সূরা তালিকা


1 ১ আল-ফাতিহা Al-Fatiha الفاتحة
১. আল-ফাতিহা
মাক্কী
الفاتحة
আয়াত: ৭
2 ২ আল-বাকারা Al-Baqara البقرة
২. আল-বাকারা
মাদানী
البقرة
আয়াত: ২৮৬
3 ৩ আলে-ইমরান Al-i-Imran آل عمران
৩. আলে-ইমরান
মাদানী
آل عمران
আয়াত: ২০০
4 ৪ আন-নিসা An-Nisa النساء
৪. আন-নিসা
মাদানী
النساء
আয়াত: ১৭৬
5 ৫ আল-মায়েদা Al-Maida المائدة
৫. আল-মায়েদা
মাদানী
المائدة
আয়াত: ১২০
6 ৬ আল-আনআম Al-Anam الأنعام
৬. আল-আনআম
মাক্কী
الأنعام
আয়াত: ১৬৫
7 ৭ আল-আরাফ Al-Araf الأعراف
৭. আল-আরাফ
মাক্কী
الأعراف
আয়াত: ২০৬
8 ৮ আল-আনফাল Al-Anfal الأنفال
৮. আল-আনফাল
মাদানী
الأنفال
আয়াত: ৭৫
9 ৯ আত-তাওবা At-Tawba التوبة
৯. আত-তাওবা
মাদানী
التوبة
আয়াত: ১২৯
10 ১০ ইউনুস Yunus يونس
১০. ইউনুস
মাক্কী
يونس
আয়াত: ১০৯
11 ১১ হূদ Hud هود
১১. হূদ
মাক্কী
هود
আয়াত: ১২৩
12 ১২ ইউসুফ Yusuf يوسف
১২. ইউসুফ
মাক্কী
يوسف
আয়াত: ১১১
13 ১৩ আর-রাদ Ar-Rad الرعد
১৩. আর-রাদ
মাদানী
الرعد
আয়াত: ৪৩
14 ১৪ ইবরাহীম Ibrahim ابراهيم
১৪. ইবরাহীম
মাক্কী
ابراهيم
আয়াত: ৫২
15 ১৫ আল-হিজর Al-Hijr الحجر
১৫. আল-হিজর
মাক্কী
الحجر
আয়াত: ৯৯
16 ১৬ আন-নাহাল An-Nahl النحل
১৬. আন-নাহাল
মাক্কী
النحل
আয়াত: ১২৮
17 ১৭ আল-ইসরা (বনী-ইসরাঈল) Al-Isra الإسراء
১৭. আল-ইসরা (বনী-ইসরাঈল)
মাক্কী
الإسراء
আয়াত: ১১১
18 ১৮ আল-কাহফ Al-Kahf الكهف
১৮. আল-কাহফ
মাক্কী
الكهف
আয়াত: ১১০
19 ১৯ মারইয়াম Maryam مريم
১৯. মারইয়াম
মাক্কী
مريم
আয়াত: ৯৮
20 ২০ ত্ব-হা Ta-Ha طه
২০. ত্ব-হা
মাক্কী
طه
আয়াত: ১৩৫
21 ২১ আল-আম্বিয়া Al-Anbiya الأنبياء
২১. আল-আম্বিয়া
মাক্কী
الأنبياء
আয়াত: ১১২
22 ২২ আল-হজ্জ Al-Hajj الحج
২২. আল-হজ্জ
মাদানী
الحج
আয়াত: ৭৮
23 ২৩ আল-মুমিনুন Al-Muminun المؤمنون
২৩. আল-মুমিনুন
মাক্কী
المؤمنون
আয়াত: ১১৮
24 ২৪ আন-নূর An-Nur النور
২৪. আন-নূর
মাদানী
النور
আয়াত: ৬৪
25 ২৫ আল-ফুরকান Al-Furqan الفرقان
২৫. আল-ফুরকান
মাক্কী
الفرقان
আয়াত: ৭৭
26 ২৬ আশ-শুআরা Ash-Shuara الشعراء
২৬. আশ-শুআরা
মাক্কী
الشعراء
আয়াত: ২২৭
27 ২৭ আন-নামাল An-Naml النمل
২৭. আন-নামাল
মাক্কী
النمل
আয়াত: ৯৩
28 ২৮ আল-কাসাস Al-Qasas القصص
২৮. আল-কাসাস
মাক্কী
القصص
আয়াত: ৮৮
29 ২৯ আল-আনকাবূত Al-Ankabut العنكبوت
২৯. আল-আনকাবূত
মাক্কী
العنكبوت
আয়াত: ৬৯
30 ৩০ আর-রুম Ar-Rum الروم
৩০. আর-রুম
মাক্কী
الروم
আয়াত: ৬০
31 ৩১ লুকমান Luqman لقمان
৩১. লুকমান
মাক্কী
لقمان
আয়াত: ৩৪
32 ৩২ আস-সাজদাহ As-Sajda السجدة
৩২. আস-সাজদাহ
মাক্কী
السجدة
আয়াত: ৩০
33 ৩৩ আল-আহযাব Al-Ahzab الأحزاب
৩৩. আল-আহযাব
মাদানী
الأحزاب
আয়াত: ৭৩
34 ৩৪ সাবা Saba سبإ
৩৪. সাবা
মাক্কী
سبإ
আয়াত: ৫৪
35 ৩৫ ফাতির Fatir فاطر
৩৫. ফাতির
মাক্কী
فاطر
আয়াত: ৪৫
36 ৩৬ ইয়াসীন Ya-Sin يس
৩৬. ইয়াসীন
মাক্কী
يس
আয়াত: ৮৩
37 ৩৭ আস-সাফফাত As-Saffat الصافات
৩৭. আস-সাফফাত
মাক্কী
الصافات
আয়াত: ১৮২
38 ৩৮ সোয়াদ Ṣād ص
৩৮. সোয়াদ
মাক্কী
ص
আয়াত: ৮৮
39 ৩৯ আয-যুমার Az-Zumar الزمر
৩৯. আয-যুমার
মাক্কী
الزمر
আয়াত: ৭৫
40 ৪০ গাফির (আল মুমিন) Ghafir غافر
৪০. গাফির (আল মুমিন)
মাক্কী
غافر
আয়াত: ৮৫
41 ৪১ হা-মীম আস-সাজদা (ফুসসিলাত) Fussilat فصلت
৪১. হা-মীম আস-সাজদা (ফুসসিলাত)
মাক্কী
فصلت
আয়াত: ৫৪
42 ৪২ আশ-শূরা Ash-Shura الشورى
৪২. আশ-শূরা
মাক্কী
الشورى
আয়াত: ৫৩
43 ৪৩ আয-যুখরুফ Az-Zukhruf الزخرف
৪৩. আয-যুখরুফ
মাক্কী
الزخرف
আয়াত: ৮৯
44 ৪৪ আদ-দুখান Ad-Dukhan الدخان
৪৪. আদ-দুখান
মাক্কী
الدخان
আয়াত: ৫৯
45 ৪৫ আল-জাসিয়া Al-Jathiya الجاثية
৪৫. আল-জাসিয়া
মাক্কী
الجاثية
আয়াত: ৩৭
46 ৪৬ আল-আহকাফ Al-Ahqaf الأحقاف
৪৬. আল-আহকাফ
মাক্কী
الأحقاف
আয়াত: ৩৫
47 ৪৭ মুহাম্মাদ Muhammad محمد
৪৭. মুহাম্মাদ
মাদানী
محمد
আয়াত: ৩৮
48 ৪৮ আল-ফাতহ Al-Fath الفتح
৪৮. আল-ফাতহ
মাদানী
الفتح
আয়াত: ২৯
49 ৪৯ আল-হুজুরাত Al-Hujurat الحجرات
৪৯. আল-হুজুরাত
মাদানী
الحجرات
আয়াত: ১৮
50 ৫০ কাফ Qaf ق
৫০. কাফ
মাক্কী
ق
আয়াত: ৪৫
51 ৫১ আয-যারিয়াত Adh-Dhariyat سورة الذاريات
৫১. আয-যারিয়াত
মাক্কী
سورة الذاريات
আয়াত: ৬০
52 ৫২ আত-তূর At-Tur الطور
৫২. আত-তূর
মাক্কী
الطور
আয়াত: ৪৯
53 ৫৩ আন-নাজম An-Najm النجم
৫৩. আন-নাজম
মাক্কী
النجم
আয়াত: ৬২
54 ৫৪ আল-কামার Al-Qamar القمر
৫৪. আল-কামার
মাক্কী
القمر
আয়াত: ৫৫
55 ৫৫ আর-রাহমান Ar-Rahman الرحمن
৫৫. আর-রাহমান
মাদানী
الرحمن
আয়াত: ৭৮
56 ৫৬ আল-ওয়াকিয়া Al-Waqia الواقعة
৫৬. আল-ওয়াকিয়া
মাক্কী
الواقعة
আয়াত: ৯৬
57 ৫৭ আল-হাদীদ Al-Hadid الحديد
৫৭. আল-হাদীদ
মাদানী
الحديد
আয়াত: ২৯
58 ৫৮ আল-মুজাদালা Al-Mujadila المجادلة
৫৮. আল-মুজাদালা
মাদানী
المجادلة
আয়াত: ২২
59 ৫৯ আল-হাশর Al-Hashr الحشر
৫৯. আল-হাশর
মাদানী
الحشر
আয়াত: ২৪
60 ৬০ আল-মুমতাহিনা Al-Mumtahina الممتحنة
৬০. আল-মুমতাহিনা
মাদানী
الممتحنة
আয়াত: ১৩
61 ৬১ আস-সফ As-Saff الصف
৬১. আস-সফ
মাদানী
الصف
আয়াত: ১৪
62 ৬২ আল-জুমুআ Al-Jumua الجمعة
৬২. আল-জুমুআ
মাদানী
الجمعة
আয়াত: ১১
63 ৬৩ আল-মুনাফিকূন Al-Munafiqun المنافقون
৬৩. আল-মুনাফিকূন
মাদানী
المنافقون
আয়াত: ১১
64 ৬৪ আত-তাগাবুন At-Taghabun التغابن
৬৪. আত-তাগাবুন
মাদানী
التغابن
আয়াত: ১৮
65 ৬৫ আত-ত্বলাক্ব At-Talaq الطلاق
৬৫. আত-ত্বলাক্ব
মাদানী
الطلاق
আয়াত: ১২
66 ৬৬ আত-তাহরীম At-Tahrim التحريم
৬৬. আত-তাহরীম
মাদানী
التحريم
আয়াত: ১২
67 ৬৭ আল-মুলক Al-Mulk الملك
৬৭. আল-মুলক
মাক্কী
الملك
আয়াত: ৩০
68 ৬৮ আল-কলম Al-Qalam القلم
৬৮. আল-কলম
মাক্কী
القلم
আয়াত: ৫২
69 ৬৯ আল-হাক্কাহ Al-Haqqa الحاقة
৬৯. আল-হাক্কাহ
মাক্কী
الحاقة
আয়াত: ৫২
70 ৭০ আল-মাআরিজ Al-Maarij المعارج
৭০. আল-মাআরিজ
মাক্কী
المعارج
আয়াত: ৪৪
71 ৭১ নূহ Nuh نوح
৭১. নূহ
মাক্কী
نوح
আয়াত: ২৮
72 ৭২ আল-জ্বিন Al-Jinn الجن
৭২. আল-জ্বিন
মাক্কী
الجن
আয়াত: ২৯
73 ৭৩ আল-মুযযাম্মিল Al-Muzzammil المزمل
৭৩. আল-মুযযাম্মিল
মাক্কী
المزمل
আয়াত: ২০
74 ৭৪ আল-মুদ্দাসসির Al-Muddathir المدثر
৭৪. আল-মুদ্দাসসির
মাক্কী
المدثر
আয়াত: ৫৬
75 ৭৫ আল-ক্বিয়ামাহ Al-Qiyama القيامة
৭৫. আল-ক্বিয়ামাহ
মাক্কী
القيامة
আয়াত: ৪০
76 ৭৬ আল-ইনসান (আদ-দাহর) Al-Insan الانسان
৭৬. আল-ইনসান (আদ-দাহর)
মাদানী
الانسان
আয়াত: ৩১
77 ৭৭ আল-মুরসালাত Al-Mursalat المرسلات
৭৭. আল-মুরসালাত
মাক্কী
المرسلات
আয়াত: ৫০
78 ৭৮ আন-নাবা An-Naba النبإ
৭৮. আন-নাবা
মাক্কী
النبإ
আয়াত: ৪০
79 ৭৯ আন-নাযিআত An-Naziat النازعات
৭৯. আন-নাযিআত
মাক্কী
النازعات
আয়াত: ৪৬
80 ৮০ আবাসা Abasa عبس
৮০. আবাসা
মাক্কী
عبس
আয়াত: ৪২
81 ৮১ আত-তাকভীর At-Takwir التكوير
৮১. আত-তাকভীর
মাক্কী
التكوير
আয়াত: ২৯
82 ৮২ আল-ইনফিতার Al-Infitar الإنفطار
৮২. আল-ইনফিতার
মাক্কী
الإنفطار
আয়াত: ১৯
83 ৮৩ আল-মুতাফফিফীন Al-Mutaffifin المطففين
৮৩. আল-মুতাফফিফীন
মাক্কী
المطففين
আয়াত: ৩৬
84 ৮৪ আল-ইনশিকাক Al-Inshiqaq الإنشقاق
৮৪. আল-ইনশিকাক
মাক্কী
الإنشقاق
আয়াত: ২৫
85 ৮৫ আল-বুরুজ Al-Buruj البروج
৮৫. আল-বুরুজ
মাক্কী
البروج
আয়াত: ২২
86 ৮৬ আত-তারিক At-Tariq الطارق
৮৬. আত-তারিক
মাক্কী
الطارق
আয়াত: ১৭
87 ৮৭ আল-আলা Al-Ala الأعلى
৮৭. আল-আলা
মাক্কী
الأعلى
আয়াত: ১৯
88 ৮৮ আল-গাশিয়া Al-Ghashiya الغاشية
৮৮. আল-গাশিয়া
মাক্কী
الغاشية
আয়াত: ২৬
89 ৮৯ আল-ফাজর Al-Fajr الفجر
৮৯. আল-ফাজর
মাক্কী
الفجر
আয়াত: ৩০
90 ৯০ আল-বালাদ Al-Balad البلد
৯০. আল-বালাদ
মাক্কী
البلد
আয়াত: ২০
91 ৯১ আশ-শামস Ash-Shams الشمس
৯১. আশ-শামস
মাক্কী
الشمس
আয়াত: ১৫
92 ৯২ আল-লাইল Al-Lail الليل
৯২. আল-লাইল
মাক্কী
الليل
আয়াত: ২১
93 ৯৩ আদ-দুহা Ad-Dhuha الضحى
৯৩. আদ-দুহা
মাক্কী
الضحى
আয়াত: ১১
94 ৯৪ আল-ইনশিরাহ Ash-Sharh الشرح
৯৪. আল-ইনশিরাহ
মাক্কী
الشرح
আয়াত: ৮
95 ৯৫ আত-ত্বীন At-Tin التين
৯৫. আত-ত্বীন
মাক্কী
التين
আয়াত: ৮
96 ৯৬ আল-আলাক Al-Alaq العلق
৯৬. আল-আলাক
মাক্কী
العلق
আয়াত: ১৯
97 ৯৭ আল-কাদর Al-Qadr القدر
৯৭. আল-কাদর
মাক্কী
القدر
আয়াত: ৫
98 ৯৮ আল-বায়্যিনাহ Al-Bayyina البينة
৯৮. আল-বায়্যিনাহ
মাদানী
البينة
আয়াত: ৮
99 ৯৯ আয-যিলযাল Az-Zalzala الزلزلة
৯৯. আয-যিলযাল
মাদানী
الزلزلة
আয়াত: ৮
100 ১০০ আল-আদিয়াত Al-Adiyat العاديات
১০০. আল-আদিয়াত
মাক্কী
العاديات
আয়াত: ১১
101 ১০১ আল-কারিআ Al-Qaria القارعة
১০১. আল-কারিআ
মাক্কী
القارعة
আয়াত: ১১
102 ১০২ আত-তাকাসুর At-Takathur التكاثر
১০২. আত-তাকাসুর
মাক্কী
التكاثر
আয়াত: ৮
103 ১০৩ আল-আসর Al-Asr العصر
১০৩. আল-আসর
মাক্কী
العصر
আয়াত: ৩
104 ১০৪ আল-হুমাযা Al-Humaza الهمزة
১০৪. আল-হুমাযা
মাক্কী
الهمزة
আয়াত: ৯
105 ১০৫ আল-ফীল Al-Fil الفيل
১০৫. আল-ফীল
মাক্কী
الفيل
আয়াত: ৫
106 ১০৬ আল-কুরাইশ Quraysh قريش
১০৬. আল-কুরাইশ
মাক্কী
قريش
আয়াত: ৪
107 ১০৭ আল-মাঊন Al-Maun الماعون
১০৭. আল-মাঊন
মাক্কী
الماعون
আয়াত: ৭
108 ১০৮ আল-কাউসার Al-Kawthar الكوثر
১০৮. আল-কাউসার
মাক্কী
الكوثر
আয়াত: ৩
109 ১০৯ কাফিরুন Al-Kafirun الكافرون
১০৯. কাফিরুন
মাক্কী
الكافرون
আয়াত: ৬
110 ১১০ আন-নাসর An-Nasr النصر
১১০. আন-নাসর
মাদানী
النصر
আয়াত: ৩
111 ১১১ লাহাব Al-Masad المسد
১১১. লাহাব
মাক্কী
المسد
আয়াত: ৫
112 ১১২ আল-ইখলাস Al-Ikhlas الإخلاص
১১২. আল-ইখলাস
মাক্কী
الإخلاص
আয়াত: ৪
113 ১১৩ আল-ফালাক Al-Falaq الفلق
১১৩. আল-ফালাক
মাক্কী
الفلق
আয়াত: ৫
114 ১১৪ আন-নাস An-Nas الناس
১১৪. আন-নাস
মাক্কী
الناس
আয়াত: ৬
সূরা: ২০, ত্ব-হা - ( طه)
সূরার ধরন: মাক্কী , মোট আয়াত:

1 ১
طٰهٰ
طٰهٰ
১. অনুবাদ: ত্ব-হা

2 ২
مَاۤ اَنۡزَلۡنَا عَلَیۡکَ الۡقُرۡاٰنَ لِتَشۡقٰۤی
مَاۤ اَنۡزَلۡنَا عَلَیۡکَ الۡقُرۡاٰنَ لِتَشۡقٰۤی
২. অনুবাদ: আমি তোমার প্রতি আল-কুরআন এজন্য নাযিল করিনি যে, তুমি দুর্ভোগ পোহাবে

3 ৩
اِلَّا تَذۡکِرَۃً لِّمَنۡ یَّخۡشٰی
اِلَّا تَذۡکِرَۃً لِّمَنۡ یَّخۡشٰی
৩. অনুবাদ: বরং যে ভয় করে তার জন্য উপদেশ স্বরূপ।

4 ৪
تَنۡزِیۡلًا مِّمَّنۡ خَلَقَ الۡاَرۡضَ وَ السَّمٰوٰتِ الۡعُلٰی ؕ
تَنۡزِیۡلًا مِّمَّنۡ خَلَقَ الۡاَرۡضَ وَ السَّمٰوٰتِ الۡعُلٰی ؕ
৪. অনুবাদ: যিনি যমীন ও সুউচ্চ আসমানসমূহ সৃষ্টি করেছেন তাঁর নিকট থেকে অবতীর্ণ।

5 ৫
اَلرَّحۡمٰنُ عَلَی الۡعَرۡشِ اسۡتَوٰی
اَلرَّحۡمٰنُ عَلَی الۡعَرۡشِ اسۡتَوٰی
৫. অনুবাদ: পরম করুণাময় আরশের ওপর উঠেছেন* ।

6 ৬
لَهٗ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَ مَا فِی الۡاَرۡضِ وَ مَا بَیۡنَهُمَا وَ مَا تَحۡتَ الثَّرٰی
لَهٗ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَ مَا فِی الۡاَرۡضِ وَ مَا بَیۡنَهُمَا وَ مَا تَحۡتَ الثَّرٰی
৬. অনুবাদ: যা আছে আসমানসমূহ, যমীন ও এ দু’য়ের মধ্যবর্তী স্থানে এবং যা আছে মাটির নিচে সব তাঁরই।

7 ৭
وَ اِنۡ تَجۡهَرۡ بِالۡقَوۡلِ فَاِنَّهٗ یَعۡلَمُ السِّرَّ وَ اَخۡفٰی
وَ اِنۡ تَجۡهَرۡ بِالۡقَوۡلِ فَاِنَّهٗ یَعۡلَمُ السِّرَّ وَ اَخۡفٰی
৭. অনুবাদ: আর যদি তুমি উচ্চস্বরে কথা বল তবে তিনি গোপন ও অতি গোপন বিষয় জানেন।

8 ৮
اَللّٰهُ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ ؕ لَهُ الۡاَسۡمَآءُ الۡحُسۡنٰی
اَللّٰهُ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ ؕ لَهُ الۡاَسۡمَآءُ الۡحُسۡنٰی
৮. অনুবাদ: আল্লাহ, তিনি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই; সুন্দর নামসমূহ তাঁরই।

9 ৯
وَ هَلۡ اَتٰىکَ حَدِیۡثُ مُوۡسٰی
وَ هَلۡ اَتٰىکَ حَدِیۡثُ مُوۡسٰی
৯. অনুবাদ: আর তোমার কাছে কি মূসার কথা পৌঁছেছে?

10 ১০
اِذۡ رَاٰ نَارًا فَقَالَ لِاَهۡلِهِ امۡکُثُوۡۤا اِنِّیۡۤ اٰنَسۡتُ نَارًا لَّعَلِّیۡۤ اٰتِیۡکُمۡ مِّنۡهَا بِقَبَسٍ اَوۡ اَجِدُ عَلَی النَّارِ هُدًی
اِذۡ رَاٰ نَارًا فَقَالَ لِاَهۡلِهِ امۡکُثُوۡۤا اِنِّیۡۤ اٰنَسۡتُ نَارًا لَّعَلِّیۡۤ اٰتِیۡکُمۡ مِّنۡهَا بِقَبَسٍ اَوۡ اَجِدُ عَلَی النَّارِ هُدًی
১০. অনুবাদ: যখন সে আগুন দেখল, তখন নিজ পরিবারকে বলল, ‘তোমরা অপেক্ষা কর, আমি আগুন দেখতে পেয়েছি, আশা করি আমি তোমাদের জন্য তা থেকে কিছু জ্বলন্ত আঙ্গার নিয়ে আসতে পারব অথবা আগুনের নিকট পথনির্দেশ পাব।’

11 ১১
فَلَمَّاۤ اَتٰىهَا نُوۡدِیَ یٰمُوۡسٰی
فَلَمَّاۤ اَتٰىهَا نُوۡدِیَ یٰمُوۡسٰی
১১. অনুবাদ: যখন সে আগুনের কাছে আসল তখন তাকে আহবান করা হল, ‘হে মূসা’

12 ১২
اِنِّیۡۤ اَنَا رَبُّکَ فَاخۡلَعۡ نَعۡلَیۡکَ ۚ اِنَّکَ بِالۡوَادِ الۡمُقَدَّسِ طُوًی
اِنِّیۡۤ اَنَا رَبُّکَ فَاخۡلَعۡ نَعۡلَیۡکَ ۚ اِنَّکَ بِالۡوَادِ الۡمُقَدَّسِ طُوًی
১২. অনুবাদ: নিশ্চয় আমি তোমার রব; সুতরাং তোমার জুতা জোড়া খুলে ফেল, নিশ্চয় তুমি পবিত্র ‘তুওয়া’ উপত্যকায় রয়েছ’।

13 ১৩
وَ اَنَا اخۡتَرۡتُکَ فَاسۡتَمِعۡ لِمَا یُوۡحٰی
وَ اَنَا اخۡتَرۡتُکَ فَاسۡتَمِعۡ لِمَا یُوۡحٰی
১৩. অনুবাদ: ‘আর আমি তোমাকে মনোনীত করেছি, সুতরাং যা ওহীরূপে পাঠানো হচ্ছে তা মনোযোগ দিয়ে শুন’।

14 ১৪
اِنَّنِیۡۤ اَنَا اللّٰهُ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّاۤ اَنَا فَاعۡبُدۡنِیۡ ۙ وَ اَقِمِ الصَّلٰوۃَ لِذِکۡرِیۡ
اِنَّنِیۡۤ اَنَا اللّٰهُ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّاۤ اَنَا فَاعۡبُدۡنِیۡ ۙ وَ اَقِمِ الصَّلٰوۃَ لِذِکۡرِیۡ
১৪. অনুবাদ: ‘নিশ্চয় আমি আল্লাহ, আমি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই; সুতরাং আমার ইবাদাত কর এবং আমার স্মরণার্থে সালাত কায়েম কর’।

15 ১৫
اِنَّ السَّاعَۃَ اٰتِیَۃٌ اَکَادُ اُخۡفِیۡهَا لِتُجۡزٰی کُلُّ نَفۡسٍۭ بِمَا تَسۡعٰی
اِنَّ السَّاعَۃَ اٰتِیَۃٌ اَکَادُ اُخۡفِیۡهَا لِتُجۡزٰی کُلُّ نَفۡسٍۭ بِمَا تَسۡعٰی
১৫. অনুবাদ: ‘নিশ্চয় কিয়ামত আসবে; আমি তা গোপন রাখতে চাই যাতে প্রত্যেককে স্বীয় চেষ্টা-সাধনা অনুযায়ী প্রতিদান দেয়া যায়’।

16 ১৬
فَلَا یَصُدَّنَّکَ عَنۡهَا مَنۡ لَّا یُؤۡمِنُ بِهَا وَ اتَّبَعَ هَوٰىهُ فَتَرۡدٰی
فَلَا یَصُدَّنَّکَ عَنۡهَا مَنۡ لَّا یُؤۡمِنُ بِهَا وَ اتَّبَعَ هَوٰىهُ فَتَرۡدٰی
১৬. অনুবাদ: অতএব যে ব্যক্তি তার প্রতি ঈমান রাখে না এবং স্বীয় প্রবৃত্তির অনুসরণ করে সে যেন কিছুতেই তাতে ঈমান আনয়নে তোমাকে বাধা দিতে না পারে; অন্যথায় তুমি ধ্বংস হয়ে যাবে।

17 ১৭
وَ مَا تِلۡکَ بِیَمِیۡنِکَ یٰمُوۡسٰی
وَ مَا تِلۡکَ بِیَمِیۡنِکَ یٰمُوۡسٰی
১৭. অনুবাদ: আর ‘হে মূসা, তোমার ডান হাতে ওটা কি’?

18 ১৮
قَالَ هِیَ عَصَایَ ۚ اَتَوَکَّوٴُا عَلَیۡهَا وَ اَهُشُّ بِهَا عَلٰی غَنَمِیۡ وَ لِیَ فِیۡهَا مَاٰرِبُ اُخۡرٰی
قَالَ هِیَ عَصَایَ ۚ اَتَوَکَّوٴُا عَلَیۡهَا وَ اَهُشُّ بِهَا عَلٰی غَنَمِیۡ وَ لِیَ فِیۡهَا مَاٰرِبُ اُخۡرٰی
১৮. অনুবাদ: সে বলল, ‘এটি আমার লাঠি; আমি এর ওপর ভর করি, এটি দিয়ে আমি আমার মেষপালের জন্য গাছের পাতা পাড়ি এবং এটি আমার আরো অনেক কাজে লাগে।’

19 ১৯
قَالَ اَلۡقِهَا یٰمُوۡسٰی
قَالَ اَلۡقِهَا یٰمُوۡسٰی
১৯. অনুবাদ: তিনি বললেন, ‘হে মূসা! ওটা ফেলে দাও।’

20 ২০
فَاَلۡقٰهَا فَاِذَا هِیَ حَیَّۃٌ تَسۡعٰی
فَاَلۡقٰهَا فَاِذَا هِیَ حَیَّۃٌ تَسۡعٰی
২০. অনুবাদ: অতঃপর সে তা ফেলে দিল; অমনি তা সাপ হয়ে ছুটতে লাগল।

21 ২১
قَالَ خُذۡهَا وَ لَا تَخَفۡ ٝ سَنُعِیۡدُهَا سِیۡرَتَهَا الۡاُوۡلٰی
قَالَ خُذۡهَا وَ لَا تَخَفۡ ٝ سَنُعِیۡدُهَا سِیۡرَتَهَا الۡاُوۡلٰی
২১. অনুবাদ: তিনি বললেন, ‘ওটা ধর এবং ভয় করো না, আমি ওকে ওর পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে দেব’।

22 ২২
وَ اضۡمُمۡ یَدَکَ اِلٰی جَنَاحِکَ تَخۡرُجۡ بَیۡضَآءَ مِنۡ غَیۡرِ سُوۡٓءٍ اٰیَۃً اُخۡرٰی
وَ اضۡمُمۡ یَدَکَ اِلٰی جَنَاحِکَ تَخۡرُجۡ بَیۡضَآءَ مِنۡ غَیۡرِ سُوۡٓءٍ اٰیَۃً اُخۡرٰی
২২. অনুবাদ: ‘আর তোমার হাত তোমার বগলের সাথে মিলাও, তাহলে তা উজ্জ্বল হয়ে বেরিয়ে আসবে কোনরূপ ত্রুটি ছাড়া; আরেকটি নিদর্শনরূপে’।

23 ২৩
لِنُرِیَکَ مِنۡ اٰیٰتِنَا الۡکُبۡرٰی
لِنُرِیَکَ مِنۡ اٰیٰتِنَا الۡکُبۡرٰی
২৩. অনুবাদ: এটা এজন্য যে, আমি তোমাকে আমার বড় বড় নিদর্শনসমূহের কিছু দেখাব।

24 ২৪
اِذۡهَبۡ اِلٰی فِرۡعَوۡنَ اِنَّهٗ طَغٰی
اِذۡهَبۡ اِلٰی فِرۡعَوۡنَ اِنَّهٗ طَغٰی
২৪. অনুবাদ: ‘ফির‘আউনের কাছে যাও; নিশ্চয় সে সীমালঙ্ঘন করেছে’।

25 ২৫
قَالَ رَبِّ اشۡرَحۡ لِیۡ صَدۡرِیۡ
قَالَ رَبِّ اشۡرَحۡ لِیۡ صَدۡرِیۡ
২৫. অনুবাদ: সে বলল, ‘হে আমার রব, আমার বুক প্রশস্ত করে দিন’

26 ২৬
وَ یَسِّرۡ لِیۡۤ اَمۡرِیۡ
وَ یَسِّرۡ لِیۡۤ اَمۡرِیۡ
২৬. অনুবাদ: ‘এবং আমার কাজ সহজ করে দিন,

27 ২৭
وَ احۡلُلۡ عُقۡدَۃً مِّنۡ لِّسَانِیۡ
وَ احۡلُلۡ عُقۡدَۃً مِّنۡ لِّسَانِیۡ
২৭. অনুবাদ: ‘আর আমার জিহবার জড়তা দূর করে দিন-

28 ২৮
یَفۡقَهُوۡا قَوۡلِیۡ
یَفۡقَهُوۡا قَوۡلِیۡ
২৮. অনুবাদ: যাতে তারা আমার কথা বুঝতে পারে’।

29 ২৯
وَ اجۡعَلۡ لِّیۡ وَزِیۡرًا مِّنۡ اَهۡلِیۡ
وَ اجۡعَلۡ لِّیۡ وَزِیۡرًا مِّنۡ اَهۡلِیۡ
২৯. অনুবাদ: ‘আর আমার পরিবার থেকে আমার জন্য একজন সাহায্যকারী নির্ধারণ করে দিন।

30 ৩০
هٰرُوۡنَ اَخِی
هٰرُوۡنَ اَخِی
৩০. অনুবাদ: আমার ভাই হারূনকে’

31 ৩১
اشۡدُدۡ بِهٖۤ اَزۡرِیۡ
اشۡدُدۡ بِهٖۤ اَزۡرِیۡ
৩১. অনুবাদ: ‘তার দ্বারা আমার শক্তি সুদৃঢ় করুন

32 ৩২
وَ اَشۡرِکۡهُ فِیۡۤ اَمۡرِیۡ
وَ اَشۡرِکۡهُ فِیۡۤ اَمۡرِیۡ
৩২. অনুবাদ: এবং তাকে আমার কাজে শরীক করুন’।

33 ৩৩
کَیۡ نُسَبِّحَکَ کَثِیۡرًا
کَیۡ نُسَبِّحَکَ کَثِیۡرًا
৩৩. অনুবাদ: ‘যাতে আমরা বেশী করে আপনার তাসবীহ পাঠ করতে পারি’,

34 ৩৪
وَّ نَذۡکُرَکَ کَثِیۡرًا
وَّ نَذۡکُرَکَ کَثِیۡرًا
৩৪. অনুবাদ: এবং অধিক পরিমাণে আপনাকে স্মরণ করতে পারি।

35 ৩৫
اِنَّکَ کُنۡتَ بِنَا بَصِیۡرًا
اِنَّکَ کُنۡتَ بِنَا بَصِیۡرًا
৩৫. অনুবাদ: ‘আপনিই তো আমাদের সম্যক দ্রষ্টা’।

36 ৩৬
قَالَ قَدۡ اُوۡتِیۡتَ سُؤۡلَکَ یٰمُوۡسٰی
قَالَ قَدۡ اُوۡتِیۡتَ سُؤۡلَکَ یٰمُوۡسٰی
৩৬. অনুবাদ: তিনি বললেন, ‘হে মূসা, তুমি যা চেয়েছ তা তোমাকে দেয়া হল’।

37 ৩৭
وَ لَقَدۡ مَنَنَّا عَلَیۡکَ مَرَّۃً اُخۡرٰۤی
وَ لَقَدۡ مَنَنَّا عَلَیۡکَ مَرَّۃً اُخۡرٰۤی
৩৭. অনুবাদ: ‘আর আমি আরো একবার তোমার প্রতি অনুগ্রহ করেছিলাম’।

38 ৩৮
اِذۡ اَوۡحَیۡنَاۤ اِلٰۤی اُمِّکَ مَا یُوۡحٰۤی
اِذۡ اَوۡحَیۡنَاۤ اِلٰۤی اُمِّکَ مَا یُوۡحٰۤی
৩৮. অনুবাদ: ‘যখন আমি তোমার মাতাকে জানিয়ে দিয়েছিলাম যা জানাবার ছিল,

39 ৩৯
اَنِ اقۡذِفِیۡهِ فِی التَّابُوۡتِ فَاقۡذِفِیۡهِ فِی الۡیَمِّ فَلۡیُلۡقِهِ الۡیَمُّ بِالسَّاحِلِ یَاۡخُذۡهُ عَدُوٌّ لِّیۡ وَ عَدُوٌّ لَّهٗ ؕ وَ اَلۡقَیۡتُ عَلَیۡکَ مَحَبَّۃً مِّنِّیۡ ۬ۚ وَ لِتُصۡنَعَ عَلٰی عَیۡنِیۡ
اَنِ اقۡذِفِیۡهِ فِی التَّابُوۡتِ فَاقۡذِفِیۡهِ فِی الۡیَمِّ فَلۡیُلۡقِهِ الۡیَمُّ بِالسَّاحِلِ یَاۡخُذۡهُ عَدُوٌّ لِّیۡ وَ عَدُوٌّ لَّهٗ ؕ وَ اَلۡقَیۡتُ عَلَیۡکَ مَحَبَّۃً مِّنِّیۡ ۬ۚ وَ لِتُصۡنَعَ عَلٰی عَیۡنِیۡ
৩৯. অনুবাদ: ‘যে, তুমি তাঁকে সিন্ধুকের মধ্যে রেখে দাও। তারপর তা দরিয়ায় ভাসিয়ে দাও। যেন দরিয়া তাকে তীরে ঠেলে দেয়। ফলে তাকে আমার শত্রু ও তার শত্রু নিয়ে নেবে। আর আমি আমার পক্ষ থেকে তোমার প্রতি ভালবাসা ঢেলে দিয়েছিলাম, যাতে তুমি আমার চোখের সামনে প্রতিপালিত হও’।

40 ৪০
اِذۡ تَمۡشِیۡۤ اُخۡتُکَ فَتَقُوۡلُ هَلۡ اَدُلُّکُمۡ عَلٰی مَنۡ یَّکۡفُلُهٗ ؕ فَرَجَعۡنٰکَ اِلٰۤی اُمِّکَ کَیۡ تَقَرَّ عَیۡنُهَا وَ لَا تَحۡزَنَ ۬ؕ وَ قَتَلۡتَ نَفۡسًا فَنَجَّیۡنٰکَ مِنَ الۡغَمِّ وَ فَتَنّٰکَ فُتُوۡنًا ۬۟ فَلَبِثۡتَ سِنِیۡنَ فِیۡۤ اَهۡلِ مَدۡیَنَ ۬ۙ ثُمَّ جِئۡتَ عَلٰی قَدَرٍ یّٰمُوۡسٰی
اِذۡ تَمۡشِیۡۤ اُخۡتُکَ فَتَقُوۡلُ هَلۡ اَدُلُّکُمۡ عَلٰی مَنۡ یَّکۡفُلُهٗ ؕ فَرَجَعۡنٰکَ اِلٰۤی اُمِّکَ کَیۡ تَقَرَّ عَیۡنُهَا وَ لَا تَحۡزَنَ ۬ؕ وَ قَتَلۡتَ نَفۡسًا فَنَجَّیۡنٰکَ مِنَ الۡغَمِّ وَ فَتَنّٰکَ فُتُوۡنًا ۬۟ فَلَبِثۡتَ سِنِیۡنَ فِیۡۤ اَهۡلِ مَدۡیَنَ ۬ۙ ثُمَّ جِئۡتَ عَلٰی قَدَرٍ یّٰمُوۡسٰی
৪০. অনুবাদ: যখন তোমার বোন (সিন্দুকের সাথে সাথে) চলছিল। অতঃপর সে গিয়ে বলল, ‘আমি কি তোমাদেরকে এমন একজনের সন্ধান দেব, যে এর দায়িত্বভার নিতে পারবে’? অতঃপর আমি তোমাকে তোমার মায়ের নিকট ফিরিয়ে দিলাম; যাতে তার চোখ জুড়ায় এবং সে দুঃখ না পায়। আর তুমি এক ব্যক্তিকে হত্যা করেছিলে। তখন আমি তোমাকে মানোবেদনা থেকে মুক্তি দিলাম এবং তোমাকে আমি বিভিন্নভাবে পরীক্ষা করেছি। অতঃপর তুমি কয়েক বছর মাদইয়ানবাসীদের মধ্যে অবস্থান করেছ। হে মূসা, তারপর নির্ধারিত সময়ে তুমি এসে উপস্থিত হলে’।

41 ৪১
وَ اصۡطَنَعۡتُکَ لِنَفۡسِیۡ
وَ اصۡطَنَعۡتُکَ لِنَفۡسِیۡ
৪১. অনুবাদ: এবং আমি তোমাকে আমার নিজের জন্য মনোনীত করেছি।

42 ৪২
اِذۡهَبۡ اَنۡتَ وَ اَخُوۡکَ بِاٰیٰتِیۡ وَ لَا تَنِیَا فِیۡ ذِکۡرِیۡ
اِذۡهَبۡ اَنۡتَ وَ اَخُوۡکَ بِاٰیٰتِیۡ وَ لَا تَنِیَا فِیۡ ذِکۡرِیۡ
৪২. অনুবাদ: তুমি ও তোমার ভাই আমার আয়াতসমূহ নিয়ে যাও এবং আমাকে স্মরণ করার ক্ষেত্রে কোনরূপ অলসতা করো না।

43 ৪৩
اِذۡهَبَاۤ اِلٰی فِرۡعَوۡنَ اِنَّهٗ طَغٰی
اِذۡهَبَاۤ اِلٰی فِرۡعَوۡنَ اِنَّهٗ طَغٰی
৪৩. অনুবাদ: তোমরা দু’জন ফির‘আউনের নিকট যাও, কেননা সে তো সীমালংঘন করেছে।

44 ৪৪
فَقُوۡلَا لَهٗ قَوۡلًا لَّیِّنًا لَّعَلَّهٗ یَتَذَکَّرُ اَوۡ یَخۡشٰی
فَقُوۡلَا لَهٗ قَوۡلًا لَّیِّنًا لَّعَلَّهٗ یَتَذَکَّرُ اَوۡ یَخۡشٰی
৪৪. অনুবাদ: তোমরা তার সাথে নরম কথা বলবে। হয়তোবা সে উপদেশ গ্রহণ করবে অথবা ভয় করবে।

45 ৪৫
قَالَا رَبَّنَاۤ اِنَّنَا نَخَافُ اَنۡ یَّفۡرُطَ عَلَیۡنَاۤ اَوۡ اَنۡ یَّطۡغٰی
قَالَا رَبَّنَاۤ اِنَّنَا نَخَافُ اَنۡ یَّفۡرُطَ عَلَیۡنَاۤ اَوۡ اَنۡ یَّطۡغٰی
৪৫. অনুবাদ: তারা বলল, ‘হে আমাদের রব, আমরা তো আশংকা করছি যে, সে আমাদের উপর বাড়াবাড়ি করবে অথবা সীমালঙ্ঘন করবে’।

46 ৪৬
قَالَ لَا تَخَافَاۤ اِنَّنِیۡ مَعَکُمَاۤ اَسۡمَعُ وَ اَرٰی
قَالَ لَا تَخَافَاۤ اِنَّنِیۡ مَعَکُمَاۤ اَسۡمَعُ وَ اَرٰی
৪৬. অনুবাদ: তিনি বললেন, ‘তোমরা ভয় করো না। আমি তো তোমাদের সাথেই আছি। আমি সবকিছু শুনি ও দেখি’।

47 ৪৭
فَاۡتِیٰهُ فَقُوۡلَاۤ اِنَّا رَسُوۡلَا رَبِّکَ فَاَرۡسِلۡ مَعَنَا بَنِیۡۤ اِسۡرَآءِیۡلَ ۬ۙ وَ لَا تُعَذِّبۡهُمۡ ؕ قَدۡ جِئۡنٰکَ بِاٰیَۃٍ مِّنۡ رَّبِّکَ ؕ وَ السَّلٰمُ عَلٰی مَنِ اتَّبَعَ الۡهُدٰی
فَاۡتِیٰهُ فَقُوۡلَاۤ اِنَّا رَسُوۡلَا رَبِّکَ فَاَرۡسِلۡ مَعَنَا بَنِیۡۤ اِسۡرَآءِیۡلَ ۬ۙ وَ لَا تُعَذِّبۡهُمۡ ؕ قَدۡ جِئۡنٰکَ بِاٰیَۃٍ مِّنۡ رَّبِّکَ ؕ وَ السَّلٰمُ عَلٰی مَنِ اتَّبَعَ الۡهُدٰی
৪৭. অনুবাদ: সুতরাং তোমরা দু’জন তার কাছে যাও অতঃপর বল, ‘আমরা তোমার রবের দু’জন রাসূল। সুতরাং তুমি বনী ইসরাঈলকে আমাদের সাথে যেতে দাও এবং তাদেরকে নির্যাতন করো না। আমরা তোমার কাছে এসেছি তোমার রবের আয়াত নিয়ে। আর যারা সৎ পথ অনুসরণ করে, তাদের প্রতি শান্তি’।

48 ৪৮
اِنَّا قَدۡ اُوۡحِیَ اِلَیۡنَاۤ اَنَّ الۡعَذَابَ عَلٰی مَنۡ کَذَّبَ وَ تَوَلّٰی
اِنَّا قَدۡ اُوۡحِیَ اِلَیۡنَاۤ اَنَّ الۡعَذَابَ عَلٰی مَنۡ کَذَّبَ وَ تَوَلّٰی
৪৮. অনুবাদ: নিশ্চয় আমাদের নিকট ওহী প্রেরণ করা হয়েছে যে, আযাবতো তার জন্য, যে মিথ্যা আরোপ করে এবং মুখ ফিরিয়ে নেয়।

49 ৪৯
قَالَ فَمَنۡ رَّبُّکُمَا یٰمُوۡسٰی
قَالَ فَمَنۡ رَّبُّکُمَا یٰمُوۡسٰی
৪৯. অনুবাদ: ফির‘আউন বলল, ‘হে মূসা, তাহলে কে তোমাদের রব’?

50 ৫০
قَالَ رَبُّنَا الَّذِیۡۤ اَعۡطٰی کُلَّ شَیۡءٍ خَلۡقَهٗ ثُمَّ هَدٰی
قَالَ رَبُّنَا الَّذِیۡۤ اَعۡطٰی کُلَّ شَیۡءٍ خَلۡقَهٗ ثُمَّ هَدٰی
৫০. অনুবাদ: মূসা বলল, ‘আমাদের রব তিনি, যিনি সকল বস্তুকে তার আকৃতি দান করেছেন, অতঃপর সঠিক পথ নির্দেশ করেছেন’।

51 ৫১
قَالَ فَمَا بَالُ الۡقُرُوۡنِ الۡاُوۡلٰی
قَالَ فَمَا بَالُ الۡقُرُوۡنِ الۡاُوۡلٰی
৫১. অনুবাদ: ফির‘আউন বলল, ‘তাহলে অতীত যুগের লোকদের অবস্থা কী’?

52 ৫২
قَالَ عِلۡمُهَا عِنۡدَ رَبِّیۡ فِیۡ کِتٰبٍ ۚ لَا یَضِلُّ رَبِّیۡ وَ لَا یَنۡسَی
قَالَ عِلۡمُهَا عِنۡدَ رَبِّیۡ فِیۡ کِتٰبٍ ۚ لَا یَضِلُّ رَبِّیۡ وَ لَا یَنۡسَی
৫২. অনুবাদ: মূসা বলল, ‘এর জ্ঞান আমার রবের নিকট কিতাবে আছে। আমার রব বিভ্রান্ত হন না এবং ভুলেও যান না’।

53 ৫৩
الَّذِیۡ جَعَلَ لَکُمُ الۡاَرۡضَ مَهۡدًا وَّ سَلَکَ لَکُمۡ فِیۡهَا سُبُلًا وَّ اَنۡزَلَ مِنَ السَّمَآءِ مَآءً ؕ فَاَخۡرَجۡنَا بِهٖۤ اَزۡوَاجًا مِّنۡ نَّبَاتٍ شَتّٰی
الَّذِیۡ جَعَلَ لَکُمُ الۡاَرۡضَ مَهۡدًا وَّ سَلَکَ لَکُمۡ فِیۡهَا سُبُلًا وَّ اَنۡزَلَ مِنَ السَّمَآءِ مَآءً ؕ فَاَخۡرَجۡنَا بِهٖۤ اَزۡوَاجًا مِّنۡ نَّبَاتٍ شَتّٰی
৫৩. অনুবাদ: ‘যিনি তোমাদের জন্য যমীনকে বিছানা বানিয়েছেন এবং তাতে তোমাদের জন্য চলার পথ করে দিয়েছেন। আর আসমান থেকে তিনি পানি বর্ষণ করেন’; অতঃপর তা দিয়ে আমি বিভিন্ন প্রকারের উদ্ভিদ উৎপন্ন করি।

54 ৫৪
کُلُوۡا وَ ارۡعَوۡا اَنۡعَامَکُمۡ ؕ اِنَّ فِیۡ ذٰلِکَ لَاٰیٰتٍ لِّاُولِی النُّهٰی
کُلُوۡا وَ ارۡعَوۡا اَنۡعَامَکُمۡ ؕ اِنَّ فِیۡ ذٰلِکَ لَاٰیٰتٍ لِّاُولِی النُّهٰی
৫৪. অনুবাদ: তোমরা নিজেরা খাও এবং তোমাদের গবাদি পশু চরাও। অবশ্যই এতে বিবেকসম্পন্ন লোকদের জন্য নিদর্শন রয়েছে।

55 ৫৫
مِنۡهَا خَلَقۡنٰکُمۡ وَ فِیۡهَا نُعِیۡدُکُمۡ وَ مِنۡهَا نُخۡرِجُکُمۡ تَارَۃً اُخۡرٰی
مِنۡهَا خَلَقۡنٰکُمۡ وَ فِیۡهَا نُعِیۡدُکُمۡ وَ مِنۡهَا نُخۡرِجُکُمۡ تَارَۃً اُخۡرٰی
৫৫. অনুবাদ: মাটি থেকেই আমি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি, মাটিতেই আমি তোমাদেরকে ফিরিয়ে নেব এবং মাটি থেকেই তোমাদেরকে পুনরায় বের করে আনব।

56 ৫৬
وَ لَقَدۡ اَرَیۡنٰهُ اٰیٰتِنَا کُلَّهَا فَکَذَّبَ وَ اَبٰی
وَ لَقَدۡ اَرَیۡنٰهُ اٰیٰتِنَا کُلَّهَا فَکَذَّبَ وَ اَبٰی
৫৬. অনুবাদ: আমি তাকে আমার সকল নিদর্শন দেখিয়েছিলাম, কিন্তু সে মিথ্যা আরোপ করেছে এবং অমান্য করেছে।

57 ৫৭
قَالَ اَجِئۡتَنَا لِتُخۡرِجَنَا مِنۡ اَرۡضِنَا بِسِحۡرِکَ یٰمُوۡسٰی
قَالَ اَجِئۡتَنَا لِتُخۡرِجَنَا مِنۡ اَرۡضِنَا بِسِحۡرِکَ یٰمُوۡسٰی
৫৭. অনুবাদ: সে বলল, ‘হে মূসা, তুমি কি আমাদের কাছে এজন্য এসেছ যে, তোমার যাদুর দ্বারা আমাদেরকে আমাদের দেশ থেকে বের করে দেবে’?

58 ৫৮
فَلَنَاۡتِیَنَّکَ بِسِحۡرٍ مِّثۡلِهٖ فَاجۡعَلۡ بَیۡنَنَا وَ بَیۡنَکَ مَوۡعِدًا لَّا نُخۡلِفُهٗ نَحۡنُ وَ لَاۤ اَنۡتَ مَکَانًا سُوًی
فَلَنَاۡتِیَنَّکَ بِسِحۡرٍ مِّثۡلِهٖ فَاجۡعَلۡ بَیۡنَنَا وَ بَیۡنَکَ مَوۡعِدًا لَّا نُخۡلِفُهٗ نَحۡنُ وَ لَاۤ اَنۡتَ مَکَانًا سُوًی
৫৮. অনুবাদ: ‘তাহলে আমরা অবশ্যই তোমার নিকট অনুরূপ যাদু নিয়ে আসব। সুতরাং একটা মধ্যবর্তী স্থানে আমাদের ও তোমার মিলিত হওয়ার জন্য একটি সময় নির্ধারণ কর, যা আমরাও লঙ্ঘন করব না, তুমিও করবে না’।

59 ৫৯
قَالَ مَوۡعِدُکُمۡ یَوۡمُ الزِّیۡنَۃِ وَ اَنۡ یُّحۡشَرَ النَّاسُ ضُحًی
قَالَ مَوۡعِدُکُمۡ یَوۡمُ الزِّیۡنَۃِ وَ اَنۡ یُّحۡشَرَ النَّاسُ ضُحًی
৫৯. অনুবাদ: মূসা বলল, ‘তোমাদের নির্ধারিত সময় হল উৎসবের দিন। আর সেদিন পূর্বাহ্নেই যেন লোকজনকে সমবেত করা হয়’।

60 ৬০
فَتَوَلّٰی فِرۡعَوۡنُ فَجَمَعَ کَیۡدَهٗ ثُمَّ اَتٰی
فَتَوَلّٰی فِرۡعَوۡنُ فَجَمَعَ کَیۡدَهٗ ثُمَّ اَتٰی
৬০. অনুবাদ: অতঃপর ফির‘আউন উঠে গেল। তারপর সে তার কৌশল একত্র করল, তারপর সে আসল।

61 ৬১
قَالَ لَهُمۡ مُّوۡسٰی وَیۡلَکُمۡ لَا تَفۡتَرُوۡا عَلَی اللّٰهِ کَذِبًا فَیُسۡحِتَکُمۡ بِعَذَابٍ ۚ وَ قَدۡ خَابَ مَنِ افۡتَرٰی
قَالَ لَهُمۡ مُّوۡسٰی وَیۡلَکُمۡ لَا تَفۡتَرُوۡا عَلَی اللّٰهِ کَذِبًا فَیُسۡحِتَکُمۡ بِعَذَابٍ ۚ وَ قَدۡ خَابَ مَنِ افۡتَرٰی
৬১. অনুবাদ: মূসা তাদেরকে বলল, ‘তোমাদের দুর্ভাগ্য! তোমরা আল্লাহর প্রতি মিথ্যা আরোপ করো না। করলে তিনি আযাব দ্বারা তোমাদেরকে সমূলে ধ্বংস করে দেবেন। আর যে ব্যক্তি মিথ্যা আরোপ করে, সে-ই ব্যর্থ হয়।

62 ৬২
فَتَنَازَعُوۡۤا اَمۡرَهُمۡ بَیۡنَهُمۡ وَ اَسَرُّوا النَّجۡوٰی
فَتَنَازَعُوۡۤا اَمۡرَهُمۡ بَیۡنَهُمۡ وَ اَسَرُّوا النَّجۡوٰی
৬২. অনুবাদ: তখন তারা নিজদের মধ্যে তাদের কর্ম সম্বন্ধে বাক-বিতন্ডা করল এবং তারা গোপনে পরামর্শ করল।

63 ৬৩
قَالُوۡۤا اِنۡ هٰذٰىنِ لَسٰحِرٰنِ یُرِیۡدٰنِ اَنۡ یُّخۡرِجٰکُمۡ مِّنۡ اَرۡضِکُمۡ بِسِحۡرِهِمَا وَ یَذۡهَبَا بِطَرِیۡقَتِکُمُ الۡمُثۡلٰی
قَالُوۡۤا اِنۡ هٰذٰىنِ لَسٰحِرٰنِ یُرِیۡدٰنِ اَنۡ یُّخۡرِجٰکُمۡ مِّنۡ اَرۡضِکُمۡ بِسِحۡرِهِمَا وَ یَذۡهَبَا بِطَرِیۡقَتِکُمُ الۡمُثۡلٰی
৬৩. অনুবাদ: তারা বলল, ‘এ দু’জন অবশ্যই যাদুকর। তারা চায় তাদের যাদুর মাধ্যমে তোমাদেরকে তোমাদের দেশ থেকে বের করে দিতে এবং তোমাদের উৎকৃষ্ট জীবন পদ্ধতি ধ্বংস করে দিতে’।

64 ৬৪
فَاَجۡمِعُوۡا کَیۡدَکُمۡ ثُمَّ ائۡتُوۡا صَفًّا ۚ وَ قَدۡ اَفۡلَحَ الۡیَوۡمَ مَنِ اسۡتَعۡلٰی
فَاَجۡمِعُوۡا کَیۡدَکُمۡ ثُمَّ ائۡتُوۡا صَفًّا ۚ وَ قَدۡ اَفۡلَحَ الۡیَوۡمَ مَنِ اسۡتَعۡلٰی
৬৪. অনুবাদ: ‘কাজেই তোমরা তোমাদের কলা-কৌশল জমা কর। তারপর তোমরা সবাই সারিবদ্ধভাবে আস। আর আজ যে বিজয়ী হবে, সে-ই সফল হবে’।

65 ৬৫
قَالُوۡا یٰمُوۡسٰۤی اِمَّاۤ اَنۡ تُلۡقِیَ وَ اِمَّاۤ اَنۡ نَّکُوۡنَ اَوَّلَ مَنۡ اَلۡقٰی
قَالُوۡا یٰمُوۡسٰۤی اِمَّاۤ اَنۡ تُلۡقِیَ وَ اِمَّاۤ اَنۡ نَّکُوۡنَ اَوَّلَ مَنۡ اَلۡقٰی
৬৫. অনুবাদ: তারা বলল, হে মূসা, হয় তুমি নিক্ষেপ কর, না হয় আমরাই প্রথমে নিক্ষেপ করি।

66 ৬৬
قَالَ بَلۡ اَلۡقُوۡا ۚ فَاِذَا حِبَالُهُمۡ وَ عِصِیُّهُمۡ یُخَیَّلُ اِلَیۡهِ مِنۡ سِحۡرِهِمۡ اَنَّهَا تَسۡعٰی
قَالَ بَلۡ اَلۡقُوۡا ۚ فَاِذَا حِبَالُهُمۡ وَ عِصِیُّهُمۡ یُخَیَّلُ اِلَیۡهِ مِنۡ سِحۡرِهِمۡ اَنَّهَا تَسۡعٰی
৬৬. অনুবাদ: মূসা বলল, ‘বরং তোমরাই নিক্ষেপ কর। অতঃপর তাদের যাদুর প্রভাবে মূসার কাছে মনে হল যেন তাদের রশি ও লাঠিগুলো ছুটোছুটি করছে।

67 ৬৭
فَاَوۡجَسَ فِیۡ نَفۡسِهٖ خِیۡفَۃً مُّوۡسٰی
فَاَوۡجَسَ فِیۡ نَفۡسِهٖ خِیۡفَۃً مُّوۡسٰی
৬৭. অনুবাদ: তখন মূসা তার অন্তরে কিছুটা ভীতি অনুভব করল।

68 ৬৮
قُلۡنَا لَا تَخَفۡ اِنَّکَ اَنۡتَ الۡاَعۡلٰی
قُلۡنَا لَا تَخَفۡ اِنَّکَ اَنۡتَ الۡاَعۡلٰی
৬৮. অনুবাদ: আমি বললাম, ‘তুমি ভয় পেয়ো না, নিশ্চয় তুমিই বিজয়ী হবে’।

69 ৬৯
وَ اَلۡقِ مَا فِیۡ یَمِیۡنِکَ تَلۡقَفۡ مَا صَنَعُوۡا ؕ اِنَّمَا صَنَعُوۡا کَیۡدُ سٰحِرٍ ؕ وَ لَا یُفۡلِحُ السَّاحِرُ حَیۡثُ اَتٰی
وَ اَلۡقِ مَا فِیۡ یَمِیۡنِکَ تَلۡقَفۡ مَا صَنَعُوۡا ؕ اِنَّمَا صَنَعُوۡا کَیۡدُ سٰحِرٍ ؕ وَ لَا یُفۡلِحُ السَّاحِرُ حَیۡثُ اَتٰی
৬৯. অনুবাদ: ‘আর তোমার ডান হাতে যা আছে, তা ফেলে দাও। তারা যা করেছে, এটা সেগুলো গ্রাস করে ফেলবে। তারা যা করেছে, তাতো কেবল যাদুকরের কৌশল। আর যাদুকর যেখানেই আসুক না কেন, সে সফল হবে না’।

70 ৭০
فَاُلۡقِیَ السَّحَرَۃُ سُجَّدًا قَالُوۡۤا اٰمَنَّا بِرَبِّ هٰرُوۡنَ وَ مُوۡسٰی
فَاُلۡقِیَ السَّحَرَۃُ سُجَّدًا قَالُوۡۤا اٰمَنَّا بِرَبِّ هٰرُوۡنَ وَ مُوۡسٰی
৭০. অনুবাদ: অতঃপর যাদুকরেরা সিজদায় লুটিয়ে পড়ল। তারা বলল, ‘আমরা হারূন ও মূসার রবের প্রতি ঈমান আনলাম’।

71 ৭১
قَالَ اٰمَنۡتُمۡ لَهٗ قَبۡلَ اَنۡ اٰذَنَ لَکُمۡ ؕ اِنَّهٗ لَکَبِیۡرُکُمُ الَّذِیۡ عَلَّمَکُمُ السِّحۡرَ ۚ فَلَاُقَطِّعَنَّ اَیۡدِیَکُمۡ وَ اَرۡجُلَکُمۡ مِّنۡ خِلَافٍ وَّ لَاُصَلِّبَنَّکُمۡ فِیۡ جُذُوۡعِ النَّخۡلِ ۫ وَ لَتَعۡلَمُنَّ اَیُّنَاۤ اَشَدُّ عَذَابًا وَّ اَبۡقٰی
قَالَ اٰمَنۡتُمۡ لَهٗ قَبۡلَ اَنۡ اٰذَنَ لَکُمۡ ؕ اِنَّهٗ لَکَبِیۡرُکُمُ الَّذِیۡ عَلَّمَکُمُ السِّحۡرَ ۚ فَلَاُقَطِّعَنَّ اَیۡدِیَکُمۡ وَ اَرۡجُلَکُمۡ مِّنۡ خِلَافٍ وَّ لَاُصَلِّبَنَّکُمۡ فِیۡ جُذُوۡعِ النَّخۡلِ ۫ وَ لَتَعۡلَمُنَّ اَیُّنَاۤ اَشَدُّ عَذَابًا وَّ اَبۡقٰی
৭১. অনুবাদ: ফির‘আউন বলল, ‘কী, আমি তোমাদেরকে অনুমতি দেয়ার আগেই তোমরা তার প্রতি ঈমান আনলে? নিশ্চয় সে-ই তোমাদের প্রধান, যে তোমাদেরকে যাদু শিখিয়েছে। সুতরাং আমি অবশ্যই তোমাদের হাত ও পা বিপরীত দিক থেকে কেটে ফেলব এবং আমি তোমাদেরকে খেজুর গাছের কান্ডে শূলিবিদ্ধ করবই। আর তোমরা অবশ্যই জানতে পারবে, আমাদের মধ্যে কার আযাব বেশী কঠোর এবং বেশী স্থায়ী।

72 ৭২
قَالُوۡا لَنۡ نُّؤۡثِرَکَ عَلٰی مَا جَآءَنَا مِنَ الۡبَیِّنٰتِ وَ الَّذِیۡ فَطَرَنَا فَاقۡضِ مَاۤ اَنۡتَ قَاضٍ ؕ اِنَّمَا تَقۡضِیۡ هٰذِهِ الۡحَیٰوۃَ الدُّنۡیَا
قَالُوۡا لَنۡ نُّؤۡثِرَکَ عَلٰی مَا جَآءَنَا مِنَ الۡبَیِّنٰتِ وَ الَّذِیۡ فَطَرَنَا فَاقۡضِ مَاۤ اَنۡتَ قَاضٍ ؕ اِنَّمَا تَقۡضِیۡ هٰذِهِ الۡحَیٰوۃَ الدُّنۡیَا
৭২. অনুবাদ: তারা বলল, ‘আমাদের নিকট যে সকল স্পষ্ট নিদর্শন এসেছে এবং যিনি আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন, তার উপর আমরা তোমাকে কিছুতেই প্রাধান্য দেব না। সুতরাং তুমি যা ফয়সালা করতে চাও, তাই করো। তুমিতো কেবল এ দুনিয়ার জীবনের উপর কর্তৃত্ব করতে পার’।

73 ৭৩
اِنَّـاۤ اٰمَنَّا بِرَبِّنَا لِیَغۡفِرَ لَنَا خَطٰیٰنَا وَ مَاۤ اَکۡرَهۡتَنَا عَلَیۡهِ مِنَ السِّحۡرِ ؕ وَ اللّٰهُ خَیۡرٌ وَّ اَبۡقٰی
اِنَّـاۤ اٰمَنَّا بِرَبِّنَا لِیَغۡفِرَ لَنَا خَطٰیٰنَا وَ مَاۤ اَکۡرَهۡتَنَا عَلَیۡهِ مِنَ السِّحۡرِ ؕ وَ اللّٰهُ خَیۡرٌ وَّ اَبۡقٰی
৭৩. অনুবাদ: ‘নিশ্চয় আমরা আমাদের রবের প্রতি ঈমান এনেছি, যাতে তিনি আমাদের অপরাধসমূহ এবং যে যাদু তুমি আমাদেরকে করতে বাধ্য করেছ, তা ক্ষমা করে দেন। আর আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ ও চিরস্থায়ী’।

74 ৭৪
اِنَّهٗ مَنۡ یَّاۡتِ رَبَّهٗ مُجۡرِمًا فَاِنَّ لَهٗ جَهَنَّمَ ؕ لَا یَمُوۡتُ فِیۡهَا وَ لَا یَحۡیٰی
اِنَّهٗ مَنۡ یَّاۡتِ رَبَّهٗ مُجۡرِمًا فَاِنَّ لَهٗ جَهَنَّمَ ؕ لَا یَمُوۡتُ فِیۡهَا وَ لَا یَحۡیٰی
৭৪. অনুবাদ: যে তার রবের নিকট অপরাধী অবস্থায় আসবে, তার জন্য রয়েছে জাহান্নাম। সেখানে সে মরবেও না, বাঁচবেও না।

75 ৭৫
وَ مَنۡ یَّاۡتِهٖ مُؤۡمِنًا قَدۡ عَمِلَ الصّٰلِحٰتِ فَاُولٰٓئِکَ لَهُمُ الدَّرَجٰتُ الۡعُلٰی
وَ مَنۡ یَّاۡتِهٖ مُؤۡمِنًا قَدۡ عَمِلَ الصّٰلِحٰتِ فَاُولٰٓئِکَ لَهُمُ الدَّرَجٰتُ الۡعُلٰی
৭৫. অনুবাদ: আর যারা তাঁর নিকট আসবে মুমিন অবস্থায়, সৎকর্ম করে তাদের জন্যই রয়েছে সুউচ্চ মর্যাদা।

76 ৭৬
جَنّٰتُ عَدۡنٍ تَجۡرِیۡ مِنۡ تَحۡتِهَا الۡاَنۡهٰرُ خٰلِدِیۡنَ فِیۡهَا ؕ وَ ذٰلِکَ جَزٰٓؤُا مَنۡ تَزَکّٰی
جَنّٰتُ عَدۡنٍ تَجۡرِیۡ مِنۡ تَحۡتِهَا الۡاَنۡهٰرُ خٰلِدِیۡنَ فِیۡهَا ؕ وَ ذٰلِکَ جَزٰٓؤُا مَنۡ تَزَکّٰی
৭৬. অনুবাদ: স্থায়ী জান্নাত, যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত, তারা সেখানে স্থায়ী হবে। আর এটা হল যারা পরিশুদ্ধ হয় তাদের পুরষ্কার।

77 ৭৭
وَ لَقَدۡ اَوۡحَیۡنَاۤ اِلٰی مُوۡسٰۤی ۬ۙ اَنۡ اَسۡرِ بِعِبَادِیۡ فَاضۡرِبۡ لَهُمۡ طَرِیۡقًا فِی الۡبَحۡرِ یَبَسًا ۙ لَّا تَخٰفُ دَرَکًا وَّ لَا تَخۡشٰی
وَ لَقَدۡ اَوۡحَیۡنَاۤ اِلٰی مُوۡسٰۤی ۬ۙ اَنۡ اَسۡرِ بِعِبَادِیۡ فَاضۡرِبۡ لَهُمۡ طَرِیۡقًا فِی الۡبَحۡرِ یَبَسًا ۙ لَّا تَخٰفُ دَرَکًا وَّ لَا تَخۡشٰی
৭৭. অনুবাদ: আর আমি অবশ্যই মূসার কাছে ওহী প্রেরণ করেছিলাম যে, ‘আমার বান্দাদেরকে নিয়ে রাতের বেলায় রওয়ানা হও। অতঃপর সজোরে আঘাত করে তাদের জন্য শুকনো রাস্তা বানাও। পেছন থেকে ধরে ফেলার আশংকা করো না এবং ভয়ও করো না’।

78 ৭৮
فَاَتۡبَعَهُمۡ فِرۡعَوۡنُ بِجُنُوۡدِهٖ فَغَشِیَهُمۡ مِّنَ الۡیَمِّ مَا غَشِیَهُمۡ
فَاَتۡبَعَهُمۡ فِرۡعَوۡنُ بِجُنُوۡدِهٖ فَغَشِیَهُمۡ مِّنَ الۡیَمِّ مَا غَشِیَهُمۡ
৭৮. অনুবাদ: তারপর ফির‘আউন তার সেনাবাহিনী সহ তাদের পিছু নিল। অতঃপর সমুদ্র তাদেরকে সম্পূর্ণরূপে নিমজ্জিত করল।

79 ৭৯
وَ اَضَلَّ فِرۡعَوۡنُ قَوۡمَهٗ وَ مَا هَدٰی
وَ اَضَلَّ فِرۡعَوۡنُ قَوۡمَهٗ وَ مَا هَدٰی
৭৯. অনুবাদ: আর ফির‘আউন তার কওমকে পথভ্রষ্ট করেছিল এবং সে সঠিক পথ দেখায়নি।

80 ৮০
یٰبَنِیۡۤ اِسۡرَآءِیۡلَ قَدۡ اَنۡجَیۡنٰکُمۡ مِّنۡ عَدُوِّکُمۡ وَ وٰعَدۡنٰکُمۡ جَانِبَ الطُّوۡرِ الۡاَیۡمَنَ وَ نَزَّلۡنَا عَلَیۡکُمُ الۡمَنَّ وَ السَّلۡوٰی
یٰبَنِیۡۤ اِسۡرَآءِیۡلَ قَدۡ اَنۡجَیۡنٰکُمۡ مِّنۡ عَدُوِّکُمۡ وَ وٰعَدۡنٰکُمۡ جَانِبَ الطُّوۡرِ الۡاَیۡمَنَ وَ نَزَّلۡنَا عَلَیۡکُمُ الۡمَنَّ وَ السَّلۡوٰی
৮০. অনুবাদ: হে বনী ইসরাঈল, আমিই তোমাদেরকে তোমাদের শত্রু থেকে নাজাত দিয়েছি। আর তোমাদেরকে ওয়াদা দিয়েছিলাম তূর পাহাড়ের ডান পাশের* এবং আমি তোমাদের জন্য অবতরণ করেছিলাম ‘মান্না’ ও ‘সালওয়া’।

81 ৮১
کُلُوۡا مِنۡ طَیِّبٰتِ مَا رَزَقۡنٰکُمۡ وَ لَا تَطۡغَوۡا فِیۡهِ فَیَحِلَّ عَلَیۡکُمۡ غَضَبِیۡ ۚ وَ مَنۡ یَّحۡلِلۡ عَلَیۡهِ غَضَبِیۡ فَقَدۡ هَوٰی
کُلُوۡا مِنۡ طَیِّبٰتِ مَا رَزَقۡنٰکُمۡ وَ لَا تَطۡغَوۡا فِیۡهِ فَیَحِلَّ عَلَیۡکُمۡ غَضَبِیۡ ۚ وَ مَنۡ یَّحۡلِلۡ عَلَیۡهِ غَضَبِیۡ فَقَدۡ هَوٰی
৮১. অনুবাদ: আমি তোমাদেরকে যে রিয্ক দান করেছি তা থেকে ভালগুলো খাও এবং এতে সীমালংঘন করো না। করলে তোমাদের উপর আমার গযব পতিত হবে। আর যার উপর আমার গযব পতিত হয় সে অবশ্যই ধ্বংস হয়।

82 ৮২
وَ اِنِّیۡ لَغَفَّارٌ لِّمَنۡ تَابَ وَ اٰمَنَ وَ عَمِلَ صَالِحًا ثُمَّ اهۡتَدٰی
وَ اِنِّیۡ لَغَفَّارٌ لِّمَنۡ تَابَ وَ اٰمَنَ وَ عَمِلَ صَالِحًا ثُمَّ اهۡتَدٰی
৮২. অনুবাদ: আর অবশ্যই আমি তার প্রতি ক্ষমাশীল, যে তাওবা করে, ঈমান আনে এবং সৎকর্ম করে অতঃপর সৎ পথে চলতে থাকে।

83 ৮৩
وَ مَاۤ اَعۡجَلَکَ عَنۡ قَوۡمِکَ یٰمُوۡسٰی
وَ مَاۤ اَعۡجَلَکَ عَنۡ قَوۡمِکَ یٰمُوۡسٰی
৮৩. অনুবাদ: হে মূসা, কিসে তাড়াতাড়ি নিয়ে এসেছে তোমাকে, তোমার কওমকে পেছনে ফেলে?

84 ৮৪
قَالَ هُمۡ اُولَآءِ عَلٰۤی اَثَرِیۡ وَ عَجِلۡتُ اِلَیۡکَ رَبِّ لِتَرۡضٰی
قَالَ هُمۡ اُولَآءِ عَلٰۤی اَثَرِیۡ وَ عَجِلۡتُ اِلَیۡکَ رَبِّ لِتَرۡضٰی
৮৪. অনুবাদ: মূসা বলল, ‘এই তো তারা আমার পিছনে। হে আমার রব, আমি তাড়াতাড়ি করে আপনার নিকট এসেছি, যাতে আপনি আমার উপর সন্তুষ্ট হন’।

85 ৮৫
قَالَ فَاِنَّا قَدۡ فَتَنَّا قَوۡمَکَ مِنۡۢ بَعۡدِکَ وَ اَضَلَّهُمُ السَّامِرِیُّ
قَالَ فَاِنَّا قَدۡ فَتَنَّا قَوۡمَکَ مِنۡۢ بَعۡدِکَ وَ اَضَلَّهُمُ السَّامِرِیُّ
৮৫. অনুবাদ: আল্লাহ বললেন, ‘তোমার চলে আসার পর আমি তো তোমার কওমকে পরীক্ষায় ফেলে দিয়েছি। আর সামেরী তাদেরকে পথভ্রষ্ট করেছে’।

86 ৮৬
فَرَجَعَ مُوۡسٰۤی اِلٰی قَوۡمِهٖ غَضۡبَانَ اَسِفًا ۬ۚ قَالَ یٰقَوۡمِ اَلَمۡ یَعِدۡکُمۡ رَبُّکُمۡ وَعۡدًا حَسَنًا ۬ؕ اَفَطَالَ عَلَیۡکُمُ الۡعَهۡدُ اَمۡ اَرَدۡتُّمۡ اَنۡ یَّحِلَّ عَلَیۡکُمۡ غَضَبٌ مِّنۡ رَّبِّکُمۡ فَاَخۡلَفۡتُمۡ مَّوۡعِدِیۡ
فَرَجَعَ مُوۡسٰۤی اِلٰی قَوۡمِهٖ غَضۡبَانَ اَسِفًا ۬ۚ قَالَ یٰقَوۡمِ اَلَمۡ یَعِدۡکُمۡ رَبُّکُمۡ وَعۡدًا حَسَنًا ۬ؕ اَفَطَالَ عَلَیۡکُمُ الۡعَهۡدُ اَمۡ اَرَدۡتُّمۡ اَنۡ یَّحِلَّ عَلَیۡکُمۡ غَضَبٌ مِّنۡ رَّبِّکُمۡ فَاَخۡلَفۡتُمۡ مَّوۡعِدِیۡ
৮৬. অনুবাদ: তারপর মূসা ক্রোধ ও দুঃখভরে তার কওমের কাছে ফিরে গেল। সে বলল, ‘হে কওম, তোমাদের রব কি তোমাদের সাথে এক উত্তম ওয়াদা করেননি? তোমাদের কাছে কি সেই ওয়াদার সময় দীর্ঘ হয়ে গেছে? নাকি তোমরা চেয়েছ যে, তোমাদের উপর তোমাদের রবের গযব পতিত হোক? তাই তোমরা আমার সাথে কৃত ওয়াদা ভঙ্গ করলে’?

87 ৮৭
قَالُوۡا مَاۤ اَخۡلَفۡنَا مَوۡعِدَکَ بِمَلۡکِنَا وَ لٰکِنَّا حُمِّلۡنَاۤ اَوۡزَارًا مِّنۡ زِیۡنَۃِ الۡقَوۡمِ فَقَذَفۡنٰهَا فَکَذٰلِکَ اَلۡقَی السَّامِرِیُّ
قَالُوۡا مَاۤ اَخۡلَفۡنَا مَوۡعِدَکَ بِمَلۡکِنَا وَ لٰکِنَّا حُمِّلۡنَاۤ اَوۡزَارًا مِّنۡ زِیۡنَۃِ الۡقَوۡمِ فَقَذَفۡنٰهَا فَکَذٰلِکَ اَلۡقَی السَّامِرِیُّ
৮৭. অনুবাদ: তারা বলল, ‘আমরা তো স্বেচ্ছায় আপনার সাথে কৃত ওয়াদা ভঙ্গ করিনি, বরং কওমের অলংকারের বোঝা আমাদের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছিল। তাই আমরা তা (আগুনে) নিক্ষেপ করেছি, অনুরূপভাবে সামেরীও ফেলে দিয়েছে’।

88 ৮৮
فَاَخۡرَجَ لَهُمۡ عِجۡلًا جَسَدًا لَّهٗ خُوَارٌ فَقَالُوۡا هٰذَاۤ اِلٰـهُکُمۡ وَ اِلٰهُ مُوۡسٰی ۬ فَنَسِیَ
فَاَخۡرَجَ لَهُمۡ عِجۡلًا جَسَدًا لَّهٗ خُوَارٌ فَقَالُوۡا هٰذَاۤ اِلٰـهُکُمۡ وَ اِلٰهُ مُوۡسٰی ۬ فَنَسِیَ
৮৮. অনুবাদ: তারপর সে তাদের জন্য একটা গো বাছুরের প্রতিকৃতি বের করে আনল, যার ছিল আওয়াজ। তখন তারা বলল, ‘এটাই তোমাদের ইলাহ এবং মূসারও ইলাহ; কিন্তু সে এ কথা ভুলে গেছে’।

89 ৮৯
اَفَلَا یَرَوۡنَ اَلَّا یَرۡجِعُ اِلَیۡهِمۡ قَوۡلًا ۬ۙ وَّ لَا یَمۡلِکُ لَهُمۡ ضَرًّا وَّ لَا نَفۡعًا
اَفَلَا یَرَوۡنَ اَلَّا یَرۡجِعُ اِلَیۡهِمۡ قَوۡلًا ۬ۙ وَّ لَا یَمۡلِکُ لَهُمۡ ضَرًّا وَّ لَا نَفۡعًا
৮৯. অনুবাদ: তারা কি দেখে না যে, এটা তাদের কোন কথার জবাব দিতে পারে না, আর তাদের কোন ক্ষতি বা উপকার করার ক্ষমতাও রাখে না?

90 ৯০
وَ لَقَدۡ قَالَ لَهُمۡ هٰرُوۡنُ مِنۡ قَبۡلُ یٰقَوۡمِ اِنَّمَا فُتِنۡتُمۡ بِهٖ ۚ وَ اِنَّ رَبَّکُمُ الرَّحۡمٰنُ فَاتَّبِعُوۡنِیۡ وَ اَطِیۡعُوۡۤا اَمۡرِیۡ
وَ لَقَدۡ قَالَ لَهُمۡ هٰرُوۡنُ مِنۡ قَبۡلُ یٰقَوۡمِ اِنَّمَا فُتِنۡتُمۡ بِهٖ ۚ وَ اِنَّ رَبَّکُمُ الرَّحۡمٰنُ فَاتَّبِعُوۡنِیۡ وَ اَطِیۡعُوۡۤا اَمۡرِیۡ
৯০. অনুবাদ: আর হারূন পূর্বেই তাদেরকে বলেছিল, ‘হে আমার কওম, এটা দ্বারা তো কেবল তোমাদেরকে পরীক্ষায় ফেলা হয়েছে। আর তোমাদের রব তো পরম করুণাময়। তাই তোমরা আমার অনুসরণ কর এবং আমার আদেশ মেনে চল’।

91 ৯১
قَالُوۡا لَنۡ نَّبۡرَحَ عَلَیۡهِ عٰکِفِیۡنَ حَتّٰی یَرۡجِعَ اِلَیۡنَا مُوۡسٰی
قَالُوۡا لَنۡ نَّبۡرَحَ عَلَیۡهِ عٰکِفِیۡنَ حَتّٰی یَرۡجِعَ اِلَیۡنَا مُوۡسٰی
৯১. অনুবাদ: তারা বলল, ‘আমরা এর উপরই অবিচল থাকব যতক্ষণ না মূসা আমাদের কাছে ফিরে আসে’।

92 ৯২
قَالَ یٰهٰرُوۡنُ مَا مَنَعَکَ اِذۡ رَاَیۡتَهُمۡ ضَلُّوۡۤا
قَالَ یٰهٰرُوۡنُ مَا مَنَعَکَ اِذۡ رَاَیۡتَهُمۡ ضَلُّوۡۤا
৯২. অনুবাদ: মূসা বলল, ‘হে হারূন! তুমি যখন দেখলে যে, তারা পথভ্রষ্ট হয়ে গেছে তখন তোমাকে কিসে বিরত রাখল’

93 ৯৩
اَلَّا تَتَّبِعَنِ ؕ اَفَعَصَیۡتَ اَمۡرِیۡ
اَلَّا تَتَّبِعَنِ ؕ اَفَعَصَیۡتَ اَمۡرِیۡ
৯৩. অনুবাদ: যে তুমি আমার অনুসরণ করলে না? তাহলে তুমিও কি আমার আদেশ অমান্য করেছ’?

94 ৯৪
قَالَ یَبۡنَؤُمَّ لَا تَاۡخُذۡ بِلِحۡیَتِیۡ وَ لَا بِرَاۡسِیۡ ۚ اِنِّیۡ خَشِیۡتُ اَنۡ تَقُوۡلَ فَرَّقۡتَ بَیۡنَ بَنِیۡۤ اِسۡرَآءِیۡلَ وَ لَمۡ تَرۡقُبۡ قَوۡلِیۡ
قَالَ یَبۡنَؤُمَّ لَا تَاۡخُذۡ بِلِحۡیَتِیۡ وَ لَا بِرَاۡسِیۡ ۚ اِنِّیۡ خَشِیۡتُ اَنۡ تَقُوۡلَ فَرَّقۡتَ بَیۡنَ بَنِیۡۤ اِسۡرَآءِیۡلَ وَ لَمۡ تَرۡقُبۡ قَوۡلِیۡ
৯৪. অনুবাদ: সে বলল, ‘হে আমার সহোদর! আমার দাড়িও ধরো না, মাথার চুলও ধরো না। আমি আশংকা করেছিলাম যে, তুমি বলবে, তুমি বনী ইসরাঈলের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করেছ এবং আমার কথা রক্ষা করনি’।

95 ৯৫
قَالَ فَمَا خَطۡبُکَ یٰسَامِرِیُّ
قَالَ فَمَا خَطۡبُکَ یٰسَامِرِیُّ
৯৫. অনুবাদ: মূসা বলল, ‘হে সামেরী! তোমার কী অবস্থা’?

96 ৯৬
قَالَ بَصُرۡتُ بِمَا لَمۡ یَبۡصُرُوۡا بِهٖ فَقَبَضۡتُ قَبۡضَۃً مِّنۡ اَثَرِ الرَّسُوۡلِ فَنَبَذۡتُهَا وَ کَذٰلِکَ سَوَّلَتۡ لِیۡ نَفۡسِیۡ
قَالَ بَصُرۡتُ بِمَا لَمۡ یَبۡصُرُوۡا بِهٖ فَقَبَضۡتُ قَبۡضَۃً مِّنۡ اَثَرِ الرَّسُوۡلِ فَنَبَذۡتُهَا وَ کَذٰلِکَ سَوَّلَتۡ لِیۡ نَفۡسِیۡ
৯৬. অনুবাদ: সে বলল, ‘আমি এমন কিছু দেখেছি যা ওরা দেখেনি। তারপর আমি দূতের (জিবরীলের) পায়ের চিহ্ন থেকে এক মুষ্টি মাটি নিয়েছিলাম। অতঃপর তা নিক্ষেপ করেছিলাম। আর আমার মন আমার জন্য এরূপ করাটা শোভন করেছিল’।

97 ৯৭
قَالَ فَاذۡهَبۡ فَاِنَّ لَکَ فِی الۡحَیٰوۃِ اَنۡ تَقُوۡلَ لَا مِسَاسَ ۪ وَ اِنَّ لَکَ مَوۡعِدًا لَّنۡ تُخۡلَفَهٗ ۚ وَ انۡظُرۡ اِلٰۤی اِلٰـهِکَ الَّذِیۡ ظَلۡتَ عَلَیۡهِ عَاکِفًا ؕ لَنُحَرِّقَنَّهٗ ثُمَّ لَنَنۡسِفَنَّهٗ فِی الۡیَمِّ نَسۡفًا
قَالَ فَاذۡهَبۡ فَاِنَّ لَکَ فِی الۡحَیٰوۃِ اَنۡ تَقُوۡلَ لَا مِسَاسَ ۪ وَ اِنَّ لَکَ مَوۡعِدًا لَّنۡ تُخۡلَفَهٗ ۚ وَ انۡظُرۡ اِلٰۤی اِلٰـهِکَ الَّذِیۡ ظَلۡتَ عَلَیۡهِ عَاکِفًا ؕ لَنُحَرِّقَنَّهٗ ثُمَّ لَنَنۡسِفَنَّهٗ فِی الۡیَمِّ نَسۡفًا
৯৭. অনুবাদ: মূসা বলল, ‘যাও, তোমার শাস্তি হল, জীবদ্দশায় তুমি বলতে থাকবে, ‘আমি অস্পৃশ্য’। আর তোমার জন্য একটা নির্দিষ্ট সময় রইল যার কখনো ব্যতিক্রম হবে না। আর তুমি তোমার ইলাহের প্রতি চেয়ে দেখ, যার পূজায় তুমি রত ছিলে, আমরা তা অবশ্যই জ্বালিয়ে দেব। তারপর বিক্ষিপ্ত করে তা সাগরে নিক্ষেপ করবই’।

98 ৯৮
اِنَّمَاۤ اِلٰـهُکُمُ اللّٰهُ الَّذِیۡ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ ؕ وَسِعَ کُلَّ شَیۡءٍ عِلۡمًا
اِنَّمَاۤ اِلٰـهُکُمُ اللّٰهُ الَّذِیۡ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ ؕ وَسِعَ کُلَّ شَیۡءٍ عِلۡمًا
৯৮. অনুবাদ: ‘তোমাদের ইলাহ তো কেবল আল্লাহই। তিনি ছাড়া তোমাদের কোন ইলাহ নেই। সকল বিষয়েই তার জ্ঞান পরিব্যাপ্ত’।

99 ৯৯
کَذٰلِکَ نَقُصُّ عَلَیۡکَ مِنۡ اَنۡۢبَآءِ مَا قَدۡ سَبَقَ ۚ وَ قَدۡ اٰتَیۡنٰکَ مِنۡ لَّدُنَّا ذِکۡرًا
کَذٰلِکَ نَقُصُّ عَلَیۡکَ مِنۡ اَنۡۢبَآءِ مَا قَدۡ سَبَقَ ۚ وَ قَدۡ اٰتَیۡنٰکَ مِنۡ لَّدُنَّا ذِکۡرًا
৯৯. অনুবাদ: পূর্বে যা ঘটে গেছে তার কিছু সংবাদ এভাবেই আমি তোমার কাছে বর্ণনা করি। আর আমি তোমাকে আমার পক্ষ থেকে উপদেশ দান করেছি।

100 ১০০
مَنۡ اَعۡرَضَ عَنۡهُ فَاِنَّهٗ یَحۡمِلُ یَوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ وِزۡرًا
مَنۡ اَعۡرَضَ عَنۡهُ فَاِنَّهٗ یَحۡمِلُ یَوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ وِزۡرًا
১০০. অনুবাদ: তা থেকে যে বিমুখ হবে, অবশ্যই সে কিয়ামতের দিন পাপের বোঝা বহন করবে।

101 ১০১
خٰلِدِیۡنَ فِیۡهِ ؕ وَ سَآءَ لَهُمۡ یَوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ حِمۡلًا
خٰلِدِیۡنَ فِیۡهِ ؕ وَ سَآءَ لَهُمۡ یَوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ حِمۡلًا
১০১. অনুবাদ: সেখানে তারা স্থায়ী হবে এবং কিয়ামতের দিন এটা তাদের জন্য বোঝা হিসেবে কতই না মন্দ হবে!

102 ১০২
یَّوۡمَ یُنۡفَخُ فِی الصُّوۡرِ وَ نَحۡشُرُ الۡمُجۡرِمِیۡنَ یَوۡمَئِذٍ زُرۡقًا
یَّوۡمَ یُنۡفَخُ فِی الصُّوۡرِ وَ نَحۡشُرُ الۡمُجۡرِمِیۡنَ یَوۡمَئِذٍ زُرۡقًا
১০২. অনুবাদ: যেদিন শিংগায় ফুঁক দেয়া হবে, আর সেদিন আমি অপরাধীদেরকে দৃষ্টিহীন অবস্থায় সমবেত করব।

103 ১০৩
یَّتَخَافَتُوۡنَ بَیۡنَهُمۡ اِنۡ لَّبِثۡتُمۡ اِلَّا عَشۡرًا
یَّتَخَافَتُوۡنَ بَیۡنَهُمۡ اِنۡ لَّبِثۡتُمۡ اِلَّا عَشۡرًا
১০৩. অনুবাদ: সেদিন তারা চুপে চুপে নিজদের মধ্যে বলাবলি করবে, ‘তোমরা মাত্র দশদিন অবস্থান করেছিলে’।

104 ১০৪
نَحۡنُ اَعۡلَمُ بِمَا یَقُوۡلُوۡنَ اِذۡ یَقُوۡلُ اَمۡثَلُهُمۡ طَرِیۡقَۃً اِنۡ لَّبِثۡتُمۡ اِلَّا یَوۡمًا
نَحۡنُ اَعۡلَمُ بِمَا یَقُوۡلُوۡنَ اِذۡ یَقُوۡلُ اَمۡثَلُهُمۡ طَرِیۡقَۃً اِنۡ لَّبِثۡتُمۡ اِلَّا یَوۡمًا
১০৪. অনুবাদ: আমি ভালভাবেই জানি তারা কী বলবে, তাদের মধ্যে অপেক্ষাকৃত সৎপথে ছিল যে লোকটি সে বলবে, ‘তোমরা মাত্র একদিন অবস্থান করেছিলে’!

105 ১০৫
وَ یَسۡـَٔلُوۡنَکَ عَنِ الۡجِبَالِ فَقُلۡ یَنۡسِفُهَا رَبِّیۡ نَسۡفًا
وَ یَسۡـَٔلُوۡنَکَ عَنِ الۡجِبَالِ فَقُلۡ یَنۡسِفُهَا رَبِّیۡ نَسۡفًا
১০৫. অনুবাদ: আর তারা তোমাকে পাহাড় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। বল, ‘আমার রব এগুলোকে সমূলে উৎপাটন করে বিক্ষিপ্ত করে দিবেন’।

106 ১০৬
فَیَذَرُهَا قَاعًا صَفۡصَفًا
فَیَذَرُهَا قَاعًا صَفۡصَفًا
১০৬. অনুবাদ: ‘তারপর তিনি তাকে মসৃণ সমতলভূমি করে দিবেন’।

107 ১০৭
ا تَرٰی فِیۡهَا عِوَجًا وَّ لَاۤ اَمۡتًا
ا تَرٰی فِیۡهَا عِوَجًا وَّ لَاۤ اَمۡتًا
১০৭. অনুবাদ: ‘তাতে তুমি কোন বক্রতা ও উচ্চতা দেখবে না’।

108 ১০৮
یَوۡمَئِذٍ یَّتَّبِعُوۡنَ الدَّاعِیَ لَا عِوَجَ لَهٗ ۚ وَ خَشَعَتِ الۡاَصۡوَاتُ لِلرَّحۡمٰنِ فَلَا تَسۡمَعُ اِلَّا هَمۡسًا
یَوۡمَئِذٍ یَّتَّبِعُوۡنَ الدَّاعِیَ لَا عِوَجَ لَهٗ ۚ وَ خَشَعَتِ الۡاَصۡوَاتُ لِلرَّحۡمٰنِ فَلَا تَسۡمَعُ اِلَّا هَمۡسًا
১০৮. অনুবাদ: সেদিন তারা আহবানকারীর (ফেরেশতার) অনুসরণ করবে। এর কোন এদিক সেদিক হবে না এবং পরম করুণাময়ের সামনে সকল আওয়াজ নিচু হয়ে যাবে। তাই মৃদু আওয়াজ ছাড়া তুমি কিছুই শুনতে পাবে না।

109 ১০৯
یَوۡمَئِذٍ لَّا تَنۡفَعُ الشَّفَاعَۃُ اِلَّا مَنۡ اَذِنَ لَهُ الرَّحۡمٰنُ وَ رَضِیَ لَهٗ قَوۡلًا
یَوۡمَئِذٍ لَّا تَنۡفَعُ الشَّفَاعَۃُ اِلَّا مَنۡ اَذِنَ لَهُ الرَّحۡمٰنُ وَ رَضِیَ لَهٗ قَوۡلًا
১০৯. অনুবাদ: সেদিন পরম করুণাময় যাকে অনুমতি দিবেন আর যার কথায় তিনি সন্তুষ্ট হবেন তার সুপারিশ ছাড়া কারো সুপারিশ কোন কাজে আসবে না।

110 ১১০
یَعۡلَمُ مَا بَیۡنَ اَیۡدِیۡهِمۡ وَ مَا خَلۡفَهُمۡ وَ لَا یُحِیۡطُوۡنَ بِهٖ عِلۡمًا
یَعۡلَمُ مَا بَیۡنَ اَیۡدِیۡهِمۡ وَ مَا خَلۡفَهُمۡ وَ لَا یُحِیۡطُوۡنَ بِهٖ عِلۡمًا
১১০. অনুবাদ: তিনি তাদের আগের ও পরের সব কিছুই জানেন, কিন্তু তারা জ্ঞান দিয়ে তাঁকে বেষ্টন করতে পারবে না।

111 ১১১
وَ عَنَتِ الۡوُجُوۡهُ لِلۡحَیِّ الۡقَیُّوۡمِ ؕ وَ قَدۡ خَابَ مَنۡ حَمَلَ ظُلۡمًا
وَ عَنَتِ الۡوُجُوۡهُ لِلۡحَیِّ الۡقَیُّوۡمِ ؕ وَ قَدۡ خَابَ مَنۡ حَمَلَ ظُلۡمًا
১১১. অনুবাদ: আর চিরঞ্জীব, চিরপ্রতিষ্ঠিত সত্তার সামনে সকলেই অবনত হবে। আর সে অবশ্যই ব্যর্থ হবে যে যুলম বহন করবে।

112 ১১২
وَ مَنۡ یَّعۡمَلۡ مِنَ الصّٰلِحٰتِ وَ هُوَ مُؤۡمِنٌ فَلَا یَخٰفُ ظُلۡمًا وَّ لَا هَضۡمًا
وَ مَنۡ یَّعۡمَلۡ مِنَ الصّٰلِحٰتِ وَ هُوَ مُؤۡمِنٌ فَلَا یَخٰفُ ظُلۡمًا وَّ لَا هَضۡمًا
১১২. অনুবাদ: এবং যে মুমিন অবস্থায় ভাল কাজ করবে সে কোন যুলম বা ক্ষতির আশংকা করবে না।

113 ১১৩
وَ کَذٰلِکَ اَنۡزَلۡنٰهُ قُرۡاٰنًا عَرَبِیًّا وَّ صَرَّفۡنَا فِیۡهِ مِنَ الۡوَعِیۡدِ لَعَلَّهُمۡ یَتَّقُوۡنَ اَوۡ یُحۡدِثُ لَهُمۡ ذِکۡرًا
وَ کَذٰلِکَ اَنۡزَلۡنٰهُ قُرۡاٰنًا عَرَبِیًّا وَّ صَرَّفۡنَا فِیۡهِ مِنَ الۡوَعِیۡدِ لَعَلَّهُمۡ یَتَّقُوۡنَ اَوۡ یُحۡدِثُ لَهُمۡ ذِکۡرًا
১১৩. অনুবাদ: আর এভাবেই আমি আরবী ভাষায় কুরআন নাযিল করেছি এবং তাতে বিভিন্ন সতর্কবাণী বর্ণনা করেছি, যাতে তারা মুত্তাকী হতে পারে অথবা তা হয় তাদের জন্য উপদেশ।

114 ১১৪
فَتَعٰلَی اللّٰهُ الۡمَلِکُ الۡحَقُّ ۚ وَ لَا تَعۡجَلۡ بِالۡقُرۡاٰنِ مِنۡ قَبۡلِ اَنۡ یُّقۡضٰۤی اِلَیۡکَ وَحۡیُهٗ ۫ وَ قُلۡ رَّبِّ زِدۡنِیۡ عِلۡمًا
فَتَعٰلَی اللّٰهُ الۡمَلِکُ الۡحَقُّ ۚ وَ لَا تَعۡجَلۡ بِالۡقُرۡاٰنِ مِنۡ قَبۡلِ اَنۡ یُّقۡضٰۤی اِلَیۡکَ وَحۡیُهٗ ۫ وَ قُلۡ رَّبِّ زِدۡنِیۡ عِلۡمًا
১১৪. অনুবাদ: সুতরাং আল্লাহ মহান যিনি সত্যিকার অধিপতি; তোমার প্রতি ওহী সম্পূর্ণ হওয়ার পূর্বে তুমি কুরআন পাঠে তাড়াহুড়া করো না এবং তুমি বল, ‘হে আমার রব, আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করে দিন।’

115 ১১৫
وَ لَقَدۡ عَهِدۡنَاۤ اِلٰۤی اٰدَمَ مِنۡ قَبۡلُ فَنَسِیَ وَ لَمۡ نَجِدۡ لَهٗ عَزۡمًا
وَ لَقَدۡ عَهِدۡنَاۤ اِلٰۤی اٰدَمَ مِنۡ قَبۡلُ فَنَسِیَ وَ لَمۡ نَجِدۡ لَهٗ عَزۡمًا
১১৫. অনুবাদ: আর আমি ইতিপূর্বে আদমের প্রতি নির্দেশ দিয়েছিলাম; কিন্তু সে তা ভুলে গিয়েছিল এবং আমি তার মধ্যে সংকল্পে দৃঢ়তা পাইনি।

116 ১১৬
وَ اِذۡ قُلۡنَا لِلۡمَلٰٓئِکَۃِ اسۡجُدُوۡا لِاٰدَمَ فَسَجَدُوۡۤا اِلَّاۤ اِبۡلِیۡسَ ؕ اَبٰی
وَ اِذۡ قُلۡنَا لِلۡمَلٰٓئِکَۃِ اسۡجُدُوۡا لِاٰدَمَ فَسَجَدُوۡۤا اِلَّاۤ اِبۡلِیۡسَ ؕ اَبٰی
১১৬. অনুবাদ: আর স্মরণ কর, যখন আমি ফেরেশতাদেরকে বললাম, ‘তোমরা আদমকে সিজদা কর,’ তখন ইবলীস ছাড়া সকলেই সিজদা করল; সে অমান্য করল।

117 ১১৭
فَقُلۡنَا یٰۤـاٰدَمُ اِنَّ هٰذَا عَدُوٌّ لَّکَ وَ لِزَوۡجِکَ فَلَا یُخۡرِجَنَّکُمَا مِنَ الۡجَنَّۃِ فَتَشۡقٰی
فَقُلۡنَا یٰۤـاٰدَمُ اِنَّ هٰذَا عَدُوٌّ لَّکَ وَ لِزَوۡجِکَ فَلَا یُخۡرِجَنَّکُمَا مِنَ الۡجَنَّۃِ فَتَشۡقٰی
১১৭. অনুবাদ: অতঃপর আমি বললাম, ‘হে আদম, নিশ্চয় এ তোমার ও তোমার স্ত্রীর শত্রু। সুতরাং সে যেন তোমাদের উভয়কে জান্নাত থেকে কিছুতেই বের করে না দেয়, তাহলে তোমরা দুর্ভোগ পোহাবে’।

118 ১১৮
اِنَّ لَکَ اَلَّا تَجُوۡعَ فِیۡهَا وَ لَا تَعۡرٰی
اِنَّ لَکَ اَلَّا تَجُوۡعَ فِیۡهَا وَ لَا تَعۡرٰی
১১৮. অনুবাদ: ‘নিশ্চয় তোমার জন্য এ ব্যবস্থা যে, তুমি সেখানে ক্ষুধার্তও হবে না এবং বস্ত্রহীনও হবে না’।

119 ১১৯
وَ اَنَّکَ لَا تَظۡمَؤُا فِیۡهَا وَ لَا تَضۡحٰی
وَ اَنَّکَ لَا تَظۡمَؤُا فِیۡهَا وَ لَا تَضۡحٰی
১১৯. অনুবাদ: ‘আর সেখানে তুমি পিপাসার্তও হবে না এবং রৌদ্রদগ্ধও হবে না’।

120 ১২০
فَوَسۡوَسَ اِلَیۡهِ الشَّیۡطٰنُ قَالَ یٰۤـاٰدَمُ هَلۡ اَدُلُّکَ عَلٰی شَجَرَۃِ الۡخُلۡدِ وَ مُلۡکٍ لَّا یَبۡلٰی
فَوَسۡوَسَ اِلَیۡهِ الشَّیۡطٰنُ قَالَ یٰۤـاٰدَمُ هَلۡ اَدُلُّکَ عَلٰی شَجَرَۃِ الۡخُلۡدِ وَ مُلۡکٍ لَّا یَبۡلٰی
১২০. অনুবাদ: অতঃপর শয়তান তাকে কুমন্ত্রণা দিল, বলল, ‘হে আদম, আমি কি তোমাকে বলে দিব অনন্ত জীবনপ্রদ গাছ এবং অক্ষয় রাজত্ব সম্পর্কে?’

121 ১২১
فَاَکَلَا مِنۡهَا فَبَدَتۡ لَهُمَا سَوۡاٰتُهُمَا وَ طَفِقَا یَخۡصِفٰنِ عَلَیۡهِمَا مِنۡ وَّرَقِ الۡجَنَّۃِ ۫ وَ عَصٰۤی اٰدَمُ رَبَّهٗ فَغَوٰی
فَاَکَلَا مِنۡهَا فَبَدَتۡ لَهُمَا سَوۡاٰتُهُمَا وَ طَفِقَا یَخۡصِفٰنِ عَلَیۡهِمَا مِنۡ وَّرَقِ الۡجَنَّۃِ ۫ وَ عَصٰۤی اٰدَمُ رَبَّهٗ فَغَوٰی
১২১. অনুবাদ: অতঃপর তারা উভয়েই সে গাছ থেকে খেল। তখন তাদের উভয়ের সতর তাদের সামনে প্রকাশ হয়ে পড়ল এবং তারা জান্নাতের গাছের পাতা দিয়ে নিজদেরকে আবৃত করতে লাগল এবং আদম তার রবের হুকুম অমান্য করল; ফলে সে বিভ্রান্ত হল।

122 ১২২
ثُمَّ اجۡتَبٰهُ رَبُّهٗ فَتَابَ عَلَیۡهِ وَ هَدٰی
ثُمَّ اجۡتَبٰهُ رَبُّهٗ فَتَابَ عَلَیۡهِ وَ هَدٰی
১২২. অনুবাদ: এরপর তার রব তাকে মনোনীত করলেন, অতঃপর তার তাওবা কবূল করলেন এবং তাকে পথনির্দেশ করলেন।

123 ১২৩
قَالَ اهۡبِطَا مِنۡهَا جَمِیۡعًۢا بَعۡضُکُمۡ لِبَعۡضٍ عَدُوٌّ ۚ فَاِمَّا یَاۡتِیَنَّکُمۡ مِّنِّیۡ هُدًی ۬ۙ فَمَنِ اتَّبَعَ هُدَایَ فَلَا یَضِلُّ وَ لَا یَشۡقٰی
قَالَ اهۡبِطَا مِنۡهَا جَمِیۡعًۢا بَعۡضُکُمۡ لِبَعۡضٍ عَدُوٌّ ۚ فَاِمَّا یَاۡتِیَنَّکُمۡ مِّنِّیۡ هُدًی ۬ۙ فَمَنِ اتَّبَعَ هُدَایَ فَلَا یَضِلُّ وَ لَا یَشۡقٰی
১২৩. অনুবাদ: তিনি বললেন, ‘তোমরা উভয়েই জান্নাত হতে এক সাথে নেমে যাও। তোমরা একে অপরের শত্রু। অতঃপর যখন তোমাদের কাছে আমার পক্ষ থেকে হিদায়াত আসবে, তখন যে আমার হিদায়াতের অনুসরণ করবে সে বিপথগামী হবে না এবং দুর্ভাগাও হবে না’।

124 ১২৪
وَ مَنۡ اَعۡرَضَ عَنۡ ذِکۡرِیۡ فَاِنَّ لَهٗ مَعِیۡشَۃً ضَنۡکًا وَّ نَحۡشُرُهٗ یَوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ اَعۡمٰی
وَ مَنۡ اَعۡرَضَ عَنۡ ذِکۡرِیۡ فَاِنَّ لَهٗ مَعِیۡشَۃً ضَنۡکًا وَّ نَحۡشُرُهٗ یَوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ اَعۡمٰی
১২৪. অনুবাদ: ‘আর যে আমার স্মরণ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে, তার জন্য হবে নিশ্চয় এক সংকুচিত জীবন এবং আমি তাকে কিয়ামত দিবসে উঠাবো অন্ধ অবস্থায়।

125 ১২৫
قَالَ رَبِّ لِمَ حَشَرۡتَنِیۡۤ اَعۡمٰی وَ قَدۡ کُنۡتُ بَصِیۡرًا
قَالَ رَبِّ لِمَ حَشَرۡتَنِیۡۤ اَعۡمٰی وَ قَدۡ کُنۡتُ بَصِیۡرًا
১২৫. অনুবাদ: সে বলবে, ‘হে আমার রব, কেন আপনি আমাকে অন্ধ অবস্থায় উঠালেন? অথচ আমি তো ছিলাম দৃষ্টিশক্তি সম্পন্ন’?

126 ১২৬
قَالَ کَذٰلِکَ اَتَتۡکَ اٰیٰتُنَا فَنَسِیۡتَهَا ۚ وَکَذٰلِکَ الۡیَوۡمَ تُنۡسٰی
قَالَ کَذٰلِکَ اَتَتۡکَ اٰیٰتُنَا فَنَسِیۡتَهَا ۚ وَکَذٰلِکَ الۡیَوۡمَ تُنۡسٰی
১২৬. অনুবাদ: তিনি বলবেন, ‘এমনিভাবেই তোমার নিকট আমার নিদর্শনাবলী এসেছিল, কিন্তু তুমি তা ভুলে গিয়েছিলে এবং সেভাবেই আজ তোমাকে ভুলে যাওয়া হল’।

127 ১২৭
وَ کَذٰلِکَ نَجۡزِیۡ مَنۡ اَسۡرَفَ وَ لَمۡ یُؤۡمِنۡۢ بِاٰیٰتِ رَبِّهٖ ؕ وَ لَعَذَابُ الۡاٰخِرَۃِ اَشَدُّ وَ اَبۡقٰی
وَ کَذٰلِکَ نَجۡزِیۡ مَنۡ اَسۡرَفَ وَ لَمۡ یُؤۡمِنۡۢ بِاٰیٰتِ رَبِّهٖ ؕ وَ لَعَذَابُ الۡاٰخِرَۃِ اَشَدُّ وَ اَبۡقٰی
১২৭. অনুবাদ: আর এভাবেই আমি প্রতিফল দান করি তাকে, যে বাড়াবাড়ি করে এবং তার রবের নিদর্শনাবলীতে ঈমান আনে না। আর আখিরাতের আযাব তো অবশ্যই কঠোরতর ও অধিকতর স্থায়ী।

128 ১২৮
اَفَلَمۡ یَهۡدِ لَهُمۡ کَمۡ اَهۡلَکۡنَا قَبۡلَهُمۡ مِّنَ الۡقُرُوۡنِ یَمۡشُوۡنَ فِیۡ مَسٰکِنِهِمۡ ؕ اِنَّ فِیۡ ذٰلِکَ لَاٰیٰتٍ لِّاُولِی النُّهٰی
اَفَلَمۡ یَهۡدِ لَهُمۡ کَمۡ اَهۡلَکۡنَا قَبۡلَهُمۡ مِّنَ الۡقُرُوۡنِ یَمۡشُوۡنَ فِیۡ مَسٰکِنِهِمۡ ؕ اِنَّ فِیۡ ذٰلِکَ لَاٰیٰتٍ لِّاُولِی النُّهٰی
১২৮. অনুবাদ: এটি কি তাদেরকে সৎপথ প্রদর্শন করল না যে, আমি তাদের পূর্বে কত মানবগোষ্ঠীকে ধ্বংস করে দিয়েছি, যাদের বাসভূমিতে তারা বিচরণ করে? নিশ্চয় এর মধ্যে রয়েছে বিবেকসম্পন্নদের জন্য নিদর্শন।

129 ১২৯
وَ لَوۡ لَا کَلِمَۃٌ سَبَقَتۡ مِنۡ رَّبِّکَ لَکَانَ لِزَامًا وَّ اَجَلٌ مُّسَمًّی
وَ لَوۡ لَا کَلِمَۃٌ سَبَقَتۡ مِنۡ رَّبِّکَ لَکَانَ لِزَامًا وَّ اَجَلٌ مُّسَمًّی
১২৯. অনুবাদ: আর যদি তোমার রবের পক্ষ থেকে পূর্ব সিদ্ধান্ত ও একটি কাল নির্ধারিত হয়ে না থাকত, তবে আশু শাস্তি অবশ্যম্ভাবী হত।

130 ১৩০
فَاصۡبِرۡ عَلٰی مَا یَقُوۡلُوۡنَ وَ سَبِّحۡ بِحَمۡدِ رَبِّکَ قَبۡلَ طُلُوۡعِ الشَّمۡسِ وَ قَبۡلَ غُرُوۡبِهَا ۚ وَ مِنۡ اٰنَآیِٔ الَّیۡلِ فَسَبِّحۡ وَ اَطۡرَافَ النَّهَارِ لَعَلَّکَ تَرۡضٰی
فَاصۡبِرۡ عَلٰی مَا یَقُوۡلُوۡنَ وَ سَبِّحۡ بِحَمۡدِ رَبِّکَ قَبۡلَ طُلُوۡعِ الشَّمۡسِ وَ قَبۡلَ غُرُوۡبِهَا ۚ وَ مِنۡ اٰنَآیِٔ الَّیۡلِ فَسَبِّحۡ وَ اَطۡرَافَ النَّهَارِ لَعَلَّکَ تَرۡضٰی
১৩০. অনুবাদ: সুতরাং এরা যা বলে তার উপর ধৈর্য ধারণ কর এবং তাসবীহ পাঠ কর তোমার রবের প্রশংসা বর্ণনার মাধ্যমে, সূর্যোদয়ের পূর্বে, সূর্যাস্তের পূর্বে এবং তাসবীহ পাঠ কর রাতের কিছু অংশে ও দিনের প্রান্তসমূহে, যাতে তুমি সন্তুষ্ট হতে পার।

131 ১৩১
وَ لَا تَمُدَّنَّ عَیۡنَیۡکَ اِلٰی مَا مَتَّعۡنَا بِهٖۤ اَزۡوَاجًا مِّنۡهُمۡ زَهۡرَۃَ الۡحَیٰوۃِ الدُّنۡیَا ۬ۙ لِنَفۡتِنَهُمۡ فِیۡهِ ؕ وَ رِزۡقُ رَبِّکَ خَیۡرٌ وَّ اَبۡقٰی
وَ لَا تَمُدَّنَّ عَیۡنَیۡکَ اِلٰی مَا مَتَّعۡنَا بِهٖۤ اَزۡوَاجًا مِّنۡهُمۡ زَهۡرَۃَ الۡحَیٰوۃِ الدُّنۡیَا ۬ۙ لِنَفۡتِنَهُمۡ فِیۡهِ ؕ وَ رِزۡقُ رَبِّکَ خَیۡرٌ وَّ اَبۡقٰی
১৩১. অনুবাদ: আর তুমি কখনো প্রসারিত করো না তোমার দু’চোখ সে সবের প্রতি, যা আমি তাদের বিভিন্ন শ্রেণীকে দুনিয়ার জীবনের জাঁক-জমকস্বরূপ উপভোগের উপকরণ হিসেবে দিয়েছি। যাতে আমি সে বিষয়ে তাদেরকে পরীক্ষা করে নিতে পারি। আর তোমার রবের প্রদত্ত রিয্ক সর্বোৎকৃষ্ট ও অধিকতর স্থায়ী।

132 ১৩২
وَ اۡمُرۡ اَهۡلَکَ بِالصَّلٰوۃِ وَ اصۡطَبِرۡ عَلَیۡهَا ؕ لَا نَسۡـَٔلُکَ رِزۡقًا ؕ نَحۡنُ نَرۡزُقُکَ ؕ وَ الۡعَاقِبَۃُ لِلتَّقۡوٰی
وَ اۡمُرۡ اَهۡلَکَ بِالصَّلٰوۃِ وَ اصۡطَبِرۡ عَلَیۡهَا ؕ لَا نَسۡـَٔلُکَ رِزۡقًا ؕ نَحۡنُ نَرۡزُقُکَ ؕ وَ الۡعَاقِبَۃُ لِلتَّقۡوٰی
১৩২. অনুবাদ: আর তোমার পরিবার-পরিজনকে সালাত আদায়ের আদেশ দাও এবং নিজেও তার উপর অবিচল থাক। আমি তোমার কাছে কোন রিয্ক চাই না। আমিই তোমাকে রিয্ক দেই আর শুভ পরিণাম তো মুত্তাকীদের জন্য।

133 ১৩৩
وَ قَالُوۡا لَوۡ لَا یَاۡتِیۡنَا بِاٰیَۃٍ مِّنۡ رَّبِّهٖ ؕ اَوَ لَمۡ تَاۡتِهِمۡ بَیِّنَۃُ مَا فِی الصُّحُفِ الۡاُوۡلٰی
وَ قَالُوۡا لَوۡ لَا یَاۡتِیۡنَا بِاٰیَۃٍ مِّنۡ رَّبِّهٖ ؕ اَوَ لَمۡ تَاۡتِهِمۡ بَیِّنَۃُ مَا فِی الصُّحُفِ الۡاُوۡلٰی
১৩৩. অনুবাদ: আর তারা বলে, ‘সে তার রবের কাছ থেকে আমাদের নিকট কোন নিদর্শন নিয়ে আসে না কেন’? পূর্ববর্তী গ্রন্থসমূহে যে সুস্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে তা কি তাদের কাছে আসেনি?

134 ১৩৪
وَ لَوۡ اَنَّـاۤ اَهۡلَکۡنٰهُمۡ بِعَذَابٍ مِّنۡ قَبۡلِهٖ لَقَالُوۡا رَبَّنَا لَوۡ لَاۤ اَرۡسَلۡتَ اِلَیۡنَا رَسُوۡلًا فَنَتَّبِعَ اٰیٰتِکَ مِنۡ قَبۡلِ اَنۡ نَّذِلَّ وَ نَخۡزٰی
وَ لَوۡ اَنَّـاۤ اَهۡلَکۡنٰهُمۡ بِعَذَابٍ مِّنۡ قَبۡلِهٖ لَقَالُوۡا رَبَّنَا لَوۡ لَاۤ اَرۡسَلۡتَ اِلَیۡنَا رَسُوۡلًا فَنَتَّبِعَ اٰیٰتِکَ مِنۡ قَبۡلِ اَنۡ نَّذِلَّ وَ نَخۡزٰی
১৩৪. অনুবাদ: আর যদি আমি তাদেরকে ইতঃপূর্বে কোন আযাব দ্বারা ধ্বংস করতাম তবে অবশ্যই, তারা বলত, ‘হে আমাদের রব, আপনি আমাদের কাছে কোন রাসূল পাঠালেন না কেন? তাহলে তো আমরা লাঞ্ছিত ও অপমানিত হওয়ার পূর্বে আপনার নিদর্শনাবলী অনুসরণ করতাম’।

135 ১৩৫
قُلۡ کُلٌّ مُّتَرَبِّصٌ فَتَرَبَّصُوۡا ۚ فَسَتَعۡلَمُوۡنَ مَنۡ اَصۡحٰبُ الصِّرَاطِ السَّوِیِّ وَ مَنِ اهۡتَدٰی
قُلۡ کُلٌّ مُّتَرَبِّصٌ فَتَرَبَّصُوۡا ۚ فَسَتَعۡلَمُوۡنَ مَنۡ اَصۡحٰبُ الصِّرَاطِ السَّوِیِّ وَ مَنِ اهۡتَدٰی
১৩৫. অনুবাদ: বল, ‘প্রত্যেকেই প্রতীক্ষা করছে, অতএব তোমরাও প্রতীক্ষায় থাক। শীঘ্রই তোমরা জানতে পারবে কারা সঠিক পথের উপর রয়েছে এবং কারা হিদায়াতপ্রাপ্ত’।

কপিরাইট
আমাদের সকল কন্টেন্ট কপিরাইট সংরক্ষিত
ডেভলোপারঃ মুহিব্বুল্লাহ
গোপনীয়তা নীতি

প্রিয় পাঠক
আমাদের সকল প্রজেক্টসমূহ সম্পূর্ণ ব্যাক্তি উদ্যোগে পরিচালিত, আপনাদের দোয়া ও সহযোগিতা দ্বীনের এই কাজকে আরও প্রসারিত করবে ইন-শা-আল্লাহ।