সূরা তালিকা


1 ১ আল-ফাতিহা Al-Fatiha الفاتحة
১. আল-ফাতিহা
মাক্কী
الفاتحة
আয়াত: ৭
2 ২ আল-বাকারা Al-Baqara البقرة
২. আল-বাকারা
মাদানী
البقرة
আয়াত: ২৮৬
3 ৩ আলে-ইমরান Al-i-Imran آل عمران
৩. আলে-ইমরান
মাদানী
آل عمران
আয়াত: ২০০
4 ৪ আন-নিসা An-Nisa النساء
৪. আন-নিসা
মাদানী
النساء
আয়াত: ১৭৬
5 ৫ আল-মায়েদা Al-Maida المائدة
৫. আল-মায়েদা
মাদানী
المائدة
আয়াত: ১২০
6 ৬ আল-আনআম Al-Anam الأنعام
৬. আল-আনআম
মাক্কী
الأنعام
আয়াত: ১৬৫
7 ৭ আল-আরাফ Al-Araf الأعراف
৭. আল-আরাফ
মাক্কী
الأعراف
আয়াত: ২০৬
8 ৮ আল-আনফাল Al-Anfal الأنفال
৮. আল-আনফাল
মাদানী
الأنفال
আয়াত: ৭৫
9 ৯ আত-তাওবা At-Tawba التوبة
৯. আত-তাওবা
মাদানী
التوبة
আয়াত: ১২৯
10 ১০ ইউনুস Yunus يونس
১০. ইউনুস
মাক্কী
يونس
আয়াত: ১০৯
11 ১১ হূদ Hud هود
১১. হূদ
মাক্কী
هود
আয়াত: ১২৩
12 ১২ ইউসুফ Yusuf يوسف
১২. ইউসুফ
মাক্কী
يوسف
আয়াত: ১১১
13 ১৩ আর-রাদ Ar-Rad الرعد
১৩. আর-রাদ
মাদানী
الرعد
আয়াত: ৪৩
14 ১৪ ইবরাহীম Ibrahim ابراهيم
১৪. ইবরাহীম
মাক্কী
ابراهيم
আয়াত: ৫২
15 ১৫ আল-হিজর Al-Hijr الحجر
১৫. আল-হিজর
মাক্কী
الحجر
আয়াত: ৯৯
16 ১৬ আন-নাহাল An-Nahl النحل
১৬. আন-নাহাল
মাক্কী
النحل
আয়াত: ১২৮
17 ১৭ আল-ইসরা (বনী-ইসরাঈল) Al-Isra الإسراء
১৭. আল-ইসরা (বনী-ইসরাঈল)
মাক্কী
الإسراء
আয়াত: ১১১
18 ১৮ আল-কাহফ Al-Kahf الكهف
১৮. আল-কাহফ
মাক্কী
الكهف
আয়াত: ১১০
19 ১৯ মারইয়াম Maryam مريم
১৯. মারইয়াম
মাক্কী
مريم
আয়াত: ৯৮
20 ২০ ত্ব-হা Ta-Ha طه
২০. ত্ব-হা
মাক্কী
طه
আয়াত: ১৩৫
21 ২১ আল-আম্বিয়া Al-Anbiya الأنبياء
২১. আল-আম্বিয়া
মাক্কী
الأنبياء
আয়াত: ১১২
22 ২২ আল-হজ্জ Al-Hajj الحج
২২. আল-হজ্জ
মাদানী
الحج
আয়াত: ৭৮
23 ২৩ আল-মুমিনুন Al-Muminun المؤمنون
২৩. আল-মুমিনুন
মাক্কী
المؤمنون
আয়াত: ১১৮
24 ২৪ আন-নূর An-Nur النور
২৪. আন-নূর
মাদানী
النور
আয়াত: ৬৪
25 ২৫ আল-ফুরকান Al-Furqan الفرقان
২৫. আল-ফুরকান
মাক্কী
الفرقان
আয়াত: ৭৭
26 ২৬ আশ-শুআরা Ash-Shuara الشعراء
২৬. আশ-শুআরা
মাক্কী
الشعراء
আয়াত: ২২৭
27 ২৭ আন-নামাল An-Naml النمل
২৭. আন-নামাল
মাক্কী
النمل
আয়াত: ৯৩
28 ২৮ আল-কাসাস Al-Qasas القصص
২৮. আল-কাসাস
মাক্কী
القصص
আয়াত: ৮৮
29 ২৯ আল-আনকাবূত Al-Ankabut العنكبوت
২৯. আল-আনকাবূত
মাক্কী
العنكبوت
আয়াত: ৬৯
30 ৩০ আর-রুম Ar-Rum الروم
৩০. আর-রুম
মাক্কী
الروم
আয়াত: ৬০
31 ৩১ লুকমান Luqman لقمان
৩১. লুকমান
মাক্কী
لقمان
আয়াত: ৩৪
32 ৩২ আস-সাজদাহ As-Sajda السجدة
৩২. আস-সাজদাহ
মাক্কী
السجدة
আয়াত: ৩০
33 ৩৩ আল-আহযাব Al-Ahzab الأحزاب
৩৩. আল-আহযাব
মাদানী
الأحزاب
আয়াত: ৭৩
34 ৩৪ সাবা Saba سبإ
৩৪. সাবা
মাক্কী
سبإ
আয়াত: ৫৪
35 ৩৫ ফাতির Fatir فاطر
৩৫. ফাতির
মাক্কী
فاطر
আয়াত: ৪৫
36 ৩৬ ইয়াসীন Ya-Sin يس
৩৬. ইয়াসীন
মাক্কী
يس
আয়াত: ৮৩
37 ৩৭ আস-সাফফাত As-Saffat الصافات
৩৭. আস-সাফফাত
মাক্কী
الصافات
আয়াত: ১৮২
38 ৩৮ সোয়াদ Ṣād ص
৩৮. সোয়াদ
মাক্কী
ص
আয়াত: ৮৮
39 ৩৯ আয-যুমার Az-Zumar الزمر
৩৯. আয-যুমার
মাক্কী
الزمر
আয়াত: ৭৫
40 ৪০ গাফির (আল মুমিন) Ghafir غافر
৪০. গাফির (আল মুমিন)
মাক্কী
غافر
আয়াত: ৮৫
41 ৪১ হা-মীম আস-সাজদা (ফুসসিলাত) Fussilat فصلت
৪১. হা-মীম আস-সাজদা (ফুসসিলাত)
মাক্কী
فصلت
আয়াত: ৫৪
42 ৪২ আশ-শূরা Ash-Shura الشورى
৪২. আশ-শূরা
মাক্কী
الشورى
আয়াত: ৫৩
43 ৪৩ আয-যুখরুফ Az-Zukhruf الزخرف
৪৩. আয-যুখরুফ
মাক্কী
الزخرف
আয়াত: ৮৯
44 ৪৪ আদ-দুখান Ad-Dukhan الدخان
৪৪. আদ-দুখান
মাক্কী
الدخان
আয়াত: ৫৯
45 ৪৫ আল-জাসিয়া Al-Jathiya الجاثية
৪৫. আল-জাসিয়া
মাক্কী
الجاثية
আয়াত: ৩৭
46 ৪৬ আল-আহকাফ Al-Ahqaf الأحقاف
৪৬. আল-আহকাফ
মাক্কী
الأحقاف
আয়াত: ৩৫
47 ৪৭ মুহাম্মাদ Muhammad محمد
৪৭. মুহাম্মাদ
মাদানী
محمد
আয়াত: ৩৮
48 ৪৮ আল-ফাতহ Al-Fath الفتح
৪৮. আল-ফাতহ
মাদানী
الفتح
আয়াত: ২৯
49 ৪৯ আল-হুজুরাত Al-Hujurat الحجرات
৪৯. আল-হুজুরাত
মাদানী
الحجرات
আয়াত: ১৮
50 ৫০ কাফ Qaf ق
৫০. কাফ
মাক্কী
ق
আয়াত: ৪৫
51 ৫১ আয-যারিয়াত Adh-Dhariyat سورة الذاريات
৫১. আয-যারিয়াত
মাক্কী
سورة الذاريات
আয়াত: ৬০
52 ৫২ আত-তূর At-Tur الطور
৫২. আত-তূর
মাক্কী
الطور
আয়াত: ৪৯
53 ৫৩ আন-নাজম An-Najm النجم
৫৩. আন-নাজম
মাক্কী
النجم
আয়াত: ৬২
54 ৫৪ আল-কামার Al-Qamar القمر
৫৪. আল-কামার
মাক্কী
القمر
আয়াত: ৫৫
55 ৫৫ আর-রাহমান Ar-Rahman الرحمن
৫৫. আর-রাহমান
মাদানী
الرحمن
আয়াত: ৭৮
56 ৫৬ আল-ওয়াকিয়া Al-Waqia الواقعة
৫৬. আল-ওয়াকিয়া
মাক্কী
الواقعة
আয়াত: ৯৬
57 ৫৭ আল-হাদীদ Al-Hadid الحديد
৫৭. আল-হাদীদ
মাদানী
الحديد
আয়াত: ২৯
58 ৫৮ আল-মুজাদালা Al-Mujadila المجادلة
৫৮. আল-মুজাদালা
মাদানী
المجادلة
আয়াত: ২২
59 ৫৯ আল-হাশর Al-Hashr الحشر
৫৯. আল-হাশর
মাদানী
الحشر
আয়াত: ২৪
60 ৬০ আল-মুমতাহিনা Al-Mumtahina الممتحنة
৬০. আল-মুমতাহিনা
মাদানী
الممتحنة
আয়াত: ১৩
61 ৬১ আস-সফ As-Saff الصف
৬১. আস-সফ
মাদানী
الصف
আয়াত: ১৪
62 ৬২ আল-জুমুআ Al-Jumua الجمعة
৬২. আল-জুমুআ
মাদানী
الجمعة
আয়াত: ১১
63 ৬৩ আল-মুনাফিকূন Al-Munafiqun المنافقون
৬৩. আল-মুনাফিকূন
মাদানী
المنافقون
আয়াত: ১১
64 ৬৪ আত-তাগাবুন At-Taghabun التغابن
৬৪. আত-তাগাবুন
মাদানী
التغابن
আয়াত: ১৮
65 ৬৫ আত-ত্বলাক্ব At-Talaq الطلاق
৬৫. আত-ত্বলাক্ব
মাদানী
الطلاق
আয়াত: ১২
66 ৬৬ আত-তাহরীম At-Tahrim التحريم
৬৬. আত-তাহরীম
মাদানী
التحريم
আয়াত: ১২
67 ৬৭ আল-মুলক Al-Mulk الملك
৬৭. আল-মুলক
মাক্কী
الملك
আয়াত: ৩০
68 ৬৮ আল-কলম Al-Qalam القلم
৬৮. আল-কলম
মাক্কী
القلم
আয়াত: ৫২
69 ৬৯ আল-হাক্কাহ Al-Haqqa الحاقة
৬৯. আল-হাক্কাহ
মাক্কী
الحاقة
আয়াত: ৫২
70 ৭০ আল-মাআরিজ Al-Maarij المعارج
৭০. আল-মাআরিজ
মাক্কী
المعارج
আয়াত: ৪৪
71 ৭১ নূহ Nuh نوح
৭১. নূহ
মাক্কী
نوح
আয়াত: ২৮
72 ৭২ আল-জ্বিন Al-Jinn الجن
৭২. আল-জ্বিন
মাক্কী
الجن
আয়াত: ২৯
73 ৭৩ আল-মুযযাম্মিল Al-Muzzammil المزمل
৭৩. আল-মুযযাম্মিল
মাক্কী
المزمل
আয়াত: ২০
74 ৭৪ আল-মুদ্দাসসির Al-Muddathir المدثر
৭৪. আল-মুদ্দাসসির
মাক্কী
المدثر
আয়াত: ৫৬
75 ৭৫ আল-ক্বিয়ামাহ Al-Qiyama القيامة
৭৫. আল-ক্বিয়ামাহ
মাক্কী
القيامة
আয়াত: ৪০
76 ৭৬ আল-ইনসান (আদ-দাহর) Al-Insan الانسان
৭৬. আল-ইনসান (আদ-দাহর)
মাদানী
الانسان
আয়াত: ৩১
77 ৭৭ আল-মুরসালাত Al-Mursalat المرسلات
৭৭. আল-মুরসালাত
মাক্কী
المرسلات
আয়াত: ৫০
78 ৭৮ আন-নাবা An-Naba النبإ
৭৮. আন-নাবা
মাক্কী
النبإ
আয়াত: ৪০
79 ৭৯ আন-নাযিআত An-Naziat النازعات
৭৯. আন-নাযিআত
মাক্কী
النازعات
আয়াত: ৪৬
80 ৮০ আবাসা Abasa عبس
৮০. আবাসা
মাক্কী
عبس
আয়াত: ৪২
81 ৮১ আত-তাকভীর At-Takwir التكوير
৮১. আত-তাকভীর
মাক্কী
التكوير
আয়াত: ২৯
82 ৮২ আল-ইনফিতার Al-Infitar الإنفطار
৮২. আল-ইনফিতার
মাক্কী
الإنفطار
আয়াত: ১৯
83 ৮৩ আল-মুতাফফিফীন Al-Mutaffifin المطففين
৮৩. আল-মুতাফফিফীন
মাক্কী
المطففين
আয়াত: ৩৬
84 ৮৪ আল-ইনশিকাক Al-Inshiqaq الإنشقاق
৮৪. আল-ইনশিকাক
মাক্কী
الإنشقاق
আয়াত: ২৫
85 ৮৫ আল-বুরুজ Al-Buruj البروج
৮৫. আল-বুরুজ
মাক্কী
البروج
আয়াত: ২২
86 ৮৬ আত-তারিক At-Tariq الطارق
৮৬. আত-তারিক
মাক্কী
الطارق
আয়াত: ১৭
87 ৮৭ আল-আলা Al-Ala الأعلى
৮৭. আল-আলা
মাক্কী
الأعلى
আয়াত: ১৯
88 ৮৮ আল-গাশিয়া Al-Ghashiya الغاشية
৮৮. আল-গাশিয়া
মাক্কী
الغاشية
আয়াত: ২৬
89 ৮৯ আল-ফাজর Al-Fajr الفجر
৮৯. আল-ফাজর
মাক্কী
الفجر
আয়াত: ৩০
90 ৯০ আল-বালাদ Al-Balad البلد
৯০. আল-বালাদ
মাক্কী
البلد
আয়াত: ২০
91 ৯১ আশ-শামস Ash-Shams الشمس
৯১. আশ-শামস
মাক্কী
الشمس
আয়াত: ১৫
92 ৯২ আল-লাইল Al-Lail الليل
৯২. আল-লাইল
মাক্কী
الليل
আয়াত: ২১
93 ৯৩ আদ-দুহা Ad-Dhuha الضحى
৯৩. আদ-দুহা
মাক্কী
الضحى
আয়াত: ১১
94 ৯৪ আল-ইনশিরাহ Ash-Sharh الشرح
৯৪. আল-ইনশিরাহ
মাক্কী
الشرح
আয়াত: ৮
95 ৯৫ আত-ত্বীন At-Tin التين
৯৫. আত-ত্বীন
মাক্কী
التين
আয়াত: ৮
96 ৯৬ আল-আলাক Al-Alaq العلق
৯৬. আল-আলাক
মাক্কী
العلق
আয়াত: ১৯
97 ৯৭ আল-কাদর Al-Qadr القدر
৯৭. আল-কাদর
মাক্কী
القدر
আয়াত: ৫
98 ৯৮ আল-বায়্যিনাহ Al-Bayyina البينة
৯৮. আল-বায়্যিনাহ
মাদানী
البينة
আয়াত: ৮
99 ৯৯ আয-যিলযাল Az-Zalzala الزلزلة
৯৯. আয-যিলযাল
মাদানী
الزلزلة
আয়াত: ৮
100 ১০০ আল-আদিয়াত Al-Adiyat العاديات
১০০. আল-আদিয়াত
মাক্কী
العاديات
আয়াত: ১১
101 ১০১ আল-কারিআ Al-Qaria القارعة
১০১. আল-কারিআ
মাক্কী
القارعة
আয়াত: ১১
102 ১০২ আত-তাকাসুর At-Takathur التكاثر
১০২. আত-তাকাসুর
মাক্কী
التكاثر
আয়াত: ৮
103 ১০৩ আল-আসর Al-Asr العصر
১০৩. আল-আসর
মাক্কী
العصر
আয়াত: ৩
104 ১০৪ আল-হুমাযা Al-Humaza الهمزة
১০৪. আল-হুমাযা
মাক্কী
الهمزة
আয়াত: ৯
105 ১০৫ আল-ফীল Al-Fil الفيل
১০৫. আল-ফীল
মাক্কী
الفيل
আয়াত: ৫
106 ১০৬ আল-কুরাইশ Quraysh قريش
১০৬. আল-কুরাইশ
মাক্কী
قريش
আয়াত: ৪
107 ১০৭ আল-মাঊন Al-Maun الماعون
১০৭. আল-মাঊন
মাক্কী
الماعون
আয়াত: ৭
108 ১০৮ আল-কাউসার Al-Kawthar الكوثر
১০৮. আল-কাউসার
মাক্কী
الكوثر
আয়াত: ৩
109 ১০৯ কাফিরুন Al-Kafirun الكافرون
১০৯. কাফিরুন
মাক্কী
الكافرون
আয়াত: ৬
110 ১১০ আন-নাসর An-Nasr النصر
১১০. আন-নাসর
মাদানী
النصر
আয়াত: ৩
111 ১১১ লাহাব Al-Masad المسد
১১১. লাহাব
মাক্কী
المسد
আয়াত: ৫
112 ১১২ আল-ইখলাস Al-Ikhlas الإخلاص
১১২. আল-ইখলাস
মাক্কী
الإخلاص
আয়াত: ৪
113 ১১৩ আল-ফালাক Al-Falaq الفلق
১১৩. আল-ফালাক
মাক্কী
الفلق
আয়াত: ৫
114 ১১৪ আন-নাস An-Nas الناس
১১৪. আন-নাস
মাক্কী
الناس
আয়াত: ৬
সূরা: ২১, আল-আম্বিয়া - ( الأنبياء)
সূরার ধরন: মাক্কী , মোট আয়াত:

1 ১
اِقۡتَرَبَ لِلنَّاسِ حِسَابُهُمۡ وَ هُمۡ فِیۡ غَفۡلَۃٍ مُّعۡرِضُوۡنَ
اِقۡتَرَبَ لِلنَّاسِ حِسَابُهُمۡ وَ هُمۡ فِیۡ غَفۡلَۃٍ مُّعۡرِضُوۡنَ
১. অনুবাদ: মানুষের হিসাব-নিকাশের সময় আসন্ন, অথচ তারা উদাসীনতায় মুখ ফিরিয়ে রয়েছে।

2 ২
مَا یَاۡتِیۡهِمۡ مِّنۡ ذِکۡرٍ مِّنۡ رَّبِّهِمۡ مُّحۡدَثٍ اِلَّا اسۡتَمَعُوۡهُ وَ هُمۡ یَلۡعَبُوۡنَ
مَا یَاۡتِیۡهِمۡ مِّنۡ ذِکۡرٍ مِّنۡ رَّبِّهِمۡ مُّحۡدَثٍ اِلَّا اسۡتَمَعُوۡهُ وَ هُمۡ یَلۡعَبُوۡنَ
২. অনুবাদ: যখনই তাদের রবের পক্ষ থেকে তাদের নিকট কোন নতুন উপদেশ আসে তখন তারা তা কৌতুকভরে শ্রবণ করে।

3 ৩
لَاهِیَۃً قُلُوۡبُهُمۡ ؕ وَ اَسَرُّوا النَّجۡوَی ٭ۖ الَّذِیۡنَ ظَلَمُوۡا ٭ۖ هَلۡ هٰذَاۤ اِلَّا بَشَرٌ مِّثۡلُکُمۡ ۚ اَفَتَاۡتُوۡنَ السِّحۡرَ وَ اَنۡتُمۡ تُبۡصِرُوۡنَ
لَاهِیَۃً قُلُوۡبُهُمۡ ؕ وَ اَسَرُّوا النَّجۡوَی ٭ۖ الَّذِیۡنَ ظَلَمُوۡا ٭ۖ هَلۡ هٰذَاۤ اِلَّا بَشَرٌ مِّثۡلُکُمۡ ۚ اَفَتَاۡتُوۡنَ السِّحۡرَ وَ اَنۡتُمۡ تُبۡصِرُوۡنَ
৩. অনুবাদ: তাদের অন্তর থাকে অমনোযোগী এবং যালিমরা গোপনে পরামর্শ করে, ‘এ তো তোমাদের মতই একজন মানুষ। এরপরও কি তোমরা দেখে শুনে যাদুর কবলে পড়বে’?

4 ৪
قٰلَ رَبِّیۡ یَعۡلَمُ الۡقَوۡلَ فِی السَّمَآءِ وَ الۡاَرۡضِ ۫ وَ هُوَ السَّمِیۡعُ الۡعَلِیۡمُ
قٰلَ رَبِّیۡ یَعۡلَمُ الۡقَوۡلَ فِی السَّمَآءِ وَ الۡاَرۡضِ ۫ وَ هُوَ السَّمِیۡعُ الۡعَلِیۡمُ
৪. অনুবাদ: সে (রাসূল) বলল, ‘আমার রব আসমান ও যমীনের সমস্ত কথাই জানেন এবং তিনিই সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ’।

5 ৫
بَلۡ قَالُوۡۤا اَضۡغَاثُ اَحۡلَامٍۭ بَلِ افۡتَرٰىهُ بَلۡ هُوَ شَاعِرٌ ۚۖ فَلۡیَاۡتِنَا بِاٰیَۃٍ کَمَاۤ اُرۡسِلَ الۡاَوَّلُوۡنَ
بَلۡ قَالُوۡۤا اَضۡغَاثُ اَحۡلَامٍۭ بَلِ افۡتَرٰىهُ بَلۡ هُوَ شَاعِرٌ ۚۖ فَلۡیَاۡتِنَا بِاٰیَۃٍ کَمَاۤ اُرۡسِلَ الۡاَوَّلُوۡنَ
৫. অনুবাদ: বরং তারা বলে, ‘এগুলো অলীক কল্পনা, হয় সে এটি মন থেকে বানিয়েছে নয়তো সে একজন কবি। অতএব সে আমাদের কাছে এমন নিদর্শন নিয়ে আসুক যেরূপ নিদর্শনসহ প্রেরিত হয়েছিল পূর্ববর্তীগণ’।

6 ৬
مَاۤ اٰمَنَتۡ قَبۡلَهُمۡ مِّنۡ قَرۡیَۃٍ اَهۡلَکۡنٰهَا ۚ اَفَهُمۡ یُؤۡمِنُوۡنَ
مَاۤ اٰمَنَتۡ قَبۡلَهُمۡ مِّنۡ قَرۡیَۃٍ اَهۡلَکۡنٰهَا ۚ اَفَهُمۡ یُؤۡمِنُوۡنَ
৬. অনুবাদ: তাদের পূর্বে যে জনপদ ঈমান আনেনি তাদেরকে আমি ধ্বংস করেছি । তবে কি এরা ঈমান আনবে?

7 ৭
وَ مَاۤ اَرۡسَلۡنَا قَبۡلَکَ اِلَّا رِجَالًا نُّوۡحِیۡۤ اِلَیۡهِمۡ فَسۡـَٔلُوۡۤا اَهۡلَ الذِّکۡرِ اِنۡ کُنۡتُمۡ لَا تَعۡلَمُوۡنَ
وَ مَاۤ اَرۡسَلۡنَا قَبۡلَکَ اِلَّا رِجَالًا نُّوۡحِیۡۤ اِلَیۡهِمۡ فَسۡـَٔلُوۡۤا اَهۡلَ الذِّکۡرِ اِنۡ کُنۡتُمۡ لَا تَعۡلَمُوۡنَ
৭. অনুবাদ: আর তোমার পূর্বে আমি পুরুষই পাঠিয়েছিলাম, যাদের প্রতি আমি ওহী পাঠাতাম। সুতরাং তোমরা জ্ঞানীদেরকে জিজ্ঞাসা কর যদি তোমরা না জান।

8 ৮
وَ مَا جَعَلۡنٰهُمۡ جَسَدًا لَّا یَاۡکُلُوۡنَ الطَّعَامَ وَ مَا کَانُوۡا خٰلِدِیۡنَ
وَ مَا جَعَلۡنٰهُمۡ جَسَدًا لَّا یَاۡکُلُوۡنَ الطَّعَامَ وَ مَا کَانُوۡا خٰلِدِیۡنَ
৮. অনুবাদ: আর আমি তাদেরকে এমন দেহবিশিষ্ট করিনি যে, তারা খাদ্য গ্রহণ করত না, আর তারা স্থায়ীও ছিল না।

9 ৯
ثُمَّ صَدَقۡنٰهُمُ الۡوَعۡدَ فَاَنۡجَیۡنٰهُمۡ وَ مَنۡ نَّشَآءُ وَ اَهۡلَکۡنَا الۡمُسۡرِفِیۡنَ
ثُمَّ صَدَقۡنٰهُمُ الۡوَعۡدَ فَاَنۡجَیۡنٰهُمۡ وَ مَنۡ نَّشَآءُ وَ اَهۡلَکۡنَا الۡمُسۡرِفِیۡنَ
৯. অনুবাদ: অতঃপর আমি তাদের প্রতি কৃত ওয়াদা পূর্ণ করলাম। আর আমি তাদেরকে ও যাদেরকে ইচ্ছা করি রক্ষা করলাম এবং সীমালঙ্ঘনকারীদেরকে ধ্বংস করে দিলাম।

10 ১০
لَقَدۡ اَنۡزَلۡنَاۤ اِلَیۡکُمۡ کِتٰبًا فِیۡهِ ذِکۡرُکُمۡ ؕ اَفَلَا تَعۡقِلُوۡنَ
لَقَدۡ اَنۡزَلۡنَاۤ اِلَیۡکُمۡ کِتٰبًا فِیۡهِ ذِکۡرُکُمۡ ؕ اَفَلَا تَعۡقِلُوۡنَ
১০. অনুবাদ: নিশ্চয় আমি তোমাদের প্রতি এক কিতাব নাযিল করেছি, যাতে তোমাদের জন্য উপদেশ* রয়েছে, তবুও কি তোমরা বুঝবে না?

11 ১১
وَ کَمۡ قَصَمۡنَا مِنۡ قَرۡیَۃٍ کَانَتۡ ظَالِمَۃً وَّ اَنۡشَاۡنَا بَعۡدَهَا قَوۡمًا اٰخَرِیۡنَ
وَ کَمۡ قَصَمۡنَا مِنۡ قَرۡیَۃٍ کَانَتۡ ظَالِمَۃً وَّ اَنۡشَاۡنَا بَعۡدَهَا قَوۡمًا اٰخَرِیۡنَ
১১. অনুবাদ: আমি কত জনবসতিকে ধ্বংস করেছি যারা ছিল যালিম এবং তাদের পর অন্য জাতি সৃষ্টি করেছি।

12 ১২
فَلَمَّاۤ اَحَسُّوۡا بَاۡسَنَاۤ اِذَا هُمۡ مِّنۡهَا یَرۡکُضُوۡنَ
فَلَمَّاۤ اَحَسُّوۡا بَاۡسَنَاۤ اِذَا هُمۡ مِّنۡهَا یَرۡکُضُوۡنَ
১২. অনুবাদ: অতঃপর তারা যখন আমার আযাব দেখল তখনই তারা জনপদ ছেড়ে পালাতে লাগল।

13 ১৩
لَا تَرۡکُضُوۡا وَ ارۡجِعُوۡۤا اِلٰی مَاۤ اُتۡرِفۡتُمۡ فِیۡهِ وَ مَسٰکِنِکُمۡ لَعَلَّکُمۡ تُسۡـَٔلُوۡنَ
لَا تَرۡکُضُوۡا وَ ارۡجِعُوۡۤا اِلٰی مَاۤ اُتۡرِفۡتُمۡ فِیۡهِ وَ مَسٰکِنِکُمۡ لَعَلَّکُمۡ تُسۡـَٔلُوۡنَ
১৩. অনুবাদ: (তাদেরকে বলা হল) ‘পলায়ন করো না, বরং তোমাদের ভোগ-বিলাসিতায় এবং ঘরবাড়িতে ফিরে যাও, যেন তোমাদেরকে জিজ্ঞাসা করা হয়’।

14 ১৪
قَالُوۡا یٰوَیۡلَنَاۤ اِنَّا کُنَّا ظٰلِمِیۡنَ
قَالُوۡا یٰوَیۡلَنَاۤ اِنَّا کُنَّا ظٰلِمِیۡنَ
১৪. অনুবাদ: তারা বলল, ‘হায় আমাদের দুর্ভোগ! আমরা তো অবশ্যই যালিম ছিলাম।’

15 ১৫
فَمَا زَالَتۡ تِّلۡکَ دَعۡوٰىهُمۡ حَتّٰی جَعَلۡنٰهُمۡ حَصِیۡدًا خٰمِدِیۡنَ
فَمَا زَالَتۡ تِّلۡکَ دَعۡوٰىهُمۡ حَتّٰی جَعَلۡنٰهُمۡ حَصِیۡدًا خٰمِدِیۡنَ
১৫. অনুবাদ: অতঃপর তাদের এই বিলাপ চলতে থাকে আমি তাদেরকে কেটে ফেলা শস্য ও নিভে যাওয়া আগুন সদৃশ না করা পর্যন্ত।

16 ১৬
وَ مَا خَلَقۡنَا السَّمَآءَ وَ الۡاَرۡضَ وَ مَا بَیۡنَهُمَا لٰعِبِیۡنَ
وَ مَا خَلَقۡنَا السَّمَآءَ وَ الۡاَرۡضَ وَ مَا بَیۡنَهُمَا لٰعِبِیۡنَ
১৬. অনুবাদ: আসমান-যমীন ও তাদের মাঝখানে যা কিছু আছে তার কোন কিছুই আমি খেলাচ্ছলে সৃষ্টি করিনি।

17 ১৭
لَوۡ اَرَدۡنَاۤ اَنۡ نَّتَّخِذَ لَهۡوًا لَّاتَّخَذۡنٰهُ مِنۡ لَّدُنَّاۤ ٭ۖ اِنۡ کُنَّا فٰعِلِیۡنَ
لَوۡ اَرَدۡنَاۤ اَنۡ نَّتَّخِذَ لَهۡوًا لَّاتَّخَذۡنٰهُ مِنۡ لَّدُنَّاۤ ٭ۖ اِنۡ کُنَّا فٰعِلِیۡنَ
১৭. অনুবাদ: আমি যদি খেলার উপকরণ গ্রহণ করতে চাইতাম, তবে আমার কাছে যা আছে তা দিয়েই করতাম। কিন্তু আমি তা করিনি।

18 ১৮
بَلۡ نَقۡذِفُ بِالۡحَقِّ عَلَی الۡبَاطِلِ فَیَدۡمَغُهٗ فَاِذَا هُوَ زَاهِقٌ ؕ وَ لَکُمُ الۡوَیۡلُ مِمَّا تَصِفُوۡنَ
بَلۡ نَقۡذِفُ بِالۡحَقِّ عَلَی الۡبَاطِلِ فَیَدۡمَغُهٗ فَاِذَا هُوَ زَاهِقٌ ؕ وَ لَکُمُ الۡوَیۡلُ مِمَّا تَصِفُوۡنَ
১৮. অনুবাদ: বরং আমি মিথ্যার উপর সত্য নিক্ষেপ করি; ফলে তা মিথ্যাকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেয় এবং নিমিষেই তা বিলুপ্ত হয়। আর তোমাদের জন্য রয়েছে দুর্ভোগ তোমরা যা বলছ তার জন্য ।

19 ১৯
وَ لَهٗ مَنۡ فِی السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ ؕ وَ مَنۡ عِنۡدَهٗ لَا یَسۡتَکۡبِرُوۡنَ عَنۡ عِبَادَتِهٖ وَ لَا یَسۡتَحۡسِرُوۡنَ
وَ لَهٗ مَنۡ فِی السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ ؕ وَ مَنۡ عِنۡدَهٗ لَا یَسۡتَکۡبِرُوۡنَ عَنۡ عِبَادَتِهٖ وَ لَا یَسۡتَحۡسِرُوۡنَ
১৯. অনুবাদ: আর আসমান-যমীনে যারা আছে তারা সবাই তাঁর; আর তাঁর কাছে যারা আছে তারা অহঙ্কারবশতঃ তাঁর ইবাদাত হতে বিমুখ হয় না এবং ক্লান্তিও বোধ করে না।

20 ২০
یُسَبِّحُوۡنَ الَّیۡلَ وَ النَّهَارَ لَا یَفۡتُرُوۡنَ
یُسَبِّحُوۡنَ الَّیۡلَ وَ النَّهَارَ لَا یَفۡتُرُوۡنَ
২০. অনুবাদ: তারা দিন-রাত তাঁর তাসবীহ পাঠ করে, তারা শিথিলতা দেখায় না।

21 ২১
اَمِ اتَّخَذُوۡۤا اٰلِهَۃً مِّنَ الۡاَرۡضِ هُمۡ یُنۡشِرُوۡنَ
اَمِ اتَّخَذُوۡۤا اٰلِهَۃً مِّنَ الۡاَرۡضِ هُمۡ یُنۡشِرُوۡنَ
২১. অনুবাদ: তারা যেসব মাটির দেবতা গ্রহণ করেছে, সেগুলি কি মৃতকে জীবিত করতে সক্ষম?

22 ২২
لَوۡ کَانَ فِیۡهِمَاۤ اٰلِهَۃٌ اِلَّا اللّٰهُ لَفَسَدَتَا ۚ فَسُبۡحٰنَ اللّٰهِ رَبِّ الۡعَرۡشِ عَمَّا یَصِفُوۡنَ
لَوۡ کَانَ فِیۡهِمَاۤ اٰلِهَۃٌ اِلَّا اللّٰهُ لَفَسَدَتَا ۚ فَسُبۡحٰنَ اللّٰهِ رَبِّ الۡعَرۡشِ عَمَّا یَصِفُوۡنَ
২২. অনুবাদ: যদি আসমান ও যমীনে আল্লাহ ছাড়া বহু ইলাহ থাকত তবে উভয়ই ধ্বংস হয়ে যেত, সুতরাং তারা যা বলে, আরশের রব আল্লাহ তা থেকে পবিত্র।

23 ২৩
لَا یُسۡـَٔلُ عَمَّا یَفۡعَلُ وَ هُمۡ یُسۡـَٔلُوۡنَ
لَا یُسۡـَٔلُ عَمَّا یَفۡعَلُ وَ هُمۡ یُسۡـَٔلُوۡنَ
২৩. অনুবাদ: তিনি যা করেন সে ব্যাপারে তাকে প্রশ্ন করা যাবে না; বরং তাদেরকেই প্রশ্ন করা হবে।

24 ২৪
اَمِ اتَّخَذُوۡا مِنۡ دُوۡنِهٖۤ اٰلِهَۃً ؕ قُلۡ هَاتُوۡا بُرۡهَانَکُمۡ ۚ هٰذَا ذِکۡرُ مَنۡ مَّعِیَ وَ ذِکۡرُ مَنۡ قَبۡلِیۡ ؕ بَلۡ اَکۡثَرُهُمۡ لَا یَعۡلَمُوۡنَ ۙ الۡحَقَّ فَهُمۡ مُّعۡرِضُوۡنَ
اَمِ اتَّخَذُوۡا مِنۡ دُوۡنِهٖۤ اٰلِهَۃً ؕ قُلۡ هَاتُوۡا بُرۡهَانَکُمۡ ۚ هٰذَا ذِکۡرُ مَنۡ مَّعِیَ وَ ذِکۡرُ مَنۡ قَبۡلِیۡ ؕ بَلۡ اَکۡثَرُهُمۡ لَا یَعۡلَمُوۡنَ ۙ الۡحَقَّ فَهُمۡ مُّعۡرِضُوۡنَ
২৪. অনুবাদ: তারা কি তাঁকে ছাড়া অনেক ইলাহ গ্রহণ করেছে? বল, ‘তোমাদের প্রমাণ নিয়ে আস। আমার সাথে যারা আছে এটি তাদের জন্য উপদেশ এবং আমার পূর্বে যারা ছিল তাদের জন্যও এটাই ছিল উপদেশ।’ কিন্তু তাদের বেশীরভাগই প্রকৃত সত্যকে জানে না; তাই তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়।

25 ২৫
وَ مَاۤ اَرۡسَلۡنَا مِنۡ قَبۡلِکَ مِنۡ رَّسُوۡلٍ اِلَّا نُوۡحِیۡۤ اِلَیۡهِ اَنَّهٗ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّاۤ اَنَا فَاعۡبُدُوۡنِ
وَ مَاۤ اَرۡسَلۡنَا مِنۡ قَبۡلِکَ مِنۡ رَّسُوۡلٍ اِلَّا نُوۡحِیۡۤ اِلَیۡهِ اَنَّهٗ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّاۤ اَنَا فَاعۡبُدُوۡنِ
২৫. অনুবাদ: আর তোমার পূর্বে এমন কোন রাসূল আমি পাঠাইনি যার প্রতি আমি এই ওহী নাযিল করিনি যে, ‘আমি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই; সুতরাং তোমরা আমার ইবাদাত কর।’

26 ২৬
وَ قَالُوا اتَّخَذَ الرَّحۡمٰنُ وَلَدًا سُبۡحٰنَهٗ ؕ بَلۡ عِبَادٌ مُّکۡرَمُوۡنَ
وَ قَالُوا اتَّخَذَ الرَّحۡمٰنُ وَلَدًا سُبۡحٰنَهٗ ؕ بَلۡ عِبَادٌ مُّکۡرَمُوۡنَ
২৬. অনুবাদ: আর তারা বলে, ‘পরম করুণাময় সন্তান গ্রহণ করেছেন।’ তিনি পবিত্র। বরং তারা* সম্মানিত বান্দা।

27 ২৭
لَا یَسۡبِقُوۡنَهٗ بِالۡقَوۡلِ وَ هُمۡ بِاَمۡرِهٖ یَعۡمَلُوۡنَ
لَا یَسۡبِقُوۡنَهٗ بِالۡقَوۡلِ وَ هُمۡ بِاَمۡرِهٖ یَعۡمَلُوۡنَ
২৭. অনুবাদ: তারা তাঁর আগ বাড়িয়ে কোন কথা বলে না, তাঁর নির্দেশেই তো তারা কাজ করে।

28 ২৮
یَعۡلَمُ مَا بَیۡنَ اَیۡدِیۡهِمۡ وَ مَا خَلۡفَهُمۡ وَ لَا یَشۡفَعُوۡنَ ۙ اِلَّا لِمَنِ ارۡتَضٰی وَ هُمۡ مِّنۡ خَشۡیَتِهٖ مُشۡفِقُوۡنَ
یَعۡلَمُ مَا بَیۡنَ اَیۡدِیۡهِمۡ وَ مَا خَلۡفَهُمۡ وَ لَا یَشۡفَعُوۡنَ ۙ اِلَّا لِمَنِ ارۡتَضٰی وَ هُمۡ مِّنۡ خَشۡیَتِهٖ مُشۡفِقُوۡنَ
২৮. অনুবাদ: তাদের সামনে ও পেছনে যা কিছু আছে সবই তিনি জানেন। আর তারা শুধু তাদের জন্যই সুপারিশ করে যাদের প্রতি তিনি সন্তুষ্ট। তারা তাঁর ভয়ে ভীত।*

29 ২৯
وَ مَنۡ یَّقُلۡ مِنۡهُمۡ اِنِّیۡۤ اِلٰهٌ مِّنۡ دُوۡنِهٖ فَذٰلِکَ نَجۡزِیۡهِ جَهَنَّمَ ؕ کَذٰلِکَ نَجۡزِی الظّٰلِمِیۡنَ
وَ مَنۡ یَّقُلۡ مِنۡهُمۡ اِنِّیۡۤ اِلٰهٌ مِّنۡ دُوۡنِهٖ فَذٰلِکَ نَجۡزِیۡهِ جَهَنَّمَ ؕ کَذٰلِکَ نَجۡزِی الظّٰلِمِیۡنَ
২৯. অনুবাদ: আর তাদের মধ্যে যে-ই বলবে, ‘তিনি ছাড়া আমি ইলাহ’, তাকেই আমি প্রতিদান হিসেবে জাহান্নাম দেব; এভাবেই আমি যালিমদের আযাব দিয়ে থাকি।

30 ৩০
اَوَ لَمۡ یَرَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡۤا اَنَّ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضَ کَانَتَا رَتۡقًا فَفَتَقۡنٰهُمَا ؕ وَ جَعَلۡنَا مِنَ الۡمَآءِ کُلَّ شَیۡءٍ حَیٍّ ؕ اَفَلَا یُؤۡمِنُوۡنَ
اَوَ لَمۡ یَرَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡۤا اَنَّ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضَ کَانَتَا رَتۡقًا فَفَتَقۡنٰهُمَا ؕ وَ جَعَلۡنَا مِنَ الۡمَآءِ کُلَّ شَیۡءٍ حَیٍّ ؕ اَفَلَا یُؤۡمِنُوۡنَ
৩০. অনুবাদ: যারা কুফরী করে তারা কি ভেবে দেখে না যে, আসমানসমূহ ও যমীন ওতপ্রোতভাবে মিশে ছিল*, অতঃপর আমি উভয়কে পৃথক করে দিলাম, আর আমি সকল প্রাণবান জিনিসকে পানি থেকে সৃষ্টি করলাম। তবুও কি তারা ঈমান আনবে না?

31 ৩১
وَ جَعَلۡنَا فِی الۡاَرۡضِ رَوَاسِیَ اَنۡ تَمِیۡدَ بِهِمۡ ۪ وَ جَعَلۡنَا فِیۡهَا فِجَاجًا سُبُلًا لَّعَلَّهُمۡ یَهۡتَدُوۡنَ
وَ جَعَلۡنَا فِی الۡاَرۡضِ رَوَاسِیَ اَنۡ تَمِیۡدَ بِهِمۡ ۪ وَ جَعَلۡنَا فِیۡهَا فِجَاجًا سُبُلًا لَّعَلَّهُمۡ یَهۡتَدُوۡنَ
৩১. অনুবাদ: আর আমি যমীনে সৃষ্টি করেছি সুদৃঢ় পর্বত, যেন তা পর্বতসমূহ নিয়ে একদিকে হেলে না পড়ে*, আর আমি তাতে তৈরী করেছি প্রশস্ত রাস্তা, যেন তারা চলতে পারে।

32 ৩২
وَ جَعَلۡنَا السَّمَآءَ سَقۡفًا مَّحۡفُوۡظًا ۚۖ وَّ هُمۡ عَنۡ اٰیٰتِهَا مُعۡرِضُوۡنَ
وَ جَعَلۡنَا السَّمَآءَ سَقۡفًا مَّحۡفُوۡظًا ۚۖ وَّ هُمۡ عَنۡ اٰیٰتِهَا مُعۡرِضُوۡنَ
৩২. অনুবাদ: আর আমি আসমানকে করেছি সুরক্ষিত ছাদ; কিন্তু তারা তার নিদর্শনাবলী হতে মুখ ফিরিয়ে নেয়।

33 ৩৩
وَ هُوَ الَّذِیۡ خَلَقَ الَّیۡلَ وَ النَّهَارَ وَ الشَّمۡسَ وَ الۡقَمَرَ ؕ کُلٌّ فِیۡ فَلَکٍ یَّسۡبَحُوۡنَ
وَ هُوَ الَّذِیۡ خَلَقَ الَّیۡلَ وَ النَّهَارَ وَ الشَّمۡسَ وَ الۡقَمَرَ ؕ کُلٌّ فِیۡ فَلَکٍ یَّسۡبَحُوۡنَ
৩৩. অনুবাদ: আর তিনিই রাত ও দিন এবং সূর্য ও চাঁদ সৃষ্টি করেছেন; সবাই নিজ নিজ কক্ষপথে বিচরণ করে।

34 ৩৪
وَ مَا جَعَلۡنَا لِبَشَرٍ مِّنۡ قَبۡلِکَ الۡخُلۡدَ ؕ اَفَا۠ئِنۡ مِّتَّ فَهُمُ الۡخٰلِدُوۡنَ
وَ مَا جَعَلۡنَا لِبَشَرٍ مِّنۡ قَبۡلِکَ الۡخُلۡدَ ؕ اَفَا۠ئِنۡ مِّتَّ فَهُمُ الۡخٰلِدُوۡنَ
৩৪. অনুবাদ: আর তোমার পূর্বে কোন মানুষকে আমি স্থায়ী জীবন দান করিনি; সুতরাং তোমার মৃত্যু হলে তারা কি অনন্ত জীবনসম্পন্ন হয়ে থাকবে ?

35 ৩৫
کُلُّ نَفۡسٍ ذَآئِقَۃُ الۡمَوۡتِ ؕ وَ نَبۡلُوۡکُمۡ بِالشَّرِّ وَ الۡخَیۡرِ فِتۡنَۃً ؕ وَ اِلَیۡنَا تُرۡجَعُوۡنَ
کُلُّ نَفۡسٍ ذَآئِقَۃُ الۡمَوۡتِ ؕ وَ نَبۡلُوۡکُمۡ بِالشَّرِّ وَ الۡخَیۡرِ فِتۡنَۃً ؕ وَ اِلَیۡنَا تُرۡجَعُوۡنَ
৩৫. অনুবাদ: প্রতিটি প্রাণ মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে; আর ভাল ও মন্দ দ্বারা আমি তোমাদেরকে পরীক্ষা করে থাকি এবং আমার কাছেই তোমাদেরকে ফিরে আসতে হবে।

36 ৩৬
وَ اِذَا رَاٰکَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡۤا اِنۡ یَّتَّخِذُوۡنَکَ اِلَّا هُزُوًا ؕ اَهٰذَا الَّذِیۡ یَذۡکُرُ اٰلِهَتَکُمۡ ۚ وَ هُمۡ بِذِکۡرِ الرَّحۡمٰنِ هُمۡ کٰفِرُوۡنَ
وَ اِذَا رَاٰکَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡۤا اِنۡ یَّتَّخِذُوۡنَکَ اِلَّا هُزُوًا ؕ اَهٰذَا الَّذِیۡ یَذۡکُرُ اٰلِهَتَکُمۡ ۚ وَ هُمۡ بِذِکۡرِ الرَّحۡمٰنِ هُمۡ کٰفِرُوۡنَ
৩৬. অনুবাদ: আর যারা কুফরী করে তারা যখন তোমাকে দেখে তখন তোমাকে কেবল উপহাসের পাত্র হিসেবে গ্রহণ করে। তারা বলে, ‘এ কি সেই ব্যক্তি, যে তোমাদের দেবতাদের সমালোচনা করে?’ অথচ তারাই ‘রহমান’-এর আলোচনার বিরোধিতা করে।

37 ৩৭
خُلِقَ الۡاِنۡسَانُ مِنۡ عَجَلٍ ؕ سَاُورِیۡکُمۡ اٰیٰتِیۡ فَلَا تَسۡتَعۡجِلُوۡنِ
خُلِقَ الۡاِنۡسَانُ مِنۡ عَجَلٍ ؕ سَاُورِیۡکُمۡ اٰیٰتِیۡ فَلَا تَسۡتَعۡجِلُوۡنِ
৩৭. অনুবাদ: মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে তাড়াহুড়ার প্রবণতা দিয়ে। অচিরেই আমি তোমাদেরকে দেখাব আমার নিদর্শনাবলী। সুতরাং তোমরা তাড়াহুড়া করো না।

38 ৩৮
وَ یَقُوۡلُوۡنَ مَتٰی هٰذَا الۡوَعۡدُ اِنۡ کُنۡتُمۡ صٰدِقِیۡنَ
وَ یَقُوۡلُوۡنَ مَتٰی هٰذَا الۡوَعۡدُ اِنۡ کُنۡتُمۡ صٰدِقِیۡنَ
৩৮. অনুবাদ: আর তারা বলে, ‘তোমরা যদি সত্যবাদী হও তবে বল, এ ওয়াদা কখন পূর্ণ হবে?’

39 ৩৯
لَوۡ یَعۡلَمُ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا حِیۡنَ لَا یَکُفُّوۡنَ عَنۡ وُّجُوۡهِهِمُ النَّارَ وَ لَا عَنۡ ظُهُوۡرِهِمۡ وَ لَا هُمۡ یُنۡصَرُوۡنَ
لَوۡ یَعۡلَمُ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا حِیۡنَ لَا یَکُفُّوۡنَ عَنۡ وُّجُوۡهِهِمُ النَّارَ وَ لَا عَنۡ ظُهُوۡرِهِمۡ وَ لَا هُمۡ یُنۡصَرُوۡنَ
৩৯. অনুবাদ: হায়, কাফিররা যদি সে সময়ের কথা জানত, যখন তারা তাদের সামনে ও পেছন থেকে আগুন ফিরাতে পারবে না। আর তাদেরকে সাহায্যও করা হবে না;

40 ৪০
بَلۡ تَاۡتِیۡهِمۡ بَغۡتَۃً فَتَبۡهَتُهُمۡ فَلَا یَسۡتَطِیۡعُوۡنَ رَدَّهَا وَ لَا هُمۡ یُنۡظَرُوۡنَ
بَلۡ تَاۡتِیۡهِمۡ بَغۡتَۃً فَتَبۡهَتُهُمۡ فَلَا یَسۡتَطِیۡعُوۡنَ رَدَّهَا وَ لَا هُمۡ یُنۡظَرُوۡنَ
৪০. অনুবাদ: বরং অকস্মাৎ তাদের উপর তা এসে পড়বে। অতঃপর তাদেরকে হতবাক করে দেবে। ফলে তারা তা ফিরাতে সক্ষম হবে না এবং তাদেরকে অবকাশও দেয়া হবে না।

41 ৪১
وَ لَقَدِ اسۡتُهۡزِئَ بِرُسُلٍ مِّنۡ قَبۡلِکَ فَحَاقَ بِالَّذِیۡنَ سَخِرُوۡا مِنۡهُمۡ مَّا کَانُوۡا بِهٖ یَسۡتَهۡزِءُوۡنَ
وَ لَقَدِ اسۡتُهۡزِئَ بِرُسُلٍ مِّنۡ قَبۡلِکَ فَحَاقَ بِالَّذِیۡنَ سَخِرُوۡا مِنۡهُمۡ مَّا کَانُوۡا بِهٖ یَسۡتَهۡزِءُوۡنَ
৪১. অনুবাদ: আর তোমার পূর্বেও অনেক রাসূলকে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করা হয়েছিল; পরিণামে তারা যা নিয়ে ঠাট্টা করত তাই বিদ্রূপকারীদেরকে ঘিরে ফেলেছিল।*

42 ৪২
قُلۡ مَنۡ یَّکۡلَؤُکُمۡ بِالَّیۡلِ وَ النَّهَارِ مِنَ الرَّحۡمٰنِ ؕ بَلۡ هُمۡ عَنۡ ذِکۡرِ رَبِّهِمۡ مُّعۡرِضُوۡنَ
قُلۡ مَنۡ یَّکۡلَؤُکُمۡ بِالَّیۡلِ وَ النَّهَارِ مِنَ الرَّحۡمٰنِ ؕ بَلۡ هُمۡ عَنۡ ذِکۡرِ رَبِّهِمۡ مُّعۡرِضُوۡنَ
৪২. অনুবাদ: বল, ‘রাতে এবং দিনে পরম করুণাময় থেকে কে তোমাদেরকে রক্ষা করবে?’ তবুও তারা তাদের রবের স্মরণ হতে মুখ ফিরিয়ে নেয়।

43 ৪৩
اَمۡ لَهُمۡ اٰلِهَۃٌ تَمۡنَعُهُمۡ مِّنۡ دُوۡنِنَا ؕ لَا یَسۡتَطِیۡعُوۡنَ نَصۡرَ اَنۡفُسِهِمۡ وَ لَا هُمۡ مِّنَّا یُصۡحَبُوۡنَ
اَمۡ لَهُمۡ اٰلِهَۃٌ تَمۡنَعُهُمۡ مِّنۡ دُوۡنِنَا ؕ لَا یَسۡتَطِیۡعُوۡنَ نَصۡرَ اَنۡفُسِهِمۡ وَ لَا هُمۡ مِّنَّا یُصۡحَبُوۡنَ
৪৩. অনুবাদ: আমি ছাড়া তাদের কি এমন কোন দেব-দেবী আছে যারা তাদেরকে রক্ষা করতে পারে? তারা তো নিজদেরকেই সাহায্য করতে সক্ষম নয় এবং আমার বিরুদ্ধে তারা কোন সঙ্গীও পাবে না।*

44 ৪৪
بَلۡ مَتَّعۡنَا هٰۤؤُلَآءِ وَ اٰبَآءَهُمۡ حَتّٰی طَالَ عَلَیۡهِمُ الۡعُمُرُ ؕ اَفَلَا یَرَوۡنَ اَنَّا نَاۡتِی الۡاَرۡضَ نَنۡقُصُهَا مِنۡ اَطۡرَافِهَا ؕ اَفَهُمُ الۡغٰلِبُوۡنَ
بَلۡ مَتَّعۡنَا هٰۤؤُلَآءِ وَ اٰبَآءَهُمۡ حَتّٰی طَالَ عَلَیۡهِمُ الۡعُمُرُ ؕ اَفَلَا یَرَوۡنَ اَنَّا نَاۡتِی الۡاَرۡضَ نَنۡقُصُهَا مِنۡ اَطۡرَافِهَا ؕ اَفَهُمُ الۡغٰلِبُوۡنَ
৪৪. অনুবাদ: বরং আমিই তাদেরকে ও তাদের পূর্বপুরুষদেরকে উপভোগ করতে দিয়েছিলাম; উপরন্তু তাদের হায়াতও দীর্ঘ হয়েছিল। তারা কি দেখে না যে, আমি চতুর্দিক থেকে তাঁদের দেশকে সঙ্কুচিত করে দিচ্ছি? তবুও কি তারা জয়ী হবে?

45 ৪৫
قُلۡ اِنَّمَاۤ اُنۡذِرُکُمۡ بِالۡوَحۡیِ ۫ۖ وَ لَا یَسۡمَعُ الصُّمُّ الدُّعَآءَ اِذَا مَا یُنۡذَرُوۡنَ
قُلۡ اِنَّمَاۤ اُنۡذِرُکُمۡ بِالۡوَحۡیِ ۫ۖ وَ لَا یَسۡمَعُ الصُّمُّ الدُّعَآءَ اِذَا مَا یُنۡذَرُوۡنَ
৪৫. অনুবাদ: বল, ‘আমি তো কেবল ওহী দ্বারাই তোমাদেরকে সতর্ক করি’। কিন্তু যারা বধির তাদেরকে যখন সতর্ক করা হয়, তখন তারা সে আহবান শোনে না।

46 ৪৬
وَ لَئِنۡ مَّسَّتۡهُمۡ نَفۡحَۃٌ مِّنۡ عَذَابِ رَبِّکَ لَیَقُوۡلُنَّ یٰوَیۡلَنَاۤ اِنَّا کُنَّا ظٰلِمِیۡنَ
وَ لَئِنۡ مَّسَّتۡهُمۡ نَفۡحَۃٌ مِّنۡ عَذَابِ رَبِّکَ لَیَقُوۡلُنَّ یٰوَیۡلَنَاۤ اِنَّا کُنَّا ظٰلِمِیۡنَ
৪৬. অনুবাদ: আর তোমার রবের আযাবের সামান্য কিছুও যদি তাদেরকে স্পর্শ করে, তবে তারা অবশ্যই বলে উঠবে-‘হায়, দুর্ভোগ আমাদের! আমরাতো অবশ্যই যালিম ছিলাম’।

47 ৪৭
وَ نَضَعُ الۡمَوَازِیۡنَ الۡقِسۡطَ لِیَوۡمِ الۡقِیٰمَۃِ فَلَا تُظۡلَمُ نَفۡسٌ شَیۡئًا ؕ وَ اِنۡ کَانَ مِثۡقَالَ حَبَّۃٍ مِّنۡ خَرۡدَلٍ اَتَیۡنَا بِهَا ؕ وَ کَفٰی بِنَا حٰسِبِیۡنَ
وَ نَضَعُ الۡمَوَازِیۡنَ الۡقِسۡطَ لِیَوۡمِ الۡقِیٰمَۃِ فَلَا تُظۡلَمُ نَفۡسٌ شَیۡئًا ؕ وَ اِنۡ کَانَ مِثۡقَالَ حَبَّۃٍ مِّنۡ خَرۡدَلٍ اَتَیۡنَا بِهَا ؕ وَ کَفٰی بِنَا حٰسِبِیۡنَ
৪৭. অনুবাদ: আর কিয়ামতের দিন আমি ন্যায়বিচারের মানদন্ড স্থাপন করব। সুতরাং কারো প্রতি কোন অবিচার করা হবে না। কারো কর্ম যদি সরিষার দানা পরিমাণও হয়, আমি তা হাযির করব। আর হিসাব গ্রহণকারীরূপে আমিই যথেষ্ট।

48 ৪৮
وَ لَقَدۡ اٰتَیۡنَا مُوۡسٰی وَ هٰرُوۡنَ الۡفُرۡقَانَ وَ ضِیَآءً وَّ ذِکۡرًا لِّلۡمُتَّقِیۡنَ
وَ لَقَدۡ اٰتَیۡنَا مُوۡسٰی وَ هٰرُوۡنَ الۡفُرۡقَانَ وَ ضِیَآءً وَّ ذِکۡرًا لِّلۡمُتَّقِیۡنَ
৪৮. অনুবাদ: আর আমি তো মূসা ও হারূনকে সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারী দিয়েছিলাম এবং মুত্তাকীদের জন্য দিয়েছিলাম জ্যোতি ও উপদেশ।

49 ৪৯
الَّذِیۡنَ یَخۡشَوۡنَ رَبَّهُمۡ بِالۡغَیۡبِ وَ هُمۡ مِّنَ السَّاعَۃِ مُشۡفِقُوۡنَ
الَّذِیۡنَ یَخۡشَوۡنَ رَبَّهُمۡ بِالۡغَیۡبِ وَ هُمۡ مِّنَ السَّاعَۃِ مُشۡفِقُوۡنَ
৪৯. অনুবাদ: যারা না দেখেও তাদের রবকে ভয় করে এবং কিয়ামত সম্পর্কে থাকে ভীত-সন্ত্রস্ত।

50 ৫০
وَ هٰذَا ذِکۡرٌ مُّبٰرَکٌ اَنۡزَلۡنٰهُ ؕ اَفَاَنۡتُمۡ لَهٗ مُنۡکِرُوۡنَ
وَ هٰذَا ذِکۡرٌ مُّبٰرَکٌ اَنۡزَلۡنٰهُ ؕ اَفَاَنۡتُمۡ لَهٗ مُنۡکِرُوۡنَ
৫০. অনুবাদ: আর এটা বরকতময় উপদেশ, যা আমি নাযিল করেছি। তবুও কি তোমরা তা অস্বীকার করবে?

51 ৫১
وَ لَقَدۡ اٰتَیۡنَاۤ اِبۡرٰهِیۡمَ رُشۡدَهٗ مِنۡ قَبۡلُ وَ کُنَّا بِهٖ عٰلِمِیۡنَ
وَ لَقَدۡ اٰتَیۡنَاۤ اِبۡرٰهِیۡمَ رُشۡدَهٗ مِنۡ قَبۡلُ وَ کُنَّا بِهٖ عٰلِمِیۡنَ
৫১. অনুবাদ: আর আমি তো ইতঃপূর্বে ইবরাহীমকে সঠিক পথের জ্ঞান দিয়েছিলাম এবং আমি তার সম্পর্কে ছিলাম সম্যক অবগত।

52 ৫২
اِذۡ قَالَ لِاَبِیۡهِ وَ قَوۡمِهٖ مَا هٰذِهِ التَّمَاثِیۡلُ الَّتِیۡۤ اَنۡتُمۡ لَهَا عٰکِفُوۡنَ
اِذۡ قَالَ لِاَبِیۡهِ وَ قَوۡمِهٖ مَا هٰذِهِ التَّمَاثِیۡلُ الَّتِیۡۤ اَنۡتُمۡ لَهَا عٰکِفُوۡنَ
৫২. অনুবাদ: যখন সে তার পিতা ও তার কওমকে বলল, ‘এ মূর্তিগুলো কী, যেগুলোর পূজায় তোমরা রত রয়েছ’?

53 ৫৩
قَالُوۡا وَجَدۡنَاۤ اٰبَآءَنَا لَهَا عٰبِدِیۡنَ
قَالُوۡا وَجَدۡنَاۤ اٰبَآءَنَا لَهَا عٰبِدِیۡنَ
৫৩. অনুবাদ: তারা বলল, ‘আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদেরকে এদের পূজা করতে দেখেছি’।

54 ৫৪
قَالَ لَقَدۡ کُنۡتُمۡ اَنۡتُمۡ وَ اٰبَآؤُکُمۡ فِیۡ ضَلٰلٍ مُّبِیۡنٍ
قَالَ لَقَدۡ کُنۡتُمۡ اَنۡتُمۡ وَ اٰبَآؤُکُمۡ فِیۡ ضَلٰلٍ مُّبِیۡنٍ
৫৪. অনুবাদ: সে বলল, ‘তোমরা নিজেরা এবং তোমাদের পূর্বপুরুষরা সবাই রয়েছ স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে’।

55 ৫৫
قَالُوۡۤا اَجِئۡتَنَا بِالۡحَقِّ اَمۡ اَنۡتَ مِنَ اللّٰعِبِیۡنَ
قَالُوۡۤا اَجِئۡتَنَا بِالۡحَقِّ اَمۡ اَنۡتَ مِنَ اللّٰعِبِیۡنَ
৫৫. অনুবাদ: তারা বলল, ‘তুমি কি আমাদের নিকট সত্য নিয়ে এসেছ, নাকি তুমি খেল-তামাশা করছ’?

56 ৫৬
قَالَ بَلۡ رَّبُّکُمۡ رَبُّ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ الَّذِیۡ فَطَرَهُنَّ ۫ۖ وَ اَنَا عَلٰی ذٰلِکُمۡ مِّنَ الشّٰهِدِیۡنَ
قَالَ بَلۡ رَّبُّکُمۡ رَبُّ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ الَّذِیۡ فَطَرَهُنَّ ۫ۖ وَ اَنَا عَلٰی ذٰلِکُمۡ مِّنَ الشّٰهِدِیۡنَ
৫৬. অনুবাদ: সে বলল, ‘না, বরং তোমাদের রব তো আসমানসমূহ ও যমীনের রব; যিনি এ সবকিছু সৃষ্টি করেছেন। আর এ বিষয়ে আমি অন্যতম সাক্ষী’।

57 ৫৭
وَ تَاللّٰهِ لَاَکِیۡدَنَّ اَصۡنَامَکُمۡ بَعۡدَ اَنۡ تُوَلُّوۡا مُدۡبِرِیۡنَ
وَ تَاللّٰهِ لَاَکِیۡدَنَّ اَصۡنَامَکُمۡ بَعۡدَ اَنۡ تُوَلُّوۡا مُدۡبِرِیۡنَ
৫৭. অনুবাদ: ‘আর আল্লাহর কসম, তোমরা চলে যাওয়ার পর আমি তোমাদের মূর্তিগুলোর ব্যাপারে অবশ্যই কৌশল অবলম্বন করব’।

58 ৫৮
فَجَعَلَهُمۡ جُذٰذًا اِلَّا کَبِیۡرًا لَّهُمۡ لَعَلَّهُمۡ اِلَیۡهِ یَرۡجِعُوۡنَ
فَجَعَلَهُمۡ جُذٰذًا اِلَّا کَبِیۡرًا لَّهُمۡ لَعَلَّهُمۡ اِلَیۡهِ یَرۡجِعُوۡنَ
৫৮. অনুবাদ: অতঃপর সে মূর্তিগুলোকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দিল তাদের বড়টি ছাড়া, যাতে তারা তাঁর দিকে ফিরে আসে।

59 ৫৯
قَالُوۡا مَنۡ فَعَلَ هٰذَا بِاٰلِهَتِنَاۤ اِنَّهٗ لَمِنَ الظّٰلِمِیۡنَ
قَالُوۡا مَنۡ فَعَلَ هٰذَا بِاٰلِهَتِنَاۤ اِنَّهٗ لَمِنَ الظّٰلِمِیۡنَ
৫৯. অনুবাদ: তারা বলল, ‘আমাদের দেবদেবীগুলোর সাথে কে এমনটি করল? নিশ্চয় সে যালিম’।

60 ৬০
قَالُوۡا سَمِعۡنَا فَتًی یَّذۡکُرُهُمۡ یُقَالُ لَهٗۤ اِبۡرٰهِیۡمُ
قَالُوۡا سَمِعۡنَا فَتًی یَّذۡکُرُهُمۡ یُقَالُ لَهٗۤ اِبۡرٰهِیۡمُ
৬০. অনুবাদ: তাদের কেউ কেউ বলল, ‘আমরা শুনেছি এক যুবক এই মূর্তিগুলোর সমালোচনা করে। তাকে বলা হয় ইবরাহীম’।

61 ৬১
قَالُوۡا فَاۡتُوۡا بِهٖ عَلٰۤی اَعۡیُنِ النَّاسِ لَعَلَّهُمۡ یَشۡهَدُوۡنَ
قَالُوۡا فَاۡتُوۡا بِهٖ عَلٰۤی اَعۡیُنِ النَّاسِ لَعَلَّهُمۡ یَشۡهَدُوۡنَ
৬১. অনুবাদ: তারা বলল, ‘তাহলে তাকে লোকজনের সামনে নিয়ে এসো, যাতে তারা দেখতে পারে’।

62 ৬২
قَالُوۡۤا ءَاَنۡتَ فَعَلۡتَ هٰذَا بِاٰلِهَتِنَا یٰۤـاِبۡرٰهِیۡمُ
قَالُوۡۤا ءَاَنۡتَ فَعَلۡتَ هٰذَا بِاٰلِهَتِنَا یٰۤـاِبۡرٰهِیۡمُ
৬২. অনুবাদ: তারা বলল, ‘হে ইবরাহীম, তুমিই কি আমাদের দেবদেবীগুলোর সাথে এরূপ করেছ’?

63 ৬৩
قَالَ بَلۡ فَعَلَهٗ ٭ۖ کَبِیۡرُهُمۡ هٰذَا فَسۡـَٔلُوۡهُمۡ اِنۡ کَانُوۡا یَنۡطِقُوۡنَ
قَالَ بَلۡ فَعَلَهٗ ٭ۖ کَبِیۡرُهُمۡ هٰذَا فَسۡـَٔلُوۡهُمۡ اِنۡ کَانُوۡا یَنۡطِقُوۡنَ
৬৩. অনুবাদ: সে বলল, ‘বরং তাদের এ বড়টিই একাজ করেছে। তাই এদেরকেই জিজ্ঞাসা কর, যদি এরা কথা বলতে পারে’।

64 ৬৪
فَرَجَعُوۡۤا اِلٰۤی اَنۡفُسِهِمۡ فَقَالُوۡۤا اِنَّکُمۡ اَنۡتُمُ الظّٰلِمُوۡنَ
فَرَجَعُوۡۤا اِلٰۤی اَنۡفُسِهِمۡ فَقَالُوۡۤا اِنَّکُمۡ اَنۡتُمُ الظّٰلِمُوۡنَ
৬৪. অনুবাদ: তখন তারা নিজদের দিকে ফিরে গেল* এবং একে অন্যকে বলতে লাগল, ‘তোমরাই তো যালিম’।

65 ৬৫
ثُمَّ نُکِسُوۡا عَلٰی رُءُوۡسِهِمۡ ۚ لَقَدۡ عَلِمۡتَ مَا هٰۤؤُلَآءِ یَنۡطِقُوۡنَ
ثُمَّ نُکِسُوۡا عَلٰی رُءُوۡسِهِمۡ ۚ لَقَدۡ عَلِمۡتَ مَا هٰۤؤُلَآءِ یَنۡطِقُوۡنَ
৬৫. অনুবাদ: অতঃপর তাদের মাথা অবনত হয়ে গেল এবং বলল, ‘তুমি তো জানই যে, এরা কথা বলতে পারে না’।

66 ৬৬
قَالَ اَفَتَعۡبُدُوۡنَ مِنۡ دُوۡنِ اللّٰهِ مَا لَا یَنۡفَعُکُمۡ شَیۡئًا وَّ لَا یَضُرُّکُمۡ
قَالَ اَفَتَعۡبُدُوۡنَ مِنۡ دُوۡنِ اللّٰهِ مَا لَا یَنۡفَعُکُمۡ شَیۡئًا وَّ لَا یَضُرُّکُمۡ
৬৬. অনুবাদ: সে (ইবরাহীম) বলল, ‘তাহলে কি তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে এমন কিছুর ইবাদাত কর, যা তোমাদের কোন উপকার করতে পারে না এবং কোন ক্ষতিও করতে পারে না’?

67 ৬৭
اُفٍّ لَّکُمۡ وَ لِمَا تَعۡبُدُوۡنَ مِنۡ دُوۡنِ اللّٰهِ ؕ اَفَلَا تَعۡقِلُوۡنَ
اُفٍّ لَّکُمۡ وَ لِمَا تَعۡبُدُوۡنَ مِنۡ دُوۡنِ اللّٰهِ ؕ اَفَلَا تَعۡقِلُوۡنَ
৬৭. অনুবাদ: ‘ধিক তোমাদেরকে এবং আল্লাহর পরিবর্তে তোমরা যাদের ইবাদাত কর তাদেরকে! ‘তবুও কি তোমরা বুঝবে না’?

68 ৬৮
قَالُوۡا حَرِّقُوۡهُ وَ انۡصُرُوۡۤا اٰلِهَتَکُمۡ اِنۡ کُنۡتُمۡ فٰعِلِیۡنَ
قَالُوۡا حَرِّقُوۡهُ وَ انۡصُرُوۡۤا اٰلِهَتَکُمۡ اِنۡ کُنۡتُمۡ فٰعِلِیۡنَ
৬৮. অনুবাদ: তারা বলল, ‘তাকে আগুনে পুড়িয়ে দাও এবং তোমাদের দেবদেবীদেরকে সাহায্য কর, যদি তোমরা কিছু করতে চাও’।

69 ৬৯
قُلۡنَا یٰنَارُ کُوۡنِیۡ بَرۡدًا وَّ سَلٰمًا عَلٰۤی اِبۡرٰهِیۡمَ
قُلۡنَا یٰنَارُ کُوۡنِیۡ بَرۡدًا وَّ سَلٰمًا عَلٰۤی اِبۡرٰهِیۡمَ
৬৯. অনুবাদ: আমি বললাম, ‘হে আগুন, তুমি শীতল ও নিরাপদ হয়ে যাও ইবরাহীমের জন্য’ ।

70 ৭০
وَ اَرَادُوۡا بِهٖ کَیۡدًا فَجَعَلۡنٰهُمُ الۡاَخۡسَرِیۡنَ
وَ اَرَادُوۡا بِهٖ کَیۡدًا فَجَعَلۡنٰهُمُ الۡاَخۡسَرِیۡنَ
৭০. অনুবাদ: আর তারা তার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করেছিল, কিন্তু আমি তাদেরকে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত করে দিলাম।

71 ৭১
وَ نَجَّیۡنٰهُ وَ لُوۡطًا اِلَی الۡاَرۡضِ الَّتِیۡ بٰرَکۡنَا فِیۡهَا لِلۡعٰلَمِیۡنَ
وَ نَجَّیۡنٰهُ وَ لُوۡطًا اِلَی الۡاَرۡضِ الَّتِیۡ بٰرَکۡنَا فِیۡهَا لِلۡعٰلَمِیۡنَ
৭১. অনুবাদ: আর আমি তাকে ও লূতকে উদ্ধার করে সে দেশে নিয়ে গেলাম, যেখানে আমি বিশ্ববাসীর জন্য বরকত রেখেছি।

72 ৭২
وَ وَهَبۡنَا لَهٗۤ اِسۡحٰقَ ؕ وَ یَعۡقُوۡبَ نَافِلَۃً ؕ وَ کُلًّا جَعَلۡنَا صٰلِحِیۡنَ
وَ وَهَبۡنَا لَهٗۤ اِسۡحٰقَ ؕ وَ یَعۡقُوۡبَ نَافِلَۃً ؕ وَ کُلًّا جَعَلۡنَا صٰلِحِیۡنَ
৭২. অনুবাদ: আর আমি তাকে দান করেছিলাম ইসহাক ও ইয়াকূবকে অতিরিক্ত হিসেবে; আর তাদের প্রত্যেককেই আমি সৎকর্মশীল করেছিলাম।

73 ৭৩
وَ جَعَلۡنٰهُمۡ اَئِمَّۃً یَّهۡدُوۡنَ بِاَمۡرِنَا وَ اَوۡحَیۡنَاۤ اِلَیۡهِمۡ فِعۡلَ الۡخَیۡرٰتِ وَ اِقَامَ الصَّلٰوۃِ وَ اِیۡتَآءَ الزَّکٰوۃِ ۚ وَ کَانُوۡا لَنَا عٰبِدِیۡنَ
وَ جَعَلۡنٰهُمۡ اَئِمَّۃً یَّهۡدُوۡنَ بِاَمۡرِنَا وَ اَوۡحَیۡنَاۤ اِلَیۡهِمۡ فِعۡلَ الۡخَیۡرٰتِ وَ اِقَامَ الصَّلٰوۃِ وَ اِیۡتَآءَ الزَّکٰوۃِ ۚ وَ کَانُوۡا لَنَا عٰبِدِیۡنَ
৭৩. অনুবাদ: আর তাদেরকে আমি নেতা বানিয়েছিলাম, তারা আমার নির্দেশ অনুসারে মানুষকে সঠিক পথ দেখাত। আমি তাদের প্রতি সৎকাজ করার, সালাত কায়েম করার এবং যাকাত প্রদান করার জন্য ওহী প্রেরণ করেছিলাম। আর তারা আমারই ইবাদাত করত।

74 ৭৪
وَ لُوۡطًا اٰتَیۡنٰهُ حُکۡمًا وَّ عِلۡمًا وَّ نَجَّیۡنٰهُ مِنَ الۡقَرۡیَۃِ الَّتِیۡ کَانَتۡ تَّعۡمَلُ الۡخَبٰٓئِثَ ؕ اِنَّهُمۡ کَانُوۡا قَوۡمَ سَوۡءٍ فٰسِقِیۡنَ
وَ لُوۡطًا اٰتَیۡنٰهُ حُکۡمًا وَّ عِلۡمًا وَّ نَجَّیۡنٰهُ مِنَ الۡقَرۡیَۃِ الَّتِیۡ کَانَتۡ تَّعۡمَلُ الۡخَبٰٓئِثَ ؕ اِنَّهُمۡ کَانُوۡا قَوۡمَ سَوۡءٍ فٰسِقِیۡنَ
৭৪. অনুবাদ: আর লূতকে আমি প্রজ্ঞা ও জ্ঞান দান করেছিলাম। আমি তাকে এমন এক জনপদ থেকে উদ্ধার করেছিলাম, যার অধিবাসীরা অশ্লীল কাজে লিপ্ত ছিল। তারা ছিল এক মন্দ ও পাপাচারী কওম।

75 ৭৫
وَ اَدۡخَلۡنٰهُ فِیۡ رَحۡمَتِنَا ؕ اِنَّهٗ مِنَ الصّٰلِحِیۡنَ
وَ اَدۡخَلۡنٰهُ فِیۡ رَحۡمَتِنَا ؕ اِنَّهٗ مِنَ الصّٰلِحِیۡنَ
৭৫. অনুবাদ: আর আমি তাকে আমার রহমতের মধ্যে শামিল করে নিয়েছিলাম। সে ছিল সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত।

76 ৭৬
وَ نُوۡحًا اِذۡ نَادٰی مِنۡ قَبۡلُ فَاسۡتَجَبۡنَا لَهٗ فَنَجَّیۡنٰهُ وَ اَهۡلَهٗ مِنَ الۡکَرۡبِ الۡعَظِیۡمِ
وَ نُوۡحًا اِذۡ نَادٰی مِنۡ قَبۡلُ فَاسۡتَجَبۡنَا لَهٗ فَنَجَّیۡنٰهُ وَ اَهۡلَهٗ مِنَ الۡکَرۡبِ الۡعَظِیۡمِ
৭৬. অনুবাদ: আর স্মরণ কর নূহের কথা, ইতঃপূর্বে যখন সে আমাকে ডেকেছিল, তখন আমি তার ডাকে সাড়া দিয়েছিলাম। অতঃপর তাকে ও তার পরিবারবর্গকে আমি মহাবিপদ থেকে উদ্ধার করেছিলাম।

77 ৭৭
وَ نَصَرۡنٰهُ مِنَ الۡقَوۡمِ الَّذِیۡنَ کَذَّبُوۡا بِاٰیٰتِنَا ؕ اِنَّهُمۡ کَانُوۡا قَوۡمَ سَوۡءٍ فَاَغۡرَقۡنٰهُمۡ اَجۡمَعِیۡنَ
وَ نَصَرۡنٰهُ مِنَ الۡقَوۡمِ الَّذِیۡنَ کَذَّبُوۡا بِاٰیٰتِنَا ؕ اِنَّهُمۡ کَانُوۡا قَوۡمَ سَوۡءٍ فَاَغۡرَقۡنٰهُمۡ اَجۡمَعِیۡنَ
৭৭. অনুবাদ: আর আমি তাকে সেই সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সাহায্য করেছিলাম, যারা আমার আয়াতসমূহকে অস্বীকার করেছিল। তারা ছিল এক মন্দ কওম। তাই আমি তাদের সকলকেই পানিতে ডুবিয়ে মেরেছিলাম।

78 ৭৮
وَ دَاوٗدَ وَ سُلَیۡمٰنَ اِذۡ یَحۡکُمٰنِ فِی الۡحَرۡثِ اِذۡ نَفَشَتۡ فِیۡهِ غَنَمُ الۡقَوۡمِ ۚ وَ کُنَّا لِحُکۡمِهِمۡ شٰهِدِیۡنَ
وَ دَاوٗدَ وَ سُلَیۡمٰنَ اِذۡ یَحۡکُمٰنِ فِی الۡحَرۡثِ اِذۡ نَفَشَتۡ فِیۡهِ غَنَمُ الۡقَوۡمِ ۚ وَ کُنَّا لِحُکۡمِهِمۡ شٰهِدِیۡنَ
৭৮. অনুবাদ: আর স্মরণ কর দাঊদ ও সুলায়মানের কথা, যখন তারা শস্যক্ষেত সম্পর্কে বিচার করছিল। যাতে রাতের বেলায় কোন কওমের মেষ ঢুকে পড়েছিল। আর আমি তাদের বিচার কাজ দেখছিলাম।

79 ৭৯
فَفَهَّمۡنٰهَا سُلَیۡمٰنَ ۚ وَ کُلًّا اٰتَیۡنَا حُکۡمًا وَّ عِلۡمًا ۫ وَّ سَخَّرۡنَا مَعَ دَاوٗدَ الۡجِبَالَ یُسَبِّحۡنَ وَ الطَّیۡرَ ؕ وَ کُنَّا فٰعِلِیۡنَ
فَفَهَّمۡنٰهَا سُلَیۡمٰنَ ۚ وَ کُلًّا اٰتَیۡنَا حُکۡمًا وَّ عِلۡمًا ۫ وَّ سَخَّرۡنَا مَعَ دَاوٗدَ الۡجِبَالَ یُسَبِّحۡنَ وَ الطَّیۡرَ ؕ وَ کُنَّا فٰعِلِیۡنَ
৭৯. অনুবাদ: অতঃপর আমি এ বিষয়ের ফয়সালা সুলায়মানকে বুঝিয়ে দিয়েছিলাম। আর আমি তাদের প্রত্যেককেই দিয়েছিলাম প্রজ্ঞা ও জ্ঞান। আর আমি পর্বতমালা ও পাখীদেরকে দাঊদের অধীন করে দিয়েছিলাম, তারা দাঊদের সাথে আমার তাসবীহ পাঠ করত। আর এসবকিছু আমিই করছিলাম।

80 ৮০
وَ عَلَّمۡنٰهُ صَنۡعَۃَ لَبُوۡسٍ لَّکُمۡ لِتُحۡصِنَکُمۡ مِّنۡۢ بَاۡسِکُمۡ ۚ فَهَلۡ اَنۡتُمۡ شٰکِرُوۡنَ
وَ عَلَّمۡنٰهُ صَنۡعَۃَ لَبُوۡسٍ لَّکُمۡ لِتُحۡصِنَکُمۡ مِّنۡۢ بَاۡسِکُمۡ ۚ فَهَلۡ اَنۡتُمۡ شٰکِرُوۡنَ
৮০. অনুবাদ: আর আমিই তাকে তোমাদের জন্য বর্ম বানানো শিক্ষা দিয়েছিলাম। যাতে তা যুদ্ধে তোমাদেরকে রক্ষা করতে পারে। সুতরাং তোমরা কি কৃতজ্ঞ হবে?

81 ৮১
وَ لِسُلَیۡمٰنَ الرِّیۡحَ عَاصِفَۃً تَجۡرِیۡ بِاَمۡرِهٖۤ اِلَی الۡاَرۡضِ الَّتِیۡ بٰرَکۡنَا فِیۡهَا ؕ وَ کُنَّا بِکُلِّ شَیۡءٍ عٰلِمِیۡنَ
وَ لِسُلَیۡمٰنَ الرِّیۡحَ عَاصِفَۃً تَجۡرِیۡ بِاَمۡرِهٖۤ اِلَی الۡاَرۡضِ الَّتِیۡ بٰرَکۡنَا فِیۡهَا ؕ وَ کُنَّا بِکُلِّ شَیۡءٍ عٰلِمِیۡنَ
৮১. অনুবাদ: আর আমি সুলায়মানের জন্য অনুগত করে দিয়েছিলাম প্রবল হাওয়াকে, যা তার নির্দেশে প্রবাহিত হত সেই দেশের দিকে, যেখানে আমি বরকত রেখেছি। আর আমি প্রত্যেক বিষয় সম্পর্কেই অবগত ছিলাম।

82 ৮২
وَ مِنَ الشَّیٰطِیۡنِ مَنۡ یَّغُوۡصُوۡنَ لَهٗ وَ یَعۡمَلُوۡنَ عَمَلًا دُوۡنَ ذٰلِکَ ۚ وَ کُنَّا لَهُمۡ حٰفِظِیۡنَ
وَ مِنَ الشَّیٰطِیۡنِ مَنۡ یَّغُوۡصُوۡنَ لَهٗ وَ یَعۡمَلُوۡنَ عَمَلًا دُوۡنَ ذٰلِکَ ۚ وَ کُنَّا لَهُمۡ حٰفِظِیۡنَ
৮২. অনুবাদ: আর শয়তানদের মধ্যে কতক তার জন্য ডুবুরীর কাজ করত, এছাড়া অন্যান্য কাজও করত। আর আমিই তাদের জন্য হিফাযতকারী ছিলাম।

83 ৮৩
وَ اَیُّوۡبَ اِذۡ نَادٰی رَبَّهٗۤ اَنِّیۡ مَسَّنِیَ الضُّرُّ وَ اَنۡتَ اَرۡحَمُ الرّٰحِمِیۡنَ
وَ اَیُّوۡبَ اِذۡ نَادٰی رَبَّهٗۤ اَنِّیۡ مَسَّنِیَ الضُّرُّ وَ اَنۡتَ اَرۡحَمُ الرّٰحِمِیۡنَ
৮৩. অনুবাদ: আর স্মরণ কর আইউবের কথা, যখন সে তার রবকে আহবান করে বলেছিল, ‘আমি দুঃখ-কষ্টে পতিত হয়েছি। আর আপনি তো সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু’।

84 ৮৪
فَاسۡتَجَبۡنَا لَهٗ فَکَشَفۡنَا مَا بِهٖ مِنۡ ضُرٍّ وَّ اٰتَیۡنٰهُ اَهۡلَهٗ وَ مِثۡلَهُمۡ مَّعَهُمۡ رَحۡمَۃً مِّنۡ عِنۡدِنَا وَ ذِکۡرٰی لِلۡعٰبِدِیۡنَ
فَاسۡتَجَبۡنَا لَهٗ فَکَشَفۡنَا مَا بِهٖ مِنۡ ضُرٍّ وَّ اٰتَیۡنٰهُ اَهۡلَهٗ وَ مِثۡلَهُمۡ مَّعَهُمۡ رَحۡمَۃً مِّنۡ عِنۡدِنَا وَ ذِکۡرٰی لِلۡعٰبِدِیۡنَ
৮৪. অনুবাদ: তখন আমি তার ডাকে সাড়া দিলাম। আর তার যত দুঃখ-কষ্ট ছিল তা দূর করে দিলাম এবং তার পরিবার-পরিজন তাকে দিয়ে দিলাম। আর তাদের সাথে তাদের মত আরো দিলাম আমার পক্ষ থেকে রহমত এবং ইবাদাতকারীদের জন্য উপদেশস্বরূপ।

85 ৮৫
وَ اِسۡمٰعِیۡلَ وَ اِدۡرِیۡسَ وَ ذَاالۡکِفۡلِ ؕ کُلٌّ مِّنَ الصّٰبِرِیۡنَ
وَ اِسۡمٰعِیۡلَ وَ اِدۡرِیۡسَ وَ ذَاالۡکِفۡلِ ؕ کُلٌّ مِّنَ الصّٰبِرِیۡنَ
৮৫. অনুবাদ: আর স্মরণ কর ইসমাঈল, ইদরীস ও যুল্ কিফল এর কথা, তাদের প্রত্যেকেই ধৈর্যশীল ছিল।

86 ৮৬
وَ اَدۡخَلۡنٰهُمۡ فِیۡ رَحۡمَتِنَا ؕ اِنَّهُمۡ مِّنَ الصّٰلِحِیۡنَ
وَ اَدۡخَلۡنٰهُمۡ فِیۡ رَحۡمَتِنَا ؕ اِنَّهُمۡ مِّنَ الصّٰلِحِیۡنَ
৮৬. অনুবাদ: আর তাদেরকে আমি আমার রহমতে শামিল করেছিলাম। তারা ছিল সৎকর্মপরায়ণ।

87 ৮৭
وَ ذَاالنُّوۡنِ اِذۡ ذَّهَبَ مُغَاضِبًا فَظَنَّ اَنۡ لَّنۡ نَّقۡدِرَ عَلَیۡهِ فَنَادٰی فِی الظُّلُمٰتِ اَنۡ لَّاۤ اِلٰهَ اِلَّاۤ اَنۡتَ سُبۡحٰنَکَ ٭ۖ اِنِّیۡ کُنۡتُ مِنَ الظّٰلِمِیۡنَ
وَ ذَاالنُّوۡنِ اِذۡ ذَّهَبَ مُغَاضِبًا فَظَنَّ اَنۡ لَّنۡ نَّقۡدِرَ عَلَیۡهِ فَنَادٰی فِی الظُّلُمٰتِ اَنۡ لَّاۤ اِلٰهَ اِلَّاۤ اَنۡتَ سُبۡحٰنَکَ ٭ۖ اِنِّیۡ کُنۡتُ مِنَ الظّٰلِمِیۡنَ
৮৭. অনুবাদ: আর স্মরণ কর যুন-নূন এর কথা, যখন সে রাগান্বিত অবস্থায় চলে গিয়েছিল এবং মনে করেছিল যে, আমি তার উপর ক্ষমতা প্রয়োগ করব না। তারপর সে অন্ধকার থেকে ডেকে বলেছিল, ‘আপনি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই’। আপনি পবিত্র মহান। নিশ্চয় আমি ছিলাম যালিম’ ।

88 ৮৮
فَاسۡتَجَبۡنَا لَهٗ ۙ وَ نَجَّیۡنٰهُ مِنَ الۡغَمِّ ؕ وَ کَذٰلِکَ نُــۨۡجِی الۡمُؤۡمِنِیۡنَ
فَاسۡتَجَبۡنَا لَهٗ ۙ وَ نَجَّیۡنٰهُ مِنَ الۡغَمِّ ؕ وَ کَذٰلِکَ نُــۨۡجِی الۡمُؤۡمِنِیۡنَ
৮৮. অনুবাদ: অতঃপর আমি তার ডাকে সাড়া দিয়েছিলাম এবং দুশ্চিন্তা থেকে তাকে উদ্ধার করেছিলাম। আর এভাবেই আমি মুমিনদেরকে উদ্ধার করে থাকি।

89 ৮৯
وَ زَکَرِیَّاۤ اِذۡ نَادٰی رَبَّهٗ رَبِّ لَا تَذَرۡنِیۡ فَرۡدًا وَّ اَنۡتَ خَیۡرُ الۡوٰرِثِیۡنَ
وَ زَکَرِیَّاۤ اِذۡ نَادٰی رَبَّهٗ رَبِّ لَا تَذَرۡنِیۡ فَرۡدًا وَّ اَنۡتَ خَیۡرُ الۡوٰرِثِیۡنَ
৮৯. অনুবাদ: আর স্মরণ কর যাকারিয়্যার কথা, যখন সে তার রবকে আহবান করে বলেছিল, ‘হে আমার রব! আমাকে একা রেখো না, তুমি তো শ্রেষ্ঠ মালিকানার অধিকারী’।

90 ৯০
فَاسۡتَجَبۡنَا لَهٗ ۫ وَ وَهَبۡنَا لَهٗ یَحۡیٰی وَ اَصۡلَحۡنَا لَهٗ زَوۡجَهٗ ؕاِنَّهُمۡ کَانُوۡا یُسٰرِعُوۡنَ فِی الۡخَیۡرٰتِ وَ یَدۡعُوۡنَنَا رَغَبًا وَّ رَهَبًا ؕوَ کَانُوۡا لَنَا خٰشِعِیۡنَ
فَاسۡتَجَبۡنَا لَهٗ ۫ وَ وَهَبۡنَا لَهٗ یَحۡیٰی وَ اَصۡلَحۡنَا لَهٗ زَوۡجَهٗ ؕاِنَّهُمۡ کَانُوۡا یُسٰرِعُوۡنَ فِی الۡخَیۡرٰتِ وَ یَدۡعُوۡنَنَا رَغَبًا وَّ رَهَبًا ؕوَ کَانُوۡا لَنَا خٰشِعِیۡنَ
৯০. অনুবাদ: অতঃপর আমি তার আহবানে সাড়া দিয়েছিলাম এবং তাকে দান করেছিলাম ইয়াহইয়া। আর তার জন্য তার স্ত্রীকে উপযোগী করেছিলাম। তারা সৎকাজে প্রতিযোগিতা করত। আর আমাকে আশা ও ভীতি সহকারে ডাকত। আর তারা ছিল আমার নিকট বিনয়ী।

91 ৯১
وَ الَّتِیۡۤ اَحۡصَنَتۡ فَرۡجَهَا فَنَفَخۡنَا فِیۡهَا مِنۡ رُّوۡحِنَا وَ جَعَلۡنٰهَا وَ ابۡنَهَاۤ اٰیَۃً لِّلۡعٰلَمِیۡنَ
وَ الَّتِیۡۤ اَحۡصَنَتۡ فَرۡجَهَا فَنَفَخۡنَا فِیۡهَا مِنۡ رُّوۡحِنَا وَ جَعَلۡنٰهَا وَ ابۡنَهَاۤ اٰیَۃً لِّلۡعٰلَمِیۡنَ
৯১. অনুবাদ: আর স্মরণ কর সে নারীর কথা, যে নিজ সতীত্ব রক্ষা করেছিল। অতঃপর আমি তার মধ্যে আমার ‘রূহ’ ফুঁকে দিয়েছিলাম এবং তাকে ও তার পুত্রকে বিশ্ববাসীর জন্য করেছিলাম এক নিদর্শন ।

92 ৯২
اِنَّ هٰذِهٖۤ اُمَّتُکُمۡ اُمَّۃً وَّاحِدَۃً ۫ۖ وَّ اَنَا رَبُّکُمۡ فَاعۡبُدُوۡنِ
اِنَّ هٰذِهٖۤ اُمَّتُکُمۡ اُمَّۃً وَّاحِدَۃً ۫ۖ وَّ اَنَا رَبُّکُمۡ فَاعۡبُدُوۡنِ
৯২. অনুবাদ: নিশ্চয় তোমাদের এ জাতি তো একই জাতি। আর আমিই তোমাদের রব। অতএব তোমরা আমার ইবাদাত কর।

93 ৯৩
وَ تَقَطَّعُوۡۤا اَمۡرَهُمۡ بَیۡنَهُمۡ ؕ کُلٌّ اِلَیۡنَا رٰجِعُوۡنَ
وَ تَقَطَّعُوۡۤا اَمۡرَهُمۡ بَیۡنَهُمۡ ؕ کُلٌّ اِلَیۡنَا رٰجِعُوۡنَ
৯৩. অনুবাদ: কিন্তু তারা নিজদের কার্যকলাপে পরস্পরের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করেছে। সকলেই আমার নিকট প্রত্যাবর্তন করবে।

94 ৯৪
فَمَنۡ یَّعۡمَلۡ مِنَ الصّٰلِحٰتِ وَ هُوَ مُؤۡمِنٌ فَلَا کُفۡرَانَ لِسَعۡیِهٖ ۚ وَ اِنَّا لَهٗ کٰتِبُوۡنَ
فَمَنۡ یَّعۡمَلۡ مِنَ الصّٰلِحٰتِ وَ هُوَ مُؤۡمِنٌ فَلَا کُفۡرَانَ لِسَعۡیِهٖ ۚ وَ اِنَّا لَهٗ کٰتِبُوۡنَ
৯৪. অনুবাদ: সুতরাং যে মুমিন অবস্থায় সৎকাজ করে তার প্রচেষ্টাকে অস্বীকার করা হবে না। আর আমি তো তা লিখে রাখি।

95 ৯৫
وَ حَرٰمٌ عَلٰی قَرۡیَۃٍ اَهۡلَکۡنٰهَاۤ اَنَّهُمۡ لَا یَرۡجِعُوۡنَ
وَ حَرٰمٌ عَلٰی قَرۡیَۃٍ اَهۡلَکۡنٰهَاۤ اَنَّهُمۡ لَا یَرۡجِعُوۡنَ
৯৫. অনুবাদ: আর আমি যে জনপদকে ধ্বংস করেছি তার সম্পর্কে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে যে, তার অধিবাসীবৃন্দ আর ফিরে আসবে না।

96 ৯৬
حَتّٰۤی اِذَا فُتِحَتۡ یَاۡجُوۡجُ وَ مَاۡجُوۡجُ وَ هُمۡ مِّنۡ کُلِّ حَدَبٍ یَّنۡسِلُوۡنَ
حَتّٰۤی اِذَا فُتِحَتۡ یَاۡجُوۡجُ وَ مَاۡجُوۡجُ وَ هُمۡ مِّنۡ کُلِّ حَدَبٍ یَّنۡسِلُوۡنَ
৯৬. অনুবাদ: অবশেষে যখন ইয়া’জূজ ও মা’জূজকে মুক্তি দেয়া হবে, আর তারা প্রতিটি উঁচু ভূমি হতে ছুটে আসবে।

97 ৯৭
وَ اقۡتَرَبَ الۡوَعۡدُ الۡحَقُّ فَاِذَا هِیَ شَاخِصَۃٌ اَبۡصَارُ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا ؕ یٰوَیۡلَنَا قَدۡ کُنَّا فِیۡ غَفۡلَۃٍ مِّنۡ هٰذَا بَلۡ کُنَّا ظٰلِمِیۡنَ
وَ اقۡتَرَبَ الۡوَعۡدُ الۡحَقُّ فَاِذَا هِیَ شَاخِصَۃٌ اَبۡصَارُ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا ؕ یٰوَیۡلَنَا قَدۡ کُنَّا فِیۡ غَفۡلَۃٍ مِّنۡ هٰذَا بَلۡ کُنَّا ظٰلِمِیۡنَ
৯৭. অনুবাদ: আর সত্য ওয়াদার সময় নিকটে আসলে হঠাৎ কাফিরদের চক্ষু স্থির হয়ে যাবে। তারা বলবে, ‘হায়, আমাদের দুর্ভোগ! আমরা তো এ বিষয়ে উদাসীন ছিলাম বরং আমরা ছিলাম যালিম’ ।

98 ৯৮
اِنَّکُمۡ وَ مَا تَعۡبُدُوۡنَ مِنۡ دُوۡنِ اللّٰهِ حَصَبُ جَهَنَّمَ ؕ اَنۡتُمۡ لَهَا وٰرِدُوۡنَ
اِنَّکُمۡ وَ مَا تَعۡبُدُوۡنَ مِنۡ دُوۡنِ اللّٰهِ حَصَبُ جَهَنَّمَ ؕ اَنۡتُمۡ لَهَا وٰرِدُوۡنَ
৯৮. অনুবাদ: নিশ্চয় তোমরা এবং আল্লাহ ছাড়া তোমরা যাদের পূজা কর, সেগুলো তো জাহান্নামের জ্বালানী। তোমরা সেখানে প্রবেশ করবে।

99 ৯৯
لَوۡ کَانَ هٰۤؤُلَآءِ اٰلِهَۃً مَّا وَرَدُوۡهَا ؕ وَ کُلٌّ فِیۡهَا خٰلِدُوۡنَ
لَوۡ کَانَ هٰۤؤُلَآءِ اٰلِهَۃً مَّا وَرَدُوۡهَا ؕ وَ کُلٌّ فِیۡهَا خٰلِدُوۡنَ
৯৯. অনুবাদ: যদি তারা ইলাহ হত তবে তারা জাহান্নামে প্রবেশ করত না। আর তারা সবাই তাতে স্থায়ী হয়ে থাকবে।

100 ১০০
لَهُمۡ فِیۡهَا زَفِیۡرٌ وَّ هُمۡ فِیۡهَا لَا یَسۡمَعُوۡنَ
لَهُمۡ فِیۡهَا زَفِیۡرٌ وَّ هُمۡ فِیۡهَا لَا یَسۡمَعُوۡنَ
১০০. অনুবাদ: সেখানে থাকবে তাদের আর্তনাদ, আর সেখানে তারা শুনতে পাবে না।

101 ১০১
اِنَّ الَّذِیۡنَ سَبَقَتۡ لَهُمۡ مِّنَّا الۡحُسۡنٰۤی ۙ اُولٰٓئِکَ عَنۡهَا مُبۡعَدُوۡنَ
اِنَّ الَّذِیۡنَ سَبَقَتۡ لَهُمۡ مِّنَّا الۡحُسۡنٰۤی ۙ اُولٰٓئِکَ عَنۡهَا مُبۡعَدُوۡنَ
১০১. অনুবাদ: আমার পক্ষ থেকে যাদের জন্য পূর্বেই কল্যাণ নির্ধারিত রয়েছে তাদেরকে তা থেকে দূরে রাখা হবে।

102 ১০২
لَا یَسۡمَعُوۡنَ حَسِیۡسَهَا ۚ وَ هُمۡ فِیۡ مَا اشۡتَهَتۡ اَنۡفُسُهُمۡ خٰلِدُوۡنَ
لَا یَسۡمَعُوۡنَ حَسِیۡسَهَا ۚ وَ هُمۡ فِیۡ مَا اشۡتَهَتۡ اَنۡفُسُهُمۡ خٰلِدُوۡنَ
১০২. অনুবাদ: তারা জাহান্নামের ক্ষীণতম শব্দও শুনতে পাবে না। সেখানে তারা তাদের মনঃপুত বস্তুর মধ্যে চিরকাল থাকবে।

103 ১০৩
لَا یَحۡزُنُهُمُ الۡفَزَعُ الۡاَکۡبَرُ وَ تَتَلَقّٰهُمُ الۡمَلٰٓئِکَۃُ ؕ هٰذَا یَوۡمُکُمُ الَّذِیۡ کُنۡتُمۡ تُوۡعَدُوۡنَ
لَا یَحۡزُنُهُمُ الۡفَزَعُ الۡاَکۡبَرُ وَ تَتَلَقّٰهُمُ الۡمَلٰٓئِکَۃُ ؕ هٰذَا یَوۡمُکُمُ الَّذِیۡ کُنۡتُمۡ تُوۡعَدُوۡنَ
১০৩. অনুবাদ: মহাভীতি তাদেরকে পেরেশান করবে না। আর ফেরেশতারা তাদেরকে অভ্যর্থনা জানিয়ে বলবে, ‘এটাই তোমাদের সেই দিন, যার ওয়াদা তোমাদেরকে দেয়া হয়েছিল’।

104 ১০৪
یَوۡمَ نَطۡوِی السَّمَآءَ کَطَیِّ السِّجِلِّ لِلۡکُتُبِ ؕ کَمَا بَدَاۡنَاۤ اَوَّلَ خَلۡقٍ نُّعِیۡدُهٗ ؕ وَعۡدًا عَلَیۡنَا ؕ اِنَّا کُنَّا فٰعِلِیۡنَ
یَوۡمَ نَطۡوِی السَّمَآءَ کَطَیِّ السِّجِلِّ لِلۡکُتُبِ ؕ کَمَا بَدَاۡنَاۤ اَوَّلَ خَلۡقٍ نُّعِیۡدُهٗ ؕ وَعۡدًا عَلَیۡنَا ؕ اِنَّا کُنَّا فٰعِلِیۡنَ
১০৪. অনুবাদ: সে দিন আমি আসমানসমূহকে গুটিয়ে নেব, যেভাবে গুটিয়ে রাখা হয় লিখিত দলীল-পত্রাদি। যেভাবে আমি প্রথম সৃষ্টির সূচনা করেছিলাম সেভাবেই পুনরায় সৃষ্টি করব। ওয়াদা পালন করা আমার কর্তব্য। আমি তা পালন করবই।

105 ১০৫
وَ لَقَدۡ کَتَبۡنَا فِی الزَّبُوۡرِ مِنۡۢ بَعۡدِ الذِّکۡرِ اَنَّ الۡاَرۡضَ یَرِثُهَا عِبَادِیَ الصّٰلِحُوۡنَ
وَ لَقَدۡ کَتَبۡنَا فِی الزَّبُوۡرِ مِنۡۢ بَعۡدِ الذِّکۡرِ اَنَّ الۡاَرۡضَ یَرِثُهَا عِبَادِیَ الصّٰلِحُوۡنَ
১০৫. অনুবাদ: আর উপদেশ দেয়ার পর আমি কিতাবে লিখে দিয়েছি যে, ‘আমার যোগ্যতর বান্দাগণই পৃথিবীর উত্তরাধিকারী হবে’।

106 ১০৬
اِنَّ فِیۡ هٰذَا لَبَلٰغًا لِّقَوۡمٍ عٰبِدِیۡنَ
اِنَّ فِیۡ هٰذَا لَبَلٰغًا لِّقَوۡمٍ عٰبِدِیۡنَ
১০৬. অনুবাদ: নিশ্চয় এতে ইবাদাতকারী সম্প্রদায়ের জন্য উপদেশ বাণী রয়েছে।

107 ১০৭
وَ مَاۤ اَرۡسَلۡنٰکَ اِلَّا رَحۡمَۃً لِّلۡعٰلَمِیۡنَ
وَ مَاۤ اَرۡسَلۡنٰکَ اِلَّا رَحۡمَۃً لِّلۡعٰلَمِیۡنَ
১০৭. অনুবাদ: আর আমি তো তোমাকে বিশ্ববাসীর জন্য রহমত হিসেবেই প্রেরণ করেছি।

108 ১০৮
قُلۡ اِنَّمَا یُوۡحٰۤی اِلَیَّ اَنَّمَاۤ اِلٰـهُکُمۡ اِلٰهٌ وَّاحِدٌ ۚ فَهَلۡ اَنۡتُمۡ مُّسۡلِمُوۡنَ
قُلۡ اِنَّمَا یُوۡحٰۤی اِلَیَّ اَنَّمَاۤ اِلٰـهُکُمۡ اِلٰهٌ وَّاحِدٌ ۚ فَهَلۡ اَنۡتُمۡ مُّسۡلِمُوۡنَ
১০৮. অনুবাদ: বল, ‘আমার প্রতি ওহী প্রেরণ করা হয় যে, তোমাদের ইলাহ একক ইলাহ। সুতরাং তোমরা কি আত্মসমর্পণকারী হবে’?

109 ১০৯
فَاِنۡ تَوَلَّوۡا فَقُلۡ اٰذَنۡتُکُمۡ عَلٰی سَوَآءٍ ؕ وَ اِنۡ اَدۡرِیۡۤ اَقَرِیۡبٌ اَمۡ بَعِیۡدٌ مَّا تُوۡعَدُوۡنَ
فَاِنۡ تَوَلَّوۡا فَقُلۡ اٰذَنۡتُکُمۡ عَلٰی سَوَآءٍ ؕ وَ اِنۡ اَدۡرِیۡۤ اَقَرِیۡبٌ اَمۡ بَعِیۡدٌ مَّا تُوۡعَدُوۡنَ
১০৯. অনুবাদ: তবে তারা মুখ ফিরিয়ে নিলে তুমি বলে দিও, ‘আমি যথাযথভাবে তোমাদেরকে জানিয়ে দিয়েছি। আর আমি জানি না তোমাদেরকে যে বিষয়ের ওয়াদা দেয়া হয়েছে তা কি নিকটবর্তী না দূরবর্তী’।

110 ১১০
اِنَّهٗ یَعۡلَمُ الۡجَهۡرَ مِنَ الۡقَوۡلِ وَ یَعۡلَمُ مَا تَکۡتُمُوۡنَ
اِنَّهٗ یَعۡلَمُ الۡجَهۡرَ مِنَ الۡقَوۡلِ وَ یَعۡلَمُ مَا تَکۡتُمُوۡنَ
১১০. অনুবাদ: তিনি প্রকাশ্য কথা সম্পর্কেও জানেন এবং তোমরা যা গোপন কর তাও জানেন।

111 ১১১
وَ اِنۡ اَدۡرِیۡ لَعَلَّهٗ فِتۡنَۃٌ لَّکُمۡ وَ مَتَاعٌ اِلٰی حِیۡنٍ
وَ اِنۡ اَدۡرِیۡ لَعَلَّهٗ فِتۡنَۃٌ لَّکُمۡ وَ مَتَاعٌ اِلٰی حِیۡنٍ
১১১. অনুবাদ: আর আমি জানি না হয়তো তা তোমাদের জন্য এক পরীক্ষা কিছু কালের জন্য উপভোগের সুযোগ।

112 ১১২
قٰلَ رَبِّ احۡکُمۡ بِالۡحَقِّ ؕ وَ رَبُّنَا الرَّحۡمٰنُ الۡمُسۡتَعَانُ عَلٰی مَا تَصِفُوۡنَ
قٰلَ رَبِّ احۡکُمۡ بِالۡحَقِّ ؕ وَ رَبُّنَا الرَّحۡمٰنُ الۡمُسۡتَعَانُ عَلٰی مَا تَصِفُوۡنَ
১১২. অনুবাদ: রাসূল বলেছিল, ‘হে আমার রব, আপনি ন্যায়সঙ্গতভাবে ফয়সালা করে দিন’। আর আমাদের রব তো পরম করুণাময়। তোমরা যা বলছ সে বিষয়ে তিনিই একমাত্র সহায়স্থল।

কপিরাইট
আমাদের সকল কন্টেন্ট কপিরাইট সংরক্ষিত
ডেভলোপারঃ মুহিব্বুল্লাহ
গোপনীয়তা নীতি

প্রিয় পাঠক
আমাদের সকল প্রজেক্টসমূহ সম্পূর্ণ ব্যাক্তি উদ্যোগে পরিচালিত, আপনাদের দোয়া ও সহযোগিতা দ্বীনের এই কাজকে আরও প্রসারিত করবে ইন-শা-আল্লাহ।