সূরা তালিকা


1 ১ আল-ফাতিহা Al-Fatiha الفاتحة
১. আল-ফাতিহা
মাক্কী
الفاتحة
আয়াত: ৭
2 ২ আল-বাকারা Al-Baqara البقرة
২. আল-বাকারা
মাদানী
البقرة
আয়াত: ২৮৬
3 ৩ আলে-ইমরান Al-i-Imran آل عمران
৩. আলে-ইমরান
মাদানী
آل عمران
আয়াত: ২০০
4 ৪ আন-নিসা An-Nisa النساء
৪. আন-নিসা
মাদানী
النساء
আয়াত: ১৭৬
5 ৫ আল-মায়েদা Al-Maida المائدة
৫. আল-মায়েদা
মাদানী
المائدة
আয়াত: ১২০
6 ৬ আল-আনআম Al-Anam الأنعام
৬. আল-আনআম
মাক্কী
الأنعام
আয়াত: ১৬৫
7 ৭ আল-আরাফ Al-Araf الأعراف
৭. আল-আরাফ
মাক্কী
الأعراف
আয়াত: ২০৬
8 ৮ আল-আনফাল Al-Anfal الأنفال
৮. আল-আনফাল
মাদানী
الأنفال
আয়াত: ৭৫
9 ৯ আত-তাওবা At-Tawba التوبة
৯. আত-তাওবা
মাদানী
التوبة
আয়াত: ১২৯
10 ১০ ইউনুস Yunus يونس
১০. ইউনুস
মাক্কী
يونس
আয়াত: ১০৯
11 ১১ হূদ Hud هود
১১. হূদ
মাক্কী
هود
আয়াত: ১২৩
12 ১২ ইউসুফ Yusuf يوسف
১২. ইউসুফ
মাক্কী
يوسف
আয়াত: ১১১
13 ১৩ আর-রাদ Ar-Rad الرعد
১৩. আর-রাদ
মাদানী
الرعد
আয়াত: ৪৩
14 ১৪ ইবরাহীম Ibrahim ابراهيم
১৪. ইবরাহীম
মাক্কী
ابراهيم
আয়াত: ৫২
15 ১৫ আল-হিজর Al-Hijr الحجر
১৫. আল-হিজর
মাক্কী
الحجر
আয়াত: ৯৯
16 ১৬ আন-নাহাল An-Nahl النحل
১৬. আন-নাহাল
মাক্কী
النحل
আয়াত: ১২৮
17 ১৭ আল-ইসরা (বনী-ইসরাঈল) Al-Isra الإسراء
১৭. আল-ইসরা (বনী-ইসরাঈল)
মাক্কী
الإسراء
আয়াত: ১১১
18 ১৮ আল-কাহফ Al-Kahf الكهف
১৮. আল-কাহফ
মাক্কী
الكهف
আয়াত: ১১০
19 ১৯ মারইয়াম Maryam مريم
১৯. মারইয়াম
মাক্কী
مريم
আয়াত: ৯৮
20 ২০ ত্ব-হা Ta-Ha طه
২০. ত্ব-হা
মাক্কী
طه
আয়াত: ১৩৫
21 ২১ আল-আম্বিয়া Al-Anbiya الأنبياء
২১. আল-আম্বিয়া
মাক্কী
الأنبياء
আয়াত: ১১২
22 ২২ আল-হজ্জ Al-Hajj الحج
২২. আল-হজ্জ
মাদানী
الحج
আয়াত: ৭৮
23 ২৩ আল-মুমিনুন Al-Muminun المؤمنون
২৩. আল-মুমিনুন
মাক্কী
المؤمنون
আয়াত: ১১৮
24 ২৪ আন-নূর An-Nur النور
২৪. আন-নূর
মাদানী
النور
আয়াত: ৬৪
25 ২৫ আল-ফুরকান Al-Furqan الفرقان
২৫. আল-ফুরকান
মাক্কী
الفرقان
আয়াত: ৭৭
26 ২৬ আশ-শুআরা Ash-Shuara الشعراء
২৬. আশ-শুআরা
মাক্কী
الشعراء
আয়াত: ২২৭
27 ২৭ আন-নামাল An-Naml النمل
২৭. আন-নামাল
মাক্কী
النمل
আয়াত: ৯৩
28 ২৮ আল-কাসাস Al-Qasas القصص
২৮. আল-কাসাস
মাক্কী
القصص
আয়াত: ৮৮
29 ২৯ আল-আনকাবূত Al-Ankabut العنكبوت
২৯. আল-আনকাবূত
মাক্কী
العنكبوت
আয়াত: ৬৯
30 ৩০ আর-রুম Ar-Rum الروم
৩০. আর-রুম
মাক্কী
الروم
আয়াত: ৬০
31 ৩১ লুকমান Luqman لقمان
৩১. লুকমান
মাক্কী
لقمان
আয়াত: ৩৪
32 ৩২ আস-সাজদাহ As-Sajda السجدة
৩২. আস-সাজদাহ
মাক্কী
السجدة
আয়াত: ৩০
33 ৩৩ আল-আহযাব Al-Ahzab الأحزاب
৩৩. আল-আহযাব
মাদানী
الأحزاب
আয়াত: ৭৩
34 ৩৪ সাবা Saba سبإ
৩৪. সাবা
মাক্কী
سبإ
আয়াত: ৫৪
35 ৩৫ ফাতির Fatir فاطر
৩৫. ফাতির
মাক্কী
فاطر
আয়াত: ৪৫
36 ৩৬ ইয়াসীন Ya-Sin يس
৩৬. ইয়াসীন
মাক্কী
يس
আয়াত: ৮৩
37 ৩৭ আস-সাফফাত As-Saffat الصافات
৩৭. আস-সাফফাত
মাক্কী
الصافات
আয়াত: ১৮২
38 ৩৮ সোয়াদ Ṣād ص
৩৮. সোয়াদ
মাক্কী
ص
আয়াত: ৮৮
39 ৩৯ আয-যুমার Az-Zumar الزمر
৩৯. আয-যুমার
মাক্কী
الزمر
আয়াত: ৭৫
40 ৪০ গাফির (আল মুমিন) Ghafir غافر
৪০. গাফির (আল মুমিন)
মাক্কী
غافر
আয়াত: ৮৫
41 ৪১ হা-মীম আস-সাজদা (ফুসসিলাত) Fussilat فصلت
৪১. হা-মীম আস-সাজদা (ফুসসিলাত)
মাক্কী
فصلت
আয়াত: ৫৪
42 ৪২ আশ-শূরা Ash-Shura الشورى
৪২. আশ-শূরা
মাক্কী
الشورى
আয়াত: ৫৩
43 ৪৩ আয-যুখরুফ Az-Zukhruf الزخرف
৪৩. আয-যুখরুফ
মাক্কী
الزخرف
আয়াত: ৮৯
44 ৪৪ আদ-দুখান Ad-Dukhan الدخان
৪৪. আদ-দুখান
মাক্কী
الدخان
আয়াত: ৫৯
45 ৪৫ আল-জাসিয়া Al-Jathiya الجاثية
৪৫. আল-জাসিয়া
মাক্কী
الجاثية
আয়াত: ৩৭
46 ৪৬ আল-আহকাফ Al-Ahqaf الأحقاف
৪৬. আল-আহকাফ
মাক্কী
الأحقاف
আয়াত: ৩৫
47 ৪৭ মুহাম্মাদ Muhammad محمد
৪৭. মুহাম্মাদ
মাদানী
محمد
আয়াত: ৩৮
48 ৪৮ আল-ফাতহ Al-Fath الفتح
৪৮. আল-ফাতহ
মাদানী
الفتح
আয়াত: ২৯
49 ৪৯ আল-হুজুরাত Al-Hujurat الحجرات
৪৯. আল-হুজুরাত
মাদানী
الحجرات
আয়াত: ১৮
50 ৫০ কাফ Qaf ق
৫০. কাফ
মাক্কী
ق
আয়াত: ৪৫
51 ৫১ আয-যারিয়াত Adh-Dhariyat سورة الذاريات
৫১. আয-যারিয়াত
মাক্কী
سورة الذاريات
আয়াত: ৬০
52 ৫২ আত-তূর At-Tur الطور
৫২. আত-তূর
মাক্কী
الطور
আয়াত: ৪৯
53 ৫৩ আন-নাজম An-Najm النجم
৫৩. আন-নাজম
মাক্কী
النجم
আয়াত: ৬২
54 ৫৪ আল-কামার Al-Qamar القمر
৫৪. আল-কামার
মাক্কী
القمر
আয়াত: ৫৫
55 ৫৫ আর-রাহমান Ar-Rahman الرحمن
৫৫. আর-রাহমান
মাদানী
الرحمن
আয়াত: ৭৮
56 ৫৬ আল-ওয়াকিয়া Al-Waqia الواقعة
৫৬. আল-ওয়াকিয়া
মাক্কী
الواقعة
আয়াত: ৯৬
57 ৫৭ আল-হাদীদ Al-Hadid الحديد
৫৭. আল-হাদীদ
মাদানী
الحديد
আয়াত: ২৯
58 ৫৮ আল-মুজাদালা Al-Mujadila المجادلة
৫৮. আল-মুজাদালা
মাদানী
المجادلة
আয়াত: ২২
59 ৫৯ আল-হাশর Al-Hashr الحشر
৫৯. আল-হাশর
মাদানী
الحشر
আয়াত: ২৪
60 ৬০ আল-মুমতাহিনা Al-Mumtahina الممتحنة
৬০. আল-মুমতাহিনা
মাদানী
الممتحنة
আয়াত: ১৩
61 ৬১ আস-সফ As-Saff الصف
৬১. আস-সফ
মাদানী
الصف
আয়াত: ১৪
62 ৬২ আল-জুমুআ Al-Jumua الجمعة
৬২. আল-জুমুআ
মাদানী
الجمعة
আয়াত: ১১
63 ৬৩ আল-মুনাফিকূন Al-Munafiqun المنافقون
৬৩. আল-মুনাফিকূন
মাদানী
المنافقون
আয়াত: ১১
64 ৬৪ আত-তাগাবুন At-Taghabun التغابن
৬৪. আত-তাগাবুন
মাদানী
التغابن
আয়াত: ১৮
65 ৬৫ আত-ত্বলাক্ব At-Talaq الطلاق
৬৫. আত-ত্বলাক্ব
মাদানী
الطلاق
আয়াত: ১২
66 ৬৬ আত-তাহরীম At-Tahrim التحريم
৬৬. আত-তাহরীম
মাদানী
التحريم
আয়াত: ১২
67 ৬৭ আল-মুলক Al-Mulk الملك
৬৭. আল-মুলক
মাক্কী
الملك
আয়াত: ৩০
68 ৬৮ আল-কলম Al-Qalam القلم
৬৮. আল-কলম
মাক্কী
القلم
আয়াত: ৫২
69 ৬৯ আল-হাক্কাহ Al-Haqqa الحاقة
৬৯. আল-হাক্কাহ
মাক্কী
الحاقة
আয়াত: ৫২
70 ৭০ আল-মাআরিজ Al-Maarij المعارج
৭০. আল-মাআরিজ
মাক্কী
المعارج
আয়াত: ৪৪
71 ৭১ নূহ Nuh نوح
৭১. নূহ
মাক্কী
نوح
আয়াত: ২৮
72 ৭২ আল-জ্বিন Al-Jinn الجن
৭২. আল-জ্বিন
মাক্কী
الجن
আয়াত: ২৯
73 ৭৩ আল-মুযযাম্মিল Al-Muzzammil المزمل
৭৩. আল-মুযযাম্মিল
মাক্কী
المزمل
আয়াত: ২০
74 ৭৪ আল-মুদ্দাসসির Al-Muddathir المدثر
৭৪. আল-মুদ্দাসসির
মাক্কী
المدثر
আয়াত: ৫৬
75 ৭৫ আল-ক্বিয়ামাহ Al-Qiyama القيامة
৭৫. আল-ক্বিয়ামাহ
মাক্কী
القيامة
আয়াত: ৪০
76 ৭৬ আল-ইনসান (আদ-দাহর) Al-Insan الانسان
৭৬. আল-ইনসান (আদ-দাহর)
মাদানী
الانسان
আয়াত: ৩১
77 ৭৭ আল-মুরসালাত Al-Mursalat المرسلات
৭৭. আল-মুরসালাত
মাক্কী
المرسلات
আয়াত: ৫০
78 ৭৮ আন-নাবা An-Naba النبإ
৭৮. আন-নাবা
মাক্কী
النبإ
আয়াত: ৪০
79 ৭৯ আন-নাযিআত An-Naziat النازعات
৭৯. আন-নাযিআত
মাক্কী
النازعات
আয়াত: ৪৬
80 ৮০ আবাসা Abasa عبس
৮০. আবাসা
মাক্কী
عبس
আয়াত: ৪২
81 ৮১ আত-তাকভীর At-Takwir التكوير
৮১. আত-তাকভীর
মাক্কী
التكوير
আয়াত: ২৯
82 ৮২ আল-ইনফিতার Al-Infitar الإنفطار
৮২. আল-ইনফিতার
মাক্কী
الإنفطار
আয়াত: ১৯
83 ৮৩ আল-মুতাফফিফীন Al-Mutaffifin المطففين
৮৩. আল-মুতাফফিফীন
মাক্কী
المطففين
আয়াত: ৩৬
84 ৮৪ আল-ইনশিকাক Al-Inshiqaq الإنشقاق
৮৪. আল-ইনশিকাক
মাক্কী
الإنشقاق
আয়াত: ২৫
85 ৮৫ আল-বুরুজ Al-Buruj البروج
৮৫. আল-বুরুজ
মাক্কী
البروج
আয়াত: ২২
86 ৮৬ আত-তারিক At-Tariq الطارق
৮৬. আত-তারিক
মাক্কী
الطارق
আয়াত: ১৭
87 ৮৭ আল-আলা Al-Ala الأعلى
৮৭. আল-আলা
মাক্কী
الأعلى
আয়াত: ১৯
88 ৮৮ আল-গাশিয়া Al-Ghashiya الغاشية
৮৮. আল-গাশিয়া
মাক্কী
الغاشية
আয়াত: ২৬
89 ৮৯ আল-ফাজর Al-Fajr الفجر
৮৯. আল-ফাজর
মাক্কী
الفجر
আয়াত: ৩০
90 ৯০ আল-বালাদ Al-Balad البلد
৯০. আল-বালাদ
মাক্কী
البلد
আয়াত: ২০
91 ৯১ আশ-শামস Ash-Shams الشمس
৯১. আশ-শামস
মাক্কী
الشمس
আয়াত: ১৫
92 ৯২ আল-লাইল Al-Lail الليل
৯২. আল-লাইল
মাক্কী
الليل
আয়াত: ২১
93 ৯৩ আদ-দুহা Ad-Dhuha الضحى
৯৩. আদ-দুহা
মাক্কী
الضحى
আয়াত: ১১
94 ৯৪ আল-ইনশিরাহ Ash-Sharh الشرح
৯৪. আল-ইনশিরাহ
মাক্কী
الشرح
আয়াত: ৮
95 ৯৫ আত-ত্বীন At-Tin التين
৯৫. আত-ত্বীন
মাক্কী
التين
আয়াত: ৮
96 ৯৬ আল-আলাক Al-Alaq العلق
৯৬. আল-আলাক
মাক্কী
العلق
আয়াত: ১৯
97 ৯৭ আল-কাদর Al-Qadr القدر
৯৭. আল-কাদর
মাক্কী
القدر
আয়াত: ৫
98 ৯৮ আল-বায়্যিনাহ Al-Bayyina البينة
৯৮. আল-বায়্যিনাহ
মাদানী
البينة
আয়াত: ৮
99 ৯৯ আয-যিলযাল Az-Zalzala الزلزلة
৯৯. আয-যিলযাল
মাদানী
الزلزلة
আয়াত: ৮
100 ১০০ আল-আদিয়াত Al-Adiyat العاديات
১০০. আল-আদিয়াত
মাক্কী
العاديات
আয়াত: ১১
101 ১০১ আল-কারিআ Al-Qaria القارعة
১০১. আল-কারিআ
মাক্কী
القارعة
আয়াত: ১১
102 ১০২ আত-তাকাসুর At-Takathur التكاثر
১০২. আত-তাকাসুর
মাক্কী
التكاثر
আয়াত: ৮
103 ১০৩ আল-আসর Al-Asr العصر
১০৩. আল-আসর
মাক্কী
العصر
আয়াত: ৩
104 ১০৪ আল-হুমাযা Al-Humaza الهمزة
১০৪. আল-হুমাযা
মাক্কী
الهمزة
আয়াত: ৯
105 ১০৫ আল-ফীল Al-Fil الفيل
১০৫. আল-ফীল
মাক্কী
الفيل
আয়াত: ৫
106 ১০৬ আল-কুরাইশ Quraysh قريش
১০৬. আল-কুরাইশ
মাক্কী
قريش
আয়াত: ৪
107 ১০৭ আল-মাঊন Al-Maun الماعون
১০৭. আল-মাঊন
মাক্কী
الماعون
আয়াত: ৭
108 ১০৮ আল-কাউসার Al-Kawthar الكوثر
১০৮. আল-কাউসার
মাক্কী
الكوثر
আয়াত: ৩
109 ১০৯ কাফিরুন Al-Kafirun الكافرون
১০৯. কাফিরুন
মাক্কী
الكافرون
আয়াত: ৬
110 ১১০ আন-নাসর An-Nasr النصر
১১০. আন-নাসর
মাদানী
النصر
আয়াত: ৩
111 ১১১ লাহাব Al-Masad المسد
১১১. লাহাব
মাক্কী
المسد
আয়াত: ৫
112 ১১২ আল-ইখলাস Al-Ikhlas الإخلاص
১১২. আল-ইখলাস
মাক্কী
الإخلاص
আয়াত: ৪
113 ১১৩ আল-ফালাক Al-Falaq الفلق
১১৩. আল-ফালাক
মাক্কী
الفلق
আয়াত: ৫
114 ১১৪ আন-নাস An-Nas الناس
১১৪. আন-নাস
মাক্কী
الناس
আয়াত: ৬
সূরা: ২৭, আন-নামাল - ( النمل)
সূরার ধরন: মাক্কী , মোট আয়াত:

1 ১
طٰسٓ ۟ تِلۡکَ اٰیٰتُ الۡقُرۡاٰنِ وَ کِتَابٍ مُّبِیۡنٍ ۙ
طٰسٓ ۟ تِلۡکَ اٰیٰتُ الۡقُرۡاٰنِ وَ کِتَابٍ مُّبِیۡنٍ ۙ
১. অনুবাদ: ত্ব-সীন; এগুলো আল-কুরআন ও সুস্পষ্ট কিতাবের আয়াত।

2 ২
هُدًی وَّ بُشۡرٰی لِلۡمُؤۡمِنِیۡنَ
هُدًی وَّ بُشۡرٰی لِلۡمُؤۡمِنِیۡنَ
২. অনুবাদ: মুমিনদের জন্য হিদায়াত ও সুসংবাদ।

3 ৩
الَّذِیۡنَ یُقِیۡمُوۡنَ الصَّلٰوۃَ وَ یُؤۡتُوۡنَ الزَّکٰوۃَ وَ هُمۡ بِالۡاٰخِرَۃِ هُمۡ یُوۡقِنُوۡنَ
الَّذِیۡنَ یُقِیۡمُوۡنَ الصَّلٰوۃَ وَ یُؤۡتُوۡنَ الزَّکٰوۃَ وَ هُمۡ بِالۡاٰخِرَۃِ هُمۡ یُوۡقِنُوۡنَ
৩. অনুবাদ: যারা সালাত কায়েম করে এবং যাকাত দেয়। আর তারাই আখিরাতের প্রতি নিশ্চিত বিশ্বাস রাখে।

4 ৪
اِنَّ الَّذِیۡنَ لَا یُؤۡمِنُوۡنَ بِالۡاٰخِرَۃِ زَیَّنَّا لَهُمۡ اَعۡمَالَهُمۡ فَهُمۡ یَعۡمَهُوۡنَ
اِنَّ الَّذِیۡنَ لَا یُؤۡمِنُوۡنَ بِالۡاٰخِرَۃِ زَیَّنَّا لَهُمۡ اَعۡمَالَهُمۡ فَهُمۡ یَعۡمَهُوۡنَ
৪. অনুবাদ: নিশ্চয় যারা আখিরাতে বিশ্বাস করে না আমি তাদের জন্য তাদের আমলসমূহকে সুশোভিত করে দিয়েছি। ফলে তারা বিভ্রান্ত হয়ে ঘুরে বেড়ায়।

5 ৫
اُولٰٓئِکَ الَّذِیۡنَ لَهُمۡ سُوۡٓءُ الۡعَذَابِ وَ هُمۡ فِی الۡاٰخِرَۃِ هُمُ الۡاَخۡسَرُوۡنَ
اُولٰٓئِکَ الَّذِیۡنَ لَهُمۡ سُوۡٓءُ الۡعَذَابِ وَ هُمۡ فِی الۡاٰخِرَۃِ هُمُ الۡاَخۡسَرُوۡنَ
৫. অনুবাদ: এদের জন্যই রয়েছে নিকৃষ্ট আযাব। আর এরাই আখিরাতে সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত।

6 ৬
وَ اِنَّکَ لَتُلَقَّی الۡقُرۡاٰنَ مِنۡ لَّدُنۡ حَکِیۡمٍ عَلِیۡمٍ
وَ اِنَّکَ لَتُلَقَّی الۡقُرۡاٰنَ مِنۡ لَّدُنۡ حَکِیۡمٍ عَلِیۡمٍ
৬. অনুবাদ: আর নিশ্চয় তুমি প্রজ্ঞাময় মহাজ্ঞানীর পক্ষ থেকে আল-কুরআনপ্রাপ্ত।

7 ৭
اِذۡ قَالَ مُوۡسٰی لِاَهۡلِهٖۤ اِنِّیۡۤ اٰنَسۡتُ نَارًا ؕ سَاٰتِیۡکُمۡ مِّنۡهَا بِخَبَرٍ اَوۡ اٰتِیۡکُمۡ بِشِهَابٍ قَبَسٍ لَّعَلَّکُمۡ تَصۡطَلُوۡنَ
اِذۡ قَالَ مُوۡسٰی لِاَهۡلِهٖۤ اِنِّیۡۤ اٰنَسۡتُ نَارًا ؕ سَاٰتِیۡکُمۡ مِّنۡهَا بِخَبَرٍ اَوۡ اٰتِیۡکُمۡ بِشِهَابٍ قَبَسٍ لَّعَلَّکُمۡ تَصۡطَلُوۡنَ
৭. অনুবাদ: স্মরণ কর, যখন মূসা তার পরিবারবর্গকে বলল, নিশ্চয় আমি আগুন দেখেছি। শীঘ্রই আমি সেখান থেকে তোমাদের জন্য কোন খবর নিয়ে আসব অথবা তোমাদের জন্য জ্বলন্ত আঙ্গার নিয়ে আসব। যাতে তোমরা আগুন পোহাতে পার।

8 ৮
فَلَمَّا جَآءَهَا نُوۡدِیَ اَنۡۢ بُوۡرِکَ مَنۡ فِی النَّارِ وَ مَنۡ حَوۡلَهَا ؕ وَ سُبۡحٰنَ اللّٰهِ رَبِّ الۡعٰلَمِیۡنَ
فَلَمَّا جَآءَهَا نُوۡدِیَ اَنۡۢ بُوۡرِکَ مَنۡ فِی النَّارِ وَ مَنۡ حَوۡلَهَا ؕ وَ سُبۡحٰنَ اللّٰهِ رَبِّ الۡعٰلَمِیۡنَ
৮. অনুবাদ: তারপর সে যখন সেখানে এসে পৌঁছল, তখন ডেকে বলা হল, ‘বরকতময় যা এ আলোর মধ্যে ও এর চারপাশে আছে। আর সৃষ্টিকুলের রব আল্লাহ মহাপবিত্র, মহিমান্বিত’।

9 ৯
یٰمُوۡسٰۤی اِنَّهٗۤ اَنَا اللّٰهُ الۡعَزِیۡزُ الۡحَکِیۡمُ
یٰمُوۡسٰۤی اِنَّهٗۤ اَنَا اللّٰهُ الۡعَزِیۡزُ الۡحَکِیۡمُ
৯. অনুবাদ: হে মূসা, নিশ্চয় আমিই আল্লাহ, মহাপরাক্রমশালী, মহাপ্রজ্ঞাময়।

10 ১০
وَ اَلۡقِ عَصَاکَ ؕ فَلَمَّا رَاٰهَا تَهۡتَزُّ کَاَنَّهَا جَآنٌّ وَّلّٰی مُدۡبِرًا وَّ لَمۡ یُعَقِّبۡ ؕ یٰمُوۡسٰی لَا تَخَفۡ ۟ اِنِّیۡ لَا یَخَافُ لَدَیَّ الۡمُرۡسَلُوۡنَ
وَ اَلۡقِ عَصَاکَ ؕ فَلَمَّا رَاٰهَا تَهۡتَزُّ کَاَنَّهَا جَآنٌّ وَّلّٰی مُدۡبِرًا وَّ لَمۡ یُعَقِّبۡ ؕ یٰمُوۡسٰی لَا تَخَفۡ ۟ اِنِّیۡ لَا یَخَافُ لَدَیَّ الۡمُرۡسَلُوۡنَ
১০. অনুবাদ: আর তুমি তোমার লাঠি নিক্ষেপ কর। তারপর যখন সে ওটাকে সাপের মত ছোটাছুটি করতে দেখল, তখন সে পেছনের দিকে ছুটতে লাগল এবং ফিরে তাকাল না। ‘হে মূসা! তুমি ভয় করো না, নিশ্চয় আমার কাছে রাসূলগণ ভয় পায় না’।

11 ১১
اِلَّا مَنۡ ظَلَمَ ثُمَّ بَدَّلَ حُسۡنًۢا بَعۡدَ سُوۡٓءٍ فَاِنِّیۡ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ
اِلَّا مَنۡ ظَلَمَ ثُمَّ بَدَّلَ حُسۡنًۢا بَعۡدَ سُوۡٓءٍ فَاِنِّیۡ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ
১১. অনুবাদ: ‘তবে যে যুল্‌ম করে। তারপর অসৎকাজের পরিবর্তে সৎকাজ করে, তবে অবশ্যই আমি অধিক ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু’।

12 ১২
وَ اَدۡخِلۡ یَدَکَ فِیۡ جَیۡبِکَ تَخۡرُجۡ بَیۡضَآءَ مِنۡ غَیۡرِ سُوۡٓءٍ ۟ فِیۡ تِسۡعِ اٰیٰتٍ اِلٰی فِرۡعَوۡنَ وَ قَوۡمِهٖ ؕ اِنَّهُمۡ کَانُوۡا قَوۡمًا فٰسِقِیۡنَ
وَ اَدۡخِلۡ یَدَکَ فِیۡ جَیۡبِکَ تَخۡرُجۡ بَیۡضَآءَ مِنۡ غَیۡرِ سُوۡٓءٍ ۟ فِیۡ تِسۡعِ اٰیٰتٍ اِلٰی فِرۡعَوۡنَ وَ قَوۡمِهٖ ؕ اِنَّهُمۡ کَانُوۡا قَوۡمًا فٰسِقِیۡنَ
১২. অনুবাদ: ‘আর তুমি তোমার হাত বগলে প্রবেশ করাও, তা দোষমুক্ত শুভ্র অবস্থায় বের হয়ে আসবে। ফির‘আউন ও তার সম্প্রদায়ের কাছে আনীত নয়টি নিদর্শনের অন্তর্ভুক্ত। নিশ্চয় তারা ছিল ফাসিক সম্প্রদায়’।

13 ১৩
فَلَمَّا جَآءَتۡهُمۡ اٰیٰتُنَا مُبۡصِرَۃً قَالُوۡا هٰذَا سِحۡرٌ مُّبِیۡنٌ
فَلَمَّا جَآءَتۡهُمۡ اٰیٰتُنَا مُبۡصِرَۃً قَالُوۡا هٰذَا سِحۡرٌ مُّبِیۡنٌ
১৩. অনুবাদ: তারপর যখন আমার নিদর্শনগুলো দৃশ্যমান হয়ে তাদের কাছে আসল, তখন তারা বলল, এটা তো সুস্পষ্ট যাদু।

14 ১৪
وَ جَحَدُوۡا بِهَا وَ اسۡتَیۡقَنَتۡهَاۤ اَنۡفُسُهُمۡ ظُلۡمًا وَّ عُلُوًّا ؕ فَانۡظُرۡ کَیۡفَ کَانَ عَاقِبَۃُ الۡمُفۡسِدِیۡنَ
وَ جَحَدُوۡا بِهَا وَ اسۡتَیۡقَنَتۡهَاۤ اَنۡفُسُهُمۡ ظُلۡمًا وَّ عُلُوًّا ؕ فَانۡظُرۡ کَیۡفَ کَانَ عَاقِبَۃُ الۡمُفۡسِدِیۡنَ
১৪. অনুবাদ: আর তারা অন্যায় ও উদ্ধতভাবে নিদর্শনগুলোকে প্রত্যাখ্যান করল। অথচ তাদের অন্তর তা নিশ্চিত বিশ্বাস করেছিল। অতএব দেখ, ফাসাদ সৃষ্টিকারীদের পরিণাম কেমন হয়েছিল।

15 ১৫
وَ لَقَدۡ اٰتَیۡنَا دَاوٗدَ وَ سُلَیۡمٰنَ عِلۡمًا ۚ وَ قَالَا الۡحَمۡدُ لِلّٰهِ الَّذِیۡ فَضَّلَنَا عَلٰی کَثِیۡرٍ مِّنۡ عِبَادِهِ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ
وَ لَقَدۡ اٰتَیۡنَا دَاوٗدَ وَ سُلَیۡمٰنَ عِلۡمًا ۚ وَ قَالَا الۡحَمۡدُ لِلّٰهِ الَّذِیۡ فَضَّلَنَا عَلٰی کَثِیۡرٍ مِّنۡ عِبَادِهِ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ
১৫. অনুবাদ: আর অবশ্যই আমি দাঊদ ও সুলাইমানকে জ্ঞান দান করেছি এবং তারা উভয়ে বলল, ‘সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্যই, যিনি তাঁর অনেক মুমিন বান্দাদের উপর আমাদেরকে মর্যাদা দান করেছেন’।

16 ১৬
وَ وَرِثَ سُلَیۡمٰنُ دَاوٗدَ وَ قَالَ یٰۤاَیُّهَا النَّاسُ عُلِّمۡنَا مَنۡطِقَ الطَّیۡرِ وَ اُوۡتِیۡنَا مِنۡ کُلِّ شَیۡءٍ ؕ اِنَّ هٰذَا لَهُوَ الۡفَضۡلُ الۡمُبِیۡنُ
وَ وَرِثَ سُلَیۡمٰنُ دَاوٗدَ وَ قَالَ یٰۤاَیُّهَا النَّاسُ عُلِّمۡنَا مَنۡطِقَ الطَّیۡرِ وَ اُوۡتِیۡنَا مِنۡ کُلِّ شَیۡءٍ ؕ اِنَّ هٰذَا لَهُوَ الۡفَضۡلُ الۡمُبِیۡنُ
১৬. অনুবাদ: আর সুলাইমান দাঊদের ওয়ারিস হল এবং সে বলল, ‘হে মানুষ, আমাদেরকে পাখির ভাষা শেখানো হয়েছে এবং আমাদেরকে সকল কিছু দেয়া হয়েছে। নিশ্চয় এটা সুস্পষ্ট অনুগ্রহ’।

17 ১৭
وَ حُشِرَ لِسُلَیۡمٰنَ جُنُوۡدُهٗ مِنَ الۡجِنِّ وَ الۡاِنۡسِ وَ الطَّیۡرِ فَهُمۡ یُوۡزَعُوۡنَ
وَ حُشِرَ لِسُلَیۡمٰنَ جُنُوۡدُهٗ مِنَ الۡجِنِّ وَ الۡاِنۡسِ وَ الطَّیۡرِ فَهُمۡ یُوۡزَعُوۡنَ
১৭. অনুবাদ: আর সুলাইমানের জন্য তার সেনাবাহিনী থেকে জিন, মানুষ ও পাখিদের সমবেত করা হল। তারপর এদেরকে বিন্যস্ত করা হল।

18 ১৮
حَتّٰۤی اِذَاۤ اَتَوۡا عَلٰی وَادِ النَّمۡلِ ۙ قَالَتۡ نَمۡلَۃٌ یّٰۤاَیُّهَا النَّمۡلُ ادۡخُلُوۡا مَسٰکِنَکُمۡ ۚ لَا یَحۡطِمَنَّکُمۡ سُلَیۡمٰنُ وَ جُنُوۡدُهٗ ۙ وَ هُمۡ لَا یَشۡعُرُوۡنَ
حَتّٰۤی اِذَاۤ اَتَوۡا عَلٰی وَادِ النَّمۡلِ ۙ قَالَتۡ نَمۡلَۃٌ یّٰۤاَیُّهَا النَّمۡلُ ادۡخُلُوۡا مَسٰکِنَکُمۡ ۚ لَا یَحۡطِمَنَّکُمۡ سُلَیۡمٰنُ وَ جُنُوۡدُهٗ ۙ وَ هُمۡ لَا یَشۡعُرُوۡنَ
১৮. অনুবাদ: অবশেষে যখন তারা পিপড়ার উপত্যকায় পৌঁছল তখন এক পিপড়া বলল, ‘ওহে পিপড়ার দল, তোমরা তোমাদের বাসস্থানে প্রবেশ কর। সুলাইমান ও তার বাহিনী তোমাদেরকে যেন অজ্ঞাতসারে পিষ্ট করে মারতে না পারে’।

19 ১৯
فَتَبَسَّمَ ضَاحِکًا مِّنۡ قَوۡلِهَا وَ قَالَ رَبِّ اَوۡزِعۡنِیۡۤ اَنۡ اَشۡکُرَ نِعۡمَتَکَ الَّتِیۡۤ اَنۡعَمۡتَ عَلَیَّ وَ عَلٰی وَالِدَیَّ وَ اَنۡ اَعۡمَلَ صَالِحًا تَرۡضٰىهُ وَ اَدۡخِلۡنِیۡ بِرَحۡمَتِکَ فِیۡ عِبَادِکَ الصّٰلِحِیۡنَ
فَتَبَسَّمَ ضَاحِکًا مِّنۡ قَوۡلِهَا وَ قَالَ رَبِّ اَوۡزِعۡنِیۡۤ اَنۡ اَشۡکُرَ نِعۡمَتَکَ الَّتِیۡۤ اَنۡعَمۡتَ عَلَیَّ وَ عَلٰی وَالِدَیَّ وَ اَنۡ اَعۡمَلَ صَالِحًا تَرۡضٰىهُ وَ اَدۡخِلۡنِیۡ بِرَحۡمَتِکَ فِیۡ عِبَادِکَ الصّٰلِحِیۡنَ
১৯. অনুবাদ: তারপর সুলাইমান তার কথায় মুচকি হাসল এবং বলল, ‘হে আমার রব, তুমি আমার প্রতি ও আমার পিতা-মাতার প্রতি যে অনুগ্রহ করেছ তার জন্য আমাকে তোমার শুকরিয়া আদায় করার তাওফীক দাও। আর আমি যাতে এমন সৎকাজ করতে পারি যা তুমি পছন্দ কর। আর তোমার অনুগ্রহে তুমি আমাকে তোমার সৎকর্মপরায়ণ বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত কর’।

20 ২০
وَ تَفَقَّدَ الطَّیۡرَ فَقَالَ مَا لِیَ لَاۤ اَرَی الۡهُدۡهُدَ ۫ۖ اَمۡ کَانَ مِنَ الۡغَآئِبِیۡنَ
وَ تَفَقَّدَ الطَّیۡرَ فَقَالَ مَا لِیَ لَاۤ اَرَی الۡهُدۡهُدَ ۫ۖ اَمۡ کَانَ مِنَ الۡغَآئِبِیۡنَ
২০. অনুবাদ: আর সুলাইমান পাখিদের খোঁজ খবর নিল। তারপর সে বলল, ‘কী ব্যাপার, আমি হুদহুদকে দেখছি না; নাকি সে অনুপস্থিতদের অন্তর্ভুক্ত’?

21 ২১
لَاُعَذِّبَنَّهٗ عَذَابًا شَدِیۡدًا اَوۡ لَاَاذۡبَحَنَّهٗۤ اَوۡ لَیَاۡتِیَنِّیۡ بِسُلۡطٰنٍ مُّبِیۡنٍ
لَاُعَذِّبَنَّهٗ عَذَابًا شَدِیۡدًا اَوۡ لَاَاذۡبَحَنَّهٗۤ اَوۡ لَیَاۡتِیَنِّیۡ بِسُلۡطٰنٍ مُّبِیۡنٍ
২১. অনুবাদ: ‘অবশ্যই আমি তাকে কঠিন আযাব দেব অথবা তাকে যবেহ করব। অথবা সে আমার কাছে সুস্পষ্ট প্রমাণ নিয়ে আসবে’।

22 ২২
فَمَکَثَ غَیۡرَ بَعِیۡدٍ فَقَالَ اَحَطۡتُّ بِمَا لَمۡ تُحِطۡ بِهٖ وَ جِئۡتُکَ مِنۡ سَبَاٍۭ بِنَبَاٍ یَّقِیۡنٍ
فَمَکَثَ غَیۡرَ بَعِیۡدٍ فَقَالَ اَحَطۡتُّ بِمَا لَمۡ تُحِطۡ بِهٖ وَ جِئۡتُکَ مِنۡ سَبَاٍۭ بِنَبَاٍ یَّقِیۡنٍ
২২. অনুবাদ: তারপর অনতিবিলম্বে হুদহুদ এসে বলল, ‘আমি যা অবগত হয়েছি আপনি তা অবগত নন, আমি সাবা থেকে আপনার জন্য নিশ্চিত খবর নিয়ে এসেছি’।

23 ২৩
اِنِّیۡ وَجَدۡتُّ امۡرَاَۃً تَمۡلِکُهُمۡ وَ اُوۡتِیَتۡ مِنۡ کُلِّ شَیۡءٍ وَّ لَهَا عَرۡشٌ عَظِیۡمٌ
اِنِّیۡ وَجَدۡتُّ امۡرَاَۃً تَمۡلِکُهُمۡ وَ اُوۡتِیَتۡ مِنۡ کُلِّ شَیۡءٍ وَّ لَهَا عَرۡشٌ عَظِیۡمٌ
২৩. অনুবাদ: ‘আমি এক নারীকে দেখতে পেলাম, সে তাদের উপর রাজত্ব করছে। তাকে দেয়া হয়েছে সব কিছু। আর তার আছে এক বিশাল সিংহাসন’।

24 ২৪
وَجَدۡتُّهَا وَ قَوۡمَهَا یَسۡجُدُوۡنَ لِلشَّمۡسِ مِنۡ دُوۡنِ اللّٰهِ وَ زَیَّنَ لَهُمُ الشَّیۡطٰنُ اَعۡمَالَهُمۡ فَصَدَّهُمۡ عَنِ السَّبِیۡلِ فَهُمۡ لَا یَهۡتَدُوۡنَ
وَجَدۡتُّهَا وَ قَوۡمَهَا یَسۡجُدُوۡنَ لِلشَّمۡسِ مِنۡ دُوۡنِ اللّٰهِ وَ زَیَّنَ لَهُمُ الشَّیۡطٰنُ اَعۡمَالَهُمۡ فَصَدَّهُمۡ عَنِ السَّبِیۡلِ فَهُمۡ لَا یَهۡتَدُوۡنَ
২৪. অনুবাদ: ‘আমি তাকে ও তার কওমকে দেখতে পেলাম তারা আল্লাহর পরিবর্তে সূর্যকে সিজদা করছে। আর শয়তান তাদের কার্যাবলীকে তাদের জন্য সৌন্দর্যমন্ডিত করে দিয়েছে এবং তাদেরকে সৎপথ থেকে নিবৃত করেছে, ফলে তারা হিদায়াত পায় না’।

25 ২৫
اَلَّا یَسۡجُدُوۡا لِلّٰهِ الَّذِیۡ یُخۡرِجُ الۡخَبۡءَ فِی السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ وَ یَعۡلَمُ مَا تُخۡفُوۡنَ وَ مَا تُعۡلِنُوۡنَ
اَلَّا یَسۡجُدُوۡا لِلّٰهِ الَّذِیۡ یُخۡرِجُ الۡخَبۡءَ فِی السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ وَ یَعۡلَمُ مَا تُخۡفُوۡنَ وَ مَا تُعۡلِنُوۡنَ
২৫. অনুবাদ: যাতে তারা আল্লাহকে সিজদা না করে, যিনি আসমান ও যমীনের লুকায়িত বস্তুকে বের করেন। আর তোমরা যা গোপন কর এবং তোমরা যা প্রকাশ কর তিনি সবই জানেন।

26 ২৬
اَللّٰهُ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ رَبُّ الۡعَرۡشِ الۡعَظِیۡمِ
اَللّٰهُ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ رَبُّ الۡعَرۡشِ الۡعَظِیۡمِ
২৬. অনুবাদ: আল্লাহ ছাড়া সত্যিকারের কোন ইলাহ নেই। তিনি মহা আরশের রব। [সাজদাহ] ۩

27 ২৭
قَالَ سَنَنۡظُرُ اَصَدَقۡتَ اَمۡ کُنۡتَ مِنَ الۡکٰذِبِیۡنَ
قَالَ سَنَنۡظُرُ اَصَدَقۡتَ اَمۡ کُنۡتَ مِنَ الۡکٰذِبِیۡنَ
২৭. অনুবাদ: সুলাইমান বলল, আমরা দেখব, ‘তুমি কি সত্য বলেছ, নাকি তুমি মিথ্যাবাদীদের অন্তর্ভুক্ত’।

28 ২৮
اِذۡهَبۡ بِّکِتٰبِیۡ هٰذَا فَاَلۡقِهۡ اِلَیۡهِمۡ ثُمَّ تَوَلَّ عَنۡهُمۡ فَانۡظُرۡ مَا ذَا یَرۡجِعُوۡنَ
اِذۡهَبۡ بِّکِتٰبِیۡ هٰذَا فَاَلۡقِهۡ اِلَیۡهِمۡ ثُمَّ تَوَلَّ عَنۡهُمۡ فَانۡظُرۡ مَا ذَا یَرۡجِعُوۡنَ
২৮. অনুবাদ: ‘তুমি আমার এ পত্র নিয়ে যাও। অতঃপর এটা তাদের কাছে নিক্ষেপ কর, তারপর তাদের কাছ থেকে সরে থাক এবং দেখ, তারা কী জবাব দেয়’?

29 ২৯
قَالَتۡ یٰۤاَیُّهَا الۡمَلَؤُا اِنِّیۡۤ اُلۡقِیَ اِلَیَّ کِتٰبٌ کَرِیۡمٌ
قَالَتۡ یٰۤاَیُّهَا الۡمَلَؤُا اِنِّیۡۤ اُلۡقِیَ اِلَیَّ کِتٰبٌ کَرِیۡمٌ
২৯. অনুবাদ: সে (রাণী) বলল, ‘হে পারিষদবর্গ! নিশ্চয় আমাকে এক সম্মানজনক পত্র দেয়া হয়েছে’।

30 ৩০
اِنَّهٗ مِنۡ سُلَیۡمٰنَ وَ اِنَّهٗ بِسۡمِ اللّٰهِ الرَّحۡمٰنِ الرَّحِیۡمِ
اِنَّهٗ مِنۡ سُلَیۡمٰنَ وَ اِنَّهٗ بِسۡمِ اللّٰهِ الرَّحۡمٰنِ الرَّحِیۡمِ
৩০. অনুবাদ: ‘নিশ্চয় এটা সুলাইমানের পক্ষ থেকে। আর নিশ্চয় এটা পরম করুণাময় পরম দয়ালু আল্লাহর নামে’।

31 ৩১
اَلَّا تَعۡلُوۡا عَلَیَّ وَ اۡتُوۡنِیۡ مُسۡلِمِیۡنَ
اَلَّا تَعۡلُوۡا عَلَیَّ وَ اۡتُوۡنِیۡ مُسۡلِمِیۡنَ
৩১. অনুবাদ: যাতে তোমরা আমার প্রতি উদ্ধত না হও এবং অনুগত হয়ে আমার কাছে আস।

32 ৩২
قَالَتۡ یٰۤاَیُّهَا الۡمَلَؤُا اَفۡتُوۡنِیۡ فِیۡۤ اَمۡرِیۡ ۚ مَا کُنۡتُ قَاطِعَۃً اَمۡرًا حَتّٰی تَشۡهَدُوۡنِ
قَالَتۡ یٰۤاَیُّهَا الۡمَلَؤُا اَفۡتُوۡنِیۡ فِیۡۤ اَمۡرِیۡ ۚ مَا کُنۡتُ قَاطِعَۃً اَمۡرًا حَتّٰی تَشۡهَدُوۡنِ
৩২. অনুবাদ: সে (রাণী) বলল, ‘হে পারিষদবর্গ, তোমরা আমার ব্যাপারে আমাকে অভিমত দাও। তোমাদের উপস্থিতি ছাড়া আমি কোন বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি না।

33 ৩৩
قَالُوۡا نَحۡنُ اُولُوۡا قُوَّۃٍ وَّ اُولُوۡا بَاۡسٍ شَدِیۡدٍ ۬ۙ وَّ الۡاَمۡرُ اِلَیۡکِ فَانۡظُرِیۡ مَاذَا تَاۡمُرِیۡنَ
قَالُوۡا نَحۡنُ اُولُوۡا قُوَّۃٍ وَّ اُولُوۡا بَاۡسٍ شَدِیۡدٍ ۬ۙ وَّ الۡاَمۡرُ اِلَیۡکِ فَانۡظُرِیۡ مَاذَا تَاۡمُرِیۡنَ
৩৩. অনুবাদ: তারা বলল, ‘আমরা শক্তিশালী ও কঠোর যোদ্ধা, আর সিদ্ধান্ত আপনার কাছেই। অতএব চিন্তা করে দেখুন, আপনি কী নির্দেশ দেবেন’।

34 ৩৪
قَالَتۡ اِنَّ الۡمُلُوۡکَ اِذَا دَخَلُوۡا قَرۡیَۃً اَفۡسَدُوۡهَا وَ جَعَلُوۡۤا اَعِزَّۃَ اَهۡلِهَاۤ اَذِلَّۃً ۚ وَ کَذٰلِکَ یَفۡعَلُوۡنَ
قَالَتۡ اِنَّ الۡمُلُوۡکَ اِذَا دَخَلُوۡا قَرۡیَۃً اَفۡسَدُوۡهَا وَ جَعَلُوۡۤا اَعِزَّۃَ اَهۡلِهَاۤ اَذِلَّۃً ۚ وَ کَذٰلِکَ یَفۡعَلُوۡنَ
৩৪. অনুবাদ: সে বলল, ‘নিশ্চয় রাজা-বাদশাহরা যখন কোন জনপদে প্রবেশ করে তখন তাকে বিপর্যস্ত করে এবং সেখানকার সম্মানিত অধিবাসীদেরকে অপদস্থ করে। আর তা-ই তারা করবে’।

35 ৩৫
وَ اِنِّیۡ مُرۡسِلَۃٌ اِلَیۡهِمۡ بِهَدِیَّۃٍ فَنٰظِرَۃٌۢ بِمَ یَرۡجِعُ الۡمُرۡسَلُوۡنَ
وَ اِنِّیۡ مُرۡسِلَۃٌ اِلَیۡهِمۡ بِهَدِیَّۃٍ فَنٰظِرَۃٌۢ بِمَ یَرۡجِعُ الۡمُرۡسَلُوۡنَ
৩৫. অনুবাদ: ‘আর নিশ্চয় আমি তাদের কাছে উপঢৌকন পাঠাচ্ছি, তারপর দেখি দূতেরা কী নিয়ে ফিরে আসে’।

36 ৩৬
فَلَمَّا جَآءَ سُلَیۡمٰنَ قَالَ اَتُمِدُّوۡنَنِ بِمَالٍ ۫ فَمَاۤ اٰتٰىنِۦَ اللّٰهُ خَیۡرٌ مِّمَّاۤ اٰتٰىکُمۡ ۚ بَلۡ اَنۡتُمۡ بِهَدِیَّتِکُمۡ تَفۡرَحُوۡنَ
فَلَمَّا جَآءَ سُلَیۡمٰنَ قَالَ اَتُمِدُّوۡنَنِ بِمَالٍ ۫ فَمَاۤ اٰتٰىنِۦَ اللّٰهُ خَیۡرٌ مِّمَّاۤ اٰتٰىکُمۡ ۚ بَلۡ اَنۡتُمۡ بِهَدِیَّتِکُمۡ تَفۡرَحُوۡنَ
৩৬. অনুবাদ: অতঃপর দূত যখন সুলাইমানের কাছে আসল, তখন সে বলল, ‘তোমরা কি আমাকে সম্পদ দ্বারা সাহায্য করতে চাচ্ছ? সুতরাং আল্লাহ আমাকে যা দিয়েছেন তা তোমাদেরকে যা দিয়েছেন তা থেকে উত্তম। বরং তোমরা তোমাদের উপঢৌকন নিয়ে খুশি হও’।

37 ৩৭
اِرۡجِعۡ اِلَیۡهِمۡ فَلَنَاۡتِیَنَّهُمۡ بِجُنُوۡدٍ لَّا قِبَلَ لَهُمۡ بِهَا وَ لَنُخۡرِجَنَّهُمۡ مِّنۡهَاۤ اَذِلَّۃً وَّ هُمۡ صٰغِرُوۡنَ
اِرۡجِعۡ اِلَیۡهِمۡ فَلَنَاۡتِیَنَّهُمۡ بِجُنُوۡدٍ لَّا قِبَلَ لَهُمۡ بِهَا وَ لَنُخۡرِجَنَّهُمۡ مِّنۡهَاۤ اَذِلَّۃً وَّ هُمۡ صٰغِرُوۡنَ
৩৭. অনুবাদ: ‘তোমরা তাদের কাছে ফিরে যাও। তারপর আমি অবশ্যই তাদের কাছে এমন সৈন্যবাহিনী নিয়ে আসব যার মুকাবিলা করার শক্তি তাদের নেই। আর আমি অবশ্যই তাদেরকে সেখান থেকে লাঞ্ছিত অবস্থায় বের করে দেব আর তারা অপমানিত।’

38 ৩৮
قَالَ یٰۤاَیُّهَا الۡمَلَؤُا اَیُّکُمۡ یَاۡتِیۡنِیۡ بِعَرۡشِهَا قَبۡلَ اَنۡ یَّاۡتُوۡنِیۡ مُسۡلِمِیۡنَ
قَالَ یٰۤاَیُّهَا الۡمَلَؤُا اَیُّکُمۡ یَاۡتِیۡنِیۡ بِعَرۡشِهَا قَبۡلَ اَنۡ یَّاۡتُوۡنِیۡ مُسۡلِمِیۡنَ
৩৮. অনুবাদ: সুলাইমান বলল, ‘হে পারিষদবর্গ, তারা আমার কাছে আত্মসমর্পণ করে আসার পূর্বে তোমাদের মধ্যে কে তার (রাণীর) সিংহাসন আমার কাছে নিয়ে আসতে পারবে’?

39 ৩৯
قَالَ عِفۡرِیۡتٌ مِّنَ الۡجِنِّ اَنَا اٰتِیۡکَ بِهٖ قَبۡلَ اَنۡ تَقُوۡمَ مِنۡ مَّقَامِکَ ۚ وَ اِنِّیۡ عَلَیۡهِ لَقَوِیٌّ اَمِیۡنٌ
قَالَ عِفۡرِیۡتٌ مِّنَ الۡجِنِّ اَنَا اٰتِیۡکَ بِهٖ قَبۡلَ اَنۡ تَقُوۡمَ مِنۡ مَّقَامِکَ ۚ وَ اِنِّیۡ عَلَیۡهِ لَقَوِیٌّ اَمِیۡنٌ
৩৯. অনুবাদ: এক শক্তিশালী জিন বলল, ‘আপনি আপনার স্থান থেকে উঠার পূর্বেই আমি তা এনে দেব। আমি নিশ্চয়ই এই ব্যাপারে শক্তিমান, বিশ্বস্ত।

40 ৪০
قَالَ الَّذِیۡ عِنۡدَهٗ عِلۡمٌ مِّنَ الۡکِتٰبِ اَنَا اٰتِیۡکَ بِهٖ قَبۡلَ اَنۡ یَّرۡتَدَّ اِلَیۡکَ طَرۡفُکَ ؕ فَلَمَّا رَاٰهُ مُسۡتَقِرًّا عِنۡدَهٗ قَالَ هٰذَا مِنۡ فَضۡلِ رَبِّیۡ ۟ۖ لِیَبۡلُوَنِیۡۤ ءَاَشۡکُرُ اَمۡ اَکۡفُرُ ؕ وَ مَنۡ شَکَرَ فَاِنَّمَا یَشۡکُرُ لِنَفۡسِهٖ ۚ وَ مَنۡ کَفَرَ فَاِنَّ رَبِّیۡ غَنِیٌّ کَرِیۡمٌ
قَالَ الَّذِیۡ عِنۡدَهٗ عِلۡمٌ مِّنَ الۡکِتٰبِ اَنَا اٰتِیۡکَ بِهٖ قَبۡلَ اَنۡ یَّرۡتَدَّ اِلَیۡکَ طَرۡفُکَ ؕ فَلَمَّا رَاٰهُ مُسۡتَقِرًّا عِنۡدَهٗ قَالَ هٰذَا مِنۡ فَضۡلِ رَبِّیۡ ۟ۖ لِیَبۡلُوَنِیۡۤ ءَاَشۡکُرُ اَمۡ اَکۡفُرُ ؕ وَ مَنۡ شَکَرَ فَاِنَّمَا یَشۡکُرُ لِنَفۡسِهٖ ۚ وَ مَنۡ کَفَرَ فَاِنَّ رَبِّیۡ غَنِیٌّ کَرِیۡمٌ
৪০. অনুবাদ: যার কাছে কিতাবের এক বিশেষ জ্ঞান ছিল সে বলল, ‘আমি চোখের পলক পড়ার পূর্বেই তা আপনার কাছে নিয়ে আসব’। অতঃপর যখন সুলাইমান তা তার সামনে স্থির দেখতে পেল, তখন বলল, ‘এটি আমার রবের অনুগ্রহ, যাতে তিনি আমাকে পরীক্ষা করেন যে, আমি কি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি না কি অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। আর যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সে তো তার নিজের কল্যাণেই তা করে, আর যে কেউ অকৃতজ্ঞ হবে, তবে নিশ্চয় আমার রব অভাবমুক্ত, অধিক দাতা’।

41 ৪১
قَالَ نَکِّرُوۡا لَهَا عَرۡشَهَا نَنۡظُرۡ اَتَهۡتَدِیۡۤ اَمۡ تَکُوۡنُ مِنَ الَّذِیۡنَ لَا یَهۡتَدُوۡنَ
قَالَ نَکِّرُوۡا لَهَا عَرۡشَهَا نَنۡظُرۡ اَتَهۡتَدِیۡۤ اَمۡ تَکُوۡنُ مِنَ الَّذِیۡنَ لَا یَهۡتَدُوۡنَ
৪১. অনুবাদ: সুলাইমান বলল, ‘তোমরা তার জন্য তার সিংহাসনের আকার-আকৃতি পরিবর্তন করে দাও। দেখব সে সঠিক দিশা পায় নাকি তাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে পড়ে, যারা সঠিক দিশা পায় না’।

42 ৪২
فَلَمَّا جَآءَتۡ قِیۡلَ اَهٰکَذَا عَرۡشُکِ ؕ قَالَتۡ کَاَنَّهٗ هُوَ ۚ وَ اُوۡتِیۡنَا الۡعِلۡمَ مِنۡ قَبۡلِهَا وَ کُنَّا مُسۡلِمِیۡنَ
فَلَمَّا جَآءَتۡ قِیۡلَ اَهٰکَذَا عَرۡشُکِ ؕ قَالَتۡ کَاَنَّهٗ هُوَ ۚ وَ اُوۡتِیۡنَا الۡعِلۡمَ مِنۡ قَبۡلِهَا وَ کُنَّا مُسۡلِمِیۡنَ
৪২. অনুবাদ: অতঃপর যখন সে আসল, তখন তাকে বলা হল; ‘এরূপই কি তোমার সিংহাসন’? সে বলল, ‘এটি যেন সেটিই’। আর বলল, ‘আমাদেরকে তার পূর্বেই জ্ঞান দান করা হয়েছিল এবং আমরা আত্মসমর্পণ করেছিলাম’।

43 ৪৩
وَ صَدَّهَا مَا کَانَتۡ تَّعۡبُدُ مِنۡ دُوۡنِ اللّٰهِ ؕ اِنَّهَا کَانَتۡ مِنۡ قَوۡمٍ کٰفِرِیۡنَ
وَ صَدَّهَا مَا کَانَتۡ تَّعۡبُدُ مِنۡ دُوۡنِ اللّٰهِ ؕ اِنَّهَا کَانَتۡ مِنۡ قَوۡمٍ کٰفِرِیۡنَ
৪৩. অনুবাদ: আর আল্লাহকে বাদ দিয়ে যার পূজা সে করত তা তাকে ঈমান থেকে নিবৃত্ত করেছিল। নিশ্চয় সে ছিল কাফির সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত।

44 ৪৪
قِیۡلَ لَهَا ادۡخُلِی الصَّرۡحَ ۚ فَلَمَّا رَاَتۡهُ حَسِبَتۡهُ لُجَّۃً وَّ کَشَفَتۡ عَنۡ سَاقَیۡهَا ؕ قَالَ اِنَّهٗ صَرۡحٌ مُّمَرَّدٌ مِّنۡ قَوَارِیۡرَ ۬ؕ قَالَتۡ رَبِّ اِنِّیۡ ظَلَمۡتُ نَفۡسِیۡ وَ اَسۡلَمۡتُ مَعَ سُلَیۡمٰنَ لِلّٰهِ رَبِّ الۡعٰلَمِیۡنَ
قِیۡلَ لَهَا ادۡخُلِی الصَّرۡحَ ۚ فَلَمَّا رَاَتۡهُ حَسِبَتۡهُ لُجَّۃً وَّ کَشَفَتۡ عَنۡ سَاقَیۡهَا ؕ قَالَ اِنَّهٗ صَرۡحٌ مُّمَرَّدٌ مِّنۡ قَوَارِیۡرَ ۬ؕ قَالَتۡ رَبِّ اِنِّیۡ ظَلَمۡتُ نَفۡسِیۡ وَ اَسۡلَمۡتُ مَعَ سُلَیۡمٰنَ لِلّٰهِ رَبِّ الۡعٰلَمِیۡنَ
৪৪. অনুবাদ: তাকে বলা হল, ‘প্রাসাদটিতে প্রবেশ কর’। অতঃপর যখন সে তা দেখল, সে তাকে এক গভীর জলাশয় ধারণা করল, এবং তার পায়ের গোছাদ্বয় অনাবৃত করল। সুলাইমান বলল, ‘এটি আসলে স্বচ্ছ কাঁচ-নির্মিত প্রাসাদ’। সে বলল, ‘হে আমার রব, নিশ্চয় আমি আমার নিজের প্রতি যুলম করেছি। আমি সুলাইমানের সাথে সৃষ্টিকুলের রব আল্লাহর নিকট আত্মসমর্পণ করলাম’।

45 ৪৫
وَ لَقَدۡ اَرۡسَلۡنَاۤ اِلٰی ثَمُوۡدَ اَخَاهُمۡ صٰلِحًا اَنِ اعۡبُدُوا اللّٰهَ فَاِذَا هُمۡ فَرِیۡقٰنِ یَخۡتَصِمُوۡنَ
وَ لَقَدۡ اَرۡسَلۡنَاۤ اِلٰی ثَمُوۡدَ اَخَاهُمۡ صٰلِحًا اَنِ اعۡبُدُوا اللّٰهَ فَاِذَا هُمۡ فَرِیۡقٰنِ یَخۡتَصِمُوۡنَ
৪৫. অনুবাদ: আর অবশ্যই আমি সামূদ সম্প্রদায়ের নিকট তাদের ভাই সালিহকে পাঠিয়েছিলাম যে, তোমরা আল্লাহর ইবাদাত কর। অতঃপর তারা দু’দলে বিভক্ত হয়ে বিতর্ক করছিল।

46 ৪৬
قَالَ یٰقَوۡمِ لِمَ تَسۡتَعۡجِلُوۡنَ بِالسَّیِّئَۃِ قَبۡلَ الۡحَسَنَۃِ ۚ لَوۡ لَا تَسۡتَغۡفِرُوۡنَ اللّٰهَ لَعَلَّکُمۡ تُرۡحَمُوۡنَ
قَالَ یٰقَوۡمِ لِمَ تَسۡتَعۡجِلُوۡنَ بِالسَّیِّئَۃِ قَبۡلَ الۡحَسَنَۃِ ۚ لَوۡ لَا تَسۡتَغۡفِرُوۡنَ اللّٰهَ لَعَلَّکُمۡ تُرۡحَمُوۡنَ
৪৬. অনুবাদ: সে বলল, ‘হে আমার কওম, তোমরা কল্যাণের পূর্বে কেন অকল্যাণকে তরান্বিত করতে চাইছ? কেন তোমরা আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছ না যেন তোমাদেরকে রহমত করা হয়’?

47 ৪৭
قَالُوا اطَّیَّرۡنَا بِکَ وَ بِمَنۡ مَّعَکَ ؕ قَالَ طٰٓئِرُکُمۡ عِنۡدَ اللّٰهِ بَلۡ اَنۡتُمۡ قَوۡمٌ تُفۡتَنُوۡنَ
قَالُوا اطَّیَّرۡنَا بِکَ وَ بِمَنۡ مَّعَکَ ؕ قَالَ طٰٓئِرُکُمۡ عِنۡدَ اللّٰهِ بَلۡ اَنۡتُمۡ قَوۡمٌ تُفۡتَنُوۡنَ
৪৭. অনুবাদ: তারা বলল, ‘আমরা তুমি ও তোমার সাথে যারা আছে তাদেরকে অশুভ মনে করছি’। সে বলল, ‘তোমাদের অশুভ আল্লাহর নিকট। বরং তোমরা এমন এক কওম যাদের পরীক্ষা করা হচ্ছে’।

48 ৪৮
وَ کَانَ فِی الۡمَدِیۡنَۃِ تِسۡعَۃُ رَهۡطٍ یُّفۡسِدُوۡنَ فِی الۡاَرۡضِ وَ لَا یُصۡلِحُوۡنَ
وَ کَانَ فِی الۡمَدِیۡنَۃِ تِسۡعَۃُ رَهۡطٍ یُّفۡسِدُوۡنَ فِی الۡاَرۡضِ وَ لَا یُصۡلِحُوۡنَ
৪৮. অনুবাদ: আর সেই শহরে ছিল নয় নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি। যারা যমীনে ফাসাদ সৃষ্টি করত এবং সংস্কার-সংশোধনমূলক কিছু করত না।

49 ৪৯
قَالُوۡا تَقَاسَمُوۡا بِاللّٰهِ لَنُبَیِّتَنَّهٗ وَ اَهۡلَهٗ ثُمَّ لَنَقُوۡلَنَّ لِوَلِیِّهٖ مَا شَهِدۡنَا مَهۡلِکَ اَهۡلِهٖ وَ اِنَّا لَصٰدِقُوۡنَ
قَالُوۡا تَقَاسَمُوۡا بِاللّٰهِ لَنُبَیِّتَنَّهٗ وَ اَهۡلَهٗ ثُمَّ لَنَقُوۡلَنَّ لِوَلِیِّهٖ مَا شَهِدۡنَا مَهۡلِکَ اَهۡلِهٖ وَ اِنَّا لَصٰدِقُوۡنَ
৪৯. অনুবাদ: তারা বলল, ‘তোমরা পরস্পর আল্লাহর কসম কর যে, আমরা রাত্রিকালে তার ও তার পরিবারের উপর অবশ্যই আক্রমণ করব, অতঃপর আমরা তার নিকটাত্মীয়দের বলব, আমরা তার পরিবারবর্গের হত্যাকান্ড প্রত্যক্ষ করিনি। আর নিশ্চয়ই আমরা সত্যবাদী’।

50 ৫০
وَ مَکَرُوۡا مَکۡرًا وَّ مَکَرۡنَا مَکۡرًا وَّ هُمۡ لَا یَشۡعُرُوۡنَ
وَ مَکَرُوۡا مَکۡرًا وَّ مَکَرۡنَا مَکۡرًا وَّ هُمۡ لَا یَشۡعُرُوۡنَ
৫০. অনুবাদ: আর তারা এক চক্রান্ত করল এবং আমিও কৌশল অবলম্বন করলাম। অথচ তারা উপলদ্ধিও করতে পারল না।

51 ৫১
فَانۡظُرۡ کَیۡفَ کَانَ عَاقِبَۃُ مَکۡرِهِمۡ ۙ اَنَّا دَمَّرۡنٰهُمۡ وَ قَوۡمَهُمۡ اَجۡمَعِیۡنَ
فَانۡظُرۡ کَیۡفَ کَانَ عَاقِبَۃُ مَکۡرِهِمۡ ۙ اَنَّا دَمَّرۡنٰهُمۡ وَ قَوۡمَهُمۡ اَجۡمَعِیۡنَ
৫১. অনুবাদ: অতএব দেখ, তাদের চক্রান্তের পরিণাম কিরূপ হয়েছে। আমি তাদের ও তাদের কওমকে একত্রে ধ্বংস করে দিয়েছি।

52 ৫২
فَتِلۡکَ بُیُوۡتُهُمۡ خَاوِیَۃًۢ بِمَا ظَلَمُوۡا ؕ اِنَّ فِیۡ ذٰلِکَ لَاٰیَۃً لِّقَوۡمٍ یَّعۡلَمُوۡنَ
فَتِلۡکَ بُیُوۡتُهُمۡ خَاوِیَۃًۢ بِمَا ظَلَمُوۡا ؕ اِنَّ فِیۡ ذٰلِکَ لَاٰیَۃً لِّقَوۡمٍ یَّعۡلَمُوۡنَ
৫২. অনুবাদ: সুতরাং ঐগুলো তাদের বাড়ীঘর, যা তাদের যুলমের কারণে বিরান হয়ে আছে। নিশ্চয় এর মধ্যে নিদর্শন রয়েছে সে কওমের জন্য যারা জ্ঞান রাখে।

53 ৫৩
وَ اَنۡجَیۡنَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَ کَانُوۡا یَتَّقُوۡنَ
وَ اَنۡجَیۡنَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَ کَانُوۡا یَتَّقُوۡنَ
৫৩. অনুবাদ: আর আমি মুমিনদের মুক্তি দিলাম এবং তারা ছিল তাকওয়া অবলম্বনকারী।

54 ৫৪
وَ لُوۡطًا اِذۡ قَالَ لِقَوۡمِهٖۤ اَتَاۡتُوۡنَ الۡفَاحِشَۃَ وَ اَنۡتُمۡ تُبۡصِرُوۡنَ
وَ لُوۡطًا اِذۡ قَالَ لِقَوۡمِهٖۤ اَتَاۡتُوۡنَ الۡفَاحِشَۃَ وَ اَنۡتُمۡ تُبۡصِرُوۡنَ
৫৪. অনুবাদ: আর স্মরণ কর লূতের কথা, যখন সে তার কওমকে বলেছিল, ‘তোমরা কেন অশ্লীল কাজ করছ, অথচ তা তোমরা ভালভাবে প্রত্যক্ষ করছ’?

55 ৫৫
اَئِنَّکُمۡ لَتَاۡتُوۡنَ الرِّجَالَ شَهۡوَۃً مِّنۡ دُوۡنِ النِّسَآءِ ؕ بَلۡ اَنۡتُمۡ قَوۡمٌ تَجۡهَلُوۡنَ
اَئِنَّکُمۡ لَتَاۡتُوۡنَ الرِّجَالَ شَهۡوَۃً مِّنۡ دُوۡنِ النِّسَآءِ ؕ بَلۡ اَنۡتُمۡ قَوۡمٌ تَجۡهَلُوۡنَ
৫৫. অনুবাদ: ‘তোমরা কি নারীদের বাদ দিয়ে পুরুষদের উপর কামতৃপ্তির জন্য উপগত হবে? বরং তোমরা এমন এক কওম যারা জানে না’।

56 ৫৬
فَمَا کَانَ جَوَابَ قَوۡمِهٖۤ اِلَّاۤ اَنۡ قَالُوۡۤا اَخۡرِجُوۡۤا اٰلَ لُوۡطٍ مِّنۡ قَرۡیَتِکُمۡ ۚ اِنَّهُمۡ اُنَاسٌ یَّتَطَهَّرُوۡنَ
فَمَا کَانَ جَوَابَ قَوۡمِهٖۤ اِلَّاۤ اَنۡ قَالُوۡۤا اَخۡرِجُوۡۤا اٰلَ لُوۡطٍ مِّنۡ قَرۡیَتِکُمۡ ۚ اِنَّهُمۡ اُنَاسٌ یَّتَطَهَّرُوۡنَ
৫৬. অনুবাদ: ফলে তার কওমের জবাব একমাত্র এই ছিল যে, ‘লূতের পরিবারকে তোমাদের জনপদ থেকে বের করে দাও। নিশ্চয় এরা এমন লোক যারা পবিত্র থাকতে চায়’।

57 ৫৭
فَاَنۡجَیۡنٰهُ وَ اَهۡلَهٗۤ اِلَّا امۡرَاَتَهٗ ۫ قَدَّرۡنٰهَا مِنَ الۡغٰبِرِیۡنَ
فَاَنۡجَیۡنٰهُ وَ اَهۡلَهٗۤ اِلَّا امۡرَاَتَهٗ ۫ قَدَّرۡنٰهَا مِنَ الۡغٰبِرِیۡنَ
৫৭. অনুবাদ: অতএব আমি মুক্তি দিলাম তাকে ও তার পরিবারকে, তবে তার স্ত্রীকে ছাড়া। আমি তাকে ধ্বংসপ্রাপ্তদের মধ্যে সাব্যস্ত করে রেখেছিলাম।

58 ৫৮
وَ اَمۡطَرۡنَا عَلَیۡهِمۡ مَّطَرًا ۚ فَسَآءَ مَطَرُ الۡمُنۡذَرِیۡنَ
وَ اَمۡطَرۡنَا عَلَیۡهِمۡ مَّطَرًا ۚ فَسَآءَ مَطَرُ الۡمُنۡذَرِیۡنَ
৫৮. অনুবাদ: আমি তাদের উপর মুষলধারে (পাথরের) বৃষ্টি বর্ষণ করেছিলাম। ভীতি প্রদর্শিতদের জন্য কতইনা নিকৃষ্ট ছিল এই বৃষ্টি!

59 ৫৯
قُلِ الۡحَمۡدُ لِلّٰهِ وَ سَلٰمٌ عَلٰی عِبَادِهِ الَّذِیۡنَ اصۡطَفٰی ؕ آٰللّٰهُ خَیۡرٌ اَمَّا یُشۡرِکُوۡنَ
قُلِ الۡحَمۡدُ لِلّٰهِ وَ سَلٰمٌ عَلٰی عِبَادِهِ الَّذِیۡنَ اصۡطَفٰی ؕ آٰللّٰهُ خَیۡرٌ اَمَّا یُشۡرِکُوۡنَ
৫৯. অনুবাদ: বল, ‘সকল প্রশংসাই আল্লাহর নিমিত্তে। আর শান্তি তাঁর বান্দাদের প্রতি যাদের তিনি মনোনীত করেছেন। আল্লাহ শ্রেষ্ঠ, না কি যাদের এরা শরীক করে তারা’?

60 ৬০
اَمَّنۡ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضَ وَ اَنۡزَلَ لَکُمۡ مِّنَ السَّمَآءِ مَآءً ۚ فَاَنۡۢبَتۡنَا بِهٖ حَدَآئِقَ ذَاتَ بَهۡجَۃٍ ۚ مَا کَانَ لَکُمۡ اَنۡ تُنۡۢبِتُوۡا شَجَرَهَا ؕ ءَ اِلٰهٌ مَّعَ اللّٰهِ ؕ بَلۡ هُمۡ قَوۡمٌ یَّعۡدِلُوۡنَ
اَمَّنۡ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضَ وَ اَنۡزَلَ لَکُمۡ مِّنَ السَّمَآءِ مَآءً ۚ فَاَنۡۢبَتۡنَا بِهٖ حَدَآئِقَ ذَاتَ بَهۡجَۃٍ ۚ مَا کَانَ لَکُمۡ اَنۡ تُنۡۢبِتُوۡا شَجَرَهَا ؕ ءَ اِلٰهٌ مَّعَ اللّٰهِ ؕ بَلۡ هُمۡ قَوۡمٌ یَّعۡدِلُوۡنَ
৬০. অনুবাদ: বরং তিনি (শ্রেষ্ঠ), যিনি আসমানসমূহ ও যমীনকে সৃষ্টি করেছেন এবং তোমাদের জন্য তিনি আসমান থেকে পানি বর্ষণ করেন। অতঃপর তা দ্বারা আমি মনোরম উদ্যান সৃষ্টি করি। তার বৃক্ষাদি উৎপন্ন করার ক্ষমতা তোমাদের নেই। আল্লাহর সাথে কি অন্য কোন ইলাহ আছে? বরং তারা এমন এক কওম যারা শিরক করে।

61 ৬১
اَمَّنۡ جَعَلَ الۡاَرۡضَ قَرَارًا وَّ جَعَلَ خِلٰلَهَاۤ اَنۡهٰرًا وَّ جَعَلَ لَهَا رَوَاسِیَ وَ جَعَلَ بَیۡنَ الۡبَحۡرَیۡنِ حَاجِزًا ؕ ءَ اِلٰهٌ مَّعَ اللّٰهِ ؕ بَلۡ اَکۡثَرُهُمۡ لَا یَعۡلَمُوۡنَ
اَمَّنۡ جَعَلَ الۡاَرۡضَ قَرَارًا وَّ جَعَلَ خِلٰلَهَاۤ اَنۡهٰرًا وَّ جَعَلَ لَهَا رَوَاسِیَ وَ جَعَلَ بَیۡنَ الۡبَحۡرَیۡنِ حَاجِزًا ؕ ءَ اِلٰهٌ مَّعَ اللّٰهِ ؕ بَلۡ اَکۡثَرُهُمۡ لَا یَعۡلَمُوۡنَ
৬১. অনুবাদ: বরং তিনি, যিনি যমীনকে আবাসযোগ্য করেছেন এবং তার মধ্যে প্রবাহিত করেছেন নদী-নালা। আর তাতে স্থাপন করেছেন সুদৃঢ় পর্বতমালা এবং দুই সমুদ্রের মধ্যখানে অন্তরায় সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহর সাথে কি অন্য কোন ইলাহ আছে? বরং তাদের অধিকাংশই জানে না।

62 ৬২
اَمَّنۡ یُّجِیۡبُ الۡمُضۡطَرَّ اِذَا دَعَاهُ وَ یَکۡشِفُ السُّوۡٓءَ وَ یَجۡعَلُکُمۡ خُلَفَآءَ الۡاَرۡضِ ؕ ءَ اِلٰهٌ مَّعَ اللّٰهِ ؕ قَلِیۡلًا مَّا تَذَکَّرُوۡنَ
اَمَّنۡ یُّجِیۡبُ الۡمُضۡطَرَّ اِذَا دَعَاهُ وَ یَکۡشِفُ السُّوۡٓءَ وَ یَجۡعَلُکُمۡ خُلَفَآءَ الۡاَرۡضِ ؕ ءَ اِلٰهٌ مَّعَ اللّٰهِ ؕ قَلِیۡلًا مَّا تَذَکَّرُوۡنَ
৬২. অনুবাদ: বরং তিনি, যিনি নিরুপায়ের আহবানে সাড়া দেন এবং বিপদ দূরীভূত করেন এবং তোমাদেরকে যমীনের প্রতিনিধি বানান। আল্লাহর সাথে কি অন্য কোন ইলাহ আছে ? তোমরা কমই উপদেশ গ্রহণ করে থাক।

63 ৬৩
اَمَّنۡ یَّهۡدِیۡکُمۡ فِیۡ ظُلُمٰتِ الۡبَرِّ وَ الۡبَحۡرِ وَ مَنۡ یُّرۡسِلُ الرِّیٰحَ بُشۡرًۢا بَیۡنَ یَدَیۡ رَحۡمَتِهٖ ؕ ءَ اِلٰهٌ مَّعَ اللّٰهِ ؕ تَعٰلَی اللّٰهُ عَمَّا یُشۡرِکُوۡنَ
اَمَّنۡ یَّهۡدِیۡکُمۡ فِیۡ ظُلُمٰتِ الۡبَرِّ وَ الۡبَحۡرِ وَ مَنۡ یُّرۡسِلُ الرِّیٰحَ بُشۡرًۢا بَیۡنَ یَدَیۡ رَحۡمَتِهٖ ؕ ءَ اِلٰهٌ مَّعَ اللّٰهِ ؕ تَعٰلَی اللّٰهُ عَمَّا یُشۡرِکُوۡنَ
৬৩. অনুবাদ: বরং তিনি, যিনি তোমাদেরকে স্থলে ও সমুদ্রের অন্ধকারে পথ দেখান এবং যিনি স্বীয় রহমতের প্রাক্কালে সুসংবাদবাহী বাতাস প্রেরণ করেন। আল্লাহর সাথে কি অন্য কোন ইলাহ আছে? তারা যা কিছু শরীক করে আল্লাহ তা থেকে ঊর্ধ্বে।

64 ৬৪
اَمَّنۡ یَّبۡدَؤُا الۡخَلۡقَ ثُمَّ یُعِیۡدُهٗ وَ مَنۡ یَّرۡزُقُکُمۡ مِّنَ السَّمَآءِ وَ الۡاَرۡضِ ؕ ءَ اِلٰهٌ مَّعَ اللّٰهِ ؕ قُلۡ هَاتُوۡا بُرۡهَانَکُمۡ اِنۡ کُنۡتُمۡ صٰدِقِیۡنَ
اَمَّنۡ یَّبۡدَؤُا الۡخَلۡقَ ثُمَّ یُعِیۡدُهٗ وَ مَنۡ یَّرۡزُقُکُمۡ مِّنَ السَّمَآءِ وَ الۡاَرۡضِ ؕ ءَ اِلٰهٌ مَّعَ اللّٰهِ ؕ قُلۡ هَاتُوۡا بُرۡهَانَکُمۡ اِنۡ کُنۡتُمۡ صٰدِقِیۡنَ
৬৪. অনুবাদ: বরং তিনি, যিনি সৃষ্টির সূচনা করেন, তারপর তার পুনরাবৃত্তি করবেন এবং যিনি তোমাদেরকে আসমান ও যমীন থেকে রিযিক দান করেন, আল্লাহর সাথে কি কোন ইলাহ আছে? বল, ‘তোমাদের প্রমাণ নিয়ে এসো যদি তোমরা সত্যবাদী হও।’

65 ৬৫
قُلۡ لَّا یَعۡلَمُ مَنۡ فِی السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ الۡغَیۡبَ اِلَّا اللّٰهُ ؕ وَ مَا یَشۡعُرُوۡنَ اَیَّانَ یُبۡعَثُوۡنَ
قُلۡ لَّا یَعۡلَمُ مَنۡ فِی السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ الۡغَیۡبَ اِلَّا اللّٰهُ ؕ وَ مَا یَشۡعُرُوۡنَ اَیَّانَ یُبۡعَثُوۡنَ
৬৫. অনুবাদ: বল, ‘আল্লাহ ছাড়া আসমানসমূহে ও যমীনে যারা আছে তারা গায়েব জানে না। আর কখন তাদেরকে পুনরুত্থিত করা হবে তা তারা অনুভব করতে পারে না’।

66 ৬৬
بَلِ ادّٰرَکَ عِلۡمُهُمۡ فِی الۡاٰخِرَۃِ ۟ بَلۡ هُمۡ فِیۡ شَکٍّ مِّنۡهَا ۫۟ بَلۡ هُمۡ مِّنۡهَا عَمُوۡنَ
بَلِ ادّٰرَکَ عِلۡمُهُمۡ فِی الۡاٰخِرَۃِ ۟ بَلۡ هُمۡ فِیۡ شَکٍّ مِّنۡهَا ۫۟ بَلۡ هُمۡ مِّنۡهَا عَمُوۡنَ
৬৬. অনুবাদ: বরং আখিরাত সম্পর্কে তাদের জ্ঞান নিঃশেষ হয়েছে। বরং সে বিষয়ে তারা সন্দেহে আছে; বরং এ ব্যাপারে তারা অন্ধ।

67 ৬৭
وَ قَالَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡۤا ءَ اِذَا کُنَّا تُرٰبًا وَّ اٰبَآؤُنَاۤ اَئِنَّا لَمُخۡرَجُوۡنَ
وَ قَالَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡۤا ءَ اِذَا کُنَّا تُرٰبًا وَّ اٰبَآؤُنَاۤ اَئِنَّا لَمُخۡرَجُوۡنَ
৬৭. অনুবাদ: আর কাফিররা বলে, ‘আমরা ও আমাদের পিতৃপুরুষরা মাটি হয়ে যাব তখনো কি আমাদেরকে উত্থিত করা হবে’?

68 ৬৮
لَقَدۡ وُعِدۡنَا هٰذَا نَحۡنُ وَ اٰبَآؤُنَا مِنۡ قَبۡلُ ۙ اِنۡ هٰذَاۤ اِلَّاۤ اَسَاطِیۡرُ الۡاَوَّلِیۡنَ
لَقَدۡ وُعِدۡنَا هٰذَا نَحۡنُ وَ اٰبَآؤُنَا مِنۡ قَبۡلُ ۙ اِنۡ هٰذَاۤ اِلَّاۤ اَسَاطِیۡرُ الۡاَوَّلِیۡنَ
৬৮. অনুবাদ: ইতোপূর্বে আমাদেরকে ও আমাদের পূর্বপুরুষদেরকে এ বিষয়ে ওয়াদা দেয়া হয়েছিল, ‘এটি প্রাচীন লোকদের উপকথা ছাড়া কিছুই নয়’।

69 ৬৯
قُلۡ سِیۡرُوۡا فِی الۡاَرۡضِ فَانۡظُرُوۡا کَیۡفَ کَانَ عَاقِبَۃُ الۡمُجۡرِمِیۡنَ
قُلۡ سِیۡرُوۡا فِی الۡاَرۡضِ فَانۡظُرُوۡا کَیۡفَ کَانَ عَاقِبَۃُ الۡمُجۡرِمِیۡنَ
৬৯. অনুবাদ: বল, ‘তোমরা যমীনে ভ্রমণ কর, তারপর দেখ, কিরূপ হয়েছিল অপরাধীদের পরিণতি।’

70 ৭০
وَ لَا تَحۡزَنۡ عَلَیۡهِمۡ وَ لَا تَکُنۡ فِیۡ ضَیۡقٍ مِّمَّا یَمۡکُرُوۡنَ
وَ لَا تَحۡزَنۡ عَلَیۡهِمۡ وَ لَا تَکُنۡ فِیۡ ضَیۡقٍ مِّمَّا یَمۡکُرُوۡنَ
৭০. অনুবাদ: আর তাদের জন্য দুঃখ করো না এবং তারা যে ষড়যন্ত্র করে তাতে মনক্ষুণ্ণ হয়ো না।

71 ৭১
وَ یَقُوۡلُوۡنَ مَتٰی هٰذَا الۡوَعۡدُ اِنۡ کُنۡتُمۡ صٰدِقِیۡنَ
وَ یَقُوۡلُوۡنَ مَتٰی هٰذَا الۡوَعۡدُ اِنۡ کُنۡتُمۡ صٰدِقِیۡنَ
৭১. অনুবাদ: আর তারা বলে, ‘তোমরা সত্যবাদী হলে (বল) এই ওয়াদা কখন আসবে’?

72 ৭২
قُلۡ عَسٰۤی اَنۡ یَّکُوۡنَ رَدِفَ لَکُمۡ بَعۡضُ الَّذِیۡ تَسۡتَعۡجِلُوۡنَ
قُلۡ عَسٰۤی اَنۡ یَّکُوۡنَ رَدِفَ لَکُمۡ بَعۡضُ الَّذِیۡ تَسۡتَعۡجِلُوۡنَ
৭২. অনুবাদ: বল, ‘আশা করা যায়, তোমরা যে বিষয়ে তাড়াহুড়া করছ তার কিছু অচিরেই হবে’।

73 ৭৩
وَ اِنَّ رَبَّکَ لَذُوۡ فَضۡلٍ عَلَی النَّاسِ وَ لٰکِنَّ اَکۡثَرَهُمۡ لَا یَشۡکُرُوۡنَ
وَ اِنَّ رَبَّکَ لَذُوۡ فَضۡلٍ عَلَی النَّاسِ وَ لٰکِنَّ اَکۡثَرَهُمۡ لَا یَشۡکُرُوۡنَ
৭৩. অনুবাদ: আর নিশ্চয় তোমার রব মানুষের প্রতি অনুগ্রহশীল; কিন্তু তাদের বেশীর ভাগই শুকরিয়া আদায় করে না।

74 ৭৪
وَ اِنَّ رَبَّکَ لَیَعۡلَمُ مَا تُکِنُّ صُدُوۡرُهُمۡ وَ مَا یُعۡلِنُوۡنَ
وَ اِنَّ رَبَّکَ لَیَعۡلَمُ مَا تُکِنُّ صُدُوۡرُهُمۡ وَ مَا یُعۡلِنُوۡنَ
৭৪. অনুবাদ: আর নিশ্চয় তোমার রব, অবশ্যই জানেন তাদের অন্তর যা গোপন করে এবং যা তারা প্রকাশ করে।

75 ৭৫
وَ مَا مِنۡ غَآئِبَۃٍ فِی السَّمَآءِ وَ الۡاَرۡضِ اِلَّا فِیۡ کِتٰبٍ مُّبِیۡنٍ
وَ مَا مِنۡ غَآئِبَۃٍ فِی السَّمَآءِ وَ الۡاَرۡضِ اِلَّا فِیۡ کِتٰبٍ مُّبِیۡنٍ
৭৫. অনুবাদ: আর আসমান ও যমীনে এমন কোন গোপন বিষয় নেই যা সুস্পষ্ট কিতাবে লিপিবদ্ধ নেই।

76 ৭৬
اِنَّ هٰذَا الۡقُرۡاٰنَ یَقُصُّ عَلٰی بَنِیۡۤ اِسۡرَآءِیۡلَ اَکۡثَرَ الَّذِیۡ هُمۡ فِیۡهِ یَخۡتَلِفُوۡنَ
اِنَّ هٰذَا الۡقُرۡاٰنَ یَقُصُّ عَلٰی بَنِیۡۤ اِسۡرَآءِیۡلَ اَکۡثَرَ الَّذِیۡ هُمۡ فِیۡهِ یَخۡتَلِفُوۡنَ
৭৬. অনুবাদ: নিশ্চয় এ কুরআন তাদের কাছে বর্ণনা করছে, বনী ইসরাঈল যেসব বিষয়ে বিতর্ক করে তার অধিকাংশই।

77 ৭৭
وَ اِنَّهٗ لَهُدًی وَّ رَحۡمَۃٌ لِّلۡمُؤۡمِنِیۡنَ
وَ اِنَّهٗ لَهُدًی وَّ رَحۡمَۃٌ لِّلۡمُؤۡمِنِیۡنَ
৭৭. অনুবাদ: আর নিশ্চয় এটি মুমিনদের জন্য হিদায়াত ও রহমত।

78 ৭৮
اِنَّ رَبَّکَ یَقۡضِیۡ بَیۡنَهُمۡ بِحُکۡمِهٖ ۚ وَ هُوَ الۡعَزِیۡزُ الۡعَلِیۡمُ
اِنَّ رَبَّکَ یَقۡضِیۡ بَیۡنَهُمۡ بِحُکۡمِهٖ ۚ وَ هُوَ الۡعَزِیۡزُ الۡعَلِیۡمُ
৭৮. অনুবাদ: নিশ্চয় তোমার রব নিজের বিচার-প্রজ্ঞা দ্বারা তাদের মধ্যে ফয়সালা করে দেবেন; আর তিনি মহাপরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞ।

79 ৭৯
فَتَوَکَّلۡ عَلَی اللّٰهِ ؕ اِنَّکَ عَلَی الۡحَقِّ الۡمُبِیۡنِ
فَتَوَکَّلۡ عَلَی اللّٰهِ ؕ اِنَّکَ عَلَی الۡحَقِّ الۡمُبِیۡنِ
৭৯. অনুবাদ: অতএব আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল কর; কারণ তুমি সুস্পষ্ট সত্যের ওপর অধিষ্ঠিত আছ।

80 ৮০
اِنَّکَ لَا تُسۡمِعُ الۡمَوۡتٰی وَ لَا تُسۡمِعُ الصُّمَّ الدُّعَآءَ اِذَا وَلَّوۡا مُدۡبِرِیۡنَ
اِنَّکَ لَا تُسۡمِعُ الۡمَوۡتٰی وَ لَا تُسۡمِعُ الصُّمَّ الدُّعَآءَ اِذَا وَلَّوۡا مُدۡبِرِیۡنَ
৮০. অনুবাদ: নিশ্চয় তুমি মৃতকে শোনাতে পারবে না, আর তুমি বধিরকে আহবান শোনাতে পারবে না, যখন তারা পিঠ দেখিয়ে চলে যায়।

81 ৮১
وَ مَاۤ اَنۡتَ بِهٰدِی الۡعُمۡیِ عَنۡ ضَلٰلَتِهِمۡ ؕ اِنۡ تُسۡمِعُ اِلَّا مَنۡ یُّؤۡمِنُ بِاٰیٰتِنَا فَهُمۡ مُّسۡلِمُوۡنَ
وَ مَاۤ اَنۡتَ بِهٰدِی الۡعُمۡیِ عَنۡ ضَلٰلَتِهِمۡ ؕ اِنۡ تُسۡمِعُ اِلَّا مَنۡ یُّؤۡمِنُ بِاٰیٰتِنَا فَهُمۡ مُّسۡلِمُوۡنَ
৮১. অনুবাদ: আর তুমি অন্ধদেরকে তাদের ভ্রষ্টতা থেকে হিদায়াতকারী নও; তুমি কেবল তাদেরকে শোনাতে পারবে যারা আমার আয়াতসমূহে ঈমান আনে, অতঃপর তারাই আত্মসমর্পণকারী।

82 ৮২
وَ اِذَا وَقَعَ الۡقَوۡلُ عَلَیۡهِمۡ اَخۡرَجۡنَا لَهُمۡ دَآبَّۃً مِّنَ الۡاَرۡضِ تُکَلِّمُهُمۡ ۙ اَنَّ النَّاسَ کَانُوۡا بِاٰیٰتِنَا لَا یُوۡقِنُوۡنَ
وَ اِذَا وَقَعَ الۡقَوۡلُ عَلَیۡهِمۡ اَخۡرَجۡنَا لَهُمۡ دَآبَّۃً مِّنَ الۡاَرۡضِ تُکَلِّمُهُمۡ ۙ اَنَّ النَّاسَ کَانُوۡا بِاٰیٰتِنَا لَا یُوۡقِنُوۡنَ
৮২. অনুবাদ: আর যখন তাদের উপর ‘বাণী’ (আযাব) বাস্তবায়িত হবে তখন আমি যমীনের জন্তু (দাব্বাতুল আরদ)* বের করব, যে তাদের সাথে কথা বলবে। কারণ মানুষ আমার আয়াতসমূহে সুদৃঢ় বিশ্বাস রাখত না।

83 ৮৩
وَ یَوۡمَ نَحۡشُرُ مِنۡ کُلِّ اُمَّۃٍ فَوۡجًا مِّمَّنۡ یُّکَذِّبُ بِاٰیٰتِنَا فَهُمۡ یُوۡزَعُوۡنَ
وَ یَوۡمَ نَحۡشُرُ مِنۡ کُلِّ اُمَّۃٍ فَوۡجًا مِّمَّنۡ یُّکَذِّبُ بِاٰیٰتِنَا فَهُمۡ یُوۡزَعُوۡنَ
৮৩. অনুবাদ: আর স্মরণ কর সেদিনের কথা, যেদিন প্রত্যেক জাতির মধ্য থেকে যারা আমার আয়াতসমূহকে অস্বীকার করত তাদেরকে আমি দলে দলে সমবেত করব। অতঃপর তাদেরকে হাঁকিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।

84 ৮৪
حَتّٰۤی اِذَا جَآءُوۡ قَالَ اَکَذَّبۡتُمۡ بِاٰیٰتِیۡ وَ لَمۡ تُحِیۡطُوۡا بِهَا عِلۡمًا اَمَّا ذَا کُنۡتُمۡ تَعۡمَلُوۡنَ
حَتّٰۤی اِذَا جَآءُوۡ قَالَ اَکَذَّبۡتُمۡ بِاٰیٰتِیۡ وَ لَمۡ تُحِیۡطُوۡا بِهَا عِلۡمًا اَمَّا ذَا کُنۡتُمۡ تَعۡمَلُوۡنَ
৮৪. অনুবাদ: অবশেষে যখন তারা আসবে, তখন আল্লাহ বলবেন, ‘তোমরা কি আমার আয়াতসমূহকে অস্বীকার করেছিলে, অথচ সে বিষয়ে তোমাদের কোন জ্ঞানই ছিল না? নাকি তোমরা আরো কী করেছিলে?’

85 ৮৫
وَ وَقَعَ الۡقَوۡلُ عَلَیۡهِمۡ بِمَا ظَلَمُوۡا فَهُمۡ لَا یَنۡطِقُوۡنَ
وَ وَقَعَ الۡقَوۡلُ عَلَیۡهِمۡ بِمَا ظَلَمُوۡا فَهُمۡ لَا یَنۡطِقُوۡنَ
৮৫. অনুবাদ: আর তাদের উপর বাণী (আযাব) বাস্তবায়িত হবে। কারণ তারা যুলম করেছিল। ফলে তারা কথা বলতে পারবে না।

86 ৮৬
اَلَمۡ یَرَوۡا اَنَّا جَعَلۡنَا الَّیۡلَ لِیَسۡکُنُوۡا فِیۡهِ وَ النَّهَارَ مُبۡصِرًا ؕ اِنَّ فِیۡ ذٰلِکَ لَاٰیٰتٍ لِّقَوۡمٍ یُّؤۡمِنُوۡنَ
اَلَمۡ یَرَوۡا اَنَّا جَعَلۡنَا الَّیۡلَ لِیَسۡکُنُوۡا فِیۡهِ وَ النَّهَارَ مُبۡصِرًا ؕ اِنَّ فِیۡ ذٰلِکَ لَاٰیٰتٍ لِّقَوۡمٍ یُّؤۡمِنُوۡنَ
৮৬. অনুবাদ: তারা কি দেখে না যে, আমি রাতকে সৃষ্টি করেছি, যেন তারা তাতে বিশ্রাম নিতে পারে এবং দিনকে করেছি আলোকিত? নিশ্চয় এতে নিদর্শনাবলী রয়েছে সেই কওমের জন্য যারা ঈমান এনেছে।

87 ৮৭
وَ یَوۡمَ یُنۡفَخُ فِی الصُّوۡرِ فَفَزِعَ مَنۡ فِی السَّمٰوٰتِ وَ مَنۡ فِی الۡاَرۡضِ اِلَّا مَنۡ شَآءَ اللّٰهُ ؕ وَ کُلٌّ اَتَوۡهُ دٰخِرِیۡنَ
وَ یَوۡمَ یُنۡفَخُ فِی الصُّوۡرِ فَفَزِعَ مَنۡ فِی السَّمٰوٰتِ وَ مَنۡ فِی الۡاَرۡضِ اِلَّا مَنۡ شَآءَ اللّٰهُ ؕ وَ کُلٌّ اَتَوۡهُ دٰخِرِیۡنَ
৮৭. অনুবাদ: আর যেদিন শিঙ্গায় ফুঁক দেয়া হবে, সেদিন আসমানসমূহ ও যমীনে যারা আছে সবাই ভীত হবে; তবে আল্লাহ যাদেরকে চাইবেন তারা ছাড়া। আর সবাই তাঁর কাছে হীন অবস্থায় উপস্থিত হবে।

88 ৮৮
وَ تَرَی الۡجِبَالَ تَحۡسَبُهَا جَامِدَۃً وَّ هِیَ تَمُرُّ مَرَّ السَّحَابِ ؕ صُنۡعَ اللّٰهِ الَّذِیۡۤ اَتۡقَنَ کُلَّ شَیۡءٍ ؕ اِنَّهٗ خَبِیۡرٌۢ بِمَا تَفۡعَلُوۡنَ
وَ تَرَی الۡجِبَالَ تَحۡسَبُهَا جَامِدَۃً وَّ هِیَ تَمُرُّ مَرَّ السَّحَابِ ؕ صُنۡعَ اللّٰهِ الَّذِیۡۤ اَتۡقَنَ کُلَّ شَیۡءٍ ؕ اِنَّهٗ خَبِیۡرٌۢ بِمَا تَفۡعَلُوۡنَ
৮৮. অনুবাদ: আর তুমি পাহাড়সমূকে দেখছ, সেগুলোকে তুমি স্থির মনে করছ। অথচ তা মেঘমালার ন্যায় চলতে থাকবে। (এটা) আল্লাহর কাজ, যিনি সব কিছু দৃঢ়ভাবে করেছেন। নিশ্চয় তোমরা যা কর, তিনি সে সম্পর্কে বিশেষভাবে অবহিত।

89 ৮৯
مَنۡ جَآءَ بِالۡحَسَنَۃِ فَلَهٗ خَیۡرٌ مِّنۡهَا ۚ وَ هُمۡ مِّنۡ فَزَعٍ یَّوۡمَئِذٍ اٰمِنُوۡنَ
مَنۡ جَآءَ بِالۡحَسَنَۃِ فَلَهٗ خَیۡرٌ مِّنۡهَا ۚ وَ هُمۡ مِّنۡ فَزَعٍ یَّوۡمَئِذٍ اٰمِنُوۡنَ
৮৯. অনুবাদ: যে ব্যক্তি সৎকাজ নিয়ে আসবে তার জন্য থাকবে তা থেকে উত্তম প্রতিদান এবং সেদিনের ভীতিকর অবস্থা থেকে তারা নিরাপদ থাকবে।

90 ৯০
وَ مَنۡ جَآءَ بِالسَّیِّئَۃِ فَکُبَّتۡ وُجُوۡهُهُمۡ فِی النَّارِ ؕ هَلۡ تُجۡزَوۡنَ اِلَّا مَا کُنۡتُمۡ تَعۡمَلُوۡنَ
وَ مَنۡ جَآءَ بِالسَّیِّئَۃِ فَکُبَّتۡ وُجُوۡهُهُمۡ فِی النَّارِ ؕ هَلۡ تُجۡزَوۡنَ اِلَّا مَا کُنۡتُمۡ تَعۡمَلُوۡنَ
৯০. অনুবাদ: আর যারা মন্দ কাজ নিয়ে আসবে তাদেরকে উপুড় করে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে; (তাদেরকে বলা হবে) ‘তোমরা যে আমল করেছ তারই প্রতিদান তোমাদেরকে দেয়া হল’।

91 ৯১
اِنَّمَاۤ اُمِرۡتُ اَنۡ اَعۡبُدَ رَبَّ هٰذِهِ الۡبَلۡدَۃِ الَّذِیۡ حَرَّمَهَا وَ لَهٗ کُلُّ شَیۡءٍ ۫ وَّ اُمِرۡتُ اَنۡ اَکُوۡنَ مِنَ الۡمُسۡلِمِیۡنَ
اِنَّمَاۤ اُمِرۡتُ اَنۡ اَعۡبُدَ رَبَّ هٰذِهِ الۡبَلۡدَۃِ الَّذِیۡ حَرَّمَهَا وَ لَهٗ کُلُّ شَیۡءٍ ۫ وَّ اُمِرۡتُ اَنۡ اَکُوۡنَ مِنَ الۡمُسۡلِمِیۡنَ
৯১. অনুবাদ: ‘আমাকে তো নির্দেশ দেয়া হয়েছে এই শহরের রব-এর ইবাদাত করতে যিনি এটিকে সম্মানিত করেছেন এর সব কিছু তাঁরই অধিকারে। আর আমাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে, আমি যেন মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত হই’।

92 ৯২
وَ اَنۡ اَتۡلُوَا الۡقُرۡاٰنَ ۚ فَمَنِ اهۡتَدٰی فَاِنَّمَا یَهۡتَدِیۡ لِنَفۡسِهٖ ۚ وَ مَنۡ ضَلَّ فَقُلۡ اِنَّمَاۤ اَنَا مِنَ الۡمُنۡذِرِیۡنَ
وَ اَنۡ اَتۡلُوَا الۡقُرۡاٰنَ ۚ فَمَنِ اهۡتَدٰی فَاِنَّمَا یَهۡتَدِیۡ لِنَفۡسِهٖ ۚ وَ مَنۡ ضَلَّ فَقُلۡ اِنَّمَاۤ اَنَا مِنَ الۡمُنۡذِرِیۡنَ
৯২. অনুবাদ: ‘আর আমি যেন আল-কুরআন অধ্যয়ন করি, অতঃপর যে হিদায়াত লাভ করল সে নিজের জন্য হিদায়াত লাভ করল; আর যে পথভ্রষ্ট হল তাকে বল, ‘আমি তো সতর্ককারীদের অন্তর্ভুক্ত।’

93 ৯৩
وَ قُلِ الۡحَمۡدُ لِلّٰهِ سَیُرِیۡکُمۡ اٰیٰتِهٖ فَتَعۡرِفُوۡنَهَا ؕ وَ مَا رَبُّکَ بِغَافِلٍ عَمَّا تَعۡمَلُوۡنَ
وَ قُلِ الۡحَمۡدُ لِلّٰهِ سَیُرِیۡکُمۡ اٰیٰتِهٖ فَتَعۡرِفُوۡنَهَا ؕ وَ مَا رَبُّکَ بِغَافِلٍ عَمَّا تَعۡمَلُوۡنَ
৯৩. অনুবাদ: আর বল, ‘সকল প্রশংসা আল্লাহর; অচিরেই তিনি তোমাদেরকে তাঁর নিদর্শনসমূহ দেখাবেন, তখন তোমরা তা চিনতে পারবে আর তোমরা যা আমল কর সে ব্যাপারে তোমাদের রব বেখবর নন।’

কপিরাইট
আমাদের সকল কন্টেন্ট কপিরাইট সংরক্ষিত
ডেভলোপারঃ মুহিব্বুল্লাহ
গোপনীয়তা নীতি

প্রিয় পাঠক
আমাদের সকল প্রজেক্টসমূহ সম্পূর্ণ ব্যাক্তি উদ্যোগে পরিচালিত, আপনাদের দোয়া ও সহযোগিতা দ্বীনের এই কাজকে আরও প্রসারিত করবে ইন-শা-আল্লাহ।