সূরা তালিকা


1 ১ আল-ফাতিহা Al-Fatiha الفاتحة
১. আল-ফাতিহা
মাক্কী
الفاتحة
আয়াত: ৭
2 ২ আল-বাকারা Al-Baqara البقرة
২. আল-বাকারা
মাদানী
البقرة
আয়াত: ২৮৬
3 ৩ আলে-ইমরান Al-i-Imran آل عمران
৩. আলে-ইমরান
মাদানী
آل عمران
আয়াত: ২০০
4 ৪ আন-নিসা An-Nisa النساء
৪. আন-নিসা
মাদানী
النساء
আয়াত: ১৭৬
5 ৫ আল-মায়েদা Al-Maida المائدة
৫. আল-মায়েদা
মাদানী
المائدة
আয়াত: ১২০
6 ৬ আল-আনআম Al-Anam الأنعام
৬. আল-আনআম
মাক্কী
الأنعام
আয়াত: ১৬৫
7 ৭ আল-আরাফ Al-Araf الأعراف
৭. আল-আরাফ
মাক্কী
الأعراف
আয়াত: ২০৬
8 ৮ আল-আনফাল Al-Anfal الأنفال
৮. আল-আনফাল
মাদানী
الأنفال
আয়াত: ৭৫
9 ৯ আত-তাওবা At-Tawba التوبة
৯. আত-তাওবা
মাদানী
التوبة
আয়াত: ১২৯
10 ১০ ইউনুস Yunus يونس
১০. ইউনুস
মাক্কী
يونس
আয়াত: ১০৯
11 ১১ হূদ Hud هود
১১. হূদ
মাক্কী
هود
আয়াত: ১২৩
12 ১২ ইউসুফ Yusuf يوسف
১২. ইউসুফ
মাক্কী
يوسف
আয়াত: ১১১
13 ১৩ আর-রাদ Ar-Rad الرعد
১৩. আর-রাদ
মাদানী
الرعد
আয়াত: ৪৩
14 ১৪ ইবরাহীম Ibrahim ابراهيم
১৪. ইবরাহীম
মাক্কী
ابراهيم
আয়াত: ৫২
15 ১৫ আল-হিজর Al-Hijr الحجر
১৫. আল-হিজর
মাক্কী
الحجر
আয়াত: ৯৯
16 ১৬ আন-নাহাল An-Nahl النحل
১৬. আন-নাহাল
মাক্কী
النحل
আয়াত: ১২৮
17 ১৭ আল-ইসরা (বনী-ইসরাঈল) Al-Isra الإسراء
১৭. আল-ইসরা (বনী-ইসরাঈল)
মাক্কী
الإسراء
আয়াত: ১১১
18 ১৮ আল-কাহফ Al-Kahf الكهف
১৮. আল-কাহফ
মাক্কী
الكهف
আয়াত: ১১০
19 ১৯ মারইয়াম Maryam مريم
১৯. মারইয়াম
মাক্কী
مريم
আয়াত: ৯৮
20 ২০ ত্ব-হা Ta-Ha طه
২০. ত্ব-হা
মাক্কী
طه
আয়াত: ১৩৫
21 ২১ আল-আম্বিয়া Al-Anbiya الأنبياء
২১. আল-আম্বিয়া
মাক্কী
الأنبياء
আয়াত: ১১২
22 ২২ আল-হজ্জ Al-Hajj الحج
২২. আল-হজ্জ
মাদানী
الحج
আয়াত: ৭৮
23 ২৩ আল-মুমিনুন Al-Muminun المؤمنون
২৩. আল-মুমিনুন
মাক্কী
المؤمنون
আয়াত: ১১৮
24 ২৪ আন-নূর An-Nur النور
২৪. আন-নূর
মাদানী
النور
আয়াত: ৬৪
25 ২৫ আল-ফুরকান Al-Furqan الفرقان
২৫. আল-ফুরকান
মাক্কী
الفرقان
আয়াত: ৭৭
26 ২৬ আশ-শুআরা Ash-Shuara الشعراء
২৬. আশ-শুআরা
মাক্কী
الشعراء
আয়াত: ২২৭
27 ২৭ আন-নামাল An-Naml النمل
২৭. আন-নামাল
মাক্কী
النمل
আয়াত: ৯৩
28 ২৮ আল-কাসাস Al-Qasas القصص
২৮. আল-কাসাস
মাক্কী
القصص
আয়াত: ৮৮
29 ২৯ আল-আনকাবূত Al-Ankabut العنكبوت
২৯. আল-আনকাবূত
মাক্কী
العنكبوت
আয়াত: ৬৯
30 ৩০ আর-রুম Ar-Rum الروم
৩০. আর-রুম
মাক্কী
الروم
আয়াত: ৬০
31 ৩১ লুকমান Luqman لقمان
৩১. লুকমান
মাক্কী
لقمان
আয়াত: ৩৪
32 ৩২ আস-সাজদাহ As-Sajda السجدة
৩২. আস-সাজদাহ
মাক্কী
السجدة
আয়াত: ৩০
33 ৩৩ আল-আহযাব Al-Ahzab الأحزاب
৩৩. আল-আহযাব
মাদানী
الأحزاب
আয়াত: ৭৩
34 ৩৪ সাবা Saba سبإ
৩৪. সাবা
মাক্কী
سبإ
আয়াত: ৫৪
35 ৩৫ ফাতির Fatir فاطر
৩৫. ফাতির
মাক্কী
فاطر
আয়াত: ৪৫
36 ৩৬ ইয়াসীন Ya-Sin يس
৩৬. ইয়াসীন
মাক্কী
يس
আয়াত: ৮৩
37 ৩৭ আস-সাফফাত As-Saffat الصافات
৩৭. আস-সাফফাত
মাক্কী
الصافات
আয়াত: ১৮২
38 ৩৮ সোয়াদ Ṣād ص
৩৮. সোয়াদ
মাক্কী
ص
আয়াত: ৮৮
39 ৩৯ আয-যুমার Az-Zumar الزمر
৩৯. আয-যুমার
মাক্কী
الزمر
আয়াত: ৭৫
40 ৪০ গাফির (আল মুমিন) Ghafir غافر
৪০. গাফির (আল মুমিন)
মাক্কী
غافر
আয়াত: ৮৫
41 ৪১ হা-মীম আস-সাজদা (ফুসসিলাত) Fussilat فصلت
৪১. হা-মীম আস-সাজদা (ফুসসিলাত)
মাক্কী
فصلت
আয়াত: ৫৪
42 ৪২ আশ-শূরা Ash-Shura الشورى
৪২. আশ-শূরা
মাক্কী
الشورى
আয়াত: ৫৩
43 ৪৩ আয-যুখরুফ Az-Zukhruf الزخرف
৪৩. আয-যুখরুফ
মাক্কী
الزخرف
আয়াত: ৮৯
44 ৪৪ আদ-দুখান Ad-Dukhan الدخان
৪৪. আদ-দুখান
মাক্কী
الدخان
আয়াত: ৫৯
45 ৪৫ আল-জাসিয়া Al-Jathiya الجاثية
৪৫. আল-জাসিয়া
মাক্কী
الجاثية
আয়াত: ৩৭
46 ৪৬ আল-আহকাফ Al-Ahqaf الأحقاف
৪৬. আল-আহকাফ
মাক্কী
الأحقاف
আয়াত: ৩৫
47 ৪৭ মুহাম্মাদ Muhammad محمد
৪৭. মুহাম্মাদ
মাদানী
محمد
আয়াত: ৩৮
48 ৪৮ আল-ফাতহ Al-Fath الفتح
৪৮. আল-ফাতহ
মাদানী
الفتح
আয়াত: ২৯
49 ৪৯ আল-হুজুরাত Al-Hujurat الحجرات
৪৯. আল-হুজুরাত
মাদানী
الحجرات
আয়াত: ১৮
50 ৫০ কাফ Qaf ق
৫০. কাফ
মাক্কী
ق
আয়াত: ৪৫
51 ৫১ আয-যারিয়াত Adh-Dhariyat سورة الذاريات
৫১. আয-যারিয়াত
মাক্কী
سورة الذاريات
আয়াত: ৬০
52 ৫২ আত-তূর At-Tur الطور
৫২. আত-তূর
মাক্কী
الطور
আয়াত: ৪৯
53 ৫৩ আন-নাজম An-Najm النجم
৫৩. আন-নাজম
মাক্কী
النجم
আয়াত: ৬২
54 ৫৪ আল-কামার Al-Qamar القمر
৫৪. আল-কামার
মাক্কী
القمر
আয়াত: ৫৫
55 ৫৫ আর-রাহমান Ar-Rahman الرحمن
৫৫. আর-রাহমান
মাদানী
الرحمن
আয়াত: ৭৮
56 ৫৬ আল-ওয়াকিয়া Al-Waqia الواقعة
৫৬. আল-ওয়াকিয়া
মাক্কী
الواقعة
আয়াত: ৯৬
57 ৫৭ আল-হাদীদ Al-Hadid الحديد
৫৭. আল-হাদীদ
মাদানী
الحديد
আয়াত: ২৯
58 ৫৮ আল-মুজাদালা Al-Mujadila المجادلة
৫৮. আল-মুজাদালা
মাদানী
المجادلة
আয়াত: ২২
59 ৫৯ আল-হাশর Al-Hashr الحشر
৫৯. আল-হাশর
মাদানী
الحشر
আয়াত: ২৪
60 ৬০ আল-মুমতাহিনা Al-Mumtahina الممتحنة
৬০. আল-মুমতাহিনা
মাদানী
الممتحنة
আয়াত: ১৩
61 ৬১ আস-সফ As-Saff الصف
৬১. আস-সফ
মাদানী
الصف
আয়াত: ১৪
62 ৬২ আল-জুমুআ Al-Jumua الجمعة
৬২. আল-জুমুআ
মাদানী
الجمعة
আয়াত: ১১
63 ৬৩ আল-মুনাফিকূন Al-Munafiqun المنافقون
৬৩. আল-মুনাফিকূন
মাদানী
المنافقون
আয়াত: ১১
64 ৬৪ আত-তাগাবুন At-Taghabun التغابن
৬৪. আত-তাগাবুন
মাদানী
التغابن
আয়াত: ১৮
65 ৬৫ আত-ত্বলাক্ব At-Talaq الطلاق
৬৫. আত-ত্বলাক্ব
মাদানী
الطلاق
আয়াত: ১২
66 ৬৬ আত-তাহরীম At-Tahrim التحريم
৬৬. আত-তাহরীম
মাদানী
التحريم
আয়াত: ১২
67 ৬৭ আল-মুলক Al-Mulk الملك
৬৭. আল-মুলক
মাক্কী
الملك
আয়াত: ৩০
68 ৬৮ আল-কলম Al-Qalam القلم
৬৮. আল-কলম
মাক্কী
القلم
আয়াত: ৫২
69 ৬৯ আল-হাক্কাহ Al-Haqqa الحاقة
৬৯. আল-হাক্কাহ
মাক্কী
الحاقة
আয়াত: ৫২
70 ৭০ আল-মাআরিজ Al-Maarij المعارج
৭০. আল-মাআরিজ
মাক্কী
المعارج
আয়াত: ৪৪
71 ৭১ নূহ Nuh نوح
৭১. নূহ
মাক্কী
نوح
আয়াত: ২৮
72 ৭২ আল-জ্বিন Al-Jinn الجن
৭২. আল-জ্বিন
মাক্কী
الجن
আয়াত: ২৯
73 ৭৩ আল-মুযযাম্মিল Al-Muzzammil المزمل
৭৩. আল-মুযযাম্মিল
মাক্কী
المزمل
আয়াত: ২০
74 ৭৪ আল-মুদ্দাসসির Al-Muddathir المدثر
৭৪. আল-মুদ্দাসসির
মাক্কী
المدثر
আয়াত: ৫৬
75 ৭৫ আল-ক্বিয়ামাহ Al-Qiyama القيامة
৭৫. আল-ক্বিয়ামাহ
মাক্কী
القيامة
আয়াত: ৪০
76 ৭৬ আল-ইনসান (আদ-দাহর) Al-Insan الانسان
৭৬. আল-ইনসান (আদ-দাহর)
মাদানী
الانسان
আয়াত: ৩১
77 ৭৭ আল-মুরসালাত Al-Mursalat المرسلات
৭৭. আল-মুরসালাত
মাক্কী
المرسلات
আয়াত: ৫০
78 ৭৮ আন-নাবা An-Naba النبإ
৭৮. আন-নাবা
মাক্কী
النبإ
আয়াত: ৪০
79 ৭৯ আন-নাযিআত An-Naziat النازعات
৭৯. আন-নাযিআত
মাক্কী
النازعات
আয়াত: ৪৬
80 ৮০ আবাসা Abasa عبس
৮০. আবাসা
মাক্কী
عبس
আয়াত: ৪২
81 ৮১ আত-তাকভীর At-Takwir التكوير
৮১. আত-তাকভীর
মাক্কী
التكوير
আয়াত: ২৯
82 ৮২ আল-ইনফিতার Al-Infitar الإنفطار
৮২. আল-ইনফিতার
মাক্কী
الإنفطار
আয়াত: ১৯
83 ৮৩ আল-মুতাফফিফীন Al-Mutaffifin المطففين
৮৩. আল-মুতাফফিফীন
মাক্কী
المطففين
আয়াত: ৩৬
84 ৮৪ আল-ইনশিকাক Al-Inshiqaq الإنشقاق
৮৪. আল-ইনশিকাক
মাক্কী
الإنشقاق
আয়াত: ২৫
85 ৮৫ আল-বুরুজ Al-Buruj البروج
৮৫. আল-বুরুজ
মাক্কী
البروج
আয়াত: ২২
86 ৮৬ আত-তারিক At-Tariq الطارق
৮৬. আত-তারিক
মাক্কী
الطارق
আয়াত: ১৭
87 ৮৭ আল-আলা Al-Ala الأعلى
৮৭. আল-আলা
মাক্কী
الأعلى
আয়াত: ১৯
88 ৮৮ আল-গাশিয়া Al-Ghashiya الغاشية
৮৮. আল-গাশিয়া
মাক্কী
الغاشية
আয়াত: ২৬
89 ৮৯ আল-ফাজর Al-Fajr الفجر
৮৯. আল-ফাজর
মাক্কী
الفجر
আয়াত: ৩০
90 ৯০ আল-বালাদ Al-Balad البلد
৯০. আল-বালাদ
মাক্কী
البلد
আয়াত: ২০
91 ৯১ আশ-শামস Ash-Shams الشمس
৯১. আশ-শামস
মাক্কী
الشمس
আয়াত: ১৫
92 ৯২ আল-লাইল Al-Lail الليل
৯২. আল-লাইল
মাক্কী
الليل
আয়াত: ২১
93 ৯৩ আদ-দুহা Ad-Dhuha الضحى
৯৩. আদ-দুহা
মাক্কী
الضحى
আয়াত: ১১
94 ৯৪ আল-ইনশিরাহ Ash-Sharh الشرح
৯৪. আল-ইনশিরাহ
মাক্কী
الشرح
আয়াত: ৮
95 ৯৫ আত-ত্বীন At-Tin التين
৯৫. আত-ত্বীন
মাক্কী
التين
আয়াত: ৮
96 ৯৬ আল-আলাক Al-Alaq العلق
৯৬. আল-আলাক
মাক্কী
العلق
আয়াত: ১৯
97 ৯৭ আল-কাদর Al-Qadr القدر
৯৭. আল-কাদর
মাক্কী
القدر
আয়াত: ৫
98 ৯৮ আল-বায়্যিনাহ Al-Bayyina البينة
৯৮. আল-বায়্যিনাহ
মাদানী
البينة
আয়াত: ৮
99 ৯৯ আয-যিলযাল Az-Zalzala الزلزلة
৯৯. আয-যিলযাল
মাদানী
الزلزلة
আয়াত: ৮
100 ১০০ আল-আদিয়াত Al-Adiyat العاديات
১০০. আল-আদিয়াত
মাক্কী
العاديات
আয়াত: ১১
101 ১০১ আল-কারিআ Al-Qaria القارعة
১০১. আল-কারিআ
মাক্কী
القارعة
আয়াত: ১১
102 ১০২ আত-তাকাসুর At-Takathur التكاثر
১০২. আত-তাকাসুর
মাক্কী
التكاثر
আয়াত: ৮
103 ১০৩ আল-আসর Al-Asr العصر
১০৩. আল-আসর
মাক্কী
العصر
আয়াত: ৩
104 ১০৪ আল-হুমাযা Al-Humaza الهمزة
১০৪. আল-হুমাযা
মাক্কী
الهمزة
আয়াত: ৯
105 ১০৫ আল-ফীল Al-Fil الفيل
১০৫. আল-ফীল
মাক্কী
الفيل
আয়াত: ৫
106 ১০৬ আল-কুরাইশ Quraysh قريش
১০৬. আল-কুরাইশ
মাক্কী
قريش
আয়াত: ৪
107 ১০৭ আল-মাঊন Al-Maun الماعون
১০৭. আল-মাঊন
মাক্কী
الماعون
আয়াত: ৭
108 ১০৮ আল-কাউসার Al-Kawthar الكوثر
১০৮. আল-কাউসার
মাক্কী
الكوثر
আয়াত: ৩
109 ১০৯ কাফিরুন Al-Kafirun الكافرون
১০৯. কাফিরুন
মাক্কী
الكافرون
আয়াত: ৬
110 ১১০ আন-নাসর An-Nasr النصر
১১০. আন-নাসর
মাদানী
النصر
আয়াত: ৩
111 ১১১ লাহাব Al-Masad المسد
১১১. লাহাব
মাক্কী
المسد
আয়াত: ৫
112 ১১২ আল-ইখলাস Al-Ikhlas الإخلاص
১১২. আল-ইখলাস
মাক্কী
الإخلاص
আয়াত: ৪
113 ১১৩ আল-ফালাক Al-Falaq الفلق
১১৩. আল-ফালাক
মাক্কী
الفلق
আয়াত: ৫
114 ১১৪ আন-নাস An-Nas الناس
১১৪. আন-নাস
মাক্কী
الناس
আয়াত: ৬
সূরা: ৪০, গাফির (আল মুমিন) - ( غافر)
সূরার ধরন: মাক্কী , মোট আয়াত:

1 ১
حٰمٓ
حٰمٓ
১. অনুবাদ: হা-মীম।

2 ২
تَنۡزِیۡلُ الۡکِتٰبِ مِنَ اللّٰهِ الۡعَزِیۡزِ الۡعَلِیۡمِ ۙ
تَنۡزِیۡلُ الۡکِتٰبِ مِنَ اللّٰهِ الۡعَزِیۡزِ الۡعَلِیۡمِ ۙ
২. অনুবাদ: মহাপরাক্রমশালী সর্বজ্ঞানী আল্লাহর পক্ষ থেকে এই কিতাব নাযিলকৃত।

3 ৩
غَافِرِ الذَّنۡۢبِ وَ قَابِلِ التَّوۡبِ شَدِیۡدِ الۡعِقَابِ ۙ ذِی الطَّوۡلِ ؕ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ ؕ اِلَیۡهِ الۡمَصِیۡرُ
غَافِرِ الذَّنۡۢبِ وَ قَابِلِ التَّوۡبِ شَدِیۡدِ الۡعِقَابِ ۙ ذِی الطَّوۡلِ ؕ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ ؕ اِلَیۡهِ الۡمَصِیۡرُ
৩. অনুবাদ: তিনি পাপ ক্ষমাকারী, তাওবা কবূলকারী, কঠোর আযাবদাতা, অনুগ্রহ বর্ষণকারী। তিনি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই। তাঁর দিকেই প্রত্যাবর্তন।

4 ৪
مَا یُجَادِلُ فِیۡۤ اٰیٰتِ اللّٰهِ اِلَّا الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا فَلَا یَغۡرُرۡکَ تَقَلُّبُهُمۡ فِی الۡبِلَادِ
مَا یُجَادِلُ فِیۡۤ اٰیٰتِ اللّٰهِ اِلَّا الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا فَلَا یَغۡرُرۡکَ تَقَلُّبُهُمۡ فِی الۡبِلَادِ
৪. অনুবাদ: কাফিররাই কেবল আল্লাহর আয়াতসমূহ নিয়ে বিতর্কে লিপ্ত হয়। সুতরাং দেশে দেশে তাদের অবাধ বিচরণ যেন তোমাকে ধোঁকায় না ফেলে।

5 ৫
کَذَّبَتۡ قَبۡلَهُمۡ قَوۡمُ نُوۡحٍ وَّ الۡاَحۡزَابُ مِنۡۢ بَعۡدِهِمۡ ۪ وَ هَمَّتۡ کُلُّ اُمَّۃٍۭ بِرَسُوۡلِهِمۡ لِیَاۡخُذُوۡهُ وَ جٰدَلُوۡا بِالۡبَاطِلِ لِیُدۡحِضُوۡا بِهِ الۡحَقَّ فَاَخَذۡتُهُمۡ ۟ فَکَیۡفَ کَانَ عِقَابِ
کَذَّبَتۡ قَبۡلَهُمۡ قَوۡمُ نُوۡحٍ وَّ الۡاَحۡزَابُ مِنۡۢ بَعۡدِهِمۡ ۪ وَ هَمَّتۡ کُلُّ اُمَّۃٍۭ بِرَسُوۡلِهِمۡ لِیَاۡخُذُوۡهُ وَ جٰدَلُوۡا بِالۡبَاطِلِ لِیُدۡحِضُوۡا بِهِ الۡحَقَّ فَاَخَذۡتُهُمۡ ۟ فَکَیۡفَ کَانَ عِقَابِ
৫. অনুবাদ: এদের পূর্বে নূহের কওম এবং তাদের পরে অনেক দলও অস্বীকার করেছিল। প্রত্যেক উম্মতই স্ব স্ব রাসূলকে পাকড়াও করার সংকল্প করেছিল এবং সত্যকে বিদূরীত করার উদ্দেশ্যে তারা অসার বিতর্কে লিপ্ত হয়েছিল। ফলে আমি তাদেরকে পাকড়াও করলাম। সুতরাং কেমন ছিল আমার আযাব!

6 ৬
وَ کَذٰلِکَ حَقَّتۡ کَلِمَتُ رَبِّکَ عَلَی الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡۤا اَنَّهُمۡ اَصۡحٰبُ النَّارِ
وَ کَذٰلِکَ حَقَّتۡ کَلِمَتُ رَبِّکَ عَلَی الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡۤا اَنَّهُمۡ اَصۡحٰبُ النَّارِ
৬. অনুবাদ: আর এভাবে কাফিরদের ক্ষেত্রে তোমার রবের বাণী সত্যে পরিণত হল যে, নিশ্চয় এরা জাহান্নামী।

7 ৭
اَلَّذِیۡنَ یَحۡمِلُوۡنَ الۡعَرۡشَ وَ مَنۡ حَوۡلَهٗ یُسَبِّحُوۡنَ بِحَمۡدِ رَبِّهِمۡ وَ یُؤۡمِنُوۡنَ بِهٖ وَ یَسۡتَغۡفِرُوۡنَ لِلَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا ۚ رَبَّنَا وَسِعۡتَ کُلَّ شَیۡءٍ رَّحۡمَۃً وَّ عِلۡمًا فَاغۡفِرۡ لِلَّذِیۡنَ تَابُوۡا وَ اتَّبَعُوۡا سَبِیۡلَکَ وَ قِهِمۡ عَذَابَ الۡجَحِیۡمِ
اَلَّذِیۡنَ یَحۡمِلُوۡنَ الۡعَرۡشَ وَ مَنۡ حَوۡلَهٗ یُسَبِّحُوۡنَ بِحَمۡدِ رَبِّهِمۡ وَ یُؤۡمِنُوۡنَ بِهٖ وَ یَسۡتَغۡفِرُوۡنَ لِلَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا ۚ رَبَّنَا وَسِعۡتَ کُلَّ شَیۡءٍ رَّحۡمَۃً وَّ عِلۡمًا فَاغۡفِرۡ لِلَّذِیۡنَ تَابُوۡا وَ اتَّبَعُوۡا سَبِیۡلَکَ وَ قِهِمۡ عَذَابَ الۡجَحِیۡمِ
৭. অনুবাদ: যারা আরশকে ধারণ করে এবং যারা এর চারপাশে রয়েছে, তারা তাদের রবের প্রশংসাসহ তাসবীহ পাঠ করে এবং তাঁর প্রতি ঈমান রাখে। আর মুমিনদের জন্য ক্ষমা চেয়ে বলে যে, ‘হে আমাদের রব, আপনি রহমত ও জ্ঞান দ্বারা সব কিছুকে পরিব্যপ্ত করে রয়েছেন। অতএব যারা তাওবা করে এবং আপনার পথ অনুসরণ করে আপনি তাদেরকে ক্ষমা করে দিন। আর জাহান্নামের আযাব থেকে আপনি তাদেরকে রক্ষা করুন’।

8 ৮
رَبَّنَا وَ اَدۡخِلۡهُمۡ جَنّٰتِ عَدۡنِۣ الَّتِیۡ وَعَدۡتَّهُمۡ وَ مَنۡ صَلَحَ مِنۡ اٰبَآئِهِمۡ وَ اَزۡوَاجِهِمۡ وَ ذُرِّیّٰتِهِمۡ ؕ اِنَّکَ اَنۡتَ الۡعَزِیۡزُ الۡحَکِیۡمُ
رَبَّنَا وَ اَدۡخِلۡهُمۡ جَنّٰتِ عَدۡنِۣ الَّتِیۡ وَعَدۡتَّهُمۡ وَ مَنۡ صَلَحَ مِنۡ اٰبَآئِهِمۡ وَ اَزۡوَاجِهِمۡ وَ ذُرِّیّٰتِهِمۡ ؕ اِنَّکَ اَنۡتَ الۡعَزِیۡزُ الۡحَکِیۡمُ
৮. অনুবাদ: ‘হে আমাদের রব, আর আপনি তাদেরকে স্থায়ী জান্নাতে প্রবেশ করান, যার ওয়াদা আপনি তাদেরকে দিয়েছেন। আর তাদের পিতা-মাতা, পতি-পত্নি ও সন্তান-সন্ততিদের মধ্যে যারা সৎকর্ম সম্পাদন করেছে তাদেরকেও। নিশ্চয় আপনি মহাপরাক্রমশালী, মহাপ্রজ্ঞাময়।’

9 ৯
وَ قِهِمُ السَّیِّاٰتِ ؕ وَ مَنۡ تَقِ السَّیِّاٰتِ یَوۡمَئِذٍ فَقَدۡ رَحِمۡتَهٗ ؕ وَ ذٰلِکَ هُوَ الۡفَوۡزُ الۡعَظِیۡمُ
وَ قِهِمُ السَّیِّاٰتِ ؕ وَ مَنۡ تَقِ السَّیِّاٰتِ یَوۡمَئِذٍ فَقَدۡ رَحِمۡتَهٗ ؕ وَ ذٰلِکَ هُوَ الۡفَوۡزُ الۡعَظِیۡمُ
৯. অনুবাদ: ‘আর আপনি তাদের অপরাধের আযাব হতে রক্ষা করুন এবং সেদিন আপনি যাকে অপরাধের আযাব থেকে রক্ষা করবেন, অবশ্যই তাকে অনুগ্রহ করবেন। আর এটিই মহাসাফল্য।’

10 ১০
اِنَّ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا یُنَادَوۡنَ لَمَقۡتُ اللّٰهِ اَکۡبَرُ مِنۡ مَّقۡتِکُمۡ اَنۡفُسَکُمۡ اِذۡ تُدۡعَوۡنَ اِلَی الۡاِیۡمَانِ فَتَکۡفُرُوۡنَ
اِنَّ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا یُنَادَوۡنَ لَمَقۡتُ اللّٰهِ اَکۡبَرُ مِنۡ مَّقۡتِکُمۡ اَنۡفُسَکُمۡ اِذۡ تُدۡعَوۡنَ اِلَی الۡاِیۡمَانِ فَتَکۡفُرُوۡنَ
১০. অনুবাদ: নিশ্চয় যারা কুফরী করেছে তাদেরকে উচ্চকণ্ঠে বলা হবে; ‘তোমাদের নিজদের প্রতি তোমাদের (আজকের) এ অসন্তোষ অপেক্ষা অবশ্যই আল্লাহর অসন্তোষ অধিকতর ছিল, যখন তোমাদেরকে ঈমানের প্রতি আহবান করা হয়েছিল তারপর তোমরা তা অস্বীকার করেছিলে’।

11 ১১
قَالُوۡا رَبَّنَاۤ اَمَتَّنَا اثۡنَتَیۡنِ وَ اَحۡیَیۡتَنَا اثۡنَتَیۡنِ فَاعۡتَرَفۡنَا بِذُنُوۡبِنَا فَهَلۡ اِلٰی خُرُوۡجٍ مِّنۡ سَبِیۡلٍ
قَالُوۡا رَبَّنَاۤ اَمَتَّنَا اثۡنَتَیۡنِ وَ اَحۡیَیۡتَنَا اثۡنَتَیۡنِ فَاعۡتَرَفۡنَا بِذُنُوۡبِنَا فَهَلۡ اِلٰی خُرُوۡجٍ مِّنۡ سَبِیۡلٍ
১১. অনুবাদ: তারা বলবে, ‘হে আমাদের রব, আপনি আমাদেরকে দু’বার মৃত্যু দিয়েছেন এবং দু’বার জীবন দিয়েছেন। অতঃপর আমরা আমাদের অপরাধ স্বীকার করছি। অতএব (জাহান্নাম থেকে) বের হবার কোন পথ আছে কি’?

12 ১২
ذٰلِکُمۡ بِاَنَّهٗۤ اِذَا دُعِیَ اللّٰهُ وَحۡدَهٗ کَفَرۡتُمۡ ۚ وَ اِنۡ یُّشۡرَکۡ بِهٖ تُؤۡمِنُوۡا ؕ فَالۡحُکۡمُ لِلّٰهِ الۡعَلِیِّ الۡکَبِیۡرِ
ذٰلِکُمۡ بِاَنَّهٗۤ اِذَا دُعِیَ اللّٰهُ وَحۡدَهٗ کَفَرۡتُمۡ ۚ وَ اِنۡ یُّشۡرَکۡ بِهٖ تُؤۡمِنُوۡا ؕ فَالۡحُکۡمُ لِلّٰهِ الۡعَلِیِّ الۡکَبِیۡرِ
১২. অনুবাদ: [তাদেরকে বলা হবে] ‘এটা তো এজন্য যে, যখন আল্লাহকে এককভাবে ডাকা হত তখন তোমরা তাঁকে অস্বীকার করতে আর যখন তাঁর সাথে শরীক করা হত তখন তোমরা বিশ্বাস করতে। সুতরাং যাবতীয় কর্তৃত্ব সমুচ্চ, মহান আল্লাহর’।

13 ১৩
هُوَ الَّذِیۡ یُرِیۡکُمۡ اٰیٰتِهٖ وَ یُنَزِّلُ لَکُمۡ مِّنَ السَّمَآءِ رِزۡقًا ؕ وَ مَا یَتَذَکَّرُ اِلَّا مَنۡ یُّنِیۡبُ
هُوَ الَّذِیۡ یُرِیۡکُمۡ اٰیٰتِهٖ وَ یُنَزِّلُ لَکُمۡ مِّنَ السَّمَآءِ رِزۡقًا ؕ وَ مَا یَتَذَکَّرُ اِلَّا مَنۡ یُّنِیۡبُ
১৩. অনুবাদ: তিনিই তোমাদেরকে তাঁর নিদর্শনাবলী দেখান এবং আকাশ থেকে তোমাদের জন্য রিযক পাঠান। আর যে আল্লাহ অভিমুখী সেই কেবল উপদেশ গ্রহণ করে থাকে।

14 ১৪
فَادۡعُوا اللّٰهَ مُخۡلِصِیۡنَ لَهُ الدِّیۡنَ وَ لَوۡ کَرِهَ الۡکٰفِرُوۡنَ
فَادۡعُوا اللّٰهَ مُخۡلِصِیۡنَ لَهُ الدِّیۡنَ وَ لَوۡ کَرِهَ الۡکٰفِرُوۡنَ
১৪. অনুবাদ: সুতরাং তোমরা আল্লাহকে ডাক, তাঁর উদ্দেশ্যে দীনকে একনিষ্ঠভাবে নিবেদিত করে। যদিও কাফিররা অপছন্দ করে।

15 ১৫
رَفِیۡعُ الدَّرَجٰتِ ذُو الۡعَرۡشِ ۚ یُلۡقِی الرُّوۡحَ مِنۡ اَمۡرِهٖ عَلٰی مَنۡ یَّشَآءُ مِنۡ عِبَادِهٖ لِیُنۡذِرَ یَوۡمَ التَّلَاقِ
رَفِیۡعُ الدَّرَجٰتِ ذُو الۡعَرۡشِ ۚ یُلۡقِی الرُّوۡحَ مِنۡ اَمۡرِهٖ عَلٰی مَنۡ یَّشَآءُ مِنۡ عِبَادِهٖ لِیُنۡذِرَ یَوۡمَ التَّلَاقِ
১৫. অনুবাদ: আল্লাহ সুউচ্চ মর্যাদার অধিকারী, আরশের অধিপতি, তাঁর বান্দাদের মধ্য থেকে যার প্রতি ইচ্ছা আপন নির্দেশে তিনি ওহী পাঠান, যেন সে মহামিলন সম্পর্কে সতর্ক করেন।

16 ১৬
یَوۡمَ هُمۡ بٰرِزُوۡنَ ۬ۚ لَا یَخۡفٰی عَلَی اللّٰهِ مِنۡهُمۡ شَیۡءٌ ؕ لِمَنِ الۡمُلۡکُ الۡیَوۡمَ ؕ لِلّٰهِ الۡوَاحِدِ الۡقَهَّارِ
یَوۡمَ هُمۡ بٰرِزُوۡنَ ۬ۚ لَا یَخۡفٰی عَلَی اللّٰهِ مِنۡهُمۡ شَیۡءٌ ؕ لِمَنِ الۡمُلۡکُ الۡیَوۡمَ ؕ لِلّٰهِ الۡوَاحِدِ الۡقَهَّارِ
১৬. অনুবাদ: যে দিন লোকেরা প্রকাশ হয়ে পড়বে। সে দিন আল্লাহর নিকট তাদের কিছুই গোপন থাকবে না। ‘আজ রাজত্ব কার’? প্রবল প্রতাপশালী এক আল্লাহর।

17 ১৭
اَلۡیَوۡمَ تُجۡزٰی کُلُّ نَفۡسٍۭ بِمَا کَسَبَتۡ ؕ لَا ظُلۡمَ الۡیَوۡمَ ؕ اِنَّ اللّٰهَ سَرِیۡعُ الۡحِسَابِ
اَلۡیَوۡمَ تُجۡزٰی کُلُّ نَفۡسٍۭ بِمَا کَسَبَتۡ ؕ لَا ظُلۡمَ الۡیَوۡمَ ؕ اِنَّ اللّٰهَ سَرِیۡعُ الۡحِسَابِ
১৭. অনুবাদ: আজ প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার অর্জন অনুসারে প্রতিদান দেয়া হবে। আজ কোন যুল্ম নেই। নিশ্চয় আল্লাহ দ্রুত হিসাবগ্রহণকারী।

18 ১৮
وَ اَنۡذِرۡهُمۡ یَوۡمَ الۡاٰزِفَۃِ اِذِ الۡقُلُوۡبُ لَدَی الۡحَنَاجِرِ کٰظِمِیۡنَ ۬ؕ مَا لِلظّٰلِمِیۡنَ مِنۡ حَمِیۡمٍ وَّ لَا شَفِیۡعٍ یُّطَاعُ
وَ اَنۡذِرۡهُمۡ یَوۡمَ الۡاٰزِفَۃِ اِذِ الۡقُلُوۡبُ لَدَی الۡحَنَاجِرِ کٰظِمِیۡنَ ۬ؕ مَا لِلظّٰلِمِیۡنَ مِنۡ حَمِیۡمٍ وَّ لَا شَفِیۡعٍ یُّطَاعُ
১৮. অনুবাদ: আর তুমি তাদের আসন্ন দিন সম্পর্কে সতর্ক করে দাও। যখন তাদের প্রাণ কণ্ঠাগত হবে দুঃখ, কষ্ট সংবরণ অবস্থায়। যালিমদের জন্য নেই কোন অকৃত্রিম বন্ধু, নেই এমন কোন সুপারিশকারী যাকে গ্রাহ্য করা হবে।

19 ১৯
یَعۡلَمُ خَآئِنَۃَ الۡاَعۡیُنِ وَ مَا تُخۡفِی الصُّدُوۡرُ
یَعۡلَمُ خَآئِنَۃَ الۡاَعۡیُنِ وَ مَا تُخۡفِی الصُّدُوۡرُ
১৯. অনুবাদ: চক্ষুসমূহের খেয়ানত এবং অন্তরসমূহ যা গোপন রাখে তিনি তা জানেন।

20 ২০
وَ اللّٰهُ یَقۡضِیۡ بِالۡحَقِّ ؕ وَ الَّذِیۡنَ یَدۡعُوۡنَ مِنۡ دُوۡنِهٖ لَا یَقۡضُوۡنَ بِشَیۡءٍ ؕ اِنَّ اللّٰهَ هُوَ السَّمِیۡعُ الۡبَصِیۡرُ
وَ اللّٰهُ یَقۡضِیۡ بِالۡحَقِّ ؕ وَ الَّذِیۡنَ یَدۡعُوۡنَ مِنۡ دُوۡنِهٖ لَا یَقۡضُوۡنَ بِشَیۡءٍ ؕ اِنَّ اللّٰهَ هُوَ السَّمِیۡعُ الۡبَصِیۡرُ
২০. অনুবাদ: আর আল্লাহ সঠিকভাবে ফয়সালা করেন এবং তাঁকে বাদ দিয়ে তারা যাদের ডাকে তারা কোন কিছুর ফয়সালা করতে পারবে না। নিশ্চয় আল্লাহ, তিনিই সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।

21 ২১
اَوَ لَمۡ یَسِیۡرُوۡا فِی الۡاَرۡضِ فَیَنۡظُرُوۡا کَیۡفَ کَانَ عَاقِبَۃُ الَّذِیۡنَ کَانُوۡا مِنۡ قَبۡلِهِمۡ ؕ کَانُوۡا هُمۡ اَشَدَّ مِنۡهُمۡ قُوَّۃً وَّ اٰثَارًا فِی الۡاَرۡضِ فَاَخَذَهُمُ اللّٰهُ بِذُنُوۡبِهِمۡ ؕ وَ مَا کَانَ لَهُمۡ مِّنَ اللّٰهِ مِنۡ وَّاقٍ
اَوَ لَمۡ یَسِیۡرُوۡا فِی الۡاَرۡضِ فَیَنۡظُرُوۡا کَیۡفَ کَانَ عَاقِبَۃُ الَّذِیۡنَ کَانُوۡا مِنۡ قَبۡلِهِمۡ ؕ کَانُوۡا هُمۡ اَشَدَّ مِنۡهُمۡ قُوَّۃً وَّ اٰثَارًا فِی الۡاَرۡضِ فَاَخَذَهُمُ اللّٰهُ بِذُنُوۡبِهِمۡ ؕ وَ مَا کَانَ لَهُمۡ مِّنَ اللّٰهِ مِنۡ وَّاقٍ
২১. অনুবাদ: এরা কি যমীনে বিচরণ করে না? তাহলে দেখত, তাদের পূর্বে যারা ছিল তাদের পরিণতি কেমন হয়েছিল? তারা এদের তুলনায় যমীনে শক্তিমত্তা ও প্রভাব বিস্তারে প্রবলতর ছিল। অতঃপর আল্লাহ তাদের পাকড়াও করলেন তাদের পাপাচারের কারণে। আর তাদের জন্য ছিল না আল্লাহর পক্ষ থেকে কোন রক্ষাকারী।

22 ২২
ذٰلِکَ بِاَنَّهُمۡ کَانَتۡ تَّاۡتِیۡهِمۡ رُسُلُهُمۡ بِالۡبَیِّنٰتِ فَکَفَرُوۡا فَاَخَذَهُمُ اللّٰهُ ؕ اِنَّهٗ قَوِیٌّ شَدِیۡدُ الۡعِقَابِ
ذٰلِکَ بِاَنَّهُمۡ کَانَتۡ تَّاۡتِیۡهِمۡ رُسُلُهُمۡ بِالۡبَیِّنٰتِ فَکَفَرُوۡا فَاَخَذَهُمُ اللّٰهُ ؕ اِنَّهٗ قَوِیٌّ شَدِیۡدُ الۡعِقَابِ
২২. অনুবাদ: এটি এ কারণে যে, তাদের কাছে তাদের রাসূলগণ সুস্পষ্ট প্রমাণাদি নিয়ে আসত, কিন্তু তারা তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করত। ফলে আল্লাহ তাদেরকে পাকড়াও করলেন। নিশ্চয় তিনি শক্তিমান, আযাবদানে কঠোর।

23 ২৩
وَ لَقَدۡ اَرۡسَلۡنَا مُوۡسٰی بِاٰیٰتِنَا وَ سُلۡطٰنٍ مُّبِیۡنٍ
وَ لَقَدۡ اَرۡسَلۡنَا مُوۡسٰی بِاٰیٰتِنَا وَ سُلۡطٰنٍ مُّبِیۡنٍ
২৩. অনুবাদ: আর অবশ্যই আমি মূসাকে আমার নিদর্শনাবলী ও স্পষ্ট প্রমাণসহ প্রেরণ করেছিলাম।

24 ২৪
اِلٰی فِرۡعَوۡنَ وَ هَامٰنَ وَ قَارُوۡنَ فَقَالُوۡا سٰحِرٌ کَذَّابٌ
اِلٰی فِرۡعَوۡنَ وَ هَامٰنَ وَ قَارُوۡنَ فَقَالُوۡا سٰحِرٌ کَذَّابٌ
২৪. অনুবাদ: ফির‘আউন, হামান ও কারূনের প্রতি। অতঃপর তারা বলল, ‘সে এক যাদুকর, চরম মিথ্যাবাদী’।

25 ২৫
فَلَمَّا جَآءَهُمۡ بِالۡحَقِّ مِنۡ عِنۡدِنَا قَالُوا اقۡتُلُوۡۤا اَبۡنَآءَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا مَعَهٗ وَ اسۡتَحۡیُوۡا نِسَآءَهُمۡ ؕ وَ مَا کَیۡدُ الۡکٰفِرِیۡنَ اِلَّا فِیۡ ضَلٰلٍ
فَلَمَّا جَآءَهُمۡ بِالۡحَقِّ مِنۡ عِنۡدِنَا قَالُوا اقۡتُلُوۡۤا اَبۡنَآءَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا مَعَهٗ وَ اسۡتَحۡیُوۡا نِسَآءَهُمۡ ؕ وَ مَا کَیۡدُ الۡکٰفِرِیۡنَ اِلَّا فِیۡ ضَلٰلٍ
২৫. অনুবাদ: অতঃপর যখন মূসা আমার কাছ থেকে সত্য নিয়ে তাদের কাছে উপস্থিত হয়েছিল, তখন তারা বলল, ‘যারা তার সাথে ঈমান এনেছে তোমরা তাদের ছেলে-সন্তানদেরকে হত্যা কর এবং তাদের মেয়ে-সন্তানদেরকে জীবিত রাখ’। আর কাফিরদের ষড়যন্ত্র কেবল ব্যর্থই হবে।

26 ২৬
وَ قَالَ فِرۡعَوۡنُ ذَرُوۡنِیۡۤ اَقۡتُلۡ مُوۡسٰی وَ لۡیَدۡعُ رَبَّهٗ ۚ اِنِّیۡۤ اَخَافُ اَنۡ یُّبَدِّلَ دِیۡنَکُمۡ اَوۡ اَنۡ یُّظۡهِرَ فِی الۡاَرۡضِ الۡفَسَادَ
وَ قَالَ فِرۡعَوۡنُ ذَرُوۡنِیۡۤ اَقۡتُلۡ مُوۡسٰی وَ لۡیَدۡعُ رَبَّهٗ ۚ اِنِّیۡۤ اَخَافُ اَنۡ یُّبَدِّلَ دِیۡنَکُمۡ اَوۡ اَنۡ یُّظۡهِرَ فِی الۡاَرۡضِ الۡفَسَادَ
২৬. অনুবাদ: আর ফির‘আউন বলল, ‘আমাকে ছেড়ে দাও, আমি মূসাকে হত্যা করি এবং সে তার রবকে ডাকুক; নিশ্চয় আমি আশঙ্কা করি, সে তোমাদের দীন পাল্টে দেবে অথবা সে যমীনে বিপর্যয় ছড়িয়ে দেবে।

27 ২৭
وَ قَالَ مُوۡسٰۤی اِنِّیۡ عُذۡتُ بِرَبِّیۡ وَ رَبِّکُمۡ مِّنۡ کُلِّ مُتَکَبِّرٍ لَّا یُؤۡمِنُ بِیَوۡمِ الۡحِسَابِ
وَ قَالَ مُوۡسٰۤی اِنِّیۡ عُذۡتُ بِرَبِّیۡ وَ رَبِّکُمۡ مِّنۡ کُلِّ مُتَکَبِّرٍ لَّا یُؤۡمِنُ بِیَوۡمِ الۡحِسَابِ
২৭. অনুবাদ: মূসা বলল, ‘আমি আমার রব ও তোমাদের রবের কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি প্রত্যেক অহঙ্কারী থেকে, যে বিচার দিনের প্রতি ঈমান রাখে না’।

28 ২৮
وَ قَالَ رَجُلٌ مُّؤۡمِنٌ ٭ۖ مِّنۡ اٰلِ فِرۡعَوۡنَ یَکۡتُمُ اِیۡمَانَهٗۤ اَتَقۡتُلُوۡنَ رَجُلًا اَنۡ یَّقُوۡلَ رَبِّیَ اللّٰهُ وَ قَدۡ جَآءَکُمۡ بِالۡبَیِّنٰتِ مِنۡ رَّبِّکُمۡ ؕ وَ اِنۡ یَّکُ کَاذِبًا فَعَلَیۡهِ کَذِبُهٗ ۚ وَ اِنۡ یَّکُ صَادِقًا یُّصِبۡکُمۡ بَعۡضُ الَّذِیۡ یَعِدُکُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰهَ لَا یَهۡدِیۡ مَنۡ هُوَ مُسۡرِفٌ کَذَّابٌ
وَ قَالَ رَجُلٌ مُّؤۡمِنٌ ٭ۖ مِّنۡ اٰلِ فِرۡعَوۡنَ یَکۡتُمُ اِیۡمَانَهٗۤ اَتَقۡتُلُوۡنَ رَجُلًا اَنۡ یَّقُوۡلَ رَبِّیَ اللّٰهُ وَ قَدۡ جَآءَکُمۡ بِالۡبَیِّنٰتِ مِنۡ رَّبِّکُمۡ ؕ وَ اِنۡ یَّکُ کَاذِبًا فَعَلَیۡهِ کَذِبُهٗ ۚ وَ اِنۡ یَّکُ صَادِقًا یُّصِبۡکُمۡ بَعۡضُ الَّذِیۡ یَعِدُکُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰهَ لَا یَهۡدِیۡ مَنۡ هُوَ مُسۡرِفٌ کَذَّابٌ
২৮. অনুবাদ: ‘আর ফির‘আউন বংশের এক মুমিন ব্যক্তি যে তার ঈমান গোপন রাখছিল সে বলল, ‘তোমরা কি একটি লোককে কেবল এ কারণে হত্যা করবে যে সে বলে, ‘আমার রব আল্লাহ’ অথচ সে তোমাদের রবের পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট প্রমাণ নিয়ে তোমাদের কাছে এসেছে? সে যদি মিথ্যাবাদী হয় তবে তার উপরই বর্তাবে তার মিথ্যা; আর সে যদি সত্যবাদী হয় তবে যে বিষয়ে সে তোমাদেরকে ওয়াদা দিচ্ছে তার কিছু তোমাদের উপর আপতিত হবে। নিশ্চয় আল্লাহ তাকে হিদায়াত দেন না, যে সীমালংঘনকারী, মিথ্যাবাদী’।

29 ২৯
یٰقَوۡمِ لَکُمُ الۡمُلۡکُ الۡیَوۡمَ ظٰهِرِیۡنَ فِی الۡاَرۡضِ ۫ فَمَنۡ یَّنۡصُرُنَا مِنۡۢ بَاۡسِ اللّٰهِ اِنۡ جَآءَنَا ؕ قَالَ فِرۡعَوۡنُ مَاۤ اُرِیۡکُمۡ اِلَّا مَاۤ اَرٰی وَ مَاۤ اَهۡدِیۡکُمۡ اِلَّا سَبِیۡلَ الرَّشَادِ
یٰقَوۡمِ لَکُمُ الۡمُلۡکُ الۡیَوۡمَ ظٰهِرِیۡنَ فِی الۡاَرۡضِ ۫ فَمَنۡ یَّنۡصُرُنَا مِنۡۢ بَاۡسِ اللّٰهِ اِنۡ جَآءَنَا ؕ قَالَ فِرۡعَوۡنُ مَاۤ اُرِیۡکُمۡ اِلَّا مَاۤ اَرٰی وَ مَاۤ اَهۡدِیۡکُمۡ اِلَّا سَبِیۡلَ الرَّشَادِ
২৯. অনুবাদ: ‘হে আমার কওম, আজ তোমাদের রাজত্ব; যমীনে তোমরাই কর্তৃত্বশীল; কিন্তু আল্লাহর আযাব আসলে কে আমাদেরকে সাহায্য করবে’? ফির‘আউন বলল, ‘যা আমি সঠিক মনে করি তা-ই আমি তোমাদেরকে দেখাই আর আমি তোমাদেরকে কেবল সঠিক পথই দেখাই’।

30 ৩০
وَ قَالَ الَّذِیۡۤ اٰمَنَ یٰقَوۡمِ اِنِّیۡۤ اَخَافُ عَلَیۡکُمۡ مِّثۡلَ یَوۡمِ الۡاَحۡزَابِ
وَ قَالَ الَّذِیۡۤ اٰمَنَ یٰقَوۡمِ اِنِّیۡۤ اَخَافُ عَلَیۡکُمۡ مِّثۡلَ یَوۡمِ الۡاَحۡزَابِ
৩০. অনুবাদ: আর যে ব্যক্তি ঈমান এনেছিল সে আরো বলল, ‘হে আমার সম্প্রদায়, নিশ্চয় আমি তোমাদের ব্যাপারে পূর্ববর্তী দলসমূহের দিনের অনুরূপ আশঙ্কা করি’;

31 ৩১
مِثۡلَ دَاۡبِ قَوۡمِ نُوۡحٍ وَّ عَادٍ وَّ ثَمُوۡدَ وَ الَّذِیۡنَ مِنۡۢ بَعۡدِهِمۡ ؕ وَ مَا اللّٰهُ یُرِیۡدُ ظُلۡمًا لِّلۡعِبَادِ
مِثۡلَ دَاۡبِ قَوۡمِ نُوۡحٍ وَّ عَادٍ وَّ ثَمُوۡدَ وَ الَّذِیۡنَ مِنۡۢ بَعۡدِهِمۡ ؕ وَ مَا اللّٰهُ یُرِیۡدُ ظُلۡمًا لِّلۡعِبَادِ
৩১. অনুবাদ: ‘যেমন ঘটেছিল নূহ, ‘আদ ও ছামূদ-এর কওম এবং তাদের পরবর্তীদের। আর আল্লাহ বান্দাদের উপর কোন যুলম করতে চান না।’

32 ৩২
وَ یٰقَوۡمِ اِنِّیۡۤ اَخَافُ عَلَیۡکُمۡ یَوۡمَ التَّنَادِ
وَ یٰقَوۡمِ اِنِّیۡۤ اَخَافُ عَلَیۡکُمۡ یَوۡمَ التَّنَادِ
৩২. অনুবাদ: ‘আর হে আমার কওম, আমি তোমাদের জন্য পারস্পরিক ভয়ার্ত আহবান দিনের আশঙ্কা করি’।

33 ৩৩
یَوۡمَ تُوَلُّوۡنَ مُدۡبِرِیۡنَ ۚ مَا لَکُمۡ مِّنَ اللّٰهِ مِنۡ عَاصِمٍ ۚ وَ مَنۡ یُّضۡلِلِ اللّٰهُ فَمَا لَهٗ مِنۡ هَادٍ
یَوۡمَ تُوَلُّوۡنَ مُدۡبِرِیۡنَ ۚ مَا لَکُمۡ مِّنَ اللّٰهِ مِنۡ عَاصِمٍ ۚ وَ مَنۡ یُّضۡلِلِ اللّٰهُ فَمَا لَهٗ مِنۡ هَادٍ
৩৩. অনুবাদ: ‘যেদিন তোমরা পিছনে পালাতে চাইবে আল্লাহর থেকে তোমাদেরকে রক্ষা করার জন্য কেউ থাকবে না; আর আল্লাহ যাকে বিভ্রান্ত করেন তার জন্য কোন হিদায়াতকারী নেই’।

34 ৩৪
وَ لَقَدۡ جَآءَکُمۡ یُوۡسُفُ مِنۡ قَبۡلُ بِالۡبَیِّنٰتِ فَمَا زِلۡتُمۡ فِیۡ شَکٍّ مِّمَّا جَآءَکُمۡ بِهٖ ؕ حَتّٰۤی اِذَا هَلَکَ قُلۡتُمۡ لَنۡ یَّبۡعَثَ اللّٰهُ مِنۡۢ بَعۡدِهٖ رَسُوۡلًا ؕ کَذٰلِکَ یُضِلُّ اللّٰهُ مَنۡ هُوَ مُسۡرِفٌ مُّرۡتَابُۨ
وَ لَقَدۡ جَآءَکُمۡ یُوۡسُفُ مِنۡ قَبۡلُ بِالۡبَیِّنٰتِ فَمَا زِلۡتُمۡ فِیۡ شَکٍّ مِّمَّا جَآءَکُمۡ بِهٖ ؕ حَتّٰۤی اِذَا هَلَکَ قُلۡتُمۡ لَنۡ یَّبۡعَثَ اللّٰهُ مِنۡۢ بَعۡدِهٖ رَسُوۡلًا ؕ کَذٰلِکَ یُضِلُّ اللّٰهُ مَنۡ هُوَ مُسۡرِفٌ مُّرۡتَابُۨ
৩৪. অনুবাদ: আর অবশ্যই পূর্বে তোমাদের কাছে সুস্পষ্ট প্রমাণাদিসহ ইউসুফ এসেছিল, সে যা নিয়ে তোমাদের কাছে এসেছিল তা নিয়ে তোমরা সন্দেহে স্থির ছিলে; এমনকি যখন সে মারা গেল তখন তোমরা বললে, ‘আল্লাহ তার পরে কখনো কোন রাসূল পাঠাবেন না’। যে সীমালংঘনকারী, সংশয়বাদী, আল্লাহ তাকে এভাবেই পথভ্রষ্ট করেন।

35 ৩৫
الَّذِیۡنَ یُجَادِلُوۡنَ فِیۡۤ اٰیٰتِ اللّٰهِ بِغَیۡرِ سُلۡطٰنٍ اَتٰهُمۡ ؕ کَبُرَ مَقۡتًا عِنۡدَ اللّٰهِ وَ عِنۡدَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا ؕ کَذٰلِکَ یَطۡبَعُ اللّٰهُ عَلٰی کُلِّ قَلۡبِ مُتَکَبِّرٍ جَبَّارٍ
الَّذِیۡنَ یُجَادِلُوۡنَ فِیۡۤ اٰیٰتِ اللّٰهِ بِغَیۡرِ سُلۡطٰنٍ اَتٰهُمۡ ؕ کَبُرَ مَقۡتًا عِنۡدَ اللّٰهِ وَ عِنۡدَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا ؕ کَذٰلِکَ یَطۡبَعُ اللّٰهُ عَلٰی کُلِّ قَلۡبِ مُتَکَبِّرٍ جَبَّارٍ
৩৫. অনুবাদ: যারা নিজদের কাছে আগত কোন দলীল-প্রমাণ ছাড়া আল্লাহর নিদর্শনাবলী সম্পর্কে বিতর্কে লিপ্ত হয়। তাদের এ কাজ আল্লাহ ও মুমিনদের দৃষ্টিতে অতিশয় ঘৃণার্হ। এভাবেই আল্লাহ প্রত্যেক অহঙ্কারী স্বৈরাচারীর অন্তরে সীল মেরে দেন।

36 ৩৬
وَ قَالَ فِرۡعَوۡنُ یٰهَامٰنُ ابۡنِ لِیۡ صَرۡحًا لَّعَلِّیۡۤ اَبۡلُغُ الۡاَسۡبَابَ
وَ قَالَ فِرۡعَوۡنُ یٰهَامٰنُ ابۡنِ لِیۡ صَرۡحًا لَّعَلِّیۡۤ اَبۡلُغُ الۡاَسۡبَابَ
৩৬. অনুবাদ: ফির‘আউন আরও বলল, ‘হে হামান, আমার জন্য একটি উঁচু ইমারত বানাও যাতে আমি অবলম্বন পাই’।

37 ৩৭
اَسۡبَابَ السَّمٰوٰتِ فَاَطَّلِعَ اِلٰۤی اِلٰهِ مُوۡسٰی وَ اِنِّیۡ لَاَظُنُّهٗ کَاذِبًا ؕ وَ کَذٰلِکَ زُیِّنَ لِفِرۡعَوۡنَ سُوۡٓءُ عَمَلِهٖ وَ صُدَّ عَنِ السَّبِیۡلِ ؕ وَ مَا کَیۡدُ فِرۡعَوۡنَ اِلَّا فِیۡ تَبَابٍ
اَسۡبَابَ السَّمٰوٰتِ فَاَطَّلِعَ اِلٰۤی اِلٰهِ مُوۡسٰی وَ اِنِّیۡ لَاَظُنُّهٗ کَاذِبًا ؕ وَ کَذٰلِکَ زُیِّنَ لِفِرۡعَوۡنَ سُوۡٓءُ عَمَلِهٖ وَ صُدَّ عَنِ السَّبِیۡلِ ؕ وَ مَا کَیۡدُ فِرۡعَوۡنَ اِلَّا فِیۡ تَبَابٍ
৩৭. অনুবাদ: ‘আসমানে আরোহরণের অবলম্বন, যাতে আমি মূসার ইলাহকে দেখতে পাই, আর আমি কেবল তাকে মিথ্যাবাদী মনে করি’। আর এভাবে ফির‘আউনের কাছে তার মন্দ কাজ শোভিত করে দেয়া হয়েছিল এবং তাকে বাধা দেয়া হয়েছিল সৎপথ থেকে। আর ফির‘আউনের ষড়যন্ত্র কেবল ব্যর্থই হয়েছিল।

38 ৩৮
وَ قَالَ الَّذِیۡۤ اٰمَنَ یٰقَوۡمِ اتَّبِعُوۡنِ اَهۡدِکُمۡ سَبِیۡلَ الرَّشَادِ
وَ قَالَ الَّذِیۡۤ اٰمَنَ یٰقَوۡمِ اتَّبِعُوۡنِ اَهۡدِکُمۡ سَبِیۡلَ الرَّشَادِ
৩৮. অনুবাদ: আর যে ব্যক্তি ঈমান এনেছিল, সে বলল, ‘হে আমার কওম, তোমরা আমার আনুগত্য কর; আমি তোমাদেরকে সঠিক পথ দেখাব’।

39 ৩৯
یٰقَوۡمِ اِنَّمَا هٰذِهِ الۡحَیٰوۃُ الدُّنۡیَا مَتَاعٌ ۫ وَّ اِنَّ الۡاٰخِرَۃَ هِیَ دَارُ الۡقَرَارِ
یٰقَوۡمِ اِنَّمَا هٰذِهِ الۡحَیٰوۃُ الدُّنۡیَا مَتَاعٌ ۫ وَّ اِنَّ الۡاٰخِرَۃَ هِیَ دَارُ الۡقَرَارِ
৩৯. অনুবাদ: ‘হে আমার কওম, এ দুনিয়ার জীবন কেবল ক্ষণকালের ভোগ; আর নিশ্চয় আখিরাতই হল স্থায়ী আবাস’।

40 ৪০
مَنۡ عَمِلَ سَیِّئَۃً فَلَا یُجۡزٰۤی اِلَّا مِثۡلَهَا ۚ وَ مَنۡ عَمِلَ صَالِحًا مِّنۡ ذَکَرٍ اَوۡ اُنۡثٰی وَ هُوَ مُؤۡمِنٌ فَاُولٰٓئِکَ یَدۡخُلُوۡنَ الۡجَنَّۃَ یُرۡزَقُوۡنَ فِیۡهَا بِغَیۡرِ حِسَابٍ
مَنۡ عَمِلَ سَیِّئَۃً فَلَا یُجۡزٰۤی اِلَّا مِثۡلَهَا ۚ وَ مَنۡ عَمِلَ صَالِحًا مِّنۡ ذَکَرٍ اَوۡ اُنۡثٰی وَ هُوَ مُؤۡمِنٌ فَاُولٰٓئِکَ یَدۡخُلُوۡنَ الۡجَنَّۃَ یُرۡزَقُوۡنَ فِیۡهَا بِغَیۡرِ حِسَابٍ
৪০. অনুবাদ: ‘কেউ পাপ কাজ করলে তাকে শুধু পাপের সমান প্রতিদান দেয়া হবে আর যে পুরুষ অথবা নারী মুমিন হয়ে সৎকাজ করবে, তবে তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে, সেখানে তাদেরকে অগণিত রিয্ক দেয়া হবে।’

41 ৪১
وَ یٰقَوۡمِ مَا لِیۡۤ اَدۡعُوۡکُمۡ اِلَی النَّجٰوۃِ وَ تَدۡعُوۡنَنِیۡۤ اِلَی النَّارِ
وَ یٰقَوۡمِ مَا لِیۡۤ اَدۡعُوۡکُمۡ اِلَی النَّجٰوۃِ وَ تَدۡعُوۡنَنِیۡۤ اِلَی النَّارِ
৪১. অনুবাদ: ‘আর হে আমার কওম, আমার কী হল যে, আমি তোমাদেরকে মুক্তির দিকে ডাকছি আর তোমরা আমাকে ডাকছ আগুনের দিকে!’

42 ৪২
تَدۡعُوۡنَنِیۡ لِاَکۡفُرَ بِاللّٰهِ وَ اُشۡرِکَ بِهٖ مَا لَیۡسَ لِیۡ بِهٖ عِلۡمٌ ۫ وَّ اَنَا اَدۡعُوۡکُمۡ اِلَی الۡعَزِیۡزِ الۡغَفَّارِ
تَدۡعُوۡنَنِیۡ لِاَکۡفُرَ بِاللّٰهِ وَ اُشۡرِکَ بِهٖ مَا لَیۡسَ لِیۡ بِهٖ عِلۡمٌ ۫ وَّ اَنَا اَدۡعُوۡکُمۡ اِلَی الۡعَزِیۡزِ الۡغَفَّارِ
৪২. অনুবাদ: ‘তোমরা আমাকে ডাকছ আমি যেন আল্লাহর সাথে কুফরী করি, তাঁর সাথে শরীক করি যে ব্যাপারে আমার কোন জ্ঞান নেই; আর আমি তোমাদেরকে ডাকছি মহাপরাক্রমশালী ও পরম ক্ষমাশীলের দিকে।’

43 ৪৩
لَا جَرَمَ اَنَّمَا تَدۡعُوۡنَنِیۡۤ اِلَیۡهِ لَیۡسَ لَهٗ دَعۡوَۃٌ فِی الدُّنۡیَا وَ لَا فِی الۡاٰخِرَۃِ وَ اَنَّ مَرَدَّنَاۤ اِلَی اللّٰهِ وَ اَنَّ الۡمُسۡرِفِیۡنَ هُمۡ اَصۡحٰبُ النَّارِ
لَا جَرَمَ اَنَّمَا تَدۡعُوۡنَنِیۡۤ اِلَیۡهِ لَیۡسَ لَهٗ دَعۡوَۃٌ فِی الدُّنۡیَا وَ لَا فِی الۡاٰخِرَۃِ وَ اَنَّ مَرَدَّنَاۤ اِلَی اللّٰهِ وَ اَنَّ الۡمُسۡرِفِیۡنَ هُمۡ اَصۡحٰبُ النَّارِ
৪৩. অনুবাদ: ‘এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই যে, যার দিকে তোমরা আমাকে ডাকছ, সে দুনিয়া বা আখিরাতে কারো ডাকের যোগ্য নয়। আর আমাদের প্রত্যাবর্তন হবে আল্লাহর দিকে এবং নিশ্চয় সীমালংঘনকারীরা হবে আগুনের সাথী’।

44 ৪৪
فَسَتَذۡکُرُوۡنَ مَاۤ اَقُوۡلُ لَکُمۡ ؕ وَ اُفَوِّضُ اَمۡرِیۡۤ اِلَی اللّٰهِ ؕ اِنَّ اللّٰهَ بَصِیۡرٌۢ بِالۡعِبَادِ
فَسَتَذۡکُرُوۡنَ مَاۤ اَقُوۡلُ لَکُمۡ ؕ وَ اُفَوِّضُ اَمۡرِیۡۤ اِلَی اللّٰهِ ؕ اِنَّ اللّٰهَ بَصِیۡرٌۢ بِالۡعِبَادِ
৪৪. অনুবাদ: ‘আমি তোমাদেরকে যা বলছি, অচিরেই তোমরা তা স্মরণ করবে। আর আমার বিষয়টি আমি আল্লাহর নিকট সমর্পণ করছি; নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর বান্দাদের ব্যাপারে সর্বদ্রষ্টা।’

45 ৪৫
فَوَقٰىهُ اللّٰهُ سَیِّاٰتِ مَا مَکَرُوۡا وَ حَاقَ بِاٰلِ فِرۡعَوۡنَ سُوۡٓءُ الۡعَذَابِ
فَوَقٰىهُ اللّٰهُ سَیِّاٰتِ مَا مَکَرُوۡا وَ حَاقَ بِاٰلِ فِرۡعَوۡنَ سُوۡٓءُ الۡعَذَابِ
৪৫. অনুবাদ: অতঃপর তাদের ষড়যন্ত্রের অশুভ পরিণাম থেকে আল্লাহ তাকে রক্ষা করলেন আর ফির‘আউনের অনুসারীদেরকে ঘিরে ফেলল কঠিন আযাব।

46 ৪৬
اَلنَّارُ یُعۡرَضُوۡنَ عَلَیۡهَا غُدُوًّا وَّ عَشِیًّا ۚ وَ یَوۡمَ تَقُوۡمُ السَّاعَۃُ ۟ اَدۡخِلُوۡۤا اٰلَ فِرۡعَوۡنَ اَشَدَّ الۡعَذَابِ
اَلنَّارُ یُعۡرَضُوۡنَ عَلَیۡهَا غُدُوًّا وَّ عَشِیًّا ۚ وَ یَوۡمَ تَقُوۡمُ السَّاعَۃُ ۟ اَدۡخِلُوۡۤا اٰلَ فِرۡعَوۡنَ اَشَدَّ الۡعَذَابِ
৪৬. অনুবাদ: আগুন, তাদেরকে সকাল-সন্ধ্যায় তার সামনে উপস্থিত করা হয়, আর যেদিন কিয়ামত সংঘটিত হবে (সেদিন ঘোষণা করা হবে), ‘ফির‘আউনের অনুসারীদেরকে কঠোরতম আযাবে প্রবেশ করাও।’

47 ৪৭
وَ اِذۡ یَتَحَآجُّوۡنَ فِی النَّارِ فَیَقُوۡلُ الضُّعَفٰٓؤُا لِلَّذِیۡنَ اسۡتَکۡبَرُوۡۤا اِنَّا کُنَّا لَکُمۡ تَبَعًا فَهَلۡ اَنۡتُمۡ مُّغۡنُوۡنَ عَنَّا نَصِیۡبًا مِّنَ النَّارِ
وَ اِذۡ یَتَحَآجُّوۡنَ فِی النَّارِ فَیَقُوۡلُ الضُّعَفٰٓؤُا لِلَّذِیۡنَ اسۡتَکۡبَرُوۡۤا اِنَّا کُنَّا لَکُمۡ تَبَعًا فَهَلۡ اَنۡتُمۡ مُّغۡنُوۡنَ عَنَّا نَصِیۡبًا مِّنَ النَّارِ
৪৭. অনুবাদ: আর জাহান্নামে তারা যখন বাদানুবাদে লিপ্ত হবে তখন দুর্বলরা, যারা অহঙ্কার করেছিল, তাদেরকে বলবে, ‘আমরা তো তোমাদের অনুসারী ছিলাম, অতএব তোমরা কি আমাদের থেকে আগুনের কিয়দংশ বহন করবে’?

48 ৪৮
قَالَ الَّذِیۡنَ اسۡتَکۡبَرُوۡۤا اِنَّا کُلٌّ فِیۡهَاۤ ۙ اِنَّ اللّٰهَ قَدۡ حَکَمَ بَیۡنَ الۡعِبَادِ
قَالَ الَّذِیۡنَ اسۡتَکۡبَرُوۡۤا اِنَّا کُلٌّ فِیۡهَاۤ ۙ اِنَّ اللّٰهَ قَدۡ حَکَمَ بَیۡنَ الۡعِبَادِ
৪৮. অনুবাদ: অহঙ্কারীরা বলবে, ‘আমরা সবাই এতে আছি; নিশ্চয় আল্লাহ বান্দাদের মধ্যে ফয়সালা করে ফেলেছেন।’

49 ৪৯
وَ قَالَ الَّذِیۡنَ فِی النَّارِ لِخَزَنَۃِ جَهَنَّمَ ادۡعُوۡا رَبَّکُمۡ یُخَفِّفۡ عَنَّا یَوۡمًا مِّنَ الۡعَذَابِ
وَ قَالَ الَّذِیۡنَ فِی النَّارِ لِخَزَنَۃِ جَهَنَّمَ ادۡعُوۡا رَبَّکُمۡ یُخَفِّفۡ عَنَّا یَوۡمًا مِّنَ الۡعَذَابِ
৪৯. অনুবাদ: আর যারা আগুনে থাকবে তারা আগুনের দারোয়ানদেরকে বলবে, ‘তোমাদের রবকে একটু ডাকো না! তিনি যেন একটি দিন আমাদের আযাব লাঘব করে দেন।’

50 ৫০
قَالُوۡۤا اَوَ لَمۡ تَکُ تَاۡتِیۡکُمۡ رُسُلُکُمۡ بِالۡبَیِّنٰتِ ؕ قَالُوۡا بَلٰی ؕ قَالُوۡا فَادۡعُوۡا ۚ وَ مَا دُعٰٓؤُا الۡکٰفِرِیۡنَ اِلَّا فِیۡ ضَلٰلٍ
قَالُوۡۤا اَوَ لَمۡ تَکُ تَاۡتِیۡکُمۡ رُسُلُکُمۡ بِالۡبَیِّنٰتِ ؕ قَالُوۡا بَلٰی ؕ قَالُوۡا فَادۡعُوۡا ۚ وَ مَا دُعٰٓؤُا الۡکٰفِرِیۡنَ اِلَّا فِیۡ ضَلٰلٍ
৫০. অনুবাদ: তারা বলবে, ‘তোমাদের কাছে কি সুস্পষ্ট প্রমাণাদিসহ তোমাদের রাসূলগণ আসেনি’? জাহান্নামীরা বলবে, ‘হ্যাঁ অবশ্যই’। দারোয়ানরা বলবে, ‘তবে তোমরাই দো‘আ কর। আর কাফিরদের দো‘আ কেবল নিষ্ফলই হয়’।

51 ৫১
اِنَّا لَنَنۡصُرُ رُسُلَنَا وَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا فِی الۡحَیٰوۃِ الدُّنۡیَا وَ یَوۡمَ یَقُوۡمُ الۡاَشۡهَادُ
اِنَّا لَنَنۡصُرُ رُسُلَنَا وَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا فِی الۡحَیٰوۃِ الدُّنۡیَا وَ یَوۡمَ یَقُوۡمُ الۡاَشۡهَادُ
৫১. অনুবাদ: নিশ্চয় আমি আমার রাসূলদেরকে ও মুমিনদেরকে দুনিয়ার জীবনে এবং যেদিন সাক্ষীগণ দন্ডায়মান হবে সেদিন সাহায্য করব।

52 ৫২
یَوۡمَ لَا یَنۡفَعُ الظّٰلِمِیۡنَ مَعۡذِرَتُهُمۡ وَ لَهُمُ اللَّعۡنَۃُ وَ لَهُمۡ سُوۡٓءُ الدَّارِ
یَوۡمَ لَا یَنۡفَعُ الظّٰلِمِیۡنَ مَعۡذِرَتُهُمۡ وَ لَهُمُ اللَّعۡنَۃُ وَ لَهُمۡ سُوۡٓءُ الدَّارِ
৫২. অনুবাদ: যেদিন যালিমদের কোন ওযর-আপত্তি তাদের উপকার করবে না। আর তাদের জন্য রয়েছে লা‘নত এবং তাদের জন্য রয়েছে নিকৃষ্ট নিবাস।

53 ৫৩
وَ لَقَدۡ اٰتَیۡنَا مُوۡسَی الۡهُدٰی وَ اَوۡرَثۡنَا بَنِیۡۤ اِسۡرَآءِیۡلَ الۡکِتٰبَ
وَ لَقَدۡ اٰتَیۡنَا مُوۡسَی الۡهُدٰی وَ اَوۡرَثۡنَا بَنِیۡۤ اِسۡرَآءِیۡلَ الۡکِتٰبَ
৫৩. অনুবাদ: আর অবশ্যই আমি মূসাকে হিদায়াত দান করেছিলাম এবং বনী ইসরাঈলকে কিতাবের উত্তরাধিকারী করেছিলাম,

54 ৫৪
هُدًی وَّ ذِکۡرٰی لِاُولِی الۡاَلۡبَابِ
هُدًی وَّ ذِکۡرٰی لِاُولِی الۡاَلۡبَابِ
৫৪. অনুবাদ: যা জ্ঞান-বুদ্ধিসম্পন্নদের জন্য হিদায়াত ও উপদেশ।

55 ৫৫
فَاصۡبِرۡ اِنَّ وَعۡدَ اللّٰهِ حَقٌّ وَّ اسۡتَغۡفِرۡ لِذَنۡۢبِکَ وَ سَبِّحۡ بِحَمۡدِ رَبِّکَ بِالۡعَشِیِّ وَ الۡاِبۡکَارِ
فَاصۡبِرۡ اِنَّ وَعۡدَ اللّٰهِ حَقٌّ وَّ اسۡتَغۡفِرۡ لِذَنۡۢبِکَ وَ سَبِّحۡ بِحَمۡدِ رَبِّکَ بِالۡعَشِیِّ وَ الۡاِبۡکَارِ
৫৫. অনুবাদ: কাজেই তুমি ধৈর্য ধারণ কর, নিশ্চয় আল্লাহর ওয়াদা সত্য। আর তুমি তোমার ত্রুটির জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর এবং সকাল- সন্ধ্যায় তোমার রবের প্রশংসাসহ তাসবীহ পাঠ কর।

56 ৫৬
اِنَّ الَّذِیۡنَ یُجَادِلُوۡنَ فِیۡۤ اٰیٰتِ اللّٰهِ بِغَیۡرِ سُلۡطٰنٍ اَتٰهُمۡ ۙ اِنۡ فِیۡ صُدُوۡرِهِمۡ اِلَّا کِبۡرٌ مَّا هُمۡ بِبَالِغِیۡهِ ۚ فَاسۡتَعِذۡ بِاللّٰهِ ؕ اِنَّهٗ هُوَ السَّمِیۡعُ الۡبَصِیۡرُ
اِنَّ الَّذِیۡنَ یُجَادِلُوۡنَ فِیۡۤ اٰیٰتِ اللّٰهِ بِغَیۡرِ سُلۡطٰنٍ اَتٰهُمۡ ۙ اِنۡ فِیۡ صُدُوۡرِهِمۡ اِلَّا کِبۡرٌ مَّا هُمۡ بِبَالِغِیۡهِ ۚ فَاسۡتَعِذۡ بِاللّٰهِ ؕ اِنَّهٗ هُوَ السَّمِیۡعُ الۡبَصِیۡرُ
৫৬. অনুবাদ: নিশ্চয় যারা তাদের নিকট আসা কোন দলীল- প্রমাণ ছাড়াই আল্লাহর নিদর্শনাবলী সম্পর্কে বিতর্ক করে, তাদের অন্তরসমূহে আছে কেবল অহঙ্কার, তারা কিছুতেই সেখানে (সাফল্যের মনযিলে) পৌঁছবে না। কাজেই তুমি আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাও, নিশ্চয় তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।

57 ৫৭
لَخَلۡقُ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ اَکۡبَرُ مِنۡ خَلۡقِ النَّاسِ وَ لٰکِنَّ اَکۡثَرَ النَّاسِ لَا یَعۡلَمُوۡنَ
لَخَلۡقُ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ اَکۡبَرُ مِنۡ خَلۡقِ النَّاسِ وَ لٰکِنَّ اَکۡثَرَ النَّاسِ لَا یَعۡلَمُوۡنَ
৫৭. অনুবাদ: অবশ্যই আসমানসমূহ ও যমীন সৃষ্টি করা মানুষ সৃষ্টি করার চেয়ে বড় বিষয়; কিন্তু অধিকাংশ মানুষই তা জানে না।

58 ৫৮
وَ مَا یَسۡتَوِی الۡاَعۡمٰی وَ الۡبَصِیۡرُ ۬ۙ وَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ وَ لَا الۡمُسِیۡٓءُ ؕ قَلِیۡلًا مَّا تَتَذَکَّرُوۡنَ
وَ مَا یَسۡتَوِی الۡاَعۡمٰی وَ الۡبَصِیۡرُ ۬ۙ وَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ وَ لَا الۡمُسِیۡٓءُ ؕ قَلِیۡلًا مَّا تَتَذَکَّرُوۡنَ
৫৮. অনুবাদ: আর সমান হয় না অন্ধ ও দৃষ্টিশক্তিসম্পন্ন ব্যক্তি এবং যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, আর যারা অপরাধী। তোমরা খুব সামান্যই উপদেশ গ্রহণ করে থাক।

59 ৫৯
اِنَّ السَّاعَۃَ لَاٰتِیَۃٌ لَّا رَیۡبَ فِیۡهَا وَ لٰکِنَّ اَکۡثَرَ النَّاسِ لَا یُؤۡمِنُوۡنَ
اِنَّ السَّاعَۃَ لَاٰتِیَۃٌ لَّا رَیۡبَ فِیۡهَا وَ لٰکِنَّ اَکۡثَرَ النَّاسِ لَا یُؤۡمِنُوۡنَ
৫৯. অনুবাদ: নিশ্চয় কিয়ামত আসবেই, এতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু অধিকাংশ লোক ঈমান আনে না।

60 ৬০
وَ قَالَ رَبُّکُمُ ادۡعُوۡنِیۡۤ اَسۡتَجِبۡ لَکُمۡ ؕ اِنَّ الَّذِیۡنَ یَسۡتَکۡبِرُوۡنَ عَنۡ عِبَادَتِیۡ سَیَدۡخُلُوۡنَ جَهَنَّمَ دٰخِرِیۡنَ
وَ قَالَ رَبُّکُمُ ادۡعُوۡنِیۡۤ اَسۡتَجِبۡ لَکُمۡ ؕ اِنَّ الَّذِیۡنَ یَسۡتَکۡبِرُوۡنَ عَنۡ عِبَادَتِیۡ سَیَدۡخُلُوۡنَ جَهَنَّمَ دٰخِرِیۡنَ
৬০. অনুবাদ: আর তোমাদের রব বলেছেন, ‘তোমরা আমাকে ডাক, আমি তোমাদের জন্য সাড়া দেব। নিশ্চয় যারা অহঙ্কার বশতঃ আমার ইবাদাত থেকে বিমুখ থাকে, তারা অচিরেই লাঞ্ছিত অবস্থায় জাহান্নামে প্রবেশ করবে।’

61 ৬১
اَللّٰهُ الَّذِیۡ جَعَلَ لَکُمُ الَّیۡلَ لِتَسۡکُنُوۡا فِیۡهِ وَ النَّهَارَ مُبۡصِرًا ؕ اِنَّ اللّٰهَ لَذُوۡ فَضۡلٍ عَلَی النَّاسِ وَ لٰکِنَّ اَکۡثَرَ النَّاسِ لَا یَشۡکُرُوۡنَ
اَللّٰهُ الَّذِیۡ جَعَلَ لَکُمُ الَّیۡلَ لِتَسۡکُنُوۡا فِیۡهِ وَ النَّهَارَ مُبۡصِرًا ؕ اِنَّ اللّٰهَ لَذُوۡ فَضۡلٍ عَلَی النَّاسِ وَ لٰکِنَّ اَکۡثَرَ النَّاسِ لَا یَشۡکُرُوۡنَ
৬১. অনুবাদ: আল্লাহ, যিনি তোমাদের জন্য রাত বানিয়েছেন যাতে তোমরা তাতে বিশ্রাম করতে পার এবং দিনকে করেছেন আলোকোজ্জ্বল। নিশ্চয় আল্লাহ মানুষের প্রতি বড়ই অনুগ্রহশীল; কিন্তু অধিকাংশ মানুষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না।

62 ৬২
ذٰلِکُمُ اللّٰهُ رَبُّکُمۡ خَالِقُ کُلِّ شَیۡءٍ ۘ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ ۫ۚ فَاَنّٰی تُؤۡفَکُوۡنَ
ذٰلِکُمُ اللّٰهُ رَبُّکُمۡ خَالِقُ کُلِّ شَیۡءٍ ۘ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ ۫ۚ فَاَنّٰی تُؤۡفَکُوۡنَ
৬২. অনুবাদ: তিনি আল্লাহ, তোমাদের রব; সব কিছুর সৃষ্টিকর্তা, তিনি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই। সুতরাং তোমাদেরকে কোথায় ফিরিয়ে নেয়া হচ্ছে?

63 ৬৩
کَذٰلِکَ یُؤۡفَکُ الَّذِیۡنَ کَانُوۡا بِاٰیٰتِ اللّٰهِ یَجۡحَدُوۡنَ
کَذٰلِکَ یُؤۡفَکُ الَّذِیۡنَ کَانُوۡا بِاٰیٰتِ اللّٰهِ یَجۡحَدُوۡنَ
৬৩. অনুবাদ: যারা আল্লাহর নিদর্শনাবলীকে অস্বীকার করে, তাদেরকে এভাবেই ফিরিয়ে নেয়া হয়।

64 ৬৪
اَللّٰهُ الَّذِیۡ جَعَلَ لَکُمُ الۡاَرۡضَ قَرَارًا وَّ السَّمَآءَ بِنَآءً وَّ صَوَّرَکُمۡ فَاَحۡسَنَ صُوَرَکُمۡ وَ رَزَقَکُمۡ مِّنَ الطَّیِّبٰتِ ؕ ذٰلِکُمُ اللّٰهُ رَبُّکُمۡ ۚۖ فَتَبٰرَکَ اللّٰهُ رَبُّ الۡعٰلَمِیۡنَ
اَللّٰهُ الَّذِیۡ جَعَلَ لَکُمُ الۡاَرۡضَ قَرَارًا وَّ السَّمَآءَ بِنَآءً وَّ صَوَّرَکُمۡ فَاَحۡسَنَ صُوَرَکُمۡ وَ رَزَقَکُمۡ مِّنَ الطَّیِّبٰتِ ؕ ذٰلِکُمُ اللّٰهُ رَبُّکُمۡ ۚۖ فَتَبٰرَکَ اللّٰهُ رَبُّ الۡعٰلَمِیۡنَ
৬৪. অনুবাদ: আল্লাহ, যিনি তোমাদের জন্য যমীনকে স্থিতিশীল করেছেন এবং আসমানকে করেছেন ছাদ। আর তিনি তোমাদেরকে আকৃতি দিয়েছেন, অতঃপর তোমাদের আকৃতিকে সুন্দর করেছেন এবং তিনি পবিত্র বস্তু থেকে তোমাদেরকে রিয্ক দান করেছেন। তিনিই আল্লাহ, তোমাদের রব। সুতরাং সৃষ্টিকুলের রব আল্লাহ কত বরকতময়;

65 ৬৫
هُوَ الۡحَیُّ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ فَادۡعُوۡهُ مُخۡلِصِیۡنَ لَهُ الدِّیۡنَ ؕ اَلۡحَمۡدُ لِلّٰهِ رَبِّ الۡعٰلَمِیۡنَ
هُوَ الۡحَیُّ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ فَادۡعُوۡهُ مُخۡلِصِیۡنَ لَهُ الدِّیۡنَ ؕ اَلۡحَمۡدُ لِلّٰهِ رَبِّ الۡعٰلَمِیۡنَ
৬৫. অনুবাদ: তিনি চিরঞ্জীব, তিনি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই। সুতরাং তোমরা দীনকে তাঁর জন্য একনিষ্ঠ করে তাঁকে ডাক। সকল প্রশংসা আল্লাহর যিনি সৃষ্টিকুলের রব।

66 ৬৬
قُلۡ اِنِّیۡ نُهِیۡتُ اَنۡ اَعۡبُدَ الَّذِیۡنَ تَدۡعُوۡنَ مِنۡ دُوۡنِ اللّٰهِ لَمَّا جَآءَنِیَ الۡبَیِّنٰتُ مِنۡ رَّبِّیۡ ۫ وَ اُمِرۡتُ اَنۡ اُسۡلِمَ لِرَبِّ الۡعٰلَمِیۡنَ
قُلۡ اِنِّیۡ نُهِیۡتُ اَنۡ اَعۡبُدَ الَّذِیۡنَ تَدۡعُوۡنَ مِنۡ دُوۡنِ اللّٰهِ لَمَّا جَآءَنِیَ الۡبَیِّنٰتُ مِنۡ رَّبِّیۡ ۫ وَ اُمِرۡتُ اَنۡ اُسۡلِمَ لِرَبِّ الۡعٰلَمِیۡنَ
৬৬. অনুবাদ: বল, ‘যেহেতু আমার রবের পক্ষ থেকে আমার কাছে সুস্পষ্ট প্রমাণাদি এসেছে, তাই তোমরা আল্লাহ ছাড়া যাদেরকে আহবান কর, নিশ্চয় তাদের ইবাদাত করতে আমাকে নিষেধ করা হয়েছে। আর সৃষ্টিকুলের রবের নিকট আত্মসমর্পণ করতে আমি আদিষ্ট হয়েছি’।

67 ৬৭
هُوَ الَّذِیۡ خَلَقَکُمۡ مِّنۡ تُرَابٍ ثُمَّ مِنۡ نُّطۡفَۃٍ ثُمَّ مِنۡ عَلَقَۃٍ ثُمَّ یُخۡرِجُکُمۡ طِفۡلًا ثُمَّ لِتَبۡلُغُوۡۤا اَشُدَّکُمۡ ثُمَّ لِتَکُوۡنُوۡا شُیُوۡخًا ۚ وَ مِنۡکُمۡ مَّنۡ یُّتَوَفّٰی مِنۡ قَبۡلُ وَ لِتَبۡلُغُوۡۤا اَجَلًا مُّسَمًّی وَّ لَعَلَّکُمۡ تَعۡقِلُوۡنَ
هُوَ الَّذِیۡ خَلَقَکُمۡ مِّنۡ تُرَابٍ ثُمَّ مِنۡ نُّطۡفَۃٍ ثُمَّ مِنۡ عَلَقَۃٍ ثُمَّ یُخۡرِجُکُمۡ طِفۡلًا ثُمَّ لِتَبۡلُغُوۡۤا اَشُدَّکُمۡ ثُمَّ لِتَکُوۡنُوۡا شُیُوۡخًا ۚ وَ مِنۡکُمۡ مَّنۡ یُّتَوَفّٰی مِنۡ قَبۡلُ وَ لِتَبۡلُغُوۡۤا اَجَلًا مُّسَمًّی وَّ لَعَلَّکُمۡ تَعۡقِلُوۡنَ
৬৭. অনুবাদ: তিনিই তোমাদেরকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন। তারপর শুক্রবিন্দু থেকে, তারপর ‘আলাকা’* থেকে। অতঃপর তিনি তোমাদেরকে শিশুরূপে বের করে আনেন। তারপর যেন তোমরা তোমাদের যৌবনে পদার্পণ কর, অতঃপর যেন তোমরা বৃদ্ধ হয়ে যাও। আর তোমাদের কেউ কেউ এর পূর্বেই মারা যায়। আর যাতে তোমরা নির্ধারিত সময়ে পৌঁছে যাও। আর যাতে তোমরা অনুধাবন কর।

68 ৬৮
هُوَ الَّذِیۡ یُحۡیٖ وَ یُمِیۡتُ ۚ فَاِذَا قَضٰۤی اَمۡرًا فَاِنَّمَا یَقُوۡلُ لَهٗ کُنۡ فَیَکُوۡنُ
هُوَ الَّذِیۡ یُحۡیٖ وَ یُمِیۡتُ ۚ فَاِذَا قَضٰۤی اَمۡرًا فَاِنَّمَا یَقُوۡلُ لَهٗ کُنۡ فَیَکُوۡنُ
৬৮. অনুবাদ: তিনিই জীবন দান করেন এবং মৃত্যু দেন। আর তিনি যখন কোন কিছু করার সিদ্ধান্ত নেন, তখন তিনি এজন্য বলেন ‘হও’, ফলে তা হয়ে যায়।

69 ৬৯
اَلَمۡ تَرَ اِلَی الَّذِیۡنَ یُجَادِلُوۡنَ فِیۡۤ اٰیٰتِ اللّٰهِ ؕ اَنّٰی یُصۡرَفُوۡنَ
اَلَمۡ تَرَ اِلَی الَّذِیۡنَ یُجَادِلُوۡنَ فِیۡۤ اٰیٰتِ اللّٰهِ ؕ اَنّٰی یُصۡرَفُوۡنَ
৬৯. অনুবাদ: তুমি কি তাদের প্রতি লক্ষ্য করনি যারা আল্লাহর নিদর্শনাবলী সম্পর্কে বাকবিতন্ডা করে? তাদেরকে কোথায় ফিরানো হচ্ছে?

70 ৭০
الَّذِیۡنَ کَذَّبُوۡا بِالۡکِتٰبِ وَ بِمَاۤ اَرۡسَلۡنَا بِهٖ رُسُلَنَا ۟ۛ فَسَوۡفَ یَعۡلَمُوۡنَ
الَّذِیۡنَ کَذَّبُوۡا بِالۡکِتٰبِ وَ بِمَاۤ اَرۡسَلۡنَا بِهٖ رُسُلَنَا ۟ۛ فَسَوۡفَ یَعۡلَمُوۡنَ
৭০. অনুবাদ: যারা কিতাব এবং আমার রাসূলগণকে যা দিয়ে আমি প্রেরণ করেছি তা অস্বীকার করে, অতএব তারা শীঘ্রই জানতে পারবে।

71 ৭১
اِذِ الۡاَغۡلٰلُ فِیۡۤ اَعۡنَاقِهِمۡ وَ السَّلٰسِلُ ؕ یُسۡحَبُوۡنَ
اِذِ الۡاَغۡلٰلُ فِیۡۤ اَعۡنَاقِهِمۡ وَ السَّلٰسِلُ ؕ یُسۡحَبُوۡنَ
৭১. অনুবাদ: যখন তাদের গলদেশে বেড়ী ও শিকল থাকবে, তাদেরকে টেনে নিয়ে যাওয়া হবে-

72 ৭২
فِی الۡحَمِیۡمِ ۬ۙ ثُمَّ فِی النَّارِ یُسۡجَرُوۡنَ
فِی الۡحَمِیۡمِ ۬ۙ ثُمَّ فِی النَّارِ یُسۡجَرُوۡنَ
৭২. অনুবাদ: ফুটন্ত পানিতে, অতঃপর তাদেরকে আগুনে পোড়ানো হবে।

73 ৭৩
ثُمَّ قِیۡلَ لَهُمۡ اَیۡنَ مَا کُنۡتُمۡ تُشۡرِکُوۡنَ
ثُمَّ قِیۡلَ لَهُمۡ اَیۡنَ مَا کُنۡتُمۡ تُشۡرِکُوۡنَ
৭৩. অনুবাদ: তারপর তাদেরকে বলা হবে, ‘কোথায় তারা, যাদেরকে তোমরা শরীক করতে-

74 ৭৪
مِنۡ دُوۡنِ اللّٰهِ ؕ قَالُوۡا ضَلُّوۡا عَنَّا بَلۡ لَّمۡ نَکُنۡ نَّدۡعُوۡا مِنۡ قَبۡلُ شَیۡئًا ؕ کَذٰلِکَ یُضِلُّ اللّٰهُ الۡکٰفِرِیۡنَ
مِنۡ دُوۡنِ اللّٰهِ ؕ قَالُوۡا ضَلُّوۡا عَنَّا بَلۡ لَّمۡ نَکُنۡ نَّدۡعُوۡا مِنۡ قَبۡلُ شَیۡئًا ؕ کَذٰلِکَ یُضِلُّ اللّٰهُ الۡکٰفِرِیۡنَ
৭৪. অনুবাদ: আল্লাহ ছাড়া’? তারা বলবে, ‘তারা তো আমাদের কাছ থেকে উধাও হয়ে গেছে’, বরং এর পূর্বে আমরা কোন কিছুকে আহবান করিনি’। এভাবেই আল্লাহ কাফিরদেরকে পথভ্রষ্ট করেন।

75 ৭৫
ذٰلِکُمۡ بِمَا کُنۡتُمۡ تَفۡرَحُوۡنَ فِی الۡاَرۡضِ بِغَیۡرِ الۡحَقِّ وَ بِمَا کُنۡتُمۡ تَمۡرَحُوۡنَ
ذٰلِکُمۡ بِمَا کُنۡتُمۡ تَفۡرَحُوۡنَ فِی الۡاَرۡضِ بِغَیۡرِ الۡحَقِّ وَ بِمَا کُنۡتُمۡ تَمۡرَحُوۡنَ
৭৫. অনুবাদ: এটা এ জন্য যে, তোমরা যমীনে অযথা উল্লাস করতে এবং এজন্য যে, তোমরা অহঙ্কার করতে।

76 ৭৬
اُدۡخُلُوۡۤا اَبۡوَابَ جَهَنَّمَ خٰلِدِیۡنَ فِیۡهَا ۚ فَبِئۡسَ مَثۡوَی الۡمُتَکَبِّرِیۡنَ
اُدۡخُلُوۡۤا اَبۡوَابَ جَهَنَّمَ خٰلِدِیۡنَ فِیۡهَا ۚ فَبِئۡسَ مَثۡوَی الۡمُتَکَبِّرِیۡنَ
৭৬. অনুবাদ: তোমরা জাহান্নামের দরজাসমূহ দিয়ে প্রবেশ কর চিরকাল তাতে অবস্থানের জন্য। অতএব অহঙ্কারীদের বাসস্থান কতইনা নিকৃষ্ট!

77 ৭৭
فَاصۡبِرۡ اِنَّ وَعۡدَ اللّٰهِ حَقٌّ ۚ فَاِمَّا نُرِیَنَّکَ بَعۡضَ الَّذِیۡ نَعِدُهُمۡ اَوۡ نَتَوَفَّیَنَّکَ فَاِلَیۡنَا یُرۡجَعُوۡنَ
فَاصۡبِرۡ اِنَّ وَعۡدَ اللّٰهِ حَقٌّ ۚ فَاِمَّا نُرِیَنَّکَ بَعۡضَ الَّذِیۡ نَعِدُهُمۡ اَوۡ نَتَوَفَّیَنَّکَ فَاِلَیۡنَا یُرۡجَعُوۡنَ
৭৭. অনুবাদ: অতএব তুমি ধৈর্যধারণ কর। নিশ্চয় আল্লাহর ওয়াদা সত্য। আর আমি তাদেরকে যে ওয়াদা দেই, তার কিছু অংশ যদি তোমাকে দেখাই অথবা তোমাকে মৃত্যু দেই, তাহলেও তারা আমার কাছে প্রত্যাবর্তিত হবে।

78 ৭৮
وَ لَقَدۡ اَرۡسَلۡنَا رُسُلًا مِّنۡ قَبۡلِکَ مِنۡهُمۡ مَّنۡ قَصَصۡنَا عَلَیۡکَ وَ مِنۡهُمۡ مَّنۡ لَّمۡ نَقۡصُصۡ عَلَیۡکَ ؕ وَ مَا کَانَ لِرَسُوۡلٍ اَنۡ یَّاۡتِیَ بِاٰیَۃٍ اِلَّا بِاِذۡنِ اللّٰهِ ۚ فَاِذَا جَآءَ اَمۡرُ اللّٰهِ قُضِیَ بِالۡحَقِّ وَ خَسِرَ هُنَالِکَ الۡمُبۡطِلُوۡنَ
وَ لَقَدۡ اَرۡسَلۡنَا رُسُلًا مِّنۡ قَبۡلِکَ مِنۡهُمۡ مَّنۡ قَصَصۡنَا عَلَیۡکَ وَ مِنۡهُمۡ مَّنۡ لَّمۡ نَقۡصُصۡ عَلَیۡکَ ؕ وَ مَا کَانَ لِرَسُوۡلٍ اَنۡ یَّاۡتِیَ بِاٰیَۃٍ اِلَّا بِاِذۡنِ اللّٰهِ ۚ فَاِذَا جَآءَ اَمۡرُ اللّٰهِ قُضِیَ بِالۡحَقِّ وَ خَسِرَ هُنَالِکَ الۡمُبۡطِلُوۡنَ
৭৮. অনুবাদ: আর অবশ্যই আমি তোমার পূর্বে অনেক রাসূল পাঠিয়েছি। তাদের মধ্যে কারো কারো কাহিনী আমি তোমার কাছে বর্ণনা করেছি আর কারো কারো কাহিনী তোমার কাছে বর্ণনা করিনি। আর আল্লাহর অনুমতি ছাড়া কোন নিদর্শন নিয়ে আসা কোন রাসূলের উচিৎ নয়। তারপর যখন আল্লাহর নির্দেশ আসবে, তখন ন্যায়সঙ্গতভাবে ফয়সালা করা হবে। আর তখনই বাতিলপন্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

79 ৭৯
اَللّٰهُ الَّذِیۡ جَعَلَ لَکُمُ الۡاَنۡعَامَ لِتَرۡکَبُوۡا مِنۡهَا وَ مِنۡهَا تَاۡکُلُوۡنَ
اَللّٰهُ الَّذِیۡ جَعَلَ لَکُمُ الۡاَنۡعَامَ لِتَرۡکَبُوۡا مِنۡهَا وَ مِنۡهَا تَاۡکُلُوۡنَ
৭৯. অনুবাদ: আল্লাহই তোমাদের জন্য গবাদি পশু সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা এদের কতকের উপর আরোহণ করতে পার আর কতক তোমরা খেতে পার।

80 ৮০
وَ لَکُمۡ فِیۡهَا مَنَافِعُ وَ لِتَبۡلُغُوۡا عَلَیۡهَا حَاجَۃً فِیۡ صُدُوۡرِکُمۡ وَ عَلَیۡهَا وَ عَلَی الۡفُلۡکِ تُحۡمَلُوۡنَ
وَ لَکُمۡ فِیۡهَا مَنَافِعُ وَ لِتَبۡلُغُوۡا عَلَیۡهَا حَاجَۃً فِیۡ صُدُوۡرِکُمۡ وَ عَلَیۡهَا وَ عَلَی الۡفُلۡکِ تُحۡمَلُوۡنَ
৮০. অনুবাদ: আর এতে তোমাদের জন্য রয়েছে অনেক উপকার এবং যাতে তোমরা নিজদের অন্তরে যে প্রয়োজন অনুভব কর, ওগুলো দ্বারা তা পূর্ণ করতে পার। ওগুলোর উপর আর নৌযানের উপর তোমাদেরকে বহন করা হয়।

81 ৮১
وَ یُرِیۡکُمۡ اٰیٰتِهٖ ٭ۖ فَاَیَّ اٰیٰتِ اللّٰهِ تُنۡکِرُوۡنَ
وَ یُرِیۡکُمۡ اٰیٰتِهٖ ٭ۖ فَاَیَّ اٰیٰتِ اللّٰهِ تُنۡکِرُوۡنَ
৮১. অনুবাদ: আর তিনি তোমাদেরকে তাঁর নিদর্শনাবলী দেখান। অতএব তোমরা আল্লাহর কোন্ কোন্ নিদর্শনকে অস্বীকার করবে?

82 ৮২
اَفَلَمۡ یَسِیۡرُوۡا فِی الۡاَرۡضِ فَیَنۡظُرُوۡا کَیۡفَ کَانَ عَاقِبَۃُ الَّذِیۡنَ مِنۡ قَبۡلِهِمۡ ؕ کَانُوۡۤا اَکۡثَرَ مِنۡهُمۡ وَ اَشَدَّ قُوَّۃً وَّ اٰثَارًا فِی الۡاَرۡضِ فَمَاۤ اَغۡنٰی عَنۡهُمۡ مَّا کَانُوۡا یَکۡسِبُوۡنَ
اَفَلَمۡ یَسِیۡرُوۡا فِی الۡاَرۡضِ فَیَنۡظُرُوۡا کَیۡفَ کَانَ عَاقِبَۃُ الَّذِیۡنَ مِنۡ قَبۡلِهِمۡ ؕ کَانُوۡۤا اَکۡثَرَ مِنۡهُمۡ وَ اَشَدَّ قُوَّۃً وَّ اٰثَارًا فِی الۡاَرۡضِ فَمَاۤ اَغۡنٰی عَنۡهُمۡ مَّا کَانُوۡا یَکۡسِبُوۡنَ
৮২. অনুবাদ: তারা কি যমীনে ভ্রমণ করেনি, তা হলে তারা দেখত, তাদের পূর্ববর্তীদের পরিণাম কেমন হয়েছিল? তারা যমীনে ছিল তাদের চেয়ে সংখ্যায় অধিক, আর শক্তিতে ও কীর্তিতে তাদের চেয়ে অধিক প্রবল। অতঃপর তারা যা অর্জন করত তা তাদের কোন কাজে আসেনি।

83 ৮৩
فَلَمَّا جَآءَتۡهُمۡ رُسُلُهُمۡ بِالۡبَیِّنٰتِ فَرِحُوۡا بِمَا عِنۡدَهُمۡ مِّنَ الۡعِلۡمِ وَ حَاقَ بِهِمۡ مَّا کَانُوۡا بِهٖ یَسۡتَهۡزِءُوۡنَ
فَلَمَّا جَآءَتۡهُمۡ رُسُلُهُمۡ بِالۡبَیِّنٰتِ فَرِحُوۡا بِمَا عِنۡدَهُمۡ مِّنَ الۡعِلۡمِ وَ حَاقَ بِهِمۡ مَّا کَانُوۡا بِهٖ یَسۡتَهۡزِءُوۡنَ
৮৩. অনুবাদ: তারপর তাদের কাছে যখন তাদের রাসূলগণ স্পষ্ট প্রমাণাদিসহ আসল তখন তারা তাদের নিজদের কাছে যে বিদ্যা ছিল তাতেই উৎফুল্ল হয়ে উঠল। আর যা নিয়ে তাঁরা ঠাট্টা-বিদ্রূপ করত তা-ই তাদেরকে পরিবেষ্টন করল।

84 ৮৪
فَلَمَّا رَاَوۡا بَاۡسَنَا قَالُوۡۤا اٰمَنَّا بِاللّٰهِ وَحۡدَهٗ وَ کَفَرۡنَا بِمَا کُنَّا بِهٖ مُشۡرِکِیۡنَ
فَلَمَّا رَاَوۡا بَاۡسَنَا قَالُوۡۤا اٰمَنَّا بِاللّٰهِ وَحۡدَهٗ وَ کَفَرۡنَا بِمَا کُنَّا بِهٖ مُشۡرِکِیۡنَ
৮৪. অনুবাদ: তারপর তারা যখন আমার আযাব দেখল তখন বলল, ‘আমরা এক আল্লাহর প্রতি ঈমান আনলাম, আর যাদেরকে আমরা তার সাথে শরীক করতাম তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করলাম’।

85 ৮৫
فَلَمۡ یَکُ یَنۡفَعُهُمۡ اِیۡمَانُهُمۡ لَمَّا رَاَوۡا بَاۡسَنَا ؕ سُنَّتَ اللّٰهِ الَّتِیۡ قَدۡ خَلَتۡ فِیۡ عِبَادِهٖ ۚ وَ خَسِرَ هُنَالِکَ الۡکٰفِرُوۡنَ
فَلَمۡ یَکُ یَنۡفَعُهُمۡ اِیۡمَانُهُمۡ لَمَّا رَاَوۡا بَاۡسَنَا ؕ سُنَّتَ اللّٰهِ الَّتِیۡ قَدۡ خَلَتۡ فِیۡ عِبَادِهٖ ۚ وَ خَسِرَ هُنَالِکَ الۡکٰفِرُوۡنَ
৮৫. অনুবাদ: সুতরাং তারা যখন আমার আযাব দেখল তখন তাদের ঈমান তাদের কোন উপকার করল না। এটা আল্লাহর বিধান, তাঁর বান্দাদের মধ্যে চলে আসছে। আর তখনই কাফিররা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

কপিরাইট
আমাদের সকল কন্টেন্ট কপিরাইট সংরক্ষিত
ডেভলোপারঃ মুহিব্বুল্লাহ
গোপনীয়তা নীতি

প্রিয় পাঠক
আমাদের সকল প্রজেক্টসমূহ সম্পূর্ণ ব্যাক্তি উদ্যোগে পরিচালিত, আপনাদের দোয়া ও সহযোগিতা দ্বীনের এই কাজকে আরও প্রসারিত করবে ইন-শা-আল্লাহ।