Quranul Hakim - কুরআনুল হাকিম

সূরা তালিকা

	১. আল-ফাতিহা মাক্কী	الفاتحة আয়াত: ৭

	২. আল-বাকারা মাদানী	البقرة আয়াত: ২৮৬

	৩. আলে-ইমরান মাদানী	آل عمران আয়াত: ২০০

	৪. আন-নিসা মাদানী	النساء আয়াত: ১৭৬

	৫. আল-মায়েদা মাদানী	المائدة আয়াত: ১২০

	৬. আল-আনআম মাক্কী	الأنعام আয়াত: ১৬৫

	৭. আল-আরাফ মাক্কী	الأعراف আয়াত: ২০৬

	৮. আল-আনফাল মাদানী	الأنفال আয়াত: ৭৫

	৯. আত-তাওবা মাদানী	التوبة আয়াত: ১২৯

	১০. ইউনুস মাক্কী	يونس আয়াত: ১০৯

	১১. হূদ মাক্কী	هود আয়াত: ১২৩

	১২. ইউসুফ মাক্কী	يوسف আয়াত: ১১১

	১৩. আর-রাদ মাদানী	الرعد আয়াত: ৪৩

	১৪. ইবরাহীম মাক্কী	ابراهيم আয়াত: ৫২

	১৫. আল-হিজর মাক্কী	الحجر আয়াত: ৯৯

	১৬. আন-নাহাল মাক্কী	النحل আয়াত: ১২৮

	১৭. আল-ইসরা (বনী-ইসরাঈল) মাক্কী	الإسراء আয়াত: ১১১

	১৮. আল-কাহফ মাক্কী	الكهف আয়াত: ১১০

	১৯. মারইয়াম মাক্কী	مريم আয়াত: ৯৮

	২০. ত্ব-হা মাক্কী	طه আয়াত: ১৩৫

	২১. আল-আম্বিয়া মাক্কী	الأنبياء আয়াত: ১১২

	২২. আল-হজ্জ মাদানী	الحج আয়াত: ৭৮

	২৩. আল-মুমিনুন মাক্কী	المؤمنون আয়াত: ১১৮

	২৪. আন-নূর মাদানী	النور আয়াত: ৬৪

	২৫. আল-ফুরকান মাক্কী	الفرقان আয়াত: ৭৭

	২৬. আশ-শুআরা মাক্কী	الشعراء আয়াত: ২২৭

	২৭. আন-নামাল মাক্কী	النمل আয়াত: ৯৩

	২৮. আল-কাসাস মাক্কী	القصص আয়াত: ৮৮

	২৯. আল-আনকাবূত মাক্কী	العنكبوت আয়াত: ৬৯

	৩০. আর-রুম মাক্কী	الروم আয়াত: ৬০

	৩১. লুকমান মাক্কী	لقمان আয়াত: ৩৪

	৩২. আস-সাজদাহ মাক্কী	السجدة আয়াত: ৩০

	৩৩. আল-আহযাব মাদানী	الأحزاب আয়াত: ৭৩

	৩৪. সাবা মাক্কী	سبإ আয়াত: ৫৪

	৩৫. ফাতির মাক্কী	فاطر আয়াত: ৪৫

	৩৬. ইয়াসীন মাক্কী	يس আয়াত: ৮৩

	৩৭. আস-সাফফাত মাক্কী	الصافات আয়াত: ১৮২

	৩৮. সোয়াদ মাক্কী	ص আয়াত: ৮৮

	৩৯. আয-যুমার মাক্কী	الزمر আয়াত: ৭৫

	৪০. গাফির (আল মুমিন) মাক্কী	غافر আয়াত: ৮৫

	৪১. হা-মীম আস-সাজদা (ফুসসিলাত) মাক্কী	فصلت আয়াত: ৫৪

	৪২. আশ-শূরা মাক্কী	الشورى আয়াত: ৫৩

	৪৩. আয-যুখরুফ মাক্কী	الزخرف আয়াত: ৮৯

	৪৪. আদ-দুখান মাক্কী	الدخان আয়াত: ৫৯

	৪৫. আল-জাসিয়া মাক্কী	الجاثية আয়াত: ৩৭

	৪৬. আল-আহকাফ মাক্কী	الأحقاف আয়াত: ৩৫

	৪৭. মুহাম্মাদ মাদানী	محمد আয়াত: ৩৮

	৪৮. আল-ফাতহ মাদানী	الفتح আয়াত: ২৯

	৪৯. আল-হুজুরাত মাদানী	الحجرات আয়াত: ১৮

	৫০. কাফ মাক্কী	ق আয়াত: ৪৫

	৫১. আয-যারিয়াত মাক্কী	سورة الذاريات আয়াত: ৬০

	৫২. আত-তূর মাক্কী	الطور আয়াত: ৪৯

	৫৩. আন-নাজম মাক্কী	النجم আয়াত: ৬২

	৫৪. আল-কামার মাক্কী	القمر আয়াত: ৫৫

	৫৫. আর-রাহমান মাদানী	الرحمن আয়াত: ৭৮

	৫৬. আল-ওয়াকিয়া মাক্কী	الواقعة আয়াত: ৯৬

	৫৭. আল-হাদীদ মাদানী	الحديد আয়াত: ২৯

	৫৮. আল-মুজাদালা মাদানী	المجادلة আয়াত: ২২

	৫৯. আল-হাশর মাদানী	الحشر আয়াত: ২৪

	৬০. আল-মুমতাহিনা মাদানী	الممتحنة আয়াত: ১৩

	৬১. আস-সফ মাদানী	الصف আয়াত: ১৪

	৬২. আল-জুমুআ মাদানী	الجمعة আয়াত: ১১

	৬৩. আল-মুনাফিকূন মাদানী	المنافقون আয়াত: ১১

	৬৪. আত-তাগাবুন মাদানী	التغابن আয়াত: ১৮

	৬৫. আত-ত্বলাক্ব মাদানী	الطلاق আয়াত: ১২

	৬৬. আত-তাহরীম মাদানী	التحريم আয়াত: ১২

	৬৭. আল-মুলক মাক্কী	الملك আয়াত: ৩০

	৬৮. আল-কলম মাক্কী	القلم আয়াত: ৫২

	৬৯. আল-হাক্কাহ মাক্কী	الحاقة আয়াত: ৫২

	৭০. আল-মাআরিজ মাক্কী	المعارج আয়াত: ৪৪

	৭১. নূহ মাক্কী	نوح আয়াত: ২৮

	৭২. আল-জ্বিন মাক্কী	الجن আয়াত: ২৯

	৭৩. আল-মুযযাম্মিল মাক্কী	المزمل আয়াত: ২০

	৭৪. আল-মুদ্দাসসির মাক্কী	المدثر আয়াত: ৫৬

	৭৫. আল-ক্বিয়ামাহ মাক্কী	القيامة আয়াত: ৪০

	৭৬. আল-ইনসান (আদ-দাহর) মাদানী	الانسان আয়াত: ৩১

	৭৭. আল-মুরসালাত মাক্কী	المرسلات আয়াত: ৫০

	৭৮. আন-নাবা মাক্কী	النبإ আয়াত: ৪০

	৭৯. আন-নাযিআত মাক্কী	النازعات আয়াত: ৪৬

	৮০. আবাসা মাক্কী	عبس আয়াত: ৪২

	৮১. আত-তাকভীর মাক্কী	التكوير আয়াত: ২৯

	৮২. আল-ইনফিতার মাক্কী	الإنفطار আয়াত: ১৯

	৮৩. আল-মুতাফফিফীন মাক্কী	المطففين আয়াত: ৩৬

	৮৪. আল-ইনশিকাক মাক্কী	الإنشقاق আয়াত: ২৫

	৮৫. আল-বুরুজ মাক্কী	البروج আয়াত: ২২

	৮৬. আত-তারিক মাক্কী	الطارق আয়াত: ১৭

	৮৭. আল-আলা মাক্কী	الأعلى আয়াত: ১৯

	৮৮. আল-গাশিয়া মাক্কী	الغاشية আয়াত: ২৬

	৮৯. আল-ফাজর মাক্কী	الفجر আয়াত: ৩০

	৯০. আল-বালাদ মাক্কী	البلد আয়াত: ২০

	৯১. আশ-শামস মাক্কী	الشمس আয়াত: ১৫

	৯২. আল-লাইল মাক্কী	الليل আয়াত: ২১

	৯৩. আদ-দুহা মাক্কী	الضحى আয়াত: ১১

	৯৪. আল-ইনশিরাহ মাক্কী	الشرح আয়াত: ৮

	৯৫. আত-ত্বীন মাক্কী	التين আয়াত: ৮

	৯৬. আল-আলাক মাক্কী	العلق আয়াত: ১৯

	৯৭. আল-কাদর মাক্কী	القدر আয়াত: ৫

	৯৮. আল-বায়্যিনাহ মাদানী	البينة আয়াত: ৮

	৯৯. আয-যিলযাল মাদানী	الزلزلة আয়াত: ৮

	১০০. আল-আদিয়াত মাক্কী	العاديات আয়াত: ১১

	১০১. আল-কারিআ মাক্কী	القارعة আয়াত: ১১

	১০২. আত-তাকাসুর মাক্কী	التكاثر আয়াত: ৮

	১০৩. আল-আসর মাক্কী	العصر আয়াত: ৩

	১০৪. আল-হুমাযা মাক্কী	الهمزة আয়াত: ৯

	১০৫. আল-ফীল মাক্কী	الفيل আয়াত: ৫

	১০৬. আল-কুরাইশ মাক্কী	قريش আয়াত: ৪

	১০৭. আল-মাঊন মাক্কী	الماعون আয়াত: ৭

	১০৮. আল-কাউসার মাক্কী	الكوثر আয়াত: ৩

	১০৯. কাফিরুন মাক্কী	الكافرون আয়াত: ৬

	১১০. আন-নাসর মাদানী	النصر আয়াত: ৩

	১১১. লাহাব মাক্কী	المسد আয়াত: ৫

	১১২. আল-ইখলাস মাক্কী	الإخلاص আয়াত: ৪

	১১৩. আল-ফালাক মাক্কী	الفلق আয়াত: ৫

	১১৪. আন-নাস মাক্কী	الناس আয়াত: ৬

সূরা: ৩৪, সাবা - ( سبإ)

সূরার ধরন:

মাক্কী , মোট আয়াত: ৬

اَلۡحَمۡدُ لِلّٰهِ الَّذِیۡ لَهٗ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَ مَا فِی الۡاَرۡضِ وَ لَهُ الۡحَمۡدُ فِی الۡاٰخِرَۃِ ؕ وَ هُوَ الۡحَکِیۡمُ الۡخَبِیۡرُ

১. অনুবাদ: সব প্রশংসা আল্লাহর, যিনি আসমানসমূহে যা কিছু আছে ও যমীনে যা কিছু আছে তার মালিক। আর আখিরাতেও সকল প্রশংসা তাঁরই এবং তিনি প্রজ্ঞাময়, সম্যক অবগত।

یَعۡلَمُ مَا یَلِجُ فِی الۡاَرۡضِ وَ مَا یَخۡرُجُ مِنۡهَا وَ مَا یَنۡزِلُ مِنَ السَّمَآءِ وَ مَا یَعۡرُجُ فِیۡهَا ؕ وَ هُوَ الرَّحِیۡمُ الۡغَفُوۡرُ

২. অনুবাদ: তিনি জানেন যমীনে যা প্রবেশ করে এবং তা থেকে যা বের হয়; আর আসমান থেকে যা নাযিল হয় এবং তাতে যা উঠে* । আর তিনি পরম দয়ালু, অতিশয় ক্ষমাশীল।

وَ قَالَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا لَا تَاۡتِیۡنَا السَّاعَۃُ ؕ قُلۡ بَلٰی وَ رَبِّیۡ لَتَاۡتِیَنَّکُمۡ ۙ عٰلِمِ الۡغَیۡبِ ۚ لَا یَعۡزُبُ عَنۡهُ مِثۡقَالُ ذَرَّۃٍ فِی السَّمٰوٰتِ وَ لَا فِی الۡاَرۡضِ وَ لَاۤ اَصۡغَرُ مِنۡ ذٰلِکَ وَ لَاۤ اَکۡبَرُ اِلَّا فِیۡ کِتٰبٍ مُّبِیۡنٍ

৩. অনুবাদ: আর কাফিররা বলে, ‘কিয়ামত আমাদের কাছে আসবে না।’ বল, ‘অবশ্যই, আমার রবের কসম! যিনি গায়েব সম্পর্কে অবগত, তা তোমাদের কাছে আসবেই। আসমানসমূহ ও যমীনে অনু পরিমাণ কিংবা তদপেক্ষা ছোট অথবা বড় কিছুই তাঁর অগোচরে নেই, বরং সবই সুস্পষ্ট কিতাবে রয়েছে,

لِّیَجۡزِیَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ ؕ اُولٰٓئِکَ لَهُمۡ مَّغۡفِرَۃٌ وَّ رِزۡقٌ کَرِیۡمٌ

৪. অনুবাদ: যাতে তিনি প্রতিদান দেন তাদেরকে যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে। তাদেরই জন্য রয়েছে ক্ষমা ও সম্মানজনক রিয্ক।

وَ الَّذِیۡنَ سَعَوۡ فِیۡۤ اٰیٰتِنَا مُعٰجِزِیۡنَ اُولٰٓئِکَ لَهُمۡ عَذَابٌ مِّنۡ رِّجۡزٍ اَلِیۡمٌ

৫. অনুবাদ: আর যারা আমার আয়াতসমূহকে ব্যর্থ করে দেয়ার চেষ্টা চালায়, তাদেরই জন্য রয়েছে কঠোর পীড়াদায়ক আযাব।

وَ یَرَی الَّذِیۡنَ اُوۡتُوا الۡعِلۡمَ الَّذِیۡۤ اُنۡزِلَ اِلَیۡکَ مِنۡ رَّبِّکَ هُوَ الۡحَقَّ ۙ وَ یَهۡدِیۡۤ اِلٰی صِرَاطِ الۡعَزِیۡزِ الۡحَمِیۡدِ

৬. অনুবাদ: আর যাদেরকে জ্ঞান দেয়া হয়েছে তারা জানে যে, তোমার রবের পক্ষ থেকে তোমার প্রতি যা নাযিল করা হয়েছে তা সত্য এবং তা মহাপরাক্রমশালী ও প্রশংসিত আল্লাহর পথের দিকে হিদায়াত করে।

وَ قَالَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا هَلۡ نَدُلُّکُمۡ عَلٰی رَجُلٍ یُّنَبِّئُکُمۡ اِذَا مُزِّقۡتُمۡ کُلَّ مُمَزَّقٍ ۙ اِنَّکُمۡ لَفِیۡ خَلۡقٍ جَدِیۡدٍ ۚ

৭. অনুবাদ: আর কাফিররা বলে, ‘আমরা কি তোমাদেরকে এমন এক ব্যক্তির সন্ধান দেব, যে তোমাদেরকে সংবাদ দেয় যে, তোমরা যখন পুরোপুরি ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যাবে তখন নিশ্চয় তোমরা নতুনভাবে সৃজিত হবে’?

اَفۡتَرٰی عَلَی اللّٰهِ کَذِبًا اَمۡ بِهٖ جِنَّۃٌ ؕ بَلِ الَّذِیۡنَ لَا یُؤۡمِنُوۡنَ بِالۡاٰخِرَۃِ فِی الۡعَذَابِ وَ الضَّلٰلِ الۡبَعِیۡدِ

৮. অনুবাদ: সে কি আল্লাহ সম্পর্কে মিথ্যা রচনা করে, না কি তার পাগলামী রয়েছে? বরং যারা আখিরাতের প্রতি ঈমান রাখে না তারা আযাব ও সুদূর বিভ্রান্তির মধ্যে রয়েছে।

اَفَلَمۡ یَرَوۡا اِلٰی مَا بَیۡنَ اَیۡدِیۡهِمۡ وَ مَا خَلۡفَهُمۡ مِّنَ السَّمَآءِ وَ الۡاَرۡضِ ؕ اِنۡ نَّشَاۡ نَخۡسِفۡ بِهِمُ الۡاَرۡضَ اَوۡ نُسۡقِطۡ عَلَیۡهِمۡ کِسَفًا مِّنَ السَّمَآءِ ؕ اِنَّ فِیۡ ذٰلِکَ لَاٰیَۃً لِّکُلِّ عَبۡدٍ مُّنِیۡبٍ

৯. অনুবাদ: তারা কি তাদের সামনে ও তাদের পেছনে আসমান ও যমীনে যা আছে তার প্রতি লক্ষ্য করে না? যদি আমি ইচ্ছা করি তাহলে তাদেরকে সহ ভূমি ধসিয়ে দেব অথবা আসমান থেকে এক খন্ড (আযাব) তাদের উপর নিপতিত করব, অবশ্যই তাতে রয়েছে আল্লাহমুখী প্রত্যেক বান্দার জন্য নিদর্শন।

وَ لَقَدۡ اٰتَیۡنَا دَاوٗدَ مِنَّا فَضۡلًا ؕ یٰجِبَالُ اَوِّبِیۡ مَعَهٗ وَ الطَّیۡرَ ۚ وَ اَلَنَّا لَهُ الۡحَدِیۡدَ

১০. অনুবাদ: আর অবশ্যই আমি আমার পক্ষ থেকে দাঊদের প্রতি অনুগ্রহ করেছিলাম। (আমি আদেশ করলাম) ‘হে পর্বতমালা, তোমরা তার সাথে আমার পবিত্রতা ঘোষণা কর’ এবং পাখিদেরকেও (এ আদেশ দিয়েছিলাম)। আর আমি তার জন্য লোহাকেও নরম করে দিয়েছিলাম,

اَنِ اعۡمَلۡ سٰبِغٰتٍ وَّ قَدِّرۡ فِی السَّرۡدِ وَ اعۡمَلُوۡا صَالِحًا ؕ اِنِّیۡ بِمَا تَعۡمَلُوۡنَ بَصِیۡرٌ

১১. অনুবাদ: (এ নির্দেশ দিয়ে যে,) ‘তুমি পরিপূর্ণ বর্ম তৈরী কর এবং যথার্থ পরিমাণে প্রস্তুত কর’। আর তোমরা সৎকর্ম কর। তোমরা যা কিছু কর নিশ্চয় আমি তার সম্যক দ্রষ্টা।

وَ لِسُلَیۡمٰنَ الرِّیۡحَ غُدُوُّهَا شَهۡرٌ وَّ رَوَاحُهَا شَهۡرٌ ۚ وَ اَسَلۡنَا لَهٗ عَیۡنَ الۡقِطۡرِ ؕ وَ مِنَ الۡجِنِّ مَنۡ یَّعۡمَلُ بَیۡنَ یَدَیۡهِ بِاِذۡنِ رَبِّهٖ ؕ وَ مَنۡ یَّزِغۡ مِنۡهُمۡ عَنۡ اَمۡرِنَا نُذِقۡهُ مِنۡ عَذَابِ السَّعِیۡرِ

১২. অনুবাদ: আর সুলাইমানের জন্য আমি বাতাসকে অনুগত করে দিয়েছিলাম, যা সকালে এক মাসের পথ এবং সন্ধ্যায় এক মাসের পথ অতিক্রম করত। আর আমি তার জন্য গলিত তামার প্রস্রবণ প্রবাহিত করেছিলাম। আর কতিপয় জিন তার রবের অনুমতিক্রমে তার সামনে কাজ করত। তাদের মধ্যে যে আমার নির্দেশ থেকে বিচ্যুত হয় তাকে আমি জ্বলন্ত আগুনের আযাব আস্বাদন করাব।

یَعۡمَلُوۡنَ لَهٗ مَا یَشَآءُ مِنۡ مَّحَارِیۡبَ وَ تَمَاثِیۡلَ وَ جِفَانٍ کَالۡجَوَابِ وَ قُدُوۡرٍ رّٰسِیٰتٍ ؕ اِعۡمَلُوۡۤا اٰلَ دَاوٗدَ شُکۡرًا ؕ وَ قَلِیۡلٌ مِّنۡ عِبَادِیَ الشَّکُوۡرُ

১৩. অনুবাদ: তারা তৈরী করত সুলাইমানের ইচ্ছানুযায়ী তার জন্য প্রাসাদ, ভাস্কর্য, সুবিশাল হাউযের মত বড় পাত্র ও স্থির হাড়ি। ‘হে দাঊদ পরিবার, তোমরা কৃতজ্ঞতাস্বরূপ আমল করে যাও এবং আমার বান্দাদের মধ্যে অল্পই কৃতজ্ঞ’।

فَلَمَّا قَضَیۡنَا عَلَیۡهِ الۡمَوۡتَ مَا دَلَّهُمۡ عَلٰی مَوۡتِهٖۤ اِلَّا دَآبَّۃُ الۡاَرۡضِ تَاۡکُلُ مِنۡسَاَتَهٗ ۚ فَلَمَّا خَرَّ تَبَیَّنَتِ الۡجِنُّ اَنۡ لَّوۡ کَانُوۡا یَعۡلَمُوۡنَ الۡغَیۡبَ مَا لَبِثُوۡا فِی الۡعَذَابِ الۡمُهِیۡنِ

১৪. অনুবাদ: তারপর যখন আমি সুলাইমানের মৃত্যুর ফয়সালা করলাম তখন মাটির পোকা জিনদেরকে তার মৃত্যু সম্পর্কে অবহিত করল, যা তার লাঠি খাচ্ছিল। অতঃপর যখন সে পড়ে গেল তখন জিনরা বুঝতে পারল যে, তারা যদি গায়েব জানত তাহলে তারা লাঞ্ছনাদায়ক আযাবে থাকত না।

لَقَدۡ کَانَ لِسَبَاٍ فِیۡ مَسۡکَنِهِمۡ اٰیَۃٌ ۚ جَنَّتٰنِ عَنۡ یَّمِیۡنٍ وَّ شِمَالٍ ۬ؕ کُلُوۡا مِنۡ رِّزۡقِ رَبِّکُمۡ وَ اشۡکُرُوۡا لَهٗ ؕ بَلۡدَۃٌ طَیِّبَۃٌ وَّ رَبٌّ غَفُوۡرٌ

১৫. অনুবাদ: নিশ্চয় সাবা সম্প্রদায়ের জন্য তাদের বাসভূমিতে ছিল একটি নিদর্শন : দু’টি উদ্যান, একটি ডানে ও অপরটি বামে, (তাদেরকে বলা হয়েছিল) ‘তোমরা তোমাদের রবের রিয্ক থেকে খাও আর তাঁর শোকর কর। এটি উত্তম শহর এবং (তোমাদের রব) ক্ষমাশীল রব’।

فَاَعۡرَضُوۡا فَاَرۡسَلۡنَا عَلَیۡهِمۡ سَیۡلَ الۡعَرِمِ وَ بَدَّلۡنٰهُمۡ بِجَنَّتَیۡهِمۡ جَنَّتَیۡنِ ذَوَاتَیۡ اُکُلٍ خَمۡطٍ وَّ اَثۡلٍ وَّ شَیۡءٍ مِّنۡ سِدۡرٍ قَلِیۡلٍ

১৬. অনুবাদ: তারপরও তারা মুখ ফিরিয়ে নিল। ফলে আমি তাদের উপর বাঁধভাঙ্গা বন্যা প্রবাহিত করলাম। আর আমি তাদের উদ্যান দু’টিকে পরিবর্তন করে দিলাম এমন দু’টি উদ্যানে যাতে উৎপন্ন হয় তিক্ত ফলের গাছ, ঝাউগাছ এবং সামান্য কিছু কুল গাছ।

ذٰلِکَ جَزَیۡنٰهُمۡ بِمَا کَفَرُوۡا ؕ وَ هَلۡ نُجٰزِیۡۤ اِلَّا الۡکَفُوۡرَ

১৭. অনুবাদ: সে আযাব আমি তাদেরকে দিয়েছিলাম তাদের কুফরীর কারণে। আর আমি অকৃতজ্ঞ ছাড়া অন্য কাউকে এমন আযাব দেই না।

وَ جَعَلۡنَا بَیۡنَهُمۡ وَ بَیۡنَ الۡقُرَی الَّتِیۡ بٰرَکۡنَا فِیۡهَا قُرًی ظَاهِرَۃً وَّ قَدَّرۡنَا فِیۡهَا السَّیۡرَ ؕ سِیۡرُوۡا فِیۡهَا لَیَالِیَ وَ اَیَّامًا اٰمِنِیۡنَ

১৮. অনুবাদ: আর তাদের ও যে সব জনপদের মধ্যে আমি বরকত দিয়েছিলাম সেগুলোর মধ্যবর্তীস্থানে আমি অনেক দৃশ্যমান জনপদ স্থাপন করেছিলাম এবং তাতে ভ্রমণ করার ব্যবস্থা নির্ধারণ করে দিয়েছিলাম। (তাদেরকে বলা হয়েছিল) ‘তোমরা এসব জনপদে রাত-দিন (যখন ইচ্ছা) নিরাপদে ভ্রমণ কর’।

فَقَالُوۡا رَبَّنَا بٰعِدۡ بَیۡنَ اَسۡفَارِنَا وَ ظَلَمُوۡۤا اَنۡفُسَهُمۡ فَجَعَلۡنٰهُمۡ اَحَادِیۡثَ وَ مَزَّقۡنٰهُمۡ کُلَّ مُمَزَّقٍ ؕ اِنَّ فِیۡ ذٰلِکَ لَاٰیٰتٍ لِّکُلِّ صَبَّارٍ شَکُوۡرٍ

১৯. অনুবাদ: কিন্তু তারা বলল, ‘হে আমাদের রব, আমাদের সফরের মধ্যে দূরত্ব বাড়িয়ে দিন’। আর তারা নিজদের প্রতি যুলম করল। ফলে আমি তাদেরকে কাহিনী বানালাম এবং তাদেরকে একেবারে ছিন্নভিন্ন করে দিলাম। নিশ্চয় এতে প্রত্যেক ধৈর্যশীল কৃতজ্ঞ ব্যক্তির জন্য নিদর্শন রয়েছে।

وَ لَقَدۡ صَدَّقَ عَلَیۡهِمۡ اِبۡلِیۡسُ ظَنَّهٗ فَاتَّبَعُوۡهُ اِلَّا فَرِیۡقًا مِّنَ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ

২০. অনুবাদ: আর নিশ্চয় তাদের ব্যাপারে ইবলীস তার ধারণা সত্য প্রমাণ করল, ফলে মুমিনদের একটি দল ছাড়া সবাই তার অনুসরণ করল।

وَ مَا کَانَ لَهٗ عَلَیۡهِمۡ مِّنۡ سُلۡطٰنٍ اِلَّا لِنَعۡلَمَ مَنۡ یُّؤۡمِنُ بِالۡاٰخِرَۃِ مِمَّنۡ هُوَ مِنۡهَا فِیۡ شَکٍّ ؕ وَ رَبُّکَ عَلٰی کُلِّ شَیۡءٍ حَفِیۡظٌ

২১. অনুবাদ: আর তাদের উপর শয়তানের কোন কর্তৃত্ব ছিল না। তবে কে আখিরাতের প্রতি ঈমান রাখে আর কে তাতে সন্দেহ পোষণ করে তা প্রকাশ করাই ছিল আমার উদ্দেশ্য। আর তোমার রব সকল কিছুর হিফাযতকারী।

قُلِ ادۡعُوا الَّذِیۡنَ زَعَمۡتُمۡ مِّنۡ دُوۡنِ اللّٰهِ ۚ لَا یَمۡلِکُوۡنَ مِثۡقَالَ ذَرَّۃٍ فِی السَّمٰوٰتِ وَ لَا فِی الۡاَرۡضِ وَ مَا لَهُمۡ فِیۡهِمَا مِنۡ شِرۡکٍ وَّ مَا لَهٗ مِنۡهُمۡ مِّنۡ ظَهِیۡرٍ

২২. অনুবাদ: বল, ‘তোমরা আল্লাহ ছাড়া যাদেরকে ইলাহ মনে করতে তাদেরকে আহবান কর। তারা আসমানসমূহ ও যমীনের মধ্যে অণু পরিমাণ কোন কিছুর মালিক নয়। আর এ দু’য়ের মধ্যে তাদের কোন অংশীদারিত্ব নেই এবং তাদের মধ্য থেকে কেউ তাঁর সাহায্যকারীও নয়।

وَ لَا تَنۡفَعُ الشَّفَاعَۃُ عِنۡدَهٗۤ اِلَّا لِمَنۡ اَذِنَ لَهٗ ؕ حَتّٰۤی اِذَا فُزِّعَ عَنۡ قُلُوۡبِهِمۡ قَالُوۡا مَاذَا ۙ قَالَ رَبُّکُمۡ ؕ قَالُوا الۡحَقَّ ۚ وَ هُوَ الۡعَلِیُّ الۡکَبِیۡرُ

২৩. অনুবাদ: আর আল্লাহ যাকে অনুমতি দেবেন সে ছাড়া তাঁর কাছে কোন সুপারিশ কারো উপকার করবে না। অবশেষে যখন তাদের অন্তর থেকে ভয় বিদূরিত হবে তখন তারা বলবে, ‘তোমাদের রব কী বলেছেন’? তারা বলবে, ‘সত্যই বলেছেন’ এবং তিনি সুমহান ও সবচেয়ে বড়।

قُلۡ مَنۡ یَّرۡزُقُکُمۡ مِّنَ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ ؕ قُلِ اللّٰهُ ۙ وَ اِنَّاۤ اَوۡ اِیَّاکُمۡ لَعَلٰی هُدًی اَوۡ فِیۡ ضَلٰلٍ مُّبِیۡنٍ

২৪. অনুবাদ: বল, ‘আসমানসমূহ ও যমীন থেকে কে তোমাদেরকে রিয্ক দেন? বল, ‘আল্লাহ’, আর নিশ্চয় আমরা অথবা তোমরা সৎপথে প্রতিষ্ঠিত অথবা স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে পতিত’।

قُلۡ لَّا تُسۡـَٔلُوۡنَ عَمَّاۤ اَجۡرَمۡنَا وَ لَا نُسۡـَٔلُ عَمَّا تَعۡمَلُوۡنَ

২৫. অনুবাদ: বল, ‘আমরা যে অপরাধ করছি সে ব্যাপারে তোমাদেরকে জিজ্ঞাসা করা হবে না, আর তোমরা যা কর সে সম্পর্কে আমাদেরকেও জিজ্ঞাসা করা হবে না’।

قُلۡ یَجۡمَعُ بَیۡنَنَا رَبُّنَا ثُمَّ یَفۡتَحُ بَیۡنَنَا بِالۡحَقِّ ؕ وَ هُوَ الۡفَتَّاحُ الۡعَلِیۡمُ

২৬. অনুবাদ: বল, ‘আমাদের রব আমাদেরকে একত্র করবেন। তারপর তিনি আমাদের মধ্যে সঠিকভাবে ফয়সালা করবেন। আর তিনিই শ্রেষ্ঠ ফয়সালাকারী ও সম্যক পরিজ্ঞাত’।

قُلۡ اَرُوۡنِیَ الَّذِیۡنَ اَلۡحَقۡتُمۡ بِهٖ شُرَکَآءَ کَلَّا ؕ بَلۡ هُوَ اللّٰهُ الۡعَزِیۡزُ الۡحَکِیۡمُ

২৭. অনুবাদ: বল, ‘তোমরা আমাকে দেখাও তো, তোমরা যাদেরকে তাঁর সাথে শরীক হিসেবে যুক্ত করেছ (তারা কোন সত্তা?) কখনো নয়, বরং তিনিই আল্লাহ, মহাপরাক্রমশালী, মহাপ্রজ্ঞাময়।

وَ مَاۤ اَرۡسَلۡنٰکَ اِلَّا کَآفَّۃً لِّلنَّاسِ بَشِیۡرًا وَّ نَذِیۡرًا وَّ لٰکِنَّ اَکۡثَرَ النَّاسِ لَا یَعۡلَمُوۡنَ

২৮. অনুবাদ: আর আমি তো কেবল তোমাকে সমগ্র মানবজাতির জন্য সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী হিসেবে প্রেরণ করেছি; কিন্তু অধিকাংশ মানুষ জানে না,

وَ یَقُوۡلُوۡنَ مَتٰی هٰذَا الۡوَعۡدُ اِنۡ کُنۡتُمۡ صٰدِقِیۡنَ

২৯. অনুবাদ: আর তারা বলে, ‘তোমরা যদি সত্যবাদী হও তবে বল, এ ওয়াদা কখন বাস্তবায়িত হবে’?

قُلۡ لَّکُمۡ مِّیۡعَادُ یَوۡمٍ لَّا تَسۡتَاۡخِرُوۡنَ عَنۡهُ سَاعَۃً وَّ لَا تَسۡتَقۡدِمُوۡنَ

৩০. অনুবাদ: বল, ‘তোমাদের জন্য রয়েছে একটি দিনের ওয়াদা যা থেকে তোমরা মুহূর্তকাল বিলম্বিত করতে পারবে না আর তরান্বিতও করতে পারবে না’।

وَ قَالَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا لَنۡ نُّؤۡمِنَ بِهٰذَا الۡقُرۡاٰنِ وَ لَا بِالَّذِیۡ بَیۡنَ یَدَیۡهِ ؕ وَ لَوۡ تَرٰۤی اِذِ الظّٰلِمُوۡنَ مَوۡقُوۡفُوۡنَ عِنۡدَ رَبِّهِمۡ ۚۖ یَرۡجِعُ بَعۡضُهُمۡ اِلٰی بَعۡضِۣ الۡقَوۡلَ ۚ یَقُوۡلُ الَّذِیۡنَ اسۡتُضۡعِفُوۡا لِلَّذِیۡنَ اسۡتَکۡبَرُوۡا لَوۡ لَاۤ اَنۡتُمۡ لَکُنَّا مُؤۡمِنِیۡنَ

৩১. অনুবাদ: আর কাফিরগণ বলে, ‘আমরা কখনো এ কুরআনের প্রতি ঈমান আনব না এবং এর পূববর্তী কোন কিতাবের প্রতিও না’। আর তুমি যদি দেখতে যালিমদেরকে, যখন তাদের রবের কাছে দাঁড় করিয়ে দেয়া হবে তখন তারা পরস্পর বাদানুবাদ করতে থাকবে। যাদেরকে দুর্বল করে রাখা হয়েছিল তারা অহঙ্কারীদেরকে বলবে, ‘তোমরা না থাকলে অবশ্যই আমরা মুমিন হতাম’।

قَالَ الَّذِیۡنَ اسۡتَکۡبَرُوۡا لِلَّذِیۡنَ اسۡتُضۡعِفُوۡۤا اَنَحۡنُ صَدَدۡنٰکُمۡ عَنِ الۡهُدٰی بَعۡدَ اِذۡ جَآءَکُمۡ بَلۡ کُنۡتُمۡ مُّجۡرِمِیۡنَ

৩২. অনুবাদ: যারা অহঙ্কারী ছিল তারা, তাদেরকে বলবে, যাদেরকে দুর্বল করে রাখা হয়েছিল, ‘তোমাদের কাছে হিদায়াত আসার পর আমরা কি তোমাদেরকে তা থেকে বাধা দিয়েছিলাম? বরং তোমরাই ছিলে অপরাধী’।

وَ قَالَ الَّذِیۡنَ اسۡتُضۡعِفُوۡا لِلَّذِیۡنَ اسۡتَکۡبَرُوۡا بَلۡ مَکۡرُ الَّیۡلِ وَ النَّهَارِ اِذۡ تَاۡمُرُوۡنَنَاۤ اَنۡ نَّکۡفُرَ بِاللّٰهِ وَ نَجۡعَلَ لَهٗۤ اَنۡدَادًا ؕ وَ اَسَرُّوا النَّدَامَۃَ لَمَّا رَاَوُا الۡعَذَابَ ؕ وَ جَعَلۡنَا الۡاَغۡلٰلَ فِیۡۤ اَعۡنَاقِ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا ؕ هَلۡ یُجۡزَوۡنَ اِلَّا مَا کَانُوۡا یَعۡمَلُوۡنَ

৩৩. অনুবাদ: আর যাদেরকে দুর্বল করে রাখা হয়েছিল তারা, যারা অহঙ্কারী ছিল তাদেরকে বলবে, ‘বরং এ ছিল তোমাদের দিন-রাতের চক্রান্ত, যখন তোমরা আমাদেরকে আদেশ দিয়েছিলে যেন আমরা আল্লাহকে অস্বীকার করি এবং তাঁর সমকক্ষ স্থির করি’। আর তারা যখন আযাব দেখবে তখন তারা অনুতাপ গোপন করবে। আর আমি কাফিরদের গলায় শৃঙ্খল পরিয়ে দেব। তারা যা করত কেবল তারই প্রতিফল তাদেরকে দেয়া হবে।

وَ مَاۤ اَرۡسَلۡنَا فِیۡ قَرۡیَۃٍ مِّنۡ نَّذِیۡرٍ اِلَّا قَالَ مُتۡرَفُوۡهَاۤ ۙ اِنَّا بِمَاۤ اُرۡسِلۡتُمۡ بِهٖ کٰفِرُوۡنَ

৩৪. অনুবাদ: আর আমি কোন জনপদে সতর্ককারী প্রেরণ করলেই সেখানকার বিত্তবান অধিবাসীরা বলেছে, ‘তোমরা যা নিয়ে প্রেরিত হয়েছ অবশ্যই আমরা তা প্রত্যাখ্যানকারী’।

وَ قَالُوۡا نَحۡنُ اَکۡثَرُ اَمۡوَالًا وَّ اَوۡلَادًا ۙ وَّ مَا نَحۡنُ بِمُعَذَّبِیۡنَ

৩৫. অনুবাদ: তারা আরো বলেছে, ‘আমরা ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততিতে অধিক সমৃদ্ধশালী। আর তাই আমরা আযাবপ্রাপ্ত হব না’।

قُلۡ اِنَّ رَبِّیۡ یَبۡسُطُ الرِّزۡقَ لِمَنۡ یَّشَآءُ وَ یَقۡدِرُ وَ لٰکِنَّ اَکۡثَرَ النَّاسِ لَا یَعۡلَمُوۡنَ

৩৬. অনুবাদ: বল, ‘আমার রব যার জন্য ইচ্ছা রিয্ক প্রশস্ত করেন অথবা সঙ্কুচিত করেন। কিন্তু অধিকাংশ লোক তা জানে না।’

وَ مَاۤ اَمۡوَالُکُمۡ وَ لَاۤ اَوۡلَادُکُمۡ بِالَّتِیۡ تُقَرِّبُکُمۡ عِنۡدَنَا زُلۡفٰۤی اِلَّا مَنۡ اٰمَنَ وَ عَمِلَ صَالِحًا ۫ فَاُولٰٓئِکَ لَهُمۡ جَزَآءُ الضِّعۡفِ بِمَا عَمِلُوۡا وَ هُمۡ فِی الۡغُرُفٰتِ اٰمِنُوۡنَ

৩৭. অনুবাদ: আর তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি এমন বস্তু নয় যা তোমাদেরকে আমার নিকটবর্তী করে দেবে। তবে যারা ঈমান আনে ও নেক আমল করে, তারাই তাদের আমলের বিনিময়ে পাবে বহুগুণ প্রতিদান। আর তারা (জান্নাতের) সুউচ্চ প্রাসাদে নিরাপদে থাকবে।

وَ الَّذِیۡنَ یَسۡعَوۡنَ فِیۡۤ اٰیٰتِنَا مُعٰجِزِیۡنَ اُولٰٓئِکَ فِی الۡعَذَابِ مُحۡضَرُوۡنَ

৩৮. অনুবাদ: আর যারা আমার আয়াতসমূহকে ব্যর্থ করে দিতে প্রচেষ্টা চালায় তাদেরকে আযাবের মধ্যে উপস্থিত করা হবে।

قُلۡ اِنَّ رَبِّیۡ یَبۡسُطُ الرِّزۡقَ لِمَنۡ یَّشَآءُ مِنۡ عِبَادِهٖ وَ یَقۡدِرُ لَهٗ ؕ وَ مَاۤ اَنۡفَقۡتُمۡ مِّنۡ شَیۡءٍ فَهُوَ یُخۡلِفُهٗ ۚ وَ هُوَ خَیۡرُ الرّٰزِقِیۡنَ

৩৯. অনুবাদ: বল, ‘নিশ্চয় আমার রব তাঁর বান্দাদের মধ্যে যার জন্য ইচ্ছা রিয্ক প্রশস্ত করেন এবং সঙ্কুচিত করেন। আর তোমরা যা কিছু আল্লাহর জন্য ব্যয় কর তিনি তার বিনিময় দেবেন এবং তিনিই উত্তম রিয্কদাতা।’

وَ یَوۡمَ یَحۡشُرُهُمۡ جَمِیۡعًا ثُمَّ یَقُوۡلُ لِلۡمَلٰٓئِکَۃِ اَهٰۤؤُلَآءِ اِیَّاکُمۡ کَانُوۡا یَعۡبُدُوۡنَ

৪০. অনুবাদ: আর স্মরণ কর, যেদিন তিনি তাদের সকলকে সমবেত করবেন তারপর ফেরেশতাদেরকে বলবেন, ‘এরা কি তোমাদেরই পূজা করত?

قَالُوۡا سُبۡحٰنَکَ اَنۡتَ وَلِیُّنَا مِنۡ دُوۡنِهِمۡ ۚ بَلۡ کَانُوۡا یَعۡبُدُوۡنَ الۡجِنَّ ۚ اَکۡثَرُهُمۡ بِهِمۡ مُّؤۡمِنُوۡنَ

৪১. অনুবাদ: তারা (ফেরেশতারা) বলবে, ‘আপনি পবিত্র মহান, আপনিই আমাদের অভিভাবক, তারা নয়। বরং তারা জিনদের পূজা করত। এদের অধিকাংশই তাদের প্রতি ঈমান রাখত’।

فَالۡیَوۡمَ لَا یَمۡلِکُ بَعۡضُکُمۡ لِبَعۡضٍ نَّفۡعًا وَّ لَا ضَرًّا ؕ وَ نَقُوۡلُ لِلَّذِیۡنَ ظَلَمُوۡا ذُوۡقُوۡا عَذَابَ النَّارِ الَّتِیۡ کُنۡتُمۡ بِهَا تُکَذِّبُوۡنَ

৪২. অনুবাদ: ফলে আজ তোমাদের একে অপরের কোন উপকার কিংবা অপকার করার ক্ষমতা কেউ রাখবে না। আর আমি যালিমদের উদ্দেশ্যে বলব, ‘তোমরা আগুনের আযাব আস্বাদন কর যা তোমরা অস্বীকার করতে।’

وَ اِذَا تُتۡلٰی عَلَیۡهِمۡ اٰیٰتُنَا بَیِّنٰتٍ قَالُوۡا مَا هٰذَاۤ اِلَّا رَجُلٌ یُّرِیۡدُ اَنۡ یَّصُدَّکُمۡ عَمَّا کَانَ یَعۡبُدُ اٰبَآؤُکُمۡ ۚ وَ قَالُوۡا مَا هٰذَاۤ اِلَّاۤ اِفۡکٌ مُّفۡتَرًی ؕ وَ قَالَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا لِلۡحَقِّ لَمَّا جَآءَهُمۡ ۙ اِنۡ هٰذَاۤ اِلَّا سِحۡرٌ مُّبِیۡنٌ

৪৩. অনুবাদ: আর যখন তাদের কাছে আমার সুস্পষ্ট আয়াতসমূহ তিলাওয়াত করা হত তখন তারা বলত, ‘এতো এমন এক ব্যক্তি যে তোমাদের বাধা দিতে চায় তা থেকে যার ইবাদাত তোমাদের পিতৃপুরুষগণ করত’। তারা আরও বলে, ‘এটি বানোয়াট মিথ্যা বৈ কিছু নয়।’ আর কাফিরদের নিকট যখনই সত্য আসে তখন তারা বলে, ‘এতো কেবল এক সুস্পষ্ট যাদু।’

وَ مَاۤ اٰتَیۡنٰهُمۡ مِّنۡ کُتُبٍ یَّدۡرُسُوۡنَهَا وَ مَاۤ اَرۡسَلۡنَاۤ اِلَیۡهِمۡ قَبۡلَکَ مِنۡ نَّذِیۡرٍ

৪৪. অনুবাদ: আর আমি তাদেরকে কোন কিতাব দেইনি যা তারা অধ্যয়ন করত, এবং তোমার পূর্বে তাদের প্রতি আর কোন সতর্ককারীও প্রেরণ করিনি।

وَ کَذَّبَ الَّذِیۡنَ مِنۡ قَبۡلِهِمۡ ۙ وَ مَا بَلَغُوۡا مِعۡشَارَ مَاۤ اٰتَیۡنٰهُمۡ فَکَذَّبُوۡا رُسُلِیۡ ۟ فَکَیۡفَ کَانَ نَکِیۡرِ

৪৫. অনুবাদ: আর তাদের পূর্ববর্তীরাও অস্বীকার করেছে। অথচ আমি তাদের [পূর্ববর্তীদের] যা দিয়েছিলাম এরা তার এক দশমাংশও পায়নি, তবুও তারা আমার রাসূলদের অস্বীকার করেছিল। ফলে আমার প্রত্যাখ্যান (শাস্তি) কেমন হয়েছিল?

قُلۡ اِنَّمَاۤ اَعِظُکُمۡ بِوَاحِدَۃٍ ۚ اَنۡ تَقُوۡمُوۡا لِلّٰهِ مَثۡنٰی وَ فُرَادٰی ثُمَّ تَتَفَکَّرُوۡا ۟ مَا بِصَاحِبِکُمۡ مِّنۡ جِنَّۃٍ ؕ اِنۡ هُوَ اِلَّا نَذِیۡرٌ لَّکُمۡ بَیۡنَ یَدَیۡ عَذَابٍ شَدِیۡدٍ

৪৬. অনুবাদ: বল, ‘আমি তো তোমাদেরকে একটি বিষয়ে উপদেশ দিচ্ছি, তোমরা আল্লাহর উদ্দেশ্যে দু’জন অথবা এক একজন করে দাঁড়িয়ে যাও, অতঃপর চিন্তা করে দেখ, তোমাদের সাথীর মধ্যে কোন পাগলামী নেই। সে তো আসন্ন কঠোর আযাব সম্পর্কে তোমাদের একজন সতর্ককারী বৈ কিছু নয়।’

قُلۡ مَا سَاَلۡتُکُمۡ مِّنۡ اَجۡرٍ فَهُوَ لَکُمۡ ؕ اِنۡ اَجۡرِیَ اِلَّا عَلَی اللّٰهِ ۚ وَ هُوَ عَلٰی کُلِّ شَیۡءٍ شَهِیۡدٌ

৪৭. অনুবাদ: বল, ‘আমি তোমাদের কাছে কোন প্রতিদান চাইনি, বরং তা তোমাদেরই। আমার প্রতিদান তো কেবল আল্লাহর নিকট এবং তিনি সব কিছুর উপরই সাক্ষী।

قُلۡ اِنَّ رَبِّیۡ یَقۡذِفُ بِالۡحَقِّ ۚ عَلَّامُ الۡغُیُوۡبِ

৪৮. অনুবাদ: বল, ‘আমার রব সত্য পাঠিয়েছেন। তিনি যাবতীয় গায়েব সম্পর্কে পরিজ্ঞাত।’

قُلۡ جَآءَ الۡحَقُّ وَ مَا یُبۡدِئُ الۡبَاطِلُ وَ مَا یُعِیۡدُ

৪৯. অনুবাদ: বল, ‘সত্য এসেছে এবং বাতিল কিছু সৃষ্টি করতে পারে না, আর কিছু পুনরাবৃত্তিও করতে পারে না।’

قُلۡ اِنۡ ضَلَلۡتُ فَاِنَّمَاۤ اَضِلُّ عَلٰی نَفۡسِیۡ ۚ وَ اِنِ اهۡتَدَیۡتُ فَبِمَا یُوۡحِیۡۤ اِلَیَّ رَبِّیۡ ؕ اِنَّهٗ سَمِیۡعٌ قَرِیۡبٌ

৫০. অনুবাদ: বল, ‘যদি আমি পথভ্রষ্ট হয়ে যাই তবে আমার অকল্যাণেই আমি পথভ্রষ্ট হব। আর যদি আমি হিদায়াত প্রাপ্ত হই তবে তা এজন্য যে, আমার রব আমার প্রতি ওহী প্রেরণ করেন। নিশ্চয় তিনি সর্বশ্রোতা ও অতি নিকটবর্তী’।

وَ لَوۡ تَرٰۤی اِذۡ فَزِعُوۡا فَلَا فَوۡتَ وَ اُخِذُوۡا مِنۡ مَّکَانٍ قَرِیۡبٍ

৫১. অনুবাদ: আর যদি তুমি দেখতে যখন তারা ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়বে তখন পালানোর কোন পথ পাবে না এবং নিকটস্থ স্থান থেকে তাদেরকে পাকড়াও করা হবে।

وَّ قَالُوۡۤا اٰمَنَّا بِهٖ ۚ وَ اَنّٰی لَهُمُ التَّنَاوُشُ مِنۡ مَّکَانٍۭ بَعِیۡدٍ

৫২. অনুবাদ: আর তারা বলবে, ‘আমরা তাতে ঈমান আনলাম’। কিন্তু দূরবর্তী স্থান থেকে তারা কিভাবে ঈমানের নাগাল পাবে?

وَّ قَدۡ کَفَرُوۡا بِهٖ مِنۡ قَبۡلُ ۚ وَ یَقۡذِفُوۡنَ بِالۡغَیۡبِ مِنۡ مَّکَانٍۭ بَعِیۡدٍ

৫৩. অনুবাদ: অথচ তারা ইতঃপূর্বে তা অস্বীকার করত এবং তারা দূরবর্তী স্থান থেকে গায়েব সম্পর্কে কুটমন্তব্য ছুঁড়ে মারত।

وَ حِیۡلَ بَیۡنَهُمۡ وَ بَیۡنَ مَا یَشۡتَهُوۡنَ کَمَا فُعِلَ بِاَشۡیَاعِهِمۡ مِّنۡ قَبۡلُ ؕ اِنَّهُمۡ کَانُوۡا فِیۡ شَکٍّ مُّرِیۡبٍ

৫৪. অনুবাদ: আর তাদের ও তারা যা কামনা করত তার মধ্যে অন্তরাল করে দেয়া হবে, যেমন ইতঃপূর্বে তাদের সমগোত্রীয়দের ক্ষেত্রে করা হয়েছিল। নিশ্চয় তারা ছিল বিভ্রান্তিকর সন্দেহে পতিত।

কপিরাইট

আমাদের সকল কন্টেন্ট কপিরাইট সংরক্ষিত
ডেভলোপারঃ মুহিব্বুল্লাহ
গোপনীয়তা নীতি

প্রিয় পাঠক

আমাদের সকল প্রজেক্টসমূহ সম্পূর্ণ ব্যাক্তি উদ্যোগে পরিচালিত, আপনাদের দোয়া ও সহযোগিতা দ্বীনের এই কাজকে আরও প্রসারিত করবে ইন-শা-আল্লাহ।

যোগাযোগ

[email protected]
Facebook
YouTube