সূরা তালিকা


1 ১ আল-ফাতিহা Al-Fatiha الفاتحة
১. আল-ফাতিহা
মাক্কী
الفاتحة
আয়াত: ৭
2 ২ আল-বাকারা Al-Baqara البقرة
২. আল-বাকারা
মাদানী
البقرة
আয়াত: ২৮৬
3 ৩ আলে-ইমরান Al-i-Imran آل عمران
৩. আলে-ইমরান
মাদানী
آل عمران
আয়াত: ২০০
4 ৪ আন-নিসা An-Nisa النساء
৪. আন-নিসা
মাদানী
النساء
আয়াত: ১৭৬
5 ৫ আল-মায়েদা Al-Maida المائدة
৫. আল-মায়েদা
মাদানী
المائدة
আয়াত: ১২০
6 ৬ আল-আনআম Al-Anam الأنعام
৬. আল-আনআম
মাক্কী
الأنعام
আয়াত: ১৬৫
7 ৭ আল-আরাফ Al-Araf الأعراف
৭. আল-আরাফ
মাক্কী
الأعراف
আয়াত: ২০৬
8 ৮ আল-আনফাল Al-Anfal الأنفال
৮. আল-আনফাল
মাদানী
الأنفال
আয়াত: ৭৫
9 ৯ আত-তাওবা At-Tawba التوبة
৯. আত-তাওবা
মাদানী
التوبة
আয়াত: ১২৯
10 ১০ ইউনুস Yunus يونس
১০. ইউনুস
মাক্কী
يونس
আয়াত: ১০৯
11 ১১ হূদ Hud هود
১১. হূদ
মাক্কী
هود
আয়াত: ১২৩
12 ১২ ইউসুফ Yusuf يوسف
১২. ইউসুফ
মাক্কী
يوسف
আয়াত: ১১১
13 ১৩ আর-রাদ Ar-Rad الرعد
১৩. আর-রাদ
মাদানী
الرعد
আয়াত: ৪৩
14 ১৪ ইবরাহীম Ibrahim ابراهيم
১৪. ইবরাহীম
মাক্কী
ابراهيم
আয়াত: ৫২
15 ১৫ আল-হিজর Al-Hijr الحجر
১৫. আল-হিজর
মাক্কী
الحجر
আয়াত: ৯৯
16 ১৬ আন-নাহাল An-Nahl النحل
১৬. আন-নাহাল
মাক্কী
النحل
আয়াত: ১২৮
17 ১৭ আল-ইসরা (বনী-ইসরাঈল) Al-Isra الإسراء
১৭. আল-ইসরা (বনী-ইসরাঈল)
মাক্কী
الإسراء
আয়াত: ১১১
18 ১৮ আল-কাহফ Al-Kahf الكهف
১৮. আল-কাহফ
মাক্কী
الكهف
আয়াত: ১১০
19 ১৯ মারইয়াম Maryam مريم
১৯. মারইয়াম
মাক্কী
مريم
আয়াত: ৯৮
20 ২০ ত্ব-হা Ta-Ha طه
২০. ত্ব-হা
মাক্কী
طه
আয়াত: ১৩৫
21 ২১ আল-আম্বিয়া Al-Anbiya الأنبياء
২১. আল-আম্বিয়া
মাক্কী
الأنبياء
আয়াত: ১১২
22 ২২ আল-হজ্জ Al-Hajj الحج
২২. আল-হজ্জ
মাদানী
الحج
আয়াত: ৭৮
23 ২৩ আল-মুমিনুন Al-Muminun المؤمنون
২৩. আল-মুমিনুন
মাক্কী
المؤمنون
আয়াত: ১১৮
24 ২৪ আন-নূর An-Nur النور
২৪. আন-নূর
মাদানী
النور
আয়াত: ৬৪
25 ২৫ আল-ফুরকান Al-Furqan الفرقان
২৫. আল-ফুরকান
মাক্কী
الفرقان
আয়াত: ৭৭
26 ২৬ আশ-শুআরা Ash-Shuara الشعراء
২৬. আশ-শুআরা
মাক্কী
الشعراء
আয়াত: ২২৭
27 ২৭ আন-নামাল An-Naml النمل
২৭. আন-নামাল
মাক্কী
النمل
আয়াত: ৯৩
28 ২৮ আল-কাসাস Al-Qasas القصص
২৮. আল-কাসাস
মাক্কী
القصص
আয়াত: ৮৮
29 ২৯ আল-আনকাবূত Al-Ankabut العنكبوت
২৯. আল-আনকাবূত
মাক্কী
العنكبوت
আয়াত: ৬৯
30 ৩০ আর-রুম Ar-Rum الروم
৩০. আর-রুম
মাক্কী
الروم
আয়াত: ৬০
31 ৩১ লুকমান Luqman لقمان
৩১. লুকমান
মাক্কী
لقمان
আয়াত: ৩৪
32 ৩২ আস-সাজদাহ As-Sajda السجدة
৩২. আস-সাজদাহ
মাক্কী
السجدة
আয়াত: ৩০
33 ৩৩ আল-আহযাব Al-Ahzab الأحزاب
৩৩. আল-আহযাব
মাদানী
الأحزاب
আয়াত: ৭৩
34 ৩৪ সাবা Saba سبإ
৩৪. সাবা
মাক্কী
سبإ
আয়াত: ৫৪
35 ৩৫ ফাতির Fatir فاطر
৩৫. ফাতির
মাক্কী
فاطر
আয়াত: ৪৫
36 ৩৬ ইয়াসীন Ya-Sin يس
৩৬. ইয়াসীন
মাক্কী
يس
আয়াত: ৮৩
37 ৩৭ আস-সাফফাত As-Saffat الصافات
৩৭. আস-সাফফাত
মাক্কী
الصافات
আয়াত: ১৮২
38 ৩৮ সোয়াদ Ṣād ص
৩৮. সোয়াদ
মাক্কী
ص
আয়াত: ৮৮
39 ৩৯ আয-যুমার Az-Zumar الزمر
৩৯. আয-যুমার
মাক্কী
الزمر
আয়াত: ৭৫
40 ৪০ গাফির (আল মুমিন) Ghafir غافر
৪০. গাফির (আল মুমিন)
মাক্কী
غافر
আয়াত: ৮৫
41 ৪১ হা-মীম আস-সাজদা (ফুসসিলাত) Fussilat فصلت
৪১. হা-মীম আস-সাজদা (ফুসসিলাত)
মাক্কী
فصلت
আয়াত: ৫৪
42 ৪২ আশ-শূরা Ash-Shura الشورى
৪২. আশ-শূরা
মাক্কী
الشورى
আয়াত: ৫৩
43 ৪৩ আয-যুখরুফ Az-Zukhruf الزخرف
৪৩. আয-যুখরুফ
মাক্কী
الزخرف
আয়াত: ৮৯
44 ৪৪ আদ-দুখান Ad-Dukhan الدخان
৪৪. আদ-দুখান
মাক্কী
الدخان
আয়াত: ৫৯
45 ৪৫ আল-জাসিয়া Al-Jathiya الجاثية
৪৫. আল-জাসিয়া
মাক্কী
الجاثية
আয়াত: ৩৭
46 ৪৬ আল-আহকাফ Al-Ahqaf الأحقاف
৪৬. আল-আহকাফ
মাক্কী
الأحقاف
আয়াত: ৩৫
47 ৪৭ মুহাম্মাদ Muhammad محمد
৪৭. মুহাম্মাদ
মাদানী
محمد
আয়াত: ৩৮
48 ৪৮ আল-ফাতহ Al-Fath الفتح
৪৮. আল-ফাতহ
মাদানী
الفتح
আয়াত: ২৯
49 ৪৯ আল-হুজুরাত Al-Hujurat الحجرات
৪৯. আল-হুজুরাত
মাদানী
الحجرات
আয়াত: ১৮
50 ৫০ কাফ Qaf ق
৫০. কাফ
মাক্কী
ق
আয়াত: ৪৫
51 ৫১ আয-যারিয়াত Adh-Dhariyat سورة الذاريات
৫১. আয-যারিয়াত
মাক্কী
سورة الذاريات
আয়াত: ৬০
52 ৫২ আত-তূর At-Tur الطور
৫২. আত-তূর
মাক্কী
الطور
আয়াত: ৪৯
53 ৫৩ আন-নাজম An-Najm النجم
৫৩. আন-নাজম
মাক্কী
النجم
আয়াত: ৬২
54 ৫৪ আল-কামার Al-Qamar القمر
৫৪. আল-কামার
মাক্কী
القمر
আয়াত: ৫৫
55 ৫৫ আর-রাহমান Ar-Rahman الرحمن
৫৫. আর-রাহমান
মাদানী
الرحمن
আয়াত: ৭৮
56 ৫৬ আল-ওয়াকিয়া Al-Waqia الواقعة
৫৬. আল-ওয়াকিয়া
মাক্কী
الواقعة
আয়াত: ৯৬
57 ৫৭ আল-হাদীদ Al-Hadid الحديد
৫৭. আল-হাদীদ
মাদানী
الحديد
আয়াত: ২৯
58 ৫৮ আল-মুজাদালা Al-Mujadila المجادلة
৫৮. আল-মুজাদালা
মাদানী
المجادلة
আয়াত: ২২
59 ৫৯ আল-হাশর Al-Hashr الحشر
৫৯. আল-হাশর
মাদানী
الحشر
আয়াত: ২৪
60 ৬০ আল-মুমতাহিনা Al-Mumtahina الممتحنة
৬০. আল-মুমতাহিনা
মাদানী
الممتحنة
আয়াত: ১৩
61 ৬১ আস-সফ As-Saff الصف
৬১. আস-সফ
মাদানী
الصف
আয়াত: ১৪
62 ৬২ আল-জুমুআ Al-Jumua الجمعة
৬২. আল-জুমুআ
মাদানী
الجمعة
আয়াত: ১১
63 ৬৩ আল-মুনাফিকূন Al-Munafiqun المنافقون
৬৩. আল-মুনাফিকূন
মাদানী
المنافقون
আয়াত: ১১
64 ৬৪ আত-তাগাবুন At-Taghabun التغابن
৬৪. আত-তাগাবুন
মাদানী
التغابن
আয়াত: ১৮
65 ৬৫ আত-ত্বলাক্ব At-Talaq الطلاق
৬৫. আত-ত্বলাক্ব
মাদানী
الطلاق
আয়াত: ১২
66 ৬৬ আত-তাহরীম At-Tahrim التحريم
৬৬. আত-তাহরীম
মাদানী
التحريم
আয়াত: ১২
67 ৬৭ আল-মুলক Al-Mulk الملك
৬৭. আল-মুলক
মাক্কী
الملك
আয়াত: ৩০
68 ৬৮ আল-কলম Al-Qalam القلم
৬৮. আল-কলম
মাক্কী
القلم
আয়াত: ৫২
69 ৬৯ আল-হাক্কাহ Al-Haqqa الحاقة
৬৯. আল-হাক্কাহ
মাক্কী
الحاقة
আয়াত: ৫২
70 ৭০ আল-মাআরিজ Al-Maarij المعارج
৭০. আল-মাআরিজ
মাক্কী
المعارج
আয়াত: ৪৪
71 ৭১ নূহ Nuh نوح
৭১. নূহ
মাক্কী
نوح
আয়াত: ২৮
72 ৭২ আল-জ্বিন Al-Jinn الجن
৭২. আল-জ্বিন
মাক্কী
الجن
আয়াত: ২৯
73 ৭৩ আল-মুযযাম্মিল Al-Muzzammil المزمل
৭৩. আল-মুযযাম্মিল
মাক্কী
المزمل
আয়াত: ২০
74 ৭৪ আল-মুদ্দাসসির Al-Muddathir المدثر
৭৪. আল-মুদ্দাসসির
মাক্কী
المدثر
আয়াত: ৫৬
75 ৭৫ আল-ক্বিয়ামাহ Al-Qiyama القيامة
৭৫. আল-ক্বিয়ামাহ
মাক্কী
القيامة
আয়াত: ৪০
76 ৭৬ আল-ইনসান (আদ-দাহর) Al-Insan الانسان
৭৬. আল-ইনসান (আদ-দাহর)
মাদানী
الانسان
আয়াত: ৩১
77 ৭৭ আল-মুরসালাত Al-Mursalat المرسلات
৭৭. আল-মুরসালাত
মাক্কী
المرسلات
আয়াত: ৫০
78 ৭৮ আন-নাবা An-Naba النبإ
৭৮. আন-নাবা
মাক্কী
النبإ
আয়াত: ৪০
79 ৭৯ আন-নাযিআত An-Naziat النازعات
৭৯. আন-নাযিআত
মাক্কী
النازعات
আয়াত: ৪৬
80 ৮০ আবাসা Abasa عبس
৮০. আবাসা
মাক্কী
عبس
আয়াত: ৪২
81 ৮১ আত-তাকভীর At-Takwir التكوير
৮১. আত-তাকভীর
মাক্কী
التكوير
আয়াত: ২৯
82 ৮২ আল-ইনফিতার Al-Infitar الإنفطار
৮২. আল-ইনফিতার
মাক্কী
الإنفطار
আয়াত: ১৯
83 ৮৩ আল-মুতাফফিফীন Al-Mutaffifin المطففين
৮৩. আল-মুতাফফিফীন
মাক্কী
المطففين
আয়াত: ৩৬
84 ৮৪ আল-ইনশিকাক Al-Inshiqaq الإنشقاق
৮৪. আল-ইনশিকাক
মাক্কী
الإنشقاق
আয়াত: ২৫
85 ৮৫ আল-বুরুজ Al-Buruj البروج
৮৫. আল-বুরুজ
মাক্কী
البروج
আয়াত: ২২
86 ৮৬ আত-তারিক At-Tariq الطارق
৮৬. আত-তারিক
মাক্কী
الطارق
আয়াত: ১৭
87 ৮৭ আল-আলা Al-Ala الأعلى
৮৭. আল-আলা
মাক্কী
الأعلى
আয়াত: ১৯
88 ৮৮ আল-গাশিয়া Al-Ghashiya الغاشية
৮৮. আল-গাশিয়া
মাক্কী
الغاشية
আয়াত: ২৬
89 ৮৯ আল-ফাজর Al-Fajr الفجر
৮৯. আল-ফাজর
মাক্কী
الفجر
আয়াত: ৩০
90 ৯০ আল-বালাদ Al-Balad البلد
৯০. আল-বালাদ
মাক্কী
البلد
আয়াত: ২০
91 ৯১ আশ-শামস Ash-Shams الشمس
৯১. আশ-শামস
মাক্কী
الشمس
আয়াত: ১৫
92 ৯২ আল-লাইল Al-Lail الليل
৯২. আল-লাইল
মাক্কী
الليل
আয়াত: ২১
93 ৯৩ আদ-দুহা Ad-Dhuha الضحى
৯৩. আদ-দুহা
মাক্কী
الضحى
আয়াত: ১১
94 ৯৪ আল-ইনশিরাহ Ash-Sharh الشرح
৯৪. আল-ইনশিরাহ
মাক্কী
الشرح
আয়াত: ৮
95 ৯৫ আত-ত্বীন At-Tin التين
৯৫. আত-ত্বীন
মাক্কী
التين
আয়াত: ৮
96 ৯৬ আল-আলাক Al-Alaq العلق
৯৬. আল-আলাক
মাক্কী
العلق
আয়াত: ১৯
97 ৯৭ আল-কাদর Al-Qadr القدر
৯৭. আল-কাদর
মাক্কী
القدر
আয়াত: ৫
98 ৯৮ আল-বায়্যিনাহ Al-Bayyina البينة
৯৮. আল-বায়্যিনাহ
মাদানী
البينة
আয়াত: ৮
99 ৯৯ আয-যিলযাল Az-Zalzala الزلزلة
৯৯. আয-যিলযাল
মাদানী
الزلزلة
আয়াত: ৮
100 ১০০ আল-আদিয়াত Al-Adiyat العاديات
১০০. আল-আদিয়াত
মাক্কী
العاديات
আয়াত: ১১
101 ১০১ আল-কারিআ Al-Qaria القارعة
১০১. আল-কারিআ
মাক্কী
القارعة
আয়াত: ১১
102 ১০২ আত-তাকাসুর At-Takathur التكاثر
১০২. আত-তাকাসুর
মাক্কী
التكاثر
আয়াত: ৮
103 ১০৩ আল-আসর Al-Asr العصر
১০৩. আল-আসর
মাক্কী
العصر
আয়াত: ৩
104 ১০৪ আল-হুমাযা Al-Humaza الهمزة
১০৪. আল-হুমাযা
মাক্কী
الهمزة
আয়াত: ৯
105 ১০৫ আল-ফীল Al-Fil الفيل
১০৫. আল-ফীল
মাক্কী
الفيل
আয়াত: ৫
106 ১০৬ আল-কুরাইশ Quraysh قريش
১০৬. আল-কুরাইশ
মাক্কী
قريش
আয়াত: ৪
107 ১০৭ আল-মাঊন Al-Maun الماعون
১০৭. আল-মাঊন
মাক্কী
الماعون
আয়াত: ৭
108 ১০৮ আল-কাউসার Al-Kawthar الكوثر
১০৮. আল-কাউসার
মাক্কী
الكوثر
আয়াত: ৩
109 ১০৯ কাফিরুন Al-Kafirun الكافرون
১০৯. কাফিরুন
মাক্কী
الكافرون
আয়াত: ৬
110 ১১০ আন-নাসর An-Nasr النصر
১১০. আন-নাসর
মাদানী
النصر
আয়াত: ৩
111 ১১১ লাহাব Al-Masad المسد
১১১. লাহাব
মাক্কী
المسد
আয়াত: ৫
112 ১১২ আল-ইখলাস Al-Ikhlas الإخلاص
১১২. আল-ইখলাস
মাক্কী
الإخلاص
আয়াত: ৪
113 ১১৩ আল-ফালাক Al-Falaq الفلق
১১৩. আল-ফালাক
মাক্কী
الفلق
আয়াত: ৫
114 ১১৪ আন-নাস An-Nas الناس
১১৪. আন-নাস
মাক্কী
الناس
আয়াত: ৬
সূরা: ২৩, আল-মুমিনুন - ( المؤمنون)
সূরার ধরন: মাক্কী , মোট আয়াত:

1 ১
قَدۡ اَفۡلَحَ الۡمُؤۡمِنُوۡنَ ۙ
قَدۡ اَفۡلَحَ الۡمُؤۡمِنُوۡنَ ۙ
১. অনুবাদ: অবশ্যই মুমিনগণ সফল হয়েছে,

2 ২
الَّذِیۡنَ هُمۡ فِیۡ صَلَاتِهِمۡ خٰشِعُوۡنَ
الَّذِیۡنَ هُمۡ فِیۡ صَلَاتِهِمۡ خٰشِعُوۡنَ
২. অনুবাদ: যারা নিজদের সালাতে বিনয়াবনত।

3 ৩
وَ الَّذِیۡنَ هُمۡ عَنِ اللَّغۡوِ مُعۡرِضُوۡنَ
وَ الَّذِیۡنَ هُمۡ عَنِ اللَّغۡوِ مُعۡرِضُوۡنَ
৩. অনুবাদ: আর যারা অনর্থক কথাকর্ম থেকে বিমুখ।

4 ৪
وَ الَّذِیۡنَ هُمۡ لِلزَّکٰوۃِ فٰعِلُوۡنَ
وَ الَّذِیۡنَ هُمۡ لِلزَّکٰوۃِ فٰعِلُوۡنَ
৪. অনুবাদ: আর যারা যাকাতের ক্ষেত্রে সক্রিয়।

5 ৫
وَ الَّذِیۡنَ هُمۡ لِفُرُوۡجِهِمۡ حٰفِظُوۡنَ ۙ
وَ الَّذِیۡنَ هُمۡ لِفُرُوۡجِهِمۡ حٰفِظُوۡنَ ۙ
৫. অনুবাদ: আর যারা তাদের নিজদের লজ্জাস্থানের হিফাযতকারী।

6 ৬
اِلَّا عَلٰۤی اَزۡوَاجِهِمۡ اَوۡ مَا مَلَکَتۡ اَیۡمَانُهُمۡ فَاِنَّهُمۡ غَیۡرُ مَلُوۡمِیۡنَ
اِلَّا عَلٰۤی اَزۡوَاجِهِمۡ اَوۡ مَا مَلَکَتۡ اَیۡمَانُهُمۡ فَاِنَّهُمۡ غَیۡرُ مَلُوۡمِیۡنَ
৬. অনুবাদ: তবে তাদের স্ত্রী ও তাদের ডান হাত যার মালিক হয়েছে তারা ছাড়া, নিশ্চয় এতে তারা নিন্দিত হবে না।

7 ৭
فَمَنِ ابۡتَغٰی وَرَآءَ ذٰلِکَ فَاُولٰٓئِکَ هُمُ الۡعٰدُوۡنَ
فَمَنِ ابۡتَغٰی وَرَآءَ ذٰلِکَ فَاُولٰٓئِکَ هُمُ الۡعٰدُوۡنَ
৭. অনুবাদ: অতঃপর যারা এদের ছাড়া অন্যকে কামনা করে তারাই সীমালঙ্ঘনকারী।

8 ৮
وَ الَّذِیۡنَ هُمۡ لِاَمٰنٰتِهِمۡ وَ عَهۡدِهِمۡ رٰعُوۡنَ ۙ
وَ الَّذِیۡنَ هُمۡ لِاَمٰنٰتِهِمۡ وَ عَهۡدِهِمۡ رٰعُوۡنَ ۙ
৮. অনুবাদ: আর যারা নিজদের আমানতসমূহ ও অঙ্গীকারে যত্নবান।

9 ৯
وَ الَّذِیۡنَ هُمۡ عَلٰی صَلَوٰتِهِمۡ یُحَافِظُوۡنَ
وَ الَّذِیۡنَ هُمۡ عَلٰی صَلَوٰتِهِمۡ یُحَافِظُوۡنَ
৯. অনুবাদ: আর যারা নিজদের সালাতসমূহ হিফাযত করে।

10 ১০
اُولٰٓئِکَ هُمُ الۡوٰرِثُوۡنَ
اُولٰٓئِکَ هُمُ الۡوٰرِثُوۡنَ
১০. অনুবাদ: তারাই হবে ওয়ারিস।

11 ১১
الَّذِیۡنَ یَرِثُوۡنَ الۡفِرۡدَوۡسَ ؕ هُمۡ فِیۡهَا خٰلِدُوۡنَ
الَّذِیۡنَ یَرِثُوۡنَ الۡفِرۡدَوۡسَ ؕ هُمۡ فِیۡهَا خٰلِدُوۡنَ
১১. অনুবাদ: যারা ফিরদাউসের অধিকারী হবে। তারা সেখানে স্থায়ী হবে।

12 ১২
وَ لَقَدۡ خَلَقۡنَا الۡاِنۡسَانَ مِنۡ سُلٰلَۃٍ مِّنۡ طِیۡنٍ
وَ لَقَدۡ خَلَقۡنَا الۡاِنۡسَانَ مِنۡ سُلٰلَۃٍ مِّنۡ طِیۡنٍ
১২. অনুবাদ: আর অবশ্যই আমি মানুষকে মাটির নির্যাস থেকে সৃষ্টি করেছি।

13 ১৩
ثُمَّ جَعَلۡنٰهُ نُطۡفَۃً فِیۡ قَرَارٍ مَّکِیۡنٍ
ثُمَّ جَعَلۡنٰهُ نُطۡفَۃً فِیۡ قَرَارٍ مَّکِیۡنٍ
১৩. অনুবাদ: তারপর আমি তাকে শুক্ররূপে সংরক্ষিত আধারে স্থাপন করেছি।

14 ১৪
ثُمَّ خَلَقۡنَا النُّطۡفَۃَ عَلَقَۃً فَخَلَقۡنَا الۡعَلَقَۃَ مُضۡغَۃً فَخَلَقۡنَا الۡمُضۡغَۃَ عِظٰمًا فَکَسَوۡنَا الۡعِظٰمَ لَحۡمًا ٭ ثُمَّ اَنۡشَاۡنٰهُ خَلۡقًا اٰخَرَ ؕ فَتَبٰرَکَ اللّٰهُ اَحۡسَنُ الۡخٰلِقِیۡنَ
ثُمَّ خَلَقۡنَا النُّطۡفَۃَ عَلَقَۃً فَخَلَقۡنَا الۡعَلَقَۃَ مُضۡغَۃً فَخَلَقۡنَا الۡمُضۡغَۃَ عِظٰمًا فَکَسَوۡنَا الۡعِظٰمَ لَحۡمًا ٭ ثُمَّ اَنۡشَاۡنٰهُ خَلۡقًا اٰخَرَ ؕ فَتَبٰرَکَ اللّٰهُ اَحۡسَنُ الۡخٰلِقِیۡنَ
১৪. অনুবাদ: তারপর শুক্রকে আমি ‘আলাকায় পরিণত করি। তারপর ‘আলাকাকে গোশতপিন্ডে পরিণত করি। তারপর গোশতপিন্ডকে হাড়ে পরিণত করি। তারপর হাড়কে গোশ্ত দিয়ে আবৃত করি। অতঃপর তাকে অন্য এক সৃষ্টিরূপে গড়ে তুলি। অতএব সর্বোত্তম স্রষ্টা আল্লাহ কত বরকতময়!

15 ১৫
ثُمَّ اِنَّکُمۡ بَعۡدَ ذٰلِکَ لَمَیِّتُوۡنَ
ثُمَّ اِنَّکُمۡ بَعۡدَ ذٰلِکَ لَمَیِّتُوۡنَ
১৫. অনুবাদ: এরপর অবশ্যই তোমরা মরবে।

16 ১৬
ثُمَّ اِنَّکُمۡ یَوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ تُبۡعَثُوۡنَ
ثُمَّ اِنَّکُمۡ یَوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ تُبۡعَثُوۡنَ
১৬. অনুবাদ: তারপর কিয়ামতের দিন অবশ্যই তোমরা পুনরুত্থিত হবে।

17 ১৭
وَ لَقَدۡ خَلَقۡنَا فَوۡقَکُمۡ سَبۡعَ طَرَآئِقَ ٭ۖ وَ مَا کُنَّا عَنِ الۡخَلۡقِ غٰفِلِیۡنَ
وَ لَقَدۡ خَلَقۡنَا فَوۡقَکُمۡ سَبۡعَ طَرَآئِقَ ٭ۖ وَ مَا کُنَّا عَنِ الۡخَلۡقِ غٰفِلِیۡنَ
১৭. অনুবাদ: আর অবশ্যই আমি তোমাদের উপর সাতটি স্তর সৃষ্টি করেছি। আর আমি সৃষ্টি সম্পর্কে উদাসীন ছিলাম না।

18 ১৮
وَ اَنۡزَلۡنَا مِنَ السَّمَآءِ مَآءًۢ بِقَدَرٍ فَاَسۡکَنّٰهُ فِی الۡاَرۡضِ ٭ۖ وَ اِنَّا عَلٰی ذَهَابٍۭ بِهٖ لَقٰدِرُوۡنَ
وَ اَنۡزَلۡنَا مِنَ السَّمَآءِ مَآءًۢ بِقَدَرٍ فَاَسۡکَنّٰهُ فِی الۡاَرۡضِ ٭ۖ وَ اِنَّا عَلٰی ذَهَابٍۭ بِهٖ لَقٰدِرُوۡنَ
১৮. অনুবাদ: আর আমি আকাশ থেকে পরিমিতভাবে পানি বর্ষণ করেছি। অতঃপর আমি তা যমীনে সংরক্ষণ করেছি। আর অবশ্যই আমি সেটাকে অপসারণ করতেও সক্ষম।

19 ১৯
فَاَنۡشَاۡنَا لَکُمۡ بِهٖ جَنّٰتٍ مِّنۡ نَّخِیۡلٍ وَّ اَعۡنَابٍ ۘ لَکُمۡ فِیۡهَا فَوَاکِهُ کَثِیۡرَۃٌ وَّ مِنۡهَا تَاۡکُلُوۡنَ
فَاَنۡشَاۡنَا لَکُمۡ بِهٖ جَنّٰتٍ مِّنۡ نَّخِیۡلٍ وَّ اَعۡنَابٍ ۘ لَکُمۡ فِیۡهَا فَوَاکِهُ کَثِیۡرَۃٌ وَّ مِنۡهَا تَاۡکُلُوۡنَ
১৯. অনুবাদ: তারপর আমি তা দ্বারা তোমাদের জন্য খেজুর ও আঙ্গুরের বাগানসমূহ সৃষ্টি করেছি। তাতে তোমাদের জন্য প্রচুর ফল থাকে। আর তা থেকেই তোমরা খাও।

20 ২০
وَ شَجَرَۃً تَخۡرُجُ مِنۡ طُوۡرِ سَیۡنَآءَ تَنۡۢبُتُ بِالدُّهۡنِ وَ صِبۡغٍ لِّلۡاٰکِلِیۡنَ
وَ شَجَرَۃً تَخۡرُجُ مِنۡ طُوۡرِ سَیۡنَآءَ تَنۡۢبُتُ بِالدُّهۡنِ وَ صِبۡغٍ لِّلۡاٰکِلِیۡنَ
২০. অনুবাদ: আর এক বৃক্ষ যা সিনাই পাহাড় হতে উদগত হয়, যা আহারকারীদের জন্য তেল ও তরকারী উৎপন্ন করে।

21 ২১
وَ اِنَّ لَکُمۡ فِی الۡاَنۡعَامِ لَعِبۡرَۃً ؕ نُسۡقِیۡکُمۡ مِّمَّا فِیۡ بُطُوۡنِهَا وَ لَکُمۡ فِیۡهَا مَنَافِعُ کَثِیۡرَۃٌ وَّ مِنۡهَا تَاۡکُلُوۡنَ
وَ اِنَّ لَکُمۡ فِی الۡاَنۡعَامِ لَعِبۡرَۃً ؕ نُسۡقِیۡکُمۡ مِّمَّا فِیۡ بُطُوۡنِهَا وَ لَکُمۡ فِیۡهَا مَنَافِعُ کَثِیۡرَۃٌ وَّ مِنۡهَا تَاۡکُلُوۡنَ
২১. অনুবাদ: আর নিশ্চয় গবাদিপশুর মধ্যে তোমাদের জন্য শিক্ষণীয় বিষয় রয়েছে। তাদের পেটে যা আছে তা থেকে আমি তোমাদেরকে পান করাই। আর এতে তোমাদের জন্য প্রচুর উপকারিতা রয়েছে এবং তা থেকে তোমরা খাও।

22 ২২
وَ عَلَیۡهَا وَ عَلَی الۡفُلۡکِ تُحۡمَلُوۡنَ
وَ عَلَیۡهَا وَ عَلَی الۡفُلۡکِ تُحۡمَلُوۡنَ
২২. অনুবাদ: আর এসব পশু ও নৌকায় তোমাদেরকে আরোহণ করানো হয়।

23 ২৩
وَ لَقَدۡ اَرۡسَلۡنَا نُوۡحًا اِلٰی قَوۡمِهٖ فَقَالَ یٰقَوۡمِ اعۡبُدُوا اللّٰهَ مَا لَکُمۡ مِّنۡ اِلٰهٍ غَیۡرُهٗ ؕ اَفَلَا تَتَّقُوۡنَ
وَ لَقَدۡ اَرۡسَلۡنَا نُوۡحًا اِلٰی قَوۡمِهٖ فَقَالَ یٰقَوۡمِ اعۡبُدُوا اللّٰهَ مَا لَکُمۡ مِّنۡ اِلٰهٍ غَیۡرُهٗ ؕ اَفَلَا تَتَّقُوۡنَ
২৩. অনুবাদ: আর অবশ্যই আমি নূহকে তার কওমের নিকট প্রেরণ করেছিলাম। অতঃপর সে বলল, ‘হে আমার কওম, তোমরা আল্লাহর ইবাদাত কর। তিনি ছাড়া তোমাদের কোন ইলাহ নেই। তবুও কি তোমরা তাকওয়া অবলম্বন করবে না’?

24 ২৪
فَقَالَ الۡمَلَؤُا الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا مِنۡ قَوۡمِهٖ مَا هٰذَاۤ اِلَّا بَشَرٌ مِّثۡلُکُمۡ ۙ یُرِیۡدُ اَنۡ یَّتَفَضَّلَ عَلَیۡکُمۡ ؕ وَ لَوۡ شَآءَ اللّٰهُ لَاَنۡزَلَ مَلٰٓئِکَۃً ۚۖ مَّا سَمِعۡنَا بِهٰذَا فِیۡۤ اٰبَآئِنَا الۡاَوَّلِیۡنَ
فَقَالَ الۡمَلَؤُا الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا مِنۡ قَوۡمِهٖ مَا هٰذَاۤ اِلَّا بَشَرٌ مِّثۡلُکُمۡ ۙ یُرِیۡدُ اَنۡ یَّتَفَضَّلَ عَلَیۡکُمۡ ؕ وَ لَوۡ شَآءَ اللّٰهُ لَاَنۡزَلَ مَلٰٓئِکَۃً ۚۖ مَّا سَمِعۡنَا بِهٰذَا فِیۡۤ اٰبَآئِنَا الۡاَوَّلِیۡنَ
২৪. অনুবাদ: তারপর তার সম্প্রদায়ের নেতৃস্থানীয়গণ, যারা কুফরী করেছিল- তারা বলল, ‘এতো তোমাদের মত একজন মানুষ ছাড়া কিছুই না। সে তোমাদের উপর শ্রেষ্ঠত্ব লাভ করতে চায়। আর আল্লাহ ইচ্ছা করলে অবশ্যই ফেরেশতা নাযিল করতেন। এ কথাতো আমরা আমাদের পূর্ববর্তী পিতৃপুরুষদের সময়েও শুনিনি’।

25 ২৫
اِنۡ هُوَ اِلَّا رَجُلٌۢ بِهٖ جِنَّۃٌ فَتَرَبَّصُوۡا بِهٖ حَتّٰی حِیۡنٍ
اِنۡ هُوَ اِلَّا رَجُلٌۢ بِهٖ جِنَّۃٌ فَتَرَبَّصُوۡا بِهٖ حَتّٰی حِیۡنٍ
২৫. অনুবাদ: ‘সে কেবল এমন এক লোক, যার মধ্যে পাগলামী রয়েছে। অতএব তোমরা তার সম্পর্কে কিছুকাল অপেক্ষা কর’।

26 ২৬
قَالَ رَبِّ انۡصُرۡنِیۡ بِمَا کَذَّبُوۡنِ
قَالَ رَبِّ انۡصُرۡنِیۡ بِمَا کَذَّبُوۡنِ
২৬. অনুবাদ: নূহ বলল, ‘হে আমার রব, আমাকে সাহায্য করুন। কেননা তারা আমাকে মিথ্যাবাদী বলেছে’।

27 ২৭
فَاَوۡحَیۡنَاۤ اِلَیۡهِ اَنِ اصۡنَعِ الۡفُلۡکَ بِاَعۡیُنِنَا وَ وَحۡیِنَا فَاِذَا جَآءَ اَمۡرُنَا وَ فَارَ التَّنُّوۡرُ ۙ فَاسۡلُکۡ فِیۡهَا مِنۡ کُلٍّ زَوۡجَیۡنِ اثۡنَیۡنِ وَ اَهۡلَکَ اِلَّا مَنۡ سَبَقَ عَلَیۡهِ الۡقَوۡلُ مِنۡهُمۡ ۚ وَ لَا تُخَاطِبۡنِیۡ فِی الَّذِیۡنَ ظَلَمُوۡا ۚ اِنَّهُمۡ مُّغۡرَقُوۡنَ
فَاَوۡحَیۡنَاۤ اِلَیۡهِ اَنِ اصۡنَعِ الۡفُلۡکَ بِاَعۡیُنِنَا وَ وَحۡیِنَا فَاِذَا جَآءَ اَمۡرُنَا وَ فَارَ التَّنُّوۡرُ ۙ فَاسۡلُکۡ فِیۡهَا مِنۡ کُلٍّ زَوۡجَیۡنِ اثۡنَیۡنِ وَ اَهۡلَکَ اِلَّا مَنۡ سَبَقَ عَلَیۡهِ الۡقَوۡلُ مِنۡهُمۡ ۚ وَ لَا تُخَاطِبۡنِیۡ فِی الَّذِیۡنَ ظَلَمُوۡا ۚ اِنَّهُمۡ مُّغۡرَقُوۡنَ
২৭. অনুবাদ: তারপর আমি তার কাছে ওহী প্রেরণ করলাম যে, তুমি আমার চোখের সামনে ও আমার ওহী অনুযায়ী নৌকা তৈরী কর। তারপর যখন আমার আদেশ আসবে এবং চুলা (পানিতে) উথলে উঠবে তখন প্রত্যেক জীবের এক জোড়া ও তোমার পরিবারবর্গকে নৌযানে তুলে নিও; তবে তাদের মধ্যে যাদের ব্যাপারে পূর্বে সিদ্ধান্ত হয়ে আছে তারা ছাড়া। আর যারা যুলম করেছে তাদের ব্যাপারে তুমি আমাকে সম্বোধন করো না। নিশ্চয় তারা নিমজ্জিত হবে।

28 ২৮
فَاِذَا اسۡتَوَیۡتَ اَنۡتَ وَ مَنۡ مَّعَکَ عَلَی الۡفُلۡکِ فَقُلِ الۡحَمۡدُ لِلّٰهِ الَّذِیۡ نَجّٰنَا مِنَ الۡقَوۡمِ الظّٰلِمِیۡنَ
فَاِذَا اسۡتَوَیۡتَ اَنۡتَ وَ مَنۡ مَّعَکَ عَلَی الۡفُلۡکِ فَقُلِ الۡحَمۡدُ لِلّٰهِ الَّذِیۡ نَجّٰنَا مِنَ الۡقَوۡمِ الظّٰلِمِیۡنَ
২৮. অনুবাদ: অতঃপর যখন তুমি ও তোমার সঙ্গীরা নৌযানে আরোহণ করবে তখন বলবে, ‘সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি আমাদেরকে যালিম কওম থেকে মুক্তি দিয়েছেন’।

29 ২৯
وَ قُلۡ رَّبِّ اَنۡزِلۡنِیۡ مُنۡزَلًا مُّبٰرَکًا وَّ اَنۡتَ خَیۡرُ الۡمُنۡزِلِیۡنَ
وَ قُلۡ رَّبِّ اَنۡزِلۡنِیۡ مُنۡزَلًا مُّبٰرَکًا وَّ اَنۡتَ خَیۡرُ الۡمُنۡزِلِیۡنَ
২৯. অনুবাদ: তুমি আরও বলবে, ‘হে আমার রব, আমাকে বরকতময় অবতরণস্থলে অবতরণ করান। আর আপনিই সর্বশ্রেষ্ঠ অবতরণকারী’।

30 ৩০
اِنَّ فِیۡ ذٰلِکَ لَاٰیٰتٍ وَّ اِنۡ کُنَّا لَمُبۡتَلِیۡنَ
اِنَّ فِیۡ ذٰلِکَ لَاٰیٰتٍ وَّ اِنۡ کُنَّا لَمُبۡتَلِیۡنَ
৩০. অনুবাদ: নিশ্চয় এর মধ্যে অনেক নিদর্শন রয়েছে। আর নিশ্চয় আমি পরীক্ষাকারী ছিলাম।

31 ৩১
ثُمَّ اَنۡشَاۡنَا مِنۡۢ بَعۡدِهِمۡ قَرۡنًا اٰخَرِیۡنَ
ثُمَّ اَنۡشَاۡنَا مِنۡۢ بَعۡدِهِمۡ قَرۡنًا اٰخَرِیۡنَ
৩১. অনুবাদ: তারপর তাদের পরে আমি অন্য প্রজন্ম সৃষ্টি করেছি।

32 ৩২
فَاَرۡسَلۡنَا فِیۡهِمۡ رَسُوۡلًا مِّنۡهُمۡ اَنِ اعۡبُدُوا اللّٰهَ مَا لَکُمۡ مِّنۡ اِلٰهٍ غَیۡرُهٗ ؕ اَفَلَا تَتَّقُوۡنَ
فَاَرۡسَلۡنَا فِیۡهِمۡ رَسُوۡلًا مِّنۡهُمۡ اَنِ اعۡبُدُوا اللّٰهَ مَا لَکُمۡ مِّنۡ اِلٰهٍ غَیۡرُهٗ ؕ اَفَلَا تَتَّقُوۡنَ
৩২. অনুবাদ: অতঃপর তাদের মধ্যে তাদেরই একজনকে আমি রাসূলরূপে প্রেরণ করেছিলাম যে, তোমরা আল্লাহর ইবাদাত করবে, তিনি ছাড়া তোমাদের অন্য কোন (সত্য) ইলাহ নেই। তবুও কি তোমরা তাকওয়া অবলম্বন করবে না।

33 ৩৩
وَ قَالَ الۡمَلَاُ مِنۡ قَوۡمِهِ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا وَ کَذَّبُوۡا بِلِقَآءِ الۡاٰخِرَۃِ وَ اَتۡرَفۡنٰهُمۡ فِی الۡحَیٰوۃِ الدُّنۡیَا ۙ مَا هٰذَاۤ اِلَّا بَشَرٌ مِّثۡلُکُمۡ ۙ یَاۡکُلُ مِمَّا تَاۡکُلُوۡنَ مِنۡهُ وَ یَشۡرَبُ مِمَّا تَشۡرَبُوۡنَ
وَ قَالَ الۡمَلَاُ مِنۡ قَوۡمِهِ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا وَ کَذَّبُوۡا بِلِقَآءِ الۡاٰخِرَۃِ وَ اَتۡرَفۡنٰهُمۡ فِی الۡحَیٰوۃِ الدُّنۡیَا ۙ مَا هٰذَاۤ اِلَّا بَشَرٌ مِّثۡلُکُمۡ ۙ یَاۡکُلُ مِمَّا تَاۡکُلُوۡنَ مِنۡهُ وَ یَشۡرَبُ مِمَّا تَشۡرَبُوۡنَ
৩৩. অনুবাদ: আর তার সম্প্রদায়ের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিগণ যারা কুফরী করেছে, আখেরাতের সাক্ষাতকে অস্বীকার করেছে এবং আমি দুনিয়ার জীবনে যাদের ভোগ বিলাসিতা দিয়েছিলাম, তারা বলল, ‘সে কেবল তোমাদের মত একজন মানুষ, সে তাই খায় যা থেকে তোমরা খাও এবং সে তাই পান করে যা থেকে তোমরা পান কর’।

34 ৩৪
وَ لَئِنۡ اَطَعۡتُمۡ بَشَرًا مِّثۡلَکُمۡ اِنَّکُمۡ اِذًا لَّخٰسِرُوۡنَ
وَ لَئِنۡ اَطَعۡتُمۡ بَشَرًا مِّثۡلَکُمۡ اِنَّکُمۡ اِذًا لَّخٰسِرُوۡنَ
৩৪. অনুবাদ: ‘আর যদি তোমরা তোমাদের মতই একজন মানুষের আনুগত্য কর, তবে তোমরা অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত হবে’।

35 ৩৫
اَیَعِدُکُمۡ اَنَّکُمۡ اِذَا مِتُّمۡ وَ کُنۡتُمۡ تُرَابًا وَّ عِظَامًا اَنَّکُمۡ مُّخۡرَجُوۡنَ
اَیَعِدُکُمۡ اَنَّکُمۡ اِذَا مِتُّمۡ وَ کُنۡتُمۡ تُرَابًا وَّ عِظَامًا اَنَّکُمۡ مُّخۡرَجُوۡنَ
৩৫. অনুবাদ: ‘সে কি তোমাদের ওয়াদা দেয় যে, তোমরা যখন মারা যাবে এবং তোমরা মাটি ও হাড়ে পরিণত হয়ে যাবে। তোমাদেরকে অবশ্যই বের করা হবে?’

36 ৩৬
هَیۡهَاتَ هَیۡهَاتَ لِمَا تُوۡعَدُوۡنَ
هَیۡهَاتَ هَیۡهَاتَ لِمَا تُوۡعَدُوۡنَ
৩৬. অনুবাদ: অনেক দূর, তোমাদের যে ওয়াদা দেয়া হয়েছে তা অনেক দূর।

37 ৩৭
اِنۡ هِیَ اِلَّا حَیَاتُنَا الدُّنۡیَا نَمُوۡتُ وَ نَحۡیَا وَ مَا نَحۡنُ بِمَبۡعُوۡثِیۡنَ
اِنۡ هِیَ اِلَّا حَیَاتُنَا الدُّنۡیَا نَمُوۡتُ وَ نَحۡیَا وَ مَا نَحۡنُ بِمَبۡعُوۡثِیۡنَ
৩৭. অনুবাদ: ‘এ শুধু আমাদের দুনিয়ার জীবন। আমরা মরে যাই এবং বেঁচে থাকি। আর আমরা পুনরুত্থিত হবার নই’।

38 ৩৮
اِنۡ هُوَ اِلَّا رَجُلُۨ افۡتَرٰی عَلَی اللّٰهِ کَذِبًا وَّ مَا نَحۡنُ لَهٗ بِمُؤۡمِنِیۡنَ
اِنۡ هُوَ اِلَّا رَجُلُۨ افۡتَرٰی عَلَی اللّٰهِ کَذِبًا وَّ مَا نَحۡنُ لَهٗ بِمُؤۡمِنِیۡنَ
৩৮. অনুবাদ: ‘সে শুধু এক ব্যক্তি যে আল্লাহর উপর মিথ্যা আরোপ করেছে; আর আমরা তাঁর প্রতি ঈমান আনয়নকারী নই’।

39 ৩৯
قَالَ رَبِّ انۡصُرۡنِیۡ بِمَا کَذَّبُوۡنِ
قَالَ رَبِّ انۡصُرۡنِیۡ بِمَا کَذَّبُوۡنِ
৩৯. অনুবাদ: সে বলল, ‘হে আমার রব, আমাকে সাহায্য করুন, কারণ তারা আমাকে মিথ্যাবাদী বলেছে’।

40 ৪০
قَالَ عَمَّا قَلِیۡلٍ لَّیُصۡبِحُنَّ نٰدِمِیۡنَ
قَالَ عَمَّا قَلِیۡلٍ لَّیُصۡبِحُنَّ نٰدِمِیۡنَ
৪০. অনুবাদ: আল্লাহ বললেন, ‘কিছু সময়ের মধ্যেই তারা নিশ্চিতরূপে অনুতপ্ত হবে’।

41 ৪১
فَاَخَذَتۡهُمُ الصَّیۡحَۃُ بِالۡحَقِّ فَجَعَلۡنٰهُمۡ غُثَآءً ۚ فَبُعۡدًا لِّلۡقَوۡمِ الظّٰلِمِیۡنَ
فَاَخَذَتۡهُمُ الصَّیۡحَۃُ بِالۡحَقِّ فَجَعَلۡنٰهُمۡ غُثَآءً ۚ فَبُعۡدًا لِّلۡقَوۡمِ الظّٰلِمِیۡنَ
৪১. অনুবাদ: অতঃপর যথার্থই তাদেরকে এক বিকট আওয়াজ পেয়ে বসল, তারপর আমি তাদেরকে খড়কুটায় পরিণত করলাম। সুতরাং যালিম কওমের জন্য ধ্বংস।

42 ৪২
ثُمَّ اَنۡشَاۡنَا مِنۡۢ بَعۡدِهِمۡ قُرُوۡنًا اٰخَرِیۡنَ
ثُمَّ اَنۡشَاۡنَا مِنۡۢ بَعۡدِهِمۡ قُرُوۡنًا اٰخَرِیۡنَ
৪২. অনুবাদ: তারপর তাদের পরে আমি অন্য প্রজন্ম সৃষ্টি করেছি।

43 ৪৩
مَا تَسۡبِقُ مِنۡ اُمَّۃٍ اَجَلَهَا وَ مَا یَسۡتَاۡخِرُوۡنَ
مَا تَسۡبِقُ مِنۡ اُمَّۃٍ اَجَلَهَا وَ مَا یَسۡتَاۡخِرُوۡنَ
৪৩. অনুবাদ: কোন জাতি থেকে তার নির্দিষ্ট মেয়াদ এগিয়ে আসে না এবং বিলম্বিতও হয় না।

44 ৪৪
ثُمَّ اَرۡسَلۡنَا رُسُلَنَا تَتۡرَا ؕ کُلَّمَا جَآءَ اُمَّۃً رَّسُوۡلُهَا کَذَّبُوۡهُ فَاَتۡبَعۡنَا بَعۡضَهُمۡ بَعۡضًا وَّ جَعَلۡنٰهُمۡ اَحَادِیۡثَ ۚ فَبُعۡدًا لِّقَوۡمٍ لَّا یُؤۡمِنُوۡنَ
ثُمَّ اَرۡسَلۡنَا رُسُلَنَا تَتۡرَا ؕ کُلَّمَا جَآءَ اُمَّۃً رَّسُوۡلُهَا کَذَّبُوۡهُ فَاَتۡبَعۡنَا بَعۡضَهُمۡ بَعۡضًا وَّ جَعَلۡنٰهُمۡ اَحَادِیۡثَ ۚ فَبُعۡدًا لِّقَوۡمٍ لَّا یُؤۡمِنُوۡنَ
৪৪. অনুবাদ: এরপর আমি আমাদের রাসূলদেরকে ধারাবাহিকভাবে প্রেরণ করেছি, যখনই কোন জাতির কাছে তাদের রাসূল আসত, তখনই তারা তাকে অস্বীকার করত। অতঃপর আমি এদের এককে অপরের অনুসরণে ধ্বংস করে দিয়েছি এবং তাদেরকে কাহিনীতে পরিণত করেছি। সুতরাং ধ্বংস হোক সে কওম যারা ঈমান আনে না।

45 ৪৫
ثُمَّ اَرۡسَلۡنَا مُوۡسٰی وَ اَخَاهُ هٰرُوۡنَ ۬ۙ بِاٰیٰتِنَا وَ سُلۡطٰنٍ مُّبِیۡنٍ
ثُمَّ اَرۡسَلۡنَا مُوۡسٰی وَ اَخَاهُ هٰرُوۡنَ ۬ۙ بِاٰیٰتِنَا وَ سُلۡطٰنٍ مُّبِیۡنٍ
৪৫. অনুবাদ: তারপর আমি মূসা ও তার ভাই হারূনকে আমার নিদর্শনাবলী ও সুস্পষ্ট প্রমাণসহ প্রেরণ করেছি।

46 ৪৬
اِلٰی فِرۡعَوۡنَ وَ مَلَا۠ئِهٖ فَاسۡتَکۡبَرُوۡا وَ کَانُوۡا قَوۡمًا عَالِیۡنَ
اِلٰی فِرۡعَوۡنَ وَ مَلَا۠ئِهٖ فَاسۡتَکۡبَرُوۡا وَ کَانُوۡا قَوۡمًا عَالِیۡنَ
৪৬. অনুবাদ: ফির‘আউন ও তার পারিষদবর্গের কাছে; কিন্তু তারা অহঙ্কার করল এবং তারা ছিল উদ্ধত কওম।

47 ৪৭
فَقَالُوۡۤا اَنُؤۡمِنُ لِبَشَرَیۡنِ مِثۡلِنَا وَ قَوۡمُهُمَا لَنَا عٰبِدُوۡنَ
فَقَالُوۡۤا اَنُؤۡمِنُ لِبَشَرَیۡنِ مِثۡلِنَا وَ قَوۡمُهُمَا لَنَا عٰبِدُوۡنَ
৪৭. অনুবাদ: অতঃপর তারা বলল, আমরা কি আমাদের মতই দু’জন মানুষের প্রতি ঈমান আনব অথচ তাদের কওম আমাদের সেবাদাস।

48 ৪৮
فَکَذَّبُوۡهُمَا فَکَانُوۡا مِنَ الۡمُهۡلَکِیۡنَ
فَکَذَّبُوۡهُمَا فَکَانُوۡا مِنَ الۡمُهۡلَکِیۡنَ
৪৮. অনুবাদ: অতএব তারা তাদের উভয়কে মিথ্যাবাদী বলল। ফলে তারা ধ্বংসপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেল।

49 ৪৯
وَ لَقَدۡ اٰتَیۡنَا مُوۡسَی الۡکِتٰبَ لَعَلَّهُمۡ یَهۡتَدُوۡنَ
وَ لَقَدۡ اٰتَیۡنَا مُوۡسَی الۡکِتٰبَ لَعَلَّهُمۡ یَهۡتَدُوۡنَ
৪৯. অনুবাদ: আর অবশ্যই আমি মূসাকে কিতাব প্রদান করেছিলাম যাতে তারা হিদায়াতপ্রাপ্ত হয়।

50 ৫০
وَ جَعَلۡنَا ابۡنَ مَرۡیَمَ وَ اُمَّهٗۤ اٰیَۃً وَّ اٰوَیۡنٰهُمَاۤ اِلٰی رَبۡوَۃٍ ذَاتِ قَرَارٍ وَّ مَعِیۡنٍ
وَ جَعَلۡنَا ابۡنَ مَرۡیَمَ وَ اُمَّهٗۤ اٰیَۃً وَّ اٰوَیۡنٰهُمَاۤ اِلٰی رَبۡوَۃٍ ذَاتِ قَرَارٍ وَّ مَعِیۡنٍ
৫০. অনুবাদ: আর আমি মারইয়াম-পুত্র ও তার মাকে নিদর্শন বানালাম এবং তাদেরকে আবাসযোগ্য ও ঝর্নাবিশিষ্ট এক উঁচু ভূমিতে আশ্রয় দিলাম।

51 ৫১
یٰۤاَیُّهَا الرُّسُلُ کُلُوۡا مِنَ الطَّیِّبٰتِ وَ اعۡمَلُوۡا صَالِحًا ؕ اِنِّیۡ بِمَا تَعۡمَلُوۡنَ عَلِیۡمٌ
یٰۤاَیُّهَا الرُّسُلُ کُلُوۡا مِنَ الطَّیِّبٰتِ وَ اعۡمَلُوۡا صَالِحًا ؕ اِنِّیۡ بِمَا تَعۡمَلُوۡنَ عَلِیۡمٌ
৫১. অনুবাদ: ‘হে রাসূলগণ, তোমরা পবিত্র ও ভাল বস্ত্ত থেকে খাও এবং সৎকর্ম কর। নিশ্চয় তোমরা যা কর সে সর্ম্পকে আমি সম্যক জ্ঞাত।

52 ৫২
وَ اِنَّ هٰذِهٖۤ اُمَّتُکُمۡ اُمَّۃً وَّاحِدَۃً وَّ اَنَا رَبُّکُمۡ فَاتَّقُوۡنِ
وَ اِنَّ هٰذِهٖۤ اُمَّتُکُمۡ اُمَّۃً وَّاحِدَۃً وَّ اَنَا رَبُّکُمۡ فَاتَّقُوۡنِ
৫২. অনুবাদ: তোমাদের এই দীন তো একই দীন। আর আমি তোমাদের রব, অতএব তোমরা আমাকে ভয় কর।

53 ৫৩
فَتَقَطَّعُوۡۤا اَمۡرَهُمۡ بَیۡنَهُمۡ زُبُرًا ؕ کُلُّ حِزۡبٍۭ بِمَا لَدَیۡهِمۡ فَرِحُوۡنَ
فَتَقَطَّعُوۡۤا اَمۡرَهُمۡ بَیۡنَهُمۡ زُبُرًا ؕ کُلُّ حِزۡبٍۭ بِمَا لَدَیۡهِمۡ فَرِحُوۡنَ
৫৩. অনুবাদ: তারপর লোকেরা তাদের মাঝে তাদের দীনকে বহুভাগে বিভক্ত করেছে। প্রত্যেক দলই তাদের কাছে যা আছে তা নিয়ে উৎফুল্ল।

54 ৫৪
فَذَرۡهُمۡ فِیۡ غَمۡرَتِهِمۡ حَتّٰی حِیۡنٍ
فَذَرۡهُمۡ فِیۡ غَمۡرَتِهِمۡ حَتّٰی حِیۡنٍ
৫৪. অনুবাদ: সুতরাং কিছু সময়ের জন্য তাদেরকে স্বীয় বিভ্রান্তিতে থাকতে দাও।

55 ৫৫
اَیَحۡسَبُوۡنَ اَنَّمَا نُمِدُّهُمۡ بِهٖ مِنۡ مَّالٍ وَّ بَنِیۡنَ
اَیَحۡسَبُوۡنَ اَنَّمَا نُمِدُّهُمۡ بِهٖ مِنۡ مَّالٍ وَّ بَنِیۡنَ
৫৫. অনুবাদ: তারা কি মনে করছে যে, ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি থেকে যা আমি তাদেরকে দেই।

56 ৫৬
نُسَارِعُ لَهُمۡ فِی الۡخَیۡرٰتِ ؕ بَلۡ لَّا یَشۡعُرُوۡنَ
نُسَارِعُ لَهُمۡ فِی الۡخَیۡرٰتِ ؕ بَلۡ لَّا یَشۡعُرُوۡنَ
৫৬. অনুবাদ: (তা দ্বারা) আমি তাদের কল্যাণে দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি; বরং তারা উপলদ্ধি করতে পারছে না।

57 ৫৭
اِنَّ الَّذِیۡنَ هُمۡ مِّنۡ خَشۡیَۃِ رَبِّهِمۡ مُّشۡفِقُوۡنَ
اِنَّ الَّذِیۡنَ هُمۡ مِّنۡ خَشۡیَۃِ رَبِّهِمۡ مُّشۡفِقُوۡنَ
৫৭. অনুবাদ: নিশ্চয় যারা তাদের রবের ভয়ে ভীত-সন্ত্রস্ত,

58 ৫৮
وَ الَّذِیۡنَ هُمۡ بِاٰیٰتِ رَبِّهِمۡ یُؤۡمِنُوۡنَ
وَ الَّذِیۡنَ هُمۡ بِاٰیٰتِ رَبِّهِمۡ یُؤۡمِنُوۡنَ
৫৮. অনুবাদ: আর যারা তাদের রবের আয়াতসমূহে ঈমান আনে।

59 ৫৯
وَ الَّذِیۡنَ هُمۡ بِرَبِّهِمۡ لَا یُشۡرِکُوۡنَ
وَ الَّذِیۡنَ هُمۡ بِرَبِّهِمۡ لَا یُشۡرِکُوۡنَ
৫৯. অনুবাদ: আর যারা তাদের রবের সাথে শিরক করে না,

60 ৬০
وَ الَّذِیۡنَ یُؤۡتُوۡنَ مَاۤ اٰتَوۡا وَّ قُلُوۡبُهُمۡ وَجِلَۃٌ اَنَّهُمۡ اِلٰی رَبِّهِمۡ رٰجِعُوۡنَ
وَ الَّذِیۡنَ یُؤۡتُوۡنَ مَاۤ اٰتَوۡا وَّ قُلُوۡبُهُمۡ وَجِلَۃٌ اَنَّهُمۡ اِلٰی رَبِّهِمۡ رٰجِعُوۡنَ
৬০. অনুবাদ: আর যারা যা দান করে তা ভীত-কম্পিত হৃদয়ে করে থাকে এজন্য যে, তারা তাদের রবের দিকে প্রত্যাবর্তনশীল।

61 ৬১
اُولٰٓئِکَ یُسٰرِعُوۡنَ فِی الۡخَیۡرٰتِ وَ هُمۡ لَهَا سٰبِقُوۡنَ
اُولٰٓئِکَ یُسٰرِعُوۡنَ فِی الۡخَیۡرٰتِ وَ هُمۡ لَهَا سٰبِقُوۡنَ
৬১. অনুবাদ: তারাই কল্যাণসমূহের দিকে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। এবং তাতে তারা অগ্রগামী।

62 ৬২
وَ لَا نُکَلِّفُ نَفۡسًا اِلَّا وُسۡعَهَا وَ لَدَیۡنَا کِتٰبٌ یَّنۡطِقُ بِالۡحَقِّ وَ هُمۡ لَا یُظۡلَمُوۡنَ
وَ لَا نُکَلِّفُ نَفۡسًا اِلَّا وُسۡعَهَا وَ لَدَیۡنَا کِتٰبٌ یَّنۡطِقُ بِالۡحَقِّ وَ هُمۡ لَا یُظۡلَمُوۡنَ
৬২. অনুবাদ: আর আমি কাউকে তার সাধ্যের বাইরে কোন দায়িত্ব দেই না। আমার নিকট আছে এমন কিতাব যা সত্য কথা বলে এবং তারা অত্যাচারিত হবে না।

63 ৬৩
بَلۡ قُلُوۡبُهُمۡ فِیۡ غَمۡرَۃٍ مِّنۡ هٰذَا وَ لَهُمۡ اَعۡمَالٌ مِّنۡ دُوۡنِ ذٰلِکَ هُمۡ لَهَا عٰمِلُوۡنَ
بَلۡ قُلُوۡبُهُمۡ فِیۡ غَمۡرَۃٍ مِّنۡ هٰذَا وَ لَهُمۡ اَعۡمَالٌ مِّنۡ دُوۡنِ ذٰلِکَ هُمۡ لَهَا عٰمِلُوۡنَ
৬৩. অনুবাদ: বরং তাদের অন্তরসমূহ এ বিষয়ে বিভ্রান্তিতে রয়েছে। এছাড়া তাদের আরও আনেক আমল রয়েছে, যা তারা করছে।

64 ৬৪
حَتّٰۤی اِذَاۤ اَخَذۡنَا مُتۡرَفِیۡهِمۡ بِالۡعَذَابِ اِذَا هُمۡ یَجۡـَٔرُوۡنَ
حَتّٰۤی اِذَاۤ اَخَذۡنَا مُتۡرَفِیۡهِمۡ بِالۡعَذَابِ اِذَا هُمۡ یَجۡـَٔرُوۡنَ
৬৪. অনুবাদ: অবশেষে যখন আমি তাদের ভোগবিলাসপূর্ণ জীবনধারীদের আযাব দ্বারা পাকড়াও করব, তখন তারা সজোরে আর্তনাদ করে উঠবে।

65 ৬৫
لَا تَجۡـَٔرُوا الۡیَوۡمَ ۟ اِنَّکُمۡ مِّنَّا لَا تُنۡصَرُوۡنَ
لَا تَجۡـَٔرُوا الۡیَوۡمَ ۟ اِنَّکُمۡ مِّنَّا لَا تُنۡصَرُوۡنَ
৬৫. অনুবাদ: আজ তোমরা সজোরে আর্তনাদ করো না। নিশ্চয় তোমরা আমার পক্ষ থেকে সাহায্যপ্রাপ্ত হবে না।

66 ৬৬
قَدۡ کَانَتۡ اٰیٰتِیۡ تُتۡلٰی عَلَیۡکُمۡ فَکُنۡتُمۡ عَلٰۤی اَعۡقَابِکُمۡ تَنۡکِصُوۡنَ
قَدۡ کَانَتۡ اٰیٰتِیۡ تُتۡلٰی عَلَیۡکُمۡ فَکُنۡتُمۡ عَلٰۤی اَعۡقَابِکُمۡ تَنۡکِصُوۡنَ
৬৬. অনুবাদ: আমার আয়াতসমূহ তোমাদের সামনে অবশ্যই তিলাওয়াত করা হত, তারপর তোমরা তোমাদের পেছন ফিরে চলে যেতে,

67 ৬৭
مُسۡتَکۡبِرِیۡنَ ٭ۖ بِهٖ سٰمِرًا تَهۡجُرُوۡنَ
مُسۡتَکۡبِرِیۡنَ ٭ۖ بِهٖ سٰمِرًا تَهۡجُرُوۡنَ
৬৭. অনুবাদ: এর উপর অহঙ্কারবশে, রাত জেগে অর্থহীন গল্প-গুজব করতে।

68 ৬৮
اَفَلَمۡ یَدَّبَّرُوا الۡقَوۡلَ اَمۡ جَآءَهُمۡ مَّا لَمۡ یَاۡتِ اٰبَآءَهُمُ الۡاَوَّلِیۡنَ
اَفَلَمۡ یَدَّبَّرُوا الۡقَوۡلَ اَمۡ جَآءَهُمۡ مَّا لَمۡ یَاۡتِ اٰبَآءَهُمُ الۡاَوَّلِیۡنَ
৬৮. অনুবাদ: তারা কি এ বাণী সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা করে না? নাকি তাদের কাছে এমন কিছু এসেছে যা তাদের পূর্ববর্তী পিতৃপুরুষদের কাছে আসেনি?

69 ৬৯
اَمۡ لَمۡ یَعۡرِفُوۡا رَسُوۡلَهُمۡ فَهُمۡ لَهٗ مُنۡکِرُوۡنَ
اَمۡ لَمۡ یَعۡرِفُوۡا رَسُوۡلَهُمۡ فَهُمۡ لَهٗ مُنۡکِرُوۡنَ
৬৯. অনুবাদ: নাকি তারা তাদের রাসূলকে চিনতে পারেনি, ফলে তারা তাকে অস্বীকার করছে?

70 ৭০
اَمۡ یَقُوۡلُوۡنَ بِهٖ جِنَّۃٌ ؕ بَلۡ جَآءَهُمۡ بِالۡحَقِّ وَ اَکۡثَرُهُمۡ لِلۡحَقِّ کٰرِهُوۡنَ
اَمۡ یَقُوۡلُوۡنَ بِهٖ جِنَّۃٌ ؕ بَلۡ جَآءَهُمۡ بِالۡحَقِّ وَ اَکۡثَرُهُمۡ لِلۡحَقِّ کٰرِهُوۡنَ
৭০. অনুবাদ: নাকি তারা বলছে যে, তার মধ্যে কোন পাগলামী রয়েছে? না, বরং সে তাদের কাছে সত্য নিয়েই এসেছিল। আর তাদের অধিকাংশ লোকই সত্যকে অপছন্দকারী।

71 ৭১
وَ لَوِ اتَّبَعَ الۡحَقُّ اَهۡوَآءَهُمۡ لَفَسَدَتِ السَّمٰوٰتُ وَ الۡاَرۡضُ وَ مَنۡ فِیۡهِنَّ ؕ بَلۡ اَتَیۡنٰهُمۡ بِذِکۡرِهِمۡ فَهُمۡ عَنۡ ذِکۡرِهِمۡ مُّعۡرِضُوۡنَ
وَ لَوِ اتَّبَعَ الۡحَقُّ اَهۡوَآءَهُمۡ لَفَسَدَتِ السَّمٰوٰتُ وَ الۡاَرۡضُ وَ مَنۡ فِیۡهِنَّ ؕ بَلۡ اَتَیۡنٰهُمۡ بِذِکۡرِهِمۡ فَهُمۡ عَنۡ ذِکۡرِهِمۡ مُّعۡرِضُوۡنَ
৭১. অনুবাদ: আর যদি সত্য তাদের কামনা-বাসনার অনুগামী হত, তবে আসমানসমূহ, যমীন ও এতদোভয়ের মধ্যস্থিত সব কিছু বিপর্যস্ত হয়ে যেত; বরং আমি তাদেরকে দিয়েছি তাদের উপদেশবাণী (কুরআন)। অথচ তারা তাদের উপদেশ হতে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।

72 ৭২
اَمۡ تَسۡـَٔلُهُمۡ خَرۡجًا فَخَرَاجُ رَبِّکَ خَیۡرٌ ٭ۖ وَّ هُوَ خَیۡرُ الرّٰزِقِیۡنَ
اَمۡ تَسۡـَٔلُهُمۡ خَرۡجًا فَخَرَاجُ رَبِّکَ خَیۡرٌ ٭ۖ وَّ هُوَ خَیۡرُ الرّٰزِقِیۡنَ
৭২. অনুবাদ: নাকি তুমি তাদের কাছে কোন প্রতিদান চাও? তবে তোমার রবের প্রতিদান সর্বোত্তম। আর তিনিই সর্বোত্তম রিয্কদাতা।

73 ৭৩
وَ اِنَّکَ لَتَدۡعُوۡهُمۡ اِلٰی صِرَاطٍ مُّسۡتَقِیۡمٍ
وَ اِنَّکَ لَتَدۡعُوۡهُمۡ اِلٰی صِرَاطٍ مُّسۡتَقِیۡمٍ
৭৩. অনুবাদ: আর নিশ্চয় তুমি তাদের সরল-সঠিক পথের দাওয়াত দিচ্ছ।

74 ৭৪
وَ اِنَّ الَّذِیۡنَ لَا یُؤۡمِنُوۡنَ بِالۡاٰخِرَۃِ عَنِ الصِّرَاطِ لَنٰکِبُوۡنَ
وَ اِنَّ الَّذِیۡنَ لَا یُؤۡمِنُوۡنَ بِالۡاٰخِرَۃِ عَنِ الصِّرَاطِ لَنٰکِبُوۡنَ
৭৪. অনুবাদ: আর নিশ্চয় যারা আখেরাতের প্রতি ঈমান আনে না, তারাই এই পথ থেকে বিচ্যুত।

75 ৭৫
وَ لَوۡ رَحِمۡنٰهُمۡ وَ کَشَفۡنَا مَا بِهِمۡ مِّنۡ ضُرٍّ لَّلَجُّوۡا فِیۡ طُغۡیَانِهِمۡ یَعۡمَهُوۡنَ
وَ لَوۡ رَحِمۡنٰهُمۡ وَ کَشَفۡنَا مَا بِهِمۡ مِّنۡ ضُرٍّ لَّلَجُّوۡا فِیۡ طُغۡیَانِهِمۡ یَعۡمَهُوۡنَ
৭৫. অনুবাদ: আর যদি আমি তাদের দয়া করতাম এবং তাদের দুঃখ-দুর্দশা থেকে মুক্ত করতাম, তবুও তারা অবাধ্যতায় বিভ্রান্ত হয়ে ঘুরে বেড়াত।

76 ৭৬
وَ لَقَدۡ اَخَذۡنٰهُمۡ بِالۡعَذَابِ فَمَا اسۡتَکَانُوۡا لِرَبِّهِمۡ وَ مَا یَتَضَرَّعُوۡنَ
وَ لَقَدۡ اَخَذۡنٰهُمۡ بِالۡعَذَابِ فَمَا اسۡتَکَانُوۡا لِرَبِّهِمۡ وَ مَا یَتَضَرَّعُوۡنَ
৭৬. অনুবাদ: আর অবশ্যই আমি তাদেরকে আযাব দ্বারা পাকড়াও করলাম, তবুও তারা তাদের রবের কাছে নত হয়নি এবং বিনীত প্রার্থনাও করে না।

77 ৭৭
حَتّٰۤی اِذَا فَتَحۡنَا عَلَیۡهِمۡ بَابًا ذَا عَذَابٍ شَدِیۡدٍ اِذَا هُمۡ فِیۡهِ مُبۡلِسُوۡنَ
حَتّٰۤی اِذَا فَتَحۡنَا عَلَیۡهِمۡ بَابًا ذَا عَذَابٍ شَدِیۡدٍ اِذَا هُمۡ فِیۡهِ مُبۡلِسُوۡنَ
৭৭. অনুবাদ: অবশেষে আমি যখন তাদের জন্য কঠিন আযাবের দুয়ার খুলে দেই তখনই তাতে তারা হতাশ হয়ে পড়ে।

78 ৭৮
وَ هُوَ الَّذِیۡۤ اَنۡشَاَ لَکُمُ السَّمۡعَ وَ الۡاَبۡصَارَ وَ الۡاَفۡـِٕدَۃَ ؕ قَلِیۡلًا مَّا تَشۡکُرُوۡنَ
وَ هُوَ الَّذِیۡۤ اَنۡشَاَ لَکُمُ السَّمۡعَ وَ الۡاَبۡصَارَ وَ الۡاَفۡـِٕدَۃَ ؕ قَلِیۡلًا مَّا تَشۡکُرُوۡنَ
৭৮. অনুবাদ: আর তিনিই তোমাদের জন্য কান, চোখসমূহ ও অন্তরসমূহ সৃষ্টি করেছেন; তোমরা কমই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।

79 ৭৯
وَ هُوَ الَّذِیۡ ذَرَاَکُمۡ فِی الۡاَرۡضِ وَ اِلَیۡهِ تُحۡشَرُوۡنَ
وَ هُوَ الَّذِیۡ ذَرَاَکُمۡ فِی الۡاَرۡضِ وَ اِلَیۡهِ تُحۡشَرُوۡنَ
৭৯. অনুবাদ: আর তিনিই পৃথিবীতে তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন এবং তোমাদেরকে তাঁরই কাছে একত্র করা হবে।

80 ৮০
وَ هُوَ الَّذِیۡ یُحۡیٖ وَ یُمِیۡتُ وَ لَهُ اخۡتِلَافُ الَّیۡلِ وَ النَّهَارِ ؕ اَفَلَا تَعۡقِلُوۡنَ
وَ هُوَ الَّذِیۡ یُحۡیٖ وَ یُمِیۡتُ وَ لَهُ اخۡتِلَافُ الَّیۡلِ وَ النَّهَارِ ؕ اَفَلَا تَعۡقِلُوۡنَ
৮০. অনুবাদ: আর তিনিই জীবন দেন ও মৃত্যু দেন এবং রাত ও দিনের পরিবর্তন তাঁরই অধিকারে। তবুও কি তোমরা বুঝবে না?

81 ৮১
بَلۡ قَالُوۡا مِثۡلَ مَا قَالَ الۡاَوَّلُوۡنَ
بَلۡ قَالُوۡا مِثۡلَ مَا قَالَ الۡاَوَّلُوۡنَ
৮১. অনুবাদ: বরং তারা তাই বলে যেমনটি পূর্ববর্তীরা বলত।

82 ৮২
قَالُوۡۤا ءَ اِذَا مِتۡنَا وَ کُنَّا تُرَابًا وَّ عِظَامًا ءَ اِنَّا لَمَبۡعُوۡثُوۡنَ
قَالُوۡۤا ءَ اِذَا مِتۡنَا وَ کُنَّا تُرَابًا وَّ عِظَامًا ءَ اِنَّا لَمَبۡعُوۡثُوۡنَ
৮২. অনুবাদ: তারা বলে, যখন আমরা মরে যাব এবং আমরা মাটি ও হাড়ে পরিণত হব তখনও কি আমরা পুনরুত্থিত হব?

83 ৮৩
لَقَدۡ وُعِدۡنَا نَحۡنُ وَ اٰبَآؤُنَا هٰذَا مِنۡ قَبۡلُ اِنۡ هٰذَاۤ اِلَّاۤ اَسَاطِیۡرُ الۡاَوَّلِیۡنَ
لَقَدۡ وُعِدۡنَا نَحۡنُ وَ اٰبَآؤُنَا هٰذَا مِنۡ قَبۡلُ اِنۡ هٰذَاۤ اِلَّاۤ اَسَاطِیۡرُ الۡاَوَّلِیۡنَ
৮৩. অনুবাদ: অবশ্যই আমাদেরকে ও ইতঃপূর্বে আমাদের পিতৃপুরুষদেরকে এই ওয়াদা দেয়া হয়েছিল। এসব কেবল পুরান কালের উপাখ্যান ছাড়া আর কিছু না।

84 ৮৪
قُلۡ لِّمَنِ الۡاَرۡضُ وَ مَنۡ فِیۡهَاۤ اِنۡ کُنۡتُمۡ تَعۡلَمُوۡنَ
قُلۡ لِّمَنِ الۡاَرۡضُ وَ مَنۡ فِیۡهَاۤ اِنۡ کُنۡتُمۡ تَعۡلَمُوۡنَ
৮৪. অনুবাদ: বল, ‘তোমরা যদি জান তবে বল, ‘এ যমীন ও এতে যারা আছে তারা কার?’

85 ৮৫
سَیَقُوۡلُوۡنَ لِلّٰهِ ؕ قُلۡ اَفَلَا تَذَکَّرُوۡنَ
سَیَقُوۡلُوۡنَ لِلّٰهِ ؕ قُلۡ اَفَلَا تَذَکَّرُوۡنَ
৮৫. অনুবাদ: অচিরেই তারা বলবে, ‘আল্লাহর’। বল, ‘তবুও কি তোমরা উপদেশ গ্রহণ করবে না?’

86 ৮৬
قُلۡ مَنۡ رَّبُّ السَّمٰوٰتِ السَّبۡعِ وَ رَبُّ الۡعَرۡشِ الۡعَظِیۡمِ
قُلۡ مَنۡ رَّبُّ السَّمٰوٰتِ السَّبۡعِ وَ رَبُّ الۡعَرۡشِ الۡعَظِیۡمِ
৮৬. অনুবাদ: বল, ‘কে সাত আসমানের রব এবং মহা আরশের রব’?

87 ৮৭
سَیَقُوۡلُوۡنَ لِلّٰهِ ؕ قُلۡ اَفَلَا تَتَّقُوۡنَ
سَیَقُوۡلُوۡنَ لِلّٰهِ ؕ قُلۡ اَفَلَا تَتَّقُوۡنَ
৮৭. অনুবাদ: তারা বলবে, ‘আল্লাহ।’ বল, ‘তবুও কি তোমরা তাকওয়া অবলম্বন করবে না?’

88 ৮৮
قُلۡ مَنۡۢ بِیَدِهٖ مَلَکُوۡتُ کُلِّ شَیۡءٍ وَّ هُوَ یُجِیۡرُ وَ لَا یُجَارُ عَلَیۡهِ اِنۡ کُنۡتُمۡ تَعۡلَمُوۡنَ
قُلۡ مَنۡۢ بِیَدِهٖ مَلَکُوۡتُ کُلِّ شَیۡءٍ وَّ هُوَ یُجِیۡرُ وَ لَا یُجَارُ عَلَیۡهِ اِنۡ کُنۡتُمۡ تَعۡلَمُوۡنَ
৮৮. অনুবাদ: বল, ‘তিনি কে যার হাতে সকল কিছুর কর্তৃত্ব, যিনি আশ্রয় দান করেন এবং যাঁর ওপর কোন আশ্রয়দাতা নেই?’ যদি তোমরা জান।

89 ৮৯
سَیَقُوۡلُوۡنَ لِلّٰهِ ؕ قُلۡ فَاَنّٰی تُسۡحَرُوۡنَ
سَیَقُوۡلُوۡنَ لِلّٰهِ ؕ قُلۡ فَاَنّٰی تُسۡحَرُوۡنَ
৮৯. অনুবাদ: তারা বলবে, ‘আল্লাহ।’ বল, ‘তবুও কীভাবে তোমরা মোহাচ্ছন্ন হয়ে আছ?’

90 ৯০
بَلۡ اَتَیۡنٰهُمۡ بِالۡحَقِّ وَ اِنَّهُمۡ لَکٰذِبُوۡنَ
بَلۡ اَتَیۡنٰهُمۡ بِالۡحَقِّ وَ اِنَّهُمۡ لَکٰذِبُوۡنَ
৯০. অনুবাদ: বরং আমি তাদের কাছে সত্য পৌঁছিয়েছি, আর নিশ্চয় তারা মিথ্যাবাদী।

91 ৯১
مَا اتَّخَذَ اللّٰهُ مِنۡ وَّلَدٍ وَّ مَا کَانَ مَعَهٗ مِنۡ اِلٰهٍ اِذًا لَّذَهَبَ کُلُّ اِلٰهٍۭ بِمَا خَلَقَ وَ لَعَلَا بَعۡضُهُمۡ عَلٰی بَعۡضٍ ؕ سُبۡحٰنَ اللّٰهِ عَمَّا یَصِفُوۡنَ
مَا اتَّخَذَ اللّٰهُ مِنۡ وَّلَدٍ وَّ مَا کَانَ مَعَهٗ مِنۡ اِلٰهٍ اِذًا لَّذَهَبَ کُلُّ اِلٰهٍۭ بِمَا خَلَقَ وَ لَعَلَا بَعۡضُهُمۡ عَلٰی بَعۡضٍ ؕ سُبۡحٰنَ اللّٰهِ عَمَّا یَصِفُوۡنَ
৯১. অনুবাদ: আল্লাহ কোন সন্তান গ্রহণ করেননি, তাঁর সাথে অন্য কোন ইলাহও নেই। (যদি থাকত) তবে প্রত্যেক ইলাহ নিজের সৃষ্টিকে নিয়ে পৃথক হয়ে যেত এবং একে অন্যের উপর প্রাধান্য বিস্তার করত; তারা যা বর্ণনা করে তা থেকে আল্লাহ কত পবিত্র!

92 ৯২
عٰلِمِ الۡغَیۡبِ وَ الشَّهَادَۃِ فَتَعٰلٰی عَمَّا یُشۡرِکُوۡنَ
عٰلِمِ الۡغَیۡبِ وَ الشَّهَادَۃِ فَتَعٰلٰی عَمَّا یُشۡرِکُوۡنَ
৯২. অনুবাদ: তিনি গায়েব ও উপস্থিতের জ্ঞানী, তারা যা শরীক করে তিনি তার ঊর্ধ্বে।

93 ৯৩
قُلۡ رَّبِّ اِمَّا تُرِیَنِّیۡ مَا یُوۡعَدُوۡنَ
قُلۡ رَّبِّ اِمَّا تُرِیَنِّیۡ مَا یُوۡعَدُوۡنَ
৯৩. অনুবাদ: বল, ‘হে আমার রব, যে বিষয়ে তাদেরকে ওয়াদা দেয়া হচ্ছে তা যদি আমাকে দেখাতে চান,

94 ৯৪
رَبِّ فَلَا تَجۡعَلۡنِیۡ فِی الۡقَوۡمِ الظّٰلِمِیۡنَ
رَبِّ فَلَا تَجۡعَلۡنِیۡ فِی الۡقَوۡمِ الظّٰلِمِیۡنَ
৯৪. অনুবাদ: ‘হে আমার রব, তাহলে আমাকে যালিম সম্প্রদায়ভুক্ত করবেন না।’

95 ৯৫
وَ اِنَّا عَلٰۤی اَنۡ نُّرِیَکَ مَا نَعِدُهُمۡ لَقٰدِرُوۡنَ
وَ اِنَّا عَلٰۤی اَنۡ نُّرِیَکَ مَا نَعِدُهُمۡ لَقٰدِرُوۡنَ
৯৫. অনুবাদ: আর যে বিষয়ে আমি তাদেরকে ওয়াদা দিয়েছি, অবশ্যই আমি তা তোমাকে দেখাতে সক্ষম।

96 ৯৬
اِدۡفَعۡ بِالَّتِیۡ هِیَ اَحۡسَنُ السَّیِّئَۃَ ؕ نَحۡنُ اَعۡلَمُ بِمَا یَصِفُوۡنَ
اِدۡفَعۡ بِالَّتِیۡ هِیَ اَحۡسَنُ السَّیِّئَۃَ ؕ نَحۡنُ اَعۡلَمُ بِمَا یَصِفُوۡنَ
৯৬. অনুবাদ: যা উত্তম তা দিয়ে মন্দ প্রতিহত কর; তারা যা বলে আমি তা সম্পর্কে অধিক জ্ঞানী।

97 ৯৭
وَ قُلۡ رَّبِّ اَعُوۡذُ بِکَ مِنۡ هَمَزٰتِ الشَّیٰطِیۡنِ
وَ قُلۡ رَّبِّ اَعُوۡذُ بِکَ مِنۡ هَمَزٰتِ الشَّیٰطِیۡنِ
৯৭. অনুবাদ: আর বল, ‘হে আমার রব, আমি শয়তানের প্ররোচনা থেকে আপনার কাছে পানাহ চাই’।

98 ৯৮
وَ اَعُوۡذُ بِکَ رَبِّ اَنۡ یَّحۡضُرُوۡنِ
وَ اَعُوۡذُ بِکَ رَبِّ اَنۡ یَّحۡضُرُوۡنِ
৯৮. অনুবাদ: আর হে আমার রব, আমার কাছে তাদের উপস্থিতি হতে আপনার কাছে পানাহ চাই।’

99 ৯৯
حَتّٰۤی اِذَا جَآءَ اَحَدَهُمُ الۡمَوۡتُ قَالَ رَبِّ ارۡجِعُوۡنِ
حَتّٰۤی اِذَا جَآءَ اَحَدَهُمُ الۡمَوۡتُ قَالَ رَبِّ ارۡجِعُوۡنِ
৯৯. অনুবাদ: অবশেষে যখন তাদের কারো মৃত্যু আসে, সে বলে, ‘হে আমার রব, আমাকে ফেরত পাঠান,

100 ১০০
لَعَلِّیۡۤ اَعۡمَلُ صَالِحًا فِیۡمَا تَرَکۡتُ کَلَّا ؕ اِنَّهَا کَلِمَۃٌ هُوَ قَآئِلُهَا ؕ وَ مِنۡ وَّرَآئِهِمۡ بَرۡزَخٌ اِلٰی یَوۡمِ یُبۡعَثُوۡنَ
لَعَلِّیۡۤ اَعۡمَلُ صَالِحًا فِیۡمَا تَرَکۡتُ کَلَّا ؕ اِنَّهَا کَلِمَۃٌ هُوَ قَآئِلُهَا ؕ وَ مِنۡ وَّرَآئِهِمۡ بَرۡزَخٌ اِلٰی یَوۡمِ یُبۡعَثُوۡنَ
১০০. অনুবাদ: যেন আমি সৎকাজ করতে পারি যা আমি ছেড়ে দিয়েছিলাম।’ কখনো নয়, এটি একটি বাক্য যা সে বলবে। যেদিন তাদেরকে পুনরুত্থিত করা হবে সেদিন পর্যন্ত তাদের সামনে থাকবে বরযখ।

101 ১০১
فَاِذَا نُفِخَ فِی الصُّوۡرِ فَلَاۤ اَنۡسَابَ بَیۡنَهُمۡ یَوۡمَئِذٍ وَّ لَا یَتَسَآءَلُوۡنَ
فَاِذَا نُفِخَ فِی الصُّوۡرِ فَلَاۤ اَنۡسَابَ بَیۡنَهُمۡ یَوۡمَئِذٍ وَّ لَا یَتَسَآءَلُوۡنَ
১০১. অনুবাদ: অতঃপর যেদিন শিঙ্গায় ফুঁক দেয়া হবে সেদিন তাদের মাঝে কোন আত্মীয়তার বন্ধন থাকবে না, কেউ কারো বিষয়ে জানতে চাইবে না।

102 ১০২
فَمَنۡ ثَقُلَتۡ مَوَازِیۡنُهٗ فَاُولٰٓئِکَ هُمُ الۡمُفۡلِحُوۡنَ
فَمَنۡ ثَقُلَتۡ مَوَازِیۡنُهٗ فَاُولٰٓئِکَ هُمُ الۡمُفۡلِحُوۡنَ
১০২. অনুবাদ: অতঃপর যাদের পাল্লা ভারী হবে তারাই হবে সফলকাম।

103 ১০৩
وَ مَنۡ خَفَّتۡ مَوَازِیۡنُهٗ فَاُولٰٓئِکَ الَّذِیۡنَ خَسِرُوۡۤا اَنۡفُسَهُمۡ فِیۡ جَهَنَّمَ خٰلِدُوۡنَ
وَ مَنۡ خَفَّتۡ مَوَازِیۡنُهٗ فَاُولٰٓئِکَ الَّذِیۡنَ خَسِرُوۡۤا اَنۡفُسَهُمۡ فِیۡ جَهَنَّمَ خٰلِدُوۡنَ
১০৩. অনুবাদ: আর যাদের পাল্লা হালকা হবে তারাই নিজদের ক্ষতি করল; জাহান্নামে তারা হবে স্থায়ী।

104 ১০৪
تَلۡفَحُ وُجُوۡهَهُمُ النَّارُ وَ هُمۡ فِیۡهَا کٰلِحُوۡنَ
تَلۡفَحُ وُجُوۡهَهُمُ النَّارُ وَ هُمۡ فِیۡهَا کٰلِحُوۡنَ
১০৪. অনুবাদ: আগুন তাদের চেহারা দগ্ধ করবে, সেখানে তারা হবে বীভৎস চেহারাবিশিষ্ট।

105 ১০৫
اَلَمۡ تَکُنۡ اٰیٰتِیۡ تُتۡلٰی عَلَیۡکُمۡ فَکُنۡتُمۡ بِهَا تُکَذِّبُوۡنَ
اَلَمۡ تَکُنۡ اٰیٰتِیۡ تُتۡلٰی عَلَیۡکُمۡ فَکُنۡتُمۡ بِهَا تُکَذِّبُوۡنَ
১০৫. অনুবাদ: ‘আমার আয়াতসমূহ কি তোমাদের কাছে পাঠ করা হত না?’ তারপর তোমরা তা অস্বীকার করতে’।

106 ১০৬
قَالُوۡا رَبَّنَا غَلَبَتۡ عَلَیۡنَا شِقۡوَتُنَا وَ کُنَّا قَوۡمًا ضَآلِّیۡنَ
قَالُوۡا رَبَّنَا غَلَبَتۡ عَلَیۡنَا شِقۡوَتُنَا وَ کُنَّا قَوۡمًا ضَآلِّیۡنَ
১০৬. অনুবাদ: তারা বলবে, ‘হে আমাদের রব, দুর্ভাগ্য আমাদেরকে পেয়ে বসেছিল, আর আমরা ছিলাম পথভ্রষ্ট’।

107 ১০৭
رَبَّنَاۤ اَخۡرِجۡنَا مِنۡهَا فَاِنۡ عُدۡنَا فَاِنَّا ظٰلِمُوۡنَ
رَبَّنَاۤ اَخۡرِجۡنَا مِنۡهَا فَاِنۡ عُدۡنَا فَاِنَّا ظٰلِمُوۡنَ
১০৭. অনুবাদ: ‘হে আমাদের রব, এ থেকে আমাদেরকে বের করে দিন, তারপর যদি আমরা আবার তা করি তবে অবশ্যই আমরা হব যালিম।’

108 ১০৮
قَالَ اخۡسَـُٔوۡا فِیۡهَا وَ لَا تُکَلِّمُوۡنِ
قَالَ اخۡسَـُٔوۡا فِیۡهَا وَ لَا تُکَلِّمُوۡنِ
১০৮. অনুবাদ: আল্লাহ বলবেন, ‘তোমরা ধিকৃত অবস্থায় এখানেই থাক, আর আমার সাথে কথা বলো না।’

109 ১০৯
اِنَّهٗ کَانَ فَرِیۡقٌ مِّنۡ عِبَادِیۡ یَقُوۡلُوۡنَ رَبَّنَاۤ اٰمَنَّا فَاغۡفِرۡ لَنَا وَ ارۡحَمۡنَا وَ اَنۡتَ خَیۡرُ الرّٰحِمِیۡنَ
اِنَّهٗ کَانَ فَرِیۡقٌ مِّنۡ عِبَادِیۡ یَقُوۡلُوۡنَ رَبَّنَاۤ اٰمَنَّا فَاغۡفِرۡ لَنَا وَ ارۡحَمۡنَا وَ اَنۡتَ خَیۡرُ الرّٰحِمِیۡنَ
১০৯. অনুবাদ: আমার বান্দাদের একদল ছিল যারা বলত, ‘হে আমাদের রব, আমরা ঈমান এনেছি, অতএব আমাদেরকে ক্ষমা ও দয়া করুন, আর আপনি সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু।’

110 ১১০
فَاتَّخَذۡتُمُوۡهُمۡ سِخۡرِیًّا حَتّٰۤی اَنۡسَوۡکُمۡ ذِکۡرِیۡ وَ کُنۡتُمۡ مِّنۡهُمۡ تَضۡحَکُوۡنَ
فَاتَّخَذۡتُمُوۡهُمۡ سِخۡرِیًّا حَتّٰۤی اَنۡسَوۡکُمۡ ذِکۡرِیۡ وَ کُنۡتُمۡ مِّنۡهُمۡ تَضۡحَکُوۡنَ
১১০. অনুবাদ: ‘তারপর তাদেরকে নিয়ে তোমরা ঠাট্টা করতে। অবশেষে তা তোমাদেরকে আমার স্মরণ ভুলিয়ে দিয়েছিল। আর তোমরা তাদের নিয়ে হাসি-তামাশা করতে।’

111 ১১১
اِنِّیۡ جَزَیۡتُهُمُ الۡیَوۡمَ بِمَا صَبَرُوۡۤا ۙ اَنَّهُمۡ هُمُ الۡفَآئِزُوۡنَ
اِنِّیۡ جَزَیۡتُهُمُ الۡیَوۡمَ بِمَا صَبَرُوۡۤا ۙ اَنَّهُمۡ هُمُ الۡفَآئِزُوۡنَ
১১১. অনুবাদ: নিশ্চয় আমি তাদের ধৈর্যের কারণে আজ তাদেরকে পুরস্কৃত করলাম; নিশ্চয় তারাই হল সফলকাম।

112 ১১২
قٰلَ کَمۡ لَبِثۡتُمۡ فِی الۡاَرۡضِ عَدَدَ سِنِیۡنَ
قٰلَ کَمۡ لَبِثۡتُمۡ فِی الۡاَرۡضِ عَدَدَ سِنِیۡنَ
১১২. অনুবাদ: আল্লাহ বলবেন, ‘বছরের হিসাবে তোমরা যমীনে কত সময় অবস্থান করেছিলে?’

113 ১১৩
قَالُوۡا لَبِثۡنَا یَوۡمًا اَوۡ بَعۡضَ یَوۡمٍ فَسۡـَٔلِ الۡعَآدِّیۡنَ
قَالُوۡا لَبِثۡنَا یَوۡمًا اَوۡ بَعۡضَ یَوۡمٍ فَسۡـَٔلِ الۡعَآدِّیۡنَ
১১৩. অনুবাদ: তারা বলবে, ‘আমরা একদিন বা দিনের কিছু অংশ অবস্থান করেছি; সুতরাং আপনি গণনাকারীদেরকে জিজ্ঞাসা করুন।’

114 ১১৪
قٰلَ اِنۡ لَّبِثۡتُمۡ اِلَّا قَلِیۡلًا لَّوۡ اَنَّکُمۡ کُنۡتُمۡ تَعۡلَمُوۡنَ
قٰلَ اِنۡ لَّبِثۡتُمۡ اِلَّا قَلِیۡلًا لَّوۡ اَنَّکُمۡ کُنۡتُمۡ تَعۡلَمُوۡنَ
১১৪. অনুবাদ: তিনি বলবেন, ‘তোমরা কেবল অল্পকালই অবস্থান করেছিলে, তোমরা যদি নিশ্চিত জানতে!’

115 ১১৫
اَفَحَسِبۡتُمۡ اَنَّمَا خَلَقۡنٰکُمۡ عَبَثًا وَّ اَنَّکُمۡ اِلَیۡنَا لَا تُرۡجَعُوۡنَ
اَفَحَسِبۡتُمۡ اَنَّمَا خَلَقۡنٰکُمۡ عَبَثًا وَّ اَنَّکُمۡ اِلَیۡنَا لَا تُرۡجَعُوۡنَ
১১৫. অনুবাদ: ‘তোমরা কি মনে করেছিলে যে, আমি তোমাদেরকে কেবল অনর্থক সৃষ্টি করেছি এবং তোমরা আমার দিকে প্রত্যাবর্তিত হবে না’?

116 ১১৬
فَتَعٰلَی اللّٰهُ الۡمَلِکُ الۡحَقُّ ۚ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ ۚ رَبُّ الۡعَرۡشِ الۡکَرِیۡمِ
فَتَعٰلَی اللّٰهُ الۡمَلِکُ الۡحَقُّ ۚ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ ۚ رَبُّ الۡعَرۡشِ الۡکَرِیۡمِ
১১৬. অনুবাদ: সুতরাং সত্যিকারের মালিক আল্লাহ মহিমান্বিত, তিনি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই; তিনি সম্মানিত ‘আরশের রব।

117 ১১৭
وَ مَنۡ یَّدۡعُ مَعَ اللّٰهِ اِلٰـهًا اٰخَرَ ۙ لَا بُرۡهَانَ لَهٗ بِهٖ ۙ فَاِنَّمَا حِسَابُهٗ عِنۡدَ رَبِّهٖ ؕ اِنَّهٗ لَا یُفۡلِحُ الۡکٰفِرُوۡنَ
وَ مَنۡ یَّدۡعُ مَعَ اللّٰهِ اِلٰـهًا اٰخَرَ ۙ لَا بُرۡهَانَ لَهٗ بِهٖ ۙ فَاِنَّمَا حِسَابُهٗ عِنۡدَ رَبِّهٖ ؕ اِنَّهٗ لَا یُفۡلِحُ الۡکٰفِرُوۡنَ
১১৭. অনুবাদ: আর যে আল্লাহর সাথে অন্য ইলাহকে ডাকে, যে বিষয়ে তার কাছে প্রমাণ নেই; তার হিসাব কেবল তার রবের কাছে। নিশ্চয় কাফিররা সফলকাম হবে না।

118 ১১৮
وَ قُلۡ رَّبِّ اغۡفِرۡ وَ ارۡحَمۡ وَ اَنۡتَ خَیۡرُ الرّٰحِمِیۡنَ
وَ قُلۡ رَّبِّ اغۡفِرۡ وَ ارۡحَمۡ وَ اَنۡتَ خَیۡرُ الرّٰحِمِیۡنَ
১১৮. অনুবাদ: আর বল, ‘হে আমাদের রব, আপনি ক্ষমা করুন, দয়া করুন এবং আপনিই সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু।’

কপিরাইট
আমাদের সকল কন্টেন্ট কপিরাইট সংরক্ষিত
ডেভলোপারঃ মুহিব্বুল্লাহ
গোপনীয়তা নীতি

প্রিয় পাঠক
আমাদের সকল প্রজেক্টসমূহ সম্পূর্ণ ব্যাক্তি উদ্যোগে পরিচালিত, আপনাদের দোয়া ও সহযোগিতা দ্বীনের এই কাজকে আরও প্রসারিত করবে ইন-শা-আল্লাহ।