সূরা তালিকা


1 ১ আল-ফাতিহা Al-Fatiha الفاتحة
১. আল-ফাতিহা
মাক্কী
الفاتحة
আয়াত: ৭
2 ২ আল-বাকারা Al-Baqara البقرة
২. আল-বাকারা
মাদানী
البقرة
আয়াত: ২৮৬
3 ৩ আলে-ইমরান Al-i-Imran آل عمران
৩. আলে-ইমরান
মাদানী
آل عمران
আয়াত: ২০০
4 ৪ আন-নিসা An-Nisa النساء
৪. আন-নিসা
মাদানী
النساء
আয়াত: ১৭৬
5 ৫ আল-মায়েদা Al-Maida المائدة
৫. আল-মায়েদা
মাদানী
المائدة
আয়াত: ১২০
6 ৬ আল-আনআম Al-Anam الأنعام
৬. আল-আনআম
মাক্কী
الأنعام
আয়াত: ১৬৫
7 ৭ আল-আরাফ Al-Araf الأعراف
৭. আল-আরাফ
মাক্কী
الأعراف
আয়াত: ২০৬
8 ৮ আল-আনফাল Al-Anfal الأنفال
৮. আল-আনফাল
মাদানী
الأنفال
আয়াত: ৭৫
9 ৯ আত-তাওবা At-Tawba التوبة
৯. আত-তাওবা
মাদানী
التوبة
আয়াত: ১২৯
10 ১০ ইউনুস Yunus يونس
১০. ইউনুস
মাক্কী
يونس
আয়াত: ১০৯
11 ১১ হূদ Hud هود
১১. হূদ
মাক্কী
هود
আয়াত: ১২৩
12 ১২ ইউসুফ Yusuf يوسف
১২. ইউসুফ
মাক্কী
يوسف
আয়াত: ১১১
13 ১৩ আর-রাদ Ar-Rad الرعد
১৩. আর-রাদ
মাদানী
الرعد
আয়াত: ৪৩
14 ১৪ ইবরাহীম Ibrahim ابراهيم
১৪. ইবরাহীম
মাক্কী
ابراهيم
আয়াত: ৫২
15 ১৫ আল-হিজর Al-Hijr الحجر
১৫. আল-হিজর
মাক্কী
الحجر
আয়াত: ৯৯
16 ১৬ আন-নাহাল An-Nahl النحل
১৬. আন-নাহাল
মাক্কী
النحل
আয়াত: ১২৮
17 ১৭ আল-ইসরা (বনী-ইসরাঈল) Al-Isra الإسراء
১৭. আল-ইসরা (বনী-ইসরাঈল)
মাক্কী
الإسراء
আয়াত: ১১১
18 ১৮ আল-কাহফ Al-Kahf الكهف
১৮. আল-কাহফ
মাক্কী
الكهف
আয়াত: ১১০
19 ১৯ মারইয়াম Maryam مريم
১৯. মারইয়াম
মাক্কী
مريم
আয়াত: ৯৮
20 ২০ ত্ব-হা Ta-Ha طه
২০. ত্ব-হা
মাক্কী
طه
আয়াত: ১৩৫
21 ২১ আল-আম্বিয়া Al-Anbiya الأنبياء
২১. আল-আম্বিয়া
মাক্কী
الأنبياء
আয়াত: ১১২
22 ২২ আল-হজ্জ Al-Hajj الحج
২২. আল-হজ্জ
মাদানী
الحج
আয়াত: ৭৮
23 ২৩ আল-মুমিনুন Al-Muminun المؤمنون
২৩. আল-মুমিনুন
মাক্কী
المؤمنون
আয়াত: ১১৮
24 ২৪ আন-নূর An-Nur النور
২৪. আন-নূর
মাদানী
النور
আয়াত: ৬৪
25 ২৫ আল-ফুরকান Al-Furqan الفرقان
২৫. আল-ফুরকান
মাক্কী
الفرقان
আয়াত: ৭৭
26 ২৬ আশ-শুআরা Ash-Shuara الشعراء
২৬. আশ-শুআরা
মাক্কী
الشعراء
আয়াত: ২২৭
27 ২৭ আন-নামাল An-Naml النمل
২৭. আন-নামাল
মাক্কী
النمل
আয়াত: ৯৩
28 ২৮ আল-কাসাস Al-Qasas القصص
২৮. আল-কাসাস
মাক্কী
القصص
আয়াত: ৮৮
29 ২৯ আল-আনকাবূত Al-Ankabut العنكبوت
২৯. আল-আনকাবূত
মাক্কী
العنكبوت
আয়াত: ৬৯
30 ৩০ আর-রুম Ar-Rum الروم
৩০. আর-রুম
মাক্কী
الروم
আয়াত: ৬০
31 ৩১ লুকমান Luqman لقمان
৩১. লুকমান
মাক্কী
لقمان
আয়াত: ৩৪
32 ৩২ আস-সাজদাহ As-Sajda السجدة
৩২. আস-সাজদাহ
মাক্কী
السجدة
আয়াত: ৩০
33 ৩৩ আল-আহযাব Al-Ahzab الأحزاب
৩৩. আল-আহযাব
মাদানী
الأحزاب
আয়াত: ৭৩
34 ৩৪ সাবা Saba سبإ
৩৪. সাবা
মাক্কী
سبإ
আয়াত: ৫৪
35 ৩৫ ফাতির Fatir فاطر
৩৫. ফাতির
মাক্কী
فاطر
আয়াত: ৪৫
36 ৩৬ ইয়াসীন Ya-Sin يس
৩৬. ইয়াসীন
মাক্কী
يس
আয়াত: ৮৩
37 ৩৭ আস-সাফফাত As-Saffat الصافات
৩৭. আস-সাফফাত
মাক্কী
الصافات
আয়াত: ১৮২
38 ৩৮ সোয়াদ Ṣād ص
৩৮. সোয়াদ
মাক্কী
ص
আয়াত: ৮৮
39 ৩৯ আয-যুমার Az-Zumar الزمر
৩৯. আয-যুমার
মাক্কী
الزمر
আয়াত: ৭৫
40 ৪০ গাফির (আল মুমিন) Ghafir غافر
৪০. গাফির (আল মুমিন)
মাক্কী
غافر
আয়াত: ৮৫
41 ৪১ হা-মীম আস-সাজদা (ফুসসিলাত) Fussilat فصلت
৪১. হা-মীম আস-সাজদা (ফুসসিলাত)
মাক্কী
فصلت
আয়াত: ৫৪
42 ৪২ আশ-শূরা Ash-Shura الشورى
৪২. আশ-শূরা
মাক্কী
الشورى
আয়াত: ৫৩
43 ৪৩ আয-যুখরুফ Az-Zukhruf الزخرف
৪৩. আয-যুখরুফ
মাক্কী
الزخرف
আয়াত: ৮৯
44 ৪৪ আদ-দুখান Ad-Dukhan الدخان
৪৪. আদ-দুখান
মাক্কী
الدخان
আয়াত: ৫৯
45 ৪৫ আল-জাসিয়া Al-Jathiya الجاثية
৪৫. আল-জাসিয়া
মাক্কী
الجاثية
আয়াত: ৩৭
46 ৪৬ আল-আহকাফ Al-Ahqaf الأحقاف
৪৬. আল-আহকাফ
মাক্কী
الأحقاف
আয়াত: ৩৫
47 ৪৭ মুহাম্মাদ Muhammad محمد
৪৭. মুহাম্মাদ
মাদানী
محمد
আয়াত: ৩৮
48 ৪৮ আল-ফাতহ Al-Fath الفتح
৪৮. আল-ফাতহ
মাদানী
الفتح
আয়াত: ২৯
49 ৪৯ আল-হুজুরাত Al-Hujurat الحجرات
৪৯. আল-হুজুরাত
মাদানী
الحجرات
আয়াত: ১৮
50 ৫০ কাফ Qaf ق
৫০. কাফ
মাক্কী
ق
আয়াত: ৪৫
51 ৫১ আয-যারিয়াত Adh-Dhariyat سورة الذاريات
৫১. আয-যারিয়াত
মাক্কী
سورة الذاريات
আয়াত: ৬০
52 ৫২ আত-তূর At-Tur الطور
৫২. আত-তূর
মাক্কী
الطور
আয়াত: ৪৯
53 ৫৩ আন-নাজম An-Najm النجم
৫৩. আন-নাজম
মাক্কী
النجم
আয়াত: ৬২
54 ৫৪ আল-কামার Al-Qamar القمر
৫৪. আল-কামার
মাক্কী
القمر
আয়াত: ৫৫
55 ৫৫ আর-রাহমান Ar-Rahman الرحمن
৫৫. আর-রাহমান
মাদানী
الرحمن
আয়াত: ৭৮
56 ৫৬ আল-ওয়াকিয়া Al-Waqia الواقعة
৫৬. আল-ওয়াকিয়া
মাক্কী
الواقعة
আয়াত: ৯৬
57 ৫৭ আল-হাদীদ Al-Hadid الحديد
৫৭. আল-হাদীদ
মাদানী
الحديد
আয়াত: ২৯
58 ৫৮ আল-মুজাদালা Al-Mujadila المجادلة
৫৮. আল-মুজাদালা
মাদানী
المجادلة
আয়াত: ২২
59 ৫৯ আল-হাশর Al-Hashr الحشر
৫৯. আল-হাশর
মাদানী
الحشر
আয়াত: ২৪
60 ৬০ আল-মুমতাহিনা Al-Mumtahina الممتحنة
৬০. আল-মুমতাহিনা
মাদানী
الممتحنة
আয়াত: ১৩
61 ৬১ আস-সফ As-Saff الصف
৬১. আস-সফ
মাদানী
الصف
আয়াত: ১৪
62 ৬২ আল-জুমুআ Al-Jumua الجمعة
৬২. আল-জুমুআ
মাদানী
الجمعة
আয়াত: ১১
63 ৬৩ আল-মুনাফিকূন Al-Munafiqun المنافقون
৬৩. আল-মুনাফিকূন
মাদানী
المنافقون
আয়াত: ১১
64 ৬৪ আত-তাগাবুন At-Taghabun التغابن
৬৪. আত-তাগাবুন
মাদানী
التغابن
আয়াত: ১৮
65 ৬৫ আত-ত্বলাক্ব At-Talaq الطلاق
৬৫. আত-ত্বলাক্ব
মাদানী
الطلاق
আয়াত: ১২
66 ৬৬ আত-তাহরীম At-Tahrim التحريم
৬৬. আত-তাহরীম
মাদানী
التحريم
আয়াত: ১২
67 ৬৭ আল-মুলক Al-Mulk الملك
৬৭. আল-মুলক
মাক্কী
الملك
আয়াত: ৩০
68 ৬৮ আল-কলম Al-Qalam القلم
৬৮. আল-কলম
মাক্কী
القلم
আয়াত: ৫২
69 ৬৯ আল-হাক্কাহ Al-Haqqa الحاقة
৬৯. আল-হাক্কাহ
মাক্কী
الحاقة
আয়াত: ৫২
70 ৭০ আল-মাআরিজ Al-Maarij المعارج
৭০. আল-মাআরিজ
মাক্কী
المعارج
আয়াত: ৪৪
71 ৭১ নূহ Nuh نوح
৭১. নূহ
মাক্কী
نوح
আয়াত: ২৮
72 ৭২ আল-জ্বিন Al-Jinn الجن
৭২. আল-জ্বিন
মাক্কী
الجن
আয়াত: ২৯
73 ৭৩ আল-মুযযাম্মিল Al-Muzzammil المزمل
৭৩. আল-মুযযাম্মিল
মাক্কী
المزمل
আয়াত: ২০
74 ৭৪ আল-মুদ্দাসসির Al-Muddathir المدثر
৭৪. আল-মুদ্দাসসির
মাক্কী
المدثر
আয়াত: ৫৬
75 ৭৫ আল-ক্বিয়ামাহ Al-Qiyama القيامة
৭৫. আল-ক্বিয়ামাহ
মাক্কী
القيامة
আয়াত: ৪০
76 ৭৬ আল-ইনসান (আদ-দাহর) Al-Insan الانسان
৭৬. আল-ইনসান (আদ-দাহর)
মাদানী
الانسان
আয়াত: ৩১
77 ৭৭ আল-মুরসালাত Al-Mursalat المرسلات
৭৭. আল-মুরসালাত
মাক্কী
المرسلات
আয়াত: ৫০
78 ৭৮ আন-নাবা An-Naba النبإ
৭৮. আন-নাবা
মাক্কী
النبإ
আয়াত: ৪০
79 ৭৯ আন-নাযিআত An-Naziat النازعات
৭৯. আন-নাযিআত
মাক্কী
النازعات
আয়াত: ৪৬
80 ৮০ আবাসা Abasa عبس
৮০. আবাসা
মাক্কী
عبس
আয়াত: ৪২
81 ৮১ আত-তাকভীর At-Takwir التكوير
৮১. আত-তাকভীর
মাক্কী
التكوير
আয়াত: ২৯
82 ৮২ আল-ইনফিতার Al-Infitar الإنفطار
৮২. আল-ইনফিতার
মাক্কী
الإنفطار
আয়াত: ১৯
83 ৮৩ আল-মুতাফফিফীন Al-Mutaffifin المطففين
৮৩. আল-মুতাফফিফীন
মাক্কী
المطففين
আয়াত: ৩৬
84 ৮৪ আল-ইনশিকাক Al-Inshiqaq الإنشقاق
৮৪. আল-ইনশিকাক
মাক্কী
الإنشقاق
আয়াত: ২৫
85 ৮৫ আল-বুরুজ Al-Buruj البروج
৮৫. আল-বুরুজ
মাক্কী
البروج
আয়াত: ২২
86 ৮৬ আত-তারিক At-Tariq الطارق
৮৬. আত-তারিক
মাক্কী
الطارق
আয়াত: ১৭
87 ৮৭ আল-আলা Al-Ala الأعلى
৮৭. আল-আলা
মাক্কী
الأعلى
আয়াত: ১৯
88 ৮৮ আল-গাশিয়া Al-Ghashiya الغاشية
৮৮. আল-গাশিয়া
মাক্কী
الغاشية
আয়াত: ২৬
89 ৮৯ আল-ফাজর Al-Fajr الفجر
৮৯. আল-ফাজর
মাক্কী
الفجر
আয়াত: ৩০
90 ৯০ আল-বালাদ Al-Balad البلد
৯০. আল-বালাদ
মাক্কী
البلد
আয়াত: ২০
91 ৯১ আশ-শামস Ash-Shams الشمس
৯১. আশ-শামস
মাক্কী
الشمس
আয়াত: ১৫
92 ৯২ আল-লাইল Al-Lail الليل
৯২. আল-লাইল
মাক্কী
الليل
আয়াত: ২১
93 ৯৩ আদ-দুহা Ad-Dhuha الضحى
৯৩. আদ-দুহা
মাক্কী
الضحى
আয়াত: ১১
94 ৯৪ আল-ইনশিরাহ Ash-Sharh الشرح
৯৪. আল-ইনশিরাহ
মাক্কী
الشرح
আয়াত: ৮
95 ৯৫ আত-ত্বীন At-Tin التين
৯৫. আত-ত্বীন
মাক্কী
التين
আয়াত: ৮
96 ৯৬ আল-আলাক Al-Alaq العلق
৯৬. আল-আলাক
মাক্কী
العلق
আয়াত: ১৯
97 ৯৭ আল-কাদর Al-Qadr القدر
৯৭. আল-কাদর
মাক্কী
القدر
আয়াত: ৫
98 ৯৮ আল-বায়্যিনাহ Al-Bayyina البينة
৯৮. আল-বায়্যিনাহ
মাদানী
البينة
আয়াত: ৮
99 ৯৯ আয-যিলযাল Az-Zalzala الزلزلة
৯৯. আয-যিলযাল
মাদানী
الزلزلة
আয়াত: ৮
100 ১০০ আল-আদিয়াত Al-Adiyat العاديات
১০০. আল-আদিয়াত
মাক্কী
العاديات
আয়াত: ১১
101 ১০১ আল-কারিআ Al-Qaria القارعة
১০১. আল-কারিআ
মাক্কী
القارعة
আয়াত: ১১
102 ১০২ আত-তাকাসুর At-Takathur التكاثر
১০২. আত-তাকাসুর
মাক্কী
التكاثر
আয়াত: ৮
103 ১০৩ আল-আসর Al-Asr العصر
১০৩. আল-আসর
মাক্কী
العصر
আয়াত: ৩
104 ১০৪ আল-হুমাযা Al-Humaza الهمزة
১০৪. আল-হুমাযা
মাক্কী
الهمزة
আয়াত: ৯
105 ১০৫ আল-ফীল Al-Fil الفيل
১০৫. আল-ফীল
মাক্কী
الفيل
আয়াত: ৫
106 ১০৬ আল-কুরাইশ Quraysh قريش
১০৬. আল-কুরাইশ
মাক্কী
قريش
আয়াত: ৪
107 ১০৭ আল-মাঊন Al-Maun الماعون
১০৭. আল-মাঊন
মাক্কী
الماعون
আয়াত: ৭
108 ১০৮ আল-কাউসার Al-Kawthar الكوثر
১০৮. আল-কাউসার
মাক্কী
الكوثر
আয়াত: ৩
109 ১০৯ কাফিরুন Al-Kafirun الكافرون
১০৯. কাফিরুন
মাক্কী
الكافرون
আয়াত: ৬
110 ১১০ আন-নাসর An-Nasr النصر
১১০. আন-নাসর
মাদানী
النصر
আয়াত: ৩
111 ১১১ লাহাব Al-Masad المسد
১১১. লাহাব
মাক্কী
المسد
আয়াত: ৫
112 ১১২ আল-ইখলাস Al-Ikhlas الإخلاص
১১২. আল-ইখলাস
মাক্কী
الإخلاص
আয়াত: ৪
113 ১১৩ আল-ফালাক Al-Falaq الفلق
১১৩. আল-ফালাক
মাক্কী
الفلق
আয়াত: ৫
114 ১১৪ আন-নাস An-Nas الناس
১১৪. আন-নাস
মাক্কী
الناس
আয়াত: ৬
সূরা: ২৪, আন-নূর - ( النور)
সূরার ধরন: মাদানী , মোট আয়াত:

1 ১
سُوۡرَۃٌ اَنۡزَلۡنٰهَا وَ فَرَضۡنٰهَا وَ اَنۡزَلۡنَا فِیۡهَاۤ اٰیٰتٍۭ بَیِّنٰتٍ لَّعَلَّکُمۡ تَذَکَّرُوۡنَ
سُوۡرَۃٌ اَنۡزَلۡنٰهَا وَ فَرَضۡنٰهَا وَ اَنۡزَلۡنَا فِیۡهَاۤ اٰیٰتٍۭ بَیِّنٰتٍ لَّعَلَّکُمۡ تَذَکَّرُوۡنَ
১. অনুবাদ: এটি একটি সূরা, যা আমি নাযিল করেছি এবং এটাকে অবশ্য পালনীয় করেছি। আর আমি এতে সুস্পষ্ট আয়াতসমূহ নাযিল করেছি, যাতে তোমরা উপদেশ গ্রহণ কর।

2 ২
اَلزَّانِیَۃُ وَ الزَّانِیۡ فَاجۡلِدُوۡا کُلَّ وَاحِدٍ مِّنۡهُمَا مِائَۃَ جَلۡدَۃٍ ۪ وَّ لَا تَاۡخُذۡکُمۡ بِهِمَا رَاۡفَۃٌ فِیۡ دِیۡنِ اللّٰهِ اِنۡ کُنۡتُمۡ تُؤۡمِنُوۡنَ بِاللّٰهِ وَ الۡیَوۡمِ الۡاٰخِرِ ۚ وَ لۡیَشۡهَدۡ عَذَابَهُمَا طَآئِفَۃٌ مِّنَ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ
اَلزَّانِیَۃُ وَ الزَّانِیۡ فَاجۡلِدُوۡا کُلَّ وَاحِدٍ مِّنۡهُمَا مِائَۃَ جَلۡدَۃٍ ۪ وَّ لَا تَاۡخُذۡکُمۡ بِهِمَا رَاۡفَۃٌ فِیۡ دِیۡنِ اللّٰهِ اِنۡ کُنۡتُمۡ تُؤۡمِنُوۡنَ بِاللّٰهِ وَ الۡیَوۡمِ الۡاٰخِرِ ۚ وَ لۡیَشۡهَدۡ عَذَابَهُمَا طَآئِفَۃٌ مِّنَ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ
২. অনুবাদ: ব্যভিচারিণী ও ব্যভিচারী তাদের প্রত্যেককে একশ’টি করে বেত্রাঘাত কর। আর যদি তোমরা আল্লাহ ও শেষ দিবসের প্রতি ঈমান এনে থাক তবে আল্লাহর দীনের ব্যাপারে তাদের প্রতি দয়া যেন তোমাদেরকে পেয়ে না বসে। আর মুমিনদের একটি দল যেন তাদের শাস্তি প্রত্যক্ষ করে।

3 ৩
اَلزَّانِیۡ لَا یَنۡکِحُ اِلَّا زَانِیَۃً اَوۡ مُشۡرِکَۃً ۫ وَّ الزَّانِیَۃُ لَا یَنۡکِحُهَاۤ اِلَّا زَانٍ اَوۡ مُشۡرِکٌ ۚ وَ حُرِّمَ ذٰلِکَ عَلَی الۡمُؤۡمِنِیۡنَ
اَلزَّانِیۡ لَا یَنۡکِحُ اِلَّا زَانِیَۃً اَوۡ مُشۡرِکَۃً ۫ وَّ الزَّانِیَۃُ لَا یَنۡکِحُهَاۤ اِلَّا زَانٍ اَوۡ مُشۡرِکٌ ۚ وَ حُرِّمَ ذٰلِکَ عَلَی الۡمُؤۡمِنِیۡنَ
৩. অনুবাদ: ব্যভিচারী কেবল ব্যভিচারিণী অথবা মুশরিক নারীকে ছাড়া বিয়ে করবে না এবং ব্যভিচারিণীকে কেবল ব্যভিচারী অথবা মুশরিক ছাড়া বিয়ে করবে না। আর মুমিনদের উপর এটা হারাম করা হয়েছে।

4 ৪
وَ الَّذِیۡنَ یَرۡمُوۡنَ الۡمُحۡصَنٰتِ ثُمَّ لَمۡ یَاۡتُوۡا بِاَرۡبَعَۃِ شُهَدَآءَ فَاجۡلِدُوۡهُمۡ ثَمٰنِیۡنَ جَلۡدَۃً وَّ لَا تَقۡبَلُوۡا لَهُمۡ شَهَادَۃً اَبَدًا ۚ وَ اُولٰٓئِکَ هُمُ الۡفٰسِقُوۡنَ ۙ
وَ الَّذِیۡنَ یَرۡمُوۡنَ الۡمُحۡصَنٰتِ ثُمَّ لَمۡ یَاۡتُوۡا بِاَرۡبَعَۃِ شُهَدَآءَ فَاجۡلِدُوۡهُمۡ ثَمٰنِیۡنَ جَلۡدَۃً وَّ لَا تَقۡبَلُوۡا لَهُمۡ شَهَادَۃً اَبَدًا ۚ وَ اُولٰٓئِکَ هُمُ الۡفٰسِقُوۡنَ ۙ
৪. অনুবাদ: আর যারা সচ্চরিত্র নারীর প্রতি অপবাদ আরোপ করে, তারপর তারা চারজন সাক্ষী নিয়ে আসে না, তবে তাদেরকে আশিটি বেত্রাঘাত কর এবং তোমরা কখনই তাদের সাক্ষ্য গ্রহণ করো না। আর এরাই হলো ফাসিক।

5 ৫
اِلَّا الَّذِیۡنَ تَابُوۡا مِنۡۢ بَعۡدِ ذٰلِکَ وَ اَصۡلَحُوۡا ۚ فَاِنَّ اللّٰهَ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ
اِلَّا الَّذِیۡنَ تَابُوۡا مِنۡۢ بَعۡدِ ذٰلِکَ وَ اَصۡلَحُوۡا ۚ فَاِنَّ اللّٰهَ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ
৫. অনুবাদ: তবে যারা এরপরে তাওবা করে এবং নিজদের সংশোধন করে, তাহলে নিশ্চয় আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

6 ৬
وَ الَّذِیۡنَ یَرۡمُوۡنَ اَزۡوَاجَهُمۡ وَ لَمۡ یَکُنۡ لَّهُمۡ شُهَدَآءُ اِلَّاۤ اَنۡفُسُهُمۡ فَشَهَادَۃُ اَحَدِهِمۡ اَرۡبَعُ شَهٰدٰتٍۭ بِاللّٰهِ ۙ اِنَّهٗ لَمِنَ الصّٰدِقِیۡنَ
وَ الَّذِیۡنَ یَرۡمُوۡنَ اَزۡوَاجَهُمۡ وَ لَمۡ یَکُنۡ لَّهُمۡ شُهَدَآءُ اِلَّاۤ اَنۡفُسُهُمۡ فَشَهَادَۃُ اَحَدِهِمۡ اَرۡبَعُ شَهٰدٰتٍۭ بِاللّٰهِ ۙ اِنَّهٗ لَمِنَ الصّٰدِقِیۡنَ
৬. অনুবাদ: আর যারা নিজদের স্ত্রীর প্রতি অপবাদ আরোপ করে, অথচ নিজেরা ছাড়া তাদের আর কোন সাক্ষী নেই, তাহলে তাদের প্রত্যেকের সাক্ষ্য হবে আল্লাহর নামে চারবার সাক্ষ্য দেবে যে, সে নিশ্চয়ই সত্যবাদীদের অন্তর্ভুক্ত।

7 ৭
وَ الۡخَامِسَۃُ اَنَّ لَعۡنَتَ اللّٰهِ عَلَیۡهِ اِنۡ کَانَ مِنَ الۡکٰذِبِیۡنَ
وَ الۡخَامِسَۃُ اَنَّ لَعۡنَتَ اللّٰهِ عَلَیۡهِ اِنۡ کَانَ مِنَ الۡکٰذِبِیۡنَ
৭. অনুবাদ: আর পঞ্চমবারে সাক্ষ্য দেবে যে, সে যদি মিথ্যাবাদী হয়, তবে নিশ্চয় তার উপর আল্লাহর লা‘নত।

8 ৮
وَ یَدۡرَؤُا عَنۡهَا الۡعَذَابَ اَنۡ تَشۡهَدَ اَرۡبَعَ شَهٰدٰتٍۭ بِاللّٰهِ ۙ اِنَّهٗ لَمِنَ الۡکٰذِبِیۡنَ
وَ یَدۡرَؤُا عَنۡهَا الۡعَذَابَ اَنۡ تَشۡهَدَ اَرۡبَعَ شَهٰدٰتٍۭ بِاللّٰهِ ۙ اِنَّهٗ لَمِنَ الۡکٰذِبِیۡنَ
৮. অনুবাদ: আর তারা স্ত্রীলোকটি থেকে শাস্তি রহিত করবে, যদি সে আল্লাহর নামে চারবার সাক্ষ্য দেয় যে, নিশ্চয় তার স্বামী মিথ্যাবাদীদের অন্তর্ভুক্ত।

9 ৯
وَ الۡخَامِسَۃَ اَنَّ غَضَبَ اللّٰهِ عَلَیۡهَاۤ اِنۡ کَانَ مِنَ الصّٰدِقِیۡنَ
وَ الۡخَامِسَۃَ اَنَّ غَضَبَ اللّٰهِ عَلَیۡهَاۤ اِنۡ کَانَ مِنَ الصّٰدِقِیۡنَ
৯. অনুবাদ: আর পঞ্চমবারে সাক্ষ্য দেবে যে, যদি তার স্বামী সত্যবাদী হয়, তবে নিশ্চয় তার উপর আল্লাহর গযব।

10 ১০
وَ لَوۡ لَا فَضۡلُ اللّٰهِ عَلَیۡکُمۡ وَ رَحۡمَتُهٗ وَ اَنَّ اللّٰهَ تَوَّابٌ حَکِیۡمٌ
وَ لَوۡ لَا فَضۡلُ اللّٰهِ عَلَیۡکُمۡ وَ رَحۡمَتُهٗ وَ اَنَّ اللّٰهَ تَوَّابٌ حَکِیۡمٌ
১০. অনুবাদ: যদি তোমাদের উপর আল্লাহর অনুগ্রহ ও তাঁর দয়া না থাকত, (তাহলে তোমরা ধ্বংস হয়ে যেতে) আর নিশ্চয় আল্লাহ অধিক তাওবা গ্রহণকারী, প্রজ্ঞাময়।

11 ১১
اِنَّ الَّذِیۡنَ جَآءُوۡ بِالۡاِفۡکِ عُصۡبَۃٌ مِّنۡکُمۡ ؕ لَا تَحۡسَبُوۡهُ شَرًّا لَّکُمۡ ؕ بَلۡ هُوَ خَیۡرٌ لَّکُمۡ ؕ لِکُلِّ امۡرِیًٴ مِّنۡهُمۡ مَّا اکۡتَسَبَ مِنَ الۡاِثۡمِ ۚ وَ الَّذِیۡ تَوَلّٰی کِبۡرَهٗ مِنۡهُمۡ لَهٗ عَذَابٌ عَظِیۡمٌ
اِنَّ الَّذِیۡنَ جَآءُوۡ بِالۡاِفۡکِ عُصۡبَۃٌ مِّنۡکُمۡ ؕ لَا تَحۡسَبُوۡهُ شَرًّا لَّکُمۡ ؕ بَلۡ هُوَ خَیۡرٌ لَّکُمۡ ؕ لِکُلِّ امۡرِیًٴ مِّنۡهُمۡ مَّا اکۡتَسَبَ مِنَ الۡاِثۡمِ ۚ وَ الَّذِیۡ تَوَلّٰی کِبۡرَهٗ مِنۡهُمۡ لَهٗ عَذَابٌ عَظِیۡمٌ
১১. অনুবাদ: নিশ্চয়ই যারা এ অপবাদ* রটনা করেছে, তারা তোমাদেরই একটি দল। এটাকে তোমরা তোমাদের জন্য অকল্যাণকর মনে করো না, বরং এটা তোমাদের জন্য কল্যাণকর। তাদের থেকে প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য রয়েছে, যতটুকু পাপ সে অর্জন করেছে। আর তাদের থেকে যে ব্যক্তি এ ব্যাপারে প্রধান ভূমিকা পালন করেছে, তার জন্য রয়েছে মহাআযাব।

12 ১২
لَوۡ لَاۤ اِذۡ سَمِعۡتُمُوۡهُ ظَنَّ الۡمُؤۡمِنُوۡنَ وَ الۡمُؤۡمِنٰتُ بِاَنۡفُسِهِمۡ خَیۡرًا ۙ وَّ قَالُوۡا هٰذَاۤ اِفۡکٌ مُّبِیۡنٌ
لَوۡ لَاۤ اِذۡ سَمِعۡتُمُوۡهُ ظَنَّ الۡمُؤۡمِنُوۡنَ وَ الۡمُؤۡمِنٰتُ بِاَنۡفُسِهِمۡ خَیۡرًا ۙ وَّ قَالُوۡا هٰذَاۤ اِفۡکٌ مُّبِیۡنٌ
১২. অনুবাদ: যখন তোমরা এটা শুনলে, তখন কেন মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীরা তাদের নিজদের সম্পর্কে ভাল ধারণা পোষণ করল না এবং বলল না যে, ‘এটা তো সুস্পষ্ট অপবাদ’?

13 ১৩
لَوۡ لَا جَآءُوۡ عَلَیۡهِ بِاَرۡبَعَۃِ شُهَدَآءَ ۚ فَاِذۡ لَمۡ یَاۡتُوۡا بِالشُّهَدَآءِ فَاُولٰٓئِکَ عِنۡدَ اللّٰهِ هُمُ الۡکٰذِبُوۡنَ
لَوۡ لَا جَآءُوۡ عَلَیۡهِ بِاَرۡبَعَۃِ شُهَدَآءَ ۚ فَاِذۡ لَمۡ یَاۡتُوۡا بِالشُّهَدَآءِ فَاُولٰٓئِکَ عِنۡدَ اللّٰهِ هُمُ الۡکٰذِبُوۡنَ
১৩. অনুবাদ: তারা কেন এ ব্যাপারে চারজন সাক্ষী নিয়ে আসল না? সুতরাং যখন তারা সাক্ষী নিয়ে আসেনি, তখন তারাই আল্লাহর কাছে মিথ্যাবাদী।

14 ১৪
وَ لَوۡ لَا فَضۡلُ اللّٰهِ عَلَیۡکُمۡ وَ رَحۡمَتُهٗ فِی الدُّنۡیَا وَ الۡاٰخِرَۃِ لَمَسَّکُمۡ فِیۡ مَاۤ اَفَضۡتُمۡ فِیۡهِ عَذَابٌ عَظِیۡمٌ
وَ لَوۡ لَا فَضۡلُ اللّٰهِ عَلَیۡکُمۡ وَ رَحۡمَتُهٗ فِی الدُّنۡیَا وَ الۡاٰخِرَۃِ لَمَسَّکُمۡ فِیۡ مَاۤ اَفَضۡتُمۡ فِیۡهِ عَذَابٌ عَظِیۡمٌ
১৪. অনুবাদ: আর যদি দুনিয়া ও আখেরাতে তোমাদের উপর আল্লাহর দয়া ও তাঁর অনুগ্রহ না থাকত, তবে তোমরা যাতে লিপ্ত ছিলে, তার জন্য তোমাদেরকে অবশ্যই কঠিন আযাব স্পর্শ করত।

15 ১৫
اِذۡ تَلَقَّوۡنَهٗ بِاَلۡسِنَتِکُمۡ وَ تَقُوۡلُوۡنَ بِاَفۡوَاهِکُمۡ مَّا لَیۡسَ لَکُمۡ بِهٖ عِلۡمٌ وَّ تَحۡسَبُوۡنَهٗ هَیِّنًا ٭ۖ وَّ هُوَ عِنۡدَ اللّٰهِ عَظِیۡمٌ
اِذۡ تَلَقَّوۡنَهٗ بِاَلۡسِنَتِکُمۡ وَ تَقُوۡلُوۡنَ بِاَفۡوَاهِکُمۡ مَّا لَیۡسَ لَکُمۡ بِهٖ عِلۡمٌ وَّ تَحۡسَبُوۡنَهٗ هَیِّنًا ٭ۖ وَّ هُوَ عِنۡدَ اللّٰهِ عَظِیۡمٌ
১৫. অনুবাদ: যখন এটা তোমরা তোমাদের মুখে মুখে ছড়াচ্ছিলে এবং তোমরা তোমাদের মুখ দিয়ে এমন কথা বলছিলে, যাতে তোমাদের কোন জ্ঞান ছিল না; আর তোমরা এটাকে খুবই তুচ্ছ মনে করছিলে, অথচ এটা আল্লাহর নিকট খুবই গুরুতর।

16 ১৬
وَ لَوۡ لَاۤ اِذۡ سَمِعۡتُمُوۡهُ قُلۡتُمۡ مَّا یَکُوۡنُ لَنَاۤ اَنۡ نَّتَکَلَّمَ بِهٰذَا ٭ۖ سُبۡحٰنَکَ هٰذَا بُهۡتَانٌ عَظِیۡمٌ
وَ لَوۡ لَاۤ اِذۡ سَمِعۡتُمُوۡهُ قُلۡتُمۡ مَّا یَکُوۡنُ لَنَاۤ اَنۡ نَّتَکَلَّمَ بِهٰذَا ٭ۖ سُبۡحٰنَکَ هٰذَا بُهۡتَانٌ عَظِیۡمٌ
১৬. অনুবাদ: আর তোমরা যখন এটা শুনলে, তখন তোমরা কেন বললে না যে, ‘এ নিয়ে কথা বলা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তুমি অতি পবিত্র মহান, এটা এক গুরুতর অপবাদ’।

17 ১৭
یَعِظُکُمُ اللّٰهُ اَنۡ تَعُوۡدُوۡا لِمِثۡلِهٖۤ اَبَدًا اِنۡ کُنۡتُمۡ مُّؤۡمِنِیۡنَ
یَعِظُکُمُ اللّٰهُ اَنۡ تَعُوۡدُوۡا لِمِثۡلِهٖۤ اَبَدًا اِنۡ کُنۡتُمۡ مُّؤۡمِنِیۡنَ
১৭. অনুবাদ: আল্লাহ তোমাদেরকে উপদেশ দিচ্ছেন যে, যদি তোমরা মুমিন হও, তাহলে আর কখনো এর পুনরাবৃত্তি করবে না।

18 ১৮
وَ یُبَیِّنُ اللّٰهُ لَکُمُ الۡاٰیٰتِ ؕ وَ اللّٰهُ عَلِیۡمٌ حَکِیۡمٌ
وَ یُبَیِّنُ اللّٰهُ لَکُمُ الۡاٰیٰتِ ؕ وَ اللّٰهُ عَلِیۡمٌ حَکِیۡمٌ
১৮. অনুবাদ: আর আল্লাহ তোমাদের জন্য আয়াতসমূহ স্পষ্টভাবে বর্ণনা করছেন এবং আল্লাহ মহাজ্ঞানী, প্রজ্ঞাময়।

19 ১৯
اِنَّ الَّذِیۡنَ یُحِبُّوۡنَ اَنۡ تَشِیۡعَ الۡفَاحِشَۃُ فِی الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَهُمۡ عَذَابٌ اَلِیۡمٌ ۙ فِی الدُّنۡیَا وَ الۡاٰخِرَۃِ ؕ وَ اللّٰهُ یَعۡلَمُ وَ اَنۡتُمۡ لَا تَعۡلَمُوۡنَ
اِنَّ الَّذِیۡنَ یُحِبُّوۡنَ اَنۡ تَشِیۡعَ الۡفَاحِشَۃُ فِی الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَهُمۡ عَذَابٌ اَلِیۡمٌ ۙ فِی الدُّنۡیَا وَ الۡاٰخِرَۃِ ؕ وَ اللّٰهُ یَعۡلَمُ وَ اَنۡتُمۡ لَا تَعۡلَمُوۡنَ
১৯. অনুবাদ: নিশ্চয় যারা এটা পছন্দ করে যে, মুমিনদের মধ্যে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ুক, তাদের জন্য দুনিয়া ও আখেরাতে রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক আযাব। আর আল্লাহ জানেন এবং তোমরা জান না।

20 ২০
وَ لَوۡ لَا فَضۡلُ اللّٰهِ عَلَیۡکُمۡ وَ رَحۡمَتُهٗ وَ اَنَّ اللّٰهَ رَءُوۡفٌ رَّحِیۡمٌ
وَ لَوۡ لَا فَضۡلُ اللّٰهِ عَلَیۡکُمۡ وَ رَحۡمَتُهٗ وَ اَنَّ اللّٰهَ رَءُوۡفٌ رَّحِیۡمٌ
২০. অনুবাদ: আর যদি তোমাদের উপর আল্লাহর অনুগ্রহ ও তাঁর দয়া না থাকত, (তাহলে তোমরা ধ্বংস হয়ে যেতে) আর নিশ্চয় আল্লাহ বড় মেহেরবান, পরম দয়ালু।

21 ২১
یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَتَّبِعُوۡا خُطُوٰتِ الشَّیۡطٰنِ ؕ وَ مَنۡ یَّتَّبِعۡ خُطُوٰتِ الشَّیۡطٰنِ فَاِنَّهٗ یَاۡمُرُ بِالۡفَحۡشَآءِ وَ الۡمُنۡکَرِ ؕ وَ لَوۡ لَا فَضۡلُ اللّٰهِ عَلَیۡکُمۡ وَ رَحۡمَتُهٗ مَا زَکٰی مِنۡکُمۡ مِّنۡ اَحَدٍ اَبَدًا ۙ وَّ لٰکِنَّ اللّٰهَ یُزَکِّیۡ مَنۡ یَّشَآءُ ؕ وَ اللّٰهُ سَمِیۡعٌ عَلِیۡمٌ
یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَتَّبِعُوۡا خُطُوٰتِ الشَّیۡطٰنِ ؕ وَ مَنۡ یَّتَّبِعۡ خُطُوٰتِ الشَّیۡطٰنِ فَاِنَّهٗ یَاۡمُرُ بِالۡفَحۡشَآءِ وَ الۡمُنۡکَرِ ؕ وَ لَوۡ لَا فَضۡلُ اللّٰهِ عَلَیۡکُمۡ وَ رَحۡمَتُهٗ مَا زَکٰی مِنۡکُمۡ مِّنۡ اَحَدٍ اَبَدًا ۙ وَّ لٰکِنَّ اللّٰهَ یُزَکِّیۡ مَنۡ یَّشَآءُ ؕ وَ اللّٰهُ سَمِیۡعٌ عَلِیۡمٌ
২১. অনুবাদ: হে মুমিনগণ, তোমরা শয়তানের পদাঙ্কসমূহ অনুসরণ করো না। আর যে শয়তানের পদাঙ্কসমূহ অনুসরণ করবে, নিশ্চয় সে অশ্লীলতা ও মন্দ কাজের নির্দেশ দেবে। আর যদি তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ ও তাঁর দয়া না থাকত, তাহলে তোমাদের কেউই কখনো পবিত্র হতে পারত না; কিন্তু আল্লাহ যাকে ইচ্ছা করেন, পবিত্র করেন। আর আল্লাহ সর্বশ্রোতা, মহাজ্ঞানী।

22 ২২
وَ لَا یَاۡتَلِ اُولُوا الۡفَضۡلِ مِنۡکُمۡ وَ السَّعَۃِ اَنۡ یُّؤۡتُوۡۤا اُولِی الۡقُرۡبٰی وَ الۡمَسٰکِیۡنَ وَ الۡمُهٰجِرِیۡنَ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰهِ ۪ۖ وَ لۡیَعۡفُوۡا وَ لۡیَصۡفَحُوۡا ؕ اَلَا تُحِبُّوۡنَ اَنۡ یَّغۡفِرَ اللّٰهُ لَکُمۡ ؕ وَ اللّٰهُ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ
وَ لَا یَاۡتَلِ اُولُوا الۡفَضۡلِ مِنۡکُمۡ وَ السَّعَۃِ اَنۡ یُّؤۡتُوۡۤا اُولِی الۡقُرۡبٰی وَ الۡمَسٰکِیۡنَ وَ الۡمُهٰجِرِیۡنَ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰهِ ۪ۖ وَ لۡیَعۡفُوۡا وَ لۡیَصۡفَحُوۡا ؕ اَلَا تُحِبُّوۡنَ اَنۡ یَّغۡفِرَ اللّٰهُ لَکُمۡ ؕ وَ اللّٰهُ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ
২২. অনুবাদ: আর তোমাদের মধ্যে যারা মর্যাদা ও প্রাচুর্যের অধিকারী, তারা যেন এমন কসম না করে যে, তারা নিকটাত্মীয়দের, মিসকীনদের ও আল্লাহর পথে হিজরতকারীদের কিছুই দেবে না। আর তারা যেন তাদের ক্ষমা করে এবং তাদের দোষত্রুটি উপেক্ষা করে। তোমরা কি পছন্দ কর না যে, আল্লাহ তোমাদের ক্ষমা করে দেন? আর আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

23 ২৩
اِنَّ الَّذِیۡنَ یَرۡمُوۡنَ الۡمُحۡصَنٰتِ الۡغٰفِلٰتِ الۡمُؤۡمِنٰتِ لُعِنُوۡا فِی الدُّنۡیَا وَ الۡاٰخِرَۃِ ۪ وَ لَهُمۡ عَذَابٌ عَظِیۡمٌ
اِنَّ الَّذِیۡنَ یَرۡمُوۡنَ الۡمُحۡصَنٰتِ الۡغٰفِلٰتِ الۡمُؤۡمِنٰتِ لُعِنُوۡا فِی الدُّنۡیَا وَ الۡاٰخِرَۃِ ۪ وَ لَهُمۡ عَذَابٌ عَظِیۡمٌ
২৩. অনুবাদ: যারা সচ্চরিত্রা সরলমনা মুমিন নারীদের প্রতি অপবাদ আরোপ করে, তারা দুনিয়া ও আখিরাতে অভিশপ্ত। আর তাদের জন্য রয়েছে মহাআযাব।

24 ২৪
یَّوۡمَ تَشۡهَدُ عَلَیۡهِمۡ اَلۡسِنَتُهُمۡ وَ اَیۡدِیۡهِمۡ وَ اَرۡجُلُهُمۡ بِمَا کَانُوۡا یَعۡمَلُوۡنَ
یَّوۡمَ تَشۡهَدُ عَلَیۡهِمۡ اَلۡسِنَتُهُمۡ وَ اَیۡدِیۡهِمۡ وَ اَرۡجُلُهُمۡ بِمَا کَانُوۡا یَعۡمَلُوۡنَ
২৪. অনুবাদ: যেদিন তাদের জিহবাগুলো, তাদের হাতগুলো ও তাদের পাগুলো তারা যা করত, সে ব্যাপারে তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে।

25 ২৫
یَوۡمَئِذٍ یُّوَفِّیۡهِمُ اللّٰهُ دِیۡنَهُمُ الۡحَقَّ وَ یَعۡلَمُوۡنَ اَنَّ اللّٰهَ هُوَ الۡحَقُّ الۡمُبِیۡنُ
یَوۡمَئِذٍ یُّوَفِّیۡهِمُ اللّٰهُ دِیۡنَهُمُ الۡحَقَّ وَ یَعۡلَمُوۡنَ اَنَّ اللّٰهَ هُوَ الۡحَقُّ الۡمُبِیۡنُ
২৫. অনুবাদ: সেদিন আল্লাহ তাদেরকে তাদের ন্যায্য প্রতিদান পুরোপুরি দিয়ে দেবেন, আর তারা জানবে যে, আল্লাহই সুস্পষ্ট সত্য।

26 ২৬
اَلۡخَبِیۡثٰتُ لِلۡخَبِیۡثِیۡنَ وَ الۡخَبِیۡثُوۡنَ لِلۡخَبِیۡثٰتِ ۚ وَ الطَّیِّبٰتُ لِلطَّیِّبِیۡنَ وَ الطَّیِّبُوۡنَ لِلطَّیِّبٰتِ ۚ اُولٰٓئِکَ مُبَرَّءُوۡنَ مِمَّا یَقُوۡلُوۡنَ ؕ لَهُمۡ مَّغۡفِرَۃٌ وَّ رِزۡقٌ کَرِیۡمٌ
اَلۡخَبِیۡثٰتُ لِلۡخَبِیۡثِیۡنَ وَ الۡخَبِیۡثُوۡنَ لِلۡخَبِیۡثٰتِ ۚ وَ الطَّیِّبٰتُ لِلطَّیِّبِیۡنَ وَ الطَّیِّبُوۡنَ لِلطَّیِّبٰتِ ۚ اُولٰٓئِکَ مُبَرَّءُوۡنَ مِمَّا یَقُوۡلُوۡنَ ؕ لَهُمۡ مَّغۡفِرَۃٌ وَّ رِزۡقٌ کَرِیۡمٌ
২৬. অনুবাদ: দুশ্চরিত্রা নারীরা দুশ্চরিত্র পুরুষদের জন্য এবং দুশ্চরিত্র পুরুষরা দুশ্চরিত্রা নারীদের জন্য। আর সচ্চরিত্রা নারীরা সচ্চরিত্র পুরুষদের জন্য এবং সচ্চরিত্র পুরুষরা সচ্চরিত্রা নারীদের জন্য; লোকেরা যা বলে, তারা তা থেকে মুক্ত। তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও সম্মানজনক রিয্ক।

27 ২৭
یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَدۡخُلُوۡا بُیُوۡتًا غَیۡرَ بُیُوۡتِکُمۡ حَتّٰی تَسۡتَاۡنِسُوۡا وَ تُسَلِّمُوۡا عَلٰۤی اَهۡلِهَا ؕ ذٰلِکُمۡ خَیۡرٌ لَّکُمۡ لَعَلَّکُمۡ تَذَکَّرُوۡنَ
یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَدۡخُلُوۡا بُیُوۡتًا غَیۡرَ بُیُوۡتِکُمۡ حَتّٰی تَسۡتَاۡنِسُوۡا وَ تُسَلِّمُوۡا عَلٰۤی اَهۡلِهَا ؕ ذٰلِکُمۡ خَیۡرٌ لَّکُمۡ لَعَلَّکُمۡ تَذَکَّرُوۡنَ
২৭. অনুবাদ: হে মুমিনগণ, তোমরা নিজদের গৃহ ছাড়া অন্য কারও গৃহে প্রবেশ করো না, যতক্ষণ না তোমরা অনুমতি নেবে এবং গৃহবাসীদেরকে সালাম দেবে। এটাই তোমাদের জন্য কল্যাণকর, যাতে তোমরা উপদেশ গ্রহণ কর।

28 ২৮
فَاِنۡ لَّمۡ تَجِدُوۡا فِیۡهَاۤ اَحَدًا فَلَا تَدۡخُلُوۡهَا حَتّٰی یُؤۡذَنَ لَکُمۡ ۚ وَ اِنۡ قِیۡلَ لَکُمُ ارۡجِعُوۡا فَارۡجِعُوۡا هُوَ اَزۡکٰی لَکُمۡ ؕ وَ اللّٰهُ بِمَا تَعۡمَلُوۡنَ عَلِیۡمٌ
فَاِنۡ لَّمۡ تَجِدُوۡا فِیۡهَاۤ اَحَدًا فَلَا تَدۡخُلُوۡهَا حَتّٰی یُؤۡذَنَ لَکُمۡ ۚ وَ اِنۡ قِیۡلَ لَکُمُ ارۡجِعُوۡا فَارۡجِعُوۡا هُوَ اَزۡکٰی لَکُمۡ ؕ وَ اللّٰهُ بِمَا تَعۡمَلُوۡنَ عَلِیۡمٌ
২৮. অনুবাদ: অতঃপর যদি তোমরা সেখানে কাউকে না পাও তাহলে তোমাদেরকে অনুমতি না দেয়া পর্যন্ত তোমরা সেখানে প্রবেশ করো না। আর যদি তোমাদেরকে বলা হয়, ‘ফিরে যাও’ তাহলে ফিরে যাবে। এটাই তোমাদের জন্য অধিক পবিত্র। তোমরা যা কর আল্লাহ সে বিষয়ে সম্যক অবগত।

29 ২৯
لَیۡسَ عَلَیۡکُمۡ جُنَاحٌ اَنۡ تَدۡخُلُوۡا بُیُوۡتًا غَیۡرَ مَسۡکُوۡنَۃٍ فِیۡهَا مَتَاعٌ لَّکُمۡ ؕ وَ اللّٰهُ یَعۡلَمُ مَا تُبۡدُوۡنَ وَ مَا تَکۡتُمُوۡنَ
لَیۡسَ عَلَیۡکُمۡ جُنَاحٌ اَنۡ تَدۡخُلُوۡا بُیُوۡتًا غَیۡرَ مَسۡکُوۡنَۃٍ فِیۡهَا مَتَاعٌ لَّکُمۡ ؕ وَ اللّٰهُ یَعۡلَمُ مَا تُبۡدُوۡنَ وَ مَا تَکۡتُمُوۡنَ
২৯. অনুবাদ: যে ঘরে কেউ বাস করে না, তাতে তোমাদের কোন ভোগসামগ্রী থাকলে, সেখানে তোমাদের প্রবেশে কোন পাপ হবে না। আর আল্লাহ জানেন যা তোমরা প্রকাশ কর আর যা তোমরা গোপন কর।

30 ৩০
قُلۡ لِّلۡمُؤۡمِنِیۡنَ یَغُضُّوۡا مِنۡ اَبۡصَارِهِمۡ وَ یَحۡفَظُوۡا فُرُوۡجَهُمۡ ؕ ذٰلِکَ اَزۡکٰی لَهُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰهَ خَبِیۡرٌۢ بِمَا یَصۡنَعُوۡنَ
قُلۡ لِّلۡمُؤۡمِنِیۡنَ یَغُضُّوۡا مِنۡ اَبۡصَارِهِمۡ وَ یَحۡفَظُوۡا فُرُوۡجَهُمۡ ؕ ذٰلِکَ اَزۡکٰی لَهُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰهَ خَبِیۡرٌۢ بِمَا یَصۡنَعُوۡنَ
৩০. অনুবাদ: মুমিন পুরুষদেরকে বল, তারা তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখবে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযত করবে। এটাই তাদের জন্য অধিক পবিত্র। নিশ্চয় তারা যা করে সে সম্পর্কে আল্লাহ সম্যক অবহিত।

31 ৩১
وَ قُلۡ لِّلۡمُؤۡمِنٰتِ یَغۡضُضۡنَ مِنۡ اَبۡصَارِهِنَّ وَ یَحۡفَظۡنَ فُرُوۡجَهُنَّ وَ لَا یُبۡدِیۡنَ زِیۡنَتَهُنَّ اِلَّا مَا ظَهَرَ مِنۡهَا وَ لۡیَضۡرِبۡنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلٰی جُیُوۡبِهِنَّ ۪ وَ لَا یُبۡدِیۡنَ زِیۡنَتَهُنَّ اِلَّا لِبُعُوۡلَتِهِنَّ اَوۡ اٰبَآئِهِنَّ اَوۡ اٰبَآءِ بُعُوۡلَتِهِنَّ اَوۡ اَبۡنَآئِهِنَّ اَوۡ اَبۡنَآءِ بُعُوۡلَتِهِنَّ اَوۡ اِخۡوَانِهِنَّ اَوۡ بَنِیۡۤ اِخۡوَانِهِنَّ اَوۡ بَنِیۡۤ اَخَوٰتِهِنَّ اَوۡ نِسَآئِهِنَّ اَوۡ مَا مَلَکَتۡ اَیۡمَانُهُنَّ اَوِ التّٰبِعِیۡنَ غَیۡرِ اُولِی الۡاِرۡبَۃِ مِنَ الرِّجَالِ اَوِ الطِّفۡلِ الَّذِیۡنَ لَمۡ یَظۡهَرُوۡا عَلٰی عَوۡرٰتِ النِّسَآءِ ۪ وَ لَا یَضۡرِبۡنَ بِاَرۡجُلِهِنَّ لِیُعۡلَمَ مَا یُخۡفِیۡنَ مِنۡ زِیۡنَتِهِنَّ ؕ وَ تُوۡبُوۡۤا اِلَی اللّٰهِ جَمِیۡعًا اَیُّهَ الۡمُؤۡمِنُوۡنَ لَعَلَّکُمۡ تُفۡلِحُوۡنَ
وَ قُلۡ لِّلۡمُؤۡمِنٰتِ یَغۡضُضۡنَ مِنۡ اَبۡصَارِهِنَّ وَ یَحۡفَظۡنَ فُرُوۡجَهُنَّ وَ لَا یُبۡدِیۡنَ زِیۡنَتَهُنَّ اِلَّا مَا ظَهَرَ مِنۡهَا وَ لۡیَضۡرِبۡنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلٰی جُیُوۡبِهِنَّ ۪ وَ لَا یُبۡدِیۡنَ زِیۡنَتَهُنَّ اِلَّا لِبُعُوۡلَتِهِنَّ اَوۡ اٰبَآئِهِنَّ اَوۡ اٰبَآءِ بُعُوۡلَتِهِنَّ اَوۡ اَبۡنَآئِهِنَّ اَوۡ اَبۡنَآءِ بُعُوۡلَتِهِنَّ اَوۡ اِخۡوَانِهِنَّ اَوۡ بَنِیۡۤ اِخۡوَانِهِنَّ اَوۡ بَنِیۡۤ اَخَوٰتِهِنَّ اَوۡ نِسَآئِهِنَّ اَوۡ مَا مَلَکَتۡ اَیۡمَانُهُنَّ اَوِ التّٰبِعِیۡنَ غَیۡرِ اُولِی الۡاِرۡبَۃِ مِنَ الرِّجَالِ اَوِ الطِّفۡلِ الَّذِیۡنَ لَمۡ یَظۡهَرُوۡا عَلٰی عَوۡرٰتِ النِّسَآءِ ۪ وَ لَا یَضۡرِبۡنَ بِاَرۡجُلِهِنَّ لِیُعۡلَمَ مَا یُخۡفِیۡنَ مِنۡ زِیۡنَتِهِنَّ ؕ وَ تُوۡبُوۡۤا اِلَی اللّٰهِ جَمِیۡعًا اَیُّهَ الۡمُؤۡمِنُوۡنَ لَعَلَّکُمۡ تُفۡلِحُوۡنَ
৩১. অনুবাদ: আর মুমিন নারীদেরকে বল, যেন তারা তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখবে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযত করে। আর যা সাধারণত প্রকাশ পায় তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য তারা প্রকাশ করবে না। তারা যেন তাদের ওড়না দিয়ে বক্ষদেশকে আবৃত করে রাখে। আর তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, নিজদের ছেলে, স্বামীর ছেলে, ভাই, ভাই এর ছেলে, বোনের ছেলে, আপন নারীগণ, তাদের ডান হাত যার মালিক হয়েছে, অধীনস্থ যৌনকামনামুক্ত পুরুষ অথবা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ বালক ছাড়া কারো কাছে নিজদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে। আর তারা যেন নিজদের গোপন সৌন্দর্য প্রকাশ করার জন্য সজোরে পদচারণা না করে। হে মুমিনগণ, তোমরা সকলেই আল্লাহর নিকট তাওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার।

32 ৩২
وَ اَنۡکِحُوا الۡاَیَامٰی مِنۡکُمۡ وَ الصّٰلِحِیۡنَ مِنۡ عِبَادِکُمۡ وَ اِمَآئِکُمۡ ؕ اِنۡ یَّکُوۡنُوۡا فُقَرَآءَ یُغۡنِهِمُ اللّٰهُ مِنۡ فَضۡلِهٖ ؕ وَ اللّٰهُ وَاسِعٌ عَلِیۡمٌ
وَ اَنۡکِحُوا الۡاَیَامٰی مِنۡکُمۡ وَ الصّٰلِحِیۡنَ مِنۡ عِبَادِکُمۡ وَ اِمَآئِکُمۡ ؕ اِنۡ یَّکُوۡنُوۡا فُقَرَآءَ یُغۡنِهِمُ اللّٰهُ مِنۡ فَضۡلِهٖ ؕ وَ اللّٰهُ وَاسِعٌ عَلِیۡمٌ
৩২. অনুবাদ: আর তোমরা তোমাদের মধ্যকার অবিবাহিত নারী-পুরুষ ও সৎকর্মশীল দাস দাসীদের বিবাহ দাও। তারা অভাবী হলে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে অভাবমুক্ত করে দেবেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময় ও মহাজ্ঞানী।

33 ৩৩
وَ لۡیَسۡتَعۡفِفِ الَّذِیۡنَ لَا یَجِدُوۡنَ نِکَاحًا حَتّٰی یُغۡنِیَهُمُ اللّٰهُ مِنۡ فَضۡلِهٖ ؕ وَ الَّذِیۡنَ یَبۡتَغُوۡنَ الۡکِتٰبَ مِمَّا مَلَکَتۡ اَیۡمَانُکُمۡ فَکَاتِبُوۡهُمۡ اِنۡ عَلِمۡتُمۡ فِیۡهِمۡ خَیۡرًا ٭ۖ وَّ اٰتُوۡهُمۡ مِّنۡ مَّالِ اللّٰهِ الَّذِیۡۤ اٰتٰىکُمۡ ؕ وَ لَا تُکۡرِهُوۡا فَتَیٰتِکُمۡ عَلَی الۡبِغَآءِ اِنۡ اَرَدۡنَ تَحَصُّنًا لِّتَبۡتَغُوۡا عَرَضَ الۡحَیٰوۃِ الدُّنۡیَا ؕ وَ مَنۡ یُّکۡرِهۡهُّنَّ فَاِنَّ اللّٰهَ مِنۡۢ بَعۡدِ اِکۡرَاهِهِنَّ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ
وَ لۡیَسۡتَعۡفِفِ الَّذِیۡنَ لَا یَجِدُوۡنَ نِکَاحًا حَتّٰی یُغۡنِیَهُمُ اللّٰهُ مِنۡ فَضۡلِهٖ ؕ وَ الَّذِیۡنَ یَبۡتَغُوۡنَ الۡکِتٰبَ مِمَّا مَلَکَتۡ اَیۡمَانُکُمۡ فَکَاتِبُوۡهُمۡ اِنۡ عَلِمۡتُمۡ فِیۡهِمۡ خَیۡرًا ٭ۖ وَّ اٰتُوۡهُمۡ مِّنۡ مَّالِ اللّٰهِ الَّذِیۡۤ اٰتٰىکُمۡ ؕ وَ لَا تُکۡرِهُوۡا فَتَیٰتِکُمۡ عَلَی الۡبِغَآءِ اِنۡ اَرَدۡنَ تَحَصُّنًا لِّتَبۡتَغُوۡا عَرَضَ الۡحَیٰوۃِ الدُّنۡیَا ؕ وَ مَنۡ یُّکۡرِهۡهُّنَّ فَاِنَّ اللّٰهَ مِنۡۢ بَعۡدِ اِکۡرَاهِهِنَّ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ
৩৩. অনুবাদ: আর যাদের বিবাহের সামর্থ্য নেই আল্লাহ তাদেরকে নিজ অনুগ্রহে অভাবমুক্ত না করা পর্যন্ত তারা যেন সংযম অবলম্বন করে। আর তোমাদের মালিকানাধীন দাস-দাসীদের মধ্যে যারা মুক্তির জন্য লিখিত চুক্তি করতে চায় তাদের সাথে তোমরা লিখিত চুক্তি কর, যদি তোমরা তাদের মধ্যে কল্যাণ আছে বলে জানতে পার এবং আল্লাহ তোমাদেরকে যে সম্পদ দিয়েছেন তা থেকে তোমরা তাদেরকে দাও। তোমাদের দাসীরা সতীত্ব রক্ষা করতে চাইলে তোমরা দুনিয়ার জীবনের সম্পদের কামনায় তাদেরকে ব্যভিচারে বাধ্য করো না। আর যারা তাদেরকে বাধ্য করবে, নিশ্চয় তাদেরকে বাধ্য করার পর আল্লাহ তাদের প্রতি অত্যন্ত ক্ষমাশীল পরম দয়ালু।

34 ৩৪
وَ لَقَدۡ اَنۡزَلۡنَاۤ اِلَیۡکُمۡ اٰیٰتٍ مُّبَیِّنٰتٍ وَّ مَثَلًا مِّنَ الَّذِیۡنَ خَلَوۡا مِنۡ قَبۡلِکُمۡ وَ مَوۡعِظَۃً لِّلۡمُتَّقِیۡنَ
وَ لَقَدۡ اَنۡزَلۡنَاۤ اِلَیۡکُمۡ اٰیٰتٍ مُّبَیِّنٰتٍ وَّ مَثَلًا مِّنَ الَّذِیۡنَ خَلَوۡا مِنۡ قَبۡلِکُمۡ وَ مَوۡعِظَۃً لِّلۡمُتَّقِیۡنَ
৩৪. অনুবাদ: আর নিশ্চয় আমি তোমাদের কাছে নাযিল করেছি সুস্পষ্ট আয়াতসমূহ এবং তোমাদের পূর্বে যারা চলে গেছে তাদের দৃষ্টান্ত ও মুত্তাকীদের জন্য উপদেশ।

35 ৩৫
اَللّٰهُ نُوۡرُ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ ؕ مَثَلُ نُوۡرِهٖ کَمِشۡکٰوۃٍ فِیۡهَا مِصۡبَاحٌ ؕ اَلۡمِصۡبَاحُ فِیۡ زُجَاجَۃٍ ؕ اَلزُّجَاجَۃُ کَاَنَّهَا کَوۡکَبٌ دُرِّیٌّ یُّوۡقَدُ مِنۡ شَجَرَۃٍ مُّبٰرَکَۃٍ زَیۡتُوۡنَۃٍ لَّا شَرۡقِیَّۃٍ وَّ لَا غَرۡبِیَّۃٍ ۙ یَّکَادُ زَیۡتُهَا یُضِیۡٓءُ وَ لَوۡ لَمۡ تَمۡسَسۡهُ نَارٌ ؕ نُوۡرٌ عَلٰی نُوۡرٍ ؕ یَهۡدِی اللّٰهُ لِنُوۡرِهٖ مَنۡ یَّشَآءُ ؕ وَ یَضۡرِبُ اللّٰهُ الۡاَمۡثَالَ لِلنَّاسِ ؕ وَ اللّٰهُ بِکُلِّ شَیۡءٍ عَلِیۡمٌ
اَللّٰهُ نُوۡرُ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ ؕ مَثَلُ نُوۡرِهٖ کَمِشۡکٰوۃٍ فِیۡهَا مِصۡبَاحٌ ؕ اَلۡمِصۡبَاحُ فِیۡ زُجَاجَۃٍ ؕ اَلزُّجَاجَۃُ کَاَنَّهَا کَوۡکَبٌ دُرِّیٌّ یُّوۡقَدُ مِنۡ شَجَرَۃٍ مُّبٰرَکَۃٍ زَیۡتُوۡنَۃٍ لَّا شَرۡقِیَّۃٍ وَّ لَا غَرۡبِیَّۃٍ ۙ یَّکَادُ زَیۡتُهَا یُضِیۡٓءُ وَ لَوۡ لَمۡ تَمۡسَسۡهُ نَارٌ ؕ نُوۡرٌ عَلٰی نُوۡرٍ ؕ یَهۡدِی اللّٰهُ لِنُوۡرِهٖ مَنۡ یَّشَآءُ ؕ وَ یَضۡرِبُ اللّٰهُ الۡاَمۡثَالَ لِلنَّاسِ ؕ وَ اللّٰهُ بِکُلِّ شَیۡءٍ عَلِیۡمٌ
৩৫. অনুবাদ: আল্লাহ আসমানসমূহ ও যমীনের নূর। তাঁর নূরের উপমা একটি তাকের মতই। তাতে রয়েছে একটি প্রদীপ, প্রদীপটি রয়েছে একটি চিমনির মধ্যে। চিমনিটি উজ্জ্বল তারকার মতই। প্রদীপটি বরকতময় যাইতূন গাছের তেল দ্বারা জ্বালানো হয়, যা পূর্ব দিকেরও নয় এবং পশ্চিম দিকেরও নয়। এর তেল যেন আলো বিকিরণ করে, যদিও তাতে আগুন স্পর্শ না করে। নূরের উপর নূর। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা হিদায়াত করেন তাঁর নূরের দিকে। আর আল্লাহ মানুষের জন্য উপমাসমূহ উপস্থাপন করেন। আর আল্লাহ প্রতিটি বস্তু সম্পর্কে সম্যক জ্ঞাত।

36 ৩৬
فِیۡ بُیُوۡتٍ اَذِنَ اللّٰهُ اَنۡ تُرۡفَعَ وَ یُذۡکَرَ فِیۡهَا اسۡمُهٗ ۙ یُسَبِّحُ لَهٗ فِیۡهَا بِالۡغُدُوِّ وَ الۡاٰصَالِ
فِیۡ بُیُوۡتٍ اَذِنَ اللّٰهُ اَنۡ تُرۡفَعَ وَ یُذۡکَرَ فِیۡهَا اسۡمُهٗ ۙ یُسَبِّحُ لَهٗ فِیۡهَا بِالۡغُدُوِّ وَ الۡاٰصَالِ
৩৬. অনুবাদ: সেসব ঘরে যাকে সমুন্নত করতে এবং যেখানে আল্লাহর নাম যিক্র করতে আল্লাহই অনুমতি দিয়েছেন। সেখানে সকাল ও সন্ধ্যায় তাঁর তাসবীহ পাঠ করে-

37 ৩৭
رِجَالٌ ۙ لَّا تُلۡهِیۡهِمۡ تِجَارَۃٌ وَّ لَا بَیۡعٌ عَنۡ ذِکۡرِ اللّٰهِ وَ اِقَامِ الصَّلٰوۃِ وَ اِیۡتَآءِ الزَّکٰوۃِ ۪ۙ یَخَافُوۡنَ یَوۡمًا تَتَقَلَّبُ فِیۡهِ الۡقُلُوۡبُ وَ الۡاَبۡصَارُ
رِجَالٌ ۙ لَّا تُلۡهِیۡهِمۡ تِجَارَۃٌ وَّ لَا بَیۡعٌ عَنۡ ذِکۡرِ اللّٰهِ وَ اِقَامِ الصَّلٰوۃِ وَ اِیۡتَآءِ الزَّکٰوۃِ ۪ۙ یَخَافُوۡنَ یَوۡمًا تَتَقَلَّبُ فِیۡهِ الۡقُلُوۡبُ وَ الۡاَبۡصَارُ
৩৭. অনুবাদ: সেসব লোক, যাদেরকে ব্যবসা-বাণিজ্য ও ক্রয়-বিক্রয় আল্লাহর যিক্র, সালাত কায়েম করা ও যাকাত প্রদান করা থেকে বিরত রাখে না। তারা সেদিনকে ভয় করে, যেদিন অন্তর ও দৃষ্টিসমূহ উল্টে যাবে।

38 ৩৮
لِیَجۡزِیَهُمُ اللّٰهُ اَحۡسَنَ مَا عَمِلُوۡا وَ یَزِیۡدَهُمۡ مِّنۡ فَضۡلِهٖ ؕ وَ اللّٰهُ یَرۡزُقُ مَنۡ یَّشَآءُ بِغَیۡرِ حِسَابٍ
لِیَجۡزِیَهُمُ اللّٰهُ اَحۡسَنَ مَا عَمِلُوۡا وَ یَزِیۡدَهُمۡ مِّنۡ فَضۡلِهٖ ؕ وَ اللّٰهُ یَرۡزُقُ مَنۡ یَّشَآءُ بِغَیۡرِ حِسَابٍ
৩৮. অনুবাদ: যাতে তাদের কৃত উত্তম আমলের জন্য আল্লাহ তাদেরকে প্রতিদান দেন এবং তিনি স্বীয় অনুগ্রহে তাদেরকে আরো বাড়িয়ে দেন। আর আল্লাহ যাকে ইচ্ছা করেন অপরিমিত রিয্ক দান করেন।

39 ৩৯
وَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡۤا اَعۡمَالُهُمۡ کَسَرَابٍۭ بِقِیۡعَۃٍ یَّحۡسَبُهُ الظَّمۡاٰنُ مَآءً ؕ حَتّٰۤی اِذَا جَآءَهٗ لَمۡ یَجِدۡهُ شَیۡئًا وَّ وَجَدَ اللّٰهَ عِنۡدَهٗ فَوَفّٰىهُ حِسَابَهٗ ؕ وَ اللّٰهُ سَرِیۡعُ الۡحِسَابِ
وَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡۤا اَعۡمَالُهُمۡ کَسَرَابٍۭ بِقِیۡعَۃٍ یَّحۡسَبُهُ الظَّمۡاٰنُ مَآءً ؕ حَتّٰۤی اِذَا جَآءَهٗ لَمۡ یَجِدۡهُ شَیۡئًا وَّ وَجَدَ اللّٰهَ عِنۡدَهٗ فَوَفّٰىهُ حِسَابَهٗ ؕ وَ اللّٰهُ سَرِیۡعُ الۡحِسَابِ
৩৯. অনুবাদ: আর যারা কুফরী করে, তাদের আমলসমূহ মরুভূমির মরিচিকার মত, পিপাসিত ব্যক্তি যাকে পানি মনে করে। অবশেষে যখন সে তার কাছে আসবে, তখন সে দেখবে সেটা কিছুই নয়। আর সে সেখানে আল্লাহকে দেখতে পাবে। অতঃপর তিনি তাকে তার হিসাব পরিপূর্ণ করে দেবেন। আর আল্লাহ অতি দ্রুত হিসাব গ্রহণকারী।

40 ৪০
اَوۡ کَظُلُمٰتٍ فِیۡ بَحۡرٍ لُّجِّیٍّ یَّغۡشٰهُ مَوۡجٌ مِّنۡ فَوۡقِهٖ مَوۡجٌ مِّنۡ فَوۡقِهٖ سَحَابٌ ؕ ظُلُمٰتٌۢ بَعۡضُهَا فَوۡقَ بَعۡضٍ ؕ اِذَاۤ اَخۡرَجَ یَدَهٗ لَمۡ یَکَدۡ یَرٰىهَا ؕ وَ مَنۡ لَّمۡ یَجۡعَلِ اللّٰهُ لَهٗ نُوۡرًا فَمَا لَهٗ مِنۡ نُّوۡرٍ
اَوۡ کَظُلُمٰتٍ فِیۡ بَحۡرٍ لُّجِّیٍّ یَّغۡشٰهُ مَوۡجٌ مِّنۡ فَوۡقِهٖ مَوۡجٌ مِّنۡ فَوۡقِهٖ سَحَابٌ ؕ ظُلُمٰتٌۢ بَعۡضُهَا فَوۡقَ بَعۡضٍ ؕ اِذَاۤ اَخۡرَجَ یَدَهٗ لَمۡ یَکَدۡ یَرٰىهَا ؕ وَ مَنۡ لَّمۡ یَجۡعَلِ اللّٰهُ لَهٗ نُوۡرًا فَمَا لَهٗ مِنۡ نُّوۡرٍ
৪০. অনুবাদ: অথবা (তাদের আমলসমূহ) গভীর সমূদ্রে ঘনিভূত অন্ধকারের মত, যাকে আচ্ছন্ন করে ঢেউয়ের উপরে ঢেউ, তার উপরে মেঘমালা। অনেক অন্ধকার; এক স্তরের উপর অপর স্তর। কেউ হাত বের করলে আদৌ তা দেখতে পায় না। আর আল্লাহ যাকে নূর দেন না তার জন্য কোন নূর নেই।

41 ৪১
اَلَمۡ تَرَ اَنَّ اللّٰهَ یُسَبِّحُ لَهٗ مَنۡ فِی السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ وَ الطَّیۡرُ صٰٓفّٰتٍ ؕ کُلٌّ قَدۡ عَلِمَ صَلَاتَهٗ وَ تَسۡبِیۡحَهٗ ؕ وَ اللّٰهُ عَلِیۡمٌۢ بِمَا یَفۡعَلُوۡنَ
اَلَمۡ تَرَ اَنَّ اللّٰهَ یُسَبِّحُ لَهٗ مَنۡ فِی السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ وَ الطَّیۡرُ صٰٓفّٰتٍ ؕ کُلٌّ قَدۡ عَلِمَ صَلَاتَهٗ وَ تَسۡبِیۡحَهٗ ؕ وَ اللّٰهُ عَلِیۡمٌۢ بِمَا یَفۡعَلُوۡنَ
৪১. অনুবাদ: তুমি কি দেখনি যে, আসমান ও যমীনে যারা আছে তারা এবং সারিবদ্ধ হয়ে উড়ন্ত পাখিরা আল্লাহর তাসবীহ পাঠ করে? প্রত্যেকেই তাঁর সালাত ও তাসবীহ জানে। তারা যা করে সে সম্পর্কে আল্লাহ সম্যক অবগত।

42 ৪২
وَ لِلّٰهِ مُلۡکُ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ ۚ وَ اِلَی اللّٰهِ الۡمَصِیۡرُ
وَ لِلّٰهِ مُلۡکُ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ ۚ وَ اِلَی اللّٰهِ الۡمَصِیۡرُ
৪২. অনুবাদ: আর আসমান ও যমীনের মালিকানা আল্লাহর জন্যই। আর আল্লাহর দিকেই প্রত্যাবর্তন।

43 ৪৩
اَلَمۡ تَرَ اَنَّ اللّٰهَ یُزۡجِیۡ سَحَابًا ثُمَّ یُؤَلِّفُ بَیۡنَهٗ ثُمَّ یَجۡعَلُهٗ رُکَامًا فَتَرَی الۡوَدۡقَ یَخۡرُجُ مِنۡ خِلٰلِهٖ ۚ وَ یُنَزِّلُ مِنَ السَّمَآءِ مِنۡ جِبَالٍ فِیۡهَا مِنۡۢ بَرَدٍ فَیُصِیۡبُ بِهٖ مَنۡ یَّشَآءُ وَ یَصۡرِفُهٗ عَنۡ مَّنۡ یَّشَآءُ ؕ یَکَادُ سَنَا بَرۡقِهٖ یَذۡهَبُ بِالۡاَبۡصَارِ
اَلَمۡ تَرَ اَنَّ اللّٰهَ یُزۡجِیۡ سَحَابًا ثُمَّ یُؤَلِّفُ بَیۡنَهٗ ثُمَّ یَجۡعَلُهٗ رُکَامًا فَتَرَی الۡوَدۡقَ یَخۡرُجُ مِنۡ خِلٰلِهٖ ۚ وَ یُنَزِّلُ مِنَ السَّمَآءِ مِنۡ جِبَالٍ فِیۡهَا مِنۡۢ بَرَدٍ فَیُصِیۡبُ بِهٖ مَنۡ یَّشَآءُ وَ یَصۡرِفُهٗ عَنۡ مَّنۡ یَّشَآءُ ؕ یَکَادُ سَنَا بَرۡقِهٖ یَذۡهَبُ بِالۡاَبۡصَارِ
৪৩. অনুবাদ: তুমি কি দেখনি যে, আল্লাহ মেঘমালাকে পরিচালিত করেন, তারপর তিনি সেগুলোকে একত্রে জুড়ে দেন, তারপর সেগুলো স্তুপীকৃত করেন, তারপর তুমি দেখতে পাও তার মধ্য থেকে বৃষ্টির বের হয়। আর তিনি আকাশে স্থিত মেঘমালার পাহাড় থেকে শিলা বর্ষণ করেন। তারপর তা দ্বারা যাকে ইচ্ছা আঘাত করেন। আর যার কাছ থেকে ইচ্ছা তা সরিয়ে দেন। এর বিদ্যুতের ঝলক দৃষ্টিশক্তি প্রায় কেড়ে নেয়।

44 ৪৪
یُقَلِّبُ اللّٰهُ الَّیۡلَ وَ النَّهَارَ ؕ اِنَّ فِیۡ ذٰلِکَ لَعِبۡرَۃً لِّاُولِی الۡاَبۡصَارِ
یُقَلِّبُ اللّٰهُ الَّیۡلَ وَ النَّهَارَ ؕ اِنَّ فِیۡ ذٰلِکَ لَعِبۡرَۃً لِّاُولِی الۡاَبۡصَارِ
৪৪. অনুবাদ: আল্লাহ দিন ও রাতের আবর্তন ঘটান, নিশ্চয়ই এতে অন্তরদৃষ্টিসম্পন্নদের জন্য শিক্ষা রয়েছে।

45 ৪৫
وَ اللّٰهُ خَلَقَ کُلَّ دَآبَّۃٍ مِّنۡ مَّآءٍ ۚ فَمِنۡهُمۡ مَّنۡ یَّمۡشِیۡ عَلٰی بَطۡنِهٖ ۚ وَ مِنۡهُمۡ مَّنۡ یَّمۡشِیۡ عَلٰی رِجۡلَیۡنِ ۚ وَ مِنۡهُمۡ مَّنۡ یَّمۡشِیۡ عَلٰۤی اَرۡبَعٍ ؕ یَخۡلُقُ اللّٰهُ مَا یَشَآءُ ؕ اِنَّ اللّٰهَ عَلٰی کُلِّ شَیۡءٍ قَدِیۡرٌ
وَ اللّٰهُ خَلَقَ کُلَّ دَآبَّۃٍ مِّنۡ مَّآءٍ ۚ فَمِنۡهُمۡ مَّنۡ یَّمۡشِیۡ عَلٰی بَطۡنِهٖ ۚ وَ مِنۡهُمۡ مَّنۡ یَّمۡشِیۡ عَلٰی رِجۡلَیۡنِ ۚ وَ مِنۡهُمۡ مَّنۡ یَّمۡشِیۡ عَلٰۤی اَرۡبَعٍ ؕ یَخۡلُقُ اللّٰهُ مَا یَشَآءُ ؕ اِنَّ اللّٰهَ عَلٰی کُلِّ شَیۡءٍ قَدِیۡرٌ
৪৫. অনুবাদ: আর আল্লাহ প্রত্যেক জীবকে পানি থেকে সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর তাদের কোনটি পেটে ভর দিয়ে চলে, কোনটি চলে দু’পায়ের উপর, আবার কোনটি চার পায়ের উপর চলে। আল্লাহ যা ইচ্ছা সৃষ্টি করেন। নিশ্চয় আল্লাহ সব কিছুর উপর সর্বশক্তিমান।

46 ৪৬
لَقَدۡ اَنۡزَلۡنَاۤ اٰیٰتٍ مُّبَیِّنٰتٍ ؕ وَ اللّٰهُ یَهۡدِیۡ مَنۡ یَّشَآءُ اِلٰی صِرَاطٍ مُّسۡتَقِیۡمٍ
لَقَدۡ اَنۡزَلۡنَاۤ اٰیٰتٍ مُّبَیِّنٰتٍ ؕ وَ اللّٰهُ یَهۡدِیۡ مَنۡ یَّشَآءُ اِلٰی صِرَاطٍ مُّسۡتَقِیۡمٍ
৪৬. অনুবাদ: অবশ্যই আমি সুস্পষ্ট আয়াতসমূহ নাযিল করেছি। আর আল্লাহ যাকে ইচ্ছা সরল সঠিক পথ দেখান।

47 ৪৭
وَ یَقُوۡلُوۡنَ اٰمَنَّا بِاللّٰهِ وَ بِالرَّسُوۡلِ وَ اَطَعۡنَا ثُمَّ یَتَوَلّٰی فَرِیۡقٌ مِّنۡهُمۡ مِّنۡۢ بَعۡدِ ذٰلِکَ ؕ وَ مَاۤ اُولٰٓئِکَ بِالۡمُؤۡمِنِیۡنَ
وَ یَقُوۡلُوۡنَ اٰمَنَّا بِاللّٰهِ وَ بِالرَّسُوۡلِ وَ اَطَعۡنَا ثُمَّ یَتَوَلّٰی فَرِیۡقٌ مِّنۡهُمۡ مِّنۡۢ بَعۡدِ ذٰلِکَ ؕ وَ مَاۤ اُولٰٓئِکَ بِالۡمُؤۡمِنِیۡنَ
৪৭. অনুবাদ: তারা বলে, ‘আমরা আল্লাহ ও রাসূলের প্রতি ঈমান এনেছি এবং আমরা আনুগত্য করেছি’, তারপর তাদের একটি দল এর পরে মুখ ফিরিয়ে নেয়। আর তারা মুমিন নয়।

48 ৪৮
وَ اِذَا دُعُوۡۤا اِلَی اللّٰهِ وَ رَسُوۡلِهٖ لِیَحۡکُمَ بَیۡنَهُمۡ اِذَا فَرِیۡقٌ مِّنۡهُمۡ مُّعۡرِضُوۡنَ
وَ اِذَا دُعُوۡۤا اِلَی اللّٰهِ وَ رَسُوۡلِهٖ لِیَحۡکُمَ بَیۡنَهُمۡ اِذَا فَرِیۡقٌ مِّنۡهُمۡ مُّعۡرِضُوۡنَ
৪৮. অনুবাদ: আর যখন তাদেরকে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি এ মর্মে আহবান করা হয় যে, তিনি তাদের মধ্যে বিচারমীমাংসা করবেন, তখন তাদের একটি দল মুখ ফিরিয়ে নেয়।

49 ৪৯
وَ اِنۡ یَّکُنۡ لَّهُمُ الۡحَقُّ یَاۡتُوۡۤا اِلَیۡهِ مُذۡعِنِیۡنَ
وَ اِنۡ یَّکُنۡ لَّهُمُ الۡحَقُّ یَاۡتُوۡۤا اِلَیۡهِ مُذۡعِنِیۡنَ
৪৯. অনুবাদ: কিন্তু যদি সত্য তাদের পক্ষে থাকে, তাহলে তারা তার কাছে একান্ত বিনীতভাবে ছুটে আসে।

50 ৫০
اَفِیۡ قُلُوۡبِهِمۡ مَّرَضٌ اَمِ ارۡتَابُوۡۤا اَمۡ یَخَافُوۡنَ اَنۡ یَّحِیۡفَ اللّٰهُ عَلَیۡهِمۡ وَ رَسُوۡلُهٗ ؕ بَلۡ اُولٰٓئِکَ هُمُ الظّٰلِمُوۡنَ
اَفِیۡ قُلُوۡبِهِمۡ مَّرَضٌ اَمِ ارۡتَابُوۡۤا اَمۡ یَخَافُوۡنَ اَنۡ یَّحِیۡفَ اللّٰهُ عَلَیۡهِمۡ وَ رَسُوۡلُهٗ ؕ بَلۡ اُولٰٓئِکَ هُمُ الظّٰلِمُوۡنَ
৫০. অনুবাদ: তাদের অন্তরে কি ব্যাধি রয়েছে? নাকি তারা সন্দেহ পোষণ করে, না তারা ভয় করে যে, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল তাদের উপর যুলম করবেন? বরং তারাই তো যালিম।

51 ৫১
اِنَّمَا کَانَ قَوۡلَ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ اِذَا دُعُوۡۤا اِلَی اللّٰهِ وَ رَسُوۡلِهٖ لِیَحۡکُمَ بَیۡنَهُمۡ اَنۡ یَّقُوۡلُوۡا سَمِعۡنَا وَ اَطَعۡنَا ؕ وَ اُولٰٓئِکَ هُمُ الۡمُفۡلِحُوۡنَ
اِنَّمَا کَانَ قَوۡلَ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ اِذَا دُعُوۡۤا اِلَی اللّٰهِ وَ رَسُوۡلِهٖ لِیَحۡکُمَ بَیۡنَهُمۡ اَنۡ یَّقُوۡلُوۡا سَمِعۡنَا وَ اَطَعۡنَا ؕ وَ اُولٰٓئِکَ هُمُ الۡمُفۡلِحُوۡنَ
৫১. অনুবাদ: মুমিনদেরকে যখন আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি এ মর্মে আহবান করা হয় যে, তিনি তাদের মধ্যে বিচার, মীমাংসা করবেন, তাদের কথা তো এই হয় যে, তখন তারা বলে: ‘আমরা শুনলাম ও আনুগত্য করলাম।’ আর তারাই সফলকাম।

52 ৫২
وَ مَنۡ یُّطِعِ اللّٰهَ وَ رَسُوۡلَهٗ وَ یَخۡشَ اللّٰهَ وَ یَتَّقۡهِ فَاُولٰٓئِکَ هُمُ الۡفَآئِزُوۡنَ
وَ مَنۡ یُّطِعِ اللّٰهَ وَ رَسُوۡلَهٗ وَ یَخۡشَ اللّٰهَ وَ یَتَّقۡهِ فَاُولٰٓئِکَ هُمُ الۡفَآئِزُوۡنَ
৫২. অনুবাদ: আর যে কেউ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করে, আল্লাহকে ভয় করে এবং তাঁর তাকওয়া অবলম্বন করে, তারাই কৃতকার্য।

53 ৫৩
وَ اَقۡسَمُوۡا بِاللّٰهِ جَهۡدَ اَیۡمَانِهِمۡ لَئِنۡ اَمَرۡتَهُمۡ لَیَخۡرُجُنَّ ؕ قُلۡ لَّا تُقۡسِمُوۡا ۚ طَاعَۃٌ مَّعۡرُوۡفَۃٌ ؕ اِنَّ اللّٰهَ خَبِیۡرٌۢ بِمَا تَعۡمَلُوۡنَ
وَ اَقۡسَمُوۡا بِاللّٰهِ جَهۡدَ اَیۡمَانِهِمۡ لَئِنۡ اَمَرۡتَهُمۡ لَیَخۡرُجُنَّ ؕ قُلۡ لَّا تُقۡسِمُوۡا ۚ طَاعَۃٌ مَّعۡرُوۡفَۃٌ ؕ اِنَّ اللّٰهَ خَبِیۡرٌۢ بِمَا تَعۡمَلُوۡنَ
৫৩. অনুবাদ: আর তারা তাদের সুদৃঢ় শপথের মাধ্যমে আল্লাহর নামে কসম করে বলে যে, ‘তুমি যদি তাদের আদেশ কর তবে তারা বের হবেই। তুমি বল, ‘তোমরা কসম করো না। [তোমাদের] আনুগত্য তো জানাই আছে। তোমরা যা কিছু কর, নিশ্চয় আল্লাহ সে বিষয়ে সবিশেষ অবহিত’।

54 ৫৪
قُلۡ اَطِیۡعُوا اللّٰهَ وَ اَطِیۡعُوا الرَّسُوۡلَ ۚ فَاِنۡ تَوَلَّوۡا فَاِنَّمَا عَلَیۡهِ مَا حُمِّلَ وَ عَلَیۡکُمۡ مَّا حُمِّلۡتُمۡ ؕ وَ اِنۡ تُطِیۡعُوۡهُ تَهۡتَدُوۡا ؕ وَ مَا عَلَی الرَّسُوۡلِ اِلَّا الۡبَلٰغُ الۡمُبِیۡنُ
قُلۡ اَطِیۡعُوا اللّٰهَ وَ اَطِیۡعُوا الرَّسُوۡلَ ۚ فَاِنۡ تَوَلَّوۡا فَاِنَّمَا عَلَیۡهِ مَا حُمِّلَ وَ عَلَیۡکُمۡ مَّا حُمِّلۡتُمۡ ؕ وَ اِنۡ تُطِیۡعُوۡهُ تَهۡتَدُوۡا ؕ وَ مَا عَلَی الرَّسُوۡلِ اِلَّا الۡبَلٰغُ الۡمُبِیۡنُ
৫৪. অনুবাদ: বল, ‘তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর এবং রাসূলের আনুগত্য কর।’ তারপর যদি তোমরা মুখ ফিরিয়ে নাও, তবে সে শুধু তার উপর অর্পিত দায়িত্বের জন্য দায়ী এবং তোমাদের উপর অর্পিত দায়িত্বের জন্য তোমরাই দায়ী। আর যদি তোমরা তার আনুগত্য কর তবে তোমরা হিদায়াতপ্রাপ্ত হবে। আর রাসূলের দায়িত্ব শুধু স্পষ্টভাবে পৌঁছে দেয়া।

55 ৫৫
وَعَدَ اللّٰهُ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا مِنۡکُمۡ وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ لَیَسۡتَخۡلِفَنَّهُمۡ فِی الۡاَرۡضِ کَمَا اسۡتَخۡلَفَ الَّذِیۡنَ مِنۡ قَبۡلِهِمۡ ۪ وَ لَیُمَکِّنَنَّ لَهُمۡ دِیۡنَهُمُ الَّذِی ارۡتَضٰی لَهُمۡ وَ لَیُبَدِّلَنَّهُمۡ مِّنۡۢ بَعۡدِ خَوۡفِهِمۡ اَمۡنًا ؕ یَعۡبُدُوۡنَنِیۡ لَا یُشۡرِکُوۡنَ بِیۡ شَیۡئًا ؕ وَ مَنۡ کَفَرَ بَعۡدَ ذٰلِکَ فَاُولٰٓئِکَ هُمُ الۡفٰسِقُوۡنَ
وَعَدَ اللّٰهُ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا مِنۡکُمۡ وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ لَیَسۡتَخۡلِفَنَّهُمۡ فِی الۡاَرۡضِ کَمَا اسۡتَخۡلَفَ الَّذِیۡنَ مِنۡ قَبۡلِهِمۡ ۪ وَ لَیُمَکِّنَنَّ لَهُمۡ دِیۡنَهُمُ الَّذِی ارۡتَضٰی لَهُمۡ وَ لَیُبَدِّلَنَّهُمۡ مِّنۡۢ بَعۡدِ خَوۡفِهِمۡ اَمۡنًا ؕ یَعۡبُدُوۡنَنِیۡ لَا یُشۡرِکُوۡنَ بِیۡ شَیۡئًا ؕ وَ مَنۡ کَفَرَ بَعۡدَ ذٰلِکَ فَاُولٰٓئِکَ هُمُ الۡفٰسِقُوۡنَ
৫৫. অনুবাদ: তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান আনে এবং সৎকর্ম করে আল্লাহ তাদেরকে এ মর্মে ওয়াদা দিয়েছেন যে, তিনি নিশ্চিতভাবে তাদেরকে যমীনের প্রতিনিধিত্ব প্রদান করবেন, যেমন তিনি প্রতিনিধিত্ব প্রদান করেছিলেন তাদের পূর্ববর্তীদেরকে এবং তিনি অবশ্যই তাদের জন্য শক্তিশালী ও সুপ্রতিষ্ঠিত করবেন তাদের দীনকে, যা তিনি তাদের জন্য পছন্দ করেছেন এবং তিনি তাদের ভয়-ভীতি শান্তি-নিরাপত্তায় পরিবর্তিত করে দেবেন। তারা আমারই ইবাদাত করবে, আমার সাথে কোন কিছুকে শরীক করবে না। আর এরপর যারা কুফরী করবে তারাই ফাসিক।

56 ৫৬
وَ اَقِیۡمُوا الصَّلٰوۃَ وَ اٰتُوا الزَّکٰوۃَ وَ اَطِیۡعُوا الرَّسُوۡلَ لَعَلَّکُمۡ تُرۡحَمُوۡنَ
وَ اَقِیۡمُوا الصَّلٰوۃَ وَ اٰتُوا الزَّکٰوۃَ وَ اَطِیۡعُوا الرَّسُوۡلَ لَعَلَّکُمۡ تُرۡحَمُوۡنَ
৫৬. অনুবাদ: আর তোমরা সালাত কায়েম কর, যাকাত দাও এবং রাসূলের আনুগত্য কর, যাতে তোমরা রহমতপ্রাপ্ত হতে পার।

57 ৫৭
لَا تَحۡسَبَنَّ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا مُعۡجِزِیۡنَ فِی الۡاَرۡضِ ۚ وَ مَاۡوٰىهُمُ النَّارُ ؕ وَ لَبِئۡسَ الۡمَصِیۡرُ
لَا تَحۡسَبَنَّ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا مُعۡجِزِیۡنَ فِی الۡاَرۡضِ ۚ وَ مَاۡوٰىهُمُ النَّارُ ؕ وَ لَبِئۡسَ الۡمَصِیۡرُ
৫৭. অনুবাদ: তুমি কাফিরদেরকে যমীনে অপারগকারী মনে করো না; তাদের আশ্রয়স্থল আগুন। আর কতই না নিকৃষ্ট এই প্রত্যাবর্তনস্থল!

58 ৫৮
یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لِیَسۡتَاۡذِنۡکُمُ الَّذِیۡنَ مَلَکَتۡ اَیۡمَانُکُمۡ وَ الَّذِیۡنَ لَمۡ یَبۡلُغُوا الۡحُلُمَ مِنۡکُمۡ ثَلٰثَ مَرّٰتٍ ؕ مِنۡ قَبۡلِ صَلٰوۃِ الۡفَجۡرِ وَ حِیۡنَ تَضَعُوۡنَ ثِیَابَکُمۡ مِّنَ الظَّهِیۡرَۃِ وَ مِنۡۢ بَعۡدِ صَلٰوۃِ الۡعِشَآءِ ۟ؕ ثَلٰثُ عَوۡرٰتٍ لَّکُمۡ ؕ لَیۡسَ عَلَیۡکُمۡ وَ لَا عَلَیۡهِمۡ جُنَاحٌۢ بَعۡدَهُنَّ ؕ طَوّٰفُوۡنَ عَلَیۡکُمۡ بَعۡضُکُمۡ عَلٰی بَعۡضٍ ؕ کَذٰلِکَ یُبَیِّنُ اللّٰهُ لَکُمُ الۡاٰیٰتِ ؕ وَ اللّٰهُ عَلِیۡمٌ حَکِیۡمٌ
یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لِیَسۡتَاۡذِنۡکُمُ الَّذِیۡنَ مَلَکَتۡ اَیۡمَانُکُمۡ وَ الَّذِیۡنَ لَمۡ یَبۡلُغُوا الۡحُلُمَ مِنۡکُمۡ ثَلٰثَ مَرّٰتٍ ؕ مِنۡ قَبۡلِ صَلٰوۃِ الۡفَجۡرِ وَ حِیۡنَ تَضَعُوۡنَ ثِیَابَکُمۡ مِّنَ الظَّهِیۡرَۃِ وَ مِنۡۢ بَعۡدِ صَلٰوۃِ الۡعِشَآءِ ۟ؕ ثَلٰثُ عَوۡرٰتٍ لَّکُمۡ ؕ لَیۡسَ عَلَیۡکُمۡ وَ لَا عَلَیۡهِمۡ جُنَاحٌۢ بَعۡدَهُنَّ ؕ طَوّٰفُوۡنَ عَلَیۡکُمۡ بَعۡضُکُمۡ عَلٰی بَعۡضٍ ؕ کَذٰلِکَ یُبَیِّنُ اللّٰهُ لَکُمُ الۡاٰیٰتِ ؕ وَ اللّٰهُ عَلِیۡمٌ حَکِیۡمٌ
৫৮. অনুবাদ: হে মুমিনগণ, তোমাদের ডানহাত যার মালিক হয়েছে এবং তোমাদের মধ্যে যারা প্রাপ্তবয়স্ক হয়নি তারা যেন অবশ্যই তিন সময়ে অনুমতি গ্রহণ করে। ফজরের সালাতের পূর্বে, দুপুরে যখন তোমরা তোমাদের পোশাক খুলে রাখ, এবং ‘ইশার সালাতের পর; এই তিনটি তোমাদের [গোপনীয়তার] সময়। এই তিন সময়ের পর তোমাদের এবং তাদের কোন দোষ নেই। তোমাদের একে অন্যের কাছে যাতায়াত করতেই হয়। এভাবে আল্লাহ তোমাদের উদ্দেশ্যে তাঁর আয়াতসমূহ বর্ণনা করেন। আল্লাহ মহাজ্ঞানী, প্রজ্ঞাময়।

59 ৫৯
وَ اِذَا بَلَغَ الۡاَطۡفَالُ مِنۡکُمُ الۡحُلُمَ فَلۡیَسۡتَاۡذِنُوۡا کَمَا اسۡتَاۡذَنَ الَّذِیۡنَ مِنۡ قَبۡلِهِمۡ ؕ کَذٰلِکَ یُبَیِّنُ اللّٰهُ لَکُمۡ اٰیٰتِهٖ ؕ وَ اللّٰهُ عَلِیۡمٌ حَکِیۡمٌ
وَ اِذَا بَلَغَ الۡاَطۡفَالُ مِنۡکُمُ الۡحُلُمَ فَلۡیَسۡتَاۡذِنُوۡا کَمَا اسۡتَاۡذَنَ الَّذِیۡنَ مِنۡ قَبۡلِهِمۡ ؕ کَذٰلِکَ یُبَیِّنُ اللّٰهُ لَکُمۡ اٰیٰتِهٖ ؕ وَ اللّٰهُ عَلِیۡمٌ حَکِیۡمٌ
৫৯. অনুবাদ: আর তোমাদের সন্তান-সন্ততি যখন প্রাপ্তবয়স্ক হয়, তখন তারাও যেন অনুমতি চায় যেমনিভাবে তাদের অগ্রজরা অনুমতি চাইত। এভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য তাঁর আয়াতসমূহ বর্ণনা করেন। আর আল্লাহ মহাজ্ঞানী, প্রজ্ঞাময়।

60 ৬০
وَ الۡقَوَاعِدُ مِنَ النِّسَآءِ الّٰتِیۡ لَا یَرۡجُوۡنَ نِکَاحًا فَلَیۡسَ عَلَیۡهِنَّ جُنَاحٌ اَنۡ یَّضَعۡنَ ثِیَابَهُنَّ غَیۡرَ مُتَبَرِّجٰتٍۭ بِزِیۡنَۃٍ ؕ وَ اَنۡ یَّسۡتَعۡفِفۡنَ خَیۡرٌ لَّهُنَّ ؕ وَ اللّٰهُ سَمِیۡعٌ عَلِیۡمٌ
وَ الۡقَوَاعِدُ مِنَ النِّسَآءِ الّٰتِیۡ لَا یَرۡجُوۡنَ نِکَاحًا فَلَیۡسَ عَلَیۡهِنَّ جُنَاحٌ اَنۡ یَّضَعۡنَ ثِیَابَهُنَّ غَیۡرَ مُتَبَرِّجٰتٍۭ بِزِیۡنَۃٍ ؕ وَ اَنۡ یَّسۡتَعۡفِفۡنَ خَیۡرٌ لَّهُنَّ ؕ وَ اللّٰهُ سَمِیۡعٌ عَلِیۡمٌ
৬০. অনুবাদ: আর বৃদ্ধা নারীরা, যারা বিয়ের প্রত্যাশা করে না, তাদের জন্য কোন দোষ নেই, যদি তারা তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে তাদের কিছু পোশাক খুলে রাখে এবং এ থেকে বিরত থাকাই তাদের জন্য উত্তম। আর আল্লাহ সর্বশ্রোতা, মহাজ্ঞানী।

61 ৬১
لَیۡسَ عَلَی الۡاَعۡمٰی حَرَجٌ وَّ لَا عَلَی الۡاَعۡرَجِ حَرَجٌ وَّ لَا عَلَی الۡمَرِیۡضِ حَرَجٌ وَّ لَا عَلٰۤی اَنۡفُسِکُمۡ اَنۡ تَاۡکُلُوۡا مِنۡۢ بُیُوۡتِکُمۡ اَوۡ بُیُوۡتِ اٰبَآئِکُمۡ اَوۡ بُیُوۡتِ اُمَّهٰتِکُمۡ اَوۡ بُیُوۡتِ اِخۡوَانِکُمۡ اَوۡ بُیُوۡتِ اَخَوٰتِکُمۡ اَوۡ بُیُوۡتِ اَعۡمَامِکُمۡ اَوۡ بُیُوۡتِ عَمّٰتِکُمۡ اَوۡ بُیُوۡتِ اَخۡوَالِکُمۡ اَوۡ بُیُوۡتِ خٰلٰتِکُمۡ اَوۡ مَا مَلَکۡتُمۡ مَّفَاتِحَهٗۤ اَوۡ صَدِیۡقِکُمۡ ؕ لَیۡسَ عَلَیۡکُمۡ جُنَاحٌ اَنۡ تَاۡکُلُوۡا جَمِیۡعًا اَوۡ اَشۡتَاتًا ؕ فَاِذَا دَخَلۡتُمۡ بُیُوۡتًا فَسَلِّمُوۡا عَلٰۤی اَنۡفُسِکُمۡ تَحِیَّۃً مِّنۡ عِنۡدِ اللّٰهِ مُبٰرَکَۃً طَیِّبَۃً ؕ کَذٰلِکَ یُبَیِّنُ اللّٰهُ لَکُمُ الۡاٰیٰتِ لَعَلَّکُمۡ تَعۡقِلُوۡنَ
لَیۡسَ عَلَی الۡاَعۡمٰی حَرَجٌ وَّ لَا عَلَی الۡاَعۡرَجِ حَرَجٌ وَّ لَا عَلَی الۡمَرِیۡضِ حَرَجٌ وَّ لَا عَلٰۤی اَنۡفُسِکُمۡ اَنۡ تَاۡکُلُوۡا مِنۡۢ بُیُوۡتِکُمۡ اَوۡ بُیُوۡتِ اٰبَآئِکُمۡ اَوۡ بُیُوۡتِ اُمَّهٰتِکُمۡ اَوۡ بُیُوۡتِ اِخۡوَانِکُمۡ اَوۡ بُیُوۡتِ اَخَوٰتِکُمۡ اَوۡ بُیُوۡتِ اَعۡمَامِکُمۡ اَوۡ بُیُوۡتِ عَمّٰتِکُمۡ اَوۡ بُیُوۡتِ اَخۡوَالِکُمۡ اَوۡ بُیُوۡتِ خٰلٰتِکُمۡ اَوۡ مَا مَلَکۡتُمۡ مَّفَاتِحَهٗۤ اَوۡ صَدِیۡقِکُمۡ ؕ لَیۡسَ عَلَیۡکُمۡ جُنَاحٌ اَنۡ تَاۡکُلُوۡا جَمِیۡعًا اَوۡ اَشۡتَاتًا ؕ فَاِذَا دَخَلۡتُمۡ بُیُوۡتًا فَسَلِّمُوۡا عَلٰۤی اَنۡفُسِکُمۡ تَحِیَّۃً مِّنۡ عِنۡدِ اللّٰهِ مُبٰرَکَۃً طَیِّبَۃً ؕ کَذٰلِکَ یُبَیِّنُ اللّٰهُ لَکُمُ الۡاٰیٰتِ لَعَلَّکُمۡ تَعۡقِلُوۡنَ
৬১. অনুবাদ: অন্ধের জন্য কোন দোষ নেই, পঙ্গুর জন্য কোন দোষ নেই, রোগাক্রান্তের জন্য কোন দোষ নেই এবং তোমাদের নিজদের জন্যও কোন দোষ নেই যে তোমরা খাবে তোমাদের নিজদের ঘরে, অথবা তোমাদের পিতাদের ঘরে, অথবা তোমাদের মায়েদের ঘরে, অথবা তোমাদের ভাইদের ঘরে, অথবা তোমাদের বোনদের ঘরে, অথবা তোমাদের চাচাদের ঘরে, অথবা তোমাদের ফুফুদের ঘরে, অথবা তোমাদের মামাদের ঘরে, অথবা তোমাদের খালাদের ঘরে, অথবা সেসব ঘরে যার চাবি তোমাদের অধিকারে রয়েছে, অথবা তোমাদের বন্ধুদের ঘরে। তোমরা একত্রে খাও অথবা আলাদা আলাদা খাও তাতে কোনও দোষ নেই। তবে তোমরা যখন কোন ঘরে প্রবেশ করবে তখন তোমরা নিজদের উপর সালাম করবে, আল্লাহর পক্ষ থেকে বরকতপূর্ণ ও পবিত্র অভিবাদনস্বরূপ। এভাবে আল্লাহ তোমাদের উদ্দেশ্যে তাঁর আয়াতসমূহ বর্ণনা করেন যাতে তোমরা বুঝতে পার।

62 ৬২
اِنَّمَا الۡمُؤۡمِنُوۡنَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا بِاللّٰهِ وَ رَسُوۡلِهٖ وَ اِذَا کَانُوۡا مَعَهٗ عَلٰۤی اَمۡرٍ جَامِعٍ لَّمۡ یَذۡهَبُوۡا حَتّٰی یَسۡتَاۡذِنُوۡهُ ؕ اِنَّ الَّذِیۡنَ یَسۡتَاۡذِنُوۡنَکَ اُولٰٓئِکَ الَّذِیۡنَ یُؤۡمِنُوۡنَ بِاللّٰهِ وَ رَسُوۡلِهٖ ۚ فَاِذَا اسۡتَاۡذَنُوۡکَ لِبَعۡضِ شَاۡنِهِمۡ فَاۡذَنۡ لِّمَنۡ شِئۡتَ مِنۡهُمۡ وَ اسۡتَغۡفِرۡ لَهُمُ اللّٰهَ ؕ اِنَّ اللّٰهَ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ
اِنَّمَا الۡمُؤۡمِنُوۡنَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا بِاللّٰهِ وَ رَسُوۡلِهٖ وَ اِذَا کَانُوۡا مَعَهٗ عَلٰۤی اَمۡرٍ جَامِعٍ لَّمۡ یَذۡهَبُوۡا حَتّٰی یَسۡتَاۡذِنُوۡهُ ؕ اِنَّ الَّذِیۡنَ یَسۡتَاۡذِنُوۡنَکَ اُولٰٓئِکَ الَّذِیۡنَ یُؤۡمِنُوۡنَ بِاللّٰهِ وَ رَسُوۡلِهٖ ۚ فَاِذَا اسۡتَاۡذَنُوۡکَ لِبَعۡضِ شَاۡنِهِمۡ فَاۡذَنۡ لِّمَنۡ شِئۡتَ مِنۡهُمۡ وَ اسۡتَغۡفِرۡ لَهُمُ اللّٰهَ ؕ اِنَّ اللّٰهَ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ
৬২. অনুবাদ: মুমিন শুধু তারাই যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের ওপর ঈমান আনে এবং তাঁর সাথে কোন সমষ্টিগত কাজে থাকলে অনুমতি না নিয়ে চলে যায় না। নিশ্চয় তোমার কাছে যারা অনুমতি চায় তারাই কেবল আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের উপর ঈমান আনে; সুতরাং কোন প্রয়োজনে তারা তোমার কাছে বাইরে যাওয়ার অনুমতি চাইলে তাদের মধ্যে তোমার যাকে ইচ্ছা তুমি অনুমতি দেবে এবং তাদের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর। নিশ্চয় আল্লাহ পরম ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু।

63 ৬৩
لَا تَجۡعَلُوۡا دُعَآءَ الرَّسُوۡلِ بَیۡنَکُمۡ کَدُعَآءِ بَعۡضِکُمۡ بَعۡضًا ؕ قَدۡ یَعۡلَمُ اللّٰهُ الَّذِیۡنَ یَتَسَلَّلُوۡنَ مِنۡکُمۡ لِوَاذًا ۚ فَلۡیَحۡذَرِ الَّذِیۡنَ یُخَالِفُوۡنَ عَنۡ اَمۡرِهٖۤ اَنۡ تُصِیۡبَهُمۡ فِتۡنَۃٌ اَوۡ یُصِیۡبَهُمۡ عَذَابٌ اَلِیۡمٌ
لَا تَجۡعَلُوۡا دُعَآءَ الرَّسُوۡلِ بَیۡنَکُمۡ کَدُعَآءِ بَعۡضِکُمۡ بَعۡضًا ؕ قَدۡ یَعۡلَمُ اللّٰهُ الَّذِیۡنَ یَتَسَلَّلُوۡنَ مِنۡکُمۡ لِوَاذًا ۚ فَلۡیَحۡذَرِ الَّذِیۡنَ یُخَالِفُوۡنَ عَنۡ اَمۡرِهٖۤ اَنۡ تُصِیۡبَهُمۡ فِتۡنَۃٌ اَوۡ یُصِیۡبَهُمۡ عَذَابٌ اَلِیۡمٌ
৬৩. অনুবাদ: তোমরা পরস্পরকে যেভাবে ডাকো রাসূলকে সেভাবে ডেকো না; তোমাদের মধ্যে যারা চুপিসারে সরে পড়ে আল্লাহ অবশ্যই তাদেরকে জানেন। অতএব যারা তাঁর নির্দেশের বিরুদ্ধাচরণ করে তারা যেন তাদের ওপর বিপর্যয় নেমে আসা অথবা যন্ত্রণাদায়ক আযাব পৌঁছার ভয় করে।

64 ৬৪
اَلَاۤ اِنَّ لِلّٰهِ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ ؕ قَدۡ یَعۡلَمُ مَاۤ اَنۡتُمۡ عَلَیۡهِ ؕ وَ یَوۡمَ یُرۡجَعُوۡنَ اِلَیۡهِ فَیُنَبِّئُهُمۡ بِمَا عَمِلُوۡا ؕ وَ اللّٰهُ بِکُلِّ شَیۡءٍ عَلِیۡمٌ
اَلَاۤ اِنَّ لِلّٰهِ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ ؕ قَدۡ یَعۡلَمُ مَاۤ اَنۡتُمۡ عَلَیۡهِ ؕ وَ یَوۡمَ یُرۡجَعُوۡنَ اِلَیۡهِ فَیُنَبِّئُهُمۡ بِمَا عَمِلُوۡا ؕ وَ اللّٰهُ بِکُلِّ شَیۡءٍ عَلِیۡمٌ
৬৪. অনুবাদ: সাবধান, আসমানসমূহ ও যমীনে যা কিছু আছে তা আল্লাহরই; তোমরা যে অবস্থায় আছ তা তিনি অবশ্যই জানেন এবং যেদিন তাদেরকে তাঁর কাছে ফিরিয়ে নেয়া হবে সেদিন তারা যা করত তিনি তাদেরকে তা জানিয়ে দেবেন। আল্লাহ সব কিছু সম্পর্কে সম্যক জ্ঞাত।

কপিরাইট
আমাদের সকল কন্টেন্ট কপিরাইট সংরক্ষিত
ডেভলোপারঃ মুহিব্বুল্লাহ
গোপনীয়তা নীতি

প্রিয় পাঠক
আমাদের সকল প্রজেক্টসমূহ সম্পূর্ণ ব্যাক্তি উদ্যোগে পরিচালিত, আপনাদের দোয়া ও সহযোগিতা দ্বীনের এই কাজকে আরও প্রসারিত করবে ইন-শা-আল্লাহ।