّعَرَآءُ یَتَّبِعُهُمُ الۡغَاوٗنَ

২২৪. অনুবাদ: আর বিভ্রান্তরাই কবিদের অনুসরণ করে।

اَلَمۡ تَرَ اَنَّهُمۡ فِیۡ کُلِّ وَادٍ یَّهِیۡمُوۡنَ

২২৫. অনুবাদ: তুমি কি লক্ষ্য করো নি যে, তারা প্রত্যেক উপত্যকায় উদভ্রান্ত হয়ে ঘুরে বেড়ায়?

وَ اَنَّهُمۡ یَقُوۡلُوۡنَ مَا لَا یَفۡعَلُوۡنَ

২২৬. অনুবাদ: আর নিশ্চয় তারা এমন কথা বলে, যা তারা করে না।

اِلَّا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ وَ ذَکَرُوا اللّٰهَ کَثِیۡرًا وَّ انۡتَصَرُوۡا مِنۡۢ بَعۡدِ مَا ظُلِمُوۡا ؕ وَ سَیَعۡلَمُ الَّذِیۡنَ ظَلَمُوۡۤا اَیَّ مُنۡقَلَبٍ یَّنۡقَلِبُوۡنَ

২২৭. অনুবাদ: তবে যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকর্ম করেছে, আর আল্লাহকে অনেক স্মরণ করেছে। আর তারা নির্যাতিত হওয়ার পর প্রতিশোধ নেয়। আর যালিমরা শীঘ্রই জানতে পারবে কোন্ প্রত্যাবর্তন স্থলে তারা প্রত্যাবর্তন করবে।

কপিরাইট

আমাদের সকল কন্টেন্ট কপিরাইট সংরক্ষিত
ডেভলোপারঃ মুহিব্বুল্লাহ
গোপনীয়তা নীতি

প্রিয় পাঠক

আমাদের সকল প্রজেক্টসমূহ সম্পূর্ণ ব্যাক্তি উদ্যোগে পরিচালিত, আপনাদের দোয়া ও সহযোগিতা দ্বীনের এই কাজকে আরও প্রসারিত করবে ইন-শা-আল্লাহ।

যোগাযোগ

[email protected]
Facebook
YouTube